জানা ইতিহাস মতে পৃথিবীর প্রথম ফ্লাশ সহ টয়লেট বানিয়েছিল সিন্ধু সভ্যতার লোকেরা - হরপ্পা এবং মহেঞ্জোদারো নগরের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ফ্লাশ সহ টয়লেট পাওয়া গিয়েছে । এ হল আজ থেকে সাড়ে চার হাজার বছরেরো কিছু আগের কথা । সে আমলে আমাদের বাপ দাদারা এসব কিছু নিয়ে মনে হয় চিন্তাও করেননি; ধর্ম, দর্শন, রাজনীতি ইত্যাদি বড় বড় জিনিস চর্চা করেই তাদের দিন পার হয়ে যায় । হাগাখানা নিয়ে চিন্তা করার মত সময় কার ? করলেও কষ্ট করে আর সেগুলো তৈরী করেননি । ফাঁকা মাঠে, নদীর পাড়ে অথবা রাস্তা-ঘাটে হেগেই তারা বেশ সুখে শান্তিতে বসবাস করছিলেন । কিন্তু পশ্চিমা দেশ থেকে যখন আধুনিকতার ভুত এসে ঘাড়ে চাপল তখন বাধ্য হয়েই ঘরে ঘরে ফ্লাশ টয়লেট বসান হল ।
এইবার একটা ফাস্টফরোয়ার্ড মেরে বর্তমানে চলে আসি । প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার মত এখন আমাদেরও দেশের ঘরে ঘরে ফ্লাশ টয়লেট আছে । দিনে রাতে অহরহ হেগে-মুতে তারপর আমরা ফ্লাশিয়ে ভাসিয়ে দেই আমাদের "ইয়ে" গুলো । আধুনিক একটা ফ্লাশ ট্যাঙ্কে নাকি গড়ে মোটামুটি দশ লিটারের মত পানি ধরে । প্রতিবার টয়লেট ব্যবহার করে তাহলে আমরা কমপক্ষে দশ লিটার করে পানি খরচ করি । কমপক্ষে বলছি এই কারনে যে, হাত ধোয়া এবং ইয়ে পরিষ্কারের জন্যও আমরা পানি ব্যবহার করি এবং আমার আন্দাজ মতে তাতে আরো এক লিটার খরচ হয় ।
আমি নিজে দীর্ঘদিন ধরে (গত ছয় বছর) পানি বাঁচানর জন্য দিনে দুইবারের বেশি ফ্লাশ করিনা । ভদ্রলোকেরা আমাকে নোংরা, ম্যাথর, অসুস্থ যা ইচ্ছা বলতে পারেন - সব মাথা পেতে নিব । নিজের বাপ-মা'ই এসব বলে, পর মানুষে তো বলবেই । কিন্তু একবার চিন্তা করে দেখেন কত পানি আমি বাঁচিয়েছি এভাবে ! যদি ধরি দিনে আমার গড়ে পাঁচবার (সঠিক সংখ্যাটা আরো বেশি হবে মনে হয়) টয়লেট ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় তাহলে আমি গত ছয় বছর ধরে প্রতিদিন ৩ বার টয়লেট ফ্লাশ করিনি, দিনে ৩০ লিটারের মত পানি বাঁচিয়েছি । গত ছয় বছরের মধ্যে দুইবার অধিবর্ষ পড়েছে, তাহলে মোট দিনের সংখ্যা হল ৩৬৫X৬+ ২=২১৯২ । ২১৯২ দিনে প্রতিদিন ৩০ লিটার করে হলে, এতদিনে মোট ৬৫,৭৬০ লিটার বা ১৭,৩৭২ গ্যালন (প্রায়) । মাঝারি একটা পুকুর খুঁড়ে তাতে তেলাপিয়া মাছের চাষ করা যেত । পুকুরের উপর মাচা করে তার মধ্যে হাঁস পালতে পারতাম, হাঁসের গু খেয়ে মাছ গুলো নাদুস নুদুস হত । মাঝে মাঝে বিকালের দিকে একটা ছিপ নিয়ে বসতাম পুকুর পাড়ে । বড়শীতে কেঁচো লাগিয়ে তেলাপিয়া মাছ ধরতাম একটা, তারপর রাতের বেলা টাটকা মাছ ভাজা ।
অথবা এই সমস্ত পানি কোথাও জমিয়ে রাখতে পারলে পরে ৩০ বছর পর অনেক দাম দিয়ে বেচতে পারতাম । কিন্তু আফসোস, আমি যেই পানি বাঁচাই ঢাকা শহরের বাকি সব আবাল লোকে সেই পানি গুলো নষ্ট করে ছাড়ে । যাক গে, পাঠকদের জন্য ফ্লাশে পানি বাঁচানর একটা ভদ্রস্থ পদ্ধতি নিচের লিঙ্কে থাকল, আজকের মত এখানেই শেষ করি ।
http://www.ecollo.com/post/2009/03/DIY-projects-Create-your-own-eco-friendly-toilet.aspx
মন্তব্য
মুগ্ধ হৈলাম লিঙ্কু দেইখা। তবে আমি এই জিনিষেরও বিরাট সমর্থক। বৈদেশে দেইখা ভাল্লাগসে
http://en.wikipedia.org/wiki/Low_flush_toilet
ভালো জিনিস। আমি আজকেই করব।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বুঝলাম না পানির দেশে পানিতে কিপ্টামি করার দরকারটা কী?
হাগুখানামুতুখানা যেখানেই পানি খরচ করি না কেন সেই পানি তো আবার মাটির ভিতর দিয়া গিয়া নদীতেই পড়ে
সেই পানি আবার তুইলা লইলেই হয়
সমস্যাটা কোথায়?
গুড পয়েণ্ট।
দেশ স্বাধীনের পর সাড়ে তিন যুগ ধরে যদি একটু রেশন করে মানুষের চাষ করত তাইলে আর আজকে রেশন করে ফ্লাশ করা লাগত না ভাই । তারপরেও, আপনি যদি পারেন তো নদী থেকে পানি তুলে ব্যবহার করা অভ্যাস করুন, স্বাস্থ্য ভাল হবে, ওয়াসার বিলও কম আসবে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ভাই,
আপনি কি বিবাহিত?
ব্যক্তিগত প্রশ্ন করেন কেন ভাই ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
খুবই গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা নিঃসন্দেহে. আপনার ব্লগার নামটাও দারুন. গিলগামেশ তো খুব জনপ্রিয় গল্প নয়.
ধন্যবাদ । গিলমাশের উপাখ্যানটা খুব বেশি জনপ্রিয় না হলেও আমার প্রিয় । আপনি গিলগামেশের খবর রাখেন জেনে ভাল লাগল
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
উঁহু, হরপ্পা-মহেঞ্জোদারোরা আমাদেরই পূর্বপুরুষ। এইদিকে তখন কিছু ছিল না। ওরাই পরে সিন্ধু অববাহিকা থেকে গঙ্গা অববাহিকায় এসেছে।
সমস্ত গাছ কেটে ইঁটের ভাটায় পুড়িয়েই তো শালার মরেছিল, তাইনা ? তাহলে ঠিকি আছে আমাদের পূর্বপুরুষ হইলেও হইতারে । আমরা খুব একটা ভিন্ন কিছু করছিনা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
তোর জন্য কি হেগেও শান্তি নেই রে এন্কিদু
ভাল লিখেছিস।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধইনাপাতা
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
বুঝলাম না, মন্তব্য লেইখা ক্লিক মারতেই দেখি দুনিয়া পালটি খাইলো, যাউকগা, লেখা দুর্দান্তিস হইছে, "একের উপরে দুই" নামে একটা প্রোজেক্ট হিসাবে মাছ আর হাঁস একসাথে চাষ করার কথা দেখাইছিল কোন এক আমলে মাটি ও মানুষে, তবে পানি বাচায়া মাছ চাষা কইরা সেইতা খিলায়া মোটা তাজা কইরা আবার ভাইজা খাওয়ার বুদ্ধিটা পুরাই পাংখা। আমার মাথায় কিছু বুদ্ধি আইছিল, মাগার চাইপা গেলাম, আবার কেউ আইসা আপত্তি জানায়া যাইব, কেচাল লাগব, তারচেয়ে থাউক গিয়া।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মহাত্ম নাই, যা মাথায় আছে লিখেন ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
জার্মানিতে দেখেছি প্রত্যেকটা ফ্লাশই যখন খুশি পানি বন্ধ করে দেয়া যায়। মানে এমন না যে একবার ফ্লাশ করলে ভেতরের সব পানি খালি না হওয়া পর্যন্ত [মানে ফ্লোট ভালভ অ্যাক্ট না করা পর্যন্ত] চলতেই থাকবে।
শুধু তা-ই নয়। খান্দানি টয়লেটের ট্যাঙ্কে দু'টো সুইচ আছে, একটা ছোটো ঝাপটা আরেকটা নূহের প্লাবন। কষা কাস্টোমারদের জন্যে ঐ প্লাবনব্যবস্থা।
তবে তোমার পোস্টের মূল আইডিয়া আর দেখানো কৌশলটার সাথে আমি ষোলোআনা একমত, তোমার ফ্লাশ ফ্রিকোয়েন্সির ব্যাপারে কড়া দ্বিমত পোষণ করছি যদিও। ব্যাপারগুলো খুব তুচ্ছ শোনায়, কিন্তু যদি সামষ্টিক প্রয়োগ করা যেতো, একটা বিরাট ইমপ্যাক্ট ফেলা যায়। ২০% পানি ব্যবহারও যদি কমানো যায়, এর অর্থ, ঢাকা শহরে কয়েকটা বাড়তি প্ল্যান্ট আর বসাতে হবে না।
আপাতত পোস্টের লিঙ্ক স্প্যামাই।
এখন যেখানে আছি, সেখানে পানির তেমন কোন সমস্যা দেখি নাই। তবুও পানির অপচয় রোধ করার জন্য এই কাজটা করব। সাথে বাংলাদেশের লোকজনকে জানাব।
-----------------
শুভ্রসাদা
ধন্যবাদ । হ্যাঁ, দেশের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে দিন ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
লেখাটা মজার!
লিংকের কৌশলটা দারুণ, চেষ্টা করে দেখতে হবে!
ধন্যবাদ ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমার কাছে টাট্টিই ভালো, ফ্লাশ করার দরকার নাই, এক বদনা পানিতেই কম্ম কাবার।
বাংলার ঘরে ঘরে বাঁশের টাট্টি চাই।
===============================================
রাজাকার ইস্যুতে
'মানবতা' মুছে ফেলো
টয়লেট টিস্যুতে
(আকতার আহমেদ)
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ঘরে ঘরে বাঁশের কেল্লা বানান তার আগে । থাকেন তো সবাই শান বাঁধান বহুতল পাকা বিল্ডিং এ ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ভালো চিন্তা করছিস্। পদ্ধতি পছন্দ হলো।
চেষ্টা করতে হবে
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ধইনাপাতা ।
ঐ তুই না ইঞ্জিনিয়ার, একটা বুদ্ধি বের কর, কি সব "চ্যাষ্টা করুম" মার্কা কথা বলিস ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হাহা ।
পোস্ট ও কমেণ্ট খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম!
আসলেই বেশি পানি খরচ হয় । এতটা খরচ করা উচিত না ।
একজন জিগাইছে আপনি কি বিবাহিত!
মেয়েরা এই জিনিস নিয়ে ভুলেও পানি সচেতন হবে বলে মনে হয় না!
যেই সব ঘরে মেয়ে আছে তারা নিশ্চিত পানি সচেতনতাকে ঝেটিয়ে বিদেয় করে দেবেন!!!
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
মেয়েদেরকে তো আমরাই খারাপ করলাম, পুরুষতান্ত্রিকতার জালে জড়িয়ে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
"সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!" (লোভ সামলাতে পারলাম না, দুঃখিত )
লো ফ্লাশ হাই ফ্লাশ যাই হোক না কেন, কান ফাটানো, পিলে চমকানো আওয়াজ না হলেই খুশি আমি; মাঝে মাঝে ফ্লাশ এর শব্দে দ্বিতীয়বার কাপড় নষ্ট করবার উপক্রম হয় আমার।
ভালো লাগল লেখা, ভিডিওর ট্রিকটা চেষ্টা করে দেখব পানির বিল কমে কিনা।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
নেদারল্যান্ডের অনেক টয়লেটেও ফ্লাশ বন্ধের ব্যবস্থা আছে যখন খুশি তখন। ফ্লাশ ট্যাংকের উপরে লেখাও দেখেছি অহেতুক পানি খরচ না করার জন্য।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
পোস্ট এর সাথে একমত। বিন্দু থেকেই সিন্ধু হয়।
তবে এইখানেও (সিরাতের পোস্ট এর পরে) ডঃ স্ট্রেঞ্জলাভের কথা মনে হইয়া গেল।
সহমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ, দূর্দান্ত ।
হ, সব দোষ ক্লোরিনে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ভাল আইডিয়া। আসলে আমাদের সবারই কিভাবে পানি প্রকারন্তরে বিদ্যুৎ বাচানো যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করা দরকার।
অনেকদিন আগে একটা আইডিয়া থেকে দুইলাইন লিখছিলাম http://raselkhan.blogspot.com/2007/10/water-management-for-urban-city.html
পানির পাম্প কিন্তু বিরাট একটা লোড। ঢাকা শহরে পানি সাপ্লাইয়ের সমস্যাটা বিদ্যুৎ সাপ্লাইয়ের সমস্যাটাকেও কম্পাউন্ড করে।
ভিডিও + লেখা ব্যাপক!
যদিও আমি আরও আগে এরকম এক-দুইবার ভেবেছিলাম, কিন্তু বাস্তবায়ন করা হয় নাই।
ভিডিওখানা দেখার পর মনে মনে একটা গ্যালন খুজঁতেছি-তো-খুজঁতেছি...
হে! হে! হে!
একটা এক লিটার বা দেড় লিটার পানির বোতল দিয়ে চেষ্টা করে দেখেন আপাতত ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ভালো আইডিয়া ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এই জিনিষ ব্যবহার করেছি নিজের অজান্তেই। সিস্টার্নের ভেতরে কপার সালফেটের টুকরা ফেলতে গিয়ে হঠাৎ একদিন আবিষ্কার করলাম যে ভেতরে বিরাট একখান বোতল রাখা আছে। প্রথমে ভেবেছিলাম কোনো মাতালের কান্ড ... কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছিলাম এর মাজেজা।
জাপানে আরেকটা কাজ করে .... ওদের সিস্টার্নের (ফ্লাস ট্যাংকের) যেই পাইপ দিয়ে পানি প্রবেশ করে সেটা সরাসরি ঐ ট্যাংকে দেয়া হয় না। বরং ট্যাংকের উপরের ঢাকনাটা বেসিনের আকারে বানানো হয় আর পানির লাইনটা হয় ঐ বেসিনের কল। ফ্লাস করলেই যেহেতু পানি পরা শুরু করে(ফ্লোট ভাল্ব মেকানিজমের জন্য), তাই হাত ধোওয়ার কাজটা ঐ বেসিনেই করতে পারেন। আপনার হাত ধোওয়া পানি ফ্লাস ট্যাংকে জমা হবে পরবর্তী ফ্লাসের জন্য।
বাংলাদেশের পুরাতন কমোডগুলোর ডিজাইনের কারণেই কম পানির ফ্লাসে ময়লা দুর হয় না। এখনকার কমোডগুলোতে পানি পরার গতি-ধারাকে এমনভাবে গাইড করার ব্যবস্থা থাকে যে কম পানিতেই সব টেনে নিয়ে যায় (পাইপের ব্যাস কম থাকে; কিছুটা সাইফনের মত কাজ করে)।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
হাত ধোয়ার পানি দিয়ে টয়লেট ফ্ল্যাশ করার বুদ্ধিটা খুব ভাল লাগল । গোসলের পানিও এভাবে জমান যেতে পারে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
"৩৬৫X৬-২=২১৮৮" এটা কেমন হিসাব হল? ৩৬৫ * ৬ + ২=২১৯২ হবে না? তার মানে আপনি আসলে আরো ১২০ লিটার পানি কম খরচ করেছেন।
আপনার মূল টপিকের সাথে একমত। কিন্তু আরো অনেক কাজেই পানি বাচানো যায়। এ রকম একটা বিজ্ঞাপন টিভিতে দেখানো হত,যে প্রাত্যহিক কাজগুলোর জন্য আপনি যদি একটা হিসাব করে রাখেন যে কতটুকু পানি খরচ করবেন এবং মগে বা বালতিতে সেই পরিমাণ পানি ভরে সেটুকু দিয়েই কাজ চালান,তাহলে অনেক পানি বেচে যায়। যেমন এক মগ পানি দিয়েই সকালবেলায় মুখ ধোয়া সম্ভব,কিন্তু বেসিন ব্যবহার করলে আরো অনেক বেশি খরছ হয়। অই বিজ্ঞাপনটায় এরকম অনেক কাজের তুলনামূলক হিসাব দেয়া ছিল।
আরে তাইতো! আমি ভুল করে বিয়োগ করে ফেলেছি । ধরিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
নতুন মন্তব্য করুন