গত মাসেই বিষয়টা জানিয়েছিলো আরেক ব্লগার আরশাদ রহমান। আড্ডাবাজ আসছেন টরন্টোতে।
মজার বিষয় হলো সেই দিনই জানলাম আরশাদ আর আমার দূরত্ব হলো ৩ কিলোমিটার। যা হোক - টেলিফোনে কথা হলেও আরশাদের সাথে দেখা হয়নি।
গত সপ্তাহে ইমেইলে আড্ডাবাজ জানালেন - উনি আসছেন শনিবার। শনিবারের জন্যে আমরা প্রস্তুত থাকলেও দেখা হলো রোববার।
বিকাল ৬টায় বাঙালী পাড়ার 'ঘরোয়া' রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। মজার ব্যাপার হলো আরশাদকে আগে দেখিনি। মোটামুটি একটা বর্ননা দিলেন উনি। কালো টিশার্ট আর জিন্স পড়া থাকবেন আরশাদ। আমি বললাম - কুছ পরোয়া নেহি, খুঁজে নেব। আমার বিষয়ে কিছুই বললাম না।
শুধু জানতে চাইলাম - চশমা পড়েন কিনা? উত্তর - না।
গিয়ে রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই দেখলাম একজন বসে আছেন - হাতে চায়েন কাপ। হাত বাড়িয়ে দিলাম।
হ্যা - আমিই।
বসলাম মুখোমুখি। শুরু হলো আড্ডা। একসময় দেখি ঘড়িতে সাড়ে সাতটা বাজে। মানে হলো পুরো দেড় ঘন্টা কথা বলেছি আর শুনেছি। চমৎকার বাচনে কথা বলেন আরশাদ। আরো মজার বিষয় হলো ঢাকার আদিবাসিন্দাদের ভাষার একটা টান আছে। বেশ ভাল লাগলো। শুলাম উনার ছাত্র জীবন - প্রবাস জীবন আর ওন্টারিও লেকের তীরে তরী ভিড়ানোর গল্প। আমারও বিষয়ও বললাম।
এদিকে আড্ডাবাজের খবরে নেই। হঠাত করে দুজনেরই সেল ফোন বেজে উঠা শুরু হলো। ঘুরে ফিরে আড্ডাবাজের হদিস পাওয়া গেল। উনি কাছাকাছি এক বাসায় আছেন এবং আসছেন।
অবশেসে এলেন - কিন্তু তাড়া নিয়ে। এক বাসায় বসে আছে শশুড়পক্ষীয় স্বজন। কি আর করা। দাড়িয়ে দাড়িয়ে দ্রুত পরিচয় পালা শেষ করে - আড্ডায় অনুপ্রবেশ এবং দ্রুতগতিতে যবনিকা পতন।
ক্ষনিকের আড্ডা হলেও মনে হলো দীঘর্দিনের পরিচিত আমরা। আমি আরশাদ আর আড্ডাবাজ।
বাসা ফিরে আসার সময় ভাবছিলাম - ইন্টারনেট কি না করতে পারলো...
আড্ডা মেরে শান্তি না পেলেও একটা শান্তনা পেয়েছি..আড্ডাবাজের দেখাতো পেলাম।
ধন্যবাদ আড্ডাবাজ আর আরশাদকে একটা সুন্দর সন্ধ্যার জন্যে।
মন্তব্য
বোঝা গেলো আড্ডাবাজ মোটোই আড্ডাবাজ নন। আড্ডা আগে না শ্বশুরপক্ষের আত্মীয়ের বাসায় খাওয়া? আড্ডাবাজের নাম পাল্টানোর দাবি তোলা উচিত।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আড্ডাবাজের নাম টা বোধহয় পাল্টিয়ে জামাই রাখা দরকার।
-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...
আড্ডা ভাইকে গণধোলাই দেওয়া হোক। আড্ডা বাদ দিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে সময় দেওয়া চলবে না, চলবে না।
ছোট অবয়বে চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন। আরশাদ ভাই লিখেন না কেন?
ধুরো! আগে ক্যাটেগরী খেয়াল করি নাই। সার্টিফিকেট দেখাইতে বললে এই পোস্ট পড়ার জন্য জরিমানা খাইতে হইবো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
গল্পটা পড়ে হেভী মজা পাইলাম। যাক আড্ডাবাজ নামে অনেককেই অনেক জায়গায় পাওয়া যায়। আইডি কার্ড চেক করেছেন? হা হা...।
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
গণ ধোলাইটা মনে হয়ে আমার কপলে আছে বিভিন্ন ঝামেলায় ছেড়া বড়া অবস্থায় পোস্টটা পড়া হয় নাই আর মন্তব্যও করা হয়নাই আগে। মাফ কইরা দিয়েন
আড্ডাবাজ ভাই এর নাম আসলেই বদলাতে হবে এতো কম আড্ডায় কাওকে আড্ডাবাজ বলা যায় নাকি?
এস্কিমো ভাই অল্প কথায় চমৎকার লিখেছেন। যদিও সামনা সমানি ওই দিনই প্রথম দেখা কিন্তু ব্লগেতো পরিচয় আগেই। মনের মিলের জন্যই বোধ হয় কথার টান ঢাকাতে পারিনাই
আড্ডা ভাইয়ের সাথে আমারও একবার দেখা হয়েছিল। ঠিক বলতে পারবোনা বাস্তবে নাকি স্বপ্নে ! তবে আমার খাতির করার বদলে উনি নিজেই আমাকে খাতির করে অস্থির করে তুলেছিলেন। চমৎকার একজন মানুষ, আমি কিন্তু ঘন্টা ২/৩ একসাথে ছিলাম।
কি মাঝি? ডরাইলা?
"ঠিক বলতে পারবোনা বাস্তবে নাকি স্বপ্নে !" এইটা কেমন কথা ভুইলা গেলেন কেমনে?
আড্ডাবাজ ভাই যে চমৎকার তাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু আড্ডা কম মারে
ভুলি নাই। তবে ওস্তাদের নিষেধ আছে!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
আড্ডা বাজের সাথে আবারো আড্ডা মারতে চাই।
লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?
নতুন মন্তব্য করুন