এক বড় ভাইয়ের স্কুল-কলেজের বন্ধু বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত আছেন । এই ভদ্রলোক নিয়মিত ভাবে তার কলেজের সহপাঠীদের সাতে ইমেইলে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকেন । তার দুটি ইমেইল সম্প্রতি আমি পেয়েছি সেই পরিচিত বড়ভাই মারফত । পাঠক নিজেই পড়ে দেখুন ।
ইমেইল ১
----------------------------------------------------------------------------------------
Tuesday, November 4, 2008
Just today we have arrived in our home land! But not in happy mood in an angry roaring mood! We went to carry out exercise in qatar but here somethings were happening! We will not accept their unruly illegal occuring over our dreamest dearest motherland! May be tomorrow we will be joining to defend them to save our piece of land! If we bloody die even we dont bother! We have you the mass people! We have your passions your dedications your well wishes! We all want to die their with honour, with pride! Perhaps they got weapons, they got china, they got damn fucken usa, uk oil companies! Do we care? Absolutely not! If they dont listen good words they will see some good fires on their ass definitely! I would love them escaping to see before i die! Please if i die even in incoming maritime war, if my poor body not found in my lovely home sea, then dont be left with crying for me! Just join us to uplift us to resist their aggression! You all of my soulmate our
hope to fight them! And we are there to let you sleep everyday in your home with peace! So pray for our sleepless endurence! For our bloodless victory if possible! If not then dont burry me before our victory!
Thanks a lot to Almighty to give me such grand oppurtunity to die! I hope they will understand us, they will leave us with respect not with fear! If not then may fear gets them with bloody death! Allah hafiz!
----------------------------------------------------------------------------------------
ইমেইল২
----------------------------------------------------------------------------------------
Sent: Friday, November 7, 2008
Subject: Present situation detoriates!
Yester day again myanmar denied to suspend their all oil gas rig exploration activities! So we are now ready. But why our mass people are not informed? I am not getting at all! Surprisingly we are showing our interest on new elected president, our conventional elections, etc. Why media is keeping silence in every pages?
May be government does not want to get their people panic! Ha ha ha! Who cares if they occupy our land, sea? Never mind! I am preparing my ship for deployment now. But i will be going on board khalid bin walid.
How are you all fine? Allah hafiz.
----------------------------------------------------------------------------------------
মন্তব্য
আমাদের উৎকণ্ঠা এবং শুভকামনা সাথে থাকবে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ডিটেইল জানার উপায় কি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কোন নৌসেনা বা নৌসেনা কর্মকর্তার সাথে পরিচয় থাকলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন ।
-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
মাফ করবেন, তবে কেমন যেন একটু ইয়ে মনে হচ্ছে। প্রথমত: আমার অভিজ্ঞতায় যারা সামরিক বাহিনীর উঁচু-নীচু বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেন, তাদের ইংরেজী ব্যকরণটা এর চেয়ে অনেক বেশী সঠিক হয়। আর দ্বীতিয়ত: এটা ঠিক সামরিক বাহিনীর পেশাদারীত্বের মধ্যে পড়ে না যে তারা এরকম কিছু তথ্য "ব্লাডি সিভিলিয়ান"দের সাথে শেয়ার করবে। আপনার "সোর্স" কতটুকু নির্ভরযোগ্য?
এই ইমেইল গুলোতে ব্যকরণের মাবাপ নেই তা আমিও জানি । এটা অন্তরঙ্গ বন্ধু ও সহপাঠীদের মেইল গ্রুপে করা একটি ইমেইল । যেসব ব্যাকরণগত ত্রুটি আর গালাগাল দেখা যাচ্ছে সবই বন্ধু মহলে প্রচলিত 'উপ ভাষা' ।
" আমার সোর্স " বলতে এখানে কিছু নেই । আমি একটা খবর পেয়েছি, সবার সাথে ভাগাভাগি করা দরকার বলে মনে করেছি তাই সচলে পোস্টিয়েছি । আপনার যদি এই প্রসঙ্গে আরো ভাল কিছু জানা থাকে দয়া করে আমাদের সাথে তথ্যটি ভাগাভাগি করুন ।
-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
তাদের ইংরেজী ব্যকরন সঠিক হয় !!
আপনার সাথে আমার জানার একটু প্রভেদ আছে ।
ধন্যবাদ। না, আমার এর চেয়ে বেশী কিছু জানা নেই।
আমরা তো এতটুকুই জানি যে, আমাদের পররাষ্ট্র সচিবকে মায়ানমার পাঠানো হয়েছে আলোচনার মাধ্যমে এর একটা সুরাহা করতে। যদিও তখনো বঙ্গোপসাগরে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছিলো।
আর খুব সম্ভবত গতকালের পত্রিকায় দেখলাম খবর হয়েছে যে, মায়ানমার তেল অনুসন্ধানী রিগগুলো উঠিয়ে ফেলছে।
কিন্তু বর্তমান প্রকৃত অবস্থা কী, তা কি আর জানার উপায় আছে ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
বংগোপসাগরে যা হচ্ছে তা হলে (ক) নেপোয় মারে দই, আর (খ) জেবতিক দাদার ভাষায় যাকে বলে 'আসুন মেরে দিয়া যান'।
ভাল কথা, বাংলাদেশী ফ্রিগেটটাও তো চাইনিজ না কি?
এই খবর সেদিন বিবিসিতে পড়লাম। বার্মা নাকি বঙ্গোপসাগরে বেশ স্পর্ধার সাথেই দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। একটা যুদ্ধ কি আসন্ন?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
পাছার লুঙ্গি তুইলা পিটান উচিত হালাগো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
যুদ্ধ ভাল না ।
-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
শালার সব খানেই সমস্যা।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আমার পর্যবেক্ষণ:
চীনের বড় সহানুভুতি আছে মায়ানমারের প্রতি। এটা গত ভিক্ষু আন্দোলনের সময় নগ্নভাবে স্পষ্ট হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে কেবল সহানুভুতি না, তারা সক্রিয় সমর্থক। ইফতেখার সাহেব, মায়ানমারের কার্যকলাপের বিষয়ে নালিশ করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূতের কাছে। আশা করেছেন চীন একটা কিছু করবে।
সরকার ফ্রিগেট যদিও পাঠিয়েছে, কিন্তু তাদেরকে কী বলে দেয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। কারণ কয়েকদিনের খবর পড়ে বোঝাই যাচ্ছে মায়ানমার গা করছে না।
আমার কোনো ধারণা নেই কেন এই ব্যাপার নিয়ে যুদ্ধের মত পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। অনেক কাল আগেই এ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা ওঠা উচিত ছিল। সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করা এমনিতেই খুব জটিল। সুতরাং, সমুদ্রের রিসোর্স নিয়ে সমস্যা তৈরী হলে সেটা যে কারও দিকে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক আদালতে এই ইস্যুতে অসংখ্য মামলা হয়েছে আর হয়েও চলেছে। যখন এই দক্ষিণ কোরিয় কোম্পানীকে বরাত দেওয়া হল তেল অনুসন্ধানের জন্য তখনই এ নিয়ে মামলা করা উচিত ছিল। দুপক্ষ নিজ অবস্থানে অনড় থাকলে, আমি জানি না অসংখ্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠক থেকে আদপে কি পাওয়া যায়। সুতরাং আপাতত ঝামেলা চলবেই ...
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আমি যতোদূর জানি বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে অনুসন্ধানরত কোরিয়ান কোম্পানিকে কাজ গুটাতে বলেছে কোরিয়ান সরকার ।
সেক্ষেত্রে হয়তো অনুসন্ধান সাময়িক বন্ধ থাকবে । কিন্তু পরবর্তীতে যে চায়নার কোম্পানি এখানে আসবে না এমন কথা নেই ।
পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান কাম্য । কিন্তু শক্তি প্রয়োগে বাধ্য করা হলে ,বাংলাদেশের উচিত হবে সেই পথে যাওয়া ।
বাংলাদেশের কূটনৈতিক উদ্যোগগুলো আমার ভালো লেগেছে । সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য তারা আপ্রান চেষ্টা করছে । আন্তর্জাতিক ভাবে চেষ্টা করছে , প্রতিনিধি পাঠিয়েছে মায়ানমারে ।
তবু শেষ পর্যন্ত কিছু হলে , বাংলাদেশের উচিত রুখে দাড়ানো ।
মনে হইতেছে বেশ ঝামেলাই হবে। চীন ইতোমধ্যে চোখ রাঙানি দিছে। সমূদ্র সীমা নির্ধারণ বিষয়ে ভারতের সাথেও টুকটাক ঝামেলা আছে।
শেষতক এইটা বাংলাদেশ বার্মা কারো পকেটেই যাবে বলে মনে হয় না। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলারে এই সম্পদের হিস্যা কে কত্টুক দিবে সেইটা নিয়া গোপনে একটা দর কষাকষি হইতে পারে। সেই পথেই মীমাংসা হবে বলে মনে হইতেছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই নিয়ে কিছু সংবাদ পড়ে আমার ইংরেজী ব্লগে সারাংশ লেখার চেষ্টা করেছি - ওখানে বিস্তারিত পাবেন।
মেরিটাইম বাউন্ডারি নিয়ে ডিসপুটটা রয়ে গেছে কারন বাংলাদেশ ইকুইটি মেথডে মেরিটাইম বাউন্ডারী ক্লেইম করছে। আর ভারত আর বার্মার সাথে আগেই সমঝোতা হয়ে গেছে ইকুই- ডিসট্যান্স মেথডে হিসাব নিকাশ করে। এরকম ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে ধর্ণা দেয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
ভারত/বার্মার ক্লেইম:
বাংলাদেশের ক্লেইম:
বার্মা ও বাংলাদেশ কিছুদিন আগেও একমত হয়েছিল যে বিতর্কিত স্থানে তারা কোন উত্তোলনে যাবে না। বাংলাদেশ কথা রেখেছে আর বার্মা যে এই ঔদ্ধত্বতা দেখাচ্ছে সেটা নিশ্চয়ই গভীর কোন রাজনৈতিক চাল। সাথে সংশ্লিষ্ট অন্য কিছু দেশেরও স্বার্থ জড়িত আছে এখানে।
তবে মূল ব্যাপার হচ্ছে:
None of the countries in this region so far claimed their marine boundaries before the United Nations (UN). India and Myanmar agreed territory between themselves but they need to solve the maritime boundary issues with Bangladesh as they are set to file their claim to the United Nations on June 29 and May 21, 2009, respectively. Under the U.N. Convention on the Law of the Sea (UNCLOS), Bangladesh too has to file its claim within July 27, 2011.
এখানে গায়ের জোরে কেউ বিতর্কিত জায়গা দখল করতে পারার কথা না।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
নতুন মন্তব্য করুন