বনেদী বেনিয়ারাই জয়ী হবে! স্বাধীনতার সৎকার শেষে নদীদের
উথলা বুক ও যাবে শুকিয়ে। এই চরে বন্দুক উঁচিয়ে কিছু নর্তক
শাসকেরা উল্লাসে , বেছে নেবে আদিম বেশ্যাবৃত্তি ! তারা বিকোবে
নিজেদেরকে আর প্রজন্মের স্বপ্নগুলোর উপর বীর্যস্খলন ঘটিয়ে শুধু
দৌড়তে থাকবে এক ভূমি থেকে অন্য ভূমিতে।
প্রভাকরণ , প্রিয় স্বাধীনতাকামী কমরেড আমার , আজ ১৮ মে ২০০৯
এর ভোরটি আমার জন্য বয়ে এনেছে গভীর শোকবার্তা।
আমি ঝেড়ে মুছে আবার তাকিয়েছি চে এর ছবিটির দিকে।
আর বলেছি , এমন মৃত্যুই বার বার যেন মানবের আরাধ্য হয়।
আমি জানি , আজ থেকে শত বছর পরে হলেও এই তামিল তৃণে
আবার ফিরে আসবে তুমি। আবার সমবেত মানুষের কাফেলা
নিয়ে ছুটবে এক প্রান্ত থেকে অন্য সীমানায়। গেরিলা গ্রামগুলোতে
একটা মশাল জ্বালাবার প্রত্যয়ে বপন করবে কিছু আগুন।
প্রভাকরণ , বিপ্লব শেষ হয় না। মৃত্যু নেই বিপ্লবীরও। আমি ঘোর
সামন্তবাদী সীমান্তে বসেও শোনে যাই সেই ডাক। না , গোলার
আওয়াজ নয়, শিশুর জন্মচিৎকার। বার বার তোমার আগমনীবার্তা।
তোমাকে শেষ সালাম প্রিয় প্রভাকরণ , শেষ স্যালুট আমার।
মন্তব্য
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ
খুবই ভালো লাগলো।
অশেষ ধন্যবাদ
ভাল্লাগলো। এটা আবৃত্তি করার অনুমতি চাইছি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
প্লিজ , করুন । থ্যাংকস
অনেকদিন পর আপনার কবিতা পড়লাম। একটু অন্যরকম আপনার স্টাইল থেকে। ভাল লাগলো।
বিনীত ধন্যবাদ আপনাকে
মন খারাপ হয়ে গেল।
কেন বারবার বনেদী বেনিয়ারাই বিজয়ী হবে?
কথা সত্য
...........................
Every Picture Tells a Story
প্রভাকরণ অত্যন্ত বিতর্কিত লোক। রাজীব গান্ধী আর রাষ্ট্রপতি প্রেমাদাসা-কে বোমা মেরে টুকরো টুকরো করা হয় তারই আদেশে। অনেক তামিলের কাছে দেবতা, আবার অনেকের কাছে এক কথায় সে খুনী সন্ত্রাসী। ব্যালেন্সড ছবি পাওয়া মুশকিল, তবে এই রিভিউটাতে তার প্লাস-মাইনাস অনেক কিছুই তুলে ধরা হয়েছে।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
পুরোপুরি একমত। প্রভাকরনকে টেনেটুনে ধুসর বলা যেতে পারে, 'ভাল' বলতে (বা 'প্রিয় স্বাধীনতাকামী' শুনতে) একটু কানে লাগছে। তামিলদের উপরই ও কি চালিয়েছে তা নেটে একটু ঘাটলেই পাবেন। তারপর আবার অ্যাম্বুলেন্সে পালানোর চেষ্টা!
তবে সময়োপযোগী পোস্টের জন্য ধন্যবাদ!
যে কোন যুদ্ধ, সেটা দখলদারীত্ব হোক আর স্বাধীনতারই হোক-যুদ্ধ মানেই সশস্ত্র এবং নৃশংস।
দীর্ঘবছর ধরে যুদ্ধরত একটা গেরিলা দলের প্রধানের মধ্যে 'ভাল' খুঁজাটা একটু বেশী বেশী না?
রাজীব গান্ধীকে হত্যা ছিলো এলটিটিই'র কৌশলগত ভুল। প্রভাকরন নিজে ও স্বীকার করে একে বলেছেন- 'অমোচনীয় দূর্ঘটনা' ।
নিজের জনগোষ্ঠীর স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ একটা সশস্ত্র যুদ্ধ পরিচালনাকারী নেতাকে চট করে দোষারোপ করার আগে প্রেক্ষাপটটা একটু ও দেখবেন না?
ভাগ্য ভালো, নয়মাসে স্বাধীন হয়েছি। নয়বছর ধরে যদি যুদ্ধ চলতো মুক্তিবাহিনী কতো নৃশংস তার স্বাক্ষ্য প্রমান দিতে আন্তর্জাতিক বাঙ্গালীর অভাব পড়তোনা।
যে কোন মুক্তিসংগ্রামের সপক্ষে আছি।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
প্রভাকরণ এ্যম্বুলেন্সে পালান নি। আলোচনার নামে আহ্বান করে নির্বিচারে গুলো করে
হত্যা করা হয়েছে । যা খুবই কাপুরুষোচিত ঘটনা ।
তা হলে চে - কে ও বিতকিত বলবেন ?
এসব রিভিউ পড়েছি অনেক।
তা হলে চে কেও বিতর্কিত বলবেন ?
জ্বী বলবো। টি-শার্ট আর কলেজ ছাত্রের দেয়ালে পোস্টার গোছের রোমান্টিকতা পেরিয়ে এসেছি অনেক আগে। বরং বেশী পছন্দ করি নির্মোহ এনালাইসিস। চে কোন প্রকার দেবতা ছিলেন না, যদিও অনেকে তার বেদীতে পূজা দিয়ে সুখ পান। তাতে ভাবনা-চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় হয়তো। তবে চে কাল্টের সদস্য সবাই না। ভালো মন্দ মিলিয়েই সব মানুষ। চে কেন তার ঊর্দ্ধে হবেন, সেটা আমার বোধগম্য না।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
তথাকথিত বিহারিরা যদি তামিলদের মত এদেশে বিহারি এলেম এর জন্য যুদ্ধ করতো - তাহলে তাদের প্রভাকরণের জন্য কি আপনি একইভাবে কবিতা লিখতেন?
বাংলাদেশের বিহারী আর শ্রীলংকার তামিলদের মধ্যে কিসের মিল একটু বুঝিয়ে বলবেন?
বিহারীরা এই দেশের নয়। '৪৭ এ দেশ বিভাগের ফলে বিহারের যে মুসলমানরা মাইগ্রেট হয়েছিলো পাকিস্তানে তাদের একটা বড় অংশ গিয়েছিলো করাচীতে আর কিছুকে এনে ফেলা হয়েছিল তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে।
তামিলরা কি নিকট অতীতে অন্য কোথাও থেকে জাফনা উপদ্বীপে গিয়ে স্বাধীনতার দাবী তুলেছে?
আপনি বরং উদাহরন হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের স্বাধিকার আন্দোলনকে টানতে পারতেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
তামিলরাও শ্রীলংকার আদি অধিবাসী না। এদেরকে ব্রিটিশরা এনেছিল Plantation এর জন্য। তবে কিছু তামিল আছে যারা এরও আগে থেকেই শ্রীলংকায় থাকতো (জাফনা আর তামিলনাডুর দুরত্ব মাত্র ৩১ কিলোমিটার)। শুরু থেকেই ভারতীয় তামিলরা, এমনকি ভারত সরকারও একসময় LTTE কে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করেছে।
খেয়াল করুন, আমি নিকট অতীত বলেছি।
তামিলরা সম্ভবতঃ আঠারো শতকের দিকে শ্রীলংকায় অভিবাসী হয়েছিল। বৃটিশরা চা-বাগানের শ্রমিক হিসেবে এদের নিয়ে গিয়েছিলো। দুশবছর অধিক সময়কে বোধ হয় নিকট অতীত বলা যায়না।
------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ঠিক কথা নয়, তামিলেরা শ্রীলঙ্কায় প্রায় হাজার বছরের বেশী ধরে আছে। এবং তাদের সাথে সিঙ্ঘলিদের বিবাদের ইতিহাসও হাজার বছরের পুরোনো। তামিলদের রাজধানী জাফনা শহর কেন্দ্র করে রাজত্ব ১২১৫ থেকে ১৬১৯ সাল পর্যন্ত ছিল। ১৬১৯ সালে পর্তুগীজেরা জাফনা দখল করে। পরে ১৮১৫ সালে ব্রিটিশরা দ্বীপ দখল করলে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য উভয়কে একসাথে করে ফেলা হয়। কিন্তু তামিলেরা সেখানে রয়ে যান।
শ্রমিক হিসাবে ধরে আনা তামিলদের ঊনবিংশ শতকে। স্বাধীনতার পরে সংবিধানে সিংঘলীরা নাগরিকত্ব আইনে শ্রীলঙ্কায় জন্ম - এমন সবাইকে নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকার করে, যাদের পিতা ও পিতামহও শ্রীলংকার নাগরিক ছিলেন তারাই শুধু নাগরিকত্বের পেতে পারতেন। এর ফলে অর্ধেক তামিল নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হন। উল্টোদিকে ভারত ১৯৫০ সালে ভৌগোলিক সীমায় অবস্থিত সবাইকে নাগরিকত্ব দেয়। এর ফলে শ্রীলঙ্কার প্রায় অর্ধেক তামিল নাগরিকত্ব-বিহীন জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়। এখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। (সূত্র - Nationality and international law in Asian perspective By Swan Sik Ko)
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
তামিল আর বিহারী এক নয় , তা আপনি ও জানেন ।
আপনার লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। নতুন এসেছি, তবু পুরানো আর্কাইভ ঘেঁটে ঘেঁটে বেশ কিছু লেখা পড়েছি। আজকের লেখাটাও কবিতা হিসেবে ভালো লেগেছে, কিন্তু বিষয়বস্তুটা পছন্দ করতে পারলাম না।
অনেক আগে একটা কথা পড়েছিলাম, Sometimes when we hate something too much, we become what we hate. প্রভাকরণ সম্ভবত সঠিক Cause নিয়েই তার যুদ্ধ আরম্ভ করেছিলো, কিন্তু এরপর ঘটনা যেভাবে এগিয়েছে তাতে প্রভাকরণের স্বাধীনতা যুদ্ধের চেয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপই অনেক বেশী হয়ে গেছে। যেই শোষণের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধ ছিলো, নিজেই সেই শোষকে পরিনত হয়েছে সে।
জানি বিপ্লবে রক্তপাত হবেই, কিন্তু তার শিকার যখন নিরপরাধ হয় তখন বিপ্লবীকে সমর্থন দিতে বাধে। খারাপ কাজ খারাপই, তার উদ্দেশ্য যতই মহৎ হোক না কেন।
আশা করি আপনাকে আহত করিনি নিজের চিন্তাটা বলতে গিয়ে। আপনার লেখার বেশ ভক্ত আমি, তাই মন্তব্য করার সাহসটা নিলাম।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
''স্বাধীনতা মানেই অস্ত্র অস্ত্র খেলা
রক্তের প্রতি বারুদের অবহেলা ।''
আমার লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কবিতাটা অসাধারণ !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কবিতাটা চমৎকার হয়েছে।
প্রভাকরণদের মৃত্যু নেই । এলটিটিই ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে না। সে ঘোষনা আমরা
ইতিমধ্যেই প্রত্যক্ষ করেছি।
এলটিটিই এর সব কাজ ভালো ছিল তা আমি ও বলি না।
তবে প্রভাকরণ ছিলেন তামিল মুক্তিকামী মানুষের টাইগার।
তার আদর্শ বেঁচে থাকবেই। থাকতেই হবে।
মুক্তির বিপ্লব সবসময়ই দীর্ঘজীবি। চুড়ান্ত বিজয় না আসা পর্যন্ত তা চলে, চলবেই।
জয়তু প্রভাকরণ !
নতুন মন্তব্য করুন