মাঝে মাঝে পোস্ট দিতে একটু বিরতি দিলেই ইদানিং এই প্রশ্নটা শুনি- ব্যাপারটা কি, ব্লগে পোস্ট দিচ্ছেন /দিচ্ছো /দিচ্ছিস না যে?
শিরশিরে ঠান্ডা অনুভূতি নিয়ে মনের ভাবগুলো গুনি, আমার লেখার জন্যও আবার কেউ অপেক্ষা করে নাকি!
তাহলে আমারও পাঠক আছে, পঞ্চাশখানি!
কিছু লিখলেই যদি তাকে লেখক বলেন, তাহলে ব্লগ ইজ দ্য বেস্ট। সুবিধে যেটা হয়েছে তা হলো, আমার মতন অধমও এখন কোনো না কোনো বাহানায় কিছু একটা লিখেই 'মুই কি হনুরে' টাইপ লেখক বনে যাই।
যদি মুগ্ধতাও এসে ভর করে তাতে লুকানোর কিছু নাই । এই মুগ্ধতায় আমি আকাশ ছুঁয়ে দেখি যখন দেখি কোনো পোস্ট পড়েছে পঞ্চাশ+ পাঠক!
এত জন আমার আবজাব লেখা পড়ে! রাস্তায় যদি মাইক নিয়েও বের হই তাহলেও তো এতজন লোক আমার কথা শুনবে না।
তখন কোনো কিছু না লিখে উপায় আছে আর? আফটার অল,
লেখক তৈরি করে কে?
পাঠকই তো!
তবে কথা আছে। ব্লগে ছাই-ধুলো-মণি-রত্ন যাই লিখুন না কেন, দীর্ঘমেয়াদে ব্লগের জনক হওয়া কষ্টকর বৈকি। ভার্চুয়াল জগত হলেও এখানেও কিন্তু ভাসমান পরিচয়ে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। প্রতিটা পোষ্ট ব্লগারকে তুলে ধরে, প্রতিটা ব্লগ এখন একেকটা জীবন।
ব্লগ সে যেই লিখুক না কেন তার একটা কারেক্টার থাকে। কোনোটা খরস্রোতা নদী, কোনোটা বন্য হরিণ, কোনোটা হেমন্তের রাত। পাঠকের মানসপটে ব্লগারের কারেক্টার তৈরি হয়ে যায়, ব্লগারের অজান্তেই।
পাঠক হিসেবে আমার এই হাইপোথিসিস নিজেই উপলব্ধি করি মাঝে মাঝে। নিজের ব্লগে ঢুকে আমি কি আমার আরেকটা ব্যক্তিজীবনের প্রতিচ্ছবিই দেখিনা? এক মলাটবদ্ধ আত্মজীবনী ছাড়া ব্লগের বাইরে লেখকের এই ছায়া আর কোথায় পাওয়া যায়!
লেখাতো বটেই, ব্লগ লেখকেরও একটা ছায়া তৈরি করে।
পুনশ্চ: আবজাব এই পোস্ট পড়ার জন্য আবারো লেখকের পক্ষ থেকে পাঠকের প্রতি প্রজাপতির ডানার ন্যায় কোমলরঙিন একরাশ মুগ্ধতা।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন