ঘাতকরা যখন আলোচনা (!) র আয়োজন করে ------
এই সেই দেশ যেখানে এখনও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা সকল ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসেন জাতীয় প্রয়োজনে। জাতীয় দিবসে। তারা বলেন , জয় বাংলা।
আজ সেই দেশেই একাত্তরের ঘাতক দালাল রাজাকার রা আলোচনার আয়োজন করে। তারা ও কচ্ছপের মতো গলা বাড়িয়ে বলে , এই দেশের বুদ্ধিজীবিরা ছিলেন স্বর্ণসন্তান।
বড় শংকিত হই , যখন একাত্তরের আলবদর কমান্ডার মতিউর রহমান নিজামী কে দেখি বুদ্ধিজীবি হত্যার বিচার চাইতে !
একটা গভীর জাল ফেলে প্রজন্মের সকল প্রত্যাশাকে হত্যা করতে
আবারও উদ্যত সেই হায়েনা চক্র।
আজ ১৪ ডিসেম্বর ২০০৯ এর দৈনিক সংগ্রাম এর সম্পাদকীয় টি
পড়ুন। ---------
http://www.dailysangram.net/news_details.php?news_id=21571
----------------------------------------------------------------------
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতীয় দায়িত্ব
আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের ঠিক প্রাক্কালে, বেছে বেছে বাংলাদেশের কয়েকজন শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, চিকিৎসক, গবেষক, ইতিহাসবিদ, বিজ্ঞানী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিক। এই বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যেককে নিজেদের বাসভবন থেকে রাতের অন্ধকারে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ঘাতকদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করা, যাতে স্বাধীনতা অর্জন করার পর নতুন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে না পারে। যাতে বুদ্ধিবৃত্তির দিক থেকে জাতি পদে পদে বাধাগ্রস্ত হয় এবং পিছিয়ে পড়ে।
বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকান্ডের কিছু বিশেষ বিষয় লক্ষ্য করা দরকার। যে কোনো পর্যালোচনায় স্পষ্ট হয়ে উঠবে, এই হত্যাকান্ড ছিল সুপরিকল্পিত এবং এর পেছনে সক্রিয় ছিল সুসংগঠিত কোনো বাহিনী বা গোষ্ঠী। তারা অনেক আগে থেকে সেই সব বুদ্ধিজীবীর তালিকা তৈরি করেছিল। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেননি, এমনকি চরম অনিশ্চয়তাপূর্ণ ও বিপদজনক ওই দিনগুলোতেও যারা অন্য অনেক বুদ্ধিজীবীর মতো আত্মগোপনে চলে যাননি, তারা বরং পাকিস্তানের অধীনে যার যার চাকরি বজায় রেখেছিলেন। এজন্যই তাদের চিহ্নিত করা ও নিজেদের বাসভবনে পেয়ে যাওয়া সহজ হয়েছিল। এখানেই ঘাতকদের পরিচিতি সম্পর্কিত প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ, যাদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয় তাদের সকলেই তখন ছিল ধাওয়ার মধ্যে। বিপদের মুখে তারা ব্যস্ত ছিল নিজেদের জীবন বাঁচাতে। তাদের পক্ষে এতটা সুচিন্তিতভাবে ও সময় নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা সম্ভব হওয়ার কথা নয়। অন্যদিকে ভারতের সেনাবাহিনী সে সময় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এমনকি পাড়া-মহল্লাতেও ঢুকে পড়েছিল। সেনাবাহিনীর সঙ্গে এসেছিল ‘র'সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ছদ্ম পরিচয়ে এসেছিল কমান্ডোরাও-যারা সাধারণত বিদেশে ভারতের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের গোপন মিশনে অংশ নিয়ে থাকে। বস্তুত তারাই ছিল এ ধরনের হত্যাকান্ড ঘটানোর মতো অবস্থায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, একথা কখনো তদন্ত করে দেখা হয়নি যে, মুক্তিযোদ্ধারা যখন পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত, জনগণ যখন চূড়ান্ত বিজয়ের প্রহর গুনছিল তখন ভারতের গোয়েন্দা ও গোপনে আগত কমান্ডোরা ঠিক কোন্ কাজে নিয়োজিত ছিল। বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার ও প্রগতিশীল সাহিত্যিক শহীদ জহির রায়হানের রহস্যজনক অন্তর্ধানের পরিপ্রেক্ষিতেও এমন অনুমান শক্তিশালী ভিত্তি অর্জন করেছে। কেননা, জহির রায়হান বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, প্রকাশ্যে ভারতবিরোধী হিসেবে পরিচিতি ছিল তার। বিজয়েরও বেশ কিছুদিন পর, ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে জহির রায়হান মিরপুর এলাকায় গিয়েছিলেন তার ভাই ও অন্যতম শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের খোঁজ করতে। ধরে নেয়া যায়, জহির রায়হানকে অবশ্যই কোনো না কোনো মহল থেকে ধারণা দেয়া হয়েছিল যে, শহীদুল্লাহ কায়সার মিরপুরের কোথাও আটক অবস্থায় রয়েছেন এবং তিনি গেলেই তাকে ছাড়িয়ে আনতে পারবেন। কিন্তু পরে প্রমাণিত হয়েছে, জহির রায়হানকে আসলে ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। আর এমন কোনো মহলের পক্ষেই জহির রায়হানের মতো একজন বিখ্যাত ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলা সম্ভব, যাদের যোগাযোগ বহু দূর পর্যন্ত বিস্তৃত এবং যারা সহজেই জহির রায়হানের আস্থা অর্জন করতে পেরেছিল। উল্লেখ্য, মিরপুর তখন ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
আমরা মনে করি, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকান্ডের ব্যাপারে কোনো গোষ্ঠী বা মহলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার এবং কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে বিশেষ করে শহীদ জহির রায়হানের অন্তর্ধানের রহস্য বিবেচনায় রাখা দরকার। সেই সাথে শহীদ লেফটেন্যান্ট সেলিম ও তার সেনা সাথীরা যারা মিরপুরে গিয়েছিলেন ভারতীয় সেনা সদস্যদের কাছ থেকে মিরপুরের দায়িত্ব বুঝে নিতে, তাদের নিখোঁজ বিষয়টি কেন ধামাচাপা দেয়া হলো, এ বিষয়টিও বিবেচনায় আসা দরকার। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, স্বাধীনতার পর প্রাথমিক দিনগুলো থেকেই সুচিন্তিতভাবে মূল প্রশ্নগুলোকে সুকৌশলে পাশ কাটানো হয়েছে। এমন প্রশ্ন বিবেচনাই করা হয়নি যে, বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকান্ডে কোন দেশ এবং কোন মহল বা পক্ষ লাভবান হতে পারে। নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে না পারলে এবং বুদ্ধিবৃত্তি তথা সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও দিক-নির্দেশনার দিক থেকে পদে পদে বাধাগ্রস্ত হলে ও পিছিয়ে পড়লে জাতিকে ঠিক কোন রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হবে-সে প্রশ্নের উত্তর নিয়েও চিন্তা করা হয়নি। অন্যদিকে পরবর্তীকালে প্রমাণিত হয়েছে, বিশেষ একটি দেশ বাংলাদেশকে নিজের ইচ্ছাধীন করতে চেয়েছে এবং নানা কূটিল পন্থায় নিজের ওপর নির্ভরশীল করেও ছেড়েছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করলেই বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব এবং সেটাই এবারের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। সরকারের উচিত সস্তা ভাবাবেগের জোয়ারে গা ভাসানোর, জাতিকে বিভ্রান্ত করার এবং রাজনৈতিক স্বার্থে কোনো মহলের ওপর দোষ চাপানোর পরিবর্তে যুক্তিসঙ্গত অবস্থান নেয়া এবং দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার রহস্য উদঘাটনে সচেষ্ট হওয়া। একথা বুঝতে হবে যে, মূলত রাজনৈতিক সংকীর্ণতার কারণেই দীর্ঘ ৩৮ বছর পরও বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের মতো গুরুতর একটি বিষয়ের তদন্তে সামান্য অগ্রগতি হয়নি। এই লজ্জা ও ব্যর্থতা সমগ্র জাতির। এর মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতিও অসম্মানই দেখানো হচ্ছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের কথা স্মরণ করি। তাদের উদ্দেশে আন্তরিক সম্মান জানাই।
----------------------------------------------------------------------
একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা কী বলতে চাইছে ? তা কারো না বুঝার
কথা নয়। এখনও তারা দোষ চাপাতে চাইছে ভারত কে। বলছে
যারা সেই সময়ে পাকিস্তানের বশ্যতা স্বীকার করে চাকরি চালিয়ে
যাচ্ছিলেন , তাঁদেরকেই নাকি হত্যা করা হয়েছিল !
কী পরিকল্পিতভাবে তারা ঢেকে দিতে চাইছে ইতিহাস।আজ মহান বিজয়ের ৩৮ বছর পরও তারা তৎপর আমাদের মৌলিক ইতিহাসের
বিরুদ্ধে।
এবং কতিপয় নিরপেক্ষ ছাগল -----
আর এই দেশেরই কিছু ভ্রষ্ট প্রজন্ম তালিয়া বাজাচ্ছে তাদের সাথে।
ওরা বলছে আমরা যেনো নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের কাছ থেকে
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানি !
কারা নিরপেক্ষ ? রাজাকার রা ???
যে রাজাকার গোলাম আজম এখনও বলে বেড়ায় , এই দেশে একাত্তরে রাজাকার না থাকলে নাকি পাঁচ কোটি মানুষকেই প্রাণ দিতে হতো !
কিছু নিরপেক্ষ ছাগল এখনও আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করতে চাইছে।
এদের বিষয়ে সতর্ক আর সাবধাণ হওয়াটা সকলেরই নৈতিক
দায়িত্ব।
মন্তব্য
এদের ওপর এখন আমার ঘৃণা নষ্ট করতেও ইচ্ছে করে না। শুধু আমার মধ্যমা উঁচু করে দেখিয়ে গেলাম। আর এখন নিরপেক্ষ বলে কিছুই নেই- বুশ হারামজাদাকে কোট করেই বলি- হয় তুমি আমাদের পক্ষে, নাহুলে তুমি আমাদের বিপক্ষে-
______________________________________
আসলে কি ফেরা যায়?
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দেই ওদের আলোচনার মুখে।
আমারো ইচ্ছা করছে...
*************************************************************************
"আমার কোনো নীল শার্ট নেই, ছিলো না কখনো__নীলিমা দেখেছি শুধু একাই__ নীল শার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি__ অথচ সমুদ্রেই ছিলাম আমি।"
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দেই ওদের আলোচনার মুখে।
আমাদের অনেকগুলো দুর্ভাগ্যের মধ্যে একটি হলো- যে দলের নেতৃত্বকে সামনে রেখে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করলো, সেই দলের পরবর্তী প্রজন্মের নেতৃবৃন্দ ঘাতক-রাজাকারদের বিচারের প্রতি উদাসীনতা (আমি উদাসীনতাই বলবো) প্রদর্শন করেছে। না হলে রাজাকাররা আজকে এতোটা সাহস পেতো না।
এখনও সময় আছে। আশা জাগে, এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এ ব্যাপারে দিনদিন আরও সচেতন হচ্ছে। বুড়োরা অলস বসে থাকলেও তরুণরা ঠিকই রাজাকারদের বিচার করে ছাড়বে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
করবোই।
সংবাদ কি শুনাইলো, হাসি চাইপা রাখতে পারতেছিনা।
স্পার্টাকাস
ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দেই ওদের আলোচনার মুখে।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আজকে জনকণ্ঠে পড়লাম নিজামী এক জনসভায় বলছে 'দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়া সরকার যতো বাড়াবাড়ি করবে, জামাত তার জবাব দেবে রাজপথে'
রাজপথ য্যান ওগো বাবার...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ওরা আছে বি.এন.পি'র ভরসায়
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
হ
ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দেই ওদের আলোচনার মুখে।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দেই ওদের আলোচনার মুখে।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দেই ওদের আলোচনার মুখে।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
হারামজাদারা
নতুন মন্তব্য করুন