০,২ সবার জন্য । ১ সবাই নাও বুঝতে পারেন, সমস্যা হলে নিরাপদে বাদ দিয়ে ০ এর পর ২ তে চলে যান ।
০
আমি একসময় অরকুট, ফেসবুক সবখানে নিজের পরিচয় লিখতাম বাতিকগ্রস্থ মানুষ হিসেবে । সেই সময় মাথায় অনেক মজার মজার বাতিক চাপত । বাতিক চাপলে লাভ যা হয়, যেভাবেই হোক কাজটা করা হয়ে যায় । এই ব্লগে বহুদিন কোন বাতিকের কথা বলিনা, তাই আজকে পুরাতন একটা বাতিকের কথা লিখলাম ।
গতবার বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় বুয়েটে একটা বিশ্রী ঘটনা ঘটেছিল । এর ফলে আমাদের পরীক্ষার আগের ছুটিটা, যাকে আমরা বুয়েটের ভাষায় PL বলি, সেটা বিরাট লম্বা হয়ে গেল । এই সুযোগে ফুটবল প্রেমীরা খুব মজা করে ফুটবল দেখল । আমি নিজেও ফুটবল ( আসলে যে কোন খেলাই ) খুব পছন্দ করি । কিন্তু শুধুই খেলতে । টিভিতে দেখতে আমার খুব একটা আনন্দ হয়না, যদিনা একটা দল বাংলাদেশ হয় । ইউরোপ না আমেরিকার মাঠে কোন শালা এক ফুটবল না ক্রিকেট কি খেলছে দেখে আমার কোনই আনন্দ হয়না । আজকাল সবাই দেখি এই সব শালাদের নাম ধাম আরো কত কিছুর খবর রাখে, আমি তাও রাখিনা । অনেক ফুটবলপ্রেমী (ক্রিকেট প্রেমীদেরও হয়ত) পাঠকের মনে দুঃখ দিচ্ছি জানি । কিন্তু কী করব বলুন, আমি মানুষটাই এরকম ।
আমাকে একটা বল নিয়ে মাঠে নামতে দিলে তখন অবশ্য আলাদা কথা । মহা আনন্দে দৌড়া-দৌড়ি করি । আমি মেট্রিক পরীক্ষার সময়ও প্রত্যেকদিন বিকালে টানা দেড় ঘন্টা মাঠে দৌড়ে ফুটবল খেলেছি । যাহোক, এসব কথা অন্য প্রসঙ্গে । মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি ।
যারা খেলা দেখত তাদের সারা রাত জেগে খেলা দেখার পর সকালে ঘুম দিয়ে তারপর দুপুর বিকালে খেলা নিয়ে ঝগড়া ঝাটি করা লাগে । আমি তো খেলাই দেখিনা । কাজেই ফুটবলের PL টা আমার জন্য একশতভাগ কাজে লাগানর মত সময়ে পরিনত হল ।
১
আমার এক বন্ধু আছে, আগের এক পোস্টে তাকে মাচুপিচু নামে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম । সেবার বিরাট অবসর পেয়ে আমি আর মাচুপিচু বেশ কিছু আজব কাজ করেছিলাম । তার একটা ছিল Joystick তৈরী করা । ইন্টারফেসিং এর কাজে মাচুপিচু সবসময়ই খুব ভাল, আমাদের পরিচিত জনেরা ভাল করেই জানেন । একবার পুরো ক্লাসের হয়ে মাচুপিচু একাই একটা sessional এর জন্য ইন্টারফেসিং সার্কিট বানিয়ে এবং প্রোগ্রামিং করে আমাদেরকে ঐ কোর্সটা পার করিয়ে দিয়েছিল । সে শুধু জিনিষটা বানিয়েই নিজের দায়িত্ব শেষ করেনি, আমরা যেন ভাইভাতে লেজে-গোবরে করে না ফেলি সেজন্য আমাদেরকে একঘন্টা ধরে ইএমই বিল্ডিং এর ৫০৩-এ একটা একঘন্টার ক্লাস ও নিয়েছিল মাচুপিচু । অবশ্য সেটা ওর বহুমুখী প্রতিভার একটা দিক মাত্র ।
যাই হোক, সেবার ইন্টারনেট ঘেঁটে joysctick এর সার্কিটটা প্রথমে দাঁড়া করায় মাচুপিচু । সাধারনত লোকে সার্কিট ডিজাইন বলতে বুঝে একটা কাগজে সার্কিট ডায়াগ্রাম । কিন্তু মাচুপিচুর ভাষায় ডিজাইন মানে হল সেই সার্কিট তৈরী করে, নিজের কম্পিউটারের সাথে ইন্টারফেসিং করে, কিছু টেস্টিং ডিবাগিং করে নিশ্চিত হয়ে নিয়ে তারপর সেটা অন্যদেরকে দেখানোর জন্য কাগজে আঁকা । মাচুপিচুর এসব অভ্যাস আমার জানা আছে, তাই সে যদি বলে " অমুক কাজ করা সম্ভব " আমি ৮০% বিশ্বাস করি বা একমত হই । বাকি ২০% হল implementation detail.
যন্ত্রটার মূলনীতি মোটামুটি এরকম :
Joystick এর দুইটা অক্ষ থাকে X,Y । প্রত্যেক অক্ষে translation পরিমাপ করার ব্যবস্থা করতে হয় । পরিমাপ টা করতে হবে voltage হ্রাস-বৃদ্ধির মাধ্যমে । একটা করে Pot(potenciometer) ব্যবহার করে সেই voltage হ্রাস-বৃদ্ধির কাজটা করা যায় । সেই voltage থেকে digital data তৈরী করার জন্য ব্যবহার করতে হবে দুইটা ADC(analgo to digital converter), চাইলে একটা MUX এর সাথে একটা ADC ও ব্যবহার করা যায় ।
এইবার একটু implementation detail :
আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আপাতত শুধু একটি অক্ষের জন্য জিনিষটা বানাব, পরে সময় পেলে অন্য অক্ষের কথা ভাবা যাবে । আমরা তখনো জানতাম না যে আমাদের PL আরো ২ মাস বাড়বে ! রেসিং গেম খেলার জন্য আজকার গাড়ির স্টিয়ারিং হুইলের মত joystick কিনতে পাওয়া যায়, অনেকেই দেখে থাকবেন । ঐজিনিষটা এক অক্ষের উপরেই কাজ করে । আমরাও সেটা বানাব বলে ঠিক করলাম । একটা আনুভুমিক দন্ড (যাকে দুই হাত দিয়ে ধরে ঘুরান যায়) আর একটা উলম্ব দন্ড (যা নড়বে না) থাকবে । আনুভুমিক দন্ডের ফালক্রামের কাজ করবে একটা POT যার গোড়াটা উলম্ব দন্ডের সাথে আটকান খুব শক্ত করে আর POT এর knob টা (যেই জিনিষটা ঘুরিয়ে আমরা POT এর রোধ পরিবর্তন করি) আনুভুমিক দন্ডের কেন্দ্রের সাথে শক্ত করে আটাকান থাকবে । Joystick এ কিছু বাটন থাকতে হয় (গুলি মারার জন্য), সাধারনত সুন্দর রাবারের তৈরী গোলাকৃতি বাটন থাকে । আমাদের কাছে ঐ বস্তু ছিলনা, আমরা কলিং-বেল দিয়ে সেই কাজ টা করলাম । এইবার এইসম্ত পয়েন্ট থেকে তার টেনে সংযোগ দিতে হবে MUX,ADC এসবের সাথে । MUX, ADC ইত্যাদির আন্তঃসংযোগ একটু জটিল । কিন্তু মজার ব্যাপার হল, কম্পিউটারের গেম পোর্টের ভেতরে ঐসব জিনিষ বসান আছে । নতুন করে ঐ অংশটা বানানোর কোন দরকার নাই ! শুধু তার টেনে গেম পোর্টের সঠিক পিনের মধ্যে দিয়ে দিলেই কাজ শেষ ।
২
তাহলে মোদ্দা কথা হল, ১/২ টা POT আর ২টা বাটন থেকে তার টেনে এনে গেম পোর্টের সঠিক পিনের মধ্যে দিয়ে দিতে পারলেই joystick হয়ে গেল ! মোটেও আহামরি কোন ব্যাপার না । দোকানের একটা joystick এ কী কী থাকে ? সুন্দর প্লাস্টিকের কেসিং থাকে, গোল-গোল রাবারের বাটন থাকে, সুদর্সন কিছু knob,wheel,leaver ইত্যাদি । অধিকাংশ জিনিষই প্লাস্টিক বা রাবারের তৈরী । আর ভেতরে থাকে কিছু তামার তার । আর লেখা থাকে "মেড ইন ..." । ডটডট স্থলে বিলাত প্রভৃতি উন্নত দেশের নাম বসিয়ে নিয়েন নিজের রুচি মত ।
বুদ্ধিমান পাঠক এবার একটু হিসাব করে দেখতে পারেন একটা joystick / gamepad তৈরী করতে কি পরিমান খরচ হয় আর আমাদের কাছে বিক্রি করে কি পরিমান আয় হয় । আয় ব্যয়ের অনুপাত ১০ এর কাছাকাছি । এসব ঘোড়ার-ডিম যন্ত্র বিদেশ থেকে আমদানী হয়, তারপর চড়া দামে দেশের বাজারে বিক্রি হয় ! যেই জিনিষ নিজের হাতেই বানান যায়, সেটা আবার পয়সা খরচ করে বিদেশ থেকে আমদানী করে আনার কোন মানে হয় ?
আর সবার কথা বাদ দিলাম, কিন্তু আমরা যারা Computer Science and Engineering, Electrical and Electronics Engineering, Electrical and Commnication Engineering ইত্যাদি গালভরা নামের বিষয়ে লেখাপড়া করি বা করেছি, আমাদের জন্য তো এই কাজ ডাল-ভাত । কাজেই আমি মনে করি আমাদের এখানে একটা কিছু দায়িত্ব আছে ।
যাহোক, সেবার আমাদের কাছে প্লাস্টিক ছিলনা, আমরা কাঠের তক্তা কেটে কাজ করেছিলাম । জিনিষটা দেখতে একটা বদখত কাঠের খেলনার মত হয়েছিল , কিন্তু কাজ করত বেশ ভালই । আমার এক বন্ধু আছে NFS এর পোকা । তাকে দিয়ে আমি ঐ যন্ত্রটা ব্যবহার করিয়ে মতামত নিয়েছিলাম, expert's opinion আর কি । তার মতামত ছিল, "আমাকেও এরকম একটা বানিয়ে দে ।"
মন্তব্য
বস, এ কি খেল দেখাইলেন, জয়স্টিক (প্রমোদকাঠি) বানানো এত সোজা, আমারে একটা বানায় দিবেন বস? একটু NFS খেলতে মন্চায় . পুরা স্টিয়ারিং বানায় ফালাইসেন, ধোলাইখাল থিকা আপনারে একটা আসল স্টিয়ারিং আইনা দিলে তো আপনে চরম একটা প্রমোদকাঠি বানায় ফালাইবেন।
বানিয়ে দেয়া যাবে, আমার ধারনা একটু চেষ্টা করলে আপনিও নিজেই বানিয়ে নিতে পারবেন । ধোলাইখাল থেকে জিনিসপত্র কিনে একটা সিম্যুলেটর বানানর ইচ্ছাও ছিল, পরে আর সেই প্রজেক্টে কাজ করা হয় নি সময়ের অভাবে । এই ঘটনা যখনের, তখনি একবার ডিসকভারি চ্যানেলে দেখেছিলাম আমেরিকার সৈন্যরা ট্যাংকের সিম্যুলেটর দিয়ে ট্যাংক চালান শিখছে । তখনি ভেবেছিলাম, একটা গাড়ি চালানর সিম্যুলেটর বানিয়ে ফেলা যায় সহজেই ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
প্রথমে মনে করতেসিলাম যে বুঝতে পারবোনা কিছুই। কারণ আমি ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র না। ডায়াগ্রাম হাবিজাবি দেখে ভয়ই পেয়ে গেছিলাম। কিন্তু পড়ার পর দেখলাম বুঝতে পারতেসি। সহজ কথায় লেখা মোটামুটি। একশতভাগ না বুঝলেও ধারণাটা যে হজম করতে পারলাম সেকথা বলাই বাহুল্য। বাংলাদেশে আসলে অনেক কিছুই হয়না উদ্যোগের অভাবে। জয়স্টিকের চাইতে সহজ জিনিসগুলোও আমাদের আমদানী করতে হয়। খুবই দুঃখজনক।
--------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
আমিও এই কথাগুলোই বলতে চেয়েছিলাম । বুঝতে পেরেছ জেনে ভাল লাগছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
দারি দেয়ার আগে স্পেন দিয়েন না। দিলে দারিটা শব্দকে ছেড়ে মাঝে মাঝে অন্য লাইনে চলে যায়। 'শব্দ' আর 'দারি'কে একসাথে অদৃশ্য দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়।
ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ, ভবিষ্যতে খেয়াল রাখব ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
জোসসসস! এই জিনিষ আপনারা বাজারজাত করা শুরু করে দেন।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
আমি মিস্ত্রী । তাও আনাড়ী মানের । যন্ত্রে 'য' টা বুঝি, কিন্তু বাজারের 'ব' ও বুঝিনা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
জয়স্টিকের হরমোন নাই বলে বুঝি নাই!
আচ্ছা, আপনার জন্য সহজ করে দেই । এটা একটা খেলনা । মেয়েরা এইটা দিয়ে গেম খেলে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
পোস্ট ভালো লাগলো। বুঝলাম আমরা কত গর্ধভ। দেশের টাকা হুদাই নষ্ট করতাছি।
আফসোস... এখন আর আমার গেইমস খেলার ধৈর্য নাই। থাকলে নেক্সট বন্ধে এই কাজে লাইগা পড়তাম। (শুনতেছি সামনের মাসে লেভেল-৩, টার্ম-২ পরীক্ষার পরে নাকি মাস দুই বন্ধ পাবো, নাউযুবিল্লাহ)
______________________________________
আমার গরল বন্ধুরা সব কই রে !!!
______________________________________
লীন
নাউযুবিল্লাহ কেন ? সময়টা কাজে লাগাও । যেটা তোমার এক্তিয়ারের বাইরে সেটা নিয়ে হতাশ হয়ে কী হবে ? তুমি চাইলেই কি ৩-২ এর পরীক্ষা এগিয়ে বা পিছিয়ে দিতে পারবে ।
কিন্তু তুমি চাইলেই এই অতিরিক্ত অবসরে অনেক ছোট বড় কাজ করে ফেলতে পার । এই ব্যাপারটা তোমারি হাতে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
জ্বি ভাইয়া সেটা ঠিক কথা।
কিন্তু বুয়েট থেকে বের হতে চাই যত দ্রুত সম্ভব।
পাস করতে দেরী হয়ে যাচ্ছে।
______________________________________
আমার গরল বন্ধুরা সব কই রে !!!
______________________________________
লীন
জোশ।
তয় আমিও গালভরা বিষয়ে পইড়াই ক্ষান্ত। কামের কাম কিচ্ছু শিখি নাই।
এত সহজেই হতাশ হও কেন বুঝিনা । মহিশের মত গোঁ ধরে গুঁতিয়ে যেতে থাক । সব সময় ভদ্র লোকের পথে হাঁটলে চলেনা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
মাচুপিচু ভাই-এর ইন্টারফেসিং প্রজেক্টের কথা লেখলেন না!! ওইটার বর্ণনা শুনেতো মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল!! এই জয়স্টিক কবে করছিলেন উনি??
---------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক
ভাল কথা মনে করিয়েছ । মাচুপিচুর ইন্টারফেসিং প্রজেক্টটা লেখা যেতে পারে ।
জয়স্টিকটা ফুটবলের পি এল এর সময় করা । উপরে লিখেছি, খেয়াল করনি মনে হয় । তোমরা তখনো মনে হয় ভর্তি হওনি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সেই পি এল দিয়েই তো বুয়েট জীবন শুরু করলাম। মনে হয় সেই বিশ্বকাপ দিয়ে শেষ করব!!
-----------------------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক
আমারে কম্পিউটারের জন্য এক্টা বানায় দেন। ব্যভার করে মতামত দিতে চাই
আচ্ছা, সময় পেলে আবার যখন এই প্রজেক্টে হাত দিব তখন ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
০, ১ এবং ২ সবটাই মোটামুটি বুঝতে পারছি। আমিও NFS এর পুরা সেকু্যয়েলের ভক্ত। আপনাদের জিনিসটা দিয়ে ডান বাম ভালোই হবে বুঝতেছি। Force Feedback নিশ্চয়ই পরের ধাপ, নাকি?!!!
ঐটা না হইলে তো মজা কমে যাবে!! আমি Thrustmaster ব্যবহার করি। কঠিন মজা রে ভাই।
জানিনা পরের ধাপ কি । আবার কবে এই প্রজেক্টে হাত লাগাব নিজেও জানিনা । বলেছিনা, এগুলো সব বাতিকের ঠেলায় করা । আবার কবে বাতিক উঠবে কে জানে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
- কম্প্যুগেম তো খেলছি সেই আণ্ডাবাচ্চা আমলে। এখন মাঠে নামারও ইয়ে পাই না, নাইলে বিদেশী খেলোয়াড়দের নামধামঠায়ঠিকানা মুখস্ত রাখার চেয়ে ঐটাই আমার কাছে বেশি প্রিয়। এখন অবশ্য আমিও জানি না কোন খেলোয়াড় কোন দলে খেলে, কার কী বৃত্তান্ত! এই যেমন সেদিন কাকে (জনৈক ভারতীয়) জানি জিজ্ঞেস করে ফেললাম, "আচ্ছা ইণ্ডিয়ার ক্যাপ্টেনের নাম কী?"
আপনার কাজকর্মে বেশ উৎসাহ পাই। এই কাজগুলো প্রফেশনাল লেভেলে করা যায় কীনা একটু ভেবে দেইখেন। এভাবে আপনাদের মতো কেউ কেউ এগিয়ে এলেই কিন্তু হয়ে যায়, একটু একটু করে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত হয়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
হুঁ, পায়ের তলার মাটি তো শক্ত করতেই হবে । এর কোন বিকল্প নাই ।
সমস্যা হল এরকম একটা জিনিস একেবারে ফিনিশড প্রডাক্ট করে বাজারে ছাড়তে হলে অনেক রকম পথ ঘাট ঘুরে আসতে হয় । তার মধ্যে প্রকৌশল বা প্রযুক্তির সাথে জড়িত অংশটা বাদ দিলে থাকে আইনগত অনেক রকম মারপ্যাঁচ । কোম্পানি খুলতে হবে । লাইসেন্স লাগবে । আরো অনেক কিছু । এগুলো বিষয়ে আমার কোনই জ্ঞান নেই । চাইলে হয়তো ঠেলাঠেলি করে এগুলোও শিখে নিতে পারব - অনেকেই তো শিখে ফেলেন । কিন্তু আমার আশঙ্কা হল, তখন দেখা যাবে আমি নিজে আর সার্কিট ডিজাইন করতে পারছিনা । সারাদিন উকিল ফুকিল এর পিছে দৌড়ে দৌড়ে শেষ ।
এইসব অবৈজ্ঞানিক ব্যাপার গুলো বাদ দিলেও অনেক জটিলতা আছে । সোজা বাংলায় বলতে গেলে একটা ফ্যাক্টরি দরকার । প্লাস্টিকের মেশিন পার্টস তৈরী হবে ডাইসে । পাশেই হয়ত পিসিবি তে সার্কিট প্রিন্ট হবে । সেগুলো অ্যাসেম্বল করতে হবে । তারপর প্যাকেজিং ইত্যাদি করে বাজারে ছাড়ার উপযোগী হবে । একটা প্লাস্টিক ফ্যাক্টরির মালিকের মেয়ে বিয়ে করতে পারলে ভাল হয় ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
- সাধে কি আর বলি উৎসাহ পাই? আপনার আইডিয়াটা মনে ধরছে। ঈমানে কই, হাতে কিছু টাকা পয়সা থাকলে এখনই উড়াল দিতাম দেশে। তারপর একসাথে মিলে জটিল ব্যাপারগুলোকে সহজ করার একটা ট্রাই দিতাম!
আপনি যদি দেশে থাকেন, তাইলে বস ফিরে আসার একটা অ্যাটেম্প্ট নেয়া যায় বৈকি! এখন কথা হইলো, আমার মতো অকালকুষ্মাণ্ড কোনো কাজে আসতে পারবে কিনা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কোন আইডিয়াটা মনে ধরল ? প্লাস্টিক ফ্যাক্টরির মালিকের মেয়ে ?
চলেন তাইলে দুইজন প্লাস্টিক ফ্যাক্টরির মালিকের দুই মেয়েকে বিয়ে করে ফেলি ।
পাত্তি জমান । পাত্তি খুব ভাল জিনিস । হুদাই " অর্থ সকল অনর্থের মূল " - এরকম হীনবীর্য প্রবাদ স্কুলে শিখিয়ে আমাদেরকে পঙ্গু বানিয়ে রাখে । কখনো স্বীকার করতে চায়না যে আমার তূল্য রোধ কম । টাকা পাইলেই শর্ট সার্কিট হয়ে যাই ।
পাত্তি জমিয়ে ভাল মত সময় করে দেশে আসেন যদি একান্তই আসতে চান । তাড়াহুড়া করার কিছু নাই । আমি না থাকলেও কেউ না কেউ থাকবেই ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
চরম
রসিকতার মাঝেও এনকিদু বস টেকনিদু
চমৎকার কাজ করেছেন! এরকম নানারকম 'বাতিকে' পড়ে করা কাজগুলো খুবই প্রেরণা দেয়। যেমন আমি মোটামুটি লজিক বা প্রণালীটা বুঝেছি এবং আমারও মনে হচ্ছে এরকম কিছু একটা বানাতে পারলে বেশ হতো!
ফুটবলের সেই গণ্ডগোলে আমি মনে হয় ঘুমিয়েছিলাম, আর মুভি দেখেছিলাম।
হাঁ, প্রনালীটা আসলেই সহজ । কয়েকটা সংযোগ ছাড়া আর কিছুই থাকেনা একটা গড়পরতা জয়স্টিকে । আমাকে এখন সব কিছুর যোগান দিয়ে তারপর হাতে বানাতে বললে আমি এক ঘন্টায় বানিয়ে দিতে পারব । এতই সোজা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
0 নাম্বার পয়েন্ট পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো অংশটা আমি নিজে লিখেছি !!!
তোমাদের মতো আরো কিছু ছানাপোনা বুয়েটে পয়দা করে আসতে পারছো তো?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
"ছানা পোনা" , "পয়দা" ??
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
কদু ভাই, আপনি মিয়া আপাদমস্তক এক প্রতিভা! পারেনও বটে! এইসব দেখলে খালি হিংসা হয়। জীবনে বলার মতো কিছুই করতে পারলাম না, শিখতেও পারলাম না। বানর থেকে মানুষ হয়েছি বটে, কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তি এখনও সেই পর্যায়েই রয়ে গেছে মনে হয়, অথবা তারচেয়েও নিচে!
"বানর থেকে মানুষ হয়েছি বটে..."
আপনার এই রূপান্তর আবার কবে ঘটলো?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
তবে কি দিদি বলচেন যে আমি এখনো বানরই আছি?
আহা, তাই তো বলি, নিজেকে কেন মানুষ বলে মেনে নিতেই পারি না!
আমি তো সেরামই সন্দো করি।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি যে আসলেই মানুষ না, তা জানিয়া আশ্বস্ত হইলাম
আপনারা আবার কিসের মধ্যে কি লাগাইলেন ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হ কদু ভাই, দেখেন না! আমার মনের দুঃখ নিয়া শিমুল আপা মশকরা করে
মশকরা কই করলাম?
আমি তো আপনেরে সাপুট দিলাম।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পরিভাষা হিসেবে 'প্রমোদকাঠি' পছন্দ হয়েছে!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
একমত।
______________________________________
আমার গরল বন্ধুরা সব কই রে !!!
______________________________________
লীন
ইহা কি জাহাজ?
আপনার এই কাজগুলো খুব ভালো লাগে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
না উড়োজাহাজ ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
গেমিং এর উপর আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। তবে জয়স্টিক বানানোর কাহিনী বেশ আগ্রহ নিয়েই পড়লাম।
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আয় ব্যয়ের অনুপাত ১০ এর কাছাকাছি ।
এরপরেও কোম্পানীগুলো দেউলিয়া হয় কেনো?
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
মাসে মাসে কর্পোরেট পার্টি দেয় তাই ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
পড়লাম। বুঝলাম। চেষ্টা করলে বানাতেও পারবো।
তবে সমস্যা হচ্ছে আমি যে গেমটা খেলি (EXTEEL) সেটিতে বিভিন্ন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে রবোট মারার এবং একই সাথে নিজেকে প্রতিপক্ষ রবোটের আক্রমন থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন প্রকার শারিরীক কসরৎ করতে হয়।
আপনার এই জয়স্টিক দিয়ে রবোটগুলোকে মারা না গেলেও পিটিয়ে তক্তা বানানো যাবে মনে হচ্ছে!
নতুন মন্তব্য করুন