পাকিস্তানী অনেক বুদ্ধিজীবি এর আগেও এই গণহত্যা , যুদ্ধাপরাধের বিচার চেয়েছেন। এখনও অনেকে চাইছেন। পাকিস্তানী দুটি কাগজের সম্পাদক এই
দাবী জোরালো ভাবে পুনর্ব্যক্ত করেছেন সম্প্রতি।
বার্তা সংস্থা এনা - কে দেয়া এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেছেন , এই
অপরাধীদের শাস্তি অবশ্যই হওয়া দরকার।
এনা - র ' রিপোর্ট টি দেখুন ----
পাকিস্তানের দুটি পত্রিকার সম্পাদকও একাত্তরের সত্যিকার অর্থে যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, যারা নির্বিচারে হত্যা-অগ্নি সংযোগ-ধর্ষণে লিপ্ত ছিল তাদের বিচারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তারা উল্লেখ করেছেন যে, বিচার হতে হবে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং প্রকাশ্যে। হত্যা-অগ্নি সংযোগ এবং নারীর সম্ভ্র্রমহানীর মত বর্বরোচিত আচরণকে সভ্য সমাজ কখনোই সাপোর্ট দেয় না।
নিউইয়র্কে কম্যুনিটি মিডিয়া কর্তৃক সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, সেরা ফটোগ্রাফী, সেরা সম্পাদকীয়, সেরা গ্রাফিক্স এওয়ার্ড বিতরণের অনুষ্ঠানে উর্দূ টাইমস পত্রিকার সম্পাদক খলিলুর রহমান এবং সাদা-ই পাকিস্তান এর সম্পাদক মহসিন জহীর বার্তা সংস্খা এনাকে গতকাল উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
খলিলুর রহমান বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় একাত্তরের প্রেক্ষাপট এবং কি কি কারণে পূর্ব পাকিস্তানের অধিবাসীরা স্বাধীনতার প্রয়োজন বোধ করেন, সত্তরের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও শেখ মুজিবুর রহমানকে কেন সরকার গঠনে সহায়তা প্রদানে জুলফিকার আলী ভুএেবং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া গররাজী ছিলেন ইত্যাদি ঘটনাবলীকে আদালতের অন্তর্ভুক্ত করা না হলে প্রকৃত কালপ্রিটরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে। বিলম্বে হলেও বাংলাদেশের সরকার একাত্তরের নরঘাতকদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছেন জেনে আমি খুশী হয়েছি। পাকিস্তানের অধিকাংশ মানুষই পূর্ব পাকিস্তানীদের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণকে ঘৃণা করেন এবং বর্বরোচিত আচরণে দায়ীদের শাস্তি কামনা করছেন।
শাদ-ই পাকিস্তান পত্রিকার সম্পাদক মহসিন জহীর এনাকে বলেন, তদানিন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের একটি গ্রুপ নিজেদের কর্তৃত্ব অটুট রাখতে বদ্ধ পরিকর ছিলেন সব সময়। এজন্যেই সত্তরের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সত্বেও শেখ মুজিবকে সরকার গঠনে সহায়তা দেয়া হয়নি। এজন্যে জুলফিকার আলী ভুট্টো এককভাবে দায়ী সেটি বললে সত্যকে আড়াল করা হবে। নেপথ্যে নিশ্চয়ই কোন অশুভ শক্তি কাজ করেছে-যারা পাকিস্তানকে টুকরো টুকরো করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। নেপথ্যের সেই মহলকে চিহ্নিত করা না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের আতঘাতি ষড়যন্ত্র থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিস্তার পাবে না। আমাদের ভাবতে হবে, পাকিস্তানের ঐক্য বিনষ্টের ফলে লাভবান হয়েছে কারা? জনাব জহীর বলেন, একাত্তরের ঘাতকেজরা বিচারে সোপর্দ হচ্ছে জেনে আমার ভালো লাগছে। তবে বিচারটি যেন ন্যায় সঙ্গত হয় এবং সত্যিকারের অপরাধীরা যাতে শাস্তি পায় সে ব্যাপারে সংশ্নিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে। মোট কথা আন্তর্জাতিক রীতি অনুসরণ করতে না পারলে সে বিচার নিয়ে পরবর্তিতে নতুন বিতর্ক শুরু হতে পারে।
ছবিতে - খলিলুর রহমান ও মহসিন জহির
মন্তব্য
কোনো নতুনত্ব নাই, একই আবাইল্যা পাকিস্তানী বুলি। পদে পদে নানা শর্তসূচক কোয়ালিফায়ারে ভরা বিবৃতি। পাকিস্তানী ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য কোনো এক রহস্যজনক মহলের দিকে আঙুল তোলা। খানকির পোলারা এইটা বলে না যে তারা বছরের পর বছর ধরে পূর্ব পাকিস্তানের লোকজনকে শোষণ করে গেছে।
এই দুই সাংবাদিকই দুই মারানির ছাও। মানুষের বাচ্চা হলে পাকিস্তানে পাকিস্তানী অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখির জন্য কথা বলে দেখাক। এখন আসছে বিবৃতি চোদাইতে। তিনফুট বিবৃতি তোদের পিছন দিয়ে ঢুকাই।
আর একটা কথা। বিচার যদি পাকিস্তানের কাছে গ্রহণযোগ্য না হয়, কী বালটা আসে যায়? ওদের কাছে গ্রহণযোগ্যতার মায়রে ওদের কাছে গ্রহণযোগ্যতার বাপের কান্ধে ফালাইয়া চুদি।
ফকির ভাই,
আস্তে আস্তে আরো কতো শর্ত আমরা দেখবো!
বিচার হতে হবে বাংলায়।
-মজনু
এক ফোটাও খুশি হইতে পারলাম না ইলিয়াস ভাই, উল্টা মেজাজ খারাপ হইলো। যা বলার হিমুই বলে দিছে...
পাকিস্তানীদের কোনো দোষ নাই, দোষ হইলো সেই রহস্যময় ষড়যন্ত্রকারীর, যারা তাদের পেয়ারের পাকিস্তানরে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র করছে। অর্থাৎ ভারতের দোষ। এই হইলো তাগো মনোভাব।
ওদের বিবৃতির উপরে ছ্যাপ দেই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পো্স্টের জন্য ধন্যবাদ
আশম এরশাদ
আমিও যে কথাটা বলতে চাইছিলাম, হিমু আর নজরুল ইসলাম তাঁদের মন্তব্যে সেই সার-সংক্ষেপ বলে দিয়েছেন।
ওই সম্পাদকরা তো পাকিস্তানেরই প্রতিনিধিত্ব করছে, তাই না ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু এটি যেন আবার লাইমলাইটে আসার ঘটনা না হয়।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
হিমু ভাইয়ের কমেন্টে দুইশ হাজারটা প্লাস...
যা বলার হিমু ভাই আর নজরুল ভাই বলে দিয়েছেন।
আবারও বলতে ইচ্ছা করছে তাদের এই বিবৃতিরে (ভন্ডামিরে) চুদি।
- বুদ্ধু
আমার কাছেও ভণ্ডামির মতই মনে হচ্ছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আপত্তি না থাকলে লেখাটি war crimes strategy forum এর মিডিয়া আর্কাইভে যুক্ত করা হল। আপত্তি থাকলে জানাবেন।
এই গল্পটার কথা মনে হলো -
http://www.sachalayatan.com/sobujbagh/9748
ঐসব নষ্ট রক্তের জল্পাই দ্বারা সবসময় লৌড় খাওয়া মেরুদন্ডহীন, নপুংশক, কেঁচো টাইপ পাকি সম্পাদকদের কথায় আমরা যেনো ভুলে না যাই এরা নিজেদের পাছা উদাম রেখেই আরেকজনের কাপড় ঠিক করার প্রচেষ্টায় ব্যাস্ত। কুকুর তো সবসময়ই কুকুর, তা রাস্তায় থাকুক বা বাড়িতে - শত ঘি ঢেলেও লেঞ্জা সোজা হবেনা।
আমার কাছে পাকি শব্দটা হায়েনার প্রতিরূপ। এরা চরম শঠ হয়। এইযে দেখেননা, কি বলছে - এজন্যে জুলফিকার আলী ভুট্টো এককভাবে দায়ী সেটি বললে সত্যকে আড়াল করা হবে। নেপথ্যে নিশ্চয়ই কোন অশুভ শক্তি কাজ করেছে-যারা পাকিস্তানকে টুকরো টুকরো করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। নেপথ্যের সেই মহলকে চিহ্নিত করা না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের আতঘাতি ষড়যন্ত্র থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিস্তার পাবে না। আমাদের ভাবতে হবে, পাকিস্তানের ঐক্য বিনষ্টের ফলে লাভবান হয়েছে কারা? আরে টুদির্ভাই, পাকিস্তানের ঐক্যের গুষ্ঠিরে আমি ুি । তয় কতাডা সত্যি যে শুধু ভুট্টা হালায় একা দায়ীনা, সব পাকি বান্দিরপো গুলা (এই সব তথাকথিত সম্পাদকগুলার মতো আরো অনেক জ্ঞান পাপী সহ) চায় নাই যে তদানিন্তন পুর্ব পাকিস্তানীরা তাদের ন্যায্য অধিকার পাক।
খোয়াড়ের জন্তু গুলার কথা পাত্তা দেয়ার কনো মানেই হয়না।
====================================================
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নামক সিনেমা শুরু হয়েছে...
বৃষ্টিতে ভেজা কিছু নাচ-গান আর কিছু চর্বিওলা নাইকা দরকার...
হিমু ভাইয়ের মন্তব্য ফরিয়া শরম পাইছি....
(জয়িতা)
এ থেকেই বোঝা যায় আমাদের বেকুবরা আজ অবধি বেকুব হয়েই রইলো। নষ্টবীজগুলোকে কী করতে হবে এখনও সিদ্ধান্তই নিতে পারলো না। হায়!
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ওয়াহিদুল হক বহুবছর আগে ....যতদূর মনে পড়ে ১৯৯৫ সালে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠাণে বলেছিলেন, বাঙালী যদি কোনদিন কাকে কাকে ক্ষমা করা যায় সেই তালিকা নিয়ে বসে তাহলে তার একেবারে তলানিতে থাকবে পাকিস্তান।
কাকু চলে গেছেন ২০০৭ এ। কথাগুলি আমার থেকে যাচ্ছে আমার মাথায়।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
মাফ করবেন ওয়াহিদ কাকু। আমার তালিকায় পাকিস্তান নামটি কখনোই থাকবে না।
খানকির পোলারা গোয়া মেরে টিস্যু দান করতে আসছে।
সবাইকে ধন্যবাদ ।
আমার মতে বাংলাদেশ জন্ম নেয়া উচিৎ ছিল ১৯৪৭ সালেই ।
এতোদিন এই বজ্জাতদের সাথে আমাদের সহাবস্থান কাম্য ছিল না ।
দেখুন---
নেপথ্যে নিশ্চয়ই কোন অশুভ শক্তি কাজ করেছে-যারা পাকিস্তানকে টুকরো টুকরো করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। নেপথ্যের সেই মহলকে চিহ্নিত করা না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের আতঘাতি ষড়যন্ত্র থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিস্তার পাবে না। আমাদের ভাবতে হবে, পাকিস্তানের ঐক্য বিনষ্টের ফলে লাভবান হয়েছে কারা?
এই বক্তব্য কি প্রমাণ করে ?
এমন কথা অনেক পাকি'র মুখে এখনও শোনা যায় ।
তাদের এই মানসিকতার পরিবর্তন দরকার । কিন্তু কোনো গাদ্দার জাতির
বোধোদয় সহজে হয় , বলে মনে হয় না।
আমরা একাত্তরের ঘাতক-দালাল- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। শাস্তি চাই ।
এটাই শেষ কথা ।
একটা কথা বলা দরকার মনে হলো। পঞ্চাশ বছর পরের বাঙালি প্রজন্ম হয়ত পছন্দ করবে না ভাবতে যে তাদের বীর পূর্বপুরুষের হত্যাকারীরা বিনা বিচারে অন্যায় করে গেছে। তবে তারা হয়ত এটাও পছন্দ করবে না ভাবতে যে আমাদের প্রজন্ম তাদের বিচারের চেষ্টায় আনাড়িপনা করে গেছে। নির্বোধ আচরণ করেছে।
এই বিচারের পেছনে একটা বার্তা আছে। থাকার কথা। সেই বার্তা ঘৃণার হবার কথা না। হতে পারে না। বিশেষ ঘরানার মানুষ বা বিশেষ জাতির মানুষের প্রতি ঘৃণা থেকে এই বিচারের প্রেরণা যদি আমাদের এসে থাকে, তবে আমাদের আবার ভাবতে হবে। বিচার দরকার। কিন্তু সেই বিচারের প্রকৃত বার্তাটা আমাদের বক্তব্যে, আমাদের ভাষায় থাকা দরকার।
অন্য ভাষাটি, বিশেষত ঘৃণার ভাষাটি একে দুর্বল করে, করবে, পঞ্চাশ বছর পরের প্রজন্মটিকে গর্বিত করবে না।
--------------------------------
~পর্যবেক্ষণ-অসাধ্য তত্ত্ব অর্থহীন~
৫-৬ বছর আগের কথা। এক পাকিস্তানী তরুণকে জিজ্ঞেস করেছিলাম একাত্তর সম্পর্কে তার ধারণা কী? তার সাফ জবাবঃ এটা ভারতের ষড়যন্ত্রের পরিণতি। পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ কিংবা যুদ্ধাবস্থায় পাক বাহিনীর পাশবিকতা সম্পর্কে নূন্যতম কোন ধারণা নাই তার।
তারও আগে ২০০০ সালে সার্কভুক্ত দেশগুলোর কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। উপস্থিত এক বাংলাদেশী সাংবাদিক পাকিস্তানী দলটিকে প্রশ্ন করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে তারা কীভাবে দেখে। যারপরনাই বিব্রত বোধ করে তারা। কারণ এর কোন সদুত্তর জানা নাই তাদের। ইতিহাসের এ অংশটি তাদের পাঠ্যপুস্তকে অনুপস্থিত।
একটা প্রজন্মকে সুপরিকল্পিতভাবে একটি মনগড়া সুবিধাজনক ইতিহাস শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এতেই জাতির বিবেকের পরিচয় পাওয়া যায়।
কী বলব? গালি দিতে মন চায়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নতুন মন্তব্য করুন