.
.
Memory is a wonderful thing, if you dont have to deal with the past.
নয় বছর আগে একসাথে কিছুটা সময় কাটানোর স্মৃতি বুকে আগলে রেখে দুজন মানুষ বেঁচেছিলো। কোনো ঠিকানা বা ফোন নাম্বার- কিছু বদল ছাড়াই। শুধু ভিয়েনায় একবার দেখা হবার কথা ছিলো। দেখা হয়নি। বয়ে চলা জীবনের কোনো কোনো বাঁকে হয়তো কখনো তারা বাস করেছে একে অপরের খুব কাছে, তবু দেখা হয় নি। অহর্নিশ দুজন চেয়েছে দেখা হোক, হয় নি। যাপিত জীবনের মুহুর্তগুলো তারা পার করেছে আবার হয়তো দেখা হবে এই আশা নিয়ে। আমেরিকান ছেলেটি ফরাসী সেই মেয়েটির সাথে কাটানো এক রাতের স্মৃতি নিয়ে বই লিখেছে, হয়তো মেয়েটি পড়বে এই আশায়।
নয় বছর পর, সেই বইয়ের সূত্র ধরেই আবার দেখা হয় দুজনের, প্যারিসে। কিন্তু ব্যস্ত লেখক ছেলেটির এয়ারপোর্টে যাবার আগে তখন হাতে সময় বলতে একটা বিকালেরও কম, কয়েকটা মিনিট।
সিনেমার শুরুটা তখনি। প্যারিসের রাস্তায় হাটতে হাটতে ক্যাফেতে চা-সিগারেট সহযোগে, নৌবিহারে ঘুরতে ঘুরতে স্মৃতির রোমন্থন, পারস্পরিক জীবনের খবরাখবর, আরো কত কিছু!
দুজন মানুষ কেবল বকবক করতে করতে একটা সিনেমা টেনে নিয়ে যায়, দর্শককে কথায়, গল্পে আটকে রাখে, মোহিত করে তার অনুভুতিকে। দু'জন কেবল গল্প করে আর ক্যামেরা কেবল পিছায়, লং শটের ফ্রেমে ক্রমশ জমতে থাকে কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর। কি হতো যদি তাদের দেখা হতো ভিয়েনা'য়, কি হতো যদি তাদের দেখা হতো আরো আগেই!
কিন্তু তাদের আলাপচারিতা কেবল 'যদি', ফেলে আসা পানসে 'অতীত', এবং নয় বছর আগে কাটানো সেই 'মোহময় রাতে'র গল্পেই সীমাবদ্ধ থাকে না। অদ্ভুত এক প্রাণ নিয়ে এগোয়। কাম, ভালোবাসা,স্বপ্ন, বাস্তবতা, হাহাকার- সব, সব যেন আগ্নেয়গিরির উদগীরনের মত প্রকাশিত হয়ে যায়।
মিনিটগুলো যতই ফুরিয়ে আসে, ছেলেটা ততই ব্যগ্র হয় আরেকটু মুহুর্ত একসাথে কাটানোর টানে। খুব সূক্ষ্ম দাগে এই প্রশ্নটা সামনে আসে, যা গেছে তা কি একেবারেই গেছে?
ছেলেটা শুধু আর কিছুটা সময় মেয়েটার সাথে কাটানোর বাহানা খোঁজে।
মন্তব্য
বিফোর সানরাইজ আর বিফোর সানসেট দুটা ছবিই দেখি গত সামারে, একই দিনে, পর পর ...
বিফোর সানরাইজ বেশ নাটকীয়, ঘটনাবহুল ... সানসেট সে তুলনায় একেবারেই আলাদা ... দুজন মানুষ শুধু কথা বলে, আর কিছু না ... কিন্তু তাও পুরা ছবিটা একবারের জন্যও স্লো মনে হয় না এবং শেষ করার পর ছেলেটার মত আমারো মনে হয়, আহারে শেষ হয়ে গেল, আরেকটু সময় একসাথে থাকলে কি হইতো ...
দুইটা ছবিই অসাধারণ ... দশে নয়
আরেকটা জিনিস বেশ মজা লাগছিল, প্রথম ছবির ঘটনার নয় বছর পর দ্বিতীয় ছবির ঘটনা, ছবি দুইটা তৈরিও হয় মোটামুটি এই রকম সময় পর ... ইথান হক আর জুলি ডেম্পলির বয়স মেক আপ দিয়ে বাড়াতে হয় নাই, এমনিই দুইজনের চেহারায় একটা ম্যাচুরিটি চলে আসছে ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
দুটো ছবিই দুর্দান্ত
দুইটাই দারুণ সিনেমা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দেখিনি। তবে দারুণ রিভিউটা পড়ে মনে হচ্ছে দেখতেই হবে।
অভিনন্দন রিভিউটার জন্যে...
দুটো সিনেমাই অসাধারণ।
রিভিউ ভাল লেগেছে।
আমার হার্ড ড্রাইভে এই দুই সিনেমার নাম্বারিং ভুল ছিল। আমি দেখার সময় প্রথমে দেখে ফেললাম সানসেট। এইটার আগে যে আরেকটা পর্ব থাকতে পারে- মাথাতেও আসে নাই। এতো ভালো লেগেছিল সিনামাটার সংলাপ। একসাথে রাস্তা ধরে হেঁটে চলা।
তারপর দেখলাম বিফোর সানরাইজ। এটায় ঘটনা অনেক বেশী। তবে দুই ফাটাফাটির তুলনা করা হলে আমার ভোট পাবে সানসেট। এইটা আমার বেশী ভালো লাগছে।
=============================
কথাটা সিরিয়াসলি কনট্রাডিকটরি নয় কি?
যারা জীবনে কখনো সত্যিকারের প্রেমে পড়েন নি তাদের কাছে ছবিটাকে চমত্কার প্রেমকাহিনী মনে হবে। আর যারা সত্যিকারের প্রেমে পড়েছেন তাদের কাছে ছবি দুটিরই কাহিনীকে অবান্তর মনে হবে।
মানুষ প্রেমে পড়ে, তার পর প্রেম করে, তারপর প্রেম-উত্তর যুগল জীবন যাপনের দিকে অগ্রসর হয়। কিন্তু কেউ যদি প্রেমে পড়তেই থাকে, পড়তেই থাকে, যেথায় পড়বে তা যদি খালি বাউলি কেটে, ডজ দিয়ে বা ভুলে গিয়ে কোন অনতিক্রম্য কারণ ছাড়াই নটা বছর কাটিয়ে দেয় তবে সেটা প্রেম নয়, একটি ভ্রান্ত ধারণা। একটি অবসেশন। কিন্তু ছবির কাহিনীকার এবং পরিচালক ওই অবসেশনকেই প্রেম ভেবে মহা কাহিনী ফেঁদে বসে আছে। অবশ্য কারিগরী এবং চলচিত্র-কলার দিক দিয়ে ছবিটি ইউনিক এবং মনে রাখার মত। সামাজিক বা প্রেমের ছবির সাহিত্যিক মুল্য না থাকলে সেগুলো ভাল লাগে না।
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
বিফোর সানসেট আগে দেখা, এর একদিন পরে দেখেছি বিফোর সানরাইজ। সূর্যোদয়ের গল্পে আবেগ আর পাগলামী অনেক বেশি, দেখতে মজা লাগে। কিন্তু সূর্যাস্তের গল্পটা অনেক গভীর, মনকে নাড়া দিয়ে যায়। ফ্রেমিং আর সিনেমাটোগ্রাফিও (শব্দ দুটোর মানে ভালো মত বুঝিনা, তারপরও ব্যবহার করলাম) অপূর্ব।
আমার মনে হয় মানুষের ভালবাসার দর্শন অনেক রকম হতে পারে। কারো কাছে এটা অবসেশন, কারও কাছে আক্ষেপ, কারও কাছে একটা দীর্ঘশ্বাস আবার কারও কাছে শুধুই একটা স্মৃতি। সুর্যাস্তের এই গল্পটা যেভাবে উপস্থাপিত হয়েছে সেটা হয়ত কারও ব্যক্তিগত দর্শনের সাথে নাও মিলতে পারে। কিন্তু তারপরও এই মুভিটা আমার দেখা অসাধারন মুভিগুলোর তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে সবসময়।
আমারও একই কথা মনে হয়েছে
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
খুব সুন্দর। ভাল লেগেছে।
গুড, দেখে ফেলবো ইষ্টারের ছুটিতে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
একটাও দেখিনি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
লেখা ভালো লাগলো, ফারুক হাসান। ছবিটা দেখিনি, অবশ্যই দেখবো। এই রকম লিরিক্যাল সিনেমা আমার পছন্দের জিনিস, আশা করি ভালো লাগবে।
একটা অর্দ্ধ-প্রাসঙ্গিক তথ্য, জুলি ডেলপি (ডেম্পলি নয়)-র পরিচালিত একটি ছবি এখন কলকাতায় প্রদর্শিত হচ্ছে, "টু ডেইস ইন প্যারিস"(২০০৭)। এটাও দেখার যোগ্য সিনেমা, অ্যাডাম গোল্ডবার্গ আছে সাথে, যাঁদের ইচ্ছে ও সুযোগ আছে দেখতে পারেন। নেটফ্লিক্স অনলাইনেও পাওয়া যায় এই ছবিটা।
যাঁরা ভালো সিনেমা দেখেন ও ভালোবেসে দেখেন, এরকম শেয়ার করুন না সবার সাথে। অনুরোধ রইলো।
এটি এখন ট্রিলজি। এর পরের পর্ব - Before Midnight
ছোটো বয়সের বিভিন্ন ডিসিশন নিয়ে আলাপচারীতা - স্মৃতি রোমন্থন।
৩টা একসাথে দেখাটা অন্য রকম একটা অনুভূতি।
নতুন মন্তব্য করুন