হোটেলে ঢুকি শেয়ালের মত, তবু দুয়েক জোড়া চোখ
তাকায়।
যারা উল্টোমুখী
তাদের চোখ প্লেটে
মুরগীর গিলা কলিজায়, পরোটার পোড়া অংশে
ঘুরপাক খায়।
আমি একটা ফাঁকা টেবিল পেয়ে কোণার চেয়ারটাতে গিয়ে বসি
তারপর
ক্যাশবাক্সে চেতনাটা ঢুকিয়ে দিয়ে বসে থাকি
বেশ খানিকক্ষণ।
তারোপর হাফপ্যান্ট খালি গা পানিপোলা চারটে শ্যাওলা রঙা কাঁচের গ্লাস রেখে যায়
পানি ভর্তি জীবন।
আমি কাঁচের বুদবুদ পানিতে ভেবে মুঠো খুলে খুলে সময়গুলো তার গায়ে লেপ্টে দিলে
অস্থির হয় হোটেলের চুনখসা দেয়াল,
আমার গাঢ় চোখ আরো লাল হয়, টেবিলের কোণা বেয়ে চুপ করে একফোটা জল
খসে পড়ে আমার পায়ের বুড়ো নখে,
আর তাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী
তার প্রতিটা ঢেউ আমি বসে
গুনি।
আরোপরে
লুংগি পড়া হাফ হাতা শার্ট গায়ে মামু এসে
টেবিলের অন্য কোণায়
হড়হড় করে নাম উগরে দেয়
ভাত, রুটি, পরোটা, চিকেন বিরানি,
খাশি, গরু, মুরগি,ইলশা, কই, পাঙ্গাশ, সরপুটি, কাতল।
মত্স চোখে তাকে দেখি, লুংগি পড়া হাফ হাতা শার্ট গায়ে
হোটেল মামার 'কি খাইবেন' তাগাদায়
আমি ধান্দায় পড়ে যাই।
ক্রমাগত হয়ে যাই নীল, চোখে রেল লাইন দেখি-
আমি কি জেগে আছি, না স্বপ্নে
তাকে দেখি
সবশেষে বলি, না থাক, আরেক দিন।
খুচরো কিছু মনের ঘাম দাতের কাঠি হয়ে পাশের বাটিতে পড়ে থাকে।
মন্তব্য
অসাধারন।
বাগাক্রান্ত আমি এই ব্লগে একদিনও রেটিং দিতে পারলামনা! সেইটা নিয়া প্রায়ই দুঃখবোধ হয়। আজও হল। ক্ষমতা থাকলে ৫ টা তারাই দিতাম।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আপনি যেটুকু বললেন, সেটাই পরম পাওয়া। তারায় কি আসে যায়!
-----------------------
এই বেশ ভাল আছি
চমতকার! একটা লাইন মাথায় ঢুকে গেলো-
(এই কথাটা বলার জন্য একদিন অপেক্ষা করতে হলো। গতকাল পড়ে মন্তব্য দিতে গিয়ে ইন্টারনেট কানেকশান চলে গেলো। ব্যাপার না, এদেশে থেকে এরকম জ্যামে পড়ে আমরা অভ্যস্ত, কি বলেন?)
--তিথি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
ধন্যবাদ নিঘাত তিথি, আপনার ভাল লাগার জন্য এবং অবশ্যই একদিন পরে আবার কষ্ট করে মন্তব্য করার জন্য।
-----------------------
এই বেশ ভাল আছি
নতুন মন্তব্য করুন