প্রথমত ব্যাটিং, দ্বিতীয়ত ব্যাটিং, তৃতীয়ত ব্যাটিং, এবং শেষপর্যন্ত ব্যাটিং।
শ্রীলংকার কাছে (মূলত মুরালির কাছেই) বাংলাদেশ হারার পর অনেকেই চায়ের কাপে ঝড় তুলেছেন এই বলে যে আশরাফুলের অদূরদর্শি অধিনায়কত্বের ফসল এই পরাজয়। এক ওভারে বিশ রান দেয়া নবীশ বোলার রুবেলের হাতেই আবার বল তুলে দেয়াটা কতটুকু যৌক্তিক তা নিয়ে আমরা উত্তেজিত বাকবিনিময় করেছি একে অন্যের সাথে।
কিন্তু ঐ ম্যাচে বাংলাদেশ কত রান করেছিলো? মোটে একশো বাহান্ন।
আশরাফুল নিশ্চই ইমরান কিংবা মার্ক টেলর নন, সে পরিমাণ ব্যক্তিত্ব যে তার নেই আর ভবিষ্যতে থাকবেও না সেটার প্রমাণ তিনি মাঠেই রাখছেন অহরহ। অতএব, আজকে টসে জিতে ব্যাটিং নেয়া আশরাফুলের যত মাত্রার অপরাধই হোক না কেন, তার দায়ভার কেবল যে তার না, সেটা নিশ্চিত। সে যাই হোক, পীচ যত ফাউলই হোক, একশো চব্বিশ রান কি আদৌ কোনো রান?
সাকিবের একক পারদর্শিতায় যেদিন শ্রীলংকাকে হারালো বাংলাদেশ, সেদিন কত রান করতে হয়েছিল? একশো আটচল্লিশ।
উল্টোদিকে বোলিংয়ের কি অবস্থা? গত তিন ম্যাচে বাংলাদেশের বোলাররা শ্রীলংকাকে ১৪৭ রানে অলআউট করেছে, ১৫২ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে শ্রীলংকার আট উইকেট ফেলেছে, আর ১২৪ রান পুঁজি নিয়ে লড়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত। প্রতি ম্যাচেই বোলাররা অকল্পনীয় ব্রেক থ্রু দিয়েছে ম্যাচের শুরুতেই। রফিক/রাজ্জাককে ছাড়াও যে এইসব সম্ভব তা মাশরাফি-সাকিবরা দেখিয়েছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, জিম্বাবুয়ের কাছে পরপর হারা গত দুই ম্যাচে আর শ্রীলংকার সাথে ট্রাই সিরিজের ফাইনালে যদি ব্যাটিংয়ে আর ২০টা রানও বেশি থাকতো তাহলে বাংলাদেশের শেষ চারটা ওয়ানডে ম্যাচের ফলাফল হত জয়,জয়,জয়, জয়। বাস্তবে যেটা পরাজয়, জয়, পরাজয়, পরাজয়।
গত চার ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং গড় ১৪৮.৫।
২.
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংকে একটা নাম দেয়া যেতে পারে- 'রোকনীয় ব্যাটিং'। বছর ছয়-সাত আগে বোধহয়, আল-শাহরিয়ার রোকন নামীয় একজন অসাধারণ প্রতিভাবান কুলমাত্যুলের ব্যাটিং দেখে প্রথমালোর জনৈক সাংবাদিক লিখেছিলেন, রোকন ব্যাটিং করছে আর দু'য়েকটা চোখ জুড়ানো শট দেখতে পাবোনা , তাই কি হয়! শোয়েবের ১৫০ কিমির বলকে স্ট্রেট ড্রাইভে চার বানানো রোকনকে যিনি দেখেছেন, তার চোখ নিশ্চই জুরিয়ে গেছে পরের বলেই স্লো ডেলিভারিতে তার যারপরনাই হতাশাময় আউট হওয়া দেখে।
বাংলাদেশের পুরো ব্যাটিংই যেন রোকনই রোকনময়।
নতুন আরেক আজব চিজ যোগ হয়েছে এর সাথে। তামিমীয় আউট। বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে কনসিসটেন্ট ব্যাটসম্যান নিশ্চই তামিম। প্রতি ম্যাচেই তিনি ১৫/২০ রান করেন। তাকে বলা হয় দলের সবচেয়ে হার্ড (শক্ত, প্রকৃত অর্থেই) হিটার। অথচ তার স্ট্রাইক রেট ৬৮ (টেস্টের কথা বাদই দিলাম)। তিনি মহান ওপেনার, তাই রয়ে সয়েই খেলতে পারেন। সেটা কোনো মাথাব্যাথার কারণ না। কিন্তু ১৫ রান করার পরই তার যেভাবে টয়লেট চাপে (কিংবা মাথায় ভূত), তাতে শুধু সে নিজেই আউট হন না, মাঝে মাঝে দুয়েকটা রান আউটও করান। বেচারা জুনায়েদ, এমনিতেই বাইনারি নাম্বারের (হয় জিরো নয় এক) খপ্পর থেকে বের হতে পারেন না, তার উপর যদি রানআউট হতে হয়, ক্যামনে কি!
শচীন একবার প্রায় আড়াইশো রানের ইনিংস খেলেছিলেন তার ট্রেডমার্ক কাভার ড্রাইভ খেলা ছাড়াই। তামিম ভাইজান, ওই ঠুকে ঠুকে ১৫/২০ টা রান করার পর প্লিজ হঠাত্ করে খাইয়ালামু মাইরালামু শট খেলিবেন না আর।
পাইলট ভাই বুড়া হয়া গেছেন, ঠিক। কিন্তু তার চুল জোড় করে পাঁকানো হয়েছে কিনা সেটাও এক প্রশ্ন। তার যোগ্য রিপ্লেসম্যান্ট তৈরির ক্ষেত্র হিসেবে জাতীয় দল কতটা সঠিক জায়গা? রহিমকে পাঁকাতে হলে একাডেমি দল ছিল, ছিল 'এ' দল। কিন্তু না, ওকে পাকতে হবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেই। সেই পাঁকাপাঁকি কতটা আন্তর্জাতিক হয়েছে সেটা ক্লিয়ার না। প্রতি ম্যাচেই একাধিক ক্রিটিক্যাল চান্স মিস করার পর রহিম্যার ভ্যাটকানো হাসি আমাদের দেখে যেতে হচ্ছে (এবং হবে)। আর ব্যাটিংয়ে তার পজিশন কি হবে সেটা আগামি দশ বছরেও ঠিক হবে কিনা আমি সন্দিহান।
তামিম আর রহিম- এদের দুজন যদি আরেকটু দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতেন তাহলে প্রতি ম্যাচেই ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো। এরাই পারতেন আর ২০ টা রান যোগ করতে। সেটা হয় নি, ভবিষ্যতে হবার সম্ভাবনাও দেখি না।
একা সাকিব এবং বছরান্তে আশরাফুল- এই হচ্ছে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং।
৩.
বাংলাদেশের ক্রিকেট অবকাঠামোর কী পরিমাণ শোচনীয় অবস্থা যে ম্যাচের পর ম্যাচ একটা অকর্মণ্য, নড়বড়ে ওপেনিং জুটি দিয়ে ব্যাটিং শুরু করতে হচ্ছে! ব্যাকআপ হিসেবে দাড়ানোর মত একটা ওপেনার, একজন ওয়ানডাউন ব্যাট্সম্যানও দলের প্ল্যানের মধ্যে নেই। নিত্য নতুন খেলোয়াড় আমদানি করতে করতে করতে এখন বোধহয় স্টক শেষ হয়ে গেছে, নতুন রিপ্লেসম্যান্ট পাওয়া যাচ্ছে না আর। পুরানো যারা দলের নুন চাখতে পেরেছিলেন, তাদের কারো মধ্যেও তেমন কোনো জোশ দেখা যাচ্ছে না দলে ফেরার। এই হচ্ছে অবস্থা। একটাও ফাইটার নেই দলের ব্যাটিংয়ে।
যদি শ্রীলংকার জায়গায় বাংলাদেশ হতো, চলে যেতো পাঁচ উইকেট পাঁচ রানে, যদি আজকে জিম্বাবুয়ের জায়গায় বাংলাদেশ হতো, তাহলে কি বাংলাদেশ পারতো শ্রীলংকার মত জিম্বাবুয়ের মত দাঁতে দাঁত আটকে পড়ে থাকতে?
পারতো কি জিততে?
মন্তব্য
বাংলাদেশ দলের মূল সমস্যা খেলোয়াড়রা পরিণত হওয়ার আগেই তাদেরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঠেলে দেয়া। এটা করতে গিয়ে ম্যানেজমেন্ট পাইলট, রফিক, বাশার, সুজনদেরকে ডাম্প করেছে। পরিবর্তে যে নতুন খেলোয়াড়রা আসছে, তারা অবশ্যই মেধাবী; কিন্তু চাপ নেয়ার মত যথেষ্ট শক্ত নয় এবং তাদের সামর্থ্যের অ্যাপ্লিকেশনেও বিরাট সমস্যা। আমাদের টেস্ট স্ট্যাটাসপ্রাপ্তির আট বছরের বেশি হয়ে গেলো। সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এতদিনে আমরা একটা স্ট্রং ও স্টেবল দল পেয়ে যেতাম।
অন্যদিকে এই অব্যবস্থাপনার ফলে অপি-বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে আজকের কাপালী, নাফিস, ধীমান, রোকন, রাজিনেরা সবই খরচের খাতায়। বাংলাদেশের রাজনীতি যেভাবে চলে, বিসিবি তারচেয়ে ভালো অবস্থায় চলে না। রাজনীতিবিদরা সোনার ডিমের হাঁসটা খেয়ে ফেলেন, বিসিবি কর্তারাও টেস্ট স্ট্যাটাসের সুফলটা প্রায় খেয়ে এনেছেন। সাকিব-মাশরাফিরা; কিংবা আশরাফুলের ঈদ কতদিন পুরোপুরি মৃত্যু ঠেকাতে পারে সেটাই দেখার বিষয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সহমত। প্রচুর প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলে কাউকে দলে নেয়াকে একপ্রকারে অবৈধই করা দরকার। তবে নিত্যনতুন পরিবর্তনের ভুলের মাশুলটা আমাদের গুনতেই হবে। অন্তত আগামি বছর দুই তিনেক।
জিম্বাবুয়ে একটা উদাহরণ সামনে তুলে ধরেছে। প্রতিভাবান যারা তাদের ছাড়াই তারা একটা দল হিসেবে দাড়িয়ে যাচ্ছে। অভিজ্ঞতার দাম সবসময়ই আছে। প্রতিভা থাকলেই জেতা যায় না। প্রতিটা রানই কষ্ট করে করতে শিখতে হয়, সে শচীনই হোক কিংবা মুরালি কিংবা প্রাইস।
আর জনপ্রিয়তা থাকলেই খেলায় ভালো করা সম্ভব নয়। ফুটবল তার প্রমাণ। সময় থাকতে থাকতেই বিসিবির উচিত অবকাঠামোয় গুণগত পরিবর্তন আনা। লিগকে যথেষ্ঠ শক্তিশালি না করতে পারলে কোনো আশাই নেই। নিজের পার্ফর্মেন্সকে পুশ করতে পারে এক সাকিব ছাড়া এরকম কাউকে দলে খুঁজে পাওয়া যায় না। এটা খুবই খারাপ লক্ষণ। এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর হোমওয়ার্ক। অন্য যে কোনো দলের চাইতে বাংলাদেশ দলের হোমওয়ার্ক বেশি করা উচিত।
আইসিএলের মত গ্যাঞ্জাইম্যা বিষয়ে ভারতীয় বোর্ডকে সাপোর্ট করার বিনিময়ে কেবল আঙ্গুল চুষে আর কাপালি-আফতাবদের বাতিল ঘোষণা না করে বিসিবির উচিত সুবিধা বাগানো। চুক্তি করে খেলোয়াড় রপ্তানির মাধ্যমে তাদের স্কিল বাড়ানোর অপশন তৈরি করা উচিত।
আসলে এটাই কি বাংলাদেশ দলের মুল সমস্যা ? পাইলট, রফিক একটু আগেই গিয়েছেন আমি একমত কিন্তু বাসার এবং সুজনকে এমনিতেই বেশি দীর্ঘায়ীত করা হয়েছিল। প্রকৃত পারফরমেন্স এবং ফিটনেসের বিবেচনায় তারা আরো আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছিলেন। অব্যবস্থাপনার ফলে অপি-বিদ্যুৎ , কাপালী, নাফিস, ধীমান, রোকন, রাজিনেরা ঝরে গেছে এটাও মেনে নিতে পারলাম না। রোকন কেন বাদ পড়লেন তা এ লেখাতেই চমতকার করেই বলেছেন লেখক। কাপালী, ধীমান, আফতাব, নাফিসরা বেশি টাকা উপার্জনের জন্য আইসিএল খেলতে গিয়ে বাদ পড়েছেন। তবে এরা বাদ পড়ায় দল অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।এদের ফিরিয়ে আনার কোনো একটা ফরমুলা বের করতে পারলে মন্দ হতনা। রাজিনের জন্য আমার দু:খ হয়, ওকে আসলেই কম সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্থান ট্যুরের সময় কিন্তু ও ভাল পারফর্ম করেছিল। এমনকি এবার এই ব্যাটসম্যানের দুর্দিনেও দলে থাকা সত্বেও একটা ম্যাচেও তাকে সুযোগ না দেওয়াটা দূভাগ্যজনক ।
আর হাঁ ফারুক হাসানের বিশ্লেষন ভাল লেগেছে। রোকনের কথা ঠিকভাবে মনে রেখেছেন এটা আরো ভাল লেগেছে। আহা বেচারা, এত ট্যালেন্টেড একটা ব্যাটসম্যান নিউজিল্যান্ডে প্রস্তুতি ম্যাচে একটা সেঞ্চুরি ছাড়া আর কিছুই পেল না।
ধানসিঁড়ি
ব্যাখ্যা করেন।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
জট্টিল!
হারবেইচ্যারে, কিরকেট কেলাডা তওবা কইরা ছাড়।
ফাগল সত্তারেই ঠিক্কৈছে
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
টেকিং থিংস ফর গ্রান্টেড বলে একটা কথা আছে। সেই সমস্যা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের। আশরাফুল-তামীমদের একটা ধারণা আছে যে এদের কেউ দল থেকে বের করে দেবে না। মেধা থাকা ভাল, কিন্তু মেধার অপচয় মেনে নেওয়া হবে না -- এমন কিছু এদের কাছে পরিষ্কার করে দেওয়া উচিত।
দল থেকে বের করে দিলেও কী হবে? কোথাও না কোথাও খ্যাপ খেলে এরা অনেক টাকা উপার্জন করবে। এ-জন্যই বারবার বলি যে এদের ছয় মাস ম্যাকডোনাল্ডসে কাজ করানো উচিত। তখন বুঝবে জীবন কী জিনিস। অকালে সেলিব্রিটি হয়ে মাথা নষ্ট হয়ে গেছে এদের।
বাংলাদেশের সমস্যার উদাহরণের জন্য আমি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলা ২০-২০ ম্যাচের কথা বলি বারবার। হেইডেন-গিলক্রিস্টরা যদি মাশরাফি-রাসেলদের বিপক্ষে প্রথম ৫ ওভারে ২/৩ রান করে নিতে পারে, তবে কেন লি-গিলক্রিস্টদের প্রথম বল থেকেই ছক্কা মারতে হবে তামীম-নাফিসদের?
এই রোগ থেকে বের হয়ে না এলে মুক্তি নেই বাঙ্গালির।
আরেকটা উদাহরণ দেওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজে গেলে টেন্ডুলকার বাদে সবাই ব্যর্থ হত। নিজের খেলার ধরণ নিয়ে টেন্ডুলকার বলেছিলেন, তিনি ম্যাকগ্রা'র সাথে ধৈর্যের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন। বোলার চায় ১০ বল ধরে চাপে রেখে একটি লুজ বল দিয়ে উইকেট নিতে। বোলারকে সেই সময়ে উইকেটটি না দেওয়া (= প্রতিপক্ষকে তাদের পরিকল্পণা মত খেলতে না দেওয়া)-ই পালটা চাপ তৈরির উপায়।
বাঙ্গালি ব্যাটশিশুদের একটা ধারণা আছে যে চার-ছয় মারলেই প্রতিপক্ষ চাপে পড়ে যায়। বাংলাদেশকে চাপে রাখতে সাঙ্গাকারার কোন চার হাঁকাতে হয়নি। সেই সাথে মনে পড়ে, কোন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান চার মারলে ওয়াসিম আকরামকে বেজার হতে দেখিনি। একটা চার মানেই আর চার বলের মধ্যে উইকেট আসছে।
ভাল বলেছেন। সমস্যাটা টেম্পারমেন্টেরই।
ধানসিঁড়ি
ইদানিং চার বলও লাগছে না। পরের বলেই উইকেট পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের লীগগুলোতে একটা নিয়ম করলে হয়, বাউন্ডারি বলে কিছু থাকবে না। রান যা করার দৌড়ে করতে হব। খাইট্টা খা।
আমাদের সমস্যা হচ্ছে খারাপ খেললেও এখন কাউকে সহজে বাদ দেয়া যাচ্ছে না। কারণ, সেরকম রিপ্লেসমেন্ট নেই রিজার্ভে। ওপেনিংয়ে এখন পর্যন্ত একটা ভালো জুটি তৈরি করা যায় নাই। তারপরও তামিম-জুনায়েদ টিকে আছে, কারণ ওদের মতও আর কেউ নেই পাইপলাইনে। আফতাব ব্যান হবার পর ওয়ানডাউনে যে ক্রাইসিস তা সামলানোর মত যোগ্য ব্যাটসম্যান বাংলাদেশে নেই। সুতরাং আজকে রহিম কালকে আশরাফুল পরশু মাশরাফি, এইভাবেই চলছে চলবে।
প্রতিভাকে ব্যবহার করতে না জানলে তার উত্.সও নষ্ট হতে বাধ্য। নতুন প্রতিভার ফল্গুধারা শুকিয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।
মন খারাপ হয়! খুব মন খারাপ হয়.........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
নতুন মন্তব্য করুন