সকাল

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে মুখের ব্যায়াম- আ...ঊ...ঈ...ও...ঊ...। এতে করে কথার জড়তা কাটে, তোতলামি দূর হয়। বেলা ৭টা থেকে ৯:৩০টা পর্যন্ত নির্বাক সাধনা- একদম মুখবন্ধ, টু শব্দ করা চলবে না। এতে ভাবগাম্ভীর্য যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি রান্নাঘর নির্গত ক্রমাগত ডপলার ইফেক্ট যেমন, ঘরে চিনি নেই, কাজের লোক নেই, চুলোয় গ্যাস নেই, রাতে বাচ্চার যন্ত্রণায় তার ঘুম হয় নি, কারো চায়ের কারো নাস্তার কারো ভাতের আবদার মেটানোর জন্য উত্ সর্গকৃত জীবনের একদফা অডিট, ঘরে বাজারের টাকা বাড়ন্ত, ঔষুধ ফুরিয়েছে, বাবুর স্কুলের বেতন, ইত্যাদি অগ্রাহ্য করা যায় বিনাকষ্টেই।

বালিশের তলায় চ্যাটকা মেরে যাওয়া সিগারেট ধরিয়ে কষা হাগা হাগতে হাগতে যোগব্যায়াম- মনোযোগ। মনের জন্যে ব্যায়াম। কেউ কেউ অবিরাম চুপি চুপি, চেহারাটা পাল্টে সাজে বহুরূপি.....এই মিলনায়তন ও মিলনায়তনের বাইরে টিভি সেটের সামনে বসে যারা এই অনুষ্ঠান দেখছেন... ।
কেউ এসে টিনের দরজায় থাপ্পর দেওয়ার আগ পর্যন্ত, কিংবা খেয়ে যেয়ে উদ্ধার কর- এই ঘোষণা জারি হওয়ার মুহুর্ত পর্যন্ত ব্যায়াম চালিয়ে যেতে হবে।

জগতের কোনো কিছুই থেমে থাকে না, সবকিছুই বহমান- এই জেনে তেতোমুখে কেবল চায়ের তলানি পর্যন্ত গিলতে গিলতে বের হয়ে সোজা মানিকের দোকান- 'ওই একটা স্টার ল'।
কোনো চেষ্টা ছাড়াই দিনের সেরা ব্যক্তিত্বের প্রকাশ।

সারা দিনে এই একবারই।