০
প্রথম বাইসাইকেল পেয়েছিলাম (নাকি সাইকেলটাই আমাকে পেয়েছিল) পাঁচ বা ছয় বছর বয়সে । এর পর প্যাডেল মারতে মারতে পার করে ফেললাম প্রায় দশ বছর । এর মধ্যে আমি কলেবরে বেশ খানিকটা বড় হয়ে উঠেছি, সেই সাথে সাইকেলও । শেষ সাইকেলটা চালিয়েছিলাম মেট্রিক পরীক্ষার পর কিছুদিন পর্যন্ত । এরপর ঢাকায় পাকাপাকি ভাবে থাকতে চলে আসি । ঢাকাবাসী হওয়ার জন্য টাকার হিসাবের বাইরে যেসব মূল্য শোধ করতে হয় তারই একটা হিসেবে সাইকেলে চড়া ছেড়ে দিলাম ।
১
কিছুদিন ধরে যখন তখন হরমোন মাথায় ঘাই মারছিল । এমনিতে সব ঠিকঠাক থাকে, কিন্তু যেই হরমোন ঘাই মারে অমনি সব এলোমেলো হয়ে যায় । হরমোনের এরকম এলোপাথাড়ি আক্রমন থেকে বাঁচার উপায় হল দেহে সঞ্চিত প্রয়োজনের অতিরিক্ত সমস্ত শক্তি খরচ করে ফেলা । সোজা বাংলায় একে বলা হয় তেল বের করা, ঘানির মধ্যে ফেলে ছিবড়ে করে ফেলার মত । নিয়মিত সাইকেল চালিয়ে যাতায়াত করলে অতিরিক্ত তেল খরচ হতে পারে, এই মনে করে সাইকেল কিনব সিদ্ধান্ত নিলাম ।
৩
একদিন মাশ্রুমাড্ডার বন্ধু তারেক আর সবজান্তাকে সাথে নিয়ে বংশাল গেলাম । মেহ্দীও সাথে থাকার কথা ছিল, কিন্তু বেচারা অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠেছিল তাই দুপুরের দিকে আবার ঘুমিয়ে পড়ে । বাজার ঘুরে দেখা গেল আমি যেরকম সাইকেল চাচ্ছি সেরকম সাইকেল পাওয়া যায় ৩৬০০ অথবা ৪২০০ টাকায় । জিনিস পত্রের দাম এরকম আজব সংখ্যা হয় কেন, কে জানে ।
কিছুক্ষণ ঘুরে ফিরে একটা কমলা রঙের সাইকেল কিনে ফেললাম । কমলা রঙ বলে সাইকেলের নাম দিলাম "ভিটামিন সি" । বংশাল থেকে এসে বুয়েটের নির্জন ক্যাম্পাসে কিছুক্ষণ চালাই আমরা তিনজন পালা করে । টুকটাক প্যাডেল মেরে সবজান্তাও রীতিমত সাইকেল চালান শিখে ফেলে । বুয়েটে এসে জীবনে যত কিছু শিখেছিল তার তালিকায় আরেকটা জিনিস যোগ হল । ক্যাফের সিঁড়ি থেকে শুরু করে আঙ্গিনা পেরিয়ে রাস্তা পর্যন্ত নিজে নিজে আসতে পেরে তার সে কী আনন্দ !
৪
পরদিন থেকে "সাইকেল চইড়া প্যাডেল মাইরা" কর্মস্থলে যাওয়া শুরু । তবে তার আগে ছোট্ট একটা ঘটনা আছে । কেনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কিভাবে যেন সামনের চাকার সমস্ত হাওয়া বেরিয়ে গিয়েছিল । পরদিন সকালে বাসার কাছে একটা সাইকেল মিস্ত্রীর কাছে গেলাম । টিউব বের করে দেখা গেল বড় সড় আকারের ফাটা । কারখানা থেকেই বাজে টিউব এসেছে মনে হচ্ছে । নতুন টিউব লাগাতে হল । দোকান থেকে টিউব কেনার সময় জিজ্ঞেস করলাম জিনিসটা কোন দেশের ? বলল এটা নাকি সিরাজ টিউব । তার মানে কী দেশী টিউব, দেশে এখন সাইকেলের টিউব তৈরী হয় ? আশে পাশে কয়েকটা টায়ার আর টিউবের টুকরা পড়ে ছিল, তার একটাতে দেখলাম ইংরেজিতে লেখা, "বাংলাদেশে তৈরী" । এই লেখাটা দেখলেই মনটা আমার ভাল হয়ে যায়
মিস্ত্রী যতক্ষণ আমার সাইকেলে নতুন টিউব লাগাচ্ছিল, আমি বসে বসে কাজ কর্ম দেখলাম । মিস্ত্রী আর কারিগর দের কাজ করা দেখতে আমার খুব ভাল লাগে । একটু একটু করে পুরো একটা জিনিস দাঁড় করিয়ে ফেলে অথবা এদিক সেদিক খুট-খাট করতে করতে সারিয়ে ফেলে নষ্ট যন্ত্র । মিস্ত্রীর কাজ দেখতে দেখতে এক ফাঁকে একটা পড়ে থাকা টিউব কেটে কয়েকটা রাবার ব্যান্ড বানিয়ে ফেললাম । চুল বাঁধা যাবে ।
প্রথমে সামনের চাকাটা নিয়ে সমস্যা হওয়া ছাড়া আর তেমন কোন বড় সমস্যা হয়নি সাইকেলে । কিন্তু তার পরও আমি মাঝে মাঝে সাইকেলটা নিয়ে বসে খুট-খাট করি । নাট বল্টু গুলো নেড়ে-চেড়ে দেখি, ঢিলা পেলে টাইট দেই । একদিন বাম দিকের প্যাডেলটা কেমন জানি ঘট-ঘট করা শুরু করল । রাস্তায় বুঝতে পারছিলাম না, বাড়ি ফিরে তারপর ভাল করে দেখলাম ব্যপার কী । একটা নাট ঢিলা হয়ে সমস্যা করছে । নাট টা খুলে নেয়ার পর দেখা গেল বোল্টে প্যাঁচ কেটে যাওয়ার মত অবস্থা প্রায় । ভাল একটা বাগ (সমস্যা) হল আর কি । কয়েকদিন সাবধানে এই নিয়ে চালালাম । তারপর গতকাল নতুন বোল্ট জোগাড় করে সেটা ঠিক করলাম । নিজের যন্ত্র নিজে ডিবাগ (সমস্যা দূর) করে রান (চালান) করায় অন্যরকম মজা ।
আমি যতক্ষণ সাইকেলটা ঠিক করার চেষ্টা করছিলাম পাশের বাসার বছর পাঁচেকের একটা পিচ্চি খুব আগ্রহ নিয়ে আমার কাজ-কর্ম লক্ষ্য করছিল । এই পিচ্চিটাই কুরবানির দিন গরুর ভুঁড়ি দেখে বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিল জিনিসটা কী ? "ভুঁড়ি", বলেছিলেন পিচ্চির বাবা । তারপর পিচ্চি কিলবিলে ক্ষূদ্রান্ত্রের দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলল, "আর এইটা ব্রেইন, তাইনা ?"
৫
এক সময় মনে করতাম পৃথিবীতে সবচেয়ে উদার মনে হয় প্রাচীনতম পেশায় নিয়োজিত মানুষেরা । ধনী-গরীব সমস্ত লোককে তারা মর্যাদা দেয় । রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে যারা তাদের চোখের দিকে তাকিয়ে অসহায়ত্ব, আহ্বান, আকুতি এসব কল্পনা করার চেষ্টা করতাম । এমনই ফালতু কাব্যিক দৃষ্টিতে দেখতাম । মাথার মধ্যে ঘুরত বাইবেল বর্নিত সেই গল্প, যীশু প্রাচীন পেশার সেই নারীকে ক্ষমা করে মহানুভবতার পরিচয় দিলেন । আমার বাড়ি ফেরার পথের একটা অংশ হল গোটা বিশেক দূতাবাসে ভরা একটা আধা অন্ধকার রাস্তা । সেই রাস্তার একটা বিশেষ মোড়ে প্রত্যেকদিন দুই-তিন জন প্রাচীন পেশায় নিয়োজিত মানুষকে দেখি । প্রথম প্রথম মনে হত মিলারের সিনফেস্ট কমিকের কোন একটা অন্ধকার প্যানেলের মধ্য দিয়ে চলে আসলাম । কিন্তু প্রতিদিন একই জিনিস বার বার দেখতে থাকলে তার চারপাশ থেকে রোমান্টিকতার কুয়াশাটা কেটে যায় । এখন আর সেই মোড়টার সামনে দিয়ে আসার সময় যীশুর গল্প মনে পড়েনা । চর্ম চক্ষুতে যা দেখা যায়, তার বাইরে কল্পনাও দৌড়ায়না । এখন তাদের চোখের দিকে তাকালে শুধু দেখি ভাবলেশহীন চোখ আমাকে চিনে ফেলেছে । এই লোক দিনের পর দিন এই পথ দিয়ে যায়, ডাকা ডাকি করলে কোনদিন থামেনা । তাই তারাও মুখ ফিরিয়ে নেয়, আমিও । দুজনেই তাকাই আমাদের সাধারন আগ্রহের বিষয় - কোনার দিক থেকে এগিয়ে আসতে থাকা একটা গাড়ির দিকে । আমি সতর্ক হই, গাড়ির নীচে যেন চাপা পড়তে না হয় । তারা নড়ে চড়ে ওঠে, কারন সাধারনত এই গাড়িগুলোই থামে তাদের সামনে ।
৬
সপ্তাহখানেক আগে একদিন বাড়ি ফেরার পথে সেই মোড়টার একটু সামনে দেখলাম রাস্তার পাশে রিক্সা ভিড়িয়ে এক রিক্সাচালক আর সেই মেয়েগুলোর একজনকে খুব ঘনিষ্ট ভাবে । যতখানি ঘনিষ্ট হলে ভদ্রলোকেদের হিসাবে অশ্লীল তো বটেই, অমোচনীয় পাপ বলেও গন্য হয় । কিন্তু আমাকে বিস্মিত করল মেয়েটার খিলখিল হাসি । 'যাহাকুল আব্দ' বইটার একটা অনুবাদ করেছিলেন শওকত ওসমান, 'ক্রীতদাসের হাসি' । সেই বইয়ের একটা দৃশ্যের কথা মনে করিয়ে দিল । আমি সিনফেস্টের অন্ধকার প্যানেলের ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকেই, সাঁই করে সাইকেল চালিয়ে বের হয়ে গেলাম । মূল চরিত্ররা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকুক ।
৭
আমার আজকাল ঘুম ভাঙ্গে সকাল নয়টার দিকে, বাড়ি থেকে বের হই দশটা এগারটার দিকে । ততক্ষণে ঢাকা শহরের বড় রাস্তা পার করে মাঝারী মাপের গলি গুলোতেও যানজট লেগে ব্যাড়াছ্যাড়া অবস্থা । বিশেষ করে নামকরা স্কুল গুলো আর শপিং মলের আশে পাশে । এর মধ্যে পথ করে এগিয়ে যায় সাইক্লেল গুলো, মাঝে মধ্যে দুই একটা রিক্সা, তাদের পিছে ভ্যান । প্রথম যখন সাইকেল নিয়ে ঢাকার রাস্তায় নামা শুরু করি, তখন জানতাম না যে প্যাডেলমার (যারা প্যাডেল মেরে) চলাফেরা করে তাদের মধ্যে একটা অদৃশ্য ভ্রাতৃত্ব বোধ কাজ করে । কিছুদিন চলাফেরা করার পর ব্যপার গুলো ধীরে ধীরে বুঝেছি । যেমন এই ধরনের যানজটে পড়লে, আশে পাশের কোন কোন তিনচাকার প্যাডেলমার অনুরোধ করে সামনের অমুক গাড়িটার পেছনে লেগে থেকে "চিপা" বের করার । উদ্দেশ্যটা সহজ, আমি চিপা বের করতে পারলে তারা সবাই একে একে সেই চিপা গলে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে । আবার পেছন থেকে বড়সড় গাড়ি এগিয়ে আসতে থাকলে সবচেয়ে পিছের রিক্সা বা ভ্যান চালক চিৎকার করে সামনের সবাইকে সাবধান করে দেয় । ব্যাস্ত রাস্তায় চলাফেরা করার সময় বিপরীত দিক থেকে এগিয়ে আসা প্যাডেলমার দের সাথে যোগাযোগ করতে হয় চোখের ইশারায়, পাশের গুলোর সাথে যোগাযোগের মাধ্যম কান আর মুখ । চোখ, কান, মুখ, হাত, পা, দেহ সব কিছু ব্যবহার করে কী সুন্দর ভাবে তাল মিলিয়ে আমরা প্যাডেল মেরে চলে যাই রাস্তা ধরে । গোলমাল করে শুধু ইঞ্জিনের গাড়ি গুলো ।
রাস্তায় আরেকটা অভিজ্ঞতা ইদানিং হচ্ছে । আগে মাঝে মাঝে দেখতাম রিক্সা চালকেরা হঠাৎ পথে চেনা আরেক চালককে দেখলে ডাক দেয় । কয়েক দিন ধরে আমিও সেরকম ডাক পাচ্ছি । আমার এলাকায় নিয়মিত চালায় এরকম কয়েকজন রিক্সাচালক "ও মামা" করে হাঁক দেয়া শুরু করেছে । একই এলাকায় যেহেতু প্যাডেল মারি আমরা, মাঝে মাঝে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমনা, বিশেষ করে যানজটের চুম্বক অবস্থান গুলোতে । এদের স্মৃতি বেশ ভালই দেখি, কোনদিন আমি কোন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু অনেক দূরে ছিলাম তাই ডাক দিতে পারেনি - তাও তাদের মনে থাকে । পরে যখন কোন যানজটে পড়ে দেখা হয় পাশাপাশি লেনে তখন এইসব গল্প করে ।
৮
একদিন এমনই এক যানজটে, পাশের লেন থেকে এক রিক্সাচালক দাঁত কেলিয়ে তাকাল আমার দিকে । ভাল করে লক্ষ্য করার পর চিনলাম, আগের দিন একেই দেখেছিলাম সিনফেস্ট কমিকের একটা প্যানেলে । জিজ্ঞেস করলাম, "ভাল ?" । আবারো দাঁতা কেলিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে জানাল, "ভাল" । গতকাল সারা রাত পার করে সে এখনো রিক্সা চালাচ্ছে । তারপরেও কিভাবে একটা মানুষ "ভাল" থাকে ?
মানুষগুলো কী আজব প্রানী । শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বহুতল অফিসে গিয়ে ঢুকলেই সব গনহারে মারা যায়, কিন্তু রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে খুব একটা মরে টরে না ।
মন্তব্য
ভালো লাগলো
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধন্যবাদ
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমি আমার h.s.c. এর স্কলারশিপ এর টাকা দিয়ে সামনের মাসেই একটা কিনবো! কালো রঙের কিনবো!!!
লাস্ট সাইকেল চালাই ক্লাস সেভেন এ! এতো দিন শখ মেটাতে পারি নাই! এই বার মেটাবো ই...হয়তো!!
লেখা সুন্দর হয়েহে!!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
কাল রঙের, চাইনিজ সাইকেল ? কোথায় চালাবে ?
লেখা ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
"কিছুদিন ধরে যখন তখন হরমোন মাথায় ঘাই মারছিল । এমনিতে সব ঠিকঠাক থাকে, কিন্তু যেই হরমোন ঘাই মারে অমনি সব এলোমেলো হয়ে যায় । হরমোনের এরকম এলোপাথাড়ি আক্রমন থেকে বাঁচার উপায় হল দেহে সঞ্চিত প্রয়োজনের অতিরিক্ত সমস্ত শক্তি খরচ করে ফেলা । সোজা বাংলায় একে বলা হয় তেল বের করা, ঘানির মধ্যে ফেলে ছিবড়ে করে ফেলার মত । নিয়মিত সাইকেল চালিয়ে যাতায়াত করলে অতিরিক্ত তেল খরচ হতে পারে, এই মনে করে সাইকেল কিনব সিদ্ধান্ত নিলাম ।"
-একেবারেই ভ্রান্ত ধারমা। এই রোগ সারানোর জন্য ভিটামিন-She লাগবে। দুনিয়ার অন্য সব ভিটামিন গুলে খেলেও এই রোগ সারবেনা।
********************************************************
এই লেখা এবং মাশ্রুমনামা নিয়ে আমার একটা পর্যবেক্ষণ আছে। একটি পোস্টে এক-এর বেশি operating point থাকলে পাঠকরা একটাতে মনোযোগ দেয়, বাকিগুলো মোটামুটি মাঠে মারা পড়ে। মন্তব্যগুলো পড়লে দেখবেন প্রায় সবাই একটা পয়েন্ট নিয়ে হামলে পড়েন। অথচ লেখকের পছন্দের পয়েন্টটা হয়তো উপেক্ষিতই রয়ে গেছে।
এই লেখাতে কমপক্ষে তিনটি operating point আছে। খেয়াল করে দেখুন পাঠকরা কয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন। আমার নিজের পোস্ট নিয়েও এমন অভিজ্ঞতা আছে। এরচেয়ে এক কাজ করতে পারেন। এমন পোস্টকে তিন-চার ভাগ করে এক সপ্তাহ ধরে পোস্ট করুন। দেখবেন পাঠকের মাথায় আপনার সবগুলো বক্তব্য পৌঁছে গেছে। প্রতিটা পয়েন্টের উপর তাদের সুচিন্তিত মতামতগুলোও পেয়ে যাবেন। এতে আখেরে উভয় পক্ষেরই লাভ হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পান্ডবদার মন্তব্য পছন্দ হইছে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
খিয়াল করতেসি...
আমার তেল ঝরাতে পারে এরকম ভিটামিন-she যদি পেতাম তাইলে তো আর সাইকেলের প্যাডেল মেরে গায়ের তেল ঝরাতাম না । কেন যে এইসব সত্য কথা মনে করায় দেন ।
---
অসামান্য পর্যবেক্ষন পাণ্ডবদা । এখন থেকে জিনিসটা মাথায় রাখার চেষ্টা করব । কিন্তু ব্যপার হল, অনেক দিন পর পর একটা কিছু লিখি আজকাল । যখন লিখতে বসি যা কিছু মাথায় থাকে সবই নামিয়ে ফেলি । তখন আর তুলে রাখতে ইচ্ছে করেনা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
কথা ঠিক। ইয়ে মানে ভিটামিন She-এর কথাও ঠিক।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
খুব ভালো লাগলো লেখাটা।
অনেক ধন্যবাদ
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লাম।
আমার প্রথম বাইসাইকেল কেনা হয় ছ'বছর বয়সে।
তখন আমরা ইরানের ইব্রাহিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। সাইকেল কিনতে আম্মু-আব্বুর সাথে কাযভিন গিয়েছিলাম। কালো-হলুদ ডোরাকাটা BMX সাইকেলটা মনে ধরল। দাম শুনে হতাশ হতে হল। ঐ পরিমাণ ক্যাশ সঙ্গে নেয়া হয়নি। ততক্ষণে সাইকেলটার সাথে সখ্য গড়ে উঠেছে আমার। তাকে ফেলে আসাও সম্ভব নয়।
আমার মা তখন তাঁর হাতের আংটি বিক্রি করেছিলেন। কান্না পেয়েছিল। আম্মু বলেছিলেন আমি বড় হলে তাঁকে অমন আংটি কিনে দিতে পারব। আংটিটা এখনো কিনে দেয়া হয়নি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপনার এই ঘটনাটা নিয়েও কিন্তু খুব সুন্দর হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মত একটা পোস্ট হতে পারে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ছোটকালে একটা সময় সাইকেল চালাতাম তারপর প্রায় অনেক বছর চালান হচ্ছে না। আচ্ছা সাইকেল চালান নাকি একবার শিখলে কেউ আর ভুলে না কথাটা সত্য নাকি?
লেখাটা ভাল লাগছে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
একবার শিখে ফেললে ভোলা আসলেই কঠিন । তবে দীর্ঘ বিরতী দিয়ে আবার সাইকেলে চড়লে প্রথমে খানিকটা সমস্যা হবে । আমার প্রথম দশ মিনিট একটু কেমন-কেমন লাগছিল । তারপর সব ঠিক হয়ে গেল
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমিও শুনেছি! একবার সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা আর গাড়ি চালানো শিখলে নাকি কেউ কখনো ভোলেনা!
আমার কেনো জানি ছোট বেলার তিন চাকার সাইকেলের কথা মনে পরে গেলো। আমাদের বাসাটা ছিলো ছোট্ট। বাইরে যেতে দিত না। তাই ছাদে উঠে চালাতাম...
গাড়ি চালাতে পারিনা, তাই ঐ ব্যপারে কোন ধারনা নেই । সাঁতার আর সাইকেল মনে হয় আসলেই ভুলেনা ।
ছাদে আমিও সাইকেল চালিয়েছি ছোট থাকতে কয়েকবার, কিন্তু তিন চাকার সাইকেল আমার কখনোই ছিলনা । শুরুই করেছিলাম দুই চাকা দিয়ে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ভাল লাগলো সাইকেল কথন ও তার পারিপার্শ্বিকতা শুনে।
আমি মাত্র মাস তিনেক হল চালানো শিখেছি। এবার দেশে এসে আমিও কিনব একটা। তবে চালাবো খুলনায়। দামটাও কীরকম হতে পারে জেনে গেলাম আপনার বদৌলতে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আমারটা গিয়ার ছাড়া, সাসপেন্সন ছাড়া একেবারে সাধারন সাইকেল । খুলনা থেকে কিনলে দাম বাড়তে বা কমতে পারে কিন্তু ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ভাল্লাগ্লো সব্টাই। পাণ্ডবদার মন্তব্য/পরামর্শটাও বেশ মনে ধরছে।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
অনেক ধন্যবাদ
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সাইকেল নিয়ে মাতামাতি করা কিছু পোলাপান বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্রে আমার জুনিয়র ব্যাচে ছিল। এখনো এরা আশেপাশেই আছে। এদের থেকে শিখেছি সাইকেলের কতরাকম রঙ-ঢঙ-মাহাত্ন আর ক্যারিকেচার হতে পারে! WBB Trust বাংলাদেশে ভাল মানের কিছু সাইকেল আমদানি করেছিল। এখনো আছে কিনা জানিনা। থাকলে আগ্রহীরা একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। কম দামে ভাল ব্রান্ড পাবেন তাহলে।
বাংলাদেশে একবার সাইকেলের জন্য আলাদা লেনের জোর দাবি উঠেছিল। সেটি যে কেন চাপা পড়ল বুঝলাম না।
ভিয়েতনামের একটি রাস্তায় সাইকেলের আলাদা লেন
(লেখার অনেকগুলো বিষয়ের এটি নিয়েই কেবল কমেন্ট করতে ইচ্ছে হলো। লেখা দারুন হয়েছে এন্কিদু )
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সাইকেলের আলাদা লেন থাকলে মন্দ হয়না । তাবে আমার মনে হয় এটা তখনি সম্ভব যখন যথেষ্ট বড় সংখ্যায় ঢাকার লোকে নিয়মিত হারে সাইকেলে চড়বে । আমি যেখানে বাস করি, সেখানে এবং তার আশে পাশের এলাকায় প্রচুর বিদেশী লোকজন বাস করে । এদের একটা জিনিস বেস প্রসংশা করার মত, ছোটখাট দূরত্বে তারা দেখি প্রায়ই সাইকেলে চড়ে যাওয়া আসা করে । কিন্তু আমরা বাঙ্গালিরা নবাবের বাচ্চা সবাই । গুলশান এক থেকে দুইয়ে যেতে রিক্সায় চড়ে বসি । আর যাদের অধিকারে গাড়ি আছে তাদের তো কথাই আলাদা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
"মানুষগুলো" আজবই বটে!
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
হুমমম ...
কেমন আছেন জুলিয়ান ভাই ? অনেক দিন পর আপনার মন্তব্য পড়ল আমার লেখায়, অবশ্য আমি নিজেও আজকাল খুব কম লিখছি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আহা !
আমার লাল টুকটুকে সাইকেলটার কথা মনে করিয়ে দিলেন।
...........................
কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার প্রথম সাইকেলটা গাঢ় বাদামী রঙের ছিল ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
লেখা ভাল্লাগছে; পাণ্ডবদার মন্তব্যটাও।
ছোটকাল থেকে আমার খুব শখ ছিল সাইকেলে করে স্কুলে যাওয়ার। বন্ধুরা অনেকেই আসত, কাজিনরাও। চোখ চকচক করত দেখে। প্রাইমারি তে পড়ার সময় ছোট বলে আব্বু কিনে দেয় নি; আর হাইস্কুল ছিল বাসা থেকে হেঁটে একমিনিটের পথ। এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে সাইকেল চালানো শিখেছিলাম;মোটামুটি চালাতে শেখার পর সারাদিন ধরে শহরের অনেক অলিগলিতে ঘুরেছি। তবে সাইকেলের ব্যাপারে আমার পর্যবেক্ষণ হলো কিছুদিন চালানোর পর আগ্রহটা আর তাজা থাকে না, সাইকেল চালানোটা শারীরিক পরিশ্রমে রূপ নেয়। সেই দিক থেকে মোটরসাইকেল ভাল জিনিস্।
তুই আছিস্ কেমন??
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
এইতো দোস্ত, আছি দুই চাকার উপরে
তবে শারীরিক পরিশ্রম হোক আমি নিজেই চাচ্ছিলাম । মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই স্ট্যামিনা অনেক খানি বেড়েছে । প্রথম দিকে বাসা থেকে অফিস যেতে চল্লিশ মিনিট লাগত, এখন পনের মিনিটেই পারি । ইচ্ছা আছে এই টাইমিং দশ মিনিটে নামাব ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আসলে ছাত্র জীবনে আশেপাশের অনেক কিছুই অন্যভাবে খেয়াল করা হয়; আপনার বাইসাইকেলে করে চারপাশের অদল-বদল সময়ের চালচিত্র অনূধাবন করার প্রয়াশ পড়ে ভাল লাগল। -- শফকত মোর্শেদ। < >
ধন্যবাদ
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
বলিয়া গেছেন তাই মহাকবি মাইকেল,
যেও না যেও না সেথা, যেথা চলে সাইকেল...
লেখা ইন্টারেস্টিং। একেবারে এনকিদু টাইপ।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
এনকিদু টাইপ লেখাও আপনার কাছে ইন্টারেস্টিং লাগে ? নাহ, এতদিন বিদেশে আসলেই কিছু খেতে (পড়তে) পারেননি মনে হচ্ছে । সাদা ভাতও এখন আহামরি কিছু বলে মনে হচ্ছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
খুব ভালো লাগল, নিজের সাইকেলের অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেল। সাইকেল চালানো শিখেছিলাম ক্লাস সিক্সে, খোলা মাঠে আমার ফুফাতো ভাই বুঝিয়ে দিল, ব্যাস আমি চক্কর কাটতে লাগলাম, তবে কাছে কেউ আসলেই ব্যাড়াছ্যাড়া লেগে যেত। ১০-১২ বার পাক দিয়ে মনে হল, এখন আর ভয় পাবো না, গ্রামের স্কুলের মাঠ থেকে বড় রাস্তায় উঠার জায়গাটা একটু চাপা ছিল, যখন উঠতে গেলাম, উল্টা পাশ থেকে ২ জন লাঙ্গল কাঁধে এসে হাজির হল, আমিও এক্কেবাড়ে আড়াআড়ি রাস্তার এক পাশ দিয়ে উঠে অন্যপাশদিয়ে নেমে গেলাম ধানখেতে প্রায় ১০ ফুট নিচে, হাটু কাঁদার মধ্যে।
কদুভায়া, তুমিই বুঝলা, এই কারনেই নিজের গাড়িতে নিজে কাজ করে ব্যাপক আনন্দ পাই। এখানে এসে ২ টা সাইকেন এসেম্বল করেছি গত সামারে মানুষের ফেলে ৫ টা সাইকেল থেকে বিনা পয়সায়।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হা হা, প্রথম প্রথম সাইকেল চালানর সময় এই সমস্যাটা হয় । খালি রাস্তায় খুব সুন্দর চালান যাবে, কিন্তু যেই মাত্র সেই রাস্তায় অন্য কেউ এসে হাজির অমনি সাইকেল স্বয়ংক্রিয় ভাবে রাস্তা ছেড়ে পাশের ঘাস লতা পাতা ঝোপঝাড় অথবা খনা খন্দে নেমে পড়বে ।
যেই ব্যাটা গাড়ি/মোটর সাইকেল/সাইকেল কিছু একটা চালায় কিন্তু নিজে নিজে ঠিক করে না তারে ব্যাটা বলাই উচিৎ না । এগুলারে কয় লাল্টু । লাল্টু লোকজনেরে কোনরকম গাড়ি/মোটর সাইকেল/সাইকেল বা অন্য কিছু কিনে দেয়াই উচিৎ না ।
আপনি তো ভাই বিদেশে বসে আরেকটা ধোলাইখাল খুলে ফেলেছেন মনে হচ্ছে । সাইকেল জমান, পরে সুবিধা মত দামে বিক্রি করে দিতে পারবেন । আর যদি কোনদিন আপনার বাড়ি বেড়াতে যাই তখন সেই সাইকেল চড়ে আমরা ঘুরে বেড়াব
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হে হে হে, একমত। স্ট্রিট হক শো টা মনে আছে? মটর সাইকেল নিয়া যে ১৮০' একটা স্টান্ট মারত? সাইকেল চালানি শেখার পর সেইটা রপ্ত করছিলাম, তবে সেইটা করতে গিয়া আমার মাজার এক পাশের বেশ কিছু চামড়া বিসর্জন দিতে হয়েছিল। এখানে এসে যখন আমার ধোলাইখালে সাইকেল বানাইলাম, তখন একটা সাইকেল গড়েছি ঐ স্টান্ট মারার জন্যে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এইটাতো পুরা একটা বুড়া কিসিমের রচনা হযে গেলো
পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিল বুদ্ধদেব বসুর ঢাকার স্মৃতিচারণ পড়ছি
তাইলে তো ভাই দুঃখের বিষয় । আমি ভাবছিলাম লীলেন ভাইয়ের মত "ছাইকেল গুবেছনা" হইবেক । কিন্তু তাহা হয় নাইক্কা । মাঝখান থেকে আমার বর্তমান কালের বর্ননা শোনাচ্ছে বুদ্ধদেব বসুর স্মৃতিচারণের মত । ব্যকরনে এর থেকে বড় "কাল" (tense) এর ভুলের উদাহরন আছে কিনা আমার অন্তত জানা নাই ।
এখনো কিছুই শিখা হইল না, কী করলাম জীবনে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমার সাইকেল ছিলো দুইটা- ভেরা পানোভার "সেরিওজা"র মতৈ অবস্থা আমার। পুরোনো হবার পরে দুটোই অযত্নে শেষ হয়ে গেলো। তবে যে হারে টাকা বাঁচানোর কথা বললেন- ভাবতেসি আমি ও একটা কিনে ফেলবো কী না আবার...
পান্ডব'দার মন্তব্যটাও ভেবে দেখবার মত।
মাশ্রুমাড্ডায় একদিন ভিটামিন সি হয়ে যাক...
_________________________________________
সেরিওজা
দেখি, মাস দেড়েক নিয়মিত চালানর পর হয়ত আজিজ পর্যন্ত চালিয়ে আনার মত স্ট্যামিনা হবে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ধন্যবাদ বর্ষাপু ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ছোটবেলা হরতাল হলে অনেক খুশী হওয়ার একটা কারণ ছিল বাসার নীচে নেমে আমার আর ছোটবোনের পালা করে সাইকেল চালানোটা।
লেখাটা পড়তে বেশ ভালো লাগলো
---------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ধন্যবাদ মউ ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ন-বছর আগে প্রথম সাইকেল কিনেছিলাম তা চোরবাবাজীদের সুনজরে পড়ে তিন সপ্তাহের মাথায় হাওয়া। তবে ঐ তিন সপ্তাহ সারা শহরের অলি-গলিতে ঘুরেছি। খুব ভাল সময় কেটেছিল সে সময়টা।
অনেকদিন পর মনে করিয়ে দিলেন।
স্বপ্নদ্রোহ
আহা, মাত্র তিন সপ্তাহেই ? আপনার গল্প শুনে আমার নিজেরি মন খারাপ হয়ে গেল। যেই একবার দেখে আসি আমারটা ঠিকঠাক আছে কিনা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অসাধারণ লাগল, সোজাসুজি অসাধারণ!!
তোমার লেখার ভক্ত বনে গেলাম বস---!!
আরো আসুক--
নিরন্তর শুভেচ্ছা
অনেক ধন্যবাদ অনিকেতদা । আপনি তো ভাই খুব সুন্দর করে মন্তব্য দেন, আমি তো মূল লেখাও এভাবে পারি না । আপনি আমারে বস ডাকলে কেমনে কি ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ইন্টার পাস করার আগ পর্যন্ত টানা সাইকেল চালাইসি ... স্কুলে যাওয়া, প্রাইভেট পড়তে যাওয়া, এমনি ঘুরে বেড়ানো সব সাইকেলে ... ঢাকায় সাইকেল চালানোর জন্য ক্যান্টনমেণ্ট সেরা জায়গা ...
ক্যান্টনেমেণ্টের [আসলে ক্যান্টনমেন্টেরও শেষ মাথা, কুর্মিটোলা; সেখানে রাতের বেলা রাস্তায় শজারু হেঁটে বেড়ায়, নিজ চোখে দেখা] খালি রাস্তায় সাইকেল চালাতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম রাস্তার ঠিক মাঝে হলুদ ডিভাইডার লাইনের উপর দিয়ে সাইকেল চালাতে সবচে আরাম ... বাকি রাস্তা আস্তে আস্তে ক্ষয়ে যায়, কিন্তু ঐ জায়গাটা সবচে স্মুথ থাকে
দেশে কত নবাব ছিলাম সেটা বাইরে আসার পর টের পাই ... মহাখালী মোড়ের বাসা থেকে গ্রামীনফোন হেডকোয়ার্টারের দূরত্ব দুই কিলোও মনে হয় হবে না; সেটা যাইতাম বাস নাহলে সিএনজি নিয়ে ... আর এখানে আসার পর মাঝে মাঝে শুধু ঘুরে বেড়ানোর জন্য তার চেয়ে অনেক বেশি হাঁটি ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
সজারুর প্রসঙ্গে বিস্মিত হলাম । এখনো আছে কিনা সেই সজারু গুলো কে জানে । ঢাকার আনাচে কানাচে আজব কিছু জীব জন্তু এখনো লুকিয়ে আছে । এই মাত্র মনে পড়ল, আমার কলেজ ক্যাম্পাসে অসংখ্যা বেজি ছিল । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট এবং ঢাকা মেডিকেল মিলে যেই বিরাট এলাকা তার মধ্যেও এরকম কিছু কিছু অপ্রত্যাশিত প্রানী দেখা যায় হঠাৎ হঠাৎ । একবার আমাদের আর্কিটেকচার বিল্ডিঙ্গের পেছন দিকে বিরাট গাছে দেখলাম বড় সড় হলুদ ঠোঁট আর কাল দেহের একটা পাখি । দেখে মনে হচ্ছিল হর্নবিল, বাংলায় মনে হয় এগুলোকে ধনেশ পাখি বলে । আমি পাখি বিশারদ নই, তাই নিশ্চিত হতে পারলাম না ।
---
ঢাকায় লোকে বাসে করে চলাফেরা করে, তাতে আমি কিন্তু কোন আপত্তি দেখিনা । বরং বেশি বেশি লোক প্রাইভেট কার আর সি এন জি বাদ দিয়ে বাসে চড়া অভ্যাস করলেই মনে হয় ভাল ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
বেজি, গুইসাপ, শিয়াল, বানর এইগুলি খুব কমন ছিল কূর্মিটোলায় [বছর দশেক আগে, এখন জানি না] ... গাছে কোন পেঁপে থাকতো না বানরের যন্ত্রণায়, একটাকে একদিন জানালা দিয়ে বিস্কুট খেতে দিসিলাম, তারপর থেকে প্রতিদিন এসে জানালায় বসে থাকতো; মহা যন্ত্রণা
সজারু আছে এইটা শুনতাম, বিশ্বাস করতাম না ... একদিন নটরডেম থেকে ফিরতেসি, রাত হয়ে গেসিলো, হঠাৎ সামনে পড়লো বিশাল কালো একটা ছায়া; কি জিনিস বোঝার আগেই সরে গেল, তখন স্ট্রীট লাইটের আলোয় দেখি সজারু, গা ভর্তি কাঁটা ...
বাস খারাপ বলি নাই, বোঝাতে চাইসি এই দূরত্বটা যে খুব সহজেই সাইকেলে যাওয়া সম্ভব এইটা কখনো মাথায় আসে নাই; আর মাথায় আসলেও লোকে কি বলবে ভেবে কখনোই সাইকেলে চড়ার চিন্তা করতাম না ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আরো মনে পড়েছে । গুলশান দুই নম্বর এর শেষ মাথা কিন্তু ক্যান্টনমেন্টের সাথে যুক্ত । এই এলাকাটাও বানরে ভর্তি । প্রায়ই তাদের দেখা যায় । নটরডেমে প্রত্যেকটা ঝোপের নিজে বেজি দেখা যেত, বিশেষ করে বাস্কেটবল কোর্টের ওইদিকে । আপনারা দেখেছিলেন হয়ত ।
ভাই, "লোকে কি বলবে" এইটা আমাদের দেশের মানুষদের একটা বিরাট হ্যান্ডিক্যাপ ( বাংলা পাচ্ছিনা ) । শুধু মাত্র লোকে কি বলবে সেই ভয়ে যে কত লোকে কত ভাল ভাল কাজ করতে পারল না । লোকের কথা আমিও কিছু কিছু শুনি । মুরুব্বী একজন বললেন, "বড় হয়েছ চাকরি বাকরি করছ, একটা মোটর সাইকেল কিনলেও পারতে । সাইকেল কিনলে কেন ?" ওনারে কে বুঝাবে যে সাইকেল কিনেছি নিজেকে খুশি করতে । অন্যদেরকে খুশি করার জন্য মোটর সাইকেল কেনার ইচ্ছা তো আমার নাই ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এনকিদু ভয়াবহ ধরনের বাজে লোক, এই অবেলায় এত স্মৃতি মনে করিয়ে দিলো। আমি নিজেও সাইকেল নিয়ে আমার পিচ্চিবেলার কিছু কাহিনী লেখা শুরু করেছিলাম, শেষ করা হয়নি।
প্রাচীনপেশার মানুষ, প্যাডেলওয়ালা লোকজন সবার জন্য অনিঃশেষ শুভকামনা।
ধন্যবাদ মামুন ভাই ।
আমি আবার ভাল লোক ছিলাম কবে ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমার সাইকেল ভিটামিনটার জন্যও অনেক দুঃখ উথলাইলো এই লেখা পইড়া।
এমনভাবে এতক্ষণে একটু একটু কইরা একটা চিপা বাইর কইরা এই একটা ফিলোসফি দিলেন শেষে! এই ছিল তবে মনে!
ভালৈছে।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
চমৎকার লেখা।
সাইকেল নিয়ে আমার কতো কতো মজার স্মৃতি আছে। ☺
কমেন্টের বিরাট সলতের শেষে দ্রোহীর নাম দেখে ভাবলাম এইবার দ্রোহের আগুনে জ্বালায় দিবেন তারপর বোমার মত ফাটবে সবকিছু । কিন্তু কিসের কি, দিলেন একটা "ভদ্র" কমেন্ট । যাউক গা ধইনাপাতা নেন ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
চমৎকার লেখা
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভালো।
মানুষ আজব প্রাণী- কথা সত্য।
সাইকেল= খন্ডকালীন স্বাধীনতা, আমার কাছে এমনটাই মনে হয়।
দারুন!
- লেখাটার সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ লাগলো প্যাডেলমারদের মধ্যকার যোগাযোগ! রাস্তায় "ও মামা" ডাকটায় যে আন্তরিকতা আছে, কালো রঙের থাই গ্লাসের জানালার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষগুলোতে আপাত আন্তরিক কিছু মুখের মাঝেও সেই আন্তরিকতার ছোঁয়া নেই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনাদের কথাবার্তা শুনে আমার তো এখনি ইচ্ছা করতাসে বংশালে উড়াল মারি .......................... আসলে আমার সাইকেল চালিয়েছি সেই ক্লাস ২ থেকে .......................... কিন্তু ঢাকায় এসে আর চালাতে পারিনাই .......................... বলতেসি একটা কিনে দিতে.......................... কিন্তু আমাকে বলে সাইকেল চালাইলে নাকি আমি পঙ্গু হয়ে যাব ..........................!!!! কিন্তু এইবার কিনাইয়াই ছাড়ব .......................... তারপরে আপনেরা দিসেন উস্কাইয়া .......................... আমারে আর ঠেকায় কে?????
নতুন মন্তব্য করুন