একজন কানাডার নাগরিক - যে ৬০ বছর আগে ইটালীর নাজী প্রিজনে নির্যাতন ও ৯ জন বন্দীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছে - আজ তাকে ইটালি পাঠানো হয়েছে বাকী জীবন কারাভোগের জন্যে।
কানাডার বিচার বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান - মাইকেল সেইফার্ট (Michael Seifert) নামের ৮৩ বছর বয়সী এই বন্দীকে টরন্টোর পিয়ারসন্স এয়ারপোর্ট থেকে ইটালীগামী এক উড়োজাহাজে উঠানো হয়েছে আজ টরন্টো সময় ৩টায়। একই দিনে ইটালির কর্মকর্তাদের হাতে মাইকেলকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। সেফার্ট ইটালীর এক সামরিক আদালতে ২য় বিশ্বযুদ্ধে এসএস গার্ডে থাকার সময় করা অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয় ৭ বছর আগে। উল্লেখ্য এই অপরাধ সংগঠিত হয়েছিল ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে নাজী বোলোজানো প্রিজনক্যাম্পে।
যুদ্ধকালে "বিস্ট অব বোলজানো" (Beast of Bolzano) ছদ্ম নামে প্রিজনগার্ডের পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত থাকাকালে তার অপরাধের কথা অস্বীকার করলেও সে যুদ্ধের আগে ইউক্রেইনে থাকাকালে তার দ্বারা সংগঠিত যৌন অপরাধের কথা স্বীকার করে।
যথেষ্ঠ প্রমানাদি পাওয়ার পর ইটালী সাবেক এই ইউক্রেইনের নাগরিকের নামে হুলিয়া জারী করে। কিন্তু সেইফার্ট ১৯৫১ সাল থেকে কানাডার বৃটিশ কলাম্বিয়ায় বসবাস করছিলো। গত ৬ বছর সে বৃটিশ কলাম্বিয়ার সুপ্রীম কোর্টে তার বহিষ্কারের বিরুদ্ধে মামলায় লড়াই করিছিলো।
অবশেষে গতবছর জন্মস্থান ও অতীতের পেশা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নাগরিকত্ব গ্রহনের অপরাধে তার নাগরিকত্ব বাতিল যোগ্য বলে রায় দেয়।
সেইফার্ট এই বিষয়টি স্বীকার করে বলেছে - সে জীবন বাঁচানোর তাগিদেই কানাডার ইমিগ্রেশনে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলো।
গতমাসে কানাডার সুপ্রীম কোর্ট তার আপীল গ্রহনে অস্বীকার করে।
অবশেষে কানাডার বিচার বিভাগ সমস্ত আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে ফেডালের পুলিশের (RCMP) হাতে সোপর্দ করে।
এদিকে ইটালির সংবাদ সংস্থা জানায় মাইকেল সেফকর্টকে ইটালীর এক সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে কানাডার এই পরিষ্কার অবস্থানে কানাডার অনেক সংস্থা স্বস্থি প্রকাশ করেছে।
(২)
একজন বাংলাদেশী হিসাবে আমরা কি ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করতে পারি না। যদি ২য় বিশ্বযুদ্ধের ৬০ বছর পরও পৃথিবীর আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সন্মুখিন করা হচ্ছে - আর বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীরা নস্ট রাজনীতির অন্ধকার পথ ধরে ক্ষমতায় পর্যন্ত গিয়েছে। এইটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমাদের জন্যে লজ্জার পাহাড় তৈরী করছে।
যতদ্রুত সম্ভব বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সন্মুখিন করে একটা সভ্য ও আধুনিক দেশ হিসাবে বিশ্ব-মানচিত্রে বাংলাদেশ মাথা উচু করে দাড়াবে - এটাই হোক সকল দেশপ্রেমিকের চাওয়া।
মন্তব্য
যতদ্রুত সম্ভব বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সন্মুখিন করে একটা সভ্য ও আধুনিক দেশ হিসাবে বিশ্ব-মানচিত্রে বাংলাদেশ মাথা উচু করে দাড়াবে - এটাই হোক সকল দেশপ্রেমিকের চাওয়া।
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
আজ হোক, কাল হোক- যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। না হলে শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করা অপূর্ণ থেকে যাবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার যতটা মনে পড়ে এরকম আরো একটি বিচার প্রকৃয়াধীন যেখানে বয়স্ক একজন জার্মান নাগরিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা চলছে। কানাডা চাইছিল তাকে বের করে দিতে। সেই নিয়েই মামলা।
আবারও প্রমাণিত হলো যে সুদ্ধাপরাধীদের বিচার কঠিন কিছু না, রাষ্ট্রের সদিচ্ছাই যথেষ্ট ,,, আমরা সাধারন নাগরিকরা যেটা করতে পারি এখন, তাহলো যাবতীয় মিডিয়াতে নিজেদের কন্ঠকে সর্বোতভাবে তুলে ধরি, যাতে অন্ততঃ এবারের নির্বাচনে যারা জিতবে তারা একটা বড়সড় ধরনের মোমেন্টাম পায় কাজটা এগিয়ে নিতে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
নতুন মন্তব্য করুন