বাংলাদেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থেকে লেখাপড়ার করতে চাইলে বেশ কিছু ঝামেলা নিয়মিত হারে সহ্য করতে হয় । তার মধ্যে একটা হল হুজুরদের অত্যাচার । একদল ছাত্র কে জানে কিসের প্রভাবে ছাত্রজীবনের মাঝামাঝি এসে হুজুরে পরিনত হয় । নিজেরা হুজুর হয়ে তাদের শান্তি হয়না, অন্যদেরকেও এই লাইনে আনতে চেষ্টা করতে থাকে । প্রত্যেক সোমবার আসরের আযানের কিছুক্ষন পরে আমাদের হলের প্রত্যেক তলায় দুই তিন জন করে হুজুরেরা আসে । যেসব ছাত্রের এসময় ক্লাস থাকেনা তারা সাধারনত এসময় ঘুমায়, খেলে, ল্যাব রিপোর্ট লিখে, আর নাহয় নির্দোষ আড্ডা মারে ঘরে অথবা বারান্দায় বসে । এরকম সময় দ্বীনের আলাপ করতে কার ভালো লাগে বলেন । হলে থাকার সুবাদে আমি বেশ কয়েকবার হুজুরদের পাল্লায় পড়েছি । এর মধ্যে কয়েকবার এড়িয়ে যেতে পেরেছি, কয়েকবার পারিনি । তো নিজের এবং বন্ধুদের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষন করে হুজুরদের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার কয়েকটি উপায় আমি বের করেছি । এখানে দিলাম, আশা করি ভবিষ্যতে কারো কাজে লাগবে ।
১) হুজুরেরা সাধারনত করিডোরের এক প্রান্তের ঘর থেকে দ্বীনের দাওয়াত শুরু করে । ঐদিকের ঘরগুলো বা তার আশেপাশের ঘরে যারা থাকেন, তারা সাধারনত হুজুরদেরকে আসতে দেখলে ঘরে তালা দিয়ে পালায় । এদেরকে দলে দলে পালাতে দেখলে আপনিও পালান !
২) হুজুরেরা সব ঘরে যায় না । যেসব ঘরে হেদায়েতের অযোগ্য পোলাপান থাকে তাদেরকে হুজুরেরা এডিয়ে চলে । কাজেই সেরকম সুনাম অর্জনের চেষ্টা করুন । এক্ষেত্রে আপনার হলের বিশিষ্ট খাইষ্টা পোলাপানের পরামর্শ নিতে পারেন ।
৩) যেসব ঘরে গেলে অজু বা গোসল ফরয হবার সম্ভাবনা থাকে সেসব ঘরেও হুজুরেরা যায় না । পারলে লাস্যময়ী কোন ইংরেজি ছবির নায়িকার স্বল্প বসনা পোস্টার নিউমার্কেট থেকে সংগ্রহ করে ঘরের দেয়ালে টাঙ্গিয়ে রাখুন । হুজুরদেরকে দূরে রাখার পাশাপাশি বন্ধু মহলে শিল্প বোদ্ধা হিসেবে সুনাম হবে ।
৪) লাস্যময়ী নারীর পোস্টারে আপনার আপত্তি থাকলে আরেকটা কাজ করতে পারেন । বইমেলায় মুক্তিযুদ্ধের পোস্টার এবং চে গুয়েভারা, ডক্টর হুমায়ুন আজাদ প্রমুখের পোস্টার পাওয়া যায় । এগুলো ঘরে টাঙ্গিয়ে রাখতে পারেন । হুজুর তাড়ানোর ক্ষেত্রে সমান কার্যকরী, তবে এক্ষেত্রে বিপ্লবী/বিদ্রোহী হিসেবে পরিচিতি লাভ করবেন । আমার এক বন্ধু ডক্টর হুমায়ুন আজাদের কবিতা ও ছবি সম্বলিত এক পোস্টার টাঙ্গিয়েছিল, কবিতাটি ছিল 'সব কিছু নষ্টদের হাতে চলে যাবে' । যারা পড়েননি পড়ে ফেলেন, তাহলেই বুঝবেন হুজুরেরা কেন এই জিনিস দেখলে পালায় ।
এতক্ষন যেসব বুদ্ধি দিলাম এগুলো ছিল "হুজুর আসিবার পূর্বেই তাহাকে দূর করিবার উপায়" ।
কিন্তু একবার যদি ঘরে ঢুকেই পড়ে তাহলে কি কি করা যেতে পারে দেখা যাক ।
৫) আপনার বিছানায় মটকা মেরে পড়ে থাকুন গভীর ঘুমের ভান করে । অনেকটা দুই বন্ধু আর ভাল্লুকের গল্পের মত মৃতের অভিনয় করা আর কি । ঘুমন্ত লোককে ডেকে দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার কথা এখনো শোনা যায়নি । কাজেই এই বুদ্ধিটার উপর ভরসা করা যেতে পারে । আমি নিজেই একবার রক্ষা পেয়েছি এভাবে ভাল্লুকের হাত থেকে ।
৬) যদি আপনি ঘুমের অভিনয়ে খুব একটা ভাল না হোন, তাহলে হুজুরকে দেখা মাত্র ফুল ভলিউমে মারদাঙ্গা গান-বাজনা চালিয়ে দিন আপনার কম্পিউটারে । তারপর হুজুর যাই বলুক, ভাব করবেন শুনতে পাচ্ছেন না ।
৭) ভীষন ব্যস্ত, জরূরী কাজ আছে, এখনি বাইরে যাব - এই ধরনের ভান করতে পারেন । আসলে ভান করলেই হবে না । সত্যি সত্যি ঘর থেকে বের হয়ে তালা মেরে দিয়ে চলে যেতে হবে । বাইরে কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করে, নীলক্ষেতে ভাজা-পোড়া খেয়ে ফিরে আসুন সন্ধ্যায় ।
৮ ) যদি হুজুরের দলে আপনার চেনা কেউ না থাকে, এবং আপনি নিশ্চিত থাকেন যে এরা ঘরে আসার আগে আপনার ব্যাপারে খোঁজ খবর করে আসেনি তাহলে একটা ঝুঁকি নিতে পারেন । আপনি মুসলমান হলেও, নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিন । হিন্দু হতে না চাইলে বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান, ইহুদী, মং, মারমা, রেড-ইন্ডিয়ান, এস্কিমো যা ইচ্ছা তাই বলেন । কিন্তু ভুলেও বলবেন না আপনি মুসলমান কিংবা নাস্তিক । মুসলমান বললে আপনাকে হেদায়েত করার চেষ্টা করবে, আর নাস্তিক বললে ইসলামের পথে আনার চেষ্টা করবে । মহা জ্বালাতন !
ধরা যাক হুজুর ঘরে ঢুকে পড়েছে, বাগে পেয়ে আপনাকে দ্বীনের কথা বলাও শুরু করে দিয়েছে । তাহলেও ঘাবড়াবার কিছু নেই । এখনো আশা আছে । এই অবস্থায় কি কি করা যেতে পারে দেখি । তবে এই অবস্থায় খেলা একটু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায় । সেরকম বুকের পাটা না থাকলে এই পর্যায়ে চুপচাপ বসে কিছু ওয়াজ-নসীহত শোনাই ভাল । আর যাদের বুকের পাটা আছে তারা সংগ্রাম করতে থাকেন । বিজয় একদিন আসবেই ।
৯) এটা আমার চেনা এক বড় ভাইকে করতে দেখেছি । হুজুর যখন বলবে, "আসুন দ্বিনের আলাপ করি", আপনি জবাবে বলবেন, "দ্বীনের আলাপ তো অনেক হল, চলেন রাতের আলাপ করা যাক" । তবে এটা সবাইকে দিয়ে হয় না । চোখ মুখে সেরকম 'ভাব' তুলে, গলায় সেইরকম মাদকতা ঢেলে তারপর বলতে হবে । তবে একবার ঠিকমত বলতে পারলে নিশ্চিত আপনাকে আর জ্বালাবে না ।
১০) এটাও এক বড় ভাইয়কে করতে দেখেছি । হুজুরেরা দীর্ঘক্ষন বা বেশ কয়েকদফা কারো সাথে আলাপের সুযোগ পেলে এক পর্যায়ে হুর পরীদের বর্ননা শুরু করবেই । হুরদের বর্ননা শুরু করার কিছুক্ষন পর যখন হুজুর হুরদের বিশেষ দৈহীক বৈশিষ্ট্য গুলো নিয়ে আলোচনা করতে থাকবে, তখন বারে বারে ঘুরে ফিরে আপনার এবং হুজুরের দু'জনেরই চেনা কারো সাথে সেগুলা মিলিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন । যেমন ধরা যাক হুজুর বলল, "হুরদের গায়ের রঙ ফর্সা" আপনি বলবেন, "আমাদের ক্লাসের মিনার মত ?" অবশ্য হুরদেরকে নিয়ে আলাপ করার সময় হুজুরেরা গায়ের রঙের মত নির্দোষ প্রসঙ্গে থামেনা । উওরোত্তর গভীরে আপত্তিকর প্রসঙ্গে যেতে থাকে । এমনিতেই ব্যপারগুলো আপত্তিকর হয়, আপনি একটু সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিতে পারলে বারুদের বস্তায় আগুন দেয়ার মত প্রভাব পড়বে । তবে একবার এই কাজ করে হুজুরের ওজু বা গোসল ফরয করিয়ে দিতে পারলে আপনাকে মোটামুটি ভয়ই পাবে, সহজে কাছে আসবে না । আর যদি আসে তাহলে নিশ্চিত থাকবেন এই লোক আর সব হুজুরের থেকেও এক ডিগ্রী বড় বিকৃতরূচির অধিকারী ।
১১) প্রথমে আলাপ চালানোর ভান করে হুজুরের কাছ থেকে খোঁজ খবর নিন সে কবে থেকে তাবলীগে আছে, কোথায় কোথায় চিল্লা দিতে গিয়েছে । ধরা যাক আপনার হুজুর বলল আমি কলেজ থেকেই তাবলীগ করি । ঢাকা, টঙ্গী আর জামালপুরে চিল্লা দিয়েছি । তারপর মওকা বুঝে খুব সিরিয়াস ভাবে বলবেন, "আমি স্কুল থেকে তাবলীগ করতাম । আমাদের বাড়ি রংপুর । আমি রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ইত্যাদি অঞ্চলে দাওয়াতী কাজে অংশ নিয়েছি সেসময় । তারপর লেখাপড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর ব্যাস্ত হয়ে পড়েছি, সময় পাই না । " হুজুর জানবে আপনি তার থেকে সিনিয়র এই লাইনে, তাই আর আপনার সাথে বেয়াদবী করবে না, মানে জ্ঞান দিতে আসবে না । আর যেহেতু আপনাদের দুইজনের এলাকা ভিন্ন তাই চাইলেও পরখ করে দেখতে পারবে না আপনি দাওয়াতী কাজে আদৌ কোন কালে গিয়েছেন কিনা । এইটা আমার নিজের আবিষ্কার, একটা পরীক্ষিত বুদ্ধি, আমি নিজে এই বুদ্ধি ব্যবহার করে ব্যাপক সুফল পেয়েছি । তবে একটা কুফল আছে । হুজুর আপনাকে তার দলের ভিতরের লোক মনে করে গোপন সভা এবং আরো বড় হুজুরের কাছে নিয়ে যেতে চাইতে পারে । যেমন আমাকে অনুরোধ করা হয়েছে প্রতি সপ্তাহের একটি বিশেষ দিনে বিশেষ
স্থানে তাদের আলোচনা সভায় যোগ দিতে । এই অত্যাচারের হাত থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছি । এটার হাত থেকে বাঁচার একটা বুদ্ধি বের করতে হবে ।
কারো কাছে আরো কোন বুদ্ধি থাকলে আওয়াজ দিয়েন । এখন পরীক্ষার কারনে হুজুরেরা বেশি জ্বালাচ্ছে না । কিছুদিন পর আবার জ্বালাতন শুরু হবে । নতুন কিছু বুদ্ধি নিয়ে প্রস্তুত থাকতে পারলে খারাপ হয় না ।
মন্তব্য
হুজুর দেখলে আমার এক বন্ধু প্যান্ট পালটে আন্ডারওয়ার টাইপ শর্টস পরে আউল্লার বারান্দায় হাঁটাহাঁটি শুরু করে দিত। দূর থেকে এই দৃশ্য দেখে টহল পার্টি আর ঐ কোণায় আসত না। এটা ট্রাই করে দেখতে পারেন। কামিয়াব হবেন ইনশাল্লাহ
= = = = = = = = = = =
তখন কি শুধু পৃথিবীতে ছিল রং,
নাকি ছিল তারা আমাদেরও চেতনায়;
সে হৃদয় আজ রিক্ত হয়েছে যেই,
পৃথিবীতে দেখ কোনখানে রং নেই।
ভাল বুদ্ধি
শর্টসের রঙ কেমন হবে ? সাদা , কাল ইত্যাদি সাধারন রঙ হলে চলবে ? নাকি সেই রকম চক্রাবক্রা রঙ লাগবে ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এক হুজুর রুমে এসে একদিন জানালো যে, আমাদের রুমে কেউ দাওয়াত দিতেও আসতে চায় না। আমরা এতোটাই উচ্ছন্নে গেছি।
লেখা সম্পর্কে কিছু বললাম না। অভিদার ব্লগে কমেন্ট করে আশে পাশের মানুষের কাছে অনেক গাইল খাইছি, আর না।
---------------------------------
হুমম বুঝেছি... হেদায়েতের অযোগ্য কেস । ভালই সুনাম হয়েছে দেখা যাচ্ছে
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
তোফা হয়েছে এনকিদু।
আমার কাছে এক্সট্রিম পর্যায়ের ২টা আছে। একটা হচ্ছে হুজুর খেদানোর জন্যই বুদ্ধি, আরেকটা প্ল্যান করে হয়নি, কিন্তু হয়ে গিয়েছিল।
মন্তব্যগুলি অত্যন্ত রেটিংপ্রাপ্ত, জানি না, মন্তব্যে কিভাবে বয়সের ট্যাগ লাগানো যায়। কাজেই শিশু এবং শিশুসুলভ কেউ থাকলে, দূরে যান।
প্রথম বুদ্ধিটা বিদেশে প্রয়োগ করা হয়েছিল, আমার এক ভাই এর কাছ থেকে শোনা। অস্ট্রেলিয়াতে তাবলীগের উৎপাত ভীষণ বেড়েছে সে সময়। এক ভয়াবহ বাঁদর প্রজাতির বড় ভাই, বাঁচার জন্য এক অভিনব বুদ্ধি বের করলেন।
দুপুর বেলা দরজাতে নক। ওই ভাইয়া এবং তার বন্ধু রুমে ছিলেন, তারা জলদগম্ভীর স্বরে ডাক দিলেন, আসুন ভেতরে। কয়েকজন হুজুর রুমে ঢুকেই নাউজুবিল্লাহ বলে দৌড়ে পালিয়ে গেলেন।
ঘটনা কি ? বিশেষ কিছুই না, ওই ভাই এবং তার বন্ধু মিলে সম্পূর্ণ দিগম্বর হয়ে রুমে বসেছিল। আশা করা যায়, সাহস করে আপনি এ রাস্তায় আসলে দ্বীনের রাস্তায় আসার আহবান আর পাবেন না।
অপর ঘটনাটা ঠিক প্ল্যান করে না, হয়ে গিয়েছিলো আর কি। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার এক বন্ধু ব্লগে বর্নিত এমন এক অলস দুপুরে নিজের ফাঁকা রুমে ( কারন রুমমেটরা সব ক্লাসে ) বসে নীল চলচ্চিত্র দেখছিলো এবং যুক্তিসঙ্গতভাবেই বেশ কর্মমুখর সময় পার করছিলো। এমন সময় হুজুর দলের আগমন এবং পূর্বের কাহিনীর মত নাউজুবিল্লাহ বলে উলটা দিকে হাঁটা।
পদ্ধতি দুটোই বেশ ঝুঁকিপূর্ণ, তবে সাফল্য শতভাগ।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হুজুর পালাবে, সেই সাথে সুনামও বাড়বে । এক ঢিলে দুই পাখি । তবে সুনাম বাড়বে অনেক অনেক বেশি । প্রথম পাখিটা কবুতর হলে দ্বীতিয় পাখিটা সারস পাখি হবে
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
বাংলাদেশে হুজুর খেদানোর ক্ষেত্রে পাইওনিয়ার কবি রফিক আজাদ
তবলিগ পাট্টির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে নাকি তিনি একদিন সকাল বেরা দরজা খুলেই ঘরে শুয়েছিলেন
যখন দরজায় তারা নক করল। তিনি বললেন- দরজা খোলা আছে আসেন
তারা ঢুকেই দেখে বিছানার উপর একেবারে দাদা আদমের পোশাকে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে আল্লার বান্দা...
তারপর পৃথিবীর এই প্রথম মানবকে আর হেদায়েত করার চিন্তাও করেনি তারা
পাইওনিয়ার পাইওনিয়ারের মত কাজই করেছেন । একেবারে বাবা আদমের স্টাইলে
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
তবে এই পদ্ধতি আমি ব্যবহার করতে পারব না । আমাদের হুজুর ব্যাটা যদি আমার রূপ মাধূর্যে মূগ্ধ হয়ে না পালিয়ে উল্টা আমার উপড় ঝাঁপিয়ে পড়ে তাহলে তো আবার সমস্যা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমার পাশের রুমে একজন ছিল তার নাম মাসুদ খান। আমার ব্যাচেরই। সে ছিল এই হুজুর পার্টির আমাগো হলের নেতা। প্রায়ই আমাগো জ্ঞান দিতে আসত। আমি আমার রুমমেট মিলে ঠিক করলাম এর একটা বিহিত করতেই হবে। সিদ্ধান্ত অনুসারে , তার বিছানার নিচেই চটি লুকিয়ে রাখা হল- সুযোগ বুঝে।
কিছুদিন পরেই, হুজুর পার্টি আমাদের রুমে আসল। সাথে সাথেই আমার রুমমেট বলে, মাসুদ মিয়া সারারাত আমার থেকে চটি ধার করে পড় এর দিনে আমাগো দ্বিনের দাওয়াত দিতে আইসো??
এরপরে আমাগো রুমে মাসুদ আর দল নিয়ে আসে নাই, দল ছাড়া একা একা আসত। আর মাঝে মাঝে কইত, তোরা এমন একটা কাজ করতে পারলি??
হা হা হা!! ফাটাফাটি !!
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ
খুব মজা পাইলাম।আমিও ট্রাই করে দেখব ভাবছি।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও হুজুরের উৎপাত আছে।খুব বেশিনা তবে তাও আছে।এনকিদু ভাই দেখি আধা সচল হয়ে গেছেন।তার জন্যে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।লিখতে থাকুন।পুরো সচল হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।শুভকামনা রইল।
~~~টক্স~~~
অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হা হা হা । মজা পাইলাম।
হাসতে হাসতে কাহিল
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আমার মনে হয় হুজুরদের হাত থেকে না পালিয়ে তাঁদেরও উল্টা অধর্মের পথে দাওয়াত দেয়া উচিত। এতে করে ধর্ম-অধর্মের সংঘাত স্পষ্ট হবে। সঙ্গমঘন সিনেমা দেখা, মেয়েদের সাথে নিরিবিলি সময় কাটানো, পাতলা পুস্তক পাঠ, মৃদু মদ্যপান, অর্থের উপস্থিতিতে তাস খেলা, ইত্যাদি নানা অনর্থের মহিমা ব্যাখ্যা করে বোঝানো যেতে পারে। এই বিতর্কের পর যদি হুজুরদের সংখ্যা বাড়ে, তাহলে বুঝতে হবে পৃথিবীতে ধর্মের জয় হচ্ছে। হুজুরদের সংখ্যা কমলে বুঝতে হবে অধর্মই এখন শক্তিশালী।
হাঁটুপানির জলদস্যু
(বিপ্লব)
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হিমু ভাইর মন্তব্যে বিপ্লব।
হুজুরদেরকে লাইনে আনা দরকার।
আমি বুয়েটে থাকতে পার পাইসি, ছাত্রফ্রন্টের ভাইদের সাথে একরুমে থাকতাম বইলা।
আউল্লা২৩৪ এড়ায় যাইতো।
২৩৩ এর পরে একবারে ২৩৮/২৩৯। ফ্রন্ট, ইউনিয়ন, কিছু আদিবাসি ভাইয়ের কল্যাণে মাঝের রুমগুলান সব বাদ।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
হিমুর এই কথাটাকে কিন্তু মজা হিসেবে দেখবেন না। আমার স্বামী এটা এখানে নেদারল্যান্ডসে করে প্রভুত উপকার পেয়েছেন। যারা ইউরোপে থাকেন তারা ইয়াহোবা শ্রেনীর অত্যাচার সম্পর্কে আশাকরি কম বেশী জানেন। তারা বাড়িতে আসেন তাদের বই পত্তর শুদ্ধু ধর্ম জ্ঞান খাইয়ে দেয়ার জন্য, এখন অবশ্য আমরা এই অতি ্ আচার থেকে মুক্ত।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এটাই ভাল বলেছেন ...
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আমার বন্ধু বাবুল রুমের মধ্যে বড় করে হরিবল লিখে রেখেছিলো এবং তাতে কাজ হয়েছিলো।
একবার হলে থাকতে আমি পড়েছিলাম বিদেশি (সম্ভবত মালএশিয়ান) হুজুরদের পাল্লায়, তখন আমি নিজের নাম বলেছিলাম- রোজারিও মামুন ডি কস্তা। তাতেও কাজ হয়েছিলো।
তবে ভাই আমি হলের হুজুরদের নুন খেয়েছি তো তাই নেমক হারামি করতে পারবো নাম, একবার যদি আপনারা উনাদের হাতের রান্না বিরানি খাইতেন তাইলে এসব বেশরিয়াতি কথা কইতে পারতেন না। আমি খেয়েছি দারুন মজা।
নিশ্চয় কিছু সময় লাগাইলে বহুত ফায়দা হবে।
আমিও খাইসি।
সেইরকম রান্না! বেহেশতী ব্যাপার-স্যাপার।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
ভাল কথা মনে করিয়েছেন । হুজুরেরা খাওয়ার ব্যপারে খুব উদার আর উঁচুদরের রুচি তাদের । একবার আমাদের হলে কানাডা থেকে তাবলীগের লোক আসল । আমার ব্যাচের এক হুজুর এসে আমাকে বলে আগামীকাল বিকালে কানাডার হুজুরেরা বক্তব্য রাখবেন হলের মসজিদে, আমি যেন উপস্থিত থাকি ।
পরেরদিন আমি কৌতূহল বশতঃ গেলাম, কানাডার হুজুর দেখতে কেমন আমার জানার বড় শখ ছিল । গিয়ে হতাশ হলাম । যেই শালারা এসেছে সব বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান । ইংরেজিতে বড় বড় কথা বলছে । কথার সারমর্ম হল চার বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বা, সেই তুলনায় ১০টা দিন কিছুই না । চল আমরা ১০ দিনের জন্য চিল্লায় যাই । লেখা পড়া ১০ না করলে কিছু হবে না । এসব কথা তো আমাদের এখানের ভাদাইম্মা গুলাও বলে । নতুন কিছু না ।
আমাকে বলা হয়েছিল কানাডিয়ান হুজুর, ভেবেছিলাম শ্বেতাঙ্গ হুজুর হবে, কিন্তু দেখাইলো দেশি হুজুর । তাও আবার নতুন কিছু বলে না, পুরান কথা ইংরেজিতে বলে । আমার সাথে প্রতারনা করা হয়েছে ভেবে বিরক্ত হলাম এবং কোন রকম বিবেক দংশন ছাড়াই বয়ানের শেষে পরিবেশন করা ভাল ভাল কেক, বিস্কুট খেয়ে ফিরে আসলাম ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হ। আমিও খাইছি। নিশ্চয় কিছু সময় লাগাইলে বহুত ফায়দা হবে।
আউল্লায় একবার তাবলীগ থেকে মেস ম্যানেজার হইলো। পোলাপানের নাকি ঐ সময় মনে হইতেছিল প্রতিদিন হোটেলের খানা খাইতেছে। তারপর এমন হাই-ফাই ফিস্টও আর কখনো হয় নাই। তাবলীগদের অনেক রিকোয়েস্ট করা হইছিল পার্মানেন্টলি এই চাকরী নেয়ার জন্য। কিন্তু ওরা এক মাসের বেশী থাকে নাই। পরের মাস থেকে আবার নিম্নমানের খাবার। তাবলীগ যদি শুধু মৌখিক দাওয়াত না দিয়ে, সমাজের জন্য উন্নয়নমূলক কিছু করত, অনেক কিছু করারই সামর্থ এদের ছিল।
= = = = = = = = = = =
তখন কি শুধু পৃথিবীতে ছিল রং,
নাকি ছিল তারা আমাদেরও চেতনায়;
সে হৃদয় আজ রিক্ত হয়েছে যেই,
পৃথিবীতে দেখ কোনখানে রং নেই।
মেস ম্যানেজারের প্রসঙ্গ যখন উঠল তখন একটা কথা বলি । আমার জানা মতে এমন একটাও মেস ম্যানেজার আসে নাই যেই শালা টাকা মারে নাই । আগে বেশিরভাগ মেস ম্যানেজার হইত দল নাইলে লীগের পোলাপান । তারা টাকা মারত কোন সঙ্কোচ ছাড়াই । আর আজকাল যারা হয় তারা টাকা মারে এই বলে যে, জিনিস পত্রের দাম অনেক বেশি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এই কথাটা যখন বলেই ফেলেছি, আরেকটা কথা বলি । এবার ঘূর্নিঝড় সিডরের পর বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করা হল ক্ষতিগ্রস্থ গরীব দুঃখী মানুষদেরকে সাহায্য করার জন্য । কাজটা করল ছাত্রফ্রন্টের ছেলেমেয়েরা, কারন আমদের এদিকে লীগ আর দল পোঁতায় গেছে আজকাল । পরে শুনি তারা নাকি সেই টাকা দিয়ে নিজেরাই খাওয়া দাওয়া করে ঊড়িয়ে দিয়েছে । এইসব ফালতু ছেলেপেলেদেরকে কেন যে দলে নেয় বুঝি না ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
দারুণ লিখেছ!! হা হা হা!!
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
শহীদুল্লাহ হলের পুকুর পাড়ে আমাদের সিনিয়র ভাই রাসেল তার কয়েকজন বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডা দিচ্ছে। একদল হুজুর এসে তাদের ধর্মের দাওয়াত দিতে শুরু করল। হুজুরদের ভেতর একজন রাসেল ভাইয়ের হাত তার দুই হাতের ভেতর ভরে পিষতে লাগল আর মনের জমি চাষ করলে কী লাভ হয় তা বিশদভাবে বয়ান করতে লাগল।
রাসেল ভাই আর থাকতে না পেরে বললেন, "হুজুর! হাত ডইলেন না। সেক্স উঠে যায়।"
কি মাঝি? ডরাইলা?
আমাদের রুমে আরেক ঘটনা ঘটেছিল । একবার হুজুররা এসে দেখে রুমের বড় ভাইয়ের টেবিলে তসলিমা নাসরিনের 'ক' । তখন বলে "আপনে এইসব বই পড়েন!!!" বড় ভাই উল্টা বলে যে পড়বো না কেন? ততক্ষনে আরেক রুমমেট আরেক হুজুরকে স্টিফেন হকিং এর লজিক বুঝানো শুরু করে দিয়েছে । আর আমি? আমি আরেকজনকে বলতেছি, "আচ্ছা এইযে ধর্মের নাম করে বোমাবাজি হচ্ছে, এটা তো আপনেরা সঠিক মনে করেন না, তাইনা? তাহলে তো আপনাদের উচিত এসব নিয়ে কিছু করা" । তো এরপরে দীর্ঘদিন আর আমাদের রুমে আসেনি ।
তারপর এখন তো আমরাই সিনিয়র, হুজুর যারা দাওয়াত দিতে বের হয় সবাই প্রায় আমাদের জুনিয়র । কয়েকদিন আগে পরীক্ষার ৩ দিন আগে ১৯ টা চ্যাপ্টারের মধ্যে মাত্র ৪ নম্বরটা পড়তেছি, মাথা গরম হয়ে আছে, তখন এসে বলে বারান্দায় বের হতে । কি আর করবো, বললাম এখন সময় নাই । আবার বলে ৫ মিনিট । তো এইবার চোখ গরম করে বললাম যে ৫ সেকেন্ডও না । তারপরে আর কিছু বলার সাহস পায়নি :)
আমাদের রুম ছিল এককথায় খাইস্টাদের রুম। মুখে যার যা আসে বলতাম প্রাণ খুলে, নাম দিয়েছিলুম 'মুক্তভাষা'। এই 'মুক্তভাষা' এবং এই ব্লগে বর্ণিত পদ্ধতি মোতাবেক ভালই দিন চলছিল আমাদের। কিন্তু গোল বাধলো যখন অল্প সময়ের ব্যাবধানে আমার বাকি দুই রুমমেট, যারা কিনা অকামে মার্কামারা, সাচ্চা হুযুর হয়ে গেল। এখন আমার সে রুম আমাদের হলের প্রধান তাব্লীগ সেন্টার। সব তার ইচ্ছা......
ঈশ্বর আপনার রুমের মঙ্গল করুক ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
নাহ্... এইখানে দেখি সব খারাপ পোলাপান... আমি নিজেই ভাবতেছি এইখানে দ্বীনের দাওয়াত দিতে শুরু করুম কি না!!!
হা হা হা হা...
নানান বানরামির মধ্য দিয়া S.S.C দিলাম। পরীক্ষার পরে তিনমাসের ছুটির অযুহাতে চিল্লায় পাঠানোর জন্য তোরজোর শুরু হইলো... মসজিদে বাদ মগরিব বসলাম... সায়েম ঘোষণা দিলো তিন চিল্লায় যাইবো... তা দেইখা মোল্লাগো সে কি খুশি (পরে তো সায়েম অবাক... চিল্লা মানে যে চল্লিশ দিন তা সে বোঝে নাই... ভাবছে একদিনেই এক চিল্লা)।
তো আমরা সর্বসম্মতিক্রমে একমত হইলাম যে তিনদিনের তাবলীগে যামু... বিষয়টা কি একবার বুইঝ্যা আসি আর কি।
তার জন্য প্রস্তুতিও চললো দারুণ... গাঁজা নেওয়া হইলো অনেক পোটলা। গিটারও নিতে চাইলাম... কিন্তু সেইটা দৃষ্টিকটু বইলা নেওয়া হইলো না। তো এক বুধবার হাজির হইলাম কাকরাইলে... সেইখান থেকা দোলাইর পাড়। তিনদিন থাকলাম। (তখন আসলে বন্ধু বান্ধব মিইলা ফূর্তি করার জন্য শুধু শবে বরাত আর শবে কদরই ছিলো। আমরা আবিষ্কার করলাম তাবলীগ বিষয়টা বেশ ফূর্তিময় আছে। তিনদিন ব্যাপক ফূর্তি হইলো। তার মধ্যে এক বাড়িতে গিটারিস্ট আবিষ্কার করলাম একজন... (তখন গিটার বাজাইতে পারে যারা তারা ছিলো দেবতাতুল্য)। তার বাড়িতে আস্তানা হইলো বেশ। একদিন অনেক দূরের কনসার্টেও গেলাম একটা। তাতে নমাজও কাজা হইলো।
দিনের আলোতে আমরা এলাকায় খেয়াল রাখতাম কোন কোন বাড়িতে বালিকারা আছে... বাদ আছর আমরা সেইসব বাড়িতেই যাইতাম দ্বীনের দাওয়াত নিয়া।
হু... সচলে দ্বীনের দাওয়াত শুরু করি তাইলে কি কন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দিনের দ্বীনের দাওয়াত তাইলে ভালই ছিল
ব্লগ লিখে / পড়ে তো বেশিরভাগ রাতে । দ্বিনের দাওয়াত দিয়ে এইখানের জনগন কে হেয়াদায়েত করা যাবে বলে মনে হয় না । তার চাইতে বরং আপনিও রাতের পথে শামিল হয়ে যান । চামে আপনারে দিয়ে আমি রাতের দাওয়াত শুরু করি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হুজুররা রাস্তাঘাটে আক্রমণ কিংবা হাত আটক করলে একটা সহজ প্রশ্ন করলেই বেঁচে যাবেন
প্রশ্নটা হলো-
পাদ মারলে ওজু নষ্ট হয়। কিন্তু আবার ওজু করতে হলে গিয়ে ধোয় হাত-পা-মুখ
পাদের জায়গা যেরকম ছিল সেরকমই থাকে
এই নিয়মের ব্যাখ্যা কী?
ভাল জিনিস মনে করিয়েছেন লীলেন ভাই ।
আমার চেনা এক বড় ভাই, প্রায়ই কোন কাজ বা অকাজে নিউমার্কেটে যেতেন । নিউমার্কেটের মসজিদের সামনে দিয়ে নাকি তখন বিকালে তাবলীগের লোকে ঘুরাঘুরি করত । তরুন দেখলেই পাকড়াও করত । এক বার ঐ ভাইয়াকেও ধরেছে । অনেক রকম করে বুঝাচ্ছে যে এখন নামাজে যেতে হবে । ভাইয়াও অনেক ভাবে কাটানর চেষ্টায় আছেন । সহজে যাবে না বুঝতে পেরে শেষে মোক্ষম চাল দিলেন ।
" হুজুর, আমি কিন্তু নাপাক, গোসল ফরয হয়ে আছে সেই সকাল থেকে আর কাপড়েরো খবর ভাল না "
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
(বিপ্লব)
মূল লেখা এবং সেই সাথে কমেন্টগুলি প্রিন্ট করে হলে হলে তাবলীগের রুমগুলিতে একবার দিলে বেশ হয় !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
অতি উত্তম প্রস্তাব । চল পরের সেমিস্টারে এইটা প্রজেক্ট নিই । হুজুরেরা এক এক দিন এক এক হলের এক এক তলায় দ্বীনের দাওয়াতে যায় । আমরাও সেরকম যাব । গ্রাম দেশে স্বাস্থ্যকর্মীরা যেরকম ফার্স্ট-এইড শেখায়, ডায়রিয়া, কলেরা ইত্যাদি রোগ থেকে বাঁচার উপায় শেখায় আমরাও লিফলেট বিলি করে হুজুরদের হাত থেকে বাঁচার উপায় শেখাব । বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে একটা কাজের কাজ করে যাই ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
~প্র্যাক্টিকাল হট টিপঃ
মওদুদীর লেখা এক দুই কেতাব থেকে দু-চার ছত্র গিলে ফেলুন, তারপর হেরা আইলেই তাদেরকে জামাতে ইসলামী করার মহান ফজিলত সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ লেকচার দিয়ে ফেলুন। তবলীগের হেডকোয়ার্টার থেকে হুকুম হইল মওদুদী ফিতনা থিকে দূরে থাকার, তাগোর প্রোস্পেক্টিভ লিস্ট থিকা নাম কাটা যাইব।
নিশ্চুপ
জোস হইছে। হি হি.। তবে তারাও ভালো কাজ করে।।
ফয়সাল
বেশ উপাদেয় লেখা। অপেক্ষায় থাকলাম এরকম আরো লেখার জন্য। সচলায়তনে আগাম স্বাগতম।
ধন্যবাদ
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আবার না লিখে পারলাম না, সচলায়তনের কি একটা পাঠকও নেই যিনি এসব লেখার প্রতিবাদ করবেন? আবারও বলতে হচ্ছে -আসলে সবাই যদি কিছু সময় লাগাইতাম তাইলে এসব কথা কইতে পারতাম না।
এই পোস্টের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ। দেশ ও জাতির ঈমান আক্বিদা নষ্ট করার এই প্রয়াসকে দিক্কার জানাই।
আহ সেই যে আমার কবরে যাবার দিনগুলি
৫ নাম্বারের সাথে তীব্র দ্বিমত, একবার ভুলে দরজা খুলে ঘুমায়ে ধরা খাইছি... (হঠাত ঘুম ভাংলে আমার মাথা শর্ট সার্কিট হয়ে যায়) এই অবস্থায় দেখি একদল আমার বিছানা ঘিরে দাড়ায়ে গেছেন... আধখানা চোখ মেলতে দেখে একজন অতি উতসাহী সেই অবস্থাতেই বয়ান শুরু করলেনঃ "আল্লাহপাক তাঁর রাসুল (সা) এঁর মাধ্যমে আমাদের কাছে কবর পাঠিয়েছেন, আমরা আপনাকে কবর দিতে এসেছি... ব্লা ব্লা ব্লা..." আমি খাইলাম ভয়... দঙ্গলে পাশের রুমের আব্দুল্লাহ ভাইরে দেখে খাইলাম আরও ভয়... ঘুম থেকে ডেকে তুলে আব্দুল্লাহ ভাই ক্যান আমাকে কবর দিতে আসছেন কিছুতেই বুঝলাম না...
...কাঠ হয়ে শোয়া অবস্থায় প্রায় মিনিট দশেক বয়ান শোনার পড়ে বুঝলাম, ভদ্রলোক "ক" ও "খ" আলাদাভাবে উচ্চারণ করতে পারেন না... তারপর "যেন প্রান আসল ধড়ে"
নতুন মন্তব্য করুন