মাঘের রাত। কনকনে শীত পড়েছে। সারারাত বাউল গান শোনে
সদলবলে বাড়ী ফিরছি। গান গাইলেন - শাহ আবদুল করিম ও
বাউল আলী হোসেন সরকার। বিষয় - ছিল দেহতত্ত্ব।
সেটা ১৯৭৬ সালের কথা । বাউল আলী হোসেন সরকার তাঁর
বেহালা হাতে নিয়ে সূর তুলেছেন - বন্ধুর বাড়ি আমার বাড়ি রে
মধ্যে বাদি নদী/ পাখি হইলে উইড়া যাইতাম রে বৈরি কালননদি রে -----
সারা শীতের মাঠে মূর্ছনা ছড়িয়ে পড়ছে তার গানে।
আজ ৮ জুলাই ২০০৮ মংগলবার। এনটিভিতে ''মন আমার সন্ধান করি'' অনুষ্টান টি দেখলাম। বাউল গানের অনুষ্টান।
শেফালি সরকার সেই গানটি গাইলেন।
বন্ধুর বাড়ি আমার বাড়ি রে-----
জোরে সাউন্ড দিয়ে গানটি শোনলাম ।
এখনো বাউল গানের টানে আমি মাঠমুখি হতে চাই।
শোনতে চাই সেই সব গান ।
মন্তব্য
আহ্ ! বাউল গান!!
-----------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আহা !
বাংলার গানের বিরাট বিচিত্র ভাণ্ডার আমরা খুঁড়েও দেখলাম না।
এত মিউজিক্যাল দেশ আর ক'টা আছে? যেখানে প্রতি ২০-৩০ মাইল পর পর গানের নতুন ধরন মেলে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
প্রিয় ফারুক ওয়াসিফ ,
আপনাকে ই বলি। আমি নিজেও কিন্তু একজন বাউল কবি।
আমার লেখা বাউল গানের সংখ্যা প্রায় ১২০০।
প্রকাশিত বই তিনটি - বাউলের আর্তনাদ( ১৯৮৫),
হৃদে গাঁথা মালা(১৯৮৯) , অনন্ত আত্মার গান (২০০২)।
কিন্তু বাউল গীতিকবি কেউ আমাকে চিনতে চায় না।
এই অবহেলা সব বাউল কবিদের বেলায় ই প্রযোজ্য।যা আমাকে
খুব পীড়া দেয় ।
আহা! ছোটোবেলায় কতো দেখিছি কবির লড়াই, বাউল গান।
সেদিনগুলি কোথায়?
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
এগুলো আমাদের ব্যর্থতা ।
ফকির ইলিয়াস - আপনাকে হিংসে হচ্ছে! আপনার তো অন্তঃত চারণ করবার মতো সুখস্মৃতি আছে, আর আমার তো সারাজীবন ইচ্ছে পোষণ করেও কখনও মুখোমুখি বাউল গান শোনা হলো না
আপনার হিংসে দীর্ঘজীবি হোক !!!!
ওইসময় আমার জন্মও হয়নি, তবু হিংসে হল বেশ
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কিছু স্মৃতি আনন্দদায়ক তো বটেই !
একটা সময় ছিলো বিশেষ করে শীতকালে রাত জেগে মানুষ বাউলগান শুনতো। কেউ কেউ অনেক দূরে তার প্রিয় শিল্পীরগান শুনতে ছুটে যেতো। আমাদের গ্রাম এলাকায় লোকজন এ ধরনের গানকে সংক্ষেপে বলতো 'দোতরা বাড়ি।' যদিও বাউলের (স্থানীয় ভাষায় বয়াতী) হাতে দোতারা কিংবা একতারা নেই। বেঞ্জো অথবা বেহালা। তবুও সেই আসরের নাম দোতরা বাড়ি। দু'দলে পাল্টা হতো। মারফতী-মুর্শিদী বা বিচ্ছেদ। চলতো রাতভর।
হায়! এখন মানুষ আধুনিক হয়ে গেছে। এমন আসর বলতে গেলে আর হয় না। বাউলদের কদর আগের মত নেই। যে কারণে তাদের সমিতি করতে হয়। জীবিকার জন্য অন্য কোনো পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
এবং তা ছিল আমাদের মৌলিক সংস্কৃতির একটি গর্বিত অংশ।
আমার বাড়ি যেহেতু গাবতলী মাজার রোডে... সেহেতু মাঝে মাঝেই বিষু্দবার রাতে মাজারে হানা দিতাম... সারা রাতের গান শোনা... আহা... আর বছরে একবার হইতো বিরাট ওরস... সেখানে দেশের তাবৎ বয়াতীরা আসতো... তিনদিনের বিরাট মাহফিল... রাত জেগে কবির লড়াই...
মমতাজরে আমি সেইখানেই পয়লা শুনি... তার বহু বছর পরে শুনি সে বিরাট স্টার...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এর ব্যাপ্তি আরো বাড়ুক সেটা ই হোক আমাদের চাওয়া।
নতুন মন্তব্য করুন