একটা লেখা একই সাথে একাধিক ফোরামে পোস্ট করলে সমস্যা কি?

এস্কিমো এর ছবি
লিখেছেন এস্কিমো (তারিখ: সোম, ২৮/০৪/২০০৮ - ৩:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লেখক হিসাবে একজন নিজের স্বত্বের লেখা যদি একাধিক ফোরামে পোস্ট করে তাহলে কোন একটা ফোরামের সমস্যা কি?

আমি নিজেও এই দোষে দুষ্ট, সচলায়তনের এই সংক্রান্ত বাই ল ভেঙে একই সাথে লেখা দুই যায়গা দিয়েছি।

পরে একটু চাপ অনুভব করছি - কেন দিতো পারবো না এই বিষয়টা পরিষ্কার না বুঝতে পেরে।

প্লিজ - আমাকে কিছু যুক্তি দিন, জানতে চাই।


মন্তব্য

সচলায়তন এর ছবি

সচলায়তনের সদস্য ও অতিথি লেখকদের কাছ থেকে সচলায়তনের প্রত্যাশা নতুন ও সুপাঠ্য লেখা পাবার। পাশাপাশি সচলায়তন প্রত্যাশা করে, সদস্যদের নিত্যনতুন লেখা একটি নির্দিষ্ট সময় যাবৎ কেবল সচলায়তনেই প্রকাশিত থাকুক।

আপনি যদি একই সাথে একটি লেখা একাধিক ফোরামে পোস্ট করেন, তাহলে ধরে নেয়া যেতে পারে এ ব্যাপারে সেই ফোরামের কোন আপত্তি নেই।

সচলায়তন একই সাথে বা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে অন্য কোন কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশিত পোস্ট সচলের প্রথম পাতায় প্রকাশ না করার রীতিটি অনুসরণ করে। এতে করে সচলায়তনের পাঠকদের নিশ্চিত করা হয় যে তাঁরা অন্তত নিয়মিত নতুন লেখা পড়তে পারবেন। এ কারণেই এ ধরনের লেখা কেউ পোস্ট করলে তা সচলায়তনের প্রথম পাতা থেকে অপসারিত করে লেখকের নিজের ব্লগে প্রকাশিত হয়, অথবা সচলায়তন থেকে পরিস্থিতিবিশেষে মুছে ফেলা হয়।

আপনার প্রতি অনুরোধ, সচলায়তনের এই রীতিটি অনুসরণের। একই সময়ে বা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে অন্য কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশিত কোন লেখা সচলায়তনে পোস্টের চর্চা থেকে বিরত থাকার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

এস্কিমো এর ছবি

সচলায়তন একই সাথে বা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে অন্য কোন কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশিত পোস্ট সচলের প্রথম পাতায় প্রকাশ না করার রীতিটি অনুসরণ করে। এতে করে সচলায়তনের পাঠকদের নিশ্চিত করা হয় যে তাঁরা অন্তত নিয়মিত নতুন লেখা পড়তে পারবেন।

- এইটা একটু কেমন ঠেকলো না? যদি একই সাথে প্রকাশিত হয় তবে সচলেও সেইটা নিম্চিত নতুন থাকে। বরঞ্চ ৭২ ঘন্টা পর প্রকাশিত হলে পুরানো হয়ে যায়।

আরেকটা কথা - সচলের সব পাঠকই কি সকল একই সাথে তাবত ফোরামের পাঠক, এইটা আপনারা নিশ্চিত হলেন কিভাবে? মনে হচ্ছে অন্য ফোরামে একই সাথে লেখাটা পোস্ট করা হলে পাঠক আগে অন্য ফোরামে লেখা পড়ে সচলে আসবে। কেমন অড মনে হচ্ছে না।

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

সচলায়তন এর ছবি

সে কারণেই পুরনো লেখা সচলে দিতে সদস্যদের নিরুৎসাহিত করা হয়।

লেখা শুধু পাঠে পুরনো হয় না, প্রকাশে পুরনো হয়। সে কারণেই প্রকাশের ব্যাপারে সচলায়তন এই রীতি অনুসরণ করে।

পাঠকের গতিবিধি অনুসরণ করা সচলায়তনের পক্ষে সম্ভব বা প্রয়োজনীয় নয়। এক্ষেত্রে সহজ নিয়মটিই অনুসরণ করা হচ্ছে। সচলায়তনে নতুন লেখা দিন, পুরনো লেখা বরং না দিন।

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

এস্কিমো এর ছবি

আরেকটা প্রশ্ন করে সেটাইটা মুছে দিলেন কেন? আলোচনাতে কোন সমস্যা নেই?

আমি সচলে ঢুকেছি - অবশ্যই সকল নিয়মকানুন মেনেই লেখবো।
কিন্তু কোন নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না, এই ধরনের কোন বাই ল ছিলো কি?

২০০০ বছরের আগের খৃষ্ট ধর্ম ১৪০০ বছর আগের ইসলাম ধর্ম নিয়ে আমরা অহরহ প্রশ্ন তুলে চলছি। যে কোন দেশের সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন তুলছি - পরিবর্তন করছি - পরিবর্ধন করছি - সংযোজন বিয়োজন করছি। এইটাই তো প্রগতি? নয়কি?

আমাকে প্রশ্ন করার জন্যে যদি কর্তৃপক্ষে অনুমোদন নিতে হয় - ভাইরে, মৌলবাদের সংজ্ঞাটা তাইলে আবার দেখার জন্যে অনুরোধ করবো।

যদি আলোচনায়র পর যৌক্তিক প্রমানিত হয় - তাইলে সচল কেন - যে কেউই তাদের ধ্যান ধারনার পরিবর্তন করবে - নতুবা আমরা অচল হয়ে যাব - স্থবির হয়ে যাবো। মৌলবাদী হয়ে যাবো। ভেবে দেখবেন। ধন্যবাদ।

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

সচলায়তন এর ছবি

আরেকটা প্রশ্ন করে সেটাইটা মুছে দিলেন কেন? আলোচনাতে কোন সমস্যা নেই?

আপনার এ দু'টি প্রশ্নের অর্থ পরিষ্কার হলো না। আপনার কোন প্রশ্ন মোছা হয়নি, কিংবা আলোচনাতেও কোন সমস্যা নেই।

২০০০ বছরের আগের খৃষ্ট ধর্ম ১৪০০ বছর আগের ইসলাম ধর্ম নিয়ে আমরা অহরহ প্রশ্ন তুলে চলছি। যে কোন দেশের সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন তুলছি - পরিবর্তন করছি - পরিবর্ধন করছি - সংযোজন বিয়োজন করছি। এইটাই তো প্রগতি? নয়কি?
আমাকে প্রশ্ন করার জন্যে যদি কর্তৃপক্ষে অনুমোদন নিতে হয় - ভাইরে, মৌলবাদের সংজ্ঞাটা তাইলে আবার দেখার জন্যে অনুরোধ করবো।

আপনাকে প্রশ্ন করার জন্যে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়ার কথা এই পোস্টে কোথাও বলা হয়েছে কি?

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

এস্কিমো এর ছবি

সচলায়তন লিখেছেন:
আরেকটা প্রশ্ন করে সেটাইটা মুছে দিলেন কেন? আলোচনাতে কোন সমস্যা নেই?

আমি যেহেতু কোন স্ক্রীন শট রাখিনি - তাই এখন প্রমান করা কঠিন হবে। আমি যতটুকু মনে করতে পারি - দেখলাম পরপর দুইটা কমেন্ট এসেছে - পরে একটা উত্তর দেবার পর ২য়টা যাবো - দেখি সেইটা হাওয়া।

সেখানে একটা প্রশ্ন ছিল - আপনার এতোদিন পর সংশয়ের কারন কি?

সেই সুবাদেই এই উত্তর। এখন আপনি আর আমি ভাল করেই জানি কি হয়েছিলো। অস্বীকার করাটা কি ঠিক হলো?

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

সচলায়তন এর ছবি

সচলায়তনের পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রশ্ন আপনাকে করা হয়নি। যদি কোন সদস্য করে থাকেন, তাহলে আপনি তাকে প্রশ্ন করতে পারেন।

কোন ব্যাপারে আপনার সংশয় থাকলে তা ঘোচানো প্রয়োজন, দেরিতে হলেও। আপনি ভবিষ্যতে কোন কিছু নিয়ে সংশয়ী থাকলে মডারেটরদের মেসেজের মাধ্যমে আপনার জিজ্ঞাসা পৌঁছে দিতে পারেন।

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

এস্কিমো এর ছবি

প্রশ্নটা সংশয় বলছেন কেন?

আমার প্রশ্নটাতো শিরোনামেই দিয়েছি। আমি সংশয়ি হতে যাবো কেন?

আর আমাকে গোপনে মডারেটরকে প্রশ্ন পাঠাতে হবে কেন, মডারেটরগন কি নীতি নির্ধারক? কেন প্রকাশ্যে আলোচনা করা যাবে না?

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

সচলায়তন এর ছবি

সংশয়ী হয়েছেন বলেই তো প্রশ্নটি করা, তাই নয় কি? মনে সংশয় এলেই প্রশ্ন আসে।

প্রকাশ্যে আলোচনা করা যাবে না, এমনটি নয়। তবে সচলায়তনের প্রথম পাতাটি মূলত নিয়মিত পোস্টের জন্যেই রাখা। আপনার মনের সংশয় দূর করার জন্যে, আপনার প্রশ্নের উত্তর যুগিয়ে যুক্তির তৃষ্ণা মেটানোর জন্যে, আপনাকে সহায়তা করার জন্যে মডারেটরদের মেসেজ পাঠাতে পারেন। এতে করে আপনারও ব্যক্তিগত সংশয়জনিত সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে, প্রথম পাতাটিতেও নিয়মিত পোস্টের ধারা বজায় থাকবে।

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

এস্কিমো এর ছবি

যতটুকু মনে পড়ে "স" লোগোটা দেখেছি।

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এখানে আমার সবাক উপস্থিতি ঠিক হচ্ছে না বেঠিক তা না বুঝেই লেখাটা লিখছি।

অস্ট্রেলিয়াতে বছর আটেক আগে একবার সুযোগ এসেছিলো 'হেড অফ স্টেট' নির্ধারণের। জনগণের মধ্যে বিপুল সাড়া, বৃটেনের রানী কে হটিয়ে সে দেশের কাউকে সেই স্থানে বসাবে এবার। কিন্তু কিছু সচেতন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেলো তারা ব্যাপারটায় ঘোর আপত্তি জানাচ্ছে। তাদের কথা হলো, "এই সিস্টেমেই যদি অস্ট্রেলিয়া ভালো চলে তাহলে হেড অফ স্টেট পরিবর্তন করার দরকার কী!"

ব্যাপারটা ভোটাভুটিতে গড়িয়ে ছিলো। এবং ফলাফল হলো বৃটেনের রানীই বহাল থাকলেন রাস্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে।

এটা একটা উদাহরণ দিলাম।

২০০০ বছর কিংবা ১৪০০ বছর আগের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়, বদলানোর সুপারিশমালাও দাখিল করা যায়, কিন্তু কথা হলো যদি আগের সেই ঘটনাগুলো মেজরিটি পিপোলকে ডিসস্যাটিসফাই না করে, বা তারা যদি সেই সুপারিশমালায় যথোপযুক্ত সাড়া না দেয় তাহলে সুপারিশ করলেই বা কী হবে!

উপসংহারে কিছু কী বলতে হবে উত্তর মেরুর ভাইটিকে? হাসি

অফটপিকঃ এস্কিমো জুনিয়র কেমন আছে? কীবোর্ড মাউস নিয়ে টানাটানি করে নাকি দেখে মিটমিটিয়ে হাসে! হাসি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

এস্কিমো এর ছবি

আপনি কেন দ্বিধান্বিত - বুঝলাম না। আলোচনাটা দরকার বলেই পোস্টটা দিয়েছি।

অফটপিকের উত্তর - ভালই আছে। মিটি মিটি হাসে।

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নাহ, এস্কিমো ভাই। এবার আর দ্বিধান্বিত না, বরং দ্বিমত আপনার সঙ্গে।
এই আলোচনাটা দরকার না। এবং একদমই না।
কেনো দরকার না, সেটাই উল্লেখ করলাম মন্তব্যে।

অফটপিক উত্তর শুনে ভালো লাগলো। হাসি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

এস্কিমো এর ছবি

ধন্যবাদ আপনের মতামতের জন্যে।

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

স্থবির হয়ে যাওয়ার ভয় নেই এস্কিমো।
লেখালেখির গতিশীলতাই সচলায়তনকে সচল রাখবে।
যদিও আইন-কানুন মাঝে মাঝে নবায়ন করে সময়ের সাথে তাল দিতে হয়। কিছু কিছু আইন, সংবিধান জাতীয়, মাথায় তুলে রাখতে হয় - নিজেদের অস্তিত্বের স্বকীয়তা বজায় রাখতে।

আপনার পোস্টটা অবশ্য প্রথম পাতায় দেখতে আমার কাছে বেমানান লাগছে। আপনাদের জিজ্ঞাস্য বলে একটা জায়গা ছিল। সেখানেই এই প্রশ্ন ভালো মানাতো। সচলায়তনের একটা বৈশিষ্ট্য দাঁড়িয়ে গেছে যে, এখানে এ ধরনের প্রশ্নোত্তর-জাতীয় প্রতিক্রিয়া এখন আর প্রথম পাতায় আসে না। নির্ভেজাল লেখাই থাকে। সাধারণ পাঠকের জন্য সেটাই আরামদায়ক।

কোনো কোনো দেশ আছে যারা দ্বৈত নাগরিকত্ব মেনে নেয়, কোনো কোনো দেশ আছে মানে না -মনে করে এটা আনুগত্যের বিরোধী; সচলায়তন মনে হয় দ্বিতীয় গোত্রের।

উপরে কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা আছে, আমি শুধু আমার ভাবনা যোগ করলাম।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

এস্কিমো এর ছবি

ধন্যবাদ, আপনের কথা বুঝতে পারলাম।

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

এস্কিমো এর ছবি

এখন কি লেখাটা মুছে দেবো?

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

সচলায়তন এর ছবি

আপনার এ পোস্টটিকে পরবর্তীতে আপনার সহব্লগার বন্ধুদের যুক্তিপিপাসা মেটানোর জন্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনার মতো একই প্রশ্নের উদয় যদি হয় তাঁদের মনে, তাহলে এ পোস্টটিকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

এস্কিমো এর ছবি

আপত্তিকর অভিযুক্ত - খুবই মজা পেলাম। এতোদিন যানতাম রাজাকারই আপত্তিকর কথা লেখে!

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

এতোদিন যানতাম রাজাকারই আপত্তিকর কথা লেখে!

মজার কথা।

আপনার প্রশ্নের যদি উত্তর পেয়ে থাকেন তবে এই লেখাটা প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে ফেলতে পারেন। দেখতে ভালো লাগছে না।

সচলে যেকোনো লেখায় সদস্যরা আপত্তি জানাতে পারেন। প্রশাসক দেখেন যে আপত্তিকর কিছু আছে কিনা। তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

এস্কিমো এর ছবি

আপত্তি জানানো আপনার অধিকার। তারপরও বলি আপনার ভাল লাগেনি তার জন্যে দুঃখিত।

আমার ভাল লেগেছে - তাই রেখে দিলাম।

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এই ব্যাপারে আলোচনা দরকার আসলেই। দুই দিন পরপর কথাটা উঠে আসছে, এবং অনেকের কাছেই অনেক নিয়ম অপরিষ্কার ঠেকছে। সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা, এই আলোচনার রেলগাড়িটা প্রতিবারই লাইনচ্যুত হয়ে যাচ্ছে।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ আমি কী কারণে এই নিয়ম নিয়ে আপত্তি করি না, তা বলছি। এর সাথে সচলায়তনের নীতিমালার সংঘাত ঘটে থাকলে জানাবেন, শুধরে নেবো।

১. ধূসর গোধূলি মুখের কথা কেড়ে নিয়েছেন বলা যায়। "If it works, why change it?" সচলায়তন তো ভালই চলছে। চমৎকার সব লেখা আসছে, দুর্দান্ত সব ব্লগার যোগ দিচ্ছেন, তুলনামূলক বয়োজ্যেষ্ঠ্যরা প্রশংসনীয় সব প্রকল্প হাতে নিচ্ছেন এবং সফলভাবে সম্পন্ন করছেন (ছেলেবেলা, অণুগল্প, ইত্যাদি)।

২. সচলায়তন উন্মুক্ত ব্লগ না। এই নিয়ন্ত্রণের বিপরীতে পাঠকরাও নিশ্চয়ই বাড়তি কিছু আশা করবেন। মুড়ির ঠোঙায়ও লেখা থাকে, আবার পয়সা দিয়ে কেনা পত্রিকায়ও লেখা থাকে। কিছু দেবার বিনিময়ে কিছু আশাও করি আমরা। পাঠক হিসেবে আমিও সেই চোখেই দেখি। প্রায় প্রত্যেকেরই নিজস্ব ব্লগ আছে, অনেকেই অনেক প্ল্যাটফর্মে লেখেন। তবুও সচলায়তন, ই-বাংলাদেশ, বা দৃষ্টিপাতে গেলে বাড়তি কিছু আশা করি। সীমিত, নিয়ন্ত্রিত বলেই উচ্চমানের প্রত্যাশা কাজ করে।

৩. এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে, অন্য কোথাও প্রকাশ পেলেই কি লেখার মান নেমে যায়? না, যায় না। তবে বাস্তবের সাথে তুলনা করলে মনে হয় না খুব একটা দুঃখিত হবার কোন কারণ আছে। চুনোপুঁটির লেখার ডুয়েল-পোস্টিং নিয়ে কেউ চিন্তিত নয়, কিন্তু বড় প্ল্যাটফর্মের লেখকদের কাছ থেকে কিছুটা "loyalty" বরাবরই আশা করা হয়। বড় লেখককেও প্রকাশকের সাথে চুক্তি করতে হয়, বড় কলামিস্টকেও নির্দিষ্ট পত্রিকায় লেখা পাঠাতে হয়, বড় বিশ্লেষককে বিশেষ কোন চ্যানেলের জন্য তার বিদ্যা-বুদ্ধি জমিয়ে রাখতে হয়।

ভাল লেখা অনেকেই লেখে, কিন্তু সবার লেখা পাঠকের চোখ পর্যন্ত যায় না। এক্ষেত্রে সচলায়তন তার সব সদস্যদেরই অনেক বড় উপকার করছে। নোংরামির ভয়ে কেউ তো ভেগে যাচ্ছেই না, বরং প্রতিদিন পাতা-ভরা নিত্যনতুন লেখা উপহার দিচ্ছে। কিছু পাঁচতারা পোস্ট বা অনুগামী জনা দশেক পাঠক পাবার পর প্ল্যাটফর্মের এই ভূমিকাকে ভুলে যাওয়া খুবই সহজ। কিন্তু বাস্তব এটাই যে, হাতে-গোনা ৫ বা ৬ জন ব্লগার বাদ দিলে বাদবাকি আমরা কেউই "larger than life" ব্লগার নই। সচলায়তনের এই নীতিটাকে তাই লেখকের প্রতি একটা "favor" হিসেবেই দেখা উচিত বলে আমার মত।

এস্কিমো এর ছবি

সচলায়তন লিখেছেন:
আপনার এ পোস্টটিকে পরবর্তীতে আপনার সহব্লগার বন্ধুদের যুক্তিপিপাসা মেটানোর জন্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনার মতো একই প্রশ্নের উদয় যদি হয় তাঁদের মনে, তাহলে এ পোস্টটিকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

- আমার সহ ব্লগার বলতে কি বিশেষ কোন কিছু বুঝিয়েছেন?

আমি কি কারো কথা বলেছি - আমার নিজের প্রশ্ন করেছি।

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

সচলায়তন এর ছবি

আমার সহ ব্লগার বলতে কি বিশেষ কোন কিছু বুঝিয়েছেন?

আপনার সাথে যাঁরা ব্লগিং করেন, তাঁরাই তো আপনার সহব্লগার। আপনি কি এ সাধারণ কথাটিতে বিশেষ কোন কিছু বুঝেছেন?

আমি কি কারো কথা বলেছি - আমার নিজের প্রশ্ন করেছি।

আপনি কারো কথা বলেননি, তবে আপনার মনে যে প্রশ্নটির উদয় হয়েছে, তা তো ভবিষ্যতে আপনার ব্লগারবন্ধুদের মনেও উদিত হতে পারে। সেটিই বলা হয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

এস্কিমো এর ছবি

আমার ব্লগার বন্ধুরা আপনারও বন্ধু হওয়ার কথা।

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কোনো কোনো দেশ আছে যারা দ্বৈত নাগরিকত্ব মেনে নেয়, কোনো কোনো দেশ আছে মানে না -মনে করে এটা আনুগত্যের বিরোধী; সচলায়তন মনে হয় দ্বিতীয় গোত্রের।

হুমম। আর এটা একটা নীতি, সচলের নীতি। আমার কাছে নীতিটা ধনাত্বক মনে হয়। এস্কিমো ভাই, আপনি সচলে আরো বেশি বেশি লেখেন। তাহলে কষ্ট করে আমাদের আর অন্য কোথাও সে লেখা পড়তে যেতে হবে না।

এস্কিমো এর ছবি

ধন্যবাদ।

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍অযাচিতভাবে নাক গলাচ্ছি। এই প্রসঙ্গে বিতর্কে যেতে আমি আদৌ আগ্রহী নই। যা লিখছি, তা নেহাতই আমার ব্যক্তিগত মতামত।

লেখক হিসেবে যে কেউ বেশি পাঠক খুঁজবেন, তাতে অস্বাভাবিক কিছুই নেই। প্রিন্টিং মিডিয়ার কথা যদি বলি - আমরা সাধারণত পাঠকপ্রিয় (নয়তো নিজের প্রিয়) পত্রিকায় লেখা ছাপানোর চেষ্টা করি। কিন্তু এক পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা অন্য পত্রিকা কি গ্রহণ করে?

প্রশ্ন উঠতে পারে যে, প্রিন্টিং মিডিয়ার সঙ্গে ইন্টারনেট ফোরাম বা ব্লগগুলোর তুলনা চলে না, এখানে যে যা খুশি লিখতে পারে এবং তা প্রকাশে বিধিনিষেধও নেই কোনও। তাহলে আমি অন্যান্য ব্লগ বা ফোরামের সঙ্গে সচলায়তনের ভিন্নতার ব্যাপারটি উল্লেখ করতে চাই। সচলায়তনকে কিন্তু আমার পত্রিকা বলেই মনে হয়। এখানে মডারেটররা অনেকটা সম্পাদকের মতো। তবে পত্রিকার সম্পাদকদের মতো দায়িত্ব তাঁদের নেই। এখানে আছেন নিয়মিত ও পরীক্ষিত কিছু লেখক, যাঁদের লেখা মডারেশন ছাড়াই প্রকাশিত হয়ে থাকে। আর অন্যদের লেখা আসে মডারেশন পেরিয়ে। সচলায়তন নামের পত্রিকাটির একটি মান তাতে বজায় থাকে।

অন্য পাড়ার ওপেন ফোরামের/ফোরামগুলির সঙ্গে সচলায়তনের একটি সুনির্দিষ্ট পার্থক্য আছে। আছে ভিন্নতর একটি চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য। এবং সেটি অনেকটা, আগেই বলেছি, পত্রিকার মতো। তো এই পত্রিকা-কর্তৃপক্ষের যদি কিছু আরজি বা অনুরোধ থাকে ডুয়াল পোস্টিং বিষয়ক, তা আমরা, সচলেরা, মেনে চললেই কি ব্যাপারটা শোভন হয় না? আর তার চেয়ে বড়ো কথা, পত্রিকাতূল্য হওয়া সত্ত্বেও সচলায়তন ডুয়াল পোস্টিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি। অনুরোধ করেছে, খুব সম্ভব, ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে। সাদামাটা এই অনুরোধ রাখাটা কি এতোই দুষ্কর? যাঁরা সচলদের লেখার সুযোগ করে দিয়েছেন, স্পেস দিয়েছেন, অজস্র ফ্যাসিলিটিজ দিচ্ছেন, সেই কর্তৃপক্ষের যুক্তিযুক্ত আরজি মেনে নিতে এতো কেন প্রতিকূলাচরণ?

আমার বক্তব্যে কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

এস্কিমো এর ছবি

আপনে একটা কথা বলেন - দুই জায়গায় বা বেশী যায়গায় পোস্টিং দিলে সমস্যা। তাতে কি সচলের মান নেমে যায়? কিভাবে?

এক হতে পারে সচলের পোস্টিরে কপিরাইট সচল নিয়ে নিলো - লেখক যদি সেই স্বত্ব দিতে রাজী হয় তাইলে অন্য কোন জায়গায় পোস্টিং এর প্রশ্নই আসে না।

৭২ ঘন্টা সময়ের হেরফেরে সচলে গুনগত মান কিভাবে রক্ষিত হয়, আমার বোধগম্য হলো না।

তা ছাড়া - একজন লেখক যখন সচলে সদস্যপদ পায় - তাকে সেই মানের বিষয়ে নিশ্চিত করেই সুযোগ দেওয়া হয়।

তাইলে সে যা লিখবে তার গুনগত ভান কি প্রশ্নবিদ্ধ হবে যখন সে অন্য কোথাও লেখাটা দেবে?

যুক্তিতে মিললো না।

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

হিমু এর ছবি

এস্কিমো ভাই, সচলায়তন কর্তৃপক্ষ তো মনে হয় একবার ব্যাখ্যা দিলেন, কেন তারা সচলায়তনে অন্যত্র একই সাথে প্রকাশিত লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশ করেন না।

আর লেখা অন্যত্র প্রকাশিত হলে তার বক্তব্যের গুণ হয়তো অপরিবর্তিত থাকে, কিন্তু প্রকাশের অনন্যতার গুণটি লঙ্ঘিত হয়। আমার মনে হয় সচলায়তনে প্রকাশের এই অনন্যতার গুণটির ওপরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সময়সীমার প্রসঙ্গও এসেছে এ কারণে।

আশা করি ভালো আছেন। আপনার কাছ থেকে অনেকদিন কোন পোস্ট পাচ্ছি না। সময় পেলে লিখবেন কিছু।


হাঁটুপানির জলদস্যু

এস্কিমো এর ছবি

হিমু - আপনের সাথে আমি একমত।

নীতিটা এভাবে বললে হয়তো আমি কখনই প্রশ্ন তুলতাম না - সচলায়তনে লেখা অন্য কোন যায়গায় প্রকাশ করা যাবে না।

গুনগত মানের বিষয়টাতো আগেই বললাম।

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ওহ্, কামন ম্যান (এস্কিমো ভাই)।

অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে কি যাবেনা সেটা নিয়ে বিশাল এবং বিশদ লেকচার দেয়া হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। তারপরে এটা নিয়ে আলোচনাকে আগে বাড়ানোর আর কোনো অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। এটা মনেহয় এখন জলবৎ তরলং একটা ব্যাপার, না কি!

এস্কিমো ভাইয়ের 'বুঝ জ্ঞান' (আশাকরি অন্যভাবে নেবেন না) এতো নিচে হওয়ার তো কথা না, যে উনি একদমই বুঝতে পারছেন না! অন্তত আমি যে এস্কিমোকে চিনি, তাঁর কথা বলছি।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

এস্কিমো এর ছবি

প্রায় ধরে ফেলেছেন। হাসি

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍সচলের মান নেবে যাবার কথা আমি কোথায় লিখেছি?

আমি তুলনা করেছি পত্রিকার সঙ্গে। সে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন একেবারেই। ইচ্ছাকৃত?

৭২ ঘন্টা সময়ের হেরফেরে সচলে গুনগত মান কিভাবে রক্ষিত হয়

এই প্রসঙ্গেও গুণগত মানের কথা আমি বলিনি। কেবল প্রশ্ন করেছি, কর্তৃপক্ষের এই অনুরোধটি রক্ষা করতে অসুবিধেটা কোথায়?

আপনি প্রতিমন্তব্যে স্রেফ একটা বিষয়েই বলে গেলেন - লেখার মান। আর অন্য যে প্রশ্নগুলো আমি করেছি, সেসবের উত্তর দেননি।

সচেতনভাবে?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি জানি, আমি এখনও অচল, এবং আমার এখানে কোন মন্তব্য করা হয়তো ঠিক হবে না। কিন্তু আমি বিষয়টাকে যেভাবে দেখি, তা হল, আমি একি লেখা ২ জায়গায় দিব না, যতটা না সচলায়তনের প্রতি আমার আনুগত্যের প্রতি, তারচেয়েও বেশি আমার নিজের কাছেই ব্যাপারটি ভালো লাগবে না বলে।
ধরুন আপনি একজন পত্রিকার প্রকাশক, গেলেন হুমায়ুন আহমেদের কাছে একটা লেখা চাইতে, তিনি ও আপনাকে নিরাশ করলেন না, আপনাকে একটা লেখা দিলেন। আপনি ও খুশি মনে বাড়ি ফিরলেন। কিন্তু আপনার পত্রিকায় লেখাটি প্রকাশিত হবার পরই দেখলেন একি গল্প অন্য একটি পত্রিকাতে ও বের হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রকাশক হিসাবে আপনার ভালো লাগবে না। যদি ও হুমায়ুনের সাথে আপনার কোন আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি, তবু ও আপনি তার কাছ থেকে কিছুটা আনুগত্য আশা করেছিলেন।
আর যিনি লেখক, তিনি ও নীতিবান হয়ে থাকলে নিজে থেকেই ব্যাপারটি বুঝবেন, তাকে ধরে বেধে বা আইনের ভয় দেখিয়ে বুঝাতে হবে না।
এটি আইনের প্রশ্ন নয়, এটি নীতির প্রশ্ন।
~রেনেট

এস্কিমো এর ছবি

নীতিটা কার? নীতি হল একি প্রশ্ন করা যাবে না?

আর পত্রিকা আর বই এর উদাহরন ঠিক আছে - তবে সেখানে অর্থনীতি লাভ ক্ষতি বিষয়টা জড়িত। খেয়াল করবেন।

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

হিমু এর ছবি

সচলায়তনের "অর্থনীতি"র ব্যাপারটা একটু খেয়াল করবেন কি এস্কিমো ভাই? সচলায়তনে তো আমাকে ব্লগিঙের সুযোগ আর পরিবেশ দেয়া হয়েছে। বেশ কিছু টুলস পাচ্ছি সহজে ব্লগ করার জন্যে। পরিবর্তে সচলায়তন কর্তৃপক্ষ আমাকে একটি রীতি অনুসরণের কথা জানিয়েছেন। সেটি হচ্ছে একই সাথে একাধিক কমিউনিটি ব্লগে লেখা প্রকাশ না করার। অর্থাৎ, সেভাবেই আমি ব্লগিঙের সুযোগ আর পরিবেশের "মূল্য" পরিশোধ করছি ক্রমাগত।

আমি যদি রীতিটি অনুসরণ না করি, অর্থাৎ, "মূল্য" পরিশোধ না করি, তাহলে আমার লেখাটি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয় বা মুছে ফেলা হয়, অর্থাৎ, আমি সেই পোস্টের জন্যে সচলায়তনের সুবিধা আর পাই না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমম,
কিছু প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেলাম!
অনেক ধন্যবাদ সবাইকে!

----------
স্পর্শ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বিষয়টা হয়তো অনেকখানিই প্রশমিত হয়ে গেছে। নতুন করে কোন অসন্তোষ সৃষ্টি করতে চাই না, তবে শুধু আমার ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করতে চাই।

প্রথমত "এস্কিমো"-র এই লেখাটা প্রথম পাতায় বেমানান লেগেছে আমার কাছেও।

তারচেয়েও বড় কথা, সচলায়তন যেভাবে নতুন-পুরাতন লেখকদের সুযোগ দিয়ে চলেছে এবং চমৎকার সব লেখা প্রকাশ করছে, তার বিনিময়ে সামান্য এই চাওয়াটা অযৌক্তিক কিছু নয়। আর এটা অবশ্যই নীতিগত ব্যাপার। অন্য কারো কথা জানি না, অন্তত আমি মনে করি এই ব্যাপারে সচলায়তন অবশ্যই আপোষহীন হওয়ার অধিকার রাখে। আর সচলায়তন তো মানা করেনি যে লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না, ৭২ ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলেছে। এটা মানতে নীতিগতভাবে আমি মনে করি না কারো সমস্যা হওয়ার কথা। তারপরও সবার চিন্তাভাবনা তো একরকম নয়। দ্বিমত কেউ পোষণ করতেই পারেন। আর মানের প্রশ্ন যদি ওঠেই তাহলে বাকিদের সাথে আমি একাত্মতা প্রকাশ করব যে এটা লেখার মান নয় বরং প্রকাশের অনন্যতা। ব্যাপারটা অনেকটা যেন হুমায়ূন আহমেদের নতুন কোন উপন্যাস একই সাথে "সময়", "কাকলী" বা "অনন্যা" থেকে প্রকাশ পাওয়া! জানি তুলনাটা পুরোপুরি আক্ষরিক হয়নি, কিন্তু আমি শুধু নৈতিকতার তুলনা করতে চেয়েছি।

কিন্তু সবকিছুর পরও এই সামান্য বিষয় নিয়ে মনে হয় একটু বেশি আলোচনা চলছে! কিছুটা একগুঁয়ে মনোভাবও দেখা গেছে। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছুই বলিনি। তাই কেউ যদি আমার কোন কথায় আঘাত পেয়ে থাকেন, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

সবশেষে বলব, কোন প্রতিষ্ঠানের (সচলায়তনকে কি প্রতিষ্ঠান বলা যায়? অন্য কোন যথার্থ শব্দ পেলাম না) পক্ষেই এর সকল সদস্যের মনঃপূত নীতিমালা প্রণয়ন করা সম্ভব নয়। কিন্তু এর দায়ভার কি পুরোপুরি প্রতিষ্ঠানের উপরেই বর্তায়? চিন্তার বিষয়! সচলায়তনের "ডুয়াল পোস্টিং" নীতির প্রতি আমার পূর্ণ আনুগত্য ছিল, থাকবে। আরো অনেক সহব্লগার আছেন যারাও এই নীতি পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস করেন এবং মেনে চলেন। সচলায়তন তুলনামূলক কম সময়েই অনেক মানসম্পন্ন পর্যায়ে চলে গেছে যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তাই সচলায়তনের সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা থাকতেই পারে এবং তার প্রতি এর সকল সদস্যদের অনুগত থাকাই উচিত বলে মনে করি আমি। সচলায়তন এবং এর সাথে জড়িত সকল অচল-সচলকে শুভকামনা।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

নতুন কি যোগ করব বুঝছি না। এস্কিমো ভাই হয়ত এতক্ষণে প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। তবে খুব অবাক হয়ে যাই প্রিয় কিছু পরিচিত মানুষের ইচ্ছাকৃত গোর্য়াতুমি দেখে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এস্কিমো এর ছবি

তাইলে বিষয়টা দাড়ালো কি?

১) সচল যেহেতু আমাদের লেখার সুযোগ দিচ্ছে তাই আমাদের কৃতজ্ঞতা স্বরুপ চুপচাপ থাকাই ভাল।
২) লেখার কোয়ালিটি ভার্সাস সচলের কৌলিন্য - বিষয়টা পরিষ্কার হলো না।
৩) ৭২ ঘন্টা তেমন কিছু না - এইটা মেনে নেওয়া ভাল।

আমি কোথাও কি বলেছি নিযম নীতি মানবো না। যারা নিয়ম মানার জন্যে উপদেশ দিয়েছেন তাদের বলি - কোন বিষয়ে প্রশ্ন উঠানো মানেই বিরোধীতা নয় বা অমান্য নয়।

খামোখা বিতর্ক করার জন্যে এই পোস্ট দেইনি। যাদের বুঝার তারা বুঝেছেন। যাদের বুঝার দরকার নেই - তারা না বুঝলেও চলবে।

সচলায়তনের অধিকাংশ লেখকের একটা বক্তব্য ভাল লেগেছিলো - আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই। মত প্রকাশের স্বাধীনতার একটা টেস্ট করলাম। দেখলাম - শিখলাম - জানলাম - হতাশ হলাম কিছুটা।

মডারেটরগন যদি মনে করেন এই পোস্টটা সচলায়তনের প্রথম পাতার পবিত্রতা নস্ট করছে - মুছে ফেলতে পারেন। একটুকও কষ্ট পাবো না।

আমার হয়তো বুঝের সীমাবদ্ধতা আছে - তবে অভিজ্ঞতা থেকে যতটুকু শিখেছি - আইন না - মুক্ত বাতায়নই বেঁচে থাকার জন্যে সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন।

আইন প্রয়োগের বদলে যদি সহনশীল আলোচনা সমস্যার সমাধান করতে পারে - সেই পথটাই মনে হয় উত্তম পথ।

এই পোস্ট যদি কারো বিরক্তির কারন হয়ে থাকে - ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি তার জন্যে।

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সবাই নিজের মাপের আকাশ দেখে। আপনি যা দেখতে চাইবেন অন্য কেউ হাজার চেষ্টা করেও আপনাকে অন্য কিছু দেখাতে পারবে না।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কেউ মারা গেছে কিংবা মরতে যাচেছ (বিয়ে+ এ্যাকসিডেন্ট) কিংবা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
এ জাতীয় ইমার্জেন্সি নোটিস ছাড়া অন্য লেখাগুলো মনে হয় একই সাথে দু জায়গায় না দেয়াই ভালো

সেটা হোক সচলায়তনে আগে আর অন্য কোথাও পরে
কিংবা অন্য কোথাও আগে আর সচলায়তনে পরে

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

নিয়মের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে তা মেনে নেওয়া মানে কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হওয়া নয়। আমার মনে হয় না আমার মত কেউ জোরপূর্বক দাবিয়ে রাখতে চাইলে আমি এক দণ্ড সচলায়তনে থাকতাম। এই ধোঁয়াটা ইদানিং উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়ানো হচ্ছে যে সচলায়তনে সবার হাত-পা-মুখ বন্ধ। বুঝদার মানুষ যেচে না বুঝলে তো কিছু করার নেই।

আলোচনার মধ্য দিয়ে অনেক কিছুই ঠিক হয়, আবার হয়ও না। জগতে আইন জিনিসটা তো এমনি এমনি আসেনি। সব মানুষ কেন সমান, সেটা নিয়ে হাজার রাত্রি তর্ক করা যায়, আবার "We hold these truths to be self-evident, that all men are created equal." বলে আগে বাড়া যায়। মুক্ত বাতায়নের রোমান্টিক ইউটোপিয়ায় বসবাস করার পরিণাম আমরা সবাই দেশ-কাল-জাতি থেকে শুরু করে ব্লগ পর্যন্ত দেখেছি। এক সকালে ঘুম ভেঙে সেই সত্য আচানক ভুলে যাওয়াটা স্রেফ বালখিল্যতা।

দ্রোহী অফলাইনে এর ছবি

আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই সচলায়তন যেন কখনোই সবার জন্য উন্মুক্ত করে না দেয়া হয়। হাসি

"রাইত তিনটায় ঢাকায় আসলাম" কিংবা "আমার বান্ধবী আমার উপর রাগ করেছে" জাতীয় লেখা পড়ার হাত থেকে বাঁচার জন্যই সামহোয়্যারইন ছেড়ে এসেছিলাম।

এক লেখা একাধিক জায়গায় প্রকাশ করার সাথে মত প্রকাশের স্বাধীনতার সম্পর্ক কোথায়? বুঝলাম না।

অমিত এর ছবি

বিপ্লব রহমান এর ছবি

একমত@ অমিত।

বৈচিত্রতার সন্ধানেই সচলে আসা। নইলে পাশের বাড়ির রাগু-ছাগু-আলি-ঢালিতে হাঁফিয়ে উঠেছিলাম।

শ্রদ্ধেয় এসএমসি'র সঙ্গে খানিকটা দ্বিমত পোষণ করছি। এই লেখাটি প্রথম পাতায় আসায় আমি সচল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।

এটি ভবিষ্যতে শুধু রেফারেন্স হিসেবে কাজে লাগবে তাই নয়, এতোদিন ইমেইলে, জিটকে, ফেসবুকে, আর টেলিফোনে যে সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছিলো, আশাকরি এবার তার অবসান হবে।

জয়তু সচল!


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

এস্কিমো এর ছবি

অমিত,

আপনি মেনে নিতে বলছেন। মজার বিষয় হরো আমি কোথাও মানি না - মানবো না টাইপের কথা বলিনি।

মনে হচ্ছে আপনি রেগে গেছেন! ভাষাটা একটু সংযত করলে কি ভাব প্রকাশে খুবই অসুবিধা হতো?

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

অন টপিক একটা অনুগল্প:

১. মাসুদ সাহেব ছোটখাটো ব্যবসায়ী। সমৃদ্ধ সংসার। ওনার মেয়েটা শখ করে একটা বেড়াল পোষে। মেয়ের বেড়ালের শখ মাসুদ সাহেবকে পূলক দেয়।
: বাহ্ ভারী সুন্দর তো!
: হু বাবা
: কি খায় ও?
: মাছ আর গরুর মাংসা। হাল্কা মসলা আর লবন দিয়ে সেদ্ধ করে
: বাহ্! বেশ! বেশ! দেখ অবলা প্রাণীর অযত্ন যেন না হয়!

২. ৬ মাস পরের ঘটনা। মাসুদ সাহেব ব্যবসায় বড় আকারের লস খেলেন। পথে বসা না হলেও ঋণগ্রস্থ হলেন। অর্থাভাবে ওনার সারাদিন মেজাজ বিক্ষিপ্ত। একদিন বিকেলে বারান্দায় বসা। বেড়ালটা সামনে এসে দাঁড়ালো।
: ম্যাও, ম্যাও
: এই সব বিড়াল টিড়াল পেলে হয় টা কি? একটা গরু পাললেও তো দুধ পাওয়া যায়! না কি?

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

শামীম এর ছবি

১. ব্লগস্পটে আমার ব্লগ আছে ... ওটা কেউ পড়ে বলে মনে হয় না। তবে কম্পিউটার ক্রাশ বা অন্য কোন সমস্যায় লেখা হারানোর ভয়ে সচলে দেয়া লেখার কপি ওখানেও রাখি। তবে সেটা সচলে প্রকাশ হওয়ার কয়েকদিন পরে করি।

অন্ততপক্ষে সচল থেকে কোন কারণে সরে গেলে যেন লেখাগুলো আমার নাগালেই থেকে যায় সেজন্যও।

২. কিছু লেখা আমি সচলে দেই অন্য কোথাও (সেটা সামহোয়্যার না) প্রকাশের পরে। বিশেষত টেকনিক্যাল কিছু লেখা আমি "আমাদের প্রযুক্তি" ফোরামের জন্য লিখি।

সেই লেখা আমি এখানে পোস্ট করি কয়েকদিন পরে। কারণ এখানের কিছু সচেতন পাঠক প্রযুক্তি ফোরামে যায় না বলে আমি নিশ্চিত। তাঁদের চোখে পড়ার এবং সুচিন্তিত মতামত আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ জন্যই এখানে দেই। অন্য কোন ফোরাম/ব্লগের থেকে আসা মতামত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না ... তাই দেয়ারও চেষ্টা করি না।

একই ভাবে "প্রজন্ম ফোরামের" পাঠক আর "আমাদের প্রযুক্তি" ফোরামের পাঠক মোটামুটি একই। তাই দুই জায়গায় একই জিনিষ পোস্টাই না। সচলের গুরুত্বপূর্ণ অনেক পাঠকও প্রজন্ম ফোরামে যায় না। কাজেই ... ওখানে প্রকাশিত কিছু সিলেক্টিভ লেখাও এখানে কপি মারি।

তবে কিছু লেখা শুধু সচলের পাঠকদের জন্যই লিখি। ওগুলো অন্য কোথাও পোস্টাই না .... (ব্লগস্পটে কয়েকদিন পর ছাড়া)।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

তীরন্দাজ এর ছবি

মাঝে মাঝে কিছু লেখা অন্য কোথাও দিই। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ ও রাজাকার বিরোধী লেখাগুলো। আত্মপ্রচারের জন্যে নয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক দ্বায়িত্ববোধের তাড়নায়। এ কথাগুলো অন্যদের, অন্যপক্ষেরও জানা দরকার বলে মনে হয়।

তবে ৭২ ঘন্টার নিয়মটি মানতে আপত্তি নেই। (আগে জানতাম না)
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অমিতের সাথে একমত।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম ৭২ ঘন্টার নিয়মটি আগে জানতাম না আমিও। হয়তো চোখের সামনে এসেছিল। তখন খেয়াল করিনি। আমি ভেবেছিলাম হয়তো ২৪ ঘন্টাই যথেষ্ট। এখন জেনে নিলাম! হাসি
এবং এই অনুযায়ী আমল করব আশারাখি! খাইছে

-------
স্পর্শ

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আমার মনে হচ্ছে এস্কিমো ভাইয়ের মনোভাবটা আমরা আরো সহনশীল হয়ে বোঝার চেষ্টা করতে পারি,,,

আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করতে পারি ,,, ইন্টারনেটে লিখতে এসে অনেকের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে ,,, সেটা লেখালেখি আর কমেন্টের মাধ্যমে ,,, এখানে আমাদের অনেকেরই বন্ধুরা সচল এবং নন-সচল দুরকমের আছে ,,,, যেমন ধরুন আমার ক্ষেত্রে সচলায়তনের বাহিরেও সামহোয়ারের প্রচুর ব্লগার আছে যারা সচল না কিন্তু আমার ব্লগে নিয়মিত আসেন, আমি তাদের ব্লগে যাই ,,,, কমেন্ট করি, কমেন্ট পাই ,,, আনন্দে সময় কাটে ,,, (আমার ব্লগডটকম পুরোদমে চালু হলে সংখ্যাটা আরো বাড়বে)
এখন ব্যক্তিগতভাবে আমি যখন লিখি (বালছাল যাই লিখিনা কেন), সবার কথা ভেবেই লিখি ,,,, একটা গেসবলের প্রশ্ন যখন মাথায় চিন্তা করি তখন সামহোয়ারের রাশেদ এটাকে কিভাবে ভাবতে পারে সেটাও ভাবি, আবার সচলায়তনের শামীম ভাই কি বলবে সেটাও ভাবি ,,,এরকমই ছিল অবস্থা ,,,, কাজেই আমি চাইবনা আমার এই বন্ধুদের কাউকে এমন ইম্প্রেশন দিতে যে তারা ভাববে আমি বলছি, "দেখো, তোমাদের চেয়ে আমি ওদেরকে বেশী মূল্য দিই" ,,, সেই হিসেবে আমি মাল্টিপল স্পেসে একই সময়ে পোস্ট দিতে উৎসাহী ,,,

এখন কথা হলো সচলায়তন কর্তৃপক্ষ যদি কোনভাবেই মেনে নিতে না পারে যে অন্যকোথাও প্রকাশিত লেখা একইসাথে সচলায়তনে প্রকাশিত হবে, তাহলে আমাদের সেটামেনে নিয়েই লিখতে হবে ,,,এটাও সত্য,,, লেখককে সেভাবেই নিজের লেখাগুলোকে বিভিন্ন ব্লগে ডিস্ট্রিবিউট করতে হবে, যেটার উপর এখনও আমি কাজ করছি ,,,, যেমন এখন আর ইন্টেরাকটিভ (গেসবল, ধাঁধা, কৌতুক) টাইপের হাল্কা পোস্ট বা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া (মূলতঃ রাজনৈতিক) পোস্টগুলো সচলে দিইনা, কারণ এসব পোস্ট একদিনের বাসী হলেই আর কোন মানে থাকেনা ,,,, সচলদের সাথে শেয়ার করতে পারছিনা বলে খারাপ লাগে ঠিকই (যদিও সেগুলো এমনই আবর্জনা যে কেউ পড়তে না পেয়ে মিস করবে বলে মনে হয়না চোখ টিপি), কিন্তু নিয়ম নিয়মই ,,,, কিছু করার নেই, সেটা মেনে নিয়েছি। কিন্তু "গল্প/সাহিত্য" টাইপের কিছু লিখলে হয়ত সচলে দেয়া যায় বলে ভাবি ,,,লেখার ডিস্ট্রিবিউশন সেভাবে বিবর্তিত হয়েছে আমার বেলায়।

কিন্তু, জিয়া ভাই সম্ভবতঃ সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়েই মূলতঃ লিখে থাকেন, রম্যগুলোও সাম্প্রতিক কোনকিছুর উপরই ভিত্তি করে লিখেন ,,, তাঁর লেখাগুলো পড়তে হয় টাটকা টাটকা ,,, এরকম ক্ষেত্রে লেখক তাঁর নিজের চিন্তাগুলো কোথাও শেয়ার করার সাথেসাথেই প্রতিক্রিয়া জানতে চাইবেন ,,, এজন্যই তো ব্লগিং ,,,, লেখক হয়ত নিজের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াকে তিনদিন পর অন্যকোথাও শেয়ার করে মজা পাবেননা

আমি পুঁজিবাদী মানুষ ,,, একই সমস্যা অনুভব করে আমি সেধরনের পোস্ট সচলায়তনে না দেয়াই ভালো মনে করে চুপচাপ মেনে নিয়েছি ,,, যদিও নীতিটাকে আমার খুব একটা পজিটিভ কিছু মনে হয়নি, তাও "যেহেতু কর্তৃপক্ষের নীতি তাই সেভাবেই চলতে হবে" ভেবে মেনে নিয়েছি
জিয়া ভাই আবেগপ্রবণ মানুষ ,,, তিনি চান তাঁর লেখাগুলো সচলদের সাথে সাথে অন্যজায়গায়ও সবাই টাটকা টাটকা পড়ুক, ,,,, সেটা সবার প্রতি ভালোবাসার কারণেই চেয়েছেন ,,,, একই সিচুয়েশনের মুখোমুখি হয়েছি বলে আমি ব্যাপারটা বুঝতে পারছি কিছুটা হলেও,,,, সেটাকে সবাই এত নেগেটিভলি না নিলেও হয়

আরেকটা ব্যাপার হলো, নিয়মগুলো খুব পরিষ্কার না ,,, যেমন ৭২ ঘন্টার বিষয়টা কি আসলেই মেপে মেপে ৭২ ঘন্টা নাকি একটা নির্দিষ্ট সময়, সচল নিকের কমেন্টে সেটা বোঝা যাচ্ছেনা ,,, আবার কোথায় জানি একবার দেখেছিলাম জনগুরুত্বপূর্ণ পোস্ট হলে শেয়ার করা যাবে, (যেমন পিয়ালভাইর সেই টাটকা টাটকা ইথারে ভাসা পাকবাহিনীর খুনের প্লট), কিন্তু এটার সীমারেখাটা বোঝাও একটু কঠিন ,,, এগুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষ যদি ব্লগারদের সাথে আলোচনা করে নিয়মনীতি ঠিক করতে চায় তাহলে সেভাবে, অথবা নিজেদের আলোচনাতেই যদি ঠিক করতে চায় তাহলে সেভাবে, যেভাবেই হোক -- একটা সহজবোধ্য নীতিমালা প্রণয়ন করলে এধরনের কন্ট্রোভার্সি তৈরী হবেনা বলে মনে করি

সবাইকে শুভ ব্লগিং
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

এইটা নিয়ে ওপেন আলোচনা হইলেই ভালো। এই বিষয়ে আমার কিছু মন্তব্য -

১) সচল বানাইতে যেই পরিমান behind-the-stage খাটা-খাটনি করে মডুরা আর ডেভেলপাররা, সেইটা বিরাট। কিছুদিন পরপরই নতুন ফীচার ডেভেলপ করা হয়। এইটা মুখের কথা না। আর এই জায়গা যে এখনো বস্তিতে পরিণত হয় নাই, তার একটা বড় কারন মডুদের সাবধানতা। এই জন্যেই বেচারা রেনেট ১৮টা লেখা দিয়েও অপেক্ষা করতেছে। একই কারনে এক লেখকের বৌ তাকে বলে - সচলে ভেবে-চিন্তে লেখা দিও। এই জিনিসগুলা্র স্বীকৃতি দেয়া উচিত। কোয়ালিটি-কন্ট্রোল জিনিসটা জরুরী, একই সাথে জরুরী এই রকম গ্রুপ ব্লগের একটা নিজস্ব কালচার ডিফাইন করা। এক বছরে সচল সেইটা করতে সক্ষম হইছে। তাই ধন্যবাদ মডুদের প্রাপ্য।

এই পরিপ্রেক্ষিতে মডুদের যদি কিছু নিয়মনীতি থাকে এবং সেই নিয়ম যদি একদম আজাইরা না হয়, তাইলে সেই নিয়ম মেনে চলাই উচিত। সেই চাওয়াটা আমার কাছে অবান্তর মনে হয় না। এই সূত্রে ৭২ ঘন্টার নিয়মটাও অবান্তর ঠেকে না।

২) অনেকের মত আমিও অন্যান্য ব্লগে লেখি। নিজের ব্লগ আছে, দৃষ্টিপাতের গ্রুপ ব্লগ আছে। যখন দৃষ্টিপাতের গ্রুপ ব্লগটা চালু হয়, সেইটার পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল উন্নয়ন-বিষয়ক আলোচনার একটা ফোরাম তৈরী করা। মডুদের নানা কমিটমেন্টের কারনে ব্লগের টেকনিকাল দিকে নজর দেয়ার সময় পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু সেই ব্লগে মোটামুটি হেভি-ডিউটি লেখাই যায়। তখন এই ডুয়েল পোস্টিং এর বিষয়টার মুখোমুখি হই। তবে পরবর্তীতে যেইটা মনে হইলো, যে দুই ব্লগের কন্টেন্ট-এর মত দুই ব্লগের অডিয়েন্স-ও হয়তো কিছুটা ভিন্ন। তাই একদম প্রথম লেখাটা কমন পড়লেও ('আর কত দেশান্তরী?') পরবরর্তীতে দুই ব্লগে দুই রকম লেখা জমা দেই। সেইটা যথাযথ সলিউশন বলে মনে হইছে। (যদিও আমিও চাই আমার অর্থনীতি-প্রীতি বাকি দুনিয়ার মাঝে সংক্রমিত করতে!!!)

৩) শেষ মন্তব্যটা ইন্টারনেটের সংস্কৃতি নিয়ে। প্রতিদিন ইংরেজী বাংলা দেশী-বিদেশী মিলিয়ে অন্তত ডজন-খানেক ব্লগ পড়া হয়, আগে আরো বেশী ছিল। নেট বা ব্লগ সংস্কৃতি দেখে আমি যতদূর বুঝি, তা হলো ইন্টারএক্টিভ থাকা, লিংক দেওয়া-নেওয়া, কন্টেন্ট যতদূর সম্ভব শেয়ার করা। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে যে সচলের exclusivity ব্যাপারটা ইন্টারনেটের সামগ্রিক সংস্কৃতির সাথে তেমন মিল খায় না। প্রথম দিকে তাই বেখাপ্পা লাগছিলো - কিন্তু নিয়ম নিয়মই। নেটের আরেকটা ব্যাপার হলো সময়োপযোগীতা। ব্লগ-দুনিয়ার অনেকটা ঘিরেই আছে তাৎক্ষনিক রিয়্যাকশন, প্রতিক্রিয়া পোস্ট, এক মুহুর্তের চিন্তা বা ইন্সপিরেশান। ব্লগ যেহেতু মাসিক পত্রিকা বা সাপ্তাহিক পত্রিকা না, তাই এমন না যে প্রতিটা লেখাই অনেক হিসাব কষে দিতে হবে। অর্থনীতি বা রাজনীতির কোন নতুন ইন্টারেস্টিং খবর দেখলে সেইটা নিয়ে যদি প্রতিক্রিয়ামূলক লেখা দিতে চাই, সেই লেখার ভ্যালু ৭২ ঘন্টা পরে তেমন থাকে না। তাই ঐ জাতীয় লেখার জন্যেও তখন লেখককে হিসাব করতে হবে, উনি কোন ফোরামে লেখা দিয়ে খুশী।

এই আমার দুই আনা। সকলকে দরকারী আলোচনার জন্যে ধন্যবাদ।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

অমিত এর ছবি

রাসেল এর ছবি

সচলায়তনের নিজের ভেতরে কিছু সমস্যা আছে। ভিন্ন ধারার বলেই হয়তো কিছুটা উন্নাসিকতাও আছে এখানে।
লেখা বিভিন্ন ফোরামে পোষ্ট করতে দেওয়ার বিধিনিষেধের কতৃপক্ষীয় ব্যাখ্যা হলো নতুন, গরম গরম ভালো লেখাটা এখানেই জমা দিন।
সচলায়তন লেখক এবং সংরক্ষিত লেখকদের ফোরাম। এখানে যেসব লেখা ছাপা হয় সেসবের মান অন্য যেকোনো মাধ্যমের লেখার তুলনায় ভালো।
কিছুটা সংরক্ষণশীলতা নিয়ে আমার নিজের আপত্তি আছে। লেখক চাইবেই তার লেখা , তার অনুভব যতবেশী সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাক। আর এইখানে যেহেতু সরাসরি অনুভব জানানোর সুযোগ আছে তাই সবাই নিজের লেখা দিয়ে মন্তব্যের প্রত্যাশা করে।
ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর পাঠকে অনুভব জানবার জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্থানে লেখা দেওয়ার বিষয়টাও সামনে চলে আসে। সচলায়তনের পাঠকদের বিষয়েও এটা সত্য এখানের যারা লেখক এবং যারা নিয়মিত পাঠক তাদের সচেতনতার অবস্থান প্রথম আলোর মতোই।
কিছুটা শালীনতাবাদী কিছুটা সামাজিক দায়বদ্ধতার দায় কান্ধে তুলে নেওয়া সচেতন পাঠক শ্রেনী, এবং একটা দিক দিয়ে এটা অন্তত ভালো কতৃপক্ষের মৌলবাদীতার ছিঁটেফোঁটা থাকলেও সাধারন লেখক শ্রেনী অন্তত তেমন মৌলবাদী নয়।
এরপরও এখানের বিভিন্ন লিখিত অলিখিত নিয়মাবলীতে মাঝেমাঝে হাঁফ ধরে।
লেখা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ছাপানোর আপত্তির একটা কারণ আমার কাছে বৈষয়িক মনে হয়।
তবে এই বৈষয়িকতাকে আমি বর্তমানের বিচারে গ্রহনযোগ্য ভাবছি। এটা মূলত একটা ব্যক্তিউদ্যোগ, যারা এই উদ্যোগটাকে গ্রহন করেছে তাদের প্রায় সবার সাথেই হৃদ্যতার সম্পর্ক আমার। এবং তাদের নিজের আবেগের জায়গাটাকেও আমি শ্রদ্ধা করি, তবে নেহায়েত ব্যক্তি অনুদানভিত্তিক না থেকে সচলায়তনের নিজের বাণিজ্যিক ভিতটা শক্ত করবার জন্যই আসলে কিছুটা সংরক্ষণশীলতা প্রয়োজন। এটার পরিচিতি ছড়িয়ে যাক ভালো লেখার আড্ডা হিসেবে এটাই আমি চাই। তাহলে নেপথ্যের মানুষেরা যারা গাঁটের পয়সা খরচ করে বাংলা ভাষার সাহিত্য এবং বাংলা তারুণ্যের ভাষ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিতে চাইছে তাদের গাঁটের উপরে চাপ কমে।
যদি সচলায়তন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিজের অর্থ সংস্থান নিজে করতে পারে তাহলে নেপথ্যের মানুষগুলো অন্তত নিজের সন্তান বেড়ে উঠবার আনন্দটা পাবে।অনেক ভালো লেখক এখানে আছে, তাদের নিজেদের সেরা লেখাটা তারা কোথায় জমা দিতে চায় এটা নিয়ে তাদের নিজের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।
তবে সচলায়তনকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য এখানের লেখকদের যতটুকু করবার ততটুকুর ভেতরে এটাও একটা বিষয় হতে পারে, অন্য কোথাও নিজের নতুন লেখাকে উন্মুক্ত না করে দেওয়া যেনো তারা মনের তাগিদে এখানে এসে লেখাটা পড়ে।
সচলায়তনের হিট সংখ্যা বাড়লে এর বিজ্ঞাপন মূল্য বাড়বে, আর এর বিজ্ঞাপন মূল্য বাড়লে একটা সময়ে সচলও কিছুটা ছাড় দিতে পারবে।
সে সময় পর্যন্ত যদি আপনি একটু কষ্ট করে নিজের সেরা লেখাটা এখানের জন্যই রেখে দেন তাহলে ভালো হয়।

মত এবং বক্তব্য প্রকাশের স্বাধীনতা আপনার আছে- এমন কি কতৃপক্ষের কাছেও কোনো ভাবে দায়বদ্ধতা নেই আপনার-

-------------------------------------------------------
বাংলায় হাগি, মুতি, বাঁচি

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

হিমু এর ছবি

বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে সচলায়তনের অবস্থান পরিষ্কার বলে জানি। সচলায়তনে কোন বিজ্ঞাপন এখনো পর্যন্ত হোস্ট করা হয়নি, ভবিষ্যতেও সম্ভবত হবে না। বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার আরেক অর্থ বিজ্ঞাপনদাতার মর্জির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া, যার কোন প্রয়োজন নেই। গুগল অ্যাডসেন্সের কিছু সীমিত উদ্যোগ সচলায়তনে আছে, তবে তা ব্লগের চোখের আড়ালে। কোন আর্থিক উদ্যোগের সময় সংশ্লিষ্ট সচলরাই তার ভার বহনে সমর্থ বলে মনে হয়।

লেখক আর পাঠকের জন্যে কেবল লেখার জায়গা হয়েই আছে সচলায়তন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রাসেল এর ছবি

হিমু পরবর্তীতে যখন আরও বড় পরিসরে এটা ঘটবে তখনও হয়তো সবাই মিলে এই ভার বহনের অর্থনৈতিক সামর্থ্য রাখবে। তবে দাতব্য বিষয়ের সামান্য সমস্যা আছে- সবার অংশগ্রহন থাকে না, সবাই একটা নিক্তিতে সমান মাপে না থাকলে কিছুটা ভারকেন্দ্রের সমস্যা তৈরি হয়।
অর্থনৈতিক দিক নিয়ে মাথা ঘামানোর জন্য দুঃখিত আসলে।

-------------------------------------------------------
বাংলায় হাগি, মুতি, বাঁচি

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ঠিক।



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

সৌরভ এর ছবি

এই "হালকা তেতো" ব্যাপার নিয়ে এটাই হোক শেষ পোস্ট। এইটুকুই কামনা। এই পোস্টের মধ্য দিয়েই আমার মতোই সচল, সচল নন সবারই অনেক ভুল ভেঙেছে বলেই মনে হয়। আশা করছি আর কারো "ব্লগ নিয়ে ব্লগিং" করার দরকার হবে না।

এস্কিমো ভাইকে ধন্যবাদ এইরকম কষ্ট করে সবার ভাবনাগুলো বের করে আনার সুযোগ করে দেবার জন্যে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

এস্কিমো এর ছবি

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার যা বলার ছিলো আশা করি বুঝাতে পেরেছি। যদি আমার কোন মন্তব্য কারো বিরক্তি বা কষ্টের কারন হয়ে থাকে - তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।