কবির অর্ন্তদৃষ্টি,কবিতার যোজন গ্রহপথ

ফকির ইলিয়াস এর ছবি
লিখেছেন ফকির ইলিয়াস (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৫/২০০৮ - ১১:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কবির অর্ন্তদৃষ্টি,কবিতার যোজন গ্রহপথ
ফকির ইলিয়াস

"Poets are the unacknowledged legislators of the world."
----- Percy Bysshe Shelley

ভিন ভাষা থেকে যখন একটি কবিতা অনুবাদ করা হয়, তখন সঙ্গত কারণেই পাঠকের ইচ্ছে জাগে
মূল ভাষার সাথে কবিতাটিকে মিলিয়ে দেখার। কারণ তাতে জানা এবং বুঝা যায় অনুদিত কবিতাটি কতোটা মৌলিকতা রক্ষা করতে পেরেছে। মার্কিন কবি জেরালন্ড ষ্টার্ণ এর কবিতার বই ‘‘এভরিথিং
ইজ বার্নিং’’(নরটন এন্ড কোম্পানী , ২০০৫) বের হবার পর একটি সমালোচনা ছাপা হয় দ্যা
নিউইয়র্ক টাইমসের বুক রিভিউ সেকশনে। সে আলোচনায় কবির কিছু কবিতার ভাবার্থ নিয়ে প্রশ্ন
তোলা হয়। কবি ষ্টার্ণ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন ,তাই বলেতো আমি আমার কবিতা আবার রিরাইট
করতে পারিনা! কবি বলেন,আমার দৃষ্টির সাথে সবার দৃষ্টির মিল থাকবে আমিতো সে কথাও বলছি
না।
অনেকগুলো দৃশ্য, কবির চোখের সামনেই মিলিয়ে যায়। কবি তা ধরে রাখেন। পরে সাজিয়ে
নেন নিজের মতো করে। আমাদের চারপাশে আমরা প্রতিদিন যে অসংখ্য পংক্তিমালা দেখি , তার সবগুলো কি আমাদের মন কাড়ে? না, কাড়ে না। কবি যে পথে হাঁটছেন , পাঠককে সে পথে হাঁটতে
হবে এমন কোনো কথাও নেই। শিল্প-সাহিত্যে একটা আবহ সবসময় বাস্তবতাকে ঘিরে রাখে।
একটা ছবির আঁচড় ও তো অনেক কথা বলে যায়। সেকথা বুঝতে পারে ক’জন ? ক’জনের মন দেয় এগুলোকে মেধার ছাড়পত্র ?
কবিতা মনের দ্যোতনা ছড়াতে,লিখিত হয় বার বার। আর পঠিত হয় তার চেয়েও বহুগুণ বেশী।এর
কারণ একটাই । সবাই লিখতে পারে না।তারপরও মগ্ন উপাসনায় ঋজু হতে চায় সকল বিশুদ্ধ অন্তর।
যজ্ঞ করি। আগুনে ঢালছি মেঘ। সমুদ্র ও ঝড়
আগুনে ঢালছি আগুন। ঢালছি ঈশ্বরে ঈশ্বর
নিজেকেও ছুঁড়ে ফেলে দিই
স্বাহা বলে ফেলি আকাশের যাবতীয় ঘি

অগ্নি থেকে অগ্নি উঠে আসে। মেঘ থেকে জল
সমুদ্র ফাটিয়ে ওঠে গেঁড়িভুক শোকনীল নাবিকের দল
আমি যজ্ঞ করি আর আগুনের মধুগুলি চেটেপুটে খাই
নিজেরেও সমগ্র পোড়াই

জঙ্গল শুন্য করে ছুটে আসে গাছপালা, গুল্ম ও লতা
ছায়াপথ শুন্য করে ছুটে আসে অন্ধ নীরবতা
মাটি ফুঁড়ে ওঠে আসে ওঁম তৎ সৎ
যজ্ঞ করি। নিজেকে আগুনে ঢালি। পোড়ে ভবিষৎ ।
( যজ্ঞ / বিকাশ সরকার )
কবি যাই বলুন না কেন, ভবিষ্যতই নির্মিত হয় আগুয়ান প্রজন্মের হাতে। যারা এই সমকালকে
শিয়রের বালিশ করে মহাকালের কোলে নিশিরাত ঘুমায় । আবার জাগে। প্রতিদিন নতুন সূর্য
কামনা করে।
দুই
আমাদের মননে , বাংলা সাহিত্যে শামসুর রাহমান এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর মুখ থেকে জীবনের শেষ
মুহুর্ত পর্যন্ত আমরা শুনেছি আশার বানী।
বাংলাদেশ যখন জঙ্গীদের লীলাক্ষেত্র , কবি বলেছেন - এ আঁধার কেটে যাবে। এই যে স্বপ্নচারী মন,
সেই মনের মেরুপথেই হাঁটে কবিতা।
যুগে যুগে বদলে যায় কবিতার ক্ষেত্র। বদলে কবির অভিজ্ঞতাও ।
একটা মুদ্রা পেলেই অমনি আমি কুয়ার জলে ফেলে দিতাম। তোমার চোখের মতো,যে
মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ দু’পিঠেই থাকে ঈশ্বর , মুদ্রা পতনের সাথে সাথে ঈশ্বর কেঁদে
উঠতো , আর তার কান্নার ভেতর দেখতে পেতাম অদৃশ্য এক ঘোড়া ,যে ঘোড়া ঘাড়ে
করেছে সূর্য , পায়ের ভেতর নিয়েছে দৌড়ের পদাবলী সেই জন্মাবধী, একটা
ভোররাতের পাশে দাঁড়িয়ে আছো তুমি আলোর পাথর আর সেখানে পড়ে আছে
নর্তকীদের ভা-া পা , কেবল আমার হাতে একটা মুদ্রা এলেই কুয়ার জলে জমে ওঠে
ঈশ্বরের কান্না, ভেসে ওঠে মুদ্রার শ্বাপদ আর তোমার পৌরাণিক গায়ে জমে ওঠে
ভোররাতের লীলা।
( পাথর শুধু অন্ধকার হতে থাকে -চার / জুয়েল মোস্তাফিজ )
কবিতার এমন নবতর আকাংখা প্রতিদিনই উঠে আসে। নিয়ত মৃত্তিকাকে সামনে রেখে কবি
ভেসে যান বৃষ্টিসমুদ্রে। আর তা তাবৎ মানুষের অলৌকিক সমষ্টি শক্তিই বলা যায়।
একটা কথা আমরা সবাই জানি , মানুষের মনোজগতে একধরনের গোপন
আড়াল সব সময়ই থেকে যায়। মানুষ মূলতঃই একা এবং অভিন্ন। বেদনার বর্ষায় লিখিত কোনো
কবিতার চিত্রলকল্প তাই হয়তো প্রতিটি মনকে এককভাবেই দোলা দেয়। ঢেউ জাগিয়ে নিয়ে যায়
অন্যস্রোতে। স্মরণ করতে পারি জীবনানন্দ দাশকে আবারো বিনয়ের সাথে।
এখানে নক্ষত্রে ভরে রয়েছে আকাশ
সারাদিন সূর্য আর প্রান্তরের ঘাস ;
ডালপালা ফাঁক করে উঁচু উঁচু গাছে
নীলিমা কি চায় যেন আমাদের পৃথিবীর কাছে।

চারদিকে আলোড়িত রোদের ভিতরে
অনেক জলের শব্দে দিন
হূদয়ের গ্লানি ক্ষয় কালিমা মুছিয়ে
শুশ্রুষার মতো অন্তহীন।
( এখানে নক্ষত্রে ভরে / জীবনানন্দ দাশ)
এই যে অমর শুশ্রুষা, তা ই মানুষকে আলো দেয় যোগাত্মক নিয়মে। এর কোনো বিকল্প
নাই। আর নাই বলেই একজন বাউল কবি কিংবা একজন নাগরিক কবি দুজনেই এসে মিলিত
হয়ে যান একই সড়কে। যে সড়ক ধারণ করে চলেছে অগণিত পদচিহ¡। অগণিত নোখের আঁচড়।
তাই সমকালের একজন কবিও খুঁজেন সেই অদৃশ্যতাকে। তার কণ্ঠ হয়ে উঠে সবকালের কোনো
সমর্পিত কবিকণ্ঠ।
যে বুঝে বেদনার কথা
তারে ডাকি স্বজনের নামে
তার নামে ডাক পাঠাই দু’চোখের খামে
যে পাবার সে পেয়েছে
কথার মাহাত্ম্য গোপন রেখেছে সেইজন
নিঃশব্দে, আমার মুখে সে পড়ে
ভিতর ভাঙে ধীরে ইচ্ছে আলোড়ন।
( অদৃশ্য / মাশুক ইবনে আনিস )
এই ধীরে বয়ে যাওয়া প্রশ্বাসই কবিকে দিয়ে লিখিয়ে নেয় কালের কবিতা।
তিন
একজন কবি বলতেই পারেন, আমার নিজস্ব কোনো ঘর নেই। এই পৃথিবীটাই আমার
ঘর। আমার নিজস্ব কোনো ভাষা নেই, মানবসত্তার নিঃশ্বাসই আমার ভাষা।
কার্তিকের মাঠে দাঁড়িয়ে আছেন কবি। আর ক’দিন পরেই অগ্রহায়ন। আমার কেন
জানি মনে হয় ‘গ্রহন’ শব্দটির সাথে আগ্রহায়ন মাসের একটা মিল কোথাও আছে।
ফসল তোলার দিনকে সামনে রেখে মানুষ তার ভবিষ্যতের স্বপ্ন নির্মাণ করে যায় নিরন্তর।
প্রেমিকাকে জানিয়ে দেয় , সামনে শুভদিন। আদিকাল থেকে এই যে শুভদিনের প্রত্যাশা,
তা ই একেকটা কবিতা।
দারচিনি দিনে- - - দিঘীমুখি হয়েছে মেঘ
সুষম প্রমোদে
এই প্রবণ - পাখি জানে
কী র- আছে পরাণে।
এখন সন্ধ্যার ডাকে - - - চাঁদ ফেরে
তোমার ধারণা গাঁয়
বেহাত বৈভবে একদিন তুমি
জেনে যাবে লী• অনুরাগ
বিতং বিজনে থেকে যাই আজ।
( থেকে যাই আজ / ফজলুররহমান বাবুল )
বিশ্বের কোথায় কি কবিতা লিখা হচ্ছে তা জানা , খোঁজা এবং বুঝা কেও একজন প্রকৃত কবির
দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। কারণ ,কবিতার সমকালকে না জানলে বিবর্তন সম্পর্কে ধারণা
পাওয়া কঠিন।
শেলী বলেছেন , কবিরা হচ্ছেন বিশ্বের অস্বীকৃত সংবিধান নির্মাতা। যারা কালে কালে মানব
সভ্যতার কাঠামো নির্মাণ করে যান।
মার্কিন কবি জ্যাক গিলবার্ট বলেন ,আমাকে পড়তে হয়। সমসাময়িক কবিতা না পড়লে নিজেকে
লাইনচ্যুত ট্রেন মনে হয়।
আগামীর কবিতা কেমন হবে তা কেউ বলতে পারবে না। তবে কবি তার কল্পসুতো টেনে রেখে
যাবেন সুন্দর ভবিতব্যের জন্য।
যে কথা বাতাসে কোকিল হয়ে ওড়ে কেবল তারই
আঁচড়ের স্বর শুনি; পাতার মধ্যে শুয়ে পড়ে
আকাশমুখী পাখিগুলিকে বানাই কানের দুল।
দগ্ধতায় , বনমানুষের পাড়ায় দূর নদীতে লঞ্চ চলার শব্দে
জমে ওঠে বাতি পোড়া অরিন্দমি নিরবতা । নিঝুম জোনাকির
আলোকগন্ধে নাকফুলে বাজাই বিজলীর তবলা;
দূর চলে আসে ক্রমশঃ গলির মোড়ের চায়ের স্টলে
মাথায় পিয়ানো বাজানো সবুজ বালিশ পেতে।
( সোনার হ্যারিকেন ও শিস বাজানো মাছ - সিরিজ / ফেরদৌস মাহমুদ )
কবিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার দায়িত্ব কারো একার নয়। সবার । সকলের। যারা লিখবে,
যারা পড়বে। অনুপ্রাসের যে ধ্যানগরিমা, তার অমিত তেজ কেউ নেবে কি নেবে না,সে স্বাধীনতা
সবার হাতে পৌঁছে দিয়েই কবিতা এগিয়ে যেতে ভালোবাসে।
সমুদ্র নিকটে আসে বহু বহুবার মানুষ আসে না ।
আকাশ অনেক বাসে বহু বহুবার মানুষ বাসে না।
( বিনয় মজুমদার প্রসঙ্গে একটা কবিতা / অশোক দাশগুপ্ত )
কবিতার এই নক্ষত্র রাজ্যে কবির বুনন যে সিঁড়ি তৈরি করে যায় , তা মহাকালে সমর্পিত হবে
এই বিশ্বাস ই আরেকটা কবিতার জন্ম দেয়।
চার
একটি কবিতা কতোটা কবিতা হয়ে উঠলো সে বিষয়ে কবির কতোটা খেয়াল রাখা দরকার , তা
নিয়েও ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু সর্বোপরি কবি যদি যা ইচ্ছে তা,লিখে কবিতা বলে চালিয়ে দিতে
চান তাও বর্জন করার অধিকার রাখে মহাকাল।
মানুষের সবকথা শেষ হয়ে গেল এইখানে এসে
সারদিন সারারাত ভোরের রৌদ্র-বাদল শেষে-
অনেক মৃতের হাড় গড়িয়ে পড়েছে ক্রমশঃ নিঝুম
প্রান্তরের দিকে- আর তোমার চোখের মণিতে ঘুম
আর মৃত্যু নিয়ে , ভালোবাসা নিয়ে তারা রাতজাগা জলের কুসুম
নিয়ে-মানুষ কেন এসেছিল একদিন যদি আর না-ই পাবে ওম ?
তুমিও বা এসেছিলে কেন? মগ্ন-জোৎসনার রাতে
কেন তুমি এসেছিলে ফড়ি- সকাল নিয়ে হাতে?
বলে না সে -‘না’ -বলা মুখের পরে এসব উত্তর
নির্জনে লিখে রেখে গেছে সেই শতাব্দীর স্বর ।
(মধু বৃক্ষ প্রতারণা বিষ - চৌদ্দ / আলফ্রেড খোকন )
লিখে যাবার জন্যই হয়তো এসেছিল সবাই । কিন্তু পারেনি। পারছে না। অনেকে একজন কবিকে
দশকের বৃত্তে বন্দি করতে চান না। কবিতার ইতিহাস বলে , যে কোনো কবির কবিতায় তার
সমকালের ছাপ পড়বেই। দশক বরং মেধার সাথে বয়সের সমন্নয় ঘটিয়ে কবির নিজস্ব পরিমন্ডল
গড়ে তুলে।তার পরিচয়ের বিকাশ ঘটায়।ইউরোপ-আমেরিকার নামী প্রকাশনীগুলো তাই দশকওয়ারি কবিতার সংকলন প্রকাশ করে সে সময়ের দলিল প্রণয়ন করতে আগ্রহ দেখায়। সহস্র যোজন পথের উৎসমুখ তৈরি করে রাখে। সবচেয়ে বড়কথা হচ্ছে নিজের পদছাপ রেখে যাবার কৃতিত্ব। যা কেবল একজন ধ্যানী কবিই পারেন।
ক’জন নবীতম কবির জবানীতে এমন কিছু চিত্রকল্প দেখা যাক।
প্রতি সন্ধ্যায় পুরোনো গাঙুর নদীটি উৎসবের সুরে
ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে দু’তীর বেহুলার মতো মূক হয়ে যায়
আমার লখিন্দর ভাইটি তবু জেগে উঠে না বিস্মরণের ভোরে
( রোদ র- ঘোড়া চরিত/ সুমন সুপান্থ )
অই যে পূর্বাকাশে লাল পাগড়ি ওড়াচ্ছেন প্রতি প্রত্যুষে
উনি অহম
অই যে লজিং মাস্টার সন্ধ্যার ফ্রক দেখছেন খুঁটে খুঁটে
উনি ঈর্ষা
( শিরোনামহীন-১২ / মাজুল হাসান )
পর্যাপ্ত প্রবাসে উড়ে যাও পাখি
আমি রাখি প্রহরায় - ফেলে যাওয়া পালকের স্তুপ
গতকাল থেকে এল নিশ্চুপ গান , ফের মুখোমুখি
( পাখিকাতরতা / ইফতেখার ইনান )
এ শহরে কারো কারো রাত সঙ্গম মুখর
আর কেউ কেউ বেদনার সুতো বোনে-
রাত এলে পরে
নিজের কবর নিজেই খুঁড়তে শুরু করে
( রাত নেমে এলে / আসমা বীথি )
কবিতা জীবনের উদ্ধার এনে দেয়।কবিতা মহাসাগরের তীরে বসে একজন মানুষকে আত্মমগ্ন
হতে শেখায়। আমার সবসময়ই মনে হয় একটি দীর্ঘ কবিতার কক্ষপথে পরিভ্রমন করছে
আপামর সৃষ্টিকুল। # #
--------------------------------------------------------
দৈনিক ডেসটিনি /ঢাকা/ ২৩ মে ২০০৮ শুক্রবার প্রকাশিত


মন্তব্য

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

ভাল লাগলো এবং প্রত্যাশা বাড়লো।


মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

সময় নিয়ে আরো ভালো করে পড়তে হবে। অফিসে বসে পড়ার মতো লেখা এইটা না। অনেক সিরিয়াস।

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

আবারো পড়ে মতামত দিলে বাধিত হবো। ধন্যবাদ

শাহীন হাসান এর ছবি

আমার সবসময়ই মনে হয় একটি দীর্ঘ কবিতার কক্ষপথে পরিভ্রমন করছে
আপামর সৃষ্টিকুল। # #
মনোযোগ দিয়ে পড়বার, বুঝবার বিষয় ...।

ধন্যবাদ, ফকির ইলিয়াস ।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

কবিতা নিয়ে আমার ভাবনার খন্ডচিত্র। পড়ার জন্য ধন্যবাদ

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

ভালো লিখেছেন।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

থ্যাংকস এ লট ।

রণদীপম বসু এর ছবি

চমৎকার লেখা ! অত্যন্ত ভালো লাগলো।
পছন্দের পোস্টে রেখে দিলাম।
ধন্যবাদ ইলিয়াস আপনাকে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।