আ্যলেন গীন্সবার্গ । আমার দেখা এক চিরসবুজ কবি। তার জন্ম ৩ জুন ১৯২৬। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার বিখ্যাত কবিতা '' সেপ্টেম্বর ইন যশোর রোড'' আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল খুব। নিউইয়র্কে এসেই তাই তাকে খুঁজতে থাকি।
পেয়েও যাই। ১৯৮৬ এর এক সকালে দেখা হয়ে যায়। আমাকে তার ডেরায় নিয়ে যান আরেক কবি জেনি স্পিংফিল্ড।
তারপর অনেক আড্ডা হয়েছে তার সাথে। আমি সময় পেলেই তার -'হাউল এন্ড আদার পোয়েমস'(১৯৫৬) নিয়ে ই কথা তুলতাম প্রায়ই।
একদিন গ্রীনিচ ভিলেজে এক ক্যাফেতে বসে আড্ডা দিচ্ছি।
আড্ডার বিষয় - আগুন। গীন্সবার্গ বললেন , জানো আগুন কবিকে পোড়াতে পারে না। আমি কৌতুহল নিয়ে তাকাই।কবি তখন একটা পাইপ ফুঁকছেন। তার এক হাতে সিগরেট লাইটার।
কথা বলতে বলতে নিমিষেই ,হটাৎ দেখি গীন্সবার্গ লাইটার জ্বালিয়ে নিজ হাতে ধরেছেন!
আরে, আরে , --- এ কি করছেন আপনি ??? চেচিয়ে উঠেন পাশে বসা কবি ডোনা কেইনস ।
প্রায় ৩০ সেকেন্ড তিনি পোড়ালেন নিজেকে।
গীন্সবার্গ হাত দেখান - দেখো আমার কিছুই হয়নি ।
এমন খেয়ালি কবি ছিলেন আ্যলেন গীন্সবার্গ।
চল্লিশ দশকে আমেরিকায় বীট জেনারেশন কাব্য আন্দোলনের
নেতৃত্ব দেন এই কবি।
তার শেষ কাব্যগ্রন্থ ''ডেথ এন্ড ফেম'' বের হয় ১৯৯৯ সালে।তার মৃত্যুর পর।
৫ এপ্রিল ১৯৯৭ কবি ইহলোক ত্যাগ করেন। তার শেষ
কৃত্যে অংশ নেন মাত্র আটাশ জন নারী-পুরুষ ।
মন্তব্য
অনেক ধন্যবাদ ইলিয়াস ভাই। আমার অত্যন্ত প্রিয় কবি তিনি।আরেক্টু বড় করা যেত মনে হয়। তারপরেও দারুন লাগ্লো।
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
ধন্যবাদ । হা বড় করবো । একটা বই লিখা হবে প্রবন্ধের ।
কী সৌভাগ্যবান আপনি।
আগুন কবি, প্রেমিক, বিপ্লবী - কাউকেই পোড়াতে পারে না।
কি মাঝি? ডরাইলা?
থ্যাংকস এ লট ।
কবি, প্রেমিক, বিপ্লবী কিছুই হতে পারলাম না জীবনে। রান্না করতে গিয়ে হাত পোড়াই রোজ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
রাঁধুনি হতে পেরেছেন! এই বা কম কী?
কি মাঝি? ডরাইলা?
রাঁধুনীদের কি হাত পোড়ে !!!!!!
হ্যাঁ! হাজারবার!
কি মাঝি? ডরাইলা?
নতুন কিছু জানলাম।
ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
বলেন কী মশাই!!!
আ্যলেন গীন্সবার্গকে নিয়ে আমার ১টা না ঘটা ঘটনা আছে, পরে বলবো নে।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
প্লিজ ,বইলেন সময় করে ।
ফকির ভাই, খুব সংক্ষিপ্ত হয়ে গেল! খুব ভাল লাগল।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এটা শর্টকাট। মূল টা আরো বিস্তারিত হবে। থ্যাংকস
ওম শান্তি!
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
নম: , কবিতাং নম:
ভাগ্যবান আপনি।
ঈর্ষাবোধ হচ্ছে
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
কবিতার সাথে পরখ করা আর কি ! ধন্যবাদ , আপনাকে।
সৌভাগ্য তো বটেই! সুন্দর বলার মতো কাহিনী!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
সাহিত্য আড্ডা গুলো আসলেই মজার , শেখার , প্রেরণার ।
গীন্স্বার্গের কথা অনেকবার, অনেক ভাবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার " ছবির দেশে কবিতার দেশে" বইটিতে বলেছিলেন। "সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড" কবিতাটারও পটভূমিও ওইখানে আছে। তিনি সব সময়ের জন্য আমাদের হয়ে গেছেন, শুধু ওই কবিতাটার জন্যই। এই পাগলা কবির অনেক টান ছিল এই দেশী মানুষের জন্য।
যেখানেই থাকুক...শান্তিতে থাকুক কবি।
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
বাঙ্গালির প্রতিনিধি কয়জন ছিল ? আমি ধরেই নিচ্ছি আপনি ছিলেন , আর কেউ কি ছিল ?
নতুন মন্তব্য করুন