আজ ২৬ জুন ২০০৮ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ১৪ তম মৃত্যুদিবস।
যে মায়ের চেতনা বুকে নিয়ে চলেছি আমরা,তাঁর প্রতি অসীম
শ্রদ্ধার্ঘ ।
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম
তাঁর কাছে আমাদের অশেষ ঋণ
সুপা সাদিয়া
--------------------------------------------------------
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জাহানারা ইমামের বড় ছেলে রুমী ১৯ বছর বয়সে ছাত্রাজীবন ত্যাগ করে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন। কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর রুমী পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এবং এরপর তাকে আর কেউ দেখেননি। এরই মধ্যে পাকিস্তানি বাহিনী জাহানারা ইমামের স্বামী ও ছোট ছেলে জামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ধরে নিয়ে যায় এবং অত্যাচার করে। স্বামী পুরকৌশলী শরিফুল আলম ইমাম বাড়ি ফিরে এলেন, কিন্তু বিজয়ের মাত্র ৩ দিন আগে তিনি মারা যান। বিজয় লাভের পর রুমীর বন্ধুরা রুমীর জননী জাহানারা ইমামকে সব মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে বরণ করেন নেন। তখন থেকে তিনি শহীদ জননী। যুদ্ধ
চলাকালীন উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটিয়েছেন তিনি। সেই দিনগুলোর কথা তিনি চিরকুটে, ছিন্ন পাতায় গোপনে সংকেতে লিখে রাখেন। ডায়েরির এ লেখা নিয়ে ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাহানারা ইমামের জীবন চলে ভিন্নভাবে। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও চেতনা প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন সর্বদা সক্রিয়। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত শহীদ জননী জাহানারা ইমাম বুঝতে পারেন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের একত্র করতে না পারলে বিরোধী দুটচক্রকে প্রতিরোধ করা যাবে না। ১৯৯২ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়করূপে তিনি দেশে পরিচিতি লাভ করেন। এ সময় তিনি অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব বরেণ্য বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও তরুণ সমাজসহ মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরিদের আহ্বানে এগিয়ে আসেন। তাদের সমর্থনে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ১৯৭১-এর স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারের পক্ষে গণআদালত গড়ে তোলেন। গণআদালত ছিল স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের অপকর্মের বিরুদ্ধে একটি প্রতীকী প্রতিবাদ মঞ্চ। কিন্তু তৎকালীন সরকার জাহানারা ইমামসহ গণআদালতের সঙ্গে যুক্ত ২৪ জন বরেণ্য বুদ্ধিজীবীর বিরুদ্ধে রাষ্টদ্রোহিতার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করে এবং জাহানারা ইমাম এ অভিযোগ মাথায় নিয়েই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কিন্তু তাঁর আগেই শারীরিক চরম অসুস্থ’তা নিয়েও তিনি আমাদের জাগিয়ে দিয়ে গেলেন নতুনভাবে। তাঁর কাছে তাঁর জন্য আমরা হয়ে আছি চিরঋণী। এমন মহীয়সীকে শহীদ জননী না বলে উপায় কী?
জাহানারা ইমাম মুর্শিদাবাদের এক প্রগতিশীল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ৩ মে, ১৯২৯। তাঁর বাবা সৈয়দ আবদুল আলী ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন। বাবার বদলির চাকরির সুবাদে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তরে ঘুরেছেন জাহানারা ইমাম। শৈশবকাল থেকেই জাহানারা ইমাম ছিলেন অন্যরকম, সবার চেয়ে আলাদা। বাবা এটা বুঝতে পেরে মেয়েকে সর্বোচ্চ শিক্ষাদানের কথা চিন্তা করলেন। মা হামিদা আলী সারাজীবন সংসার নিয়ে কাটিয়েছেন, কিন্তু তাঁরও ইচ্ছা ছিল মেয়ে শিক্ষিত হোক, বড় হোক এবং সমাজের জন্য অবদান রাখুক। এ সময় মুসলিম মেয়েদের উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে সৃষ্টি হয় নানামুখী প্রতিকূলতা। কিন্তু মা-বাবার দৃঢ় পরিকল্কপ্পনায় জাহানারা ইমাম উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ওঠেন। ১৯৪৫ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে স্নাতক ডিগ্রি লাভের জন্য ১৯৪৭ সালে কলকাতার লেডি ব্রাবোর্ন কলেজে ভর্তি হন। দেশ বিভাগের পর তিনি বাংলাদেশের ময়মনসিংহে চলে এসে বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন।
১৯৪৮ সালে শরিফুল আলম ইমাম আহমেদের সঙ্গে বিয়ে হলে জাহানারা ইমাম সিদ্ধেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ে (ঢাকায়) প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। জাহানারা ইমাম প্রথম মহিলা বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘খাওয়াতিন’-এর স¤ক্সাদক ছিলেন। ১৯৫২ সালে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। সেই বছরই বড় ছেলে রুমীর জন্ম। ১৯৫৪ সালে ছোট ছেলে জামীর জন্ম হলে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। এ সময় তিনি উচ্চতর ডিগ্রির জন্য পড়াশোনাও শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে ব্যাচেলর ডিগ্রি অব এডুকেশন লাভ করেন এবং ১৯৬৫ সালে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এর মধ্যে ১৯৬৪ সালে ইউনাইটেড ষ্টেটের শিক্ষাবৃত্তি লাভ করে সার্টিফিকেটে এডুকেশন কোর্স শেষ করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি প্রভাষক হিসেবে টিচার্স ট্র্রেনিং কলেজে কাজ শুরু করেন। ১৯৭৭ সালে ইউনাইটেড স্টেটের সরকার কর্তৃক আমন্ত্রণে আন্তর্জাতিক এক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৮১ সালে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়তে থাকেন। তবুও শহীদ জননী জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ এবং চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নিমর্হৃল কমিটির কার্যত্রক্রম নিয়ে সমান উৎসাহে এগিয়ে চলতে থাকেন। সঙ্গে চলে লেখালেখিও। তিনি এবং তাঁর সুযোগ্য সাথীরা আবারো প্রমাণ করে দেন, বাঙালি বড় তেজস্বী। মুক্তিযুদ্ধ তাঁর চিন্তাচেতনায় কী গভীরভাবে শিকড় গেড়েছিল এর প্রমাণ তো আমরা পেয়েছি। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হলো : অন্য জীবন (১৯৮৫), বীরশ্রেষ্ঠ (১৯৮৫), জীবন মৃত্যু (১৯৮৮), চিরায়ত সাহিত্য (১৯৮৯), বুকের ভিতরে আগুন (১৯৯০), নাটকের অবসান (১৯৯০), দুই মেরু (১৯৯০), নিঃসঙ্গ পাইন (১৯৯০), নয় এ মধুর খেলা (১৯৯০), ক্যান্সারের সঙ্গে বসবাস (১৯৯১), প্রবাসের দিনলিপি (১৯৯২)। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ লেখক সমিতি, ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমী সাহিত্য, ১৯৯৮ সালে রোকেয়া পদকসহ বিভিল্পু পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম আমেরিকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে ঢাকায় সমাহিত করা হয়। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম নানাভাবে আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন এবং থাকবেনও অনন্তকাল।
-----------------------------------
দৈনিক সমকাল / ২৬ জুন ২০০৮ বৃহ্স্পতিবার
মন্তব্য
জাফর ইকবাল স্যারের একটা লেখায় জেনেছিলাম উনার মৃতুয়্যতে সরকারী ভাবে শোকবার্তা জানানো হয়েছিল। তিনিই বোধহয় একমাত্র রাষ্ট্রদ্রোহী যার প্রয়াণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছিলেন।
এমন একজন মানুষের সংগ্রাম কাছ থেকে দেখতে পারিনি বলে আফসোস হয়। আসলে আমাদের প্রজন্ম বোধহয় অনেক কিছুই miss করেছি, আর এরকম সংগ্রামের উত্তরাধিকার বহনের সামর্থ্যও আমাদের নেই।
রাফি
শহীদ জননীর প্রতি শ্রদ্ধা।
ধন্যবাদ ফকির ইলিয়াস।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
১৯৯০ সাল। পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া হাফপ্যান্ট পরিহিত এক বালক ময়মনসিংহের মিন্টু কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে বাদাম খেতে খেতে সাদা শাড়ি পরিহিত এক নারীর বক্তৃতা শুনছিলো। কিছুই বোঝেনি, ফলে বক্তৃতাটা তার মনে দাগ কাটে নি। কিন্তু সে কি ভেবেছিলো- এই নারীই তার মননের এক প্রিয়জন হয়ে উঠবেন একদিন?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শহীদ জননীর প্রতি শ্রদ্ধা !
শহীদ জননীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই!
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আমিও শ্রদ্ধা জানাই শহীদ জননীকে।
--------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
জননীর প্রয়াণে শ্রদ্ধা।
আহা কত ঘটনা মনে পড়ে যায় উনার কথা স্মরণে এলে। সেদিন (কি করে সনটা ভুলে গেলাম?) এই জননীর দ্রোহের মন্ত্র বুকে নিয়ে চট্টগ্রামে লালদীঘির পাড়ের জামাত তথা গোলাম আযমের নাগরিক সম্বর্ধনা ঠেকাতে আমরা কিছু আহাম্মক (প্রায় সকলেই তখন মেট্রিক ও ইন্টারের ছাত্র) ঝাপিয়ে পড়েছিলাম লালদিঘীর উপর তিন দিক থেকে। শুধুমাত্র সেদিন যদি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ তাদের হঠকারী সিদ্ধান্ত না নিত তবে গো আর জীবন্ত পুত্তিলিকা আমরা লালদীঘির আকাশে জ্বালিয়ে দিতে পারতাম; হাজার হাজার জ্বামাতির সামনেই! কিন্তু হলো উল্টোটা; আমার এক বন্ধু লাশ হলো , কয়েকজন গুলি খেলো! তাও আবার সামনে থেকে নয় পেছন দিক থেকে! হায়রে রাজনীতি; তোর কাছে মহত্বের চেয়ে উদ্দেশ্যই হলো প্রধান!
'একাত্তরের দিনগুলি' এক উজ্জল আলোকবর্তিকা।যুগ যুগ ধরে যা পথ দেখাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে।
তোমাকে মনে পরে মা।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
আমি হাত রাখতে পেরেছিলাম তাঁর পায়ে।
তিনি হাত বুলিয়েছিলেন আমার মাথায়।
মা,
আমরা এগিয়ে যাবোই আপনার স্বপ্নের দিকে।
মা বেঁচে আছেন । মরেন নাই । কোনদিন মরে যাবেনও না । আমরাই তার রুমি আমরাই তার জামি ।
আমরা শোকে আচ্ছন্ন জননী। আজ এম আর আখতার মুকুল সাহেবেরও মৃত্যূবার্ষিকী । শুধুই শোক।
রেজা সাদেকীন
১৪ বছর হয়ে গেলো কেম্নে কেম্নে... মিরপুরে দাফন করার সময় আমি ছিলাম সেখানে। তার আগে তার ঘাদানিকে সার্বক্ষনিক ছিলাম। সামান্য কর্মী... কিন্তু চেতনা সামান্য ছিলো না।
তবে এই লেখায় কিছু ভুল চোখে পড়লো।
এটা বোধ হয় ঠিক না... মুক্তিযুদ্ধকালীন রুমি শেষভাগেও বাড়িতে এসেছিলেন। ৭১এর ডায়েরীতেও সেকথা উল্লেখ আছে।
প্রজন্ম ৭১এর আহ্বানে কি? প্রজন্ম একাত্তুর সংগঠন ছিলো... শমী কায়সার বোধহয় তখন এর সাধারন সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু এর আহ্বানে গণআদালত হয়নি। হয়েছিলো ৭১এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বানে। এই তথ্যগুলো ঠিক হওয়া জরুরী।
এটা ঠিক না... মোটেও তাঁর সেটা ইচ্ছা ছিলো না। তিনি শেষকালে কথা বলতে পারতেন না... কিন্তু একটা চিরকুট রেখে গিয়েছিলেন। অনুরোধ জানিয়েছিলেন যে দেশে যুদ্ধাপরাধীরা বীরদর্পে ঘুরে বেড়ায় সেই দেশে যেন তার কবর না হয়... কিন্তু পাবলিক সেন্টিমেন্ট বিবেচনায় তার সেই শেষ অনুরোধ রাখা হয়নি। তাকে যুদ্ধাপরাধীদের বীরদর্পে ঘুরে বেড়ানো ঢাকাতেই সমাহিত করা হয়। এই চিরকুটের কথা গোপন রেখে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খুবই জরুরী মন্তব্য নজরুলের।
এই তথ্য-বিভ্রান্িতগুলো সংশোধন করা জরুরী।
ফকির ইলিয়াস, লেখাটা সম্পাদনা করুন প্লিজ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ধন্যবাদ রিটন ভাই... ইতিহাস বিকৃতি আমাদের এমন খাইছে... এখন আসলে ভয় হয়... ৭১ এর ইতিহাস রাখতারি নাই নাহয়... চেষ্টা চালাই... কিন্তু ৯০এর পরের ইতিহাসও পাল্টাইবো? কাভি নেহি... সব চোখের সামনে দেখা...
পাল্টাইতে দিমু না...
_____________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
৭১-এর ইতিহাস ধরে রাখতে পারিনি কে বললো নজরুল?
একদল ক্ষমতালিÌসু জ্ঞানপাপী ইতিহাসের বিকৃতি ঘটাচ্ছে ঠিকই।
কিন্তু ইতিহাস কখনোই মিথ্যেকে ধারণ করেনা। বিকৃত ইতিহাসের ধ্বংসস্তুপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতোই বেরিয়ে আসে সত্যিটা। ইতিহাস আমাদের এই শিক্ষাই দেয়।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
সুজন লুৎফর রহমান রিটন ও নজরুল ইসলাম,
আপনারা নিশ্চয় খেয়াল করেছেন , লেখাটা আমার না।
তা সুপা সাদিয়া নামের এক লেখিকার। সমকাল - থেকে
সংকলিত।
তার পরও আমি কাঁচি চালিয়ে দিলাম। ধন্যবাদ ।
মানলাম না...
আমি ইতিহাসে বিশ্বাস করি না... কারন ইতিহাস মাত্রই বিজয়ীর ইতিহাস...
এবং গোষ্ঠীর ইতিহাস... মানবের ইতিহাস সেখানে থাকে না।
তারচেয়ে বড় কষ্ট আমার... আমরা বিজয়ী হয়েও আমাদের ইতিহাস রচনা করতে পারি নাই... পৃথিবীতে বোধহয় আমরাই একমাত্র বিজয়ী যে আমরা পরাজিতের মতো যাপন করি জীবন...
আর কিছু বলার নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রিটন ভাইয়ের জবাবে উপরোক্ত মন্তব্য...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দীর্ঘশ্বাস!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এবং নজরুলের মন্তব্য@
এটাই বোধ করি জাতি হিসেবে আমাদের দুঃসহ ট্রেজেডি। এবং কৌতুকও !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
শ্রদ্ধা
অপরিসীম শ্রদ্ধা।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আম্মার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী ।
কি মাঝি? ডরাইলা?
আমি ইদানিং লগ ইন করে মন্তব্য করতে পারছি না
নজরুলের জন্য
সে আমার মনের কথা কোট করে ফেলে
*****************************************
A life unexamined is not worthliving.-Socrates
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নতুন মন্তব্য করুন