অহোরাত্র নক্ষত্রের মৃত্যু ঘটে গেছে কত!
চিন্তার আধারে অচিন্তিত ক্ষুদ্র ক্ষতি :
কোন শোকবার্তা ছিলোনা হয়ত তাই,
শোভাযাত্রা ছিলোনা কোন শোকাবহ
মনে রাখিনি কেউই, যেমন ইচ্ছেরা
নিদ্রিত চেতনে আসেনা কখনও-
সত্ত্বার মাঝেই অস্তিত্বের অলৌকিক লুকোচুরি;
সুপরিচিত দিবস অনাগত যদিও; তবুও
জানা হয় সূর্যের অরব প্রতারণা মনুষ্যসমাজে
দিব্যদৃষ্টি লাগেনা যদিও, থাকেনা সবার তা-ও-
প্রদোষের ভ্রম সূর্যকে নিয়ত
ধুয়ে যায় পূত আলোকস্নানে।
পাখির নিষ্ফল রোদনের মত অর্থহীন
জীবিকার চংক্রমন শুধু আশ্রিতা চাঁদের জন্যে
প্রভাতের নির্জলা কৈতব ভালোবেসে কিংবা
বাতাসে লুকিয়ে রোদনের আয়োজন সমুচয় :
গ্রীষ্মের অলস আগমণে,
বাচনের অনর্গল প্রলম্বনে
অনর্থক এ দর্শনে, আহ্বানে, গানে
আলস্য ভঙ্গুর- জীবনের প্রতিগিঠে এরপরও;
নশ্বর সুখের অধর আলেখ্যে
অনিশ্চিত কাটে আরো কিছু
ক্লান্ত প্রহর চেতনে অচেতনে :
কিছু যেন হারানো সুরের মায়া-
স্মৃতির দর্পনে ছায়া হয়ে অশরীরী অনস্তিত্ব
বাস্তবের মাঝে ধাঁধা- নিয়ত বোধের
মেজাজে ধরায় জং-
কিছুদূর তবু চলে অরূপ আধারে।
ফিরে আসা সকালের মত, গ্রীষ্মের মত,
ফিরে আসে অমাত্রিক ভূমিতে ভ্রমের আহাজারী :
ভিতরে বাইরে অজ্ঞাত শমণ
ছিঁড়ে ফেলে, ঘুঁচে দেয় আধাঁরের মায়া,
আলোকের ভ্রমটুকু। শরীরী মেজাজে
আড়মোড়া ভেঙে ইচ্ছে কিছু
ক্ষণিকে মিলায় গোধূলির মত-
কিঞ্চিৎ আলোক ছেড়ে যায়
আঁধার নামার আগে.. .. .. ..
মন্তব্য
বাহ বেশ লাগল! ইদানীং আপনার লেখা দেখি না!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ধন্যবাদ মাহবুব ভাই। আসলে সময় করে উঠতে পারিনা ; কিন্তু খুব ইচ্ছে হয়.. .. ..
ভাল লাগল; তা ছবিখানা কি কবি সাহেবের?
কবিতা যেমন কবির তেমনি তা পরিপার্শ্বের আনন্দ,ক্ষোভ,সুখানুভূতি,কিংবা প্রাতিস্বিক নির্মোহতার নিঃশব্দ আলেখ্য। তাই কাব্যিক প্রয়াসের অন্তহীন গতিপথ আপনার আমার। ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিককে । আজ্ঞে, ছবির সকল দায়ভার আমার...এর জন্য সচলায়তন কোনক্রমেই দায়ী নহে।
নতুন মন্তব্য করুন