১. সকাল
দিনগুলো কেটে যাচ্ছে হাসপাতালবাসের মত, সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা কোনো নিজস্ব ব্যক্তিত্ব নিয়ে হাজির হয় না, কোনোকিছুতেই কোনো অনুভূতি নেই, রুটিনে নেই কোনো সাম্যাবস্থ্যা, পুরোটা সকাল আর দুপুর পড়ে পড়ে ঘুমাই, নিশাচর চোখেরা পলক ফেলতে চায় না রাত্রির গভীরে, নাস্তা হয়ে যায় শেষবিকেলের লাঞ্চ, ডিনারের সময় অহেতুক ডেকে উঠে দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠা কয়েকটা বালিহাস। সবাই যখন ঘুম থেকে উঠে জগতের কোলাহলে মিশে যেতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে, আমি তখন চোখে বিরক্তির তারকাটা ফুটিয়ে ঘুমানোর আয়োজন করি। যখন পুরোটা পৃথিবী নৈঃশব্দ্যের তলদেশে বিরাজমান শ্যাওলা হয়ে থাকে, তখন আমি রাত জেগে পাহাড়া দেই সাতমুখো দৈত্যের বন্ধ কপাট।
সেদিন ভোরে প্রথম বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসস্টপে, বাড়ি ফিরে ঘুমাবো বলে। হঠাৎ তাকিয়ে দেখি ম্লান আলো, তারপর সকাল, যেমনটা তারেকের কবিতায়, সকাল তোমাকে অভিবাদন জানাই/ তোমার জন্য খুব যে উদগ্রীব ছিলাম তা নয়/ ...... মনে হলো- তুমি একটি দীর্ঘ রাত পার করে এলে..... ইত্যাদি। মটরসাইকেলে করে বয়ে বেড়ানো ভাঁপ ওঠা খবরের কাগজ,ঝাড়ুদারের রুক্ষ হাতের ইশারায় পাশফিরে সরে দাড়ানো হিজলের যুবকেরা, মাথার উপর সূর্য নেই তবু কত শত মোলায়েম আলোর বিস্তার, পাখির কলতান! বাতাসের তাপমাত্রা মনে পড়িয়ে দেয়, কতবার গীজারের নব ঘুরিয়ে চেয়েছি এরকম কুসুম কালো জল, আজ এই সকালে যেন প্রকৃতি আমাকে দিয়ে গেল সেই শুদ্ধতার স্বাদ, জলের ছোয়ার মত বাতাসের চাবুক আমার জুলফি বেয়ে ঘাড় স্পর্শ করলো , ছোটোবেলার লক্ষীদিদি যেভাবে হাতের আঙুলে জলের ক্যানবাসে ছবি আঁকতো নিদারুণ মমতায়। কত হাজারো আকাংখার পাখি উড়ে এসে খুঁজে নিল তাহাদের আলয়। সত্যি তারেক, প্রতিটি সকালে মেঘের বিন্যাস ভিন্ন। প্রতিটি ভোরে মানুষ অন্য মানুষ।
২. মৌলিক
কি খাবো? কি খাওয়া যায় আজ দুপুরে, রাত্রে, দুই সচেতন পাপের মাঝের ছুটিতে? ঘুম থেকে উঠেই এই চিন্তা আমাকে কাবু করে ফেলে, আমি আমার ঘুমের কাছে ফিরে যেতে চাই, হে আমার স্বেচ্ছাচারিতা তোমার জয় হোক! খাবার আমার কাছে কখনই প্রথম চিন্তা হয়ে দাড়ায়নি গত আড়াই দশক, অথচ আজকাল নিঃসঙ্গ হই না, ব্যস্ত হই না, হতাশ হই না, কেবল এবেলা কি খাওয়া যায় সেই চিন্তায় নিজেকে পরাজিত সৈনিক বলে মনে হয়। তারপর... আবার ঘুমাই। এরকম কয়েকবার হয়ে গেলে পর যখন পেটের নিম্নভাগে জমে উঠা তরলাবেগকে আর ধরে রাখা যায় না, তখন বাধ্য হয়ে উঠি, শুচিকর্ম সেরে বিধাতা মেয়েদের কি অসীম ধৈর্য্য দিয়েছেন ভাবতে ভাবতে চাল-ডাল-আলু-লবণ-মরিচের কাছে নিজেকে সমর্পণ করি। কিংবা হে ম্যাক, তুমি মোরে করেছো মহান। সংসার থেকে মাতৃত্বছুটি নেবার অজুহাতে স্বার্থপরের মত আমাকে একলা দ্বীপে ফেরৎ পাঠিয়ে, সবাইকে শোকসাগরে নিমজ্জিত করে বাপের বাড়ি গিয়ে উঠেছেন যিনি, তিনি আছেন মহাসুখে অট্টালিকা পড়ে আর আমি কত কষ্ট পাই অনাহারে, সেই তিনি প্রতিদিন ফোনে আমার আহারাদির খবর নেন আর চুক চুক আউয়াজ তোলেন। সেটা সান্ত্বনার হলে কথা ছিল, জানা গেল উহা আসলে চাটনি।
সংসার বড় মধুময় যদি থাকে বধুময়
...জীবনের সারমর্মটা একসময় নির্মমভাবে ভেঙ্গে পড়ে আমার ঘাড়ের উপর।
মন্তব্য
কোপা শামসু টাইপ লেখা, হেব্বি মজা পাইলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হাহাহাহাহাহা!!!!!!!!! বুঝেন কেমন লাগে ঃ)
হৈ, তোমার না আজকে জিআরই পরীক্ষা!
তাইলে অচিরেই আমরা সুখবর পাইতেছি? ঐ মিয়া... দেশে আইছলেন... মিষ্টি খাওয়ান্নাই ক্যান?
তবু শুভকামনা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
থ্যাংকু বস! মিষ্টি তো খাওয়াবোই, নভেম্বরে।
বউ ছাড়া জীবন তাইলে এমন!
হ।
তাড়াতাড়ি বিয়া কইরা ফালান।
একখান গুল্লি লেখা হইছে।
ফারুক ভাই নভেম্বরে মিষ্টি খাবো সেই আশায় থাকলাম।
আর আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
একটু কষ্ট করলে প্রায় পুরো পোস্টটাকেই কবিতা বানানো যেত। বানালাম না। এতে ফাহা লাই পেয়ে কবিতা লেখা বন্ধ করে দিতে পারে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হা হা হা।
বেশ মজার!
সুন্দর লাগলো লেখাটি!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
- শেষে এসে বুঝলাম আপনার মনের যাতনা! আরে মিয়া এই দুঃখেই তো বিবাহ করতে মঞ্চায় না। কিছু হইলেই বউ দিবো বাপের বাড়ি দৌড়, আর আমার অবস্থা হবে কেরোসিন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এখন কি কেরোসিনের চেয়ে ভালো আছেন?
সংসার বড় মধুময় যদি থাকে বধুময়
...জীবনের সারমর্মটা একসময় নির্মমভাবে ভেঙ্গে পড়ে আমার ঘাড়ের উপর।
ভাল-লাগলো ..।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
আগাম অভিনন্দন। আপনার একটা মাইয়া হইলে আমার পোলার লগে বিয়া দিমুনে।
লেখার কথা কী কমু? আপনার লেখার তুখোড় ভক্ত আমি - এটা আপনি অলরেডী জানেন।
থ্যাংকু বস!
আপনের পোলা কৈ? আমার মাইয়ার পছন্দ হৈব তো? দেইখেন, মান সন্মান রাইখেন কৈলাম।
- একবার দুই পোলাপাইন তেঁতুল গাছ নিয়া ঝগড়া লাগছে। ঝগড়ার বিষয় হলো এক পোলা নাকি আরেক পোলার গাছে উইঠা তেঁতুল পাইড়া খাইয়া ফেলছে। এই নিয়া মারমার কাটকাট অবস্থা। তো পাশ দিয়া এক মুরুব্বী মসজিদে যাইতেছিলেন টুপি মাথায় দিয়া আসরের নামাজ পড়তে। দুই পোলার তুমুল কাইজ্যা দেইখা কয়, কীরে তোরা কাইজ্যা করতাছোস ক্যান? তেঁতুল গাছের মালিক পোলা কয়, অই আমার গাছের তেঁতুল পাইড়া খাইলো ক্যান? এইবার অন্যপোলা কয়, হুমুন্দির পুত, তোরে তেঁতুল গাছ আইনা দিছিলো কেডা?
মুরুব্বী পোলাদ্বয়ের বসয় আর কাহিনীর পটভূমি শুইনা জিগায়, তা তেঁতুল গাছটা কই?
গাছের মালিক পোলা এইবার মুখ হা কইরা জিহ্বা উলটাইয়া একটা তেঁতুলের বিচি দেখায়া বলে, এই যে! ঐ বাজার থাইকা তেঁতুল আনছে। সেই তেঁতুল খাইয়া বিচি ফেইলুম, ঐ বিচি থাইকা গাছ হইবো, ঐ গাছে তেঁতুল ধরবো। আর এই হামদুর পো কয় সেই গাছ থাইকা নাকি আমারে না কইয়াই ও তেঁতুল পাইড়া খাইবো। হের লাইগা লাগাইছি কয়েকটা।
এইবার মুরুব্বী পাঁচকলি টুপিটা হাত দিয়া নাইড়া চাইড়া ঠিক কইরা মসজিদের দিকে হাঁটা দিছে। নামাজের দেরী হইয়া গেলো।
এইবার ছোট্ট একটা ক্যুইজ। কুন্ছাইন দেহি, এই গল্পে কে কোন চরিত্র।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গল্পের চরিত্র দুটোর একটা ধু.গো. আরেকটা হিমু। আর মুরুব্বী হচ্ছেন বদ্দা।
- মাননীয় রামধনু মডুগণ, আমারে আমার জিগরী হাবশী দোস্তরে জড়াইয়া ব্যক্তি আক্রমন করা হইছে এইখানে। আমি এর বিচার চাই। দেতে হবে।
বদ্দার ব্যাপারে আমি কিছু কমু না, কারণ ফাহা কইছে মুরুব্বী অবিবাহিত। আমরার বদ্দা তো বিবাহিত!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মুরুব্বির মনের কষ্টটা বুঝতে পারছি, নেক্সট জেনারেশনের পর্যন্ত গতি হয়া যাইতেছে, এখনতরি নিজেরটা হৈল না!
আমার পোলা এখনো হয় নাই। তয় একদিন তো হইবো। তখন বিয়া দিমুনে। পছন্দ হইবো। আমার পোলা না? পছন্দ হইতেই হইবো। আমি লুক খ্রাপ হইতে পারি কিন্তু মানুষ ভালো।
- আল্লাগো, আমি মইরাই যামুগা হাসতে হাসতে, কেউ আমারে ধরুক আইসা...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনে মিয়া খুব খ্রাপ। আমার মত ভালু লুক মেম্বার আর পাইবেন?
মেম্বর সাব, চেষ্ঠা চালায়া যান, আপনে ভালু লুক সেইটা তো আমি জানি। কিন্তু আপনের পোলা কবে পয়দা হৈব, ইন দ্য মীন টাইম আরো কত হাজার পোলা আমার মাইয়ার জন্যে লাইনে খাড়াইবো হেই চিন্তায় ঘুম আইইইসতেছেনা আমার।
হাজার পোলা খাড়াক আপত্তি নাই। ধু.গো না শ্যাষ পর্যন্ত লাইনে খাড়ায় এই চিন্তায় আছি।
হেরে নিয়া চিন্তা কৈরেন না, হেতের কপালে আপনের শালি ছাড়া কেউ নাই।
- ধুগো সিনিয়র বয়সে কুলাইতে না পারলেও ধুগো জুনিয়র ঠিকই খারাইবো কইয়া দিলাম। অতএব, লাড়কি ওয়ালো হুঁশিয়ার!!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ক্যাডায় জানি কি একটা বিচির গল্প লিখছিলো?
(গড়াগড়ি হাসি)
ধু.গো জুনিয়র? হা হা হা আমি হাইসতে হাইসতে মারা যামু।
তা জুনিয়র কি হাওয়া থেইক্যা আইবো?
পড়ে আরাম পাইলাম ।
দারুণ! মনে হলো কবিতা পড়লাম। (সত্যি সত্যিই আবার কবিতা না তো?)
একটি বিশেষ ঘোষনা, একটি বিশেষ ঘোষনা, আমি ভাই কবি না
নতুন মন্তব্য করুন