ক্যানাডাতে সমকামীদের বিয়ের বৈধ অধিকারের আইন পাশ করা হলো। তারপর দক্ষিন আফ্রিকা এই দলে যোগ দেওয়ার মোট দেশের সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচে। বেলজিয়াম আর নেদারল্যান্ড আগেই এই আইন পাশ করেছে। প্রকৃতপক্ষে এই আইনটা কি? কেন এটা পাশ করা এত জরুরী হলো? এতে কারা বেশী লাভবান হলো?
ক্যানাডার সমকামীদের বিয়ে বৈধ হওয়ার একটা বেশ দীর্ঘ ইতিহাস আছে। সর্বপ্রথম সমকামীদের অধিকারের বিষয়টা সামনে আসে ১৯৬৫ সালে। টরন্টোয় অস্ত্র আইনের মামলার আসামী কিপোর্ট পুলিশকে বলে যে, সে বিগত ২৪ বৎসর যাবৎ এক পুরুষের সাথে যৌন জীবন যাপন করছে। এতে তার মামলার দিক পরিবর্তিত হয়ে যায় - তাকে উৎস্খৃল জীবন যাপনের দায়ে ২ বৎসরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। কারাগার দুইজন মনবিজ্ঞানীর সাথে কথা বলেন এবং মনোবিজ্ঞানীরা একমত হয়ে তাকে একজন ভয়াবহ যৌনবিকৃত হিসাবে চিহ্নিত করেন - ফলে কোর্ট তাকে আজীবন কারাবাসের আদেশ দেন। দুই বৎসর পর ক্যানাডার সুপ্রিমকোর্ট এই আদেশ বাতিল করেন এবং ১৯৬৯ সালে ক্যানাডার পার্লামেন্ট সমকামকে অনপরাধ হিসাবে ঘোষনার সুবাদে কিপার্ট ১৯৭১ সালের ২১ জুলাই জেল থেকে বেড়িয়ে আসে। তারপর আর সমকামীদের পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ধীরে ধীরে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধাসমূহ যেমন পেনশান, ট্যাক্স আর অন্যান্য সুবিধাসমূহ পেতে লাগল। তখন এটা করা হতো কমন -ল পার্টনারস আইনে। সেই আইনে বিয়ে না করেও একজন পুরুষ আর একজন নারী একসাথে বসবাস করতে পারে এবং রাস্ট্রের কাছে থেকে বিবাহিত দম্পত্তির সমান মর্যাদা ভোগ। কমন ল তে থাকার সুবিধা হলো বিবাহের মতো একটা ব্যয়বহুল অনুষ্ঠান না করেই একসাথে বসবাস আর ভাল না লাগলে যে কোন সময় বিচ্ছিন্নতা বা সেপারেশন - তালাক বা ডিভোর্সের ঝামেলা নেই। প্রকৃতপক্ষে সমাজের মূলভিত্তি পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানকে অস্বীকার করা হয় কমন ল আইনে। পরবর্তীতে সমকামীরাও বিবাহিত হিসাবে সমাজিক মর্যাদা চায় এবং প্রথমে কুইবেক, পরে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং সবশেষে অন্টারিওর সর্বোচ্চ আদালত যখন সমকামীদের বিবাহকে বৈধ বলে রায় দেয় - কারন ক্যানাডার সংবিধান অনুসারে লিঙ্গভেদে কোন অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। সুতরাং যখন একজন নারী- একজন পুরুষের মধ্যে বিবাহ নামক অনুষ্ঠানিকতাকে সীমাবদ্ধ করার মাধ্যমে অর্থ গে বা লেসবিয়ান নামক ভিন্ন লৈঙ্গিক বৈশিষ্ঠের মানুষকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা মানবতা বিরোধী। তখন ফেডারেল সরকারের আইন পাশ করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। সেই ধারাবাহিকতা ধরে গত ২৮শে জুন ২০০৫ সালে পার্লামেন্ট ১৫৮ ভোটে বিলটি পাশ করে - যার বিপক্ষে ১৩৩ ভোট পড়ে। সি- ৪৮ নামের বিলটি আসলে বিবাহের চিরাচরিত সংজ্ঞা পরিবর্তন করে নতুন সংজ্ঞা নির্ধারন করে।
যাতে বলা হয়েছে -
Marriage, for civil purposes, is the lawful union of two persons to the exclusion of all others.
( two person শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করেছে একজন নারী এবং একজন পুরুষকে)
রাষ্ট্র যখন ধর্ম থেকে আলাদা তখন ধর্মীয় দৃষ্টি ভঙ্গী আলোকে গৃহিত সংজ্ঞাকে লালন করা রাষ্ট্রের কাজ নয়। এখন ধরেই নেওয়া হচ্ছে পুরুষ, নারী ছাড়াও গে এবং লেসবিয়ান নামক আরো দুইটা লৈঙ্গিক প্রকার ভেদের মানুষ পৃথিবীতে বাস করে। রাষ্ট্র ইকুয়ালিটির নামে এই দলকেও সমমর্যাদা দিতে বাধ্য বলে কোর্ট সমূহ রায় দিয়েছে। অন্যদিকে ধর্মনিরেপক্ষতার আলোকে আমরা আগেই ধর্মকে একটা ভিলেন হিসাবে রাষ্ট্রীয় নীতির থেকে লক্ষ মাইল দূরে ফেলে রেখেছি। সুতরাং সমকামীতা ধর্মের দৃষ্টিতে একটা অনৈতিক কাজ তা কেন রাষ্ট্র শুনবে?
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যারা ধর্ম বিশ্বাস করে তাদের এই এই ধরনের যুক্তি মানা কঠিন। সমকামীতাকে একটা বিকৃতি আর পাপ হিসাবে সব ধর্মে বলা হয়েছে। কোরান শরীফে বিবরন দেওয়া হয়েছে লুত জাতিকে কিভাবে ধ্বংস করা হয়েছে সমকামীতার অপরাধে। অর্থাৎ সমকামীতা একটা জাতির ধ্বংশ ঢেকে আনতে পারে। এই অবস্থায় ধর্ম বিশ্বাসীদের করনীয় কি? একটা বিষয় পরিষ্কার যে, আইন করে যেমন ধর্ম প্রতিষ্টা হয় না তেমনি আইন করে ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিবর্তন করা যায় না। এই প্রসংগে একটা কথা বলা দরকার। গত জুলাইএ টরন্টোতে গে-লেসবিয়ানদের ২৬তম বার্ষিক প্যারেড হয়ে গেল। এতে টরন্টো সিটি কতৃপক্ষ অত্যন্ত আনন্দিত - কারন এই প্যারেড টরন্টোর জন্যে এনেছে মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। আর টিভিতে যা দৃশ্য দেখলাম -তাতে মনে হয় মানুষের এখনও আদিম সমাজের স্মৃতি মগজে জমা আছে। হাজার দুই মানুষ প্রায় উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় বিভিন্ন ভঙ্গীতে নাচছে আর লক্ষাধিক মানুষ পাশে দাড়িয়ে উপভোগ করছে। একটা দৃশ্যে কথা বলা যাক - একটা বাহনে একজন নারী প্রায় নগ্ন হয়ে বসে আছে আর তার হাতে চাবুক। বাহনটা টানছে একটা পুরুষ। তার মুখে মুখোশ আর শরীর নগ্ন। টিভি ক্যামেরা যখন তাকে তাক করছে তখন সে কুকুরের মতো ভঙ্গীতে ঢেকে উঠছে আর রাস্তায় দাড়ানো মানুষ উৎসাহের সাথে হাততালি দিচ্ছে। সমকামীদের বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে - পশ্চিমা বিশ্বের ভোগবাদীতার এক নতুন উপসর্গ হচ্ছে গে আন্দোলন - শুধু নিজের ব্যক্তিগত ভোগের জন্যে গে হওয়ার চেয়ে আর কি ভাল রাস্তা আছে - পৃথিবীতে নতুন মানুষ না এনে শুধু নিরবিচ্ছিন্ন ভোগ করে যাওয়ার মধ্যেই হয়তো এরা আনন্দ খুঁজে। তবে একটা পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় - নেদারল্যান্ডে আইন পাশ হওয়ার পর যে সংখ্যায় সমকামী বিবাহ হয়েছে তার সংখ্যা তিন বৎসরে কমে একচতুর্থাংশে দাড়িয়েছে। কানাডার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। অবশ্য বলা দরকার পশ্চিমে যেভাবে বিবাহ নামক বন্ধটাই অর্থহীন হয়ে যাচ্ছে - সেখানে সমকামী বিবাহ নিয়ে বিশেষ ভাবনার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু - ভবিষ্যতই তা বলে দেবে।
মন্তব্য
সমাজে বিয়ে নামক institution টার উদ্ভাবনার পেছনে আদি উদ্দেশ্য যাই থাকুক না কেন, আজকে এই ২০০৮ সালেও কি সেটা মনুষ্য প্রজাতির সংখ্যা বৃদ্ধির মেশিন হিসাবে দেখা হবে?? তাহলে যে সব heterosexual couple দের বাচ্চা হয় না বা তারা হওয়ায় না তাদের কি বিয়েটা ভেঙ্গে ফেলা উচিৎ নাকি তারা 'বিবাহিত' থাকার যোগ্যতা হারায়?
ঠিক কিভাবে পশ্চিমা ভোগবাদীতা আর বাচ্চা না হইয়ে যৌন সম্পর্ক উপভোগ করাটা সম্পর্কিত তাও বুঝলাম না। ধর্মের কথা আর তুলবো না কারণ সেটা যার যার বিশ্বাসের ব্যাপার, কিন্তু আজকের এই পৃথিবীতে এতো এতো বাচ্চা যে কষ্টের জীবন যাপন করে তাতে 'বাচ্চা হওয়াতেই হবে' হলোই বা তা 'উন্নত' পশ্চিমা দেশে - এর কি কোন মানে আছে? ফোকাস টা বরং সেইসব সমস্যা সমাধানের দিকে দিলে ইতোমধ্যে জন্মে যাওয়া বাচ্চাগুলো একটু ভালো থাকতে পারতে পারে।
স্নিগ্ধা আপা ,
আমি আপনার উপর এর মতের সাথে একমত ।
নুরুজ্জামান মানিক
প্রথমে বলে নিচ্ছি, লেখকের ব্যক্তিগত মতামত বাদ দিলে লেখাটা পড়ে অনেক কিছু জানলাম। তবে গে-দের নিয়ে লেখকের বিদ্বেষ একটু বেশিই প্রকাশিত। বিশেষ করে, সমকামীতা এখন আর ব্যক্তিগত অভিরুচি হিসেবে দেখা হয় না, বরং প্রায় সব গবেষণাই এটাকে প্রাকৃতিক ফেনোমেনা হিসেবে দেখায়। স্নিগ্ধা আপার যুক্তি ধরে আমিও বলতে চাচ্ছিলাম, সন্তানের জন্মটাই যদি যৌন সম্পর্কের একমাত্র কারণ হয়, তাহলে জন্মনিরোধকের উৎপাদন বন্ধ করা উচিত, অন্ততঃ যারা এই যুক্তি দেন তাদের জন্মনিরোধক কেনা বন্ধ করা উচিত (সম্ভবতঃ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও ভাল সিদ্ধান্ত)। এইবার আমার ব্যক্তিগত অভিমত বলি, গে দের বিয়ের সাথে ধর্ম কনফ্লিক্ট করলে ধর্মটাই আইন করে নিষিদ্ধ করা উচিত - যে কোন বিচারে ঐটাই বেশি এবনর্মাল।
ধন্যবাদ।
এই বিষয়ে এখন আর ঠিক সেই রকম করে ভাবি না। ভাবনার বিস্তর পরিবর্তন হয়েছে। অন্য একসময় হয়তো বলবো।
লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?
আগামী সামারে আপনাকে আমন্ত্রন।
লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?
হুমম। বিতর্ক করার মতো বা হওয়ার মতো বিষয়।
অন্যদের কথা শুনি।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
1. সমকামীতাকে একটা বিকৃতি আর পাপ হিসাবে সব ধর্মে বলা হয়েছে। কোরান শরীফে বিবরন দেওয়া হয়েছে লুত জাতিকে কিভাবে ধ্বংস করা হয়েছে সমকামীতার অপরাধে। অর্থাৎ সমকামীতা একটা জাতির ধ্বংশ ঢেকে আনতে পারে। এই অবস্থায় ধর্ম বিশ্বাসীদের করনীয় কি? একটা বিষয় পরিষ্কার যে, আইন করে যেমন ধর্ম প্রতিষ্টা হয় না তেমনি আইন করে ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিবর্তন করা যায় না।
না,তা যায় না,তবে পশ্চিমা বিশ্বের অনেক কিছুই "ধ্বংস ডেকে আনে" বলে ধর্মের জুজুবুড়ি দেখিয়েও খুব কাজ হয়না,শুধু অনগ্রসর জাতিগুলো আরও পেছোয় আদতে,এই যা। স্মর্তব্য,একই জাতের প্রোপাগান্ডা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর নারীর ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসে কাজ শুরুর ক্ষেত্রেও চালানো হয়েছিলো। ফলাফল? আজকের নারীর সর্বত্র পদচারণা। গে আর লেসবিয়ানদের ব্যাপারটাও এক। সমাজে যে কোন মাইনরিটি আন্দোলনই প্রথমে ধর্মবিশ্বাসের জাঁতাকলে পড়ে,কিন্তু লং টার্মে হালে পানি পায়না। গে দের ক্ষেত্রেও কালোদের মতো,মেয়েদের মতো, অন্যান্য মাইনরিটি গ্রুপের মতো আন্দোলন দানা বেঁধে উঠছে মাত্র। আজ থেকে ৫০ বছর পর এটা খুবই জলভাত হয়ে যাবে, সেটা একদল মানুষের ধর্মবিশ্বাস পরিবর্তিত না হলেও হবে, ঠিক যেমনটি হয়েছে মেয়েদের পর্দা খোলানোয় বা জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ব্যাপক প্রচারে,এখনও নতুন নতুন বলে গে দের ব্যাপারটা চোখে লাগে,আর কিছুদিন পর লাগবেনা।
2.হাজার দুই মানুষ প্রায় উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় বিভিন্ন ভঙ্গীতে নাচছে আর লক্ষাধিক মানুষ পাশে দাড়িয়ে উপভোগ করছে। একটা দৃশ্যে কথা বলা যাক - একটা বাহনে একজন নারী প্রায় নগ্ন হয়ে বসে আছে আর তার হাতে চাবুক। বাহনটা টানছে একটা পুরুষ। তার মুখে মুখোশ আর শরীর নগ্ন। টিভি ক্যামেরা যখন তাকে তাক করছে তখন সে কুকুরের মতো ভঙ্গীতে ঢেকে উঠছে আর রাস্তায় দাড়ানো মানুষ উৎসাহের সাথে হাততালি দিচ্ছে।
বেশ কিছু থ্রি এক্স বা রগরগে পর্ণো ছবি, চরমভাবে হেটেরোসেক্সুয়াল কিন্তু ভয়্যারিজম বা স্যাডিজম আছে এমন,সবগুলো স্কুল অফ থটেই কিন্তু এধরণের দৃশ্য দেখা যায়। শুধু সমকামীরাই এমনটা করে থাকে ভাবাটা ঠিক নয়। "বিকৃত"(কি'না সেটি তর্কসাপেক্ষ)যৌনাচার সমকামীদেরই সৃষ্টি বা একচেটিয়া ব্যবহারের অস্ত্র,তা কিন্তু নয়।
3.পশ্চিমা বিশ্বের ভোগবাদীতার এক নতুন উপসর্গ হচ্ছে গে আন্দোলন - শুধু নিজের ব্যক্তিগত ভোগের জন্যে গে হওয়ার চেয়ে আর কি ভাল রাস্তা আছে - পৃথিবীতে নতুন মানুষ না এনে শুধু নিরবিচ্ছিন্ন ভোগ করে যাওয়ার মধ্যেই হয়তো এরা আনন্দ খুঁজে।
নিজের ভোগবাদিতার জন্য গে ছাড়া অনেক কিছুই হবার রাস্তা আছে হেটেরোসেক্সুয়ালদের জন্য,ভালো উদাহরণ প্লেবয় প্রতিষ্ঠাতা হিউ হেফনার। পৃথিবীতে নতুন মানুষ আনার ব্যাপারে অন্যরা ইতিমধ্যেই বলে গেছেন সে দিকে আর না যাই, শুধু জানিয়ে রাখি বহু গে এবং লেসবিয়ান দম্পতি রীতিমতো প্ল্যান করে পৃথিবীতে নতুন মানুষ আনেন,গে রা নিজেদের স্পার্ম দিয়ে সারোগেট মাদারের মাধ্যমে,লেসবিয়ান রা স্পার্ম ব্যাংক থেকে নিয়ে IVF এর মাধ্যমে। এদের নিয়ে প্রচুর ডকুমেন্টারি একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবেন,এটা এখন গবেষণার খুব ই হট টপিক।
সবশেষে রবি ঠাকুরের কাছেই ফিরে যাই দু'টো কথা দিয়ে
" দ্বার রুদ্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি,সত্য বলে আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি?"
আর ২য়টা হলো
"মনেরে আজ কহ যে,ভালো মন্দ যাহাই আসুক,
সত্যেরে লও সহজে"
পৃথিবী বদলে যাচ্ছে,মেনে নেওয়াটাই সঙ্গত, ভালো বা খারাপ যাই লাগুক না কেন,সহনশীলতা এবং পরমতস হিষ্ণুতা আজ গে বা লেসবিয়ানদের জন্য খুবই জরুরি, এটা বুঝতে শিখি চলুন।
প্রিয় এস্কিমো আপনাকে সচল দেখে ভাল লাগছে।
না, পশ্চিমা ভোগবাদের কারনে সমকামিতার উদ্ভব এই মতের সাথে সহমত পোষন করতে পারলাম না। তবে পশ্চিমা মানুষ গুলো ভোগবাদী তা মানি। প্রাণী জগতে কেবল মানুষই শুধু ভোগের জন্য কামে লিপ্ত হয়। এবং কামের জন্য একটা কামসুত্র আবিস্কার করে।
বংশ রক্ষা সেখানে গৌন, মূখ্য হল যৌন সম্ভোগ। যে সব দেশে অধিক জনসংখ্যা একটা সমস্যা, সেখানে যৌন সমভোগই মূল লক্ষ্য। অসচেতনার কারনে অনাকাংখিত নবজাতকের আবির্ভাব ঘটে। অন্য সব প্রানী শুধু বংশ রক্ষার কারনে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়।
তবে এর সাথে সমকামিতার সম্পর্ক খুব ক্ষীন। কারন অপেক্ষাকৃত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝেও সমকামীতা দেখা যায়। এমনকি মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীর মদ্যেও তা পরিলক্ষিত হয়েছে। কাজেই তাকে প্রকৃতিগত বলাই শ্রেয়।
সমকামী বা বন্ধ্যা দম্পতি চাইলে অনেক শিশুর জীবন রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখতে পারেন। কিন্তু তা আমরা সবাই করতে পারি। সমকামিরা খুব সংখ্যালঘু, তাদের পক্ষে পৃথিবীর সব অভুক্ত শিশুর লালন পালন সম্ভব নয়।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আপনার পর্যবেক্ষন ভাল লাগলো।
বিষয়টা কি জানেন। আমিও এই বিষয়ে বেশ বিভ্রান্ত।
২০০৩ সালে সমকামীদের হৈ চৈ এর যন্ত্রনায় জীবন অতিষ্ঠ হতো। তখন কিছুটা বিরক্ত ছিলাম। আইনগত অধিকারের পর এরা এখন বেশ চুপচাপ। এখন এই বিষয়ে আলোচনা খুবই কম হয়। ২০০৩ সালের পর ওদের প্রচুর ওয়েব সাইট আপডেট বন্ধ হয়ে গেছে।
মোট কথা এখন এরা সমাজের সাধারন মানুষই।
লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?
প্রাকৃতিক ব্যাপারগুলো নিয়ে আলোচনার মূল কারণ বোধকরি সেগুলোকে বুঝতে চেষ্টা করা। সেই হেসেবে আলোচনাটা আমি সমর্থন করি। কিন্তু কারো গে বা লেসবিয়ান হওয়াটাকে নিতান্তই তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা বলে ভ্রম করবেন না।
যদি মেনে নেন যে, ব্যাপারগুলো প্রাকৃতিক তাহলে লক্ষ করুন যে, প্রকৃতির সবকিছুই আমাদের পছন্দ না। যেমন মানুষের মৃত্যু -- প্রিয়জনেরা যদি সারাজীবন বেঁচে থাকতো তাহলে সেটা খুশীর হতো বৈকি! কিন্তু মৃত্যুকে মেনে না নিয়ে সেটার সমালোচনা করার কি মানে আছে কোনও?!!
গে বা লেসবিয়ানরা প্রকৃতির ইচ্ছাফসল। আমাদের ভালো লাগা বা না লাগার অনেক বাইরের বিষয় এগুলো -- মৃত্যুর মতোই। শুধু মেনে নিতে হবে। ভালে বা খারাপ লাগাটাকে তুলে রাখাই ভালো!
যুত্সই লাগলো এই ব্যাখ্যাটা।
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?
- হতে পারে।
লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?
নতুন মন্তব্য করুন