শৃঙ্গারপত্র
=======
নাভী ও নাব্যতা পেয়ে ছুঁয়ে যায় চন্দ্রের মুখ।
খালি কলস হাতে পাঁজর সর্বস্ব একজন কিষাণী
মাড়ায় ঘাটের পৈঠা। কলস ভেসে যায়। তুলতে
গিয়ে সেও নামে জলে। আজ মাঘী পূর্ণিমা রাত।
জোয়ারের কথা নয়। তবু ফুলে ওঠে জলের কিনার।
ভাসায় শুকনো যমুনা। আহা ! জীবনের জৈব সেতার!
বেজে চলে ঝাউবনে শৃঙ্গারের শত জলদানা।
মন্তব্য
আপনার কবিতায় এসে কখনো বলা হয় নি, অথচ শুরু থেকেই এইসব কবিতায় মুগ্ধ, দিন দিন বেড়েছে মুগ্ধতা।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সুন্দর! সুন্দরম!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ভাল লাগলো, কিন্তু কবিতাটা বর্ণনা থেকে একধাপ ওপরে উত্তরণ করলো না যেন, যদিও আপনার কবিতায় সেই transcendence থাকে। এই জন্যই ভাল লাগে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
জোয়ারের কথা নয়। তবু ফুলে ওঠে জলের কিনার...
অনেক ভালো লাগলো।
মনে পড়লো গানের দুটো লাইন...
"চমকে ওঠা চোখের কোণে অন্য সুরের খেলা
হঠাৎ যেন ভোরের ফুল ফোটে বিকেল বেলা।"
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ঠিক।
নতুন মন্তব্য করুন