নভেম্বরের শেষ দিকে লাউয়াছড়ায় গিয়ে এই বিচিত্রদর্শন মাকড়সা গুলো দেখি। এর আগে কোনদিন এই প্রজাতি তো দূরের কথা, এই গণের কোন প্রানীও মনে হয় চোখে পড়েনি। পরে অন্তর্জাল থেকে জানা গেল এটা Gasteracantha গণের সদস্য। Gasteracantha মানে হল তলপেটে কাঁটা আছে যার। মাকড়সার দেশের পিছের অংশটা, যেখান থেকে জাল বোনার সুতা বের হয়, ওটাই তার তলপেট। এই গণের সদস্যদের পিঠের উপর তিন জোড়া পর্যন্ত কাঁটা থাকতে পারে। তবে সবার কাঁটা এরকম সালভাদর দালির গোঁফের মত নাটকীয় না।
ছবির মাকড়সাটা হল Gasteracantha arcuata আর এদের পিঠে থাকে এক জোড়া লম্বা বাঁকান কাঁটা। অন্তর্জালের বিভিন্ন সূত্র মারফত জানাগেল ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার দেশ এবং ভারত ও চীনে এদের দেখা মেলে। তবে বাংলাদেশে এদের উপস্থিতি সম্পর্কে কোন কথা পাওয়া গেল না। বাংলাদেশে (অন্ততঃ লাউয়াছড়ার জঙ্গলে) যে তারা বহাল তবিয়তে আছে তা তো বুঝতেই পারছি, তবে বিষয়টা নিয়ে কোন রকম ডকুমেন্টেশন করা হয়নি সম্ভবত।
পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে এই প্রজাতির আরও কিছু ছবি দিলাম নীচে। বাংলাদেশে এখনো রঙ্গিন পিঠের Gasteracantha arcuata আমি দেখিনি, দেখার আশায় থাকলাম। তবে দক্ষিন পূর্ব এশিয়াতে মনে হচ্ছে অহরহই দেখা যায়।
http://www.malaeng.com/blog/?p=10612
http://godofinsects.com/museum/display.php?sid=121
মন্তব্য
আরে দারুণ ছবি তুলেছেন তো! হলিউড আগে খোঁজ পেলে একে পরের স্পাইডারম্যানে ভিলেন বানাতে পারে!
ইন্টারেস্টিং!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
উরে বাপ্রে। এইরকম মাকড়সা দেখি নাই কখনো।
আর কী কী দেখলেন?
অট: যারা দালি সাহেবের মোচ চিনেন না :
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
দারুণ। এটার আরো ছবি আছে কি?
আছে, কিন্তু ব্লার হয়ে গেছে। হাত নড়ে উঠেছিল। আমার পয়েন্ট-অ্যান্ড-শুট ক্যামেরা, ছবি তোলার মত কাছাকাছি এই একটাকেই দেখেছিলাম। বাকি সব দূরে দূরে ছিল।
তবে আরো ছবি হবে। সম্ভব হলে ভিডিও করাও হবে। ২৩, ২৪ তারিখে আবার যাব। এক রাত থাকার জায়গা খুঁজতেছি, ভাল জায়গা না পেলে শ্রীমঙ্গল শহরে কোন হোটেলে রাত পার করে ফেলব। কিন্তু সেক্ষেত্রে পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার দৌড় দেয়া লাগবে। শীতে ঐ শহরে আটটার আগে যানবাহন রাস্তায় নামেনা।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সরকারী কোন কর্মকর্তাকে ধরে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউটে রাতে থাকার ব্যবস্থা করো। সেখানকার একজন স্থানীয় রিকশা/ভ্যানওয়ালাকে (বিশেষতঃ যারা লেবু বা আনারস পরিবহন করেন) আগেই হায়ার করে রাখবে যেন সকালেই চলে যেতে পারো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি ভাবছিলাম আজকে বিকালেই আপনাকে একবার ফোন করব, আর এখন আপনি নিজেই বলছেন অন্য লোক ধরতে
বেশ তাই নাহয় ধরলাম। এখন সরকারী লোক খুঁজতে যাই ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
খুব খিয়াল কৈরা ! আমার দোস্তের গায়ে হাত লাগে না যেন !!
এইটা তো মেয়ে, এই প্রজাতির পুরুষ গুলা এরকম না।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
পুরাই দালির মোচ... এই জিনিস তো বাপের জন্মে দেখি নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এর বাংলা নাম হতে পারে দালিমোচ মাকড়সা।
নামটা পছন্দ হইছে
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
তুমুল !!!
এরকম অদ্ভূতদর্শন আর কিছু দেখেন নি ?? কচ্ছপ প্রজেক্টেও এরকম কিছু ছবি নিশ্চয়ই তুলেছেন। সেগুলোও দিয়েন...
_________________________________________
সেরিওজা
কচ্ছপ প্রজেক্ট বিশাল লম্বা, তাতে অনেক কাহিনী আছে। জেলিফিস সংক্রান্ত আরেকটা প্রজেক্টের সাথে ওভারল্যাপ করে, সেই জেলিফিস প্রজেক্ট আবার প্রবালের সাথে ওভারল্যাপ করে, প্রবাল ওভারল্যাপ করে বুয়েটে আমার এক সময়ের গবেষণার বিষয় fractal এর সাথে। সব মিলে প্রায় তিন বছরের গল্প। লিখতে আলসেমী লাগে।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
তুমি fractal নিয়ে কাজ করেছ! এই বিষয়ে লেখা না হলেও অন্ততঃ একটা ছবিব্লগ দাও। আমার খুবই পছন্দের বিষয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ওরে খাইসে!! জন্মে দেখি নাই এই মাকড়সা!!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কয়দিন আগে লাউয়াছড়া গিয়ে এই বস্তু দেখার অভিজ্ঞতা আছে। আপনি ভোরের দিকে গিয়েছেন কিনা জানি না, ঐখানের রেস্টহাউজে রাতে থাকায় ভোরে বনে ঘোরার অভিজ্ঞতা হয়েছে; এক কথায় বলতে গেলে রোমহর্ষক।। এই বান্দারা সারারাত ধরে জাল বোনে আর সকালে হাঁটতে গেলে সোজা ঘাড়ে এসে পড়ে।। বার কয়েক এই গুঁফো-মামার সাথেও মোলাকাত হইসে, উনার কয়েকখান রঙ্গীন ফটুকও আছে আমার কাছে।।
_______________________________________________
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
এখন তো প্রায় সবার হাতেই ভিডিওক্ষম ক্যামেরা থাকে। কেউ যদি কোথাও কোনো বিচিত্র পোকা, ফুল বা পাখি দেখেন, তাহলে যতদূর সম্ভব ডিটেল ছবি তুলে রাখতে পারেন। আর কোনো আচরণ চোখে পড়লে ভিডিও করে রাখতে পারেন।
বৃটেনে এখন বনভূমি নেই বললেই চলে, অথচ বৃটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন সম্ভবত এ যাবৎকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ডকুমেন্টারিগুলো শুট করেছে। আমাদের বন আছে, কিন্তু মন নেই। আমাদের দেশে যতটুকু বন অবশিষ্ট আছে, সেখানেই হয়তো মিলে যেতে পারে বিচিত্র নতুন কোনো প্রজাতি, কিংবা পুরনো কোনো প্রজাতির এমন কোনো আচরণের নিদর্শন, যা আমাদের আগে জানা ছিলো না। এগুলোকে যত দূর সম্ভব রেকর্ড করে অনলাইনে যোগ করা জরুরি।
কই বিবিসি, আর কই বাসস!
হুর ব্যাটা!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হিমু ভাই, লাউয়াছড়ায় বন বলতে আর বেশি কিছু নেই। একেতো গাছ কেটে সাফ। তার উপর বনের বাফার জোন সাফ করে বানানো হচ্ছে বিশাল হোটেল।
দেওয়া হয়েছে পিকনিকের অনুমতি - পুরো জায়গা জুড়ে বোম্বে চিপ্স আর বেন্সনের প্যাকেটের ছড়াছড়ি। এরপর লেবুর চাষ, পানের চাষ, সামাজিক বনায়ন প্রজেক্টের টিক প্লান্টেশন, সিসমিক সার্ভেতে ডিনামাইট ফাটানো - বাকি কী থাকে বলেন!
তারপরও দেখা মেলে বিচিত্র সব প্রাণীর। এই ২০১০ সালেও বাংলাদেশে সম্পূর্ণ নতুন (country record) প্রজাতির স্তন্যপায়ীর দেখা মেলে! লিংক
এই আবিষ্কার কিন্তু একজন আলোকচিত্রীরই, কোন বৈজ্ঞানিকের না। হেডলাইন হওয়ার কথা, কিন্তু কয়জনই বা আগ্রহ দেখায়!
ফাহিম হাসান
ভাই, আমাদের ট্যুরিস্টদের মতো অশিক্ষিত, বর্বর আর কিছু নাই। ট্রয় নগরী ধ্বংস করার জন্য ভোদাইরা কাঠের ঘোড়া বানাতে গিয়েছিলো কষ্ট করে, কিছু বাঙালি ট্যুরিস্ট পাঠিয়ে দিলে ট্রয় নগরী হেগেমুতে আর চিপসের প্যাকেট, সিগারেটের প্যাকেট, কলার খোসা, ডাবের খোল, কনডমের ছিলকা আর বিয়ারের কৌটা ফেলেই চুরমার করে দিতে পারতো।
আমি এই কারনে কোনদিন কাউকে বলিনা বাংলাদেশের বিভিন্ন কোনায় যেসব সুন্দর সুন্দর জায়গা খুঁজে পেয়েছি। ধরা যাক আজকে একটা সুন্দর নির্জন নদীর পাড় খুঁজে পেলাম। কয়েকটা ছবি তুলে নিয়ে এসে আপনাদেরকে দেখালাম। পরের দিন থেকে এক দল লোক আন্ডাবাচ্চা সহ ঐ এলাকায় গিয়ে পিকনিক চোদানো শুরু করবে।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
প্রথমবার লাউয়াছড়ায় গিয়ে ঠিক এই ধরনের বাজে একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল। গিয়েছিলাম এক বিশাল পিকনিক পার্টির সাথে, সেখানে যে একটু নিভৃতে বনটা চেখেচুখে দেখব সেই জো আর ছিলনা। সবার সম্মিলিত হল্লায় বোধহয় সবপ্রাণীই বিলকুল হাওয়া হয়ে গিয়েছিল, তাই ক্যামেরাবাজির ফুরসত আর মেলেনি। এখন তো অবস্থা দিন দিন আরো শোচনীয় হয়ে পড়ছে, ধূমপায়ী আর স্ন্যাক্সখেকোদের অত্যাচারে ট্রেকিং এর রাস্তাগুলো এর মাঝেই সয়লাব হয়ে পড়েছে। চাইলেও কেউ আর ওখানে এখন হারিয়ে যেতে পারবেনা।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
লিঙ্কে দেখলাম ব্যাংকার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
যাহোক, যিনি ছবি তুলে নিয়ে এসেছিলেন তিনি যে "বৈজ্ঞানিক" না আমরা কিভাবে বুঝলাম ? বৈজ্ঞানিক এর সংজ্ঞাটা কী ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
জ্বী, উনি পেশায় ব্যাঙ্কার, নেশায় আলোকচিত্রী। মূলত পাখির ছবি তুলেন। আমার বন্ধু বলেই বলছি। আর সাধারণভাবে বৈজ্ঞানিক বলতে আমি বুঝিয়েছি যে উনি প্রকৃতিকে জানার জন্য কোন পরীক্ষামূলক গবেষণা করছেন না বরং আলোকচিত্র নির্ভর অ্যাপ্রোচ নিচ্ছেন।
আর আমার বক্তব্যটা ছিল সহজ। প্রযুক্তির সহজলভ্যতা এখন নতুন কোন প্রাণী/উদ্ভিদ খুঁজে পেতে অনেক সুবিধা দেবে। সাধারণ মানুষ, সৌখিন আলোকচিত্রী, ভ্রমণপিপাসু কেউ যদি কোথাও আগ্রহুদ্দীপক কিছু দেখেন, সহজে তা শেয়ার করতে পারবে এবং অ্যাকাডেমিক সার্কেলের অনেকেই যেহেতু বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্কের সাথে জড়িত, তারা হয়ত সঠিকভাবে সনাক্ত করতে পারবে। অনলাইনে নতুন প্রজ়াতি বিষয়ক তথ্য হাল নাগাদ করাও সহজ।
এই আবিষ্কারটা সেভাবেই হয়। প্রথমে তিনি ছবি তুলে ফেইসবুকে শেয়ার করেন। প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক ড. মনিরুল খান তা সনাক্ত করেন।
ফাহিম হাসান
আলোচিত্র নির্ভর অ্যাপ্রোচ কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বাইরে ধরা মনে হয় ঠিকনা। হয়তো তিনি মাসের ত্রিশ দিন বৈজ্ঞানিক নন, বেশিরভাগ দিনই ব্যাঙ্কার। কিন্তু যখন ক্যামেরা হাতে বন্য প্রানীর সামনে দাঁড়িয়ে, তখন তিনি অবশ্যই একজন বৈজ্ঞানিক।
পুরোপুরি সহমত।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অদ্ভুত! লাউয়াছড়ায় যাবার ইচ্ছেটা অনেক দিনের। ছবিটা সে ইচ্ছায় আগুন দিল
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
দুই, তিন জনের দল হয়ে যান ভাই। দোহাই, এর থেকে বড় দল নিয়েন না। আর চিপ্স, সিগারেট ইত্যাদি হাবিজাবি খেয়ে জায়গাটা ময়লা করার দরকার নাই। আমি নিজে অনেক বিড়ি টানি, কিন্তু আমিও এরকম কোথাও গেলে একটা বিড়ির গোড়াও মাটিতে ফেলিনা, সব পকেটে করে ঢাকায় নিয়ে আসি। আর পারতপক্ষে বিড়িও কম টানি, লাগেই না। প্রকৃতি দেখতে দেখতেই "হাই" হয়ে যাই
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হুম, দল বেঁধে প্রকৃতি-ধর্ষণ হয়, প্রকৃতি-দর্শন হয়না। এধরনের অনেক স্থানেই আজকাল এমন সাইনবোর্ড থাকে-- "ফেলে যাও শুধু পদচিহ্ন, নিয়ে যাও শুধু স্মুতি"।
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
চরম ভাবে বিশ্রি দেখতে মাকড়শাটা। জীবনেও এরকম দেখি নাই। অবশ্য আমি মাকড়শা পছন্দ করি না। যাই হোক কথা হল গিয়ে লাউয়াছড়া এখনো সেভাবে এক্সপ্লোরড না, আর এ জায়গাটা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাণবৈচিত্রে ভরা। তাই অনেক সাধুবাদ জানাই আপনাদের এক্সপ্লোরেশনকে। তবে দুঃখজনক হল, এর কাছে বন অধিদপ্তরের অনুমতি ব্যতিরেকেই শেভরনকে অনুমতি দেয়া হয়েছে গ্যাস অনুসন্ধান করার জন্য।
অনন্ত
এই মাকড়সায় কামড়ালে কী হবে? স্পাইডারম্যান তো আর হওয়া যাবে না, মারা টারা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাতে পায়ে কামড়ালে জ্বালা-পোড়া করবে। লাল হয়ে ফুলে উঠতে পারে। মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয়না। তবে ক্রিপ্টোনাইট এর উপর কামড়ালে কী হবে আমি জানিনা।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
দারুণ ছবি। লাউয়াছড়া যে কোন পতঙ্গবিদের জন্য স্বপ্নভূমি।
মাকড়সাটা আসলে সিলেট/ শ্রীমঙ্গলে কমন। অন্যান্য অঞ্চলের ডিস্ট্রিবিউশান (প্রজাতি পরিধি ? ) জানিনা। আর যতদূর মনে পড়ে Asitic Society এর Encyclopedia of Flora and Fauna of Bangladesh এ এর উল্লেখ আছে। সেই সাথে সিরাজুল হোসেইনের Images From The Wild এও এর উল্লেখ আছে। (ছবিসহ)
এরকম নাকি দেখেন তোঃ
ফাহিম হাসান
আরে, জটিল! ছবিপোস্ট হয়ে যাক এক দফা।
সচলে নিবন্ধন করে ফেলেন এই ফাঁকে।
হিমু ভাই, আমি অতিথি হিশেবে একটা পোস্ট দিয়েছি। তাও আবার লাউয়াছড়া নিয়েই নিবন্ধন করব কিভাবে? সচলায়তনে নিয়মিত লেখার/পড়ার ইচ্ছে রাখি।
ফাহিম হাসান
লগ-ইন বক্সের নিচেই আছে লিঙ্কটা
নিবন্ধন করেছি। উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আপনার ছবিটাও দারুন
নেটে বাংলাদেশে gasteracantha arcuata নিয়ে তেমন কিছু খুঁজে পাচ্ছিলামনা। আপনি যেই দুটি বইয়ের কথা বললেন, তাদের কোন রকম অনলাইন সংষ্করণ কি আছে ? থাকলে আমার ব্লগে লিঙ্ক দিতে পারতাম।
আপনি পতঙ্গবিদ ?
উত্তর হ্যাঁ-বোধক হইলে আপনার কাছে আমার অনেক কিছু জানা/শোনা/শেখার আছে। তাড়াতাড়ি আওয়াজ দেন।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ধন্যবাদ। দুঃখের ব্যাপার হল যে দুইটি বইয়ের কোনটাই অনলাইনে পাওয়া যায় না। (আমার জানামতে)। তবে এশিয়াটিক সোসাইটির বইটা ওদের লাইব্রেরিতে পাবেন। কিনতেও পারবেন। কোন এক বিচিত্র কারণে তারা অনলাইনে কিছুই প্রকাশ করতে চায় না। ওয়েবসাইটে ফিয়ে দেখুন- এর লিঙ্ক কাজ় করে না।
তাই দেশের বাইরে থাকলে বিপদ। আমি নিজে প্রবাসী তাই হাতের কছে রেফারেন্স না পেলে চুল ছিঁড়তে ইচ্ছা করে। আমি যদি এই প্রজাতি সম্পর্কে কিছু জানতে পারি আপনাকে জানিয়ে দিব।
আমি পতঙ্গবিদ না। কিন্তু বন-জঙ্গল-পশু-পাখি ভাল পাই।
আপনার কাছে আরো ছবি/লেখার দাবী জানিয়ে গেলাম। বিশেষ করে কচ্ছপের উপর।
ফাহিম হাসান
হ্যাঁ দেখলাম তাদের ওয়েবসাইট। কোন কাজের না!
তাহলেও চলবে। আপনাকে ইয়াহুতে অ্যাড করেছি, কথা আছে।
দেখি, সময় এবং মাথায় পাগলামি ভর করার উপর নির্ভর করে আবার কবে আলুর গুদামে আগুন লাগবে (পড়ুন : আরেকটা লেখা দিব) । তার মধ্যে কচ্ছপেরটা এক দুই পোস্টে শেষ করা যাবেনা। অনেকদিন ধরে টানতে টানতে এতদূর এসেছে, বেশ কয়েকটা পোস্ট হবে। এই জন্যই আর লিখতে ইচ্ছা করে না, আলসেমী লাগে।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সিরাজুল হোসেইন সম্ভবত সচলায়তনে বেশ কিছুদিন লিখেছিলেন, অতিথি লেখক হিসেবে। "সিরাজ" নামের অতিথি লেখকের একাউন্ট থাকার কথা একটা। উনার পোস্ট আর মন্তব্যে লাউয়াছড়ার কিছু মাথা খারাপ করা ছবি দেখেছিলাম। উনি তখনই বলছিলেন একটা বই তৈরি করছেন, তারপর আর সচলে লিখেননি। উনার ফোন নম্বরটাও ছিলো, হারিয়ে ফেলেছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বিস্ময়কর হলেও সতি্য পৃথিবীর মোট পোকামাকড়ের ৮০ থেকে ৯০ ভাগই এখনও অনাবিস্কৃত। এই বিশাল অনাবিস্কৃত পোকামাকড়ের একটা অংশ আমাদের দেশে থাকাটা অসম্ভব কিছুই না। পৃথিবী জুড়ে মাকড়সার (spider) সম্ভাব্য প্রজাতি সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ হলেও এখন পর্যন্ত ১ লক্ষও ডকুমেন্টেশন হয়নি।
(Ref: Primack 2008; A Premier on Conservation Biology, ৩৪p)
লাওয়াছড়ার মেগাফনার বিক্ষিপ্ত ডকুমেন্টেশন হলেও মাইক্রোফনার ডকুমেন্টেশন খুব সীমিত (অন্তত আমার চোখে সেরকম পড়েনি)। একটা বন সংরক্ষনের প্রয়োজনীয়তা আর স্ট্র্যাটেজি নির্ভর করে এর সম্পদ এবং উপযোগীতার উপর। এই সম্পদ সম্পর্কে ধারণা না থাকলে সংরক্ষনের গুরুত্ব কমে যায়, ব্যবস্থাপনাতেও অনেক ত্রুটি থেকে যায়।
যাঁরা আগ্রহী আছেন, তাঁরা মনে হয় এগিয়ে আসতে পারেন নিজ নিজ আগ্রহের বিষয় ডকুমেন্টেশনে।
ছবি দারুন তুলেছেন!
এই একটা কথা যদি বনবিভাগকে বোঝান যেত! আফসোস! এখনতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সরকারী-বেসরকারী সবাই বনভোজনে যত প্ল্যান করে, সংরক্ষণে তার কিছুই করে না।
- সঠিক পর্যবেক্ষণ।
ফাহিম হাসান
বিচিত্রদর্শনই বটে!
সচলে সত্যিই একজন এনটোমোলজিস্ট প্রয়োজন।
এই মাকড়সাটার পিঠ রঙিন না। কাজেই একটা সম্ভাবনা থেকে যায়, এটা G. arcuata নয়, অন্য কোনো প্রজাতি বা উপপ্রজাতি। আর যদি G. arcuata হয়, তাহলে কি পুরুষ আর স্ত্রী-ভেদে পিগমেন্টেশনে পার্থক্য আছে? নাকি পিগমেন্টেশন জীবনের কোনো একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে (যেমন প্রজনন মৌসুম) দেখা দেয়? যদি একই জঙ্গলে রঙিন আর কালো, দুটো ভ্যারিয়্যান্টই দেখা যায়, তাহলে একটা খুব খুব ইন্টারেস্টিং গবেষণা হতে পারে, এদের প্রতিবেশের হাইপারভলিউমের কোন ডাইমেনশনটা এই কেলেকিষ্টি মাকড়সাটাকে পিগমেন্টেশনহীনতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
প্রিডেশন একটা বড় প্রেশার হতে পারে। হয়তো লাউয়াছড়ার ঐ বিশেষ পকেটে এমন কোনো প্রিডেটর আছে, যেটা রঙিন মাকড়সা পেলে খেয়ে ফেলে। শিকারের পক্ষ থেকেও প্রেশার আসতে পারে, যদি ঐ পকেটের পোকাগুলো মাকড়সার পিঠের রং কোনোভাবে শনাক্ত করে সতর্ক হয়ে দূরে দূরে থাকে। আরেকটা হতে পারে, মাকড়সাটা তার ডায়েট থেকে এই পিগমেন্টেশন তৈরি করার জন্যে প্রয়োজনীয় প্রোটিন তৈরি করতে পারছে না।
অনেকগুলো রঙিন মাকড়সার ভিড়ে একটা কালো মাকড়সা মানেই কিন্তু একটা বড় প্রশ্ন, আর একটা লুকিয়ে থাকা গল্প। এই গল্পটাকে এখন খুঁজে বার করতে হবে।
যেহেতু এন্টোমলজিস্ট নাই, চলেন আপনি আর আমিই এক্সপেডিশনে যাই।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
দারুন!! নতুন একটা বিষয় নিয়ে পোষ্ট দেবার জন্য ধন্যবাদ।
সামনে আরও ছবি ব্লগ চাই।
অনেকদিন পর এনকিদু ভাইর লেখা পেলাম। ছবিটা চমৎকার।
এই নতুন দালি সাহেবকে পেন্নাম!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কিছুদিন আগে লাউয়াছড়া পার্কে গিয়েছিলাম। কিন্তু এ বিচিত্র মাকড়সা গুলো দেখা হয়নি। ধন্যবাদ আপনাকে, আশা করি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অন্যান্য জীব বৈচিত্র তুলে ধরবেন।
গুরু ভাই
অসাধারণ ছবি। আগে কখোনো এই মাকড়শা দেখিনি। কতবার যে সিলেটে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করলাম কিন্তু সময়ই করতে পারি না। আর দু'একবার সময় হয়েছে তো ট্যাকের অবস্থা ভালো ছিলো না।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ।
সিলেট যেতে আবার ট্যাঁকের চিন্তা করা লাগে নাকি ! বাংলাদেশ ছোট্ট একটা দেশ, এই দেশে যেখানেই বেড়াতে যান, যদি জনপ্রতি প্রতিদিন গড়ে এক হাজার টাকার বেশি খরচ হয় তাহলে বুঝবেন আপনি অনেক বাজে খরচ করছেন।
আমি আপনাকে তিনদিন কক্সবাজার বেড়ানর বাজেট করে দিতে পারি, আসা যাওয়ার বাস এবং হোটেল ফোটেল ভাড়া সহ মোট খরচ হবে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা।
ঢাকা থেকে একদিন লাউয়াছড়ায় গিয়ে সারাদিন ঘুরে ফিরে আবার সন্ধ্যা/রাতের ট্রেন ধরে পরদিন সকালে ঢাকা শহরে ফিরে আসার বাজেট করে দিতে পারি খরচ হবে এক হাজার টাকা।
আবার দেশে আসবেন যখন আওয়াজ দিয়েন।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এনকিদু ভাই, ট্রেনে করে লাউয়াছড়া গেলে শ্রীমঙ্গল ষ্টেশানে নেমে কিভাবে যেতে হবে বাকীটা পথ? কতদুর রাস্তা? থাকার হোটেল আছে শ্রীমঙ্গলে? আমি জানুয়ারীতে লাউয়াছড়া যাবার চেষ্টা করছি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
যেহেতু দলবলের কথা কিছু বলেননি, ধরে নিলাম একাই যাচ্ছেন।
স্টেশন থেকে হেঁটে যেতে ২ ঘন্টা লাগে। হোটেল আছে, কিন্তু জঙ্গল দেখতে চাইলে একদিনই যথেষ্ট। ভোর বেলায় গিয়ে সারাদিন জঙ্গল দেখে সন্ধ্যায় ট্রেন ধরে আবার ঢাকায় ফেরত। বেশি দিন জঙ্গলে বসে থেকে জঙ্গলটা ধ্বংস করার কী দরকার।
অধমকে ফেসবুকে অ্যাড করেন, ঐখানে বিস্তারিত বলব।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এনকিদু, ফাহিম হাসান, মাহবুব রানা, আপনারা যদি একটু কষ্ট করে এই পেইজটিতে যোগ দিতেন, ভালো হতো। বাংলাদেশের প্রাণবৈচিত্র্য নিয়ে প্রযুক্তিকুশল প্রকৃতিরসিকদের মধ্যে যোগাযোগ আরো নিবিড় হওয়া প্রয়োজন।
ধন্যবাদ এনকিদু ভায়া, অনেক কিছু জানতে পারলাম পোস্টটা পড়ে। এরকম আচানক মাকড়সা আগে দেখি নাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
দারুণ ছবি, আর মন্তব্যে দারুণ আলোচনা। মুগ্ধ হলাম।
মাকড়শা'র কোন আপডেট আছে? ভিডিও করতে পারলেন?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নতুন মন্তব্য করুন