পরীক্ষার ঠেলায় প্রায় এক সপ্তাহ ব্লগ লিখিনা, পড়িও না প্রায় তিন চার দিন । এদিকে কিছু একটা লেখার জন্য হাত সুড়সুড়ি দিচ্ছে, কিন্তু মাথায় কিছু আসছে না । কপাল ভাল আজকে সকালে তিন দিন আগের খবরের কাগজ খুঁজে পেয়েছি একটা । সেখান থেকে কিছু ভাল সংবাদ জানা গেল ।
কাগজে লেখা দেশের খুব নামকরা এক পরিবারের জনৈকা মাননীয়াকে নাকি আমাদের সরকার চিকিৎসার্থে বিদেশ গমনের উপদেশ দিয়েছেন । কিন্তু ভদ্রমহিলা দৃঢ় ভাবে জানিয়েছেন তিনি বিদেশ যাবেননা, তার চিকিৎসা আমাদের দেশের চিকিৎসক বেশ ভাল ভাবেই নাকি করতে পারবেন । এই ব্যপারটা কে কিভাবে দেখছেন আমি জানি না, তবে আমি নিজে এখান থেকে আশাবাদী হওয়ার মত বেশ কিছু ইঙ্গিত পাচ্ছি । যাকে নিয়ে কথা হচ্ছে, তিনি প্রায় দেড় বছর আগেও বিভিন্ন ছোটবড় রোগ-বালাইয়ের হলেই চিকিৎসা করতে বিদেশ যেতেন । যদি ভুল না বুঝে থাকি তবে পৃথিবীর প্রায় তাবৎ উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি এবং চিকিৎসা সেবা সম্পর্কে তার প্রত্যক্ষ্য অভিজ্ঞতা রয়েছে । সেই অর্থে আমরা তাকে একজন বিজ্ঞ চিকিৎসা বোদ্ধা হিসেবে ধরে নিতে পারি । তিনি যখন বলেছেন দেশেই তার চিকিৎসা সম্ভব, তাহলে বুঝতে হবে আমাদের দেশের চিকিৎসা সেবা ও চিকিৎসকদের উপর তিনি অবশেষে ভরসা করতে পেরেছেন । উনার মত বিজ্ঞ চিকিৎসা বোদ্ধার প্রসংশা অর্জন করতে পারা কম কথা না । এহেন বিরল কৃতিত্বের জন্য আমি আমার দেশের চিকিৎসকদের কে অভিনন্দন জানাই ।
পরীক্ষার মাঝখানে লেখা চিকন ব্লগের এখানেই ইতি টানতে হচ্ছে বলে দুঃখিত । তবে মন্তব্য করে ব্লগটা লম্বা করার জন্য আপনারা তো আছেনই । চাইলে লম্বা করেন যত খুশি । ব্লগটা শেষ করি উক্ত পরিবারের জনৈক ভদ্রলোককে কেন্দ্র করে ঘটা একটি সত্যি ঘটনা নিয়ে ।
ভদ্রলোক গিয়েছিলেন চিকিৎসক দলের সামনে নিজের স্বাস্থ্যগত অবস্থা তুলে ধরতে । বন্দী দশায় নাকি তার স্বাস্থ্যের ব্যপক অবনতী ঘটেছে, আশু মুক্তি কাম্য । চিকিৎসক দলে আমার চেনা একজনের লতায় পাতায় কোন এক বড় ভাই ছিলেন - সেই সূত্রে এই খবর । যাই হোক, আলোচ্য ভদ্রলোকের নাকি হৃদযন্ত্রে কোন সমস্যা ছিল । তার কথা মানলে বলতে হবে "রীতিমত যাকে বলে প্রদাহ" । প্রদাহের নমুনা চিকিৎসক মন্ডলীর সামনে তুলে ধরার জন্য বুকের এক পাশে হাত চেপে ধরে জিহ্বা বের করে হাঁপাচ্ছিলেন । এই দেখে একজন চিকিৎসকের মন্তব্য, " হৃদপিন্ড তো এদিকে থাকে, ওদিকে না । "
আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা আসলেই উন্নতির দিকে যাচ্ছে, কি বলেন ?
মন্তব্য
আমাদের দেশের চিকিত্সাব্যবস্থার এমন প্রশংসা শুনেও আপনাকে উত্ফুল্ল মনে হচ্ছে না কেন? :-?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সুস্থ দেহে এরকম উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার কোনরকম সুবিধা ভোগ করার সুযোগ নেই তাই ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
বাহাতীদের মত অনেকের হৃদপিন্ড উলটা দিকে থাকে!! সেই কেস ও হইতে পারে। কিছুই বলা যায় না।
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হুমমম... তাও অসম্ভব না । এদের হৃদয় যে জায়গামত নাই সেটা বুঝার জন্য মনে হয় চিকিৎসাবিদ হওয়া লাগে না ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
পরীক্ষা তো কি হইছে। আমি আমার শেষ সেম ফাইনাল চলাকালীন সময়ে তিন তিনটা পোস্ট দিসিলাম।
বিঃদ্রঃ আমাদের আপনাদের মতো ৫৬ দিনে পরীক্ষা হয় না। ১২ দিনে ৬ টা পরীক্ষা দিসি।
---------------------------------
ছোট ভাই, পরীক্ষার পাশাপাশি একটা পুরোদস্তুর চাকরি আর দুইটা ফ্রি ল্যান্সিং ও করতে হয় । কোন কোন দিন অফিসে টানা ৪৮ ঘন্টা কাজ করার রেকর্ডও আছে, বিশ্বাস না করলে 'কর্মী হাজিরা' দেখাতে পারি । অথবা স্পর্ষকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পার । এগুলা হিসেব করলে ১২ দিনে ১২ টা পরীক্ষাও আরামের জিনিস মনে হতে পারে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
@এনকিদু
আমার মনে হয় ভদ্রমহিলা ডরাইসে। দেশের বাইরে গেলে যদি আর তানিরে দেশে ঢুকতে না দেয়! নেওযাগ সরিসৃপের মতন তো তিনি সৌদি মেহমান হইতে পারবেন না। এহন তো তার পিকু নাই। বুঝলেন না!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আমি বলি আশাবাদী হওয়ার মত ইঙ্গিত পাইলাম , আর আপনি দেখি বুঝে শুনে নিরাশাবাদী টাইপের সত্যি কথা লিখে দিলেন ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
নতুন মন্তব্য করুন