১
হাইকু, এক বচনে হাইকি, হল এক ধরনের জাপানি কবিতা । যাদের হাইকু সম্পর্কে ধারনা আছে তারা নিশ্চিন্তে ১ বাদ দিয়ে ২ এ চলে যান । বাকিদের জন্য বলি, মাত্র তিনটি পংক্তিতে ৫-৭-৫ বিন্যাসে ১৭টি মাত্রায় এই কবিতা গুলো লেখা হয় । চালাক জাপানিরা ১৭ মাত্রার এই সংক্ষিপ্ত পরিসরের মধ্যেই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের ছোট বড় সমস্ত কিছু আঁটিয়ে ফেলে । একটা খুব পরিচিত হাইকুর উদাহরণ দিলে বিষয়টা আরো পরিষ্কার হবে ।
প্রথমে জাপানি ভাষায়:
古池や 蛙飛込む 水の音
তারপর জাপানি উচ্চারণে:
ফুরুইকে ইয়া (৫)
কাওয়াযু তোবিকোমু (৭)
মিযু নো ওতু (৫)
বন্ধনীর ভেতর প্রতি পংক্তিতে মাত্রার সংখ্যা লক্ষ্য করুন । এর বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায় :
পুরনো পুকুর
তার ভেতরে ব্যাঙ্গের লাফ
পানিতে শব্দ
এর ইংরেজিটা ছিল :
old pond . . .
a frog leaps in
water’s sound
একটু সতর্কভাবে অনুবাদ করা হয়েছে যেন বাংলাটাও হাইকু হয় । এই তিনটা পংক্তিতে তাড়াহুড়ো করে পড়ে ফেললে তেমন কিছু মর্মগোচর নাও হতে পারে, অন্তত আমার মত মাথামোটা হলে তো নয়ই । হাইকুতে ছোট্ট পরিসরে অনেক কথা বলা হয়, তার মর্মোদ্ধারের জন্য তাই লিখিত অক্ষরের চেয়ে অলিখিত বার্তাটা বেশি গুরুত্ববহ । অথবা অন্য ভাবে চিন্তা করলে, হাইকুতে একটা দৃশ্যকল্পের আগাপাস্তলা বর্ননা না দিয়ে শুধুমাত্র কয়েকটা প্রধান উপকরণের নাম বলে দিয়ে শেষ করা হয় । উপকরণ গুলো ব্যবহার করে দৃশ্যকল্পটা তৈরী করে নেয়া পাঠকের দায়িত্ব ।
নিস্তব্ধ নির্জন শ্যাওলা ধরা পুকুর, তাতে লাফিয়ে পড়ে একটা ব্যাং । পুকুরের জমাট নীরবতাকে ভেঙ্গে দেয় ব্যাঙ্গের লাফিয়ে পড়ার শব্দ । আর নিপাট সমতল পৃষ্ঠের জড়তাকে ভেঙ্গে সমকেন্দ্রিক বৃত্তাকার অনুপ্রস্থ তরঙ্গ গুলো ছড়িয়ে পড়তে থাকে চারপাশে ।
২
এতক্ষণ যা বললাম সবই ভূমিকা, এইবার আসল কথায় আসি । গত দুই দিন ধরে একজন বাংলাদেশির প্রথম এভারেস্ট বিজয়কে কেন্দ্র করে বেশ কিছু খবর-অখবর এবং বাদ-প্রতিবাদ চোখে পড়েছে । সবচেয়ে বেশি দুঃখজনক মনে হয়েছে এদেশের পর্বতারোহীদের মধ্যে ব্যক্তিত্বের সংঘাত আর নিজেদের মধ্যে কাদাছোঁড়াছুঁড়ির ব্যপারটা । এসব বিষয় নিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে ঘ্যানঘ্যান করতে চাইনা, একটা হাইকু করে ছেড়ে দিলাম । আর যারা এখনো জানেননা কী নিয়ে কথা বলছি, এই লিঙ্ক থেকে কষ্ট করে ঘুরে আসুন ।
আমরা বাঙ্গালি
এক দলে তিনজন উঠি
নামি তিন দলে
মন্তব্য
--বেসিক্যালি সেটাই
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমার পরিচিত এক ভাইয়া হাইকু নিয়ে ভারতে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে গিয়েছিলেন সম্ভবত ২০০৮ এ।
আমি কিছুই বুঝতাম না, এত ছোট পরিসরে কিভাবে এত ব্যাপ্তি থাকে। আপনার লেখাটা পড়লাম, বুঝিনি প্রথমবাবারেই। পুরোটুকু বুঝতে আরো বেশ ক'বার পড়তে হবে মনে হচ্ছে।
আপনার হাইকু'র অন্তর্নিহিত ভাব ধরতে যদিও বেগ পেতে হয়নি।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ অস্পৃশ্যা । আমি ঐ অংশে বেশি পেঁচিয়ে লিখেছি মনে হয় । একবার পড়েই বুঝতে না পারা তো আসলে আমারই ব্যর্থতা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
চমৎকার -
সেইটাই...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দোস্ত, হাইকু চরম হইসে রে !!!
হে হে ঠিকাছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
বিজ্ঞানী হওন বাদ দিয়া এখন হাইকুকবি!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তারেক কামড়াইছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
তারেকের সঙ্গে তোর সম্পর্কটা অনেকদিন থেকেই আম্রা ভাল চোখে দেক্তেছিলাম্না। তোদের একসঙ্গে হুট-হাট করে কক্সবাজার ঘোরা, আজিজের চিপায় আড্ডা মারা... আম্রা অনেক আগে থেকেই টেনশনে ছিলাম। শেষ পর্যন্ত এ-ই হইল তারেক তোরে কামড়াইলো আগেই কইছিলাম এই চাঁটগাঁইয়া পোলাত্তে সাবধানে থাক
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
valo laglo..amder onukabbogulu o ki haikur moto?
খানিকটা সেরকম তো বটেই। যদি মাত্রার ৫-৭-৫ বিন্যাসটা মিলে তাহলে হাইকু বলতেই পারেন ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
বাহ! দারুণ ব্যাপার তো!!! মজা পেলাম!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হোহোহো...
_________________________________________
সেরিওজা
ঐ মিয়া, কই থাক ? আজকাল আর আড্ডায় দেখিনা । ক্লাসের চাপ নাকি ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ক্লাসের চাপ আসলে শুরু হয় নাই এখনো, তবে অনেকদিন পর ক্লাস শুরু হৈলো তো- অল্পেই টায়ার্ড হয়া যাই...
আজকেও ক্লাস শেষে হলেই সন্ধ্যা পর্যন্ত থেকে গেলাম...
_________________________________________
সেরিওজা
অল্পেই ক্লান্ত
ভুড়িওয়ালা সুহান
ব্লগও লিখে না
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
valo legeche..oneeeek valo..haiku somporke aage theke jantam..tobuo 1 porechi..
অনুগ্রহ করে Ctl+Alt+P দিয়ে ফোনেটিকে লিখুন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
- হাইকুর কাহিনিটা, আই মিন সিস্টেমটা কী?
জানা থাকলে একটা ধুগোকু লিখে ফেলতাম। (এই কু এর সাথে সচলে ক্যু (হোলেও হোতে পারতো) এর কোনো সম্পর্ক নাই)
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঐ তো বললাম না, ৫-৭-৫ বিন্যাসে ১৭ টা মাত্রা থাকবে তিন পংক্তিতে । আর কিছুনা । মাথায় যা আসে ভাল-মন্দ একটা কিছু লিখলেই হল । ব্লগ লেখার মত আর কি । অভ্র ফোনেটিক দিয়ে লিখবেন, বিজয় দিয়ে লিখলে হবেনা - হাগু (হাইকু+কাগু) হয়ে যাবে ।
এইবার আপনারে নিয়ে একটা হাইকু লিখি :
হাইকুর সিস্টেম
বুঝে নিয়ে ধুগোদা
লিখবে এক গাদা
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
- আরে, এই মাত্রা জিনিসটাই তো বুঝলাম না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যাহ শালা ... আমি আগামী বই মেলায় একটা ২ পৃষ্ঠার হাইকু কাব্যোপন্যাস লিখুম ... কেউ পারলে ঠেকা ...
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
সুহাসদা লিখছে
দুই পাতা হাইকু
অভ্র ফোনেটিক
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
মজার হইসে। যদিও আমার হিসাবে তিনজনের দল হয় সাতটা।
দুই এর ঘাত তিন
তা হইতে বিয়োগ এক
শেষে থাকে সাত
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
মূল বিষয় নিয়ে মন্তব্য নিস্প্রয়োজন...
তিনজন
হায় অপরাগ
ছয়ভাগ!!!
(জাপানিরা এটাকে মেনে নেবে বলে মনে হচ্ছে না)
তবে ভুমিকা নিয়ে একটা কথা বলি... ব্যাপারটা অনেকটা মুঘল মিনিয়েচার পেইন্টিং এর মতো মনে হচ্ছে, অথবা প্রাচীন পুঁথীর মতো, সারা জীবনের জ্ঞান তিনটে তাল পাতায় লিখে রেখে যাওয়া!
ধন্যবাদ আপনাকে । মিনিয়েচার পেইন্টিং বা পুঁথির সাথে তুলনাটা যথার্থ । অল্প কথায় অনেক বড় ভাব প্রকাশ করাই হাইকুর বৈশিষ্ট্য ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সবই কপাল
আমরা সবাই নেতা এ ভুবনে
সবাই সবারে লাঙ মেরে দেই পিছনে ফেলে
একটু স্বঢাকনির্ঘোষ শোনাই: অনেক অনেক কাল আগে (যখন গডজিলা আর টিরেক্সরা বিকেলে ফুচকা খেতে যেতো একসাথে, সেই যুগে) হাইকু নিয়ে সচলের পাতায় লিখতে গিয়ে ঐ দাদুরীকাব্যটি আম্মো অনুবাদ করেছিলাম:
মজা পুকুরে
ঝুপুস! লাফালো ব্যাঙ-
জলের শব্দ।
এক্সক্লামেশনটাই এখানে কিরেজি। আজকের অনুবাদে 'পুরোনো পুকুর'কে কি ৫ মাত্রা ধরা যায়? নাকি আমি কিছু মিস করলাম?
আমার সেই প্রাগৈতিহাসিক লেখাটার লিঙ্ক পাবেন এইখানে।
আরে মূলোদা, অনেকদিন পর !
আপনার অনুবাদে এক্সক্লেমশনকে কিরেজি ধরার ব্যপারটা মজা লাগল । আমি তো 'পুরোনো পুকুর' এ ৫ টা মাত্রাই দেখছি । দেখেন দেখি কিছু ভুল করলাম নাকি ।
পু রো নো পু কুর
আপনাদের হাতে ভুল ধরা পড়লে আখেরে আমারই লাভ ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হাইকু কি হিয়াকু নামেও পরিচিত?
হাঞ্জি বা কাঞ্জি পারিনা। পারলে জাপানিটা পড়তে অসুবিধা হত না।
শেষে আপনার সুরে হেডিং একটু ধার নিয়ে বলছিঃ
একখানা হাইকু
লিখেছেন এনকিদু
চরম হইছে
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
হিয়াকু নামটাও প্রচলিত হতে পারে । আমি আসলে সাধারণ জ্ঞান থেকে কয়েকটা লাইন লিখেছি, হাইকুর ব্যপারে তেমন বিশেষজ্ঞ আমি না । আপনার হাইকুটাও মজা লাগল । নিজের জীবদ্দশায় আমাকে নিয়ে লেখা হাইকু দেখার সৌভাগ্য হয়ে গেল
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ওরে চ্রম। আমি সাঁইকু লিখমু
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সাঁইকু আবার কী জিনিস ? সাঁই বাবার হাইকু নাকি ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হাইকু পড়ে-
বৃথাই ভাবি বসে,
কী আর কমু?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
''হাইকু'' দারুণ জিনিস। যে একবার পড়বে বুঝে, সে মজে যাবে। বার্নস অ্যান্ড নোবোলস-এ গেলে আমি খালি কবিতার বইগুলোতেই ঘুরে বেড়াই। সব বই যদি কেনা যেত, আর সেগুলো যদি নিয়েও আসতে পারতাম!
তোমারটা ভাল হয়েছে। আরও লেখবে? লেখলে আরও কয়েকটা উদাহরণ দিয়ে দিও, এত সুন্দর সুন্দর হাইকু আছে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
আবার কবে লিখব বা আদৌ লিখব কিনা কে জানে । আর আমি হাইকুর উপর সামান্য সাধারণ জ্ঞান রাখি, এর বেশি কিছুনা । তাই সবচেয়ে পরিচিত ঐ ব্যাঙ্গের লাফ মারার উদাহরণটাই মাথা থেকে বের হয়েছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হুম।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
এনকিদু ভাইয়া
দিয়ে চরম খোঁচার রেশ,
লিখেছেন তো বেশ!
______________________________________
ভাষা উন্মুক্ত হবেই | লিনলিপি
______________________________________
লীন
বেশ ভালৈছে।
তবে,
শুধু পর্বতের?
সব আরোহী এদেশে
হেন স্বভাবের!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ইয়া মাবুদ, আপনার ইরকম বিশাল হাইকু পইড়া আমার দমকু বাইর হবার অবস্থা। মচেৎকার হইছে।
বিভাজনটা নাই কোথায় সেইটাই তো খুঁইজা পাই না। পর্বতারোহীরাই বা তাইলে এর থেইকা আলাদা হইবে কেনে। সবাই আমরা সবাইরে প্যাক-কাদায় ফিক্কা কোপাকোপি করতে ব্যস্ত, যতই আমরা অস্বীকার যাই আমগো সবার মাঝেই এই জিনিস কম বেশী ঠিকই আছে। ভালা জিনিসরে খারাপ জিনিসের তুলনায় কেমনে জানি খুব সহজেই গু বানাইয়া ফেলা সম্ভব। এর লাইগা শ্রদ্ধা জিনিসটা একই সাথে যেমুন সবার লাইগা আছে, আবার সময়বিশেষে কারো লাইগা নাইও।
দৃশা
নতুন মন্তব্য করুন