প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশের প্রায় ৪৭ লাখ মানুষ। দুর্গত এই মানুষদের পাশে যদি আমরা না দাড়াই তাহলে কে দাড়াবে বলুন ?
২২ লাখ মানুষকে টানা তিন মাস খাবার দিতে হবে। তাদেরকে প্রিয়জন হারানোর বেদনা ভুলে আবার জীবন শুরু করার প্রেরণা যোগাতে হবে, জীবন সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ার সুযোগ করে দিতে হবে। আপনি নিশ্চই পত্রিকায় সর্বস্ব হারানো ক্ষুধার্ত শিশুর নিষ্পাপ মুখটি দেখেছেন, দেখেছেন ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত অসহায় বৃদ্ধার আকুতি, বউ-সন্তান-পরিবার হারা দুর্ভাগা মানুষের মিছিল, শুনেছেন মাটির সাথে মিশে যাওয়া বসতবাটির মাঝে দাড়িয়ে ক্রন্দনরতা নারীর হাহাকার। এই মুহুর্তে বাসস্থান লাগবে ১৪ লাখ লোকের। কোত্থেকে আসবে খাবার? কে দেবে টাকা?
বাংলার মানুষ হতোদ্যম নয়। নুনিয়াছটার কালু মাঝি এই সিডরের সাথেই ৩৬ ঘন্টা লড়ে বঙ্গোপসাগরের ৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ১৬ জন জেলের জীবন বাঁচিয়েছে। বাংলার মানুষ লড়তে জানে। তাই চরদুয়ানির নূরজাহানের হাত ছিটকে দুই শিশু বানের পানিতে ভেসে গেলেও শোক ভুলে আবার সে জীবন সংগ্রামে নামবে যদি আমরা সাহায্যের হাত বাড়াই,আশার চরের জেলেরা আবার জাল নিয়ে গভীর সাগরের লাল পানিতে ইলিশের ঝাঁক ধরতে যাবে যদি আমরা তাদের জালটা কিনে দিতে পারি, পদ্মা গ্রামের কোনো মাকে আর ক্ষুধার্ত মেয়েকে সান্ত্বনা দিতে মিছেমিছি রান্নার অভিনয় করতে হবে না যদি আমরা আগামী কয়েকটা দিন তাদের খাবারটা মুখে তুলে দিতে পারি।
আপনি যখন জীবনের ব্যস্ততায় মুখর, তখন হয়তো ত্রাণের আশায় বসে আছে বিস্তীর্ণ উপকূলের হাজারো অনাহারি মানুষ। আপনার একটু আর্থিক সাহায্য কত মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারে তা কি আপনি জানেন?
*
সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশীদের জন্য একটি সমন্বিত ত্রাণ তহবিল গঠন করা হয়েছে, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের তহবিলে প্রেরণ করা হবে। সকল ধরনের বাংলাদেশী সংগঠন ছাড়াও ওভারসীজ চেপ্টার অব ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর (OCIEBS)য়ের সদস্য, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর (NUS) এবং নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির (NTU) বাংলাদেশী ছাত্র ও শিক্ষকরাও এতে সক্রিয় অংশগ্রহন করছেন। আপনি যদি সিঙ্গাপুর থেকে আপনার সাহায্য পাঠাতে চান, তাহলে এই তহবিলের মাধ্যমে তা করতে পারেন। ছবিতে এই তহবিল সংক্রান্ত আপিলটি সংযুক্ত করা হলো।
মন্তব্য
মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
সংযুক্ত ছবির আকৃতিটা থাম্বনেইল করে দেয়া যায় কি, যাতে নীড়পাতায় এটি ছোটো থাকে কিন্তু ব্লগ থেকে ক্লিক করলে বড় দেখায়?
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
এখন ঠিক আছে। অনেক ধন্যবাদ।
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
দরকারী উদ্যোগ ।
কারিগরদের কেউ এ পোষ্টকে সাহায্য পাঠানোর কলামে যুক্ত করে দেবেন আশা করি ।
-----------------------------------------
ভালো নেই,ভালো থাকার কিছু নেই
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন