ছেঁড়া দ্বীপে এক পরিবেশকর্মী

এনকিদু এর ছবি
লিখেছেন এনকিদু (তারিখ: বুধ, ১৮/০৬/২০০৮ - ১:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আকাশের থেকেও বেশি নীল সাগরের দিকে আমি হাঁ করে তাকিয়ে রইলাম । এই প্রথম আমার নারিকেল জিঞ্জিরায় আসা । জাহাজ থেকে নেমে জেটি ধরে কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পর বালিয়াড়িতে নেমে পড়ার একটা পথ পাওয়া যায় । সেই পথ ধরে দ্বীপের ভেতরে কিছুদূর ঢুকে তারপর পিছন ফিরে তাকিয়েছি সাগরের দিকে । " দিগন্ত রেখায় সাগর যেখানে আকাশের সাথে মিতালী পাতিয়েছে " - ছোট কালে বাংলা বইতে এধরনের অনেক বর্ননা পড়তাম । সব ফালতু কথা । সাগরটা আকাশের থেকে বেশি নীল । আকাশ তার তুলনায় ফ্যাকাশে । অবশ্য পাঠ্যবইতে ফালতু কথাই বেশি লেখা থাকে ।

বই পড়েই যদি সব শেখা যেত তাহলে আমাদের ক্লাসের প্রথম সারির ছাত্ররা সব বড়লোক বাপদের গরু-ছাগল সদৃশ ছেলেমেয়েদের গৃহশিক্ষক হিসেবে শয়তানের লেজে লাঠি দিয়ে বসে থাকতনা । আর আমার মত অচ্ছুৎ খারাপ ছাত্রের দল তাদের আগে স্বাবলম্বী হয়েও উঠত না । গৃহশিক্ষকতাকে আমি স্বাবলম্বী হওয়ার মত যথেষ্ট বলে মনে করি না । ঐ কাজ করে চলে যায় ঠিকই, কিন্তু চলে যাওয়াটাই সব না । এঘটনা যেসময়ের আমি তখন তৃতীয় বর্ষের প্রকৌশল ছাত্র (খারাপ ছাত্র), একই সাথে একটা পাক্কা প্রকৌশলীয় কাজে কর্মরত । যখন ঐ সব চোথাবাজ* ছাত্রদের সামনে কর্মক্ষেত্রের গল্প করি, যা শিখছি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে কর্মক্ষেত্রে তার প্রয়োগ ঘটে, কিভাবে নিজের হাতে তৈরী এক-একটা খন্ড জোড়া দিয়ে একটা যন্ত্র তৈরী করি অনেক জন মিলে - তখন তারা ফ্যাল-ফ্যাল করে চেয়ে থাকে আর দীর্ঘশ্বাস ফেলে । কেউ কেউ নির্লজ্জের মত তদবির করে তাকেও এরকম একটা কাজ জুটিয়ে দিতে । বোকার দল বোঝে না যে তদবির করে সব কাজ পাওয়া যায়না, যোগ্যতার দাম দুনিয়া থেকে এখনো উঠে যায় নি ।

আমি আর আমার তিন সহকর্মী-সহপাঠী এসেছি নারিকেল জিঞ্জিরায় বেড়াতে । গত প্রায় ছয় মাস ধরে আমরা চার জন কাজ করছি একসাথে । এটাই আমাদের প্রথম চাকরী । এই বেড়াতে আসাটা এক দিকে যেমনআমাদের বেকারত্ব মোচনকে স্নরনীয় করে রাখার প্রয়াস তেমনি অন্য দিকে টানা ছয় মাস কাজ করে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার পর নিজেদেরকে বিশ্রাম দেয়া ।

নারিকেল জিঞ্জিরায় আমাদের দুই দিন থাকার পরিকল্পনা । প্রথম দিন দুপুরে এসে আমরা বিকাল পর্যন্ত হোটেলের আশে পাশেই ঘুরে বেড়ালাম । সৈকত থেকে বেশ কিছু ঝিনুক তুল্লাম আমি । দলের অন্যেরা ক্যামেরা নিয়ে ব্যাস্ত । পরেরদিন আমরা ছেঁড়া দ্বীপ গেলাম । হোটেল থেকে পুরো পথ আমরা হেঁটেই গেলাম । এমনকি জোয়ার থাকা সত্বেও নারিকেল জিঞ্জিরা আর ছেঁড়া দ্বীপের মাঝখানের খাঁড়িটার কিছু অংশ আমরা পার হলাম পায়ে হেঁটে । তারপর জোয়ারের পানি আমাদের কোমরের উপর উঠে পড়ায় আমরা বাধ্য হয়ে একটা নৌকায় উঠলাম ।

ছেঁড়া দ্বীপটা যেন পুরোটাই ঝিনুকের খোলসের তৈরী । শুধু ঝিনুক না, অনেক প্রবালও আছে । নারিকেল জিঞ্জিরার মূল ভূখন্ডে এবং ছেঁড়া দ্বীপের অনেক জায়গায় ব্যানার, পোস্টার, সাইনবোর্ডে পর্যটকদের কে প্রবাল ঝিনুক ইত্যাদি তুলে না নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে । প্রবাল দ্বীপ নারিকেল জিঞ্জিরার প্রবাল প্রাচীর রক্ষার জন্য এসব প্রাকৃতিক উপকরন ভীষন প্রয়োজন । দ্বীপে ঢুকতে হয় যেই জেটি দিয়ে, সেখানে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকেরা দাঁড়িয়ে থেকে এই ব্যাপারে কথা-বার্তাও বলে । কিন্তু কোনটাতেই খুব একটা লাভ হয় বলে মনে হয় না । চারপাশে সবাই প্রবাল, ঝিনুক ইত্যাদি তুলছে ইচ্ছে মত । দ্বীপে পা দেয়ার পর আমি নিজেও এরকম কিছু করব না বলে ঠিক করেছিলাম । কিন্তু একসময় বিস্ময়ের কাছে আমার সংকল্প হার মানে । আমিও ঝিনুক কুড়ানো শুরু করি ।

ছেঁড়া দ্বীপ ঘুরে ফিরে আমি একটা পলেথিনের থলে ভর্তি করে ফেলি আজব আকার আকৃতি আর রঙের অনেক গুলো ঝিনুক আর কয়েক খন্ড প্রবাল দিয়ে । ঘুরতে ঘুরতে একসময় আমরা ক্লান্ত হই, বিশ্রাম করি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিন বিন্দুতে বসে । ততক্ষনে নৌকা করে আসা পর্যটকেরা প্রায় সবাই চলে গেছে মূল দ্বীপে । পুরা ছেঁড়া দ্বীপ নির্জন হয়ে পড়েছে । কিছুক্ষন পর ভাটা আসবে, আমাদের যাওয়ার সময় হয়ে আসছে । আমরাও বিশ্রাম শেষ করে ফেরার পথ ধরি । ছেঁড়া দ্বীপের এক জায়গায় তিন চারটি বেড়ার ঘর তুলে দোকান দেয়া হয়েছে । দেখলাম একটা লম্বা বাঁশের আগায় বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে । কড়া রোদে পতাকার রঙ জ্বলে গেছে । কিন্তু প্রবল সামূদ্রিক বাতাসে উড়ছে পত পত করে । ফেরার পথে আমরা সেদিকে গেলাম ।

দোকান গুলোতে খুব বেশি জিনিস নেই । বার্মা থেকে আনা আচার, চুরূট আর কিছু দেশী বিস্কূট । দোকান থেকে আমি একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছি, আমার বন্ধুরা কেনা কাটা করছে । দোকানের কাছেই বসে থাকা একটা লোক হঠাৎ আমার দিকে এগিয়ে এল । আঞ্চলিক টানে আমাকে বলল ঝিনুক গুলো ফেলে দিতে । আমি পাত্তা না দিয়ে আরেক দিকে তাকিয়ে রইলাম । লোকটা যেখানে বসে ছিল সেখানে গিয়ে বসে পড়ল ।

আমরা দোকানের সামনে আরো কিছুক্ষন হাঁটা-হাঁটি করে চলে যাচ্চিলাম, সেই লোক আবার উঠে এসে বলল ঝিনুক গুলো ফেলে দিতে । এবার তার গলায় খানিকটা দৃঢ়তার আভাস পেলাম । অনেক সাধ্য সাধনা করে কুড়িয়েছি এসব ঝিনুক, বললেই ফেলে দিব নাকি ? কখনই না ।

" কেন ফেলে দিব ? ", জিজ্ঞেস করি আমি ।
এগুলো নিয়ে যাওয়া নিষেধ, ছেঁড়া দ্বীপ থেকে একটাও ঝিনুক নিয়ে আমি যেতে পারবনা, কাজটা বেআইনী, তার জবাব ।
" কিন্তু ঐ দ্বীপেই তো দেখি কত পোলাপান ঝিনুক বিক্রি করে, তারা তো মনে হয় আপনাদেরই লোক ", বলি আমি । " আর এখানে সব ঝিনুক তো ছেঁড়া দ্বীপের না, কিছু আছে ঐ দ্বীপের ।" এটাও যোগ করি ।
এবার লোকটা বেশ দৃঢ় স্বরে যা বলে তাতে আমি কিছুটা অবাক হই । সে বলে যারা ঝিনুক বিক্রি করে তারা মোটেও তাদের লোক না । এদেরকে থামানোই নাকি তার কাজ । আর পর্যটকেরা যেন ইচ্ছে মত এখান থেকে ঝিনুক, প্রবাল ইত্যাদি তুলে নিয়ে গিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করতে না পারে সেদিকেও নাকি সে লক্ষ্য রাখে । এগুলো দেশের সম্পদ, এখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দেশের ক্ষতি করতে দিতে সে পারে না । আর এই ঝিনুক আমি ছেঁড়া দ্বীপ বা মূল নারিকেল জিঞ্জিরার ভূখন্ড যেখান থেকেই তুলি না কেন, যেহেতু তার সামনে পড়েছি, এখানে এগুলো ফেলে রেখে যেতেই হবে । এই কাজের জন্য সরকার পাঁচ হাজার টাকা বেতনে তার মত কয়েকজন কর্মী রেখেছে নারিকেল জিঞ্জিরায় ।

এবার লোকটার পরিচয় আমার কাছে পরিষ্কার হয় । সে একজন পরিবেশকর্মী । পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের অধীনে নারিকেল জিঞ্জিরা সংরক্ষন প্রকল্পে কর্মরত । তার পড়নের বিবর্ন সবুজ শার্টের বুক পকেটে সরকারী ধাঁচের মনোগ্রামের অর্থ এবার বুঝতে পারি । এখানে বিবর্ন জাতীয় পতাকা উড়ানোর কারনটাও বুঝলাম - এই জায়গাটা ছেঁড়া দ্বীপে তাদের ছাউনী । এধরনের সবুজ শার্ট পড়া বেশ কয়েকজন লোক এদিকে আগেও দেখেছি, বেড়াতে আসা লোক জনের ভিড়ের মধ্যে তারা ঘুরে বেড়ায় ।

লোকটার দৃঢ় কন্ঠস্বর আমাকে কিছুটা অভিভূত করে দিয়েছিল । আমার বন্ধুরাও সব যার যার জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে । তাদের উপরেও এই লোক কিছুটা প্রভাব ফেলেছে বুঝতে পারি । কিন্তু এই লোককে তো আমার ভয় পাবার কথা না । মাত্র পাঁচা হাজার টাকা বেতনের সরকারী চাকুরি নিয়ে যেই লোক নারিকেল জিঞ্জিরার মত প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে এতখানি নিষ্ঠা নিয়ে, তাকে ভয় পেলে তার প্রতি অবিচার করা হবে বলে আমার মনে হয় । এই লোকটাতো আর রাক্ষস না । রাক্ষস আছে আমাদের শহর গুলোতে । তারাও সবাই সরকারী চাকরী কর । এই লোকের থেকে অনেক বেশি বেতন পায় । তাতেও তাদের হয়না । তারা আরো চায় । ঘুষ খায়, দূর্ণীতি করে, আমাদের করের টাকা নষ্ট করে । এই লোকটির প্রতি কিছুটা শ্রদ্ধা থাকাই মনে হয় অধিক সঙ্গতিপূর্ণ । আমি আমার ঝিনুকের পোটলাটা তার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলি, "ধরেন, আপনি নিজেই ফেলে দেন ।"

---

* চোথাবাজ : প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমহলে প্রচলিত একটি অবজ্ঞাসূচক শব্দ । অন্যান্য জায়গায় 'নোট' বলতে যা বোঝায়, তাই এখানে চোথা । চোথাবাজ বলতে বোঝান হয় এমন একজন ছাত্র বা ব্যক্তি যে নিজের সৃষ্টিশীলতা বা মেধার চাইতে চোথার উপর নির্ভর করে বেশি ।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

এনকিদু ভাই, ছবি তুলো নাই?


হাঁটুপানির জলদস্যু

এনকিদু এর ছবি

দলে আমি একমাত্র ক্যামেরাহীন লোক ছিলাম, এই জন্যেই তো ঝিনুকের দিকে হাত বাড়াতে হল । ক্যামেরা সাথে থাকলে অন্য তিন জনের মত আমিও ক্যামেরা নিয়েই পড়ে থাকতাম, এই ঘটনা ঘটার সুযোগ পেত না ।

তবে আমার সঙ্গীরা অনেক ছবি তুলেছেন, তাদের অনুমতি সাপেক্ষে কিছু ছবি এখানে দিতে চাচ্ছি, কিন্তু পারছি না । ছবি যোগ করতে চাইলে বলছে "you do not have sufficient workflow." শুধু ছবি গুলো দিয়েই আরেকটা ব্লগ দিব কিনা ভাবছি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

পুতুল এর ছবি

"এই লোকটির প্রতি কিছুটা শ্রদ্ধা থাকাই মনে হয় অধিক সঙ্গতিপূর্ণ ।"
খুব ভাল লাগল আপনার অনুভূতি।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

এনকিদু এর ছবি

ধন্যবাদ ।

শৈশবে চট্টগ্রামে ছিলাম কিছুদিন, সেই সূত্রে বৃহত্তর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বললে অনেকটা বুঝতে পারি । কিন্তু বলতে পারি না । তাই লিখতেও পারলাম না । ঐ লোকের কথাগুলো তার মত করে লিখতে পারলে মনে হয় আরো ভাল ভাবে ঘটনাটা ফুটিয়ে তুলতে পারতাম ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

শ্রদ্ধাকারী নি:সন্দেহে শ্রদ্ধাভাজন।
বর্ণনায় কিছু ছবি যোগ করলে ওই দ্বীপে না যাইতে পারার দু:খটা ভুলতে চেষ্টা করতে পারতাম।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

এনকিদু এর ছবি

ছবি আছে অনেক গুলো, সব আমার বন্ধুদের তোলা । তাদের অনুমতিও আছে, কিন্তু কোন কারনে যুক্ত করতে পারছি না । শুধু ছবি গুলো দিয়েই একটা পোস্ট দিব ভাবছি, কিন্তু মূল পোস্টের সাথে একটু দূরত্ব তৈরী হয়ে যাবে সেক্ষেত্রে । সমস্যাটা সমাধানের চেষ্টা করছি, দেখা যাক কি করতে পারি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি হইলে অনটেস্ট কিছু টাকা সাধতাম... ঝিনুক নিয়ে আসার জন্য না... স্রেফ লোকটারে একটু টোকা দিয়া দেখতাম বাজে কি না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এনকিদু এর ছবি

দুষ্টুমি বুদ্ধি হিসেবে খারাপ না । কিন্তু দুষ্টুমি বুদ্ধি মাথায় খেলার মত অবস্থা তখন আমার ছিল না । দ্রোহী ভাইয়ের একটা "ডাকাইত" এর ছবি আছে দেখেছেন না, ঐ যে বিরাট গোঁফ আর বন্দুক কাঁধে খালিগায়ে ভুড়িওয়ালা ডাকাইত । দ্রোহী ভাইয়ের ছবির লোকটা সামনে দাঁড়ালে ভয় লাগবে এটা নিশ্চিত । কিন্তু একদম সাধারন চেহারার একটা লোক, গায়ে ছেঁড়া মলিন শার্ট আর লুঙ্গী, আপনাকে যদি শুধু কঠিন স্বরে কথা বলে ভয় ধরিয়ে দিতে পারে তাহলে বুঝতে হবে তার মধ্যে কিছু একটা আছে যা গোঁফ আর বন্দুক সম্বলিত ডাকাইতের মধ্যেও মনে হয় নেই ।

মাঝে মাঝে ভাবি, এই লোকটাকে নিয়ে যদি আমাদের দূর্নীতিবাজ কোন মন্ত্রীস সামনে ছেড়ে দেয়া যায় তাহলে দৃশ্যটা কেমন হবে ?

ধরেন মন্ত্রী মহোদয় তার অফিসে বসে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়ের ফাইলে সই করার উপক্রম করেছেন । যেখানে একটা সই করেই তিনি হয়তো নাইকোর উপহারের গাড়ি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলবেন, দেশ গোল্লায় যায় যাক । এমন সময় আমাদের পরিবেশকর্মী হাজির ।

" আপনি সই করতে পারবেন না ", সোজা সাপ্টা কথা পরিবেশকর্মীর । " কেন ? " মন্ত্রী তাচ্ছিল্ল ভরে ছোটলোকটার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে । " অমুক গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস দেশের সম্পদ । আপনি এভাবে তা বিদেশীদের হাতে তুলে দিতে পারেন না ।" বলে পরিবেশকর্মী ।

" কেরে তুই ? " , গলায় বিরক্তি নিয়ে প্রশ্ন করে মন্ত্রী ।

" আমি বাংলাদেশের একজন সরকারী কর্মচারী । সরকার আমাকে পাঁচ হাজারটাকা বেতনে নিযুক্ত করেছে এসব সম্পদ রক্ষা করার জন্য । আপনি একবার আমার সামনে পড়েছেন যখন এই জিনিস আপনি বিদেশীদের হাতে এভাবে তুলে দিতে পারবেন না । সই না করেই এই ফাইল এখান থেকে ছাড়তে হবে । "

এই লোকটা কে বের করে দেয়া দরকার । মন্ত্রী মহোদয় সাহায্যের জন্য কাউকে ডাকতে চান, কিন্তু আবিষ্কার করলেন গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না । আশে পাশে তাকিয়ে মোবাইল ফোনটাও দেখতে পান না । লোকটার দিকে আরেকবার তাকিয়ে দেখেন সে আগের মতই দৃঢ় ভঙ্গীতে দাঁড়িয়ে আছে । তার চোখে মুখে দৃঢ়তা যেন আরো বেশি প্রকাশিত । মন্ত্রী মহোদয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিস কক্ষেও ঘেমে উঠতে থাকেন । ...

বাকিটা আপনি লেখেন, আপনি তো নাট্যকার । আপনি ভাল পারবেন, আমি শুধু একটা কঙ্কাল দিলাম । আপনি চাইলে গল্পে রক্ত মাংস দিতে পারেন । আর সত্যিই যদি এরকম নাটক লিখেন, তাইলে খবর দিয়েন, দেখব ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি আরো ভাবতেছি নাটক লেখা বন্ধ কইরা দিবো... আর আপনে আসছেন নয়া প্রস্তাব নিয়া... তয় আপনের তরিকা পছন্দ হইছে... আপনেই লেখেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এনকিদু এর ছবি

আমি নাটক লিখলে পড়বে / অভিনয় করবে কোন পাগলে ? লীলেন ভাইয়ের কথাকলি ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

নুশেরা তাজরীন এর ছবি

অসাধারণ লেখা। সাগর আর আকাশের রঙের ব্যাপারটা খুব ভাল লেগেছে। পরিবেশকর্মী এবং আপনাকে শ্রদ্ধা।

এনকিদু এর ছবি

ধন্যবাদ


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

এনকিদু এর ছবি

সাগর আর আকাশ নিয়ে একটা ছবি তুলেছিলাম আমরা । ছবির ব্লগে দিয়েছি ছবিটা ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

দ্রোহী এর ছবি

সুন্দর লেখা এনকিদু ভাই। কয়েকটা ছবি দিতে পারলে আরো দারুন হইতো।


কি মাঝি? ডরাইলা?

এনকিদু এর ছবি

ছবি আছে, চেষ্টা করছি দিতে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমার মনেহয় আমরা প্রকৃতিগত ভাবেই একটু ত্যাড়া টাইপের। যা বলতে মানা করা হয় সেটা আমরা দ্বিগুণ উৎসাহে করি। এই জন্যই ছেঁড়াদ্বীপে নামার পরপরই সরকারী লোকজনের বলা উচিৎ, "ভাইসব এইখানে আসছেন ভালো কথা। এখন সবাই একব্যাগ করে ঝিনুক প্রবাল তুলে নিয়ে যাবেন। কেউ না তুললে পেঁদিয়ে তার পশ্চাৎদেশ লাল বানানো হবে!"

দেখবেন আগুনের মতো কাজ হবে। প্রথম প্রথম কিছু ঝিনুক গচ্ছা গেলেও ভবিষ্যতে অলস বাঙালী এই কন্ডিশনে আর ছেঁড়াদ্বীপ ভ্রমনে যাবে না। তখন অবশ্য আইন বদলাতে হবে। মানে কেউ একটা ঝিনুকও তুলতে পারবে না। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

এনকিদু এর ছবি

লাভ নাই । এমনিতেই শুনেছি একদল জেলে নাকি বঙ্গোপসাগরের তলা থেকে সব শামুক-ঝিনুক তুলে বাজারে বিক্রি করতে করতে কক্সবাজার সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের তলদেশ ঝিনুক শূন্য করে ফেলেছে । এদের জন্য আরো ঢাকের বাড়ি মারার কোন দরকার নেই । দেখা যাবে ট্রলার ভরে ঝিনুক তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সবজান্তা এর ছবি

হুম, তোমার বর্ননা শুইনা মিয়া যাওয়ার ইচ্ছাটা এক্সপোনেনশিয়ালি বাড়লো। কিছু ছবি দাও, একটু রেকি কইরা নেই চোখ টিপি

বোকার দল বোঝে না যে তদবির করে সব কাজ পাওয়া যায়না, যোগ্যতার দাম দুনিয়া থেকে এখনো উঠে যায় নি ।

এই লাইনটা ভালো লাগলো। তবে আমি কিছুদিন আমার বিষয়ের এরকম কাজের খোঁজ করেছিলাম, কিন্তু আন্ডারগ্র্যাডকে চাকরি কে দিবে, বি এস সি পাশ করার পরও আমার বিষয়ের মানুষজন যেসব কাজ করে, তাই আসলে পুরোপুরো আমাদের বিষয়ের না, ওগুলোর জন্য প্রকৌশলী হওয়া লাগে না। এ ব্যাপারে শান্তিতে আছে কম্পুটার আর আর্কির পোলাপানরাই।


অলমিতি বিস্তারেণ

স্পর্শ এর ছবি

ঘটনাটা তোমার মুখে শুনেছিলাম আগেই। লিখেছ দারুণ। সেই লোকটাকে সামনে থেকে দেখতে ইচ্ছা হচ্ছে। আর পরিবেশ রক্ষায় সরকার যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দেখে ভাল লাগছে। হাসি
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

এনকিদু এর ছবি

শুধু নারিকেল জিঞ্জিরাতেই না, বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের আরো বেশ কিছু ভাল ভাল প্রকল্প রয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে । তার কয়েকটি সফলও বটে । তবে অধিকাংশেরই অবস্থা খারাপ । কোনটায় অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, কোনটায় অপ্রতুল জনশক্তি নয়তো উপকরন আর সর্বোপরী আমাদের দূর্নীতিবাজ সরকারী কর্মকর্তারা তো আছেই ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

দারুণ!
এখানে একটু ব্যাপার আছে... আপনি যে লোকটার সঙ্গে কোনো ধরনের জোরজবরদস্তিতে নি গিয়ে পুরো ব্যাপারটা হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছেন, এখানে আপনার একটু ক্রেডিট আছে। ঐ লোকটির দৃঢ়তা আর আপনার সত্ মানসিকতা, দুটোই একসাথে কাজ করেছে!
ছেঁড়া দ্বীপে আমি গিয়েছিলাম বছর দশ আগে... সন্ধ্যা হলেই সেখানে তখন নেমে আসে মৃত্যুর মতো অন্ধকার... অবিস্মরণীয় এক মুহূর্ত! ফেরার পথে ডানদিকে সাগরের ঐপারে বার্মিজ পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে উঠতে দেখেছিলাম বিশাল এক চাঁদকে, যে চাঁদ ওঠার আগে মনে হচ্ছিল পাহাড়ের ঐপারে এক বিশাল অগ্নি-উৎসব চলছে! বিরল সব দৃশ্য! এই ধরনের অপ্রাকৃত দৃশ্য একমাত্র স্বপ্নেই দেখা যায়!
তবে আপনার মূল লেখার চেয়েও পরের সম্ভাব্য নাট্যাংশ আরো বেশি দারুণ লেগেছে! চমৎকার!
ভালো থাকুন!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

এনকিদু এর ছবি

আপনি নিজেই এই কথা বলেন -

বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

আমি দেশের মঙ্গল চাই, পরিবেশের ভারসম্য রক্ষা হোক চাই, নারিকেল জিঞ্জিরার প্রবাল প্রাচীর সংরক্ষিত হোক তাও চাই । যখন বুঝলাম আমার সাথে আমার সামনের লোকটির লক্ষ্য অভীন্ন, তর্ক করা তখন অর্থহীন সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছু না ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

মাত্র পাঁচ হাজার টাকা বেতনের এই কর্মচারীকে দেখে এখন আমরা অবাক হই। অথচ এটি খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার হবার কথা ছিল।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তারেক এর ছবি

দারুন। সবাই যদি এরকম হইতো !
ছবি পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

মুশফিকা মুমু এর ছবি

বাহ! কি সুন্দর, এই দ্বীপটা কোথায়? আর ঝিনুক না নেয়া এমন রুল আর কোথাও শুনিনি। হাসি
চোথাবাজের মানে বললেন কিন্তু চোথা মানে কি?
--------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

এনকিদু এর ছবি

নোট কে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে চোথা বলা হয় । পাঠ্যবই থেকে অংশ বিশেষ টুকে নিলে, ক্লাসের লেকচার নোট, বইয়ের গানিতিক সমস্যা সমাধান করে একসাথে লিখে রাখা - এসবই চোথা বলে পরিচিত । অনেক ছাত্র পাঠ্যবই থেকে মূল জিনিস শেখার বদলে চোথা জোগাড় করে পরীক্ষায় সাধারনত যেসব প্রশ্ন আসে শুধুমাত্র সেসব প্রশ্নের উত্তর শেখায় অধিক মনযোগী হয়ে পড়ে । ফলে পরীক্ষায় ভাল করে ঠিকি, কিন্তু সত্যিকার অর্থে কিছু শেখা হয় না । বাস্তব জীবনে কাজ করতে গিয়ে ভাল বিপদে পড়ে । আবার অনেক ছাত্র সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর ভাল দক্ষতা অর্জনের ইচ্ছা থেকে মূল বই, ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, গবেষণা পত্র ইত্যাদির উপ লেখাপড়া করতে থাকে । তারা শিখতে পারে অনেক কিছু, কিন্তু পরীক্ষায় সবসময় ভাল নাও করতে পারে । আমাদের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দুই দল এবং দুই দলের মাঝামাঝি একটা দল, মোটা দাগে বিচার করলে এই তিন ধরনের ছাত্র-ছাত্রী আছে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

এনকিদু এর ছবি

ঝিনুক না নেয়া এমন রুল আর কোথাও শুনিনি

নারিকেল জিঞ্জিরার পরিবেশের ভারসম্য খানিকতা হুমকীর সম্মুখীন । প্রবাল প্রাচীরের বেঁচে থাকা এবং বেড়ে ওঠার পরিবেশের ভারসম্যের উপর ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল । পরিবেশে সামান্য একটু পরিবর্তনের মাধ্যমেই একটা সম্পূর্ণ প্রবাল প্রাচীরকে মেরে ফেলা সম্ভব বছর কয়েকের মধ্যে ।

মৃত প্রবাল খন্ড, ঝিনুক ইত্যাদির উপর নতুন করে প্রবাল জেঁকে বসার সুযোগ পায় । এগুলো না থাকলে বসবে কোথায় ? তাই অন্যান জ্যান্ত সামূদ্রিক জীবের মত এসব মৃত জীব দেহও প্রয়োজনীয় ।

চাইলে আজকে গিয়ে সব ঝিনুক উঠিয়ে আনা যায় ছেঁড়া দ্বীপের সৈকত থেকে । কিন্তু তাহলে আর এক বছর পরে গিয়ে কোন প্রবাল, ঝিনুক কিছু দেখা যাবে না । চাই কি দ্বীপটাও উধাও হয়ে যেতে পারে । দ্বীপটা পুরোটাই তো প্রবালের তৈরী ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অচেনা কেউ এর ছবি

মুশফিকা মুমু লিখেছেন:
বাহ! কি সুন্দর, এই দ্বীপটা কোথায়? আর ঝিনুক না নেয়া এমন রুল আর কোথাও শুনিনি। হাসি
‍‍

ছেঁড়া দ্বীপ হল সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ অথবা বাংলায় যাকে বলে নারিকেল জিঞ্জিরার কাছেই একটা ছোট্ট দ্বীপ।সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ যে কক্সবাজারে এটাতো তোমাকে আশাকরি বলে দিতে হবেনা !!!

লেখা ভাল লাগছে কদু ভাই ।

স্বপ্নাহত এর ছবি

চমৎকার বর্ণনা!!

ছেঁড়া দ্বীপে যাওয়ার ইচ্ছেটা প্রবল হয়ে উঠলো।

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

এনকিদু এর ছবি

শীতকাল হল ওদিকে যাওয়ার মোক্ষম সময় । আমি একবার গিয়েছি, আবারো যেতে চাই । সামনের শীতে যদি যাওয়া হয় তবে খবর দিয়েন, পারলে আমিও সাথে যাব হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অচেনা কেউ এর ছবি

ছবি নিয়ে আরেকটা ব্লগ খুলে ফেলেন ভাইয়া ! দারুন হবে। অপেক্ষায় রইলাম কিন্তু।

এনকিদু এর ছবি

চেষ্টা করছি । নুশেরা আপুর গোল্ড কোস্টের ব্লগের মত করার চেষ্টা করছি, কিন্তু কিভাবে করতে হয় এখনো বুঝে উঠতে পারিনি । বুঝে ফেল্লেই পোস্ট দিয়ে দেব ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

স্নিগ্ধা এর ছবি

এনকিদু - আমাদের দেশ যখন পরপর তিনবার না চারবার দূর্নীতির তালিকায় এক নম্বরে থাকার গৌরব (!) অর্জন করে, তখন এধরনের লেখা বড়ই স্বস্তি দেয়। আপনার লেখার ভঙ্গিও ভালো লাগলো হাসি

এনকিদু এর ছবি

ধন্যবাদ স্নিগ্ধা আপু হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

গুল্লি

এনকিদু এর ছবি

ধন্যবাদ


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

এনকিদু এর ছবি

কয়েকটি ছবি দিয়ে একটি ব্লগ পোস্টিয়েছি । এখানে আছে, সবাই দেখতে পারেন ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ফাহিম হাসান এর ছবি

লেখা পড়ে মনটা ভরে গেল। এমন লোকের ক্লোন করে লাউয়াছড়া, মধুপুর আর যে কয়টা পাতিবন টিকে আছে সেগুলোতে সয়লাব করে দিতে মন চায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।