রসায়নকে কেউ কেউ সবথেকে নীরস নিরানন্দ বিষয় বলে মনে করে । এরকম রস-কষহীন বিষয়ের নাম রসায়ন হওয়াটা নাকি একটা বিশ্রী কৌতূক । আমি দ্বিমত পোষণ করি । কয়েকটি ঘটনা বলি, এরকম অনেকগুলো কারনে রসায়ন জিনিসটা আমার কাছে খুব একটা নীরস মনে হয়না । বেশিরভাগ ঘটনা আমার নিজের অভিজ্ঞতা, আর শেষের ঘটনাটা একটা বই পড়ে জানতে পেরেছি গতকাল রাতে ।
পর্যায় সারনীর কিছু অংশ মুখস্থ রাখা এক সময় অবশ্য কর্তব্য ছিল । সেই আমলে সম্ভবত জেনন পর্যন্ত পর্যায় সারনী মুখস্থ ছিল । এখন সব কিছু ভুলতে ভুলতে আর্গনে এসে ঠেকেছি, তাও মাঝে মাঝে তাল হারিয়ে ফেলি । কিভাবে জেনন পর্যন্ত ৫৪টা মৌলের নাম আর অবস্থান মনে রেখেছিলাম তাও এক মজার ব্যাপার । কয়েকটি এমনিই মনে থাকত । সেই বয়সে নানারকম নিষিদ্ধ বিষয়ে ভীষণ কৌতূহল ছিল, তাই মাথায় সেগুলোই ঘুরত বেশি । বেশ কিছু মৌলের নামের সাথে বিভিন্ন রকম গুহ্যতত্ত্ব যেমন বিপরীত লিঙ্গের মানুষদের ব্যবহার্য অন্তর্বাস ইত্যাদির মিল খুঁজে বের করে মনে রাখতাম । সমস্যায় পড়লাম পঞ্চম পর্যায়ে গিয়ে । কারন জানা সবরকম গুহ্যবিদ্যার শব্দাবলী ইতোমধ্যেই ব্যবহার করে ফেলেছি আগের পর্যায় গুলোতে । আর তা না করা হলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারতাম না, কারন এই পর্যায়ের মৌল গুলোর সাথে ঐসব শব্দের খুব একটা মিল খুঁজে পাচ্ছিনা ।
প্রয়োজনই ঊদ্ভাবনের জননী । আমিও নতুন বুদ্ধি বের করে ফেললাম । সহপাঠীদের নাম আর কান্ড কারখানার সাথে মিল বের করে ফেললাম পঞ্চম পর্যায়ের মৌল গুলোর । এক সহপাঠীর নাম রবি, তার সাথে শ্রডিঞ্জার নিয়ে মাঝে মাঝে আলাপ করতাম । রবি আর শ্রডিঞ্জার পাশাপাশি বসে হয়ে গেল Rb, Sr, Y, Zr এই চারটি । আমার পাশেই বসত নাবিল, তার পাশে মোটকু অভি । হয়ে গেল Nb, Mo, Tc আরো তিনটা । বাকি গুলোর মধ্যে যেই সহপাঠীদের নাম আর কর্মকান্ডের ইঙ্গিত ছিল তা ছাপার অযোগ্য বিধায় বাকিটা বললাম না ।
হাইড্রোজেন সালফাইডের গন্ধ বিষ্ঠার মত । তার পরেও রসায়নে হাইড্রোজেন সালফাইড নিয়ে প্রচুর মাখামাখি চলে । জিনিসটা অনেক রকম কাজে লাগে তাই আলগা আবেগের মুখে ঝাঁটা মেরে বিজ্ঞান হাইড্রোজেন সালফাইডকে খাতির করে পরীক্ষাগারে তাকে তৈরী করে, অন্য পদার্থের সাথে মেলায় মেশায় ঝাঁকায় নাচায় আরো অনেক কিছু করে । আর পরীক্ষাগারে যখন খুশি তখন হাইড্রোজেন সালফাইড তৈরী করার জন্য খুব সরল ধরনের একটা যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, নাম তার কিপ্ যন্ত্র । জনৈক কিপ্ এই যন্ত্রের ঊদ্ভাবক, তার নামানুসারেই যন্ত্রটির নামকরন । এই যন্তের বিশেষত্ব হল, যখনি একটি বিশেষ নির্গম পথ খুলে দেয়া হয় তখনি গলগল করে বেরিয়ে আসে বিষ্ঠাগন্ধী হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস । নির্গম পথ বন্ধ করে দিলেই আবার সব বন্ধ ।
কলেজে বায়ো-গ্যাস উৎপাদনে পটু আমাদের এক সহপাঠী ছিল । তার নাম ছিল কিপ্ যন্ত্র ।
রসায়ন শিখতে হলে জারন বিজারন সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকা আরেকটি অবশ্য কর্তব্য । আর জারন বিজারন সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকার মানেই হল কোন কোন পদার্থ জারক আর কোন কোন পদার্থ বিজারক সেটা মনে রাখা । আগেই বলেছি সেই আমলে নিষিদ্ধ বিষয়ে ভীষণ কৌতূহলের কারনেই মাথায় সেগুলো ঘুরত বেশি । পর্যায় সারনীর মত এখানেও সেই একই ভাবে মনে রাখার ব্যবস্থা করলাম ।
আমি ইলেক্ট্রন দেই, আমি জারক ।
ফ্লোরিনের নামটা এসেছে লাটিন fluere থেকে । এর অর্থ হল, যা (সবকিছু ভেদ করে) প্রবাহিত হয় । এর থেকে ফ্লোরিনের রুশ নামটা আরো বেশি সঠিক । রুশ ভাষায় ফ্লোরিন বুঝাতে যেই শব্দটা ব্যবহার করে, তার বাংলা হল বিধ্বংসী । সবচেয়ে সক্রিয় (পড়ুন ভয়ঙ্কর) মৌল হল ফ্লোরিন । জানামতে পৃথিবীতে হেন কোন মৌল নেই যার সাথে ফ্লোরিনের বিক্রিয়া হয়না । কথাটায় রাসায়নিক ভাব বিদ্যমান, তাই সকলের সুবিধার্থে সোজা বাংলায় বলা বাঞ্ছনীয় । সোজা বাংলায় বললে, এমন কোন বাপের ব্যাটা (অথবা বেটি) নাই ফ্লোরিনের সামনে পড়লে এক বা একাধিক অঙ্গহানী (পড়ুন ইলেক্ট্রন হারিয়ে) ঘটা ব্যতীরেকেই রেহাই পাবে । আর অঙ্গহানী বা ইলেক্ট্রনহানী ঘটা মানেই হল ফ্লোরিনের সাথে মিলে যৌগ তৈরী করা । আর একারনেই প্রকৃতিতে মুক্ত ফ্লোরিন পাওয়া যায়না, ফ্লোরিন যাকে সামনে পায় তার সাথেই ক্যাচাল বাঁধিয়ে কয়েকটা অঙ্গহানী ঘটিয়ে একটা যৌগ বানিয়ে বসে থাকে । আমরা এসিড নামে একধরনের রাসায়নিক পদার্থ চিনি, তার ভয়াবহতা সম্পর্কেও অনেকেই জানি । ফ্লোরিন যে কোন এসিডের থেকেও বেশি ভয়াবহ ।
যেহেতু প্রকৃতিতে মুক্ত ফ্লোরিন পাওয়া যায়না, এক সময় বিজ্ঞানীদের একটা দল বিশেষ ভাবে মুক্ত ফ্লোরিন উৎপাদনের কলাকৌশল আবিষ্কারের পিছে লেগেছিলেন । আবিষ্কারের নেশা ভয়ানক - এইসব লেবু কচলে তিতা বানিয়ে ফেলা কথা অনেক বলা হয়েছে । কিন্তু ফ্লোরিনের সাথে মাখামাখি করার নেশাটা রীতিমত আক্ষরিক অর্থেই মরন নেশা । ফ্লোরিন যেমন অন্য মৌলের অঙ্গহানী ঘটায়, তেমনি ফ্লোরিনে নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে অঙ্গহানী ঘটেছিল অনেক বিজ্ঞানীর । প্রানহানীও ঘটেছে অনেকের । শেষ পর্যন্ত যেই বাপের ব্যাটা মুক্ত ফ্লোরিন উৎপাদন করতে পারলেন, সেই লোকের ক্ষেত্রেও বাত্যয় ঘটেনি । সমকালীন রসায়নবিদদের সমাবেশে দাঁড়িয়ে যখন তিনি সাফল্যের কথা ঘোষণা করছিলেন, তখন তার একটি চোখ ঢাকা ছিল কাল পট্টি দিয়ে ।
ঘটনাটা বেশ নাড়া দিল, আমি চলচ্চিত্র নির্মাতা হলে এই ঘটনা নিয়ে একটা চলচ্চিত্রই বানিয়ে ফেলতাম হয়ত । রসায়ন আর যাই হোক, নীরস না ।
মন্তব্য
কিপ যন্ত্র নামক দোস্তের কথা শুইনা ডরাইছি, এমন দুস্ত সবারই থাকে, আমার একাধিক ছিল
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এতগুলা কিপ্ যন্ত্রের সাথে ছাত্রজীবন ভালই কাটছে তাইলে ।
আমাদের ক্লাসেরটা দোস্ত ছিলনা । মহা ঝামেলার পাবলিক ছিল ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ভালো লাগলো। ৫ তারা।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
কেমিস্ট্রির বাংলা হওয়া উচিত ছিলো কষায়ন।
পোস্টে উত্তম জাঝা।
পদার্থবিদ্যার নাম কি দিবেন তাইলে ? ধ্বসায়ন ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
জনগুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিতে কাটছাঁট করার কারণে তীব্র ধাইনাস ( মাইনাস আর ধিক্কার একসাথে)।
লেখা ভালো লাগসে। কেমিস্ট্রিকে আমি কেন জানি স্কুল থেকেই খুব ভালু পাই, কাজেই লেখাটাও ভালু লাগলো...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সব্জান্তা আঙ্কেল, সত্য কথা সব জায়গায় বলা যায়না ।
ওয়ান্স আপোন আ টাইম কয়েক লাইন সত্য কথা কইছিলাম । নারীবাদীরা খুব খুশি হইছিল । তারপর আমারে wicker man এর মত মাথায় তুলে পোন্দে আগুন ধরায় দিছিল ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
পোস্টে জাঝা! কিন্তু রসায়নের প্রতি তীব্র ঘৃনা, ফেল করতে করতে কোনরকমে জানে বাঁচসি! এই জিনিসরে কষায়ন বললেও অতি সম্মান দেখানো হয়।
ঘৃনাটা অপাত্রে যাচ্ছে দাদা । ঘৃনাটা যাওয়ার কথা বাজে শিক্ষক আর শিক্ষাব্যবস্থার দিকে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এহহে রসায়ন পরীক্ষা নিয়ে দেখা সব দুঃস্বপ্ন গুলো আবার মনে পরে গেলো। ভাবতেই ভয় লাগে!
আপনার কি রসায়ন পরীক্ষায় সব কিছু ভ্রম হইত ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হ
বইটা কিন্তু আমার বুকিং দেয়া আছে। এইটা মনে রাইখেন। ...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
আগে আমার পড়া শেষ হোক ।
মহামতী লীলেন যান এর মতে, যারা বই পড়তে চায়না তারা কিছু জানে না । যারা বই পড়তে চায় তারা জানে যে তাদের বই পড়া দরকার । অতএব যারা বই পড়তে চায় তারা এখন বই লেখা শুরু করুক । তুমি যেহেতু বইটা পড়তে চেয়েছ, তার মানে তোমারো এখন লেখার সময় হয়ে গেছে । বসে লিখ, বসে লিখ ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এনকিদু ভাই, বইটার আর প্রয়োজন নাই... জনৈকা ফ্যাসিবাদী বালিকারে "জ্ঞানার্জনের জন্যে সূদুর চীনদেশে যাওয়া না গেলেও নিদেনপক্ষে আজিজ মার্কেট যাওয়া উচিৎ" এই জাতীয় ভুজুং দিয়া বইটা বাগায়া লইলাম...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
শাবাশ
আমি একটু আগে পানি পড়ে শেষ করলাম ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এংরাজি? না হইলে আমি নিবো।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
না বাংলায় । কিন্তু অনুবাদেটা খুব একটা প্রাঞ্জল না । আমি নিতান্তই বৈজ্ঞানিক আগ্রহ থেকে পড়ছি বইটা । সবার ভাল নাও লাগতে পারে, কেউ কেউ বমিও হয়তো করে দিবে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সেই দিনগুলাতে যদি আপনারে পাইতাম!
তাইলে আপনারে অনেক রকম গুহ্যবিদ্যা শিখাইতে পারতাম ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আহা! মধু মধু! কতকিছু মনে পড়ে গেল...
রোগ আর জীবানুর নাম মনে রাখতে আমরাও এই কাজ করতাম। অবশ্য একটু অন্যভাবে। জীবানুদের নাম মনে রাখা যে কত যন্ত্রনার হতে পারে তা হয়তো সবাই কিঞ্চিৎ জানবেন। (না জানলে উদাহরন দেই: প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপোরাম, মাইকোব্যকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস, স্টেফাইলোকক্কাস অরিয়াস, ল্যাকটোব্যাসিলাস ক্রিসপেটাস এরকম অন্ততঃ শ'খানেক নাম আমাদের মনে রাখতে হয়েছে বিশ্ববিদ্যায়য়ে পড়াকালীন)। বিশেষ কঠিন নামগুলোর ক্ষেত্রে আমরা যেটা করতাম, রোগ অথবা জীবানু নিয়ে কোন একবন্ধুকে পেঁচিয়ে "রসালো" গল্প জুড়তাম সবাই মিলে। পরীক্ষার হলে ওই বন্ধুর দিকে তাকালেই আর সেই রোগ আর জীবানুর আদ্যপন্ত মনে করতে বিশেষ বেগ পেতে হতনা। কেবল ঠোঁটের কোনায় হাসি দেখে স্যার-ম্যামরা প্রায়ই সন্দেহপ্রবন হয়ে উঠতেন...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হ, দাঁত একটাও আস্ত নাই। আর রসায়নের গুষ্টি কিলাই। হালায় বহুত ডিসটার্ব দিসে। এই পুলা আমার সিনিওর হইলে কামে দিতো
অনার্য্যের এই মন্তব্যটা প্রথমবার পড়ে আমি একটা হোঁচট খাই । কি জবাব দেয়া যেতে পারে চিন্তা করেও কিছু মাথায় আসে না । তাই কোন জবাব না দিয়েই প্রস্থান করি । এবার শাহেনশাহ'র জবাব দেখে মনে হল এটাই উপযুক্ত জবাব । অতএব আমিও বলি,
কস্কী মমিন!
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
রসায়নের চাইতে রামায়ন পড়তে বেশি আরাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রামায়নে আরামায়ন ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আরে রসায়নে এতো রস আছে জানতাম না তো! সারা জীবন তো ভয়ে ভয়েই কাটালাম!
আপনারো তাইলে আগে আমার সাথে মোলাকাত হওয়া দরকার ছিল । কিছু গুহ্যবিদ্যা শিখায় দিতাম
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
কলেজ জীবনে প্রথমবারের মতন রসায়ন ক্লাশেই আমাকে বের করে দেওয়া হয় । আমার এক খাইষ্টা বন্ধুর অনেক শখ ছিল রসায়নে মাইনর আর দেহতত্ত্ব (পড়ুন ফিজিওলজি) তে মেজর করার। উপযুক্ত সুযোগের অভাবে করতে পারে নাই। 'রসায়ন' শুনলেই আমার সেই কথা মনে পড়ে।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আপনার বন্ধুটি যথেষ্ট খাইষ্টা না । সেরকম খাইষ্টা দেহতত্ত্বে মাইনর না করে, গুহ্যতত্ত্বে মাইনর মেজর জেনারেল সবই করতে চাইত
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
মজা পেলাম।
আমার রসায়ন খারাপ লাগে না। ভাল নাম্বার পেতাম তো। তবে এই পদ্ধতি আগে জানলে অনেক উপকার হত।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
আপনার এই মন্তব্যটা পড়ে আমার মনটাই ভাল হয়ে গেল । রসায়ন অধ্যয়েনের দিন ফুরিয়ে গেছে, কী বা করার আছে বলুন । তার চেয়ে বরং এখন যদি কোন কিছু মনে রাখার দরকার হয় বলতে পারেন, কোন রকমে সচলদের নিক এর সাথে একটা কিছু মিল বের করে দিব ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
রসালো! রসে টইটুম্বুর!! ঝান্ডুদার রসগোল্লার কথা মনে পড়ে গেলো
- কিপ্ যন্ত্রের এখানে এসে এখটু খটকা লাগলো যে আংকল টম! গুয়ের মতো গন্ধো তো হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের। আপনি যদি নটরডেমিয়ান হয়ে থাকেন তাহলে কেমেস্ট্রি ল্যাবের সর্বশেষ দরোজা (২০১ নাম্বার রুমের দিকে হাঁটলে) দিয়ে ঢুকে দেয়ালের সাথে বসানো যে যন্ত্র সেটার কথা বলছেন কি? ঐটা থেকে যতোদূর মনে পড়ে হাইড্রোজেন সালফাইড না, পার অক্সাইড বাইর হইতো। রসায়ন কষায়নের প্রতি ভালোবাসা থেকে না, ঐ বালটার গন্ধের কারণেই যন্ত্রটা আর তার নির্গত প্রোডাক্টের কারণেই পুরা লোকেশন শুদ্ধা মনে আছে এখনো!
বায়োলজিতে বৈজ্ঞানিক নামসমূহ মনে রাখার জন্য এই রকম খাইষ্টা পদ্ধতি বের করছিলাম আমরা। ভদ্র সমাজে উল্লেখ করার মতো সবচেয়ে ভালো জিনিষটা হলো, টাইন্যা ছোলায়াম (ময়মনসিংহের এক দোস্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে) টানিয়া সোলিয়াম, ফিতাকৃমি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার ভুল না হয়ে থাকলে, হাইড্রোজেন সালফাইড সাধারণ তাপমাত্রায় একটি গ্যাস এবং এর গন্ধ পঁচা ডিমের মত, আর হাইড্রোজেন পার অক্সাইড সাধারণ তাপমাত্রায় তরল ও প্রায় গন্ধবিহীন। কিছু কিছু মাউথওয়াশেও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ব্যবহার হয় বলে জানি, কারন এর থেকে জায়মান অক্সিজেন জীবানু ধ্বংস করে এবং এটি একটি অক্সিজেন পরমাণু হারিয়ে পানিতে পরিণত হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
প্রচণ্ড দৌড়ের মধ্যেও লগাইতে বাধ্য হলাম আপনার স্মৃতিশক্তি দেখে। কোন প্রাগৈতিহাসিক কালে ( রেফারেন্স: ৯২ ব্যাচের 'পোলাপান' সংক্রান্ত মন্তব্য) রসায়ন পড়েছেন, তবু যে এই ছোট খাটো বিষয়গুলি মাথায় রেখেছেন, জায়মান অক্সিজেন ইত্যাদি, এগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে যেতে হয়।
এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে পাঁচ তারা।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমিও দিলাম পাঁচতারা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
- বুঝছি, এই রসায়ন জিনিষটা আমার জন্য আজীবন কষায়ন হয়েই থাকলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার সংগে গলা মেলালাম ধুগো। আমি অবশ্য পদার্থেও সারা জীবন অপদার্থ হয়ে থাকলাম।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
হাইড্রোজেন পারক্সাইড ( H2O2 ) থেকে বাজে গন্ধ পেয়েছি কিনা মনে করতে পারছিনা । তবে যদ্দূর মনে পড়ে, এই জিনিসটা দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করা যায় । কয়েকবার সেই কাজে ব্যবহারও করেছিলাম ।
আর হাইড্রোজেন সালফাইড থেকে পঁচা ডিমের গন্ধ বের হয় কথাটা ঠিক । বইতেও তাই লিখা আছে । তবে আমার কাছে পঁচা ডিমের চাইতে বিষ্ঠার সাথে গন্ধটার মিল বেশি মনে হয় । তাই বিষ্ঠাগন্ধী লিখেছি ।
আর আপনি যেই ঠিকানা দিলেন তা যদি ঠিক বুঝে থাকি, ২০১ নং ঘরের পশ্চিম প্রান্তের কথা বলছেন । আমরা উত্তর পশ্চিম কোনায় একটা আলমারি দেখতাম । সেই আলমারির ভেতরে কিপ্ যন্ত্রটা থাকত । সেখান থেকে লাইন ধরে টেস্টটিউবে করে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস সংগ্রহ করা লাগত । হতে পারে, কোন এক সময় হয়ত যন্ত্র বা আলমারি গুলোকে সরান হয়েছিল ।
আর এই যে কিপ্ যন্ত্রের একটা ছবি, উইকিপেডিয়া থেকে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ঠিক বলেছেন। জীবানুনাশক ছাড়াও হাইড্রোজেন পারক্সাইড দ্রবন একটা বহুল ব্যবহৃত 'ডেব্রাইডার'- শরীরের পচন ধরা কোন অংশ থেকে মৃত টিস্যু সরিয়ে ফেলতে ব্যবহার করা হয়- যেমন 'গ্যাংগ্রিন' এ। আর এর সেইরকম কোন গন্ধ নেই।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
রসায়ন কে আমি সব সময় ভয় পাইতাম
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
দারুন লিখেছেন, বহুবছর আগে কেমিস্ট্রি ল্যাবে ঘটা একটা ছোট্ট দুর্ঘটনার কথা মনে পড়ে গেলো- আসলে এইসব যন্ত্রফন্ত্র প্লাস্টিকের বানানো উচিত
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
গল্পে কারো অঙ্গহানী বা ইলেক্ট্রনহানী ঘটেছিল কী ? গল্পটা শুনতে মঞ্চায় ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
দুই অকালকুষ্মান্ডের তদারকিতে 'কিপ' নামক পাপিষ্ঠের বানানো পাপসঞ্চারি যন্ত্র 'নিতান্তই দুর্ঘটনা' বশত ভেঙ্গে যাওয়া এবং তাঁদের দুই কর্মদিবসের জন্য ল্যাব হইতে বহিষ্কার করা- এর বেশি বলা মনে হয় ঠিক হবে না।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
তাইলে তো শাস্তি হল না । পোলাপানে আরো মজাই পাইল । পর পর দুই দিন ল্যাবের হাত থেকে রেহাই ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমরা কুমিল্লা বেড়াইতে গেসিলাম। আহ রসমালাই!
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
দারুণ লিখছো!
লাস্টের গল্পটা শুনতে ইচ্ছা হচ্ছে। পাব কোথায়?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
রসায়নের শতগল্প ।
লেখক হলেন লেভ ভলাসভ এবং দ্মিত্রিই ত্রিফোনভ । মূল বইটা মস্কোর প্রগতী প্রকাশনের । তবে আজিজে এখন পাওয়া যাচ্ছে তক্ষশীলা নামের একটা দোকানে, বোধি প্রকাশন বের করেছে । বাংলা অনুবাদের মান খুব একটা ভাল না । শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক আগ্রহ থেকেই পড়ার উৎসাহটা পাচ্ছি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
চাইলে ধার দিতে পারি। কিন্তু ফেড এক্সের খরচ আপনার।
ভালু
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ভাল্লাগলো, আমাগো যত বান্দ্রামি ফাইজলামি সব মনে পইড়া গেল
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
লিখেন , শুনতে মঞ্চায় ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
মজাক পাইলাম
---------------------
আমার ফ্লিকার
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সদ্য সদ্য পড়ে উঠলাম প্রিমো লেভির পিরিওডিক টেবিল। বিশ্বযুদ্ধ, কনসেনট্রেশন ক্যাম্প, (ব্যর্থ) প্রেম, হিউমার, সাসপেন্স, আর এই সব-কে এক সুতোয় বাঁধা রসায়নের এক বিস্ফোরক মিক্স। রসায়ন প্রেমী ও বিদ্বেষী, উভয়ের জন্যই হাইলি রেকমেন্ডেড। [url=http://en.wikipedia.org/wiki/The_Periodic_Table_(book)]উইকি[/url]।
দারুন বই মনে হচ্ছে, খোঁজ দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আমি তো প্রচ্ছদটা দেখেই বইটা পড়ার জন্য লাফিয়ে উঠলাম । বইটা কি ঢাকায় কোথাও পাওয়া যেতে পারে ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
বুঝলাম
এনকিদু এখন নোটবই লেখে আর নোটবইয়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে টিউশনি খোজেঁ...
ইহাও এক প্রকারের চুতিয়ামি সাহিত্য বটে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
লেখা রসালো হয়েছে।
রসায়ন ভালো পাই, জিনিসটা কী সেটা বোঝার আগে থেকেই। মনে আছে, ক্লাস ফাইভ/সিক্সে বাবার আলমারী থেকে শিল্প রসায়নের একটা বই চুরি করে গান পাউডার দিয়ে বোমা বানানোর ফরমুলা শিখে নিয়েছিলাম। কয়লা সহজলভ্য, নিউ মার্কেটের কাঁচা বাজারে "সোরা" নামে পটাশিয়াম নাইট্রেট পাওয়া যেত, শুধু সালফারটা জোগার হয়নি দেখি বোমাটা বানানো গেল না। নটরডেমে ঢুকে কেমিস্ট্রি ল্যাবেও প্রথম খোঁজ নিয়েছিলাম গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিড আছে কিনা। গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিডের সাথে মিশিয়ে তাতে তুলা বা কাগজ চুবিয়ে দিলেই ভয়ংকর বিস্ফোরক - নাইট্রো সেলুলোজ!
কত কিছু করা হলনা জীবনে...
তুই তো শালা এমনিতেই বোমা একটা, আর কত বোমা বানাবি !
এক কাম করি চল, ফেলিক্স কজিন্সকির মত নাইট্রোগ্লিসারিন বানাই । ঐটা বানান সহজ । তারপর হোমিওপ্যাথির শিশিতে ভরে আজিজের ছাদ থেকে নীচে ছুঁড়ে মেরে ট্রাফিক জ্যাম ছুটাব আমরা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হ, তারপর সেই নাইট্রোগ্লিসারিন নিরাপদ করার জন্যে আলফ্রেড বার্নাড নোবেলের মত আবার ডিনামাইট আবিষ্কার করি। তারপর নোবেল প্রাইজ চালু করি। আগের নোবেলের উপর আর ভরসা নাই।
বোমা নিয়ে বিয়াপক উৎসাহ ছিল রে। আর কিছু না পেলে ভাঙা রেডিও থেকে খুলে নিয়ে ক্যাপাসিটর চুলায় দিয়ে ফাটাতাম, বড়সর একটা ক্যাপাসিটর কানে তালা লাগায় দেয়ার মত শব্দ করে ফাটে।
জেএমবি আমারে চিনল না, আফসুস!
আমার আগ্রহের বিষয় ছিল চুম্বক ।
যেই যিনিস ভাইঙ্গা চুম্বক পাইতাম না, সেই সব জিনিসরে জিনিস বলেই মনে হইত না ।
আসলেই নতুন নোবেল প্রাইজ চালু করা লাগবে । নোবেলের মান খারাপ হয়ে গেছে । মডারেশন ছাড়াই আজকাল যারে তারে ডাইকা নিয়া পুরষ্কার দিয়া দেয় ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
- মডু প্যানেলে আমারে রাইখেন। যারে পছন্দ হৈবো না, ডাইরেক্ট ঘ্যাচাং!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রথম ফর্মুলাটা ১৯৮২ সালে কার্যকর করেছিলাম, বিজ্ঞান মেলায় দেখিয়েও ছিলাম। কিন্তু যে "সোরা" যোগাড় করতে পারে সে "গন্ধক" যোগাড় করতে পারলনা কেন বুঝলাম না। "সোরা"র সাথে চিনি মিশিয়ে তাতে পাতলা সালফিউরিক অ্যাসিডের ফোঁটা দিয়েও বিস্ফোরণ ঘটানো যায়। এভাবে আগ্নেয়গিরির মডেল বানিয়ে স্কুলে দেখিয়েছিলাম। ১৯৮৯ সালে হাটখোলায় সায়েন্টিফিক ল্যাব থেকে "সোরা" কিনতে গেলে দোকানদার পুলিশে ধরিয়ে দেবার হুমকি দিয়েছিল। "পপি"তে মাসুদ রানা একবার সারের সাথে চারকোল আর কী কী সব যেন মিশিয়ে অমন জিনিষ বানিয়েছিল, ভুলে গেছি।
অফটপিকঃ কৈশোরে আমার অন্যতম পছন্দের বই ছিল "দ্য ম্যান ফ্রম সেন্ট পিটার্সবার্গ"। এর কোন কপি আর আমার কাছে নেই। আছেন কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি যে এই অধমকে তার কৈশোরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
টিকাটুলির সায়েন্টিফিক স্টোরগুলার কথা তখনও জানতাম না পাণ্ডবদা। "সোরা" কোন একটা রান্নায় ব্যবহার করে, মাংস নরম করতে খুব সম্ভবত। মায়ের সাথে বাজারে গিয়ে গিয়ে ঐটা জেনেছিলাম। আমার আগুনে-পোড়া-আপাত-ভয়ঙ্কর-দর্শন ল্যাবরেটরীটা ছিল এইসব সহজলভ্য জিনিস দিয়ে ভরা। লিটমাস কাগজ জবা ফুলের রস দিয়ে বানানো, অ্যাসিড বলতে ভিনেগার আর লেবুর রস, ক্ষার বলতে কাপড় ধোয়ার সোডা। মোমবাতি দিয়ে বুনসেন বার্নার। শুধু টেস্টটিউব ছিল অগুনতি। শাহবাগে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে ১ টাকা দিয়ে এসব টেস্টটিউব পাওয়া যেত। তখন যদি খালি জানতাম প্যাথলজী ল্যাব থেকে চুরি করে নানা কুপদার্থ মিশ্রিত এসব টেস্টটিউব বিক্রি করা হয়...
বাবার কাছে চাইলে গন্ধকটা পাওয়া যেত। কিন্তু লবণ পানির তড়িৎ বিশ্লেষণ করে বানানো ক্লোরিন গ্যাস কতটা বিষাক্ত সেটা ছোট বোনের নাকে পরীক্ষা করতে গিয়ে যে গদাম লাথিগুলো হজম করতে হয়েছে, তারপর ঐ রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অথচ আতশী কাচ দিয়ে কাগজ পুড়লেও হাত পুড়ে কিনা এই এক্সপেরিমেন্টের জন্য আমার ছোট খালাতো ভাইটা কোনদিন খালার কাছে বিচার দেয় নাই।
নারী জাতি রসায়ন গবেষণার অন্তরায়, এই ধ্রুব সত্য জানার পরেও কোন লাভ হল না। বড় হওয়ার পর দেখি যত "কেমিস্ট্রি" তাদের সাথেই। কী দুর্ভাগ্যজনক!!!
"দ্য ম্যান ফ্রম সেন্ট পিটার্সবার্গ" বাংলাটা খুঁজছেন না ইংরেজী? মাশ্রুম পার্টির কাছেই আছে। সেদিন এনকিদু বলতেছিল বইটার কথা।
মেহেদী ভাই,
খুলনায় কেন গেলেন না! খুলনার দোকানার'রা ভাল
খুলনার একটি সায়েন্টিফিক স্টোর থেকে ক্লাস এইটে পড়ার সময় আমি সাদা ফসফরাস, ধাতব সোডিয়াম, দু'তিন রকমের এসিড এসব ভয়ঙ্কর জিনিস কিনেছি। আমি যদিও দোকানদারকে বুঝিয়ে বলেছিলাম যে আমি বিজ্ঞান মেলার প্রজেক্টের জন্য কিনছি। তবে আমার মনে হয় সে বিক্রি করেছিল কারণ তার দোকানে বেচাবিক্রী ছিলনা। খুলনা থেকে বাড়ি (শ্যামনগর) যেতে সেসময় ঘন্টা চার/পাঁচ লাগত। যেহেতু বর্ডার এলাকা তাই পথে বাস চেকিংও হতো। দোকানদার ভয়ঙ্কর সব কেমিকেলের শিশিতে নীরিহ নাম লিখে দিয়েছিল। আমি শিশিতে নাম্বার দিয়ে একটা আলাদা কাগজে আসল নামগুলো লিখে নিয়েছিলাম।
আমার স্কুলের স্যার'রা আমাকে খুব ভালো চিনতেন। (গ্রামের দিকে তো সবার সাথেই শিক্ষকদের ব্যক্তিগত এমনকি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পারবারিক জানাশোনা থাকে)। আমার আজাইরা কাজ কর্মের কথাও তাদের অজানা ছিল না। আমি প্রথম এসিড নিয়েছিলাম স্কুলের ল্যাব থেকে স্যারের অনুমতি নিয়ে। নিয়েছিলাম ছোট্ট একটা ওষুধের শিশিতে। এসিডে সেই শিশির ধাতব মুখ গলে গিয়ে আর খুলে নাই। মুখ ফুটা করে এসিড বের করতে গিয়ে আবারও সেই ধাতব মুখের সংস্পর্শে আসায় আমার বেশিরভাগ এসিডই স্বর্গবাসী হয়েছিল।
পরীক্ষা চালাবার মতো কোন পিচ্চি আমার নাগালে ছিলনা। তবে এমোনিয়ার বোতল নিয়ে নানা জটিলতায় ভুগেছি । একবার ফ্রিজে ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি কেমন হয় সেই এক্সপেরিমেন্ট করছিলাম। নানা উৎসের ফাঙ্গাসের বীজ সহ সেই পাউরুটির একটি বা দুটি আমার বড় বোন খেয়ে ফেলেছিল! আমি আসল ঘটনা বলার সাহস পাই নাই
অধ্যক্ষ স্যারের কাছ থেকে একবার স্কুলের প্যাডে কয়েকটি কেমিকেলের নাম লিখে নিয়ে সেগুলো কিনেছিলাম...
আহা! কতকিছু যে মনে করিয়ে দিলেন হঠাৎ...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তোমার স্কুলের শিক্ষকেরা অসাধারন রকমের ভাল ছিলেন !
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ঠিক বলছ। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, আমার শিক্ষক ভাগ্য হিংসা করার মতো। এই সুযোগে আমার সব শিক্ষককে কৃতজ্ঞতা এবং প্রণতি...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমার কাছে বাংলাটা ছিল, সেবা প্রকাশনীর "আততায়ী" । এতদিনে হারিয়ে ফেলেছি
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আরে কে কয় রসায়নে রস নাই?! রসায়ন তো বাত্স্যায়নের বাপ লাগে, সেজন্যই তো রসায়নের বত্স হিসেবে তার নাম রাখা হৈছে বাত্স্যায়ন!
আর রসায়ন বাসগুপ্ত নামেও আমি এক লোকের কথা শুনছি!
রসায়ন মজার, কিন্তু কঠিন একটু ছিল বটে ভাইডি! উচ্চমাধ্যমিকে জৈব রসায়নের রসিকতায় আমার জৈবন বিষায়া উঠছিল! দ্যাখেন না, পরে ছিটকায়া ওইসব পর্যায় বাঁশযায় সারণী সরণী থেইক্যা কত্তদূরে আয়া পড়ছি বুদ্ধি কইরা!
অবশ্যই মজা লাগলো আপনার রসময় গল্পগুলা!
কিন্তু, কানে কানে জিগাই- ওই অন্যচিপার ওই নতুন ঘটনাটা কি সত্যি, হে তরুণকিদু?!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
রসায়ন নিয়া লিখলি,আর এ সি দাশ(ফোলা মুখ),গুহ এর কথা লিখলি না?
রসায়ন নিয়া লিখলি,আর এ সি দাশ(ফোলা মুখ),গুহ এর কথা লিখলি না?
নতুন মন্তব্য করুন