শুভ্র গেছে বনে

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি
লিখেছেন এলোমেলো ভাবনা [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৬/০৪/২০১০ - ১১:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্র গুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে পছন্দ শুভ্রকে। পৃথিবীর শুদ্ধতম মানুষ। বাস্তবতা তাকে এখনো কুলষিত করতে পারেনি; চশমা পড়ে; একটু বোকা। এবাররের বই মেলায় শুভ্রকে নিয়ে লেখা বই "শুভ্র গেছে বনে" । হুমায়ুন আহমেদের সাম্প্রতিক সময়ের বইগুলোর নির্দিষ্ট একটা ছক আছে। এই বইটাও তার বাইরে নয়।

* কামুক বৃদ্ধ - যে তরুণী মেয়েদেরকে সাথে নানা আদিরসাত্মক ঠাট্টা করবে। মেয়েরা আবার তাকে খুবই পছন্দ করবে।√চেক
* মাঝ বয়সী শঠ বাবা, শাশুড়ী আথবা দাদী - এরা বেশিরভাগ সময় পাগলের অভিনয় করে। এই চরিত্রটির প্রধান কাজ খিস্তি খেউর এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করা। শেষদিকে এরা সাধারণত নিজের ভুল বুঝতে পেরে নানা মহৎ কাজ করে থাকে। √চেক
* অতিপ্রাকৃত ঘটনা বা সস্তা নাটকীয়তা √চেক
* নারিকেল মানবঃ এরা বইয়ের প্রধান চরিত্র। নায়ক অথবা নায়িকা। এদের বাইরেটা ইস্পাত কঠিন কিন্তু ভিতরটা খুবই নরম। পাঠক মনে হয় এ ধরনের চরিত্র খুব পছন্দ করে। √চেক

এই বইয়ে যেটা সবচেয়ে বেশী চোখে লেগেছে তা হল এই একবিংশ শতকে একই শহরে বাস করা গল্পের প্রধান চরিত্রগুলোর যোগাযোগের মাধ্যম হল চিঠি। এদের কারো সেল ফোন নেই। হয়তো চিঠিতে লেখকের যে মুন্সীয়ানা ফুটে ওঠে, কথোপকথনে তা সম্ভব না।

তবে লেখকের সাফল্য হল এত কিছুর পরেও তিনি মানুষের ভালো দিকটাকে তুলে ধরেন। তাই দরিদ্র বণিকা মর্জিনা মুহুর্তেই শুভ্রকে ভাই পাতিয়ে ফেলতে পারে। চরের মানুষ শুভ্রর জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে পারে কিংবা সন্ত্রাসী টুনুও ভালো হয়ে যেতে চেষ্টা করে। যে কাজ গুলো ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ পারে না। এই চরিত্রগুলো তা করে ফেলে অবলীলায়। তাই সব ছাপিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস গুলো হয়ে উঠে মানুষের ইচ্ছা পূরণের গল্প।

শুভ্র গেছে বনেও এর ব্যাতিক্রম নয়।


মন্তব্য

সচল জাহিদ এর ছবি

বইটি পড়া হয়নি এখনো। ছকগুলোকে বের করে চেক করাটা বেশ মজার লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

তবে আরেকটু বিস্তারিত রিভিউ দাবী রাখে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ জাহিদ ভাইয়া । হাসি



দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

মর্ম এর ছবি

দুঃখজনক হলেও সত্য যে হুমায়ূন আহমেদকেও এখন ছকে ফেলা সম্ভব হয়।

এ বছর তাঁর বই কিনে হতাশ হয়েছি, পড়ে মনে হয়েছে কেনো কিনলাম?!

তাঁর রুচিবোধ বদলে গেছে অনেক, অবাক করা ব্যাপার এটাই। এখন তিনি আসলে কাদের জন্য লেখেন জানতে ইচ্ছা হয়।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

প্যাটার্ন রিকোগনিশন নিয়ে কাজ করতে করতে এই এক বদ অভ্যাস হয়ে গিয়েছে - সব কিছুকেই ছকে ফেলতে মঞ্চায়। খাইছে

হুমায়ূন আসলে এখন আর মধ্যবিত্ত বাঙ্গালী মূল্যবোধের প্রাতিনিধিত্ব করেন না। তাই তার লেখা আমাদের হতাশ করে মন খারাপ



দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

রেনেট এর ছবি

হুমায়ন আহমেদের বইয়ের যে ছক আপনি দিলেন, আমার ধারনা সেই ছক ফলো করে আপনিই এই মানের বই লিখে ফেলতে পারবেন। আরো অনেকেই পারবে। তারপরও পয়সা খরচ করে একই ছ্যাবলামি পড়ার পিছনে যুক্তি কি?

রুমালী পড়ার পর থেকে হুমায়ুন পড়া কমিয়ে দিয়েছিলাম, রুপার পালঙ্ক পড়ে পুরোপুরি বাদ।

প্রতিভার কি নিদারুণ অপচয়!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হুমায়ূনের লেখার এরকম সমালোচনা পড়ে আমার এক বন্ধুর কথা মনে পড়ল। সে বলতো: হুমায়ূন এখন লিখেছে তিথির নীল তোয়ালে, এর পর লিখবে রোকেয়ার সাদা পায়জামা। আসলেই, প্রতিভার কী নিদারুণ অপচয়।

কাকুল কায়েশ এর ছবি

পিপিদা, এই কথাটা আসলে একজন স্বনামধন্য লেখকই বলেছিলেন। আমি পেপার বা বিচিত্রা কোথাও পড়েছিলাম। অ্যাট লিস্ট, পনের-ষোল বছর আগে! আমার ওই লেখকের নাম মনে নাই, হুমায়ুন আজাদ বা ওই সময়েরই কোন একজন খ্যাতিমান লেখক কথাটি বলেছিলেন।

=======================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

খুবই সম্ভব। কারণ আমার বন্ধুটি ওনাদের লেখা নিয়মিত পড়তেন, হয়তো ও পত্রিকা থেকেই পড়েছিল।

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

আইডিয়া খুবই মনে ধরেছে হাসি
দিবো নাকি একটা ট্রাই? ইয়ে, মানে...

আমিও তেমন পড়ি না। পয়সা খরচ করে তো একেবারেই না খাইছে



দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

রেশনুভা এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদের বই পড়া হয়না অনেকদিন।
----------------------------------------------

আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

মাঝে আমিও পড়িনি বহুদিন। হঠাত করে বহু পুরানো "অপেক্ষা" বইটা পড়া্র পর থেকে আবার হুমায়ূন ফেজ (phase) চলছে। দেঁতো হাসি



দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

অতিথি লেখক এর ছবি

একঘেয়ে হয়ে গেছে হুমায়ুন আহমেদের গল্প গুলো এখন।আগে পড়তে ভাল লাগতো ।

মিতু
রিফাত জাহান মিতু

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

আসলেই। মন খারাপ
আমার কৈশোর পুরোটাই কেটেছে সুনীল, শাহরিয়ার কবির,আর হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ে। প্রথমজনের আমি এখনো সেই রকম ভক্ত, দ্বিতীয়জন এখন আর লেখেন না আর তৃতীয় জন আমাকে কেবলই হতাশ করে চলেছেন।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ মিতু আপু।



দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

পল্লব এর ছবি

প্রচুর পড়তাম এককালে, কিন্তু নাটক আর বই এই ছকে ফেলা শুরু করার পর থেকে কমতে কমতে এখন পুরাই বাদ। একই জিনিস ঘুরেফিরে বারবার বিভিন্ন মানুষের নাম দিয়ে বইগুলো বের হয়।

হুমায়ন আহমেদের বইয়ের যে ছক আপনি দিলেন, আমার ধারনা সেই ছক ফলো করে আপনিই এই মানের বই লিখে ফেলতে পারবেন। আরো অনেকেই পারবে।

বুয়েটে থাকতেই আমার কিছু সহপাঠী এমন লিখেছে হাসি

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

OMG !!!
বলেন কী !!!
@-@ (চক্ষু ছানাবড়ার ইমো)



দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

রিভিউ আরো বিস্তারিত হতে পারতো। তবে ছকটা ভালই লেগেছে। হুমায়ূনের লেখা পড়িনা বহুদিন, তবে হাতের কাছে পেলে না পড়ে থাকতে পারবো বলে মনে হয়না। লেখক হিসেবে এটাই হুমায়ূনের সার্থকতা।

ছক থাকলেই কিন্তু সবাই হুমায়ূনের মত লিখতে পারবেনা। সচলায়তনেই বহুদিন আগে উপন্যাস বা গল্প লেখা সংক্রান্তু ৩৩টি ছকের উদাহরণ দিয়েছিলে শোহেইল ভাই। এসব ছকের কথা আদিকাল থেকেই সবাই জানে, কিন্তু সবাই হুমায়ূন হয়না।

তবে প্রশংসার পাশাপাশি সাম্প্রকিক কালে সস্তা মানের লেখার (আমি পড়িনি, নানা জনের মুখে শোনা কথা) জন্য সমালোচনা অবশ্যই প্রাপ্য। হুমায়ূন হয়তো তাঁর স্বর্ণ সময় পার করে এসেছেন।

ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।

রেনেট এর ছবি

শুরুর দিকের, এমনকি নব্বইয়ের দশকের হুমায়ুন কেউ হতে পারবে না...কিন্তু এখন হুমায়ুনের মলাটে যে লেখা আসে, সেটা লেখা তেমন কোন ব্যাপার না।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লোকজনের মুখে শুনি এগুলো নাকি হুমায়ূনের হাতে লেখা নয়, হুমায়ূনের 'নামে' প্রকাশ হয় মাত্র।

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

OMG !!
free smileys



দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

ছক থাকলেই কিন্তু সবাই হুমায়ূনের মত লিখতে পারবেনা।

একদম ঠিক পিপিদা। এই জন্যই তার কাছে আমাদের প্রত্যাশা বেশী। আর অপূর্ণ প্রত্যাশা থেকেই আসে হতাশা।

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।



দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

কাকুল কায়েশ এর ছবি

ছোট্ট রিভিউটা ভালই লাগল। হুমায়ুন আহমেদের এখনকার বই সম্ভবত এর চেয়ে বড় রিভিউ এর যোগ্যতাও রাখে না।

তাঁর বই পড়িনা অনেকদিন। লাস্ট বই ছিল 'হিমু ও র‌্যাব' এই জাতীয়, বইমেলা থেকে বাসায় আসতে আসতেই বেশ কয়েক পাতা পড়ে ফেলেছিলাম, কিন্তু বাসায় আসার পর হারিয়ে গিয়েছিল বইটা! তাই হাল্কা একটু আক্ষেপ আছে বইটা শেষ না করার জন্য!

শুভ্র চরিত্রটি আমারও খুব পছন্দ ছিল! কিন্তু যখন শুনলাম দারুচিনি দ্বীপে জনাব রিয়াজ এই চরিত্রে অভিনয় করছেন, তখন এই সিনেমা তো দেখিইনি, শুভ্র চরিত্রটার উপর থেকেও মোহ হারিয়ে গেছে!

========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শুভ্র চরিত্রটি আমারও খুব পছন্দ ছিল! কিন্তু যখন শুনলাম দারুচিনি দ্বীপে জনাব রিয়াজ এই চরিত্রে অভিনয় করছেন, তখন এই সিনেমা তো দেখিইনি, শুভ্র চরিত্রটার উপর থেকেও মোহ হারিয়ে গেছে!
হো হো হো

মর্ম এর ছবি

হুমায়ূনের 'হিমু মামা' পড়েছেন তো? গত দুই তিন বছরে এটাই খুব সম্ভবত তাঁর সবচেয়ে সরস আর সুন্দর বই।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

আমি হুমায়ূন পড়া অর্ধেক ছেড়েছি। কিনে আর পড়িনা দেঁতো হাসি

দারুচিনি দ্বীপ সিনেমাটা দেখা হয়নি। তবে বইটা আমার খুবই পছন্দের।



দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

অম্লান অভি এর ছবি

বই মেলার বইয়ের পড়া এখনও চলছে। বেবাট পড়ছি দ্বিতীয় বার। রিভিউ পড়ে আর থাকতে পারলাম না। আজ অনেকদিন পরে পড়ব হুমায়ূন আহমেদ 'নলিনী বাবু B. Sc'। ধন্যবাদ উসকে দেয়ার জন্য। যদিও সেই হুমায়ূন নেই তবে কোথায় যেন একটা টান আছে। তাই ফিরে আসা, ফিরে ফিরে আসা।

অ.ট. প্রপ্রে আপনার মন্তব্যের অংশ পড়ে শোহেইল ভাইয়ের লেখাটা পড়ার ইচ্ছা জাগল।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ অভি ভাইয়া।

যদিও সেই হুমায়ূন নেই তবে কোথায় যেন একটা টান আছে। তাই ফিরে আসা, ফিরে ফিরে আসা।

সেটাই। পড়ে বিরক্ত হই তবুও হাতের কাছে পেলে না পড়ে থাকতে পারি না মন খারাপ


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

এখানে এসেছি এর ছবি

ভাইয়েরা আমার শুনলাম ম্যাকগাইভার আবার দেখানো হচ্ছে। আপনারা শুনেই যদি বলেন না এ সিরিজ দেখা হয়েছে, ওখানে কাজে লাগানোর মত কিছু নেই, কথাটা মনে হয় ঠিক হবেনা কারণ আমরা দেখেছি কিন্তু নেক্সট্ প্রজন্মকে দেখানো বা শেখানোর জন্য সিরিজটা রিপিট হতেই পারে, তেমনি ভাবে হূমায়ুন স্যারের নাটকের ক্ষেত্রে স্ক্রিপ রিপিটেশন হবে।

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

মানে কী ? ইয়ে, মানে...

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

প্রিয় পাঠক মন্তব্যটা আমার কাছে তেমন পরিষ্কার নয়। তবুও বলি -
নতুন প্রযন্মের কি নতুন কিছু প্রাপ্য নয়? নতুন মোড়কে পুরানো জিনিষ দিয়ে কি নতুন প্রযন্মকে বোকা বানানো ঠিক?


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

মামুন হক এর ছবি

হুমা পড়া বাদ্দিছি অনেক্কাল আগেই। উনি এখন যা লেখেন তা আমিও লিখতে পারি। সমস্যাটা হলো আমার লেখা ছাপাবেনা কেউ, অথচ হুমার পিছনে ঘুরবে হয়ে ফেউ।

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

উনি এখন যা লেখেন তা আমিও লিখতে পারি।

উহু ! ঠিক নয় । উনি এখন যা লিখেন মামুন ভাইয়া তার চেয়ে বহু গুণ ভালো লিখতে পারেন।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাইয়া হাসি


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

অতিথি লেখক এর ছবি

তার লেখা এখন আর পড়া হয় না
মানের দিক দিয়ে যেদিন তার লেখা নীচে নেমে গেছে সেই দিন থেকে বাদ
আমার ধারনা ইদানিং তিনি মান হীন কিছু চটি বই চাইলেই লিখতে পারেন

খেয়ালীমন

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ খেয়ালী মন।


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

দ্রোহী এর ছবি

"শুভ্র গেছে বনে "বইটি পড়ে শেষ করতে পেরেছি। "সানাউল্লাহর মহাবিপদ" বইয়ের এক-তৃতীয়াংশ পড়ার পর আর পড়তেই পারলাম না।

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ দ্রোহীদা।
"সানাউল্লাহর মহাবিপদ" নিয়ে তো বিপদে পড়ে গেলাম দেঁতো হাসি


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

ভাত খেতে খেতে পড়ার জন্য হুমায়ুন আহমেদের বই এর থেকে ভাল জিনিস আর নাই দেঁতো হাসি

তেপান্তর [অতিথি] এর ছবি

হুমায়ুনের ম্যাচিউরিটি হল লেবু গাছের মাথায় , কিন্তু সময়ের সাথে পাঠকের ম্যাচিউরিটি অনেকটা তালগাছের মাথায়। পাঠক থেমে না গেলেও, সে থেমে গেছে অনেক আগেই।
কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সময়ে ক্ল্যাসিক্যাল মেকানিক্সের গুরুত্ব থাকলেও তা আর প্রধান বিষয় নয়।

বড় ক্লাসে এসে হাটটিমাটিম টিম আর ভালো লাগে না। তবে অনুরণনটা থেকেই যায়।

তেপান্তর

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ তেপান্তর।


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

অরুণ চেৌধুরি এর ছবি

অতিথি লেখক এলোমেলো ভাবনা'র শুভ্র গেছে বনে'র পুস্তক সমালোচনা পড়লাম।
পড়লাম, সেই লেখার োপরে প্রায় ২৫ টি প্রতিক্রিযা।
সচলায়তনের একজন সামান্য পাঠক হিশেবে মাঝে মাঝে এখানে ঢুকি। নানা লেখা পড়ি। এখানে পাঠকদের এবং লেখকদের বোধ, োচিত্য, ভাবনা, শিখ্খা, ধারালো দৃষ্টি দেখে চমতকৃত হই।
এবারে সেভাবে হতে পারলাম না।

প্রথমবারে মতো কোথায় যেন একটু ঝাকের কই ঝাকে মিশতে দেখলাম।

আমাদের কারো কারো সংকট হচ্ছে, অন্যকে তুচ্ছ করার মধ্যে আমরা অমাদের বুদ্বিবৃত্তির সাংঘাতিক প্রকাশ ঘটে বলে মনে করি। আমরা আমাদের নিজস্বতা নিয়ে অহংকার করতে জানি না। আমরা বেশির ভাগ মানুষ না পড়েই বলি, ‌‌'ভালো নয়'।
তারপর মৃত্যুর পর সেই সৃজনশীল মানুষের মর্যাদা দিতে কান্নাকাটি শুরু করি।
হুমাযুনের অন্তত ২০ টি বই আছে, যা বাংলাদেশের সাহিত্য নয়, বাংলা-সাহিত্যে মাইল স্টোন হযে থাকবে। সুনীলের নিয়মিত পাঠক বলে একজন উল্লেখ করলেন, অথচ সুনীলের অনেক যা-তা লেখা আছে যা খোদ সুনীলকেই লজ্জা দেয়।
অতিশয় আবেগেঘন হয়ে যারা বলছেন, হুমায়ুন ফুরিয়ে গেছেন, তারা কি সবাই এবারে বের হোয়া তার 'মাতাল হাোয়া' পড়েছেন ?
কাউকে আহত করবার জন্য আমার এ প্রতিক্রিয়া নয়। ব্যক্তিগত মতামত অকপটে জানানোটাই আমার উদ্দেশ্য । তাতে কেউ আঘাত পেলে আমি খমা প্রার্থনা করছি।

দ্রোহী এর ছবি

হে অরুণ চৌধুরী,

রাজাকার শিরোমণি গোলাম আযম ভাষা সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলো। তাই বলে কি তার একাত্তরে করা অপরাধ ক্ষমা করে দেবেন আপনি?

হুমায়ুন আহমেদ "নন্দিত নরকে" বা "শঙ্খনীল কারাগার" লিখেছেন দেখেই "শুভ্র গেছে বনে" বা "সানাউল্লাহর মহাবিপদ" টাইপ বইকেও পাতে তুলতে হবে?

একটা সময়ে এসে লেখকের ক্ষমতা ফুরিয়ে যায়। বুদ্ধিমান লেখকেরা সেটা বোঝার আগেই লেখা প্রকাশ করা বন্ধ করে দেন।

জেরোম ডেভিড স্যালিঞ্জার ১৯৫১ সালে "দ্য ক্যাচার ইন দ্য রাই" এর মতো কালজয়ী বই লিখেছিলেন। স্যালিঞ্জারের পরের লেখাগুলোর কোনটিই কিন্তু ক্যাচার ইন দ্য রাইয়ের গুণ ও মানকে স্পর্শ করতে পারেনি। সে কারণেই ১৯৬১ সালের পর লেখা প্রকাশ করা বন্ধ করে দেন তিনি। ২৭ জানুয়ারী ২০১০ এ যখন তিনি মারা যান তখনো সারা পৃথিবী তাকে ক্যাচার ইন দ্যা রাইয়ের জন্যই স্মরণ করেছে।

লেখালেখি সৃষ্টিশীল ব্যাপার। প্রতিদিন রুটিন করে ডিম পাড়ার মতো প্রতি বইমেলায় রুটিন করে একগাদা গুণমানহীন বই বের করলে নন্দিত নরকের লেখক হুমায়ুন আহমেদ নিন্দিতই হবেন। কে বলতে পারে! হয়তোবা ভবিষ্যতে আস্তাকুঁড়েতে নিক্ষিপ্ত হতে পারেন।

অরুণ চেৌধুরি এর ছবি

আপনার সুলিখিত প্রতিউত্তরের জন্য সাধুবাদ জানাই প্রিয় দ্রোহী।
হুমায়ুন আহমেদ তার সমস্ত সীমাবদ্ধতাসহ বাংলাভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক। এটা আমি নগন্য পাঠক হিশেবে মনে করতেই পারি। আপনি তা মনে না-ই করতে পারেন।
কিন্তু দ্রোহ প্রকাশ করতে গিয়ে যে উদাহরণ দান করলেন, তা যেৌক্তিক নয় বলে মনে করি।
একজন ফিকশন লেখকের কোনো লেখা ভাষা সংগ্রামে অংশ নেয়ার সমকখ্খ নয়। তেমনি একজন লেখকের অতি নিম্ন মানের লেখাই ঘৃন্য রাজাকারি সমতুল্য হতে পারে না।
ধন্যবাদ।

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

প্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ অরুণ ভাইয়া।
আমার লেখা যেমন আপনার ভালো লাগেনি সেটা আপনি মন্তব্যে জানিয়েছেন, ঠিক একই ভাবে আমারও "শুভ্র গেছে বনে" ভালো লাগেনি তাই ব্লগে জানিয়েছি। কেউই সমালোচনার উর্ধ্বে নয়।

হুমাযুনের অন্তত ২০ টি বই আছে, যা বাংলাদেশের সাহিত্য নয়, বাংলা-সাহিত্যে মাইল স্টোন হযে থাকবে।

ভাইয়া আমি কিন্তু মাইলস্টোন বই গুলো নিয়া রিভিউ করিনি, রিভিউটা লিখেছি "শুভ্র গেছে বনে" বইটা নিয়ে। মাইলস্টোন বইয়ের রিভিউ নিশ্চয়ই এর চেয়ে ভিন্ন হবে।

নাহ, "মাতাল হোয়া" পড়িনি। আপনার প্যাশন দেখে পড়তে ইচ্ছে করছে। হাসি


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

অরুণ চেৌধুরি এর ছবি

আপনি আমার মন্তব্যে একটু ভুল বুঝেছেন।
আপনার 'শুভ্র গেছে বনে'র রিভিউ নিয়ে আমি সোচ্চার নই। উপন্যাসটি আপনার না ভালো লাগতেই পারে।
কিন্তু আপানার লেখার োপর কোনো- কোনো পাঠকের মন্তব্য নিয়েই মুলত আমার োই বিশেষ প্রতিক্রিয়া।
এটা আমার বিশ্বাস, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করাটাই বাঙালির জাতিগত বৈশিষ্ট্য। বুঝে না-বুঝে অন্য কাউকে স্যাটায়ার করার মধ্যেই আমাদের যতো আনন্দ।
যা কিছু প্রবল জনপ্রিয় তা-ই আমাদের মতো মেকি ইনটেলেকচুয়েলদের কাছে অচ্ছুত।
শরতচন্দ্র, জীবনানন্দ উনারা জীবদ্দশায় ছিলেন সমালোচিত, অনালোচিত। তাদের অপরাধ ছিলো, তারা ছিলেন প্রবল পাঠকপ্রিয় । তাই চার্লস ডিকেন্স, স্টেইনব্যাক জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেই লিখে গেছেন নন স্টপ একের পর এক লেখা। শুডো- ইনটেলেকচুয়েলদের তোয়াক্কা করেননি।

আবারো বলি, আমার মন্তব্য, পুরোপুরি আমার নিজস্ব প্রতিক্রিয়া। কারো মূল্যায়নকে উড়িয়ে দেয়া আমার কর্তব্য নয়। উপলখ্খো নয়। ধন্যবাদ।

স্পর্শ এর ছবি

আপনার ভিন্নমত স্বাগত জানাচ্ছি।

হুমায়ুন আহমেদের একমাত্র যে বইটা আমি শুরু করেও পুরোটা পড়তে পারিনি সেটা হলো 'রূমালী'। শুরুথেকেই মেকি লাগছিলো রীতিমত।

এমনিতে হুমায়ুন আহমেদ পড়ি। মানে হাতের কাছে পেলে ছাড়িনা আরকি। একসময় খুবই ভালো লাগতো। এখন হয়তো নিজের ভালো লাগার ব্যপ্তিই বেড়েছে অথবা কমেছে। আর হুমায়ুন আহমেদও তেমন ইন্টারেস্টিং বই লিখতে পারছে না আগের মত। তারপরো দুয়েকটা ভালো লেখা সে লেখে। সেগুলো ভালোই লাগে। অবশ্য তার রাজনৈতিক মতাদর্শ(ব্লগ-পত্রিকা থেকে যা জানি) নিয়ে বেশ বিরক্ত।

পাঠক হিসেবে আমার বিবর্তন হয়েছে। আমারই দায়িত্ব অন্য লেখক খুঁজে নেওয়া। তাই আমি বেড়েছি বলে হুমায়ুন আহমেদকেও সেই সঙ্গে বাড়তে হবে তেমন দাবি করি না।

আর এই পোস্টে যে পাঠকদের মতামত এসেছে তারা 'অভিজ্ঞ পাঠক' এবং অনেকেই হয়তো একটা সময় আগ্রহনিয়েই হুমায়ুন পাঠ করতেন। আমাদের পাঠক ফিডব্যাক নেওয়ার জন্য নবীন পাঠকদের কাছ থেকে মতামত নিতে হবে।

আমরা যারা সাহিত্যপাঠের শুরুতে এক সময় হুমায়ুন আহমেদের বইগুলো প্রচন্ড ভালোলাগা নিয়ে পড়তাম তেমনই এ যুগের নতুন পাঠকরাও সেই একই আগ্রহ দেখাচ্ছে কিনা? যদি একই আগ্রহ দেখায় তাহলে আমি মনে করি ঠিকই আছে। সে ক্ষেত্রে হুমায়ুন আহমেদকে গালি দেওয়ার মানে হয় না। তাদেরকে তাদের মতই বাড়তে দেওয়া উচিৎ। আর তা যদি না হয় তাহলে বুঝতে হবে হুমায়ুন আহমেদের ধার কমেছে। তাতেও তাকে গালি দেওয়ার মানে হয় না। কারণ গালি না দিয়ে বরং গান্ধীর সেই 'Be the change you want to see in the world.' নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে নিজেই কিছু করে ফেলার চেষ্টা করা উচিৎ।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তিথীডোর এর ছবি

হুমায়ূন আহমেদের নুতন বইগুলো না কিনে সে পয়সায় আইসক্রিম খাওয়া ভালো! দেঁতো হাসি
যদিও হাতের নাগালে এলে পড়ার লোভ সামলাতে পারিনা...

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

বেশী আইস্ক্রিম খেলে ডায়াবেটিস্‌ হবে যে তিথী আপু। খাইছে

তিথিডোর আমার খুব ভালো লাগা একটা বই।


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

মেয়ে [অতিথি] এর ছবি

হুমা পড়া বাদ দিয়েছি। ভাবলাম যে টুকু ভালো লাগা আছে সেটুকু আর নষ্ট না হোক।

অতিথি লেখক এর ছবি

এটা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য নয়,এক ধরনের আফসোস।হারিয়ে যাবার বেদনা।রুমালী বই টি পড়ে এই আফসোস আমার মধ্যে আসে।কারন এর আগে আমি হুমায়ুন আহমেদ এর লেখার মধ্যে নিজের চিন্তার মিল খুজে পেতাম।জনম জনম,আকাশ জোড়া মেঘ,অন্ধকারের গান,শ্রাবনমেঘের দিন,ময়ুরাক্ষী,দেবী,নিষাদ,আয়নাঘর,দিনের শেষে,পাখি আমার একলা পাখি,অনন্ত নক্ষত্রবিথী,তারা তিন জন,তোমাদের জন্য ভালবাসা,আগুনের পরশমনি____এই ধরনের বই লেখার আর কেউ রইল না।

মিনা আহমেদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।