রিকশার টুংটাং শব্দ গলিয়ে দিয়ে যায় শহরের কঠিন হৃদয়। ঘর্মাক্ত ওভারব্রীজে হঠাৎ বাতাসে বিদ্রোহী হয় একটা হলুদ ব্যানার, ফুটপাতে নেমে নাচতে থাকে দেয়ালের কালো কালো অক্ষরগুলো। মাথার উপরে সূর্য দ্রুত লজ্জা ঢাকে মেঘের আঁচলে। দিনে দুপুরে আলোর অন্ধকারে খসে পড়ে একটা ছুটন্ত তারা, পৃথিবী রোদচশমা চোখে দেখে লাল গ্রহ, শনির বলয় তার রং বদলায়। বকুল ফুলের মত মুহূর্তে ঝরে পড়ে বাঁচার আকুল চেষ্ঠা, জীবিকার সঞ্চয়। একটা ঝিনুক পেটের টিউমারে যোগ করে আরেকটা বালিকণা, একটা রেণু খুঁজে পায় অন্য পরাগ। ছেলেটা বুকে শিশির নিয়ে মেয়ের হাতে তুলে দেয় একটা ন্যাতানো গোলাপ, মেয়েটার গালে জমাট বাঁধে গোধূলির মেঘ, কৃষ্ণচূড়ার দল, আর ডালিমের রং।
বিধাতা এদের ভাগ্যে কি রেখেছেন তা জানতে শহরের মাথার উপর দিয়ে সহসা পরীর মত উড়ে যায় একটি ছোট্ট তোতাপাখি।
মন্তব্য
বস, এটা কি কবিতা ছিল? আমার কাছে কিন্তু কবিতার মত লাগলো, শমিতদার মত বলতে ইচ্ছা করল "যাহা গদ্য নয়, তাহাই পদ্য", এত অল্প শব্দে এত কথা কন কেমনে? অসাধারণ
কবিতা না গুরু, শ্রেফ আবজাব যা আসছে মনে নামায়া দিছি
বস, আমার কাসে তো চরম লাগলো, এইডা যদি আপনার আবজাব হ্য়, তাইলে ভয় পাইসি দিয়া গেলাম আপনারে।
!
দারুণ লেখা তো! আপনার আগের লেখা কোনটা এখনো পড়া হয়নি, তবে স্রেফ আবজাব যা মনে আসছে নামায়া দিলেই যদি এই লেখা পয়দা হয়, আপনি কোনদিন ঘুনাক্ষরেও চিন্তাভাবনা করে গুছিয়ে কোনকিছু লেখার পরিকল্পনা করবেন না।
নিশ্চিন্তে থাকেন। আমার অভিধানে পরিকল্পনা শব্দটাই নাই।
গদ্য না পদ্য - এইসব আলোচনায় আমি যাইনা । পড়ে ভাল্লাগছে এইটাই আসল কথা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
একেবারে মনের কথা বলেছেন!
বা:, বা:। খুব সুন্দর। খুব মায়াময়।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ঠিকআছে।
দৃশ্যময়। এই যোগসূত্র মিলিয়ে থাকা দৃশ্যগুলো সুন্দর লাগছে।
খুব খুব সুন্দর।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
এরকম আবজাব আরো নামুক..
বেশি সুন্দর
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পন্নাম আপনারে, এইসব আবজাব কবিতা করে তোলার কারণে। আর হালার আমি সারারাত টেবিলে বসেও এক লাইন কবিতা লিখতে পারি না।
রিকশার টুংটাং শব্দ গলিয়ে দিয়ে যায় শহরের কঠিন হৃদয়।
ঘর্মাক্ত ওভারব্রীজে হঠাৎ বাতাসে বিদ্রোহী হয় একটা হলুদ ব্যানার,
ফুটপাতে নেমে নাচতে থাকে দেয়ালের কালো কালো অক্ষরগুলো।
মাথার উপরে সূর্য দ্রুত লজ্জা ঢাকে মেঘের আঁচলে।
দিনে দুপুরে আলোর অন্ধকারে খসে পড়ে একটা ছুটন্ত তারা,
পৃথিবী রোদচশমা চোখে দেখে লাল গ্রহ,
শনির বলয় তার রং বদলায়।
বকুল ফুলের মত মুহূর্তে ঝরে পড়ে বাঁচার আকুল চেষ্টা,
জীবিকার সঞ্চয়।
একটা ঝিনুক পেটের টিউমারে যোগ করে আরেকটা বালিকণা,
একটা রেণু খুঁজে পায় অন্য পরাগ।
ছেলেটা বুকে শিশির নিয়ে
মেয়ের হাতে তুলে দেয় একটা ন্যাতানো গোলাপ।
মেয়েটার গালে জমাট বাঁধে গোধূলির মেঘ, কৃষ্ণচূড়ার দল, আর ডালিমের রং।
বিধাতা এদের ভাগ্যে কী রেখেছেন
তা জানতে
শহরের মাথার উপর দিয়ে সহসা পরীর মত উড়ে যায়
একটি ছোট্ট তোতাপাখি।
------- এই লেখাটা যে একটা কবিতা তা দেখানো হইল। ফাহা কে কী বলব? "অসত্যভাষী" নাকি "ভাব নেয়া"।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দারুণ কাজ করেছেন। এইবার কবিতাটা কবিতার মতো দেখাচ্ছে।
ভালো মজা তো! পাণ্ডব দা, আপনি তো যাকে বলে কোনোকিছুকে কবিতায় রূপান্তর করার একটা walking machine! এর পর থেকে আপনেরে আমি রেগুলার আমার আবজাব সাপ্লাই দিতেছি, ফ্রি ফ্রি কিন্তু সেগুলারে কবিতা করে দেয়া লাগবে।
আর কী যে বলেন না, ভাব নেবো? তাও আমি? আপনার কবিতার আঙ্গিকটা বেশ ভালোই লেগেছে। তবে কবিতা হিসেবে আসলে লিখিনি, এর গদ্যটাই আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। কিন্তু সবাই যেহেতু এইটা গদ্য না পদ্য সেইটা নিয়াই কনফিউজড, তাইলে এইটা আবজাব না তো কি?
প্রণাম গুরু! নম! নম!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ক্যাটেগরীতে 'কবিতা' থাকতে পারতো নিঃসন্দেহে!
চমৎকার লাগলো পড়তে।
আর পান্ডবদা'র কল্যাণে দেখতেও।
কবিতাই তো এটা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এটা কবিতা হলে কোন কথা নাই। এটাকে বরং কবিতাই বলা চলে।
আর যদি বলেন এটা গদ্য তাহলে ঈর্ষায় মরে যাবো। কারণ এরকম গদ্য লেখার ক্ষমতা খুব বেশি মানুষের নাই।
অসম্ভব অনুপ্রেরণা পেলাম। এরকম কমপ্লিমেন্টের যোগ্য আমি নই।
কবিতা বলুন গদ্য বলুন
কেমন যেন একটু শীত শীত মতো আছে
ভালো লাগে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
খুব সুন্দর!
---------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
লেখকে লেখকে কিংবা মানুষে মানুষে কতো পার্থক্য থাকে তা এগুলো দিয়েই বোঝা যায়। আমি আকাশ দেখলে খালি তাপ মাত্রা দেখি, বৃষ্টি হবে না রোদ থাকবে, এ ছাড়া আমার চোখে কিছু ধরা পড়ে না বিধায় এধরনের কিছু লেখা এ জীবনে সম্ভব হবে না, তবে পর জনমের আশায় আছি, আশাই জীবন
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
অসাধারণ! এরকম 'আবজাব' আরো লেখেন... শুভকামনা।
নতুন মন্তব্য করুন