দাড়ি (০,১,২...)

এনকিদু এর ছবি
লিখেছেন এনকিদু (তারিখ: শুক্র, ২০/০৬/২০০৮ - ৫:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০০.

বিবর্তনের জটিল পথ পরিক্রমার মাধ্যমে মানুষ (এবং অন্যান্য সব জীব) তার আজকের চেহারা পেয়েছে । বিবর্তন আমাদের কে কিছু অত্যন্ত প্রয়োজনী যন্ত্রপাতি দিয়েছে যা আমরা আজ স্বার্থক ভাবে ব্যবহার করতে পারি । কিছু দিয়েছে এমন যেগুলো আমাদের পূর্বপুরুষদের জন্য খুব কাজের জিনিস ছিল হয়তো, কিন্তু আমাদের খুব একটা কাজে লাগেনা, বা আমরাই কাজে লাগাতে পারি না । আর কিছু জিনিস আছে এমন যেগুলোর সঠিক ব্যবহারটা যে আসলে কি, তা আমরা জানি না ।

০১.

এমন একটি বৈশিষ্ট্য হল পুরুষের দাড়ি । কোন গুরুত্বপূর্ণ জৈবীক কাজে এর ভূমিকা নেই । লোমশ স্তন্যপায়ী প্রানীদের মত এই জিনিস আমাদের গাত্রাবরন হিসেবে কাজ করে শীতের হাত থেকে রক্ষা করবে সেই আশা দূরাশা । তবে মানুষের দাড়িকে সিংহের কেশরের সাথে তুলনা করা যেতে পারে ।

সিংহের পৌরুষের পরিচয় দেয় তার কেশর । গবেষণায় দেখা গেছে, সিংহীরা সঙ্গী বাছাইয়ের সময় সিংহের কেশরের দিকে নজর দেয় । লম্বা কেশরের অধিকারী সিংহেরা অগ্রাধিকার পায় । কেশরের রঙ্গের মধ্যেও ব্যপার আছে । কাল বা গাঢ় রঙের কেশরের অধিকারীরাই অধিকতর আকর্ষনীয় হিসেবে পরিগনিত হন । এর পেছনে ব্যাখ্যাটা হল, সিংহীরা জানে যে সিংহের কেশরে ফুটে উঠে তার খাদ্যাভ্যাস, জীবনমান এবং তার বংশগতির বৈশিষ্ট্য । সিংহ নিয়মিত ভাল খেতে না পেলে তার কেশর পড়ে যায় বা পাতলা হয়ে যায় । বড় ধরনের অসুখে পড়লে কেশর প্রায় পুরোটাই পড়ে যায় । অপর কোন সিংহের সাথে ভীষন লড়াইয়ে হারের পরও কেশর পড়ে যায়, মানসিক আঘাতেই হয়তো বা । কাজেই সিংহের বড় কেশর জানান দেয় সে সিংহ নিয়মিত খাবার পায়, অর্থাৎ দক্ষ শিকারী । সিংহী ও তার ভবিষ্যৎ সন্তানদের টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য একটি গুন । বড় কেশর আরো জানায় যে, এই সিংহ গত কয়েক বছরে বড় রকমের রোগে পড়েনি - তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল । সেই সাথে এও বোঝায় যায় যে আশেপাশে অন্যান্য সিংহের সাথে লড়াইয়েও সে হারেটারে না খুব একটা । এবার কেশরের রঙ্গের ব্যাপারটা আসে । খাবারে পুষ্টিগুনের উপর নির্ভর করে সিংহের কেশরের রঙ কতটা গাঢ় হবে । গাঢ় রঙের কেশর থাকার অর্থই হল এই সিংহ নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার যোগাড় করে থাকে । একে উপেক্ষা করতে পারে এমন সিংহী মনে হয়না খুব বেশি আছে ।

সুদূর অতীতে হয়তো সিংহের কেশরের মত ভূমিকা পালন করত মানুষের দাড়ি । গুহামানবের দলে ঘন শ্মশ্রূমন্ডিত পুরুষেরাই শিকার ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতেন । তারাই দলের নেতৃত্বও দিতেন । সন্তান জন্মদানের কাজটাতেও তারা অংশগ্রহন করতেন । শেষ কথাটার একটু ব্যাখ্যা প্রয়োজন । সেসময়ে মানুষের গড় আয়ু খুব বেশি ছিলনা । পঁচিশের কাছা কাছি গড় আয়ু আর ত্রিশ মানে অত্যন্ত প্রাচীন অক্ষয় বট বৃদ্ধ যে কিনা তিন দশক ধরে রোগ-শোক মহামারী, দূর্ভিক্ষ, বন্য জন্তু আর শত্রুভাবাপন্ন অন্যান্য দলগুলোর সাথে যুঝে টিকে আছেন । ষোল বছর বয়সে দাড়ি গজানো পর সেই দাড়ি বড় সড় হয়ে উঠতে উঠতে হয়তো সতের আঠার বছর, তারপরেই পুরুষেরা বংশবৃদ্ধিতে অংশগ্রহন করবেন এটা পরিষ্কার । এর আগে চাইলেও পারবেনা জৈবীক কারনেই, আর কোন কারনে বয়সের আগেই সক্ষম হয়ে উঠলেও বাধা দেয়ার জন্য দলের মুরুব্বি বিশোর্ধ্বরা তো আছেনই ।

০২.

প্রাগৈতিহাসিক যুগ ছাড়িয়ে প্রাচীন যুগের দিকে এগিয়ে গেলে দেখা যাবে পৃথিবীর বিভিন্ন কোনায় কয়েকটি সম্মৃদ্ধ সভ্যতার পত্তন হয়েছে - এরাই ভবিষ্যত পৃথিবীতে মানব জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতির অনেক কিছুর নিয়ামক হবে । উত্তরে স্ক্যান্ডিনেভীয় অঞ্চলে নর্ডিক সভ্যতা, ইউরোপের গ্রীক-রোমান সভ্যতা, আফ্রিকায় মিশরীয় সভ্যতা, এশিয়ায় মেসোপটেমীয় সভ্যতা, ভারতীয় সভ্যতা এবং চৈনীক সভ্যতা এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য । বর্তমান কালের আমেরিকা মহাদেশেও অত্যন্ত সমৃদ্ধ সভ্যতা গড়ে উঠেছিল, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অসংখ্য দ্বীপ জুড়ে মাওরীদের সভ্যতাও কোন অংশে কম ছিলনা, কিন্তু পৃথিবীর আর সব মহাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তাদের পক্ষে সেরকম প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি ।

০২.১.

নর্ডিক সভ্যতার যত লোককাহিনী, চিত্রকর্ম ইত্যাদি দেখা যায় তার সবগুলোতেই পুরুষদের বিরাট দাড়ি । আগ্রহীরা google এবং wikipedia তে ওডিন(odin), থর(thor), লোকি(loki) ইত্যাদি নর্ডিক দেবতার নাম এবং পুরানো কাব্য(elder edda), নব কাব্য(younger edda) ইত্যাদি নর্ডিক সাহিত্যকর্মের ব্যাপারে খোঁজা খুঁজি করে দেখতে পারেন । হয়তো উত্তর মেরুর কাছাকাছি প্রবল শীতের বিরুদ্ধে টিকে থাকার যুদ্ধে দাড়ি কিছুটা সহায়ক ভুমিকা পালন করত । ভাইকিং জাহাজে চড়ে শুধু পুরুষেরাই

বড়বড় অভিযানে যেত আর যুদ্ধ প্রভৃতিতে অংশগ্রহন করত । যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের মনে ভীতিসঞ্চারের ক্ষেত্রেও বিশাল বপুর সাথে বিশাল দাড়ি সহায়ক ভূমিকা পালন করত বলে ধরে নেয়া যেতে পারে । মনে রাখা প্রয়োজন যে শুরুতে নর্ডিকদের সভ্যতাটি দস্যুবৃত্তিক সভ্যতা হিসেবেই পরিচিত ছিল । খ্রীষ্টের জন্মেরো কয়েকশো বছর পর তারা দস্যুবৃত্তি ছেড়ে সত্যিকার নগর পত্তন করা শুরু করে আর পুরোপুরি দস্যুবৃত্তি ছাড়ে রোমানদের কে নিকেশ করার পর ।

০২.২.

গ্রীক-রোমান সভ্যতায় পুরুষদের মধ্যে দাড়ির প্রচলনে মিশ্র মনোভাব দেখা যায় । গ্রীক মিথের প্রধান পুরুষ দেবতা জিউসকে কল্পনা করা হয় শ্মশ্রূমন্ডিত চেহারায় । পৌরুষের জিউসের সাথে তার দাড়ির একটা সম্পর্ক হয়ত রয়েছে । জিউসের ভাই পোসাইডনেরো বিরাট দাড়ি । কিন্তু আবার অন্যান্য পুরুষ চরিত্রগুলোর মধ্যে দাড়িছাড়া চেহারাই বেশি । প্রায় সকল গ্রীক নৃপতীর মূর্তি বা চিত্রে দাড়ি কামানো চেহারার দেখা মিলে । যখন থেকে ধাতব মূদ্রায় রাজার চেহারা আঁকা শুরু হল তখন থেকেই দেখা যায় রাজাদের সকলের দাড়ি কামানো । আবার সেই একই গ্রীক সভ্যতায় দাড়ি ছাড়া দার্শনিকের কথা চিন্তাই করা যায় না । একসময় বড় এলোমেলো চুল দাড়ি নাকি গ্রীক সভ্যতায় দার্শনিকদের সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছিল । সেসময় দাড়ি কামানর মত বিলাসীতা রাজারাই করতে পারতেন - এই যুক্তি মেনে নিলে দার্শনিকদের দাড়ি না কামানর ব্যাখ্যা পাওয়া গেল । কিন্তু গ্রীক সমাজে অভিজাত আর দার্শনিক শ্রেনী ছাড়াও একটা যোদ্ধাশ্রেনী ছিল, অনেকটা ভারতীয় আর্য সমাজে ক্ষত্রীয়দের মত । গ্রীক রনপদ্ধতির একটা বৈশিষ্ট্য ছিল বিশেষ একধরনের যোদ্ধা - ফ্যালাঙ্কস(phalanx) । বড় ধরনের বর্শা এবং ঢাল তলোয়ার সম্বলিত একধরনের পদাতিক যোদ্ধার দলকে বলা হত ফ্যালাঙ্কস । । ফ্যালাঙ্কসের প্রশিক্ষন ও গ্রীক রনকৌশলের চর্চায় স্পার্টা নামের নগর রাষ্ট্রটি অনেক সুনাম অর্জন করেছিল । এখানে প্রশিক্ষনের সময় পুরুষদের দাড়ি রাখার পরামর্শ দেয়া হত । যুদ্ধের প্রয়োজনেই তাদেরকে দাড়ি রাখতে হত । সেসময় ফ্যালাঙ্কসের যোদ্ধারা ধাতব শিরস্ত্রান ব্যাবহার করতেন যার ভেতরের দিকে কোমল কিছু লাগান থাকতনা । দুই গালের ঘনদাড়িটাই ছিল ধাতব শিরস্ত্রানের কঠিন আঘাত থেকে মুখমন্ডল রক্ষার জন্য একধরনের 'প্যাডিং' । একই কারনে প্রাচীন ও মধ্যযুগের ইউরোপে প্রায় সব দেশেই সাধারন যোদ্ধাদের দেখা যায় লম্বা চুল ও দাড়ি রাখতে ।

০২.৩.

মিশরীয় সভ্যতায় দাড়িকে প্রায় ঐশ্বরিক একটা বস্তু বলে মনে করা হত । দাড়ি ছাড়া ফারাও বা নৃপতি কল্পনা করা যায় না । নর্ডিকদের মত তাদের দেবতাদের চেহারায়ও তাদের দাড়ি প্রীতির নিদর্শন রয়েছে । মিশরীয় মিথের প্রধান পুরুষ উপাস্য ওসাইরিসের রয়েছে থুতনীতে লম্বা দাড়ি । নর্ডিকদের সাথে তাদের পর্থক্য এখানে এই যে, মিশরীয় সভ্যতার দাড়ি থাকে শুধু থুতনীতে । গালের দুপাশে কামিয়ে ফেলা হয় । অন্য অনেক কিছুর পাশাপাশি ওসাইরিস হলেন পুরুষের উর্বরতারও দেবতা । তার দাড়িটা যে মিশরী সভ্যতায় পুরুষের পৌরুষের পরিচায়ক হবে এটা বলে দিতে হয়না । পুরুষ ফারাওরা দাড়িতে বিভিন্নরকম অলঙ্কার ব্যাবহার করতেন । তাদের মমির বাক্সগুলোতে এবং পিরামিড, মন্দির প্রভৃতির দেয়ালের লিখন থেকে এটা জানা যায় । মিশরীয় সভ্যতার দুইটি স্বর্নযুগে বহুবার নারীরাও ফারাও হয়েছেন । নারী ফারাওরা একধরেনের কৃত্রিম দাড়ি ফিতা দিয়ে তাদের থুতনীর সাথে বেঁধে নিতেন । এই নিয়ে সেই যুগে কেউ কৌতুক করত বলে মনে হয় না, বরং পৌরুষ ও শৌর্য-বীর্যের প্রতীক দাড়ি ধারন করা ছাড়াই কেউ সিংহাসনে বসেছে দেখলেই হয়তো দরবারে সবাই হেসে উঠত ।

(চলবে)


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমি দাড়ি কাটি বছরে দুই একবার এবং সেটা বহু বছর থেকেই
সুতরাং অভিজ্ঞতা থেকে দাড়ির কিছু সুবিধা আমি বলতেই পারি

০১
মাজারে গাঁজা থেকে গেলে ক্লিন সেভ দেখলে সহজে আসোরে বসতে দেয় না। ধমকে উঠিয়ে দেয়। কিন্তু দাড়ি থাকলে ওয়েলকাম জানায়। আমি নিজে আগেরদিন যে আসোরে দাড়িসহ টেনে এসছি সেই আসোরেই পরেরদিন সেভ কের যাবার পরে আমাকে বসতে দেয়নি অনভিজ্ঞ মনে করে

০২
দিনে এবং রাতে রাস্তার পুলিশ চেকপোস্টে দাড়ি দেখলে কোনো চেক করে না থামিয়ে একটা সালাম দিয়ে ছেড়ে দেয়

০৩
দাড়ি থাকলে বইমেলায় ঢোকার জন্য লাইন ধরতে হয় না। গটটগ করে লাইনের সামনে দিয়ে গিয়ে ঢুকে পড়লে পুলিশ ড়্যাবরাও মনে করে মনে হয় মারাত্মক কোনো লেখক। যান যান আপনি যান বলে ছেড়ে দেয়

০৪
দাড়ি থাকলে মেয়েদের অভিভাবকরা কেউ মনে করে সুফি মানুষ কেউ মনে করে পাগল ছাগল
এতে সবচে সুবিধা হয় যেটা সেটা হলো অভিভাবক পক্ষ থেকে কোনো ঝামেলা আসে না...

০৫
ডেইলি চামড়ার উপর কোদাল টানা থেকে রেহাই...

এনকিদু এর ছবি

অনেকদিন পর আমার লেখায় আপনার মন্তব্য পেলাম হাসি

আমি দাড়ি কাটি বছরের দুই বারের থেকে একটু বেশি । তবে বছরে অন্তত দুই দফায় আমাকে কয়েক মাসের জন্য দাড়িওয়ালা বলে সনাক্ত করার মত যথেষ্ট সময় ধরে দাড়ি রয়ে যায়, মানে কাটা হয়না আর কি । আপনার সাথে আমার অভিজ্ঞতা একটু মিলিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি,আশা করি বেয়াদবি নিবেন না ।

০১ - যাচাই করার সৌভাগ্য এখনো হয় নাই ।
০২ - সালাম পেয়েছি । বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই একবার "গেট আটকানো" দিবসেও গেট দিয়ে ঢুকতে দিয়েছে সংগ্রামী ছাত্র ভাইয়েরা ।
০৩ - মনে হয় আমার চেহারায় দুষ্টামি ভাব এতই প্রকট যে দাড়ি দিয়েও সেটা ঢাকা যায় না । তাই র‌্যাব বুঝে যায় আমি লেখক না । তাই লাইনে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় ।
০৪ - আমার তো মেয়ের অভিভাবকরে নিয়ে কোন কারবার নাই । আমার কারবার তো মেয়ের সাথে । মেয়েরা দাড়ি দেখতে পারেনা কেন জানি বুঝি না মন খারাপ
খোঁজনিয়ে দেখেন গুহামানবের আমলেই এই মেয়ের মত কত মেয়ে আপনার আমার মত দাড়িওয়ালাদের পিছনে লাইন দিত । আহা কী সুন্দর দিন কাটাইতাম...
০৫ - এইটা আসলেই আরামের বিষয় ।

০৬ - এইটা আপনি লিখেন নাই, আমার নিজের অভিজ্ঞতা । যখন দাড়ি গোঁফ যথেষ্ট লম্বা হয়ে যায়, গভীর চিন্তা করার সময় অবচেতন ভাবেই গোঁফ পাকাতে থাকি । এটা না করলে আমার চিন্তাই খুলে না । সত্যি বলছি । এই লেখাটা লিখতে গিয়ে অনেক বার গোঁফ পাকিয়েছি হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

আহসান হাবিব এর ছবি

বেশ ভালো লাগলো। বিবিধ সভ্যতা নিয়ে আপনার যে বেশ পড়াশুনা আছে বুঝতে পারলুম। আর "টপিকস" টা ইনোভেটিভ।
কিনতু ভাইজান, বয়স লেট টুয়েনটিজে'র ঘরে তার পরেও ঠিকমত দাড়ি গজাইলো না, তার কি করি।
এতটুকু বাংলা লিখতে গিয়েই আমি কাহিল।

এনকিদু এর ছবি

আপনার চেহারাটা একবার না দেখে বলতে পারছিনা । হতে পারে আপনার দেহে মঙ্গোলয়েড জিন রয়েছে যারা আপনার দাড়ির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রন করছে । হতে পারে জেনেটিক রেপ্লিকেশনের সময় মিউটেশনে আপনার দাড়ি বৃদ্ধির জিনটি একটু টুইস্ট করেছে, ফলে আপনার ভাইয়ের বিরাট দাড়ি আছে, কিন্তু আপনার অল্প । এইটা হতেই পারে, আমার চার বছরের ছোটভাই এখনো বিশ হয়নি বয়স, তার গাল জুড়ে আমার চাইতে ঘন দাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ায় (এই পোলা বড় হয়ে আমার চাইতে বাঁদর হবে খুব বুঝতে পারছি) । অথবা সিংহের মত আপনার পুষ্টিকর খাবারে অভাব ও হয়ে থাকতে পারে । নিয়মিত খরগোশ ইত্যাদি প্রানী নিজ হাতে শিকার করে খাওয়ার অভ্যাস করে দেখতে পারেন ।

তবে এসবে আমি কোন গ্যারান্টি দিচ্ছি না ।

আর দাড়ি থাকা-নাথাকায় কিবা আসে যায় বলুন ? দাড়ি ছাড়া তো আরো কত কিছুই তো আপনার আছে, আছে না ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

এনকিদু এর ছবি

কিনতু ভাইজান, বয়স লেট টুয়েনটিজে'র ঘরে তার পরেও ঠিকমত দাড়ি গজাইলো না, তার কি করি।
এতটুকু বাংলা লিখতে গিয়েই আমি কাহিল।

আরেকটা বুদ্ধি পেয়েছি । বেশি বেশি করে বাংলা টাইপ করেন । কাল ঘাম ছুটিয়ে দেন একেবারে । তাহলে কাল ঘামের সাথে সাথে গাল জুড়ে কাল দাড়িও বেরিয়ে আসতে পারে । সেক্ষেত্রে আপনি সবাইকে বলে বেড়াতে পারবেন, আমি মাতৃভাষায় লিখতে লিখতে সাবালক হয়েছি । ফারাওয়ের দাড়ির মতই আমারটা বিশেষ ঐশ্বরিক দাড়ি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ক্যাডেট কলেজে প্রত্যেকদিন কমপক্ষে শেভ করতে হইত।
সকালে দাড়ি কামাইয়া গেসি একটু পরে আর্মির স্টাফ দেইখা কয়...
- কী ব্যাপার? শেভ করো নাই ক্যান?
তাই ক্যাডেট কলেজ থেকে বাইর হবার পর ঠ্যাকায় না পড়লে দাড়ি কামাই না।

মন্তব্য লেখার বাইরে চলে গেল মনে হয়।
যাউকগা... লেখা গরম হইছে।

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

এনকিদু এর ছবি

নাহ, অফটপিক হয় নাই । দাড়ি নিয়েই গ্যাঁজানোর জন্যই তো এই জিনিস পোস্টাইলাম । তবে গরম হওয়ার মত কিছু এখনো লেখা হয় নি । এখনো এশিয়া বাকি আছে চোখ টিপি

আমার চেনা কিছু ছেলেপেলে আছে । ক্যাডেট কলেজের বেসবাস ধরন ধারন ছাড়া এখনো চলতে পারেনা । প্রতিদিন দাড়ি কামায়, শার্ট পড়ে 'ইন' করে । ব্যাপারটা খারাপ না , ফিটফাট থাকার মধ্যে কোন দোষ নেই । কিন্তু খারাপ লাগে যখন দেখি/শুনি আমাদের মত দশ দিনে একবার দাড়ি কামানো পোলাপানের দলকে 'ব্লাডি আনকুথ সিভিলিয়ান' বলে মনে করে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

যা। এরকম পোলাপাইন আসলেই আছে নাকি?

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

এনকিদু এর ছবি

একটা অন্তত ছিল, নিজের চোখেই দেখেছিলাম । এখন ঐ ব্যাটা কোথায় কেমন আছে খবর নেই না অনেকদিন ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

বছর বাইশ আগের একটা উন্মাদের কথা মনে পড়লো। সেইখানে বাঙালী অভিব্যক্তিরে তিনভাগে ভাগ করা হইছিল। বেদনা,বেদনাহত আর বেদনা হতাহত।

বেদনা: ২০ বছর বয়সেও গোঁফ না গজানো
বেদনাহত: ২৫শে গোঁফ দেখা গেলেও মাথায় টাক পড়া শুরু
বেদনাহতাহত: বিয়ের পর বৌএর মুখে গোঁফের আভাস



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

এনকিদু এর ছবি

বেদনাহতাহত: বিয়ের পর বৌএর মুখে গোঁফের আভাস

হা হা হা

উন্মাদের পাবলিক গুলার সাহস এবং রসবোধ দুইটাই প্রবল । সেই আমলে এতবড় সত্য কথা লিখল কিভাবে আমি তাই ভাবি ।

উন্মাদ এবং আপনাকে জাঝা


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অতিথি লেখক এর ছবি

উন্মাদের উন্মাদদের হ্যাটস অফ & স্যালুট

---- মনজুর এলাহী ----

সবজান্তা এর ছবি

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মাঝামাঝি সময়ের কথা। এক বন্ধুর বোনের বিয়েতে গেলাম, আমরা কয়েক বন্ধু ফতুয়া পড়ে, ৩-৪ দিনের দাড়ি গালে নিয়ে এক বন্ধুর বোনের বিয়েতে গেলাম।

সেখানে আমাদের দেখে বক্রদৃষ্টি হেনে পুরকৌশলের স্যুটেড বুটেড এক বন্ধু বললো, "তোদের দেখে তো মনে হচ্ছে তোরা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার।"

সেই থেকে দাড়ি মানেই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ারেরে অলংকার আমার কাছে চোখ টিপি


অলমিতি বিস্তারেণ

এনকিদু এর ছবি

০.
৩-৪ দিনের দাড়ি দেখেই বক্র দৃষ্টি ?? ঐ শালা নির্ঘাৎ মাকুন্দা ছিল, হিংসা থেকেই এই কথা বলেছে ।

১.
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝামাঝি সময়ে স্যুটেড-বুটেড হয়ে দাওয়াতে যায় , বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এসব ছেলে দেখি কিছুই শিখলো না ।

২.
ইহাদের জন্য পরকালে(পাস করার পর) রয়েছে জান্নাত (মাল্টিন্যাশনালের চাকুরী), সেখানে তারা চিরসুখে থাকিবে (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিস কক্ষ) আর বসে বসে কলম পিষবে - যা করার জন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে একটা আসন নষ্ট করার দরকার হয়না , ডিপ্লোমা দিয়েও কাজ চলে যায় । দীর্ঘদিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে থেকে থেকে তাদের পাছা এবং পেটে চর্বির আস্তর পড়ে যাবে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রণদীপম বসু এর ছবি

দেখেন ভাই, এমনিতেই এই আঠারো বছয় বয়েসি প্রিয় দাড়ি নিয়ে সমস্যায় আছি। যতই বলি যে তোমার থেকে এই দাড়ির সাথে সম্পর্ক আমার বহুত পুরানা। তোমার জন্য আজ এইটা ফেইলা দেয়ার অর্থ পুরানা সম্পর্ক অবজ্ঞা করা। এমন হইলে কাইল আবার নতুন কারো সাথে ঝুইলা গেলে তখন নতুন পুরান সম্পর্ক তুলতে পারবা না। মুখ বেজার কইরা তক্কে তক্কে আছে কোন মারাত্মক সুযোগের । এর মধ্যে আপনি আবার দাড়ি বিদ্বেষি পোস্টানি শুরু করছেন। আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এর। আমার দাবি বেশি না-
০১) দাড়ি নিয়া যাই লিখেন, দাড়ির সপক্ষে লেখাটার শেষ টানতে হবে। নইলে অপেক্ষমান গৃহযুদ্ধের সমস্ত দায় দায়িত্ব আপনাকেই বহন করতে হবে।
০২) সবাইকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে হবে দাড়ি হচ্ছে অতীব জরুরি ও বিশেষ উপকারি এপারেটাস। কাশ্মিরি গালিচার মতো। শরীরের যেখানেই ছোঁয়া লাগুক, মারাত্মক তৃপ্তিকর। এবং রক্তাক্ত খোঁচা খাওয়া থেকে অসম্ভব রকমের নিরাপদ।
০৩) আমার মতো যাদের ছাদ খালি, তাদের শরীরে ভূখণ্ডের প্রয়োজনীয় বনভূমির আবশ্যকতার মতোই চুল বা চুল জাতীয় বস্তুরাশির আনুপাতিক ভারসাম্য রক্ষা করে এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান দাড়ি।
০৪) নিয়মিত শেভ করার তলে সময় ও অর্থের অযথা অপচয় হয় না বলে সৃজনশীল কাজে নিজকে নিয়োজিত করে জগতের সাংঘাতিক মনিষীরা প্রায় সবাই দাড়িঅলা। রবীন্দ্রনাথের মতো আর যারা দাড়িঅলা আছেন তাদের তালিকা দিয়ে সবাইকে দাড়ি রেখে সৃজনশীল হওয়ার পরামর্শ দিতে হবে।
০৫) ব্লগিং জগতের মারাত্মক সব প্রতিভারা দাড়িঅলা। যেমন মাহবুব লীলেন, মুজিব মেহদী এবং আর যারা আছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করে প্রয়োজনে ছবিসহ প্রমান হাজির করে সব ব্লগারকে দাড়ি রাখায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
০৬) দাড়ির সপক্ষে আর যে সব দাবি দাওয়া বাদ পড়ে গেছে তা নিজ বিবেচনায় প্রয়োজনে গণআহ্বান করে সংগৃহীত তথ্যসমেত উপস্থাপন করতে হবে।
অসমাপ্ত.... (কারণ, পেছনে আবার তিনি এসে দাঁড়িয়েছেন !)

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

এনকিদু এর ছবি

এর মধ্যে আপনি আবার দাড়ি বিদ্বেষি পোস্টানি শুরু করছেন।

ঠিক কোন অংশটি পড়ে মনে হল আমি দাড়ি বিদ্বেষী লেখা লিখেছি একটু বলবেন কি ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রণদীপম বসু এর ছবি

এমন একটি বৈশিষ্ট্য হল পুরুষের দাড়ি । কোন গুরুত্বপূর্ণ জৈবীক কাজে এর ভূমিকা নেই । লোমশ স্তন্যপায়ী প্রানীদের মত এই জিনিস আমাদের গাত্রাবরন হিসেবে কাজ করে শীতের হাত থেকে রক্ষা করবে সেই আশা দূরাশা

হের পরেও আবার জিগান !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

এনকিদু এর ছবি

এইটা তো নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য লিখলাম । মিথ্যা কথা তো লিখিনি । নাকি আপনি দাড়ি দিয়ে ...

এই লাইন গুলো পড়ে বিদ্বষী মনে করছেন ভাল, কিন্তু নীচের চার পাঁচ অনুচ্ছেদ জুড়ে যে সুনাম করলাম সেগুলো কি পড়ে দেখেননি ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍দাড়ি রাখার পর টাক পড়লে কি বস্তুর অবিনশ্বরতার তত্ত্বটি প্রমাণিত হয়? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

এনকিদু এর ছবি

বস্তুর অবিনশ্বরতা এভাবে প্রমান করা যাবেনা । দাড়ি রাখলে টাক পড়ে - এটা প্রমান করতে পারলে necessary condition প্রমানিত হবে । এরপর sufficiency condition প্রমান করা প্রয়োজন । তার জন্য দেখাতে হবে যে টাক পড়ার পর আবার যদি দাড়ি কামানো হয় তাহলে টেকো মাথায় চুল ফিরে আসে ।

এভবে necessary and sufficiency প্রমান করার পর আমরা বলতে পারব যে দাড়ির সাথে মাথার চুলের একটা রৈখীক সম্পর্ক আছে, যার মাধ্যমে তারা বস্তুর অবিনশ্বরতা নীতি মেনে চলে । গ্রাফ আঁকলে দেখতে হবে লেন্সের uv plot এর মত ।

কিন্তু তার পরেও কথা আছে । দাড়ি আর মাথার চুল ছাড়াও আরো যেসব চুল মানব দেহে থকে, সেগুলোকে কিভাবে বস্তুর অবিনশ্বরতায় অন্তর্ভূক্ত করা যায় সে ব্যাপারে গবেষণা করা প্রয়োজন । আমার মনে হয় যথেষ্ট সময় দিতে পারলে এই ব্যাপারে সালাম-ওইনবার্গ-গ্লশোর সব রকম বলের(force) একীভূত করনের মত মানব দেহে সবরকম চুলের একীভূত করনের ব্যাপারটা প্রতিষ্ঠিত হবে ।

মানবদেহ নিয়ে কাজ শেষ করে হাত দিতে হবে অন্যান প্রানীর দেহে । বিরাট একটা গবেষনা প্রকল্প হতে পারে এটি । Human Genome Project এর কাছে তুচ্ছ হয়ে যাবে । সমস্যা একটাই এই প্রকল্পে ফান্ডিং দিবে কে ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সবজান্তা এর ছবি

হা হা, অনেকদিন পর একটা দুর্দান্ত হাসির কমেন্ট।

চুলের একীভূত তত্ব !

আরেকটা কথা অবিনাশিতাবাদ প্রমাণের জন্য কি ফেলে দেওয়া দাঁড়ি আর গজানো চুল ( কিংবা ভাইস ভার্সা ) এর পরিমান যে সমান সেটা দেখাও জরুরী না ?


অলমিতি বিস্তারেণ

এনকিদু এর ছবি

তা তো বটেই । ভাল জিনিস ধরিয়ে দিয়েছ । ভাগ্যিস আমি এখনো এই "গবেষনা পত্র" কোথাও জমা দিয়ে বসিনি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

@ এনকিদু

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍হায়! হায়!

আমার মন্তব্যটা যে একটা ফাজলামি ছিলো, তা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি মন খারাপ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

হিমু এর ছবি

uv প্লটের মতো হবে কি?

যদি কনজার্ভেশন অব ফেসিয়াল হেয়ার বলে কিছু থাকে, তাহলে প্লটটা একটা ঢালু রেখা হবে, যেখানে মাথার চুল আর থোতার চুলের (ধরে নেয়া হচ্ছে ভুরু ধ্রুবক) যোগফল একটি ধ্রুবক। যেখানে অ্যাবসিসা শূন্য, সেখানে অর্ডিনেট মাথার চুলের মান নির্দেশ করবে, যেখানে অর্ডিনেট শূন্য সেখানে অ্যাবসিসা থোতার চুলের মান নির্দেশ করবে। uv প্লট হতো যদি মাথার চুলের ব্যস্তমান আর থোতার চুলের ব্যস্তমানের যোগফল ধ্রুবক হতো। নাকি?


হাঁটুপানির জলদস্যু

এনকিদু এর ছবি

আমি আসলে uv plot বলতে বুঝিয়েছিলাম গ্রাফটার চেহারা হবে uv plot এর মত । তার চলকগুলোর সম্পর্ক uv plot এর u v এর মত হবে বুঝাইনি । আমার আসলে উচিৎ ছিল অন্য কোন উদাহরন দেয়া যাতে দ্ব্যার্থতা নিরসন ঘটে । জিনিসটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ । আমার গবেষণা পত্রের ভালই peer review হচ্ছে দেখছি দেঁতো হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অচেনা কেউ এর ছবি

কদুভাই দেখি দাড়ি নিয়া বিশাল গবেষণা কইরা ফালাইছেন।দাড়ি রাখতে আমার খারাপ লাগেনা তবে খোঁচা খোচা দাঁড়ি একটু চুলকায় আরকি!! পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার চুল দাড়ি আর গোঁফ তিনটাই এককালে বড় ছিলো... গোঁফের অত্যাচারে আমার উপরের ঠোঁট নিরুদ্ধেশ ছিলো। তেমন দিনে একদিন এক নারী বললো আমার যে এই এত দাড়ি গোঁফ... উহার কারনে আমার কিস করতে সমস্যা হয় না?
তারপরে আর দাড়ি গোঁফ রাখা হয় নাই।

দাড়ি গোঁফ নিয়া নির্মলেন্দু গুণের একটা মজার গল্প আছে। আজ তাঁর জন্মদিন... সেই উপলক্ষে গপটা বলি...
একবার তিনি ময়মনসিংহ যাইতেছেন ট্রেনে... সেই ট্রেনে উঠলো কিছু হুজুর। তারা তো দাড়ি গোঁফে ঢাকা নির্মলেন্দু গুণরে ভাবলেন কোনও বুজুর্গ আওলিয়া বুঝি... কাছে আইসা সালাম দিয়া জিগাইলেন হুজুর... আপনের এই যে বড় বড় মোচ... আপনার পানি মাকরুহ হয় না? গুণদা জবাব দিলেন আমি তো পানি পান করি না...
এই শুনিয়া হুজুরো তো অবাক... এতো দেখি মস্ত বড় কামেল ব্যক্তি... পানি ছাড়াই চলে?
তাদের অবাক বিস্মিত দৃষ্টির দিকে তাকায়ে গুণ বললেন আমি পানি পান করি না... মদ খাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এনকিদু এর ছবি

তারপরে আর দাড়ি গোঁফ রাখা হয় নাই।

দাড়ি গোঁফ তো বাদ দিয়েছেন বুঝলাম, কিন্তু চুম্বনে কি আদৌ কোন সুবিধা হয়েছে তাতে ? অবশ্য দাড়ি সহ আর ছাড়া দুই রকম চুম্বনের পার্থক্য বুঝতে হলে দাড়ি নিয়েও গোটা কয়েক চুম্বনের অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন, জীবনের সেই অংশ সম্পর্কে নজু ভাই কোন আলোকপাত করেননি ।

আমি পানি পান করি না... মদ খাই।

ঠিকই আছে, পানি পান করে কে কবে বড় আউলিয়া হয়েছেন শুনি ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রায়হান আবীর এর ছবি

কয়েকদিন পর বিএসসি পাশ করুম, কিন্তু আফসোস এখনতরি আমার দাড়ি উঠেনাই। সবাই আমারে মাকুন্দা কয়। ওঁয়া ওঁয়া

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

এনকিদু এর ছবি

তুমিতো এখনো ছোট মানুষ, ছবি দেখেই বুঝেছি । চিন্তা করো না, বড় হয়ে তোমারো হবে ।

আর একান্তই যদি না হয় তবে স্বান্তনা তো আছেই সবজান্তার মন্তব্যে, "দাড়ি ফাড়ি এগুলো বি,এস,সি ইঞ্জিনিয়ারের থাকে না, ডিপ্লোমাদের থাকে " খাইছে


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

পুতুল এর ছবি

চলুক, সময় নিয়ে পড়ব।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

এনকিদু এর ছবি

কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ । আপনার তুলনায় আমার লেখা কিছুই না । কিছুনা লেখা যখন সময় নিয়ে পড়বেন বলেছেন, এর পরের খন্ডটাও একটু সময় নিয়ে ঠিক ঠাক মত লিখব ভাবছি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

হায় হায় দুনিয়ার দেঁড়েল দেখি এক হইতাছে...

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

এনকিদু এর ছবি

আপনিও আমাদের দলে চলে আসুন । খুব সোজা । বাড়ি গিয়ে দাড়ি কামানর যন্ত্রটা ফেলে দিন ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রণদীপম বসু এর ছবি

আপনিও আমাদের দলে চলে আসুন । খুব সোজা । বাড়ি গিয়ে দাড়ি কামানর যন্ত্রটা ফেলে দিন ।

হাহ্ হা ! এইবার দাড়ির পক্ষে আইছে !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

এনকিদু এর ছবি

ঐ মিয়া, আপনি তিন দিন ধরে আমারে দাড়ির বিপক্ষের শক্তি মনে করে সেম সাইডে গোল দেয়ার চেষ্টা করতেছেন । এইবার থামেন তো ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

স্পর্শ এর ছবি

চমৎকার লেখা !! কিন্তু
দাড়্ই রাখলে যে সোয়াব হয় সেইটাই লেখনাই তো !!!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

এনকিদু এর ছবি

আপনার কি মনে হয় আমি ধর্মীয় বকর বকর দিয়ে আমার সুন্দর একটা ব্লগর ব্লগর ময়লা করব ? দাড়ি রাখলে সওয়াব হয় কি না সেটা বলার জন্য একদল লোক জুটে গেছে অনেক আগেই । আমি চেষ্টা করছি বিভিন্ন সংস্কৃতিতে দাড়ির ভূমিকা সম্পর্কে অজানা জিনিস গুলোর উপর হাল্কা আলোকপাত করতে । নাই কাজ তো খই ভাজ ধরনের একটা গবেষণা বলতে পারেন ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।