কবি বললেন ,'' আচ্ছা তুমিই বলো ইলিয়াস , সবাই আমাকে কোর্মা পোলাও খাওয়াতে চায়। আমেরিকায় কি আমি ওসব খাবার জন্য এলাম ?
আমাকে পান করাবে না না কিসিমের মদ। তা কেউ করে না।
এখানে এসে হালাল মাংস খোঁজা আর খোলা হাওরে গরু খোঁজা
তো একই হলো। ''
আমি হেসে উঠি। ২০০২ সালে নিউইয়র্কে বইমেলা উদ্বোধন করতে এসেছিলেন কবি হুমায়ুন আজাদ।
তুমুল আড্ডা দিই ক'দিন তাঁর সাথে। কবি বলেন , হাঁ আমরা
বেঁচে আছি অন্যদের সময়ে। এরা মৌলবাদী সর্প । আমাদের
মুক্তি নেই যদি এদের বিষদাঁত ভাঙা না যায়।
তাঁর কথাগুলো এখনো আমার কানে বাজে। বুকে লাগে।
আজ ১২ আগষ্ট ২০০৮। কবির মহাপ্রয়াণ দিবস। চার বছর পেরিয়ে গেলো দেখতে দেখতে। এখনো তাঁর প্রকৃত খুনীদের
বিচার হলো না।
কি এক নরকসভ্যতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ !!!!!!
মন্তব্য
সম্মানিত সচলায়তন কর্তৃপক্ষ,
দয়া করে কবির ছবি টা ব্যানারে নেবার বিনীত অনুরোধ
করছি।
কবি, কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
যোগ্য কোন উত্তরসূরী রেখে যাননি, এই ভয়।
কবিকে শ্রদ্ধা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হুমায়ূন আজাদের সব পরিচয় ছাপিয়ে আমার কাছে ভাষাতাত্বিক পরিচয়টিকেই সবচেয়ে উজ্জ্বল মনে হয়।
উনার জন্য শ্রদ্ধা..
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
শ্রদ্ধা
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হুমায়ূন আজাদকে শ্রদ্ধা
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
বিচার প্রত্যাশা কার কাছে? যারা খুন করেছে তাদের কাছে?
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
(নামের আগে প্রয়াত ব্যবহার করছি না কারন তার প্রয়ান আমি মানি না )হুমায়ুন আজাদ এর বক্তব্য -কথন-আলোচনা থেকে তাকে আত্ম অহংকারি ভাবার অবকাশ আছে কিন্তু তা' যে ব্যক্তি আজাদের সবচেয়ে ভুল মুল্যায়ন
তার সাক্ষী এই অধম ।
আমি তার ছাত্র ছিলাম না
আমি সাহিত্যের লোকও নই
বস্তত বরেন্য -বিখ্যাতদের সাথে আলাপ করতে যেসব সুত্র লাগে তার কোনটা আমার ছিল না
এখনও নেই
তথাপি আজাদ স্যারের সাথে
ঢাবি লাইব্রেরীর সামনে -হাকিম চত্বরে বা কলাভবনে আড্ডা দিতে আমাকে বেগ পেতে হয়নি
তার হাঁটাচলা কথাবার্তার মধ্যে এমন এক আন্তরিকতা যেন তার সাথে কত দিনের পরিচয় ।
আমি বইমেলায় আগামি প্রকাশনির স্টলে যাই না কারন সেখানে তিনি এখন আর বসেন না
কেন আসবেন ঐ মেলায় যেখান থেকে ফেরার পথে
তাকে চাপাতি দিয়ে কুপানো হয় ?
হাকিম চত্বরেও তাকে এখন দেখিনা
কিন্তু তার সাথে আলাপ করার নানা পথ তিনি রেখে গেছেন
তা দিয়েই আমার পথচলা ।
২। আমি হুমায়ুন আজাদ স্যারের অন্ধভক্ত নই
নিন্দা ব্যবসায়ীও নই
এই যে একি সাথে গ্রহন -বাতিল করার বুদ্ধত্ব
তা আমি লাভ করেছি
আহমদ শরীফ --আ ছফা -হু আজাদ -প্রমুখের কাছ থেকেই
৩। দুভাগ্যজনক হলেও সত্যি
এই তিনজনকেই আমরা ভুল বুঝেছি
ভুল ভাবে হাজির করেছি বা করছি ।
নুরুজ্জামান মানিক
************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
হুমায়ুন আজাদ সম্পর্কে আমার একই বক্তব্য এই মহান ভাষাতাত্ত্বিক এক সাহিত্যিক'কে আমরা ভুলভাবে উপস্থাপন করে যাচ্ছি----ভুল বোঝাচ্ছি-------এতদিন তবু ছিল অলেখকদের দিয়ে, এখন থেকে শুরু হল জনপ্রিয় লেখক নামধারী লেখকদের দিয়ে-----।
আমার সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় কখনও ছিলনা। তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার সাথে আমার দেখা হয়েছে। সামান্যই কথা হয়েছে। হয়তো কথার মাধুর্য আমার লাভ করা সম্ভব হয়নি বলেই মনে মনে ভেবেছিলাম, এত সাধারণ এক লোক এত অসাধারণ লেখে কি করে?
গভীর বেদনাবোধ করছি এমন একজন সাহিত্যিক কে হারাবার।
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
তিনি তাঁর শ্রেণীর অন্য প্রগতিবাদীদের থেকে দূরত্ব রেখেছেন, তিনি তাঁর শত্রুদের আঘাতের পর আঘাত করেছেন, তিনি জনতাকে অবিশ্বাস করেছেন। সকল স্থিতির প্রতি বৈরি আত্মম্ভর হুমায়ুন আজাদ একাই একটা স্তম্ভ ছিলেন। সেই স্তম্ভ ঈশ্বরও মানেনি, ইতিহাসও মানেনি। হোক তা বিরাট মাঠের মধ্যে একাকী উচ্চ শির, তবুও তা প্রণম্য।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আমার মনে আছে ...।হুমায়ুন আজাদের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর আমি একটা তাৎক্ষণিক লেখা লিখেছিলাম ঃ
লেখাটা তখন বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশিত হয়েছিল...আজকে আবার খুলে নিজেই পড়লাম ... অনেকদিন পর...
যে ছবিটা ব্যানারে দেওয়া হয়েছে ...সেটা তিনিই একসময় আমাকে পাঠিয়েছিলেন ইমেইলে... তার মৃত্যুর পর মুক্তমনায় ওটা আমি ছাপি...তারপর থেকে এ ছবিটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। ... আজ সবই কেবল স্মৃতি!
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
আমি হুমায়ুন আজাদের মতাবলম্বী নই। তবে তাঁর ওপর হামলার পরপরই যাদের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের জোয়ার বয়েছিল, আমি তাদের একজন ছিলাম। এ জন্য কয়েকবার ডিবির জেরার মধ্যে পড়তে হয়েছে। একদিন একটা ছবি দেখিয়ে বলে, এটা তো আপনি, না? আমি বললাম হ্যাঁ। ছবিটা ছিল কার্জন হলের সামনে মিছিলের মধ্যে কারো সঙ্গে কথা বলা অবস্থার।
এর পরেই ডিবি ব্যাটা বলে, তাহলে হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলার জায়গাটায় আপনি ছিলেন? শুনে তো আমার রক্ত হিম। যাহোক, ওরা আর এগয় নি। কী ছিল তাদের মনে কে জানে?
তাঁর মৃত্যুর পরপরই আমরা ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের উত্থানের হুঁশিয়ারি দিয়ে একটা বুলেটিন প্রকাশ করেছিলাম। সেখানে ঘটনাটার সঙ্গে কেবল ধর্মীয়ওয়ালারাই নয়, আরো বড় কোনো শক্তি যে জড়িত থাকতে পারে, তেমন ইঙ্গিত দিয়েছিলাম।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আমি তখন ছিলাম খুলনায়
সেই রাতে কাদতে দেখে
আমার স্ত্রী ঘাবরে গেল "কোন নিকটজনের দুঃসংবাদ নয় তো "
আমি বললাম -"কিছু ক্রিমিনাল আজ লেখক হুমায়ুন আজাদ কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে "
আমি তখন একটি বড় বহুজাতিক কোম্পানীর কর্মকর্তা হিসেবে কাজের প্রেসারে ছিলাম , ভালকরে পত্রিকাও পড়া হত না আর ভুলেই গিয়েছিলাম যে এক সময় এই আমিও লেখাজোখা করতাম
এমতাবস্থায় নিরব ক্রন্দন ছাড়া আর কি বা করার ছিল এই অধমের ।
নুরুজ্জামান মানিক
************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
শ্রদ্ধাঞ্জলি কবি হুমায়ূন আজাদের তরে..
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
যিনি ছিলেন আমার অতি প্রিয় ব্যক্তিত্ব, গদ্যকার, কবি, সেই আপাদমস্তক আধুনিক, সংস্কারমুক্ত লোকটিকে তাঁর মহাপ্রয়াণ দিবসে বিশেষভাবে স্মরণ করছি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
শ্রদ্ধা জানাই ......
শ্রদ্ধা জানাই সাহসী একজন মানুষের কথা মনে করে...
দৃশা
ইললয়াস ভাইয়ের লেখাটি পড়ে হুমায়ুন আজাদকে নিয়ে লেখা প্রিয় কবি আবু হাসান শাহরিয়ারের বিখ্যাত লাইনটি মনে পড়ে গেল : 'রাঢ়িখাল হেঁটে যায় প্রগতির মরদেহ কাঁধে'। মনে পড়ল আজাদের শেষ ৫ দিনের স্মৃতিচারণামূলক বই সুলতানা আজীমের 'তিনি এখন মুক্ত'র কথাও। বইটি যারা এখনও পড়েননি, পড়তে বলি। হুমায়ুন আজাদ নেই; আবু হাসান শাহরিয়ার আছেন। তিনিও বেঁচে আছেন অন্যদের সময়ে। পড়তে বলি তাঁর বইও। 'যাইত্যাছি যাইত্যাছি কই যাইত্যাছি জানি না' বইয়ে আজাদের ওপর একটি প্রাণবন্ত লেখা আছে শাহরিয়ারের। বইটির ঐতিহাসিক মূল্য আছে।
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
নতুন মন্তব্য করুন