১৩.
বিহবল বিকেলের শেষ রোদ মরে গেলে ঘাসগুলোর মনে হয়
শামুকের মত অনেকটা পথ পেরিয়ে তারা এসেছে কোন ছায়ায়
কোন পথের ধারে সহসা শ্লথ হয়ে পড়েছে তাম্র নাগরিক প্রাণ
শিশিরের দেহ আজ সহস্রকালের বিস্মৃত উপপাদ্যের ঘ্রাণ।
স্বপ্নের ডাল ছেটে বিষন্নতার দেহ তাকে বলি ঘাস
আমাদের নয় বসন্তবিভ্রাট নিয়ে বেঁচে থাকা।
১৪.
বিধাতা সৃষ্টি করলেন
জলধি, বৃক্ষরাজি, প্রান্তর
বললেন, যেমন খুশি যাপন কর।
সকল প্রশংসা তার যিনি সৃষ্টি করলেন
ঘর, সন্তান, প্রেমময় মুহুর্ত, তৃষ্ণা
প্রজ্ঞাপারমিতা, শেখালেন শঠতা, গার্হস্থ্য
আর জীবন প্রণালী।
বললেন না, সাদা পৃষ্ঠাটা কবিতার জন্য।
মন্তব্য
১৪ নং টা অদ্ভুত সুন্দর লাগল !
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ধন্যবাদ দিয়ে বেটে করতে চাই না। স্রেফ কৌতুহল, ভালো লাগাটা কি ভাষাগত কারণে?
হয়তো ভাষাগত অথবা অন্য কোন কারণে কিংবা শুধুই ভালো লাগার কারণে। আমি কাব্যবিশারদ নই। কাজেই ভালো লাগার কারণ ব্যবচ্ছেদের ঝুঁকি না নেয়াই মঙ্গলজনক।
ধন্যবাদ দিলে বেঁটে হবনা। ধূলোয় মিশে যাব।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বললেন না, সাদা পৃষ্ঠাটা কবিতার জন্য।..... অসাধারন...
অর্ক১৩
দুইটা অব্যর্থ কবিতাই ( বেয়াই আমার কথা শুনলে তো!) মন ছুঁয়ে গেল। কোট করলে পুরোটাই করতে হয়, তবুও
এবং
এই দু'টো লাইন খুব আপন লাগলো।
বেয়াই, নামকরণের ক্ষেত্রে আমার মাথা কাজ করে না। প্রতিটা কবিতার আলাদা নাম দিতে হবে ভাবলেই জ্বর আসে। তাই সিরিজে ফেলে দেই, সুবিধা হল ক্রমিক নাম্বার দিয়ে কাজ সারা যায়
মহাভারত সিরিজ তো আর হচ্ছে না যে নাম মহাভারতই রাখতে হবে। সিরিজের অন্য কোনো নামের ব্যাপারে কোন সাজেশান?
ব্যর্থকাব্য আরো আসুক।
১৩ নং এর দ্বিতীয় লাইনে "পথ পেরিয়ে" হবে মনে হয়। ১৪ নং এর "প্রণালি" বানানটা "প্রণালী" হবে কি?
অসংখ্য ধন্যবাদ। ঠিক করে দিলাম
ব্যর্থকাব্য আরো আসবে।
- উকিল আত্মীয় হওয়া কি নাতে আমিও কিছু বলতাম চাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বলেন বলেন...
- কোবতে ভালৈছে
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
থ্যাংকু থ্যাংকু
সাদা পৃষ্ঠাটা তোমার জন্য.....দারুণ
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
দুটোই খুব ভালো লাগলো। তবে শেষেরটার প্রতি ভালো লাগার দূর্বলতা থাকলো বেশি। পরেরগুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
মূর্তালা রামাত
তাহলে তো লিখতেই হবে, কবিদেরকে নিজের আবজাব পড়ানোর সুযোগ যখন পাওয়া গেছে
১৩ তে কেমন জীবনানন্দীয় ঘ্রান পাই।
মন ছুঁয়ে যাওয়া কবিতা।.
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
জীবনানন্দ তো সবজায়গায়, তারে এভয়েড করি ক্যামনে?
কিন্তু জীবনানন্দীয় ঘ্রাণ কি খ্রাপ?
এই ঘ্রানে কোবতে লিখতে পারলে খুশি হয়ে যেতাম। আমার মুগ্ধতাই কাটে না.
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
আমিও দোষের কিছু দেখি না। কিন্তু এভাবে চললে তো একটা ট্যাগ দিয়ে দেয়া হয়, ভাবুকরা গম্ভীরমুখে বলেন, ওমুকের ঘরানায় না লিখে কবিতায় নতুন স্টাইল চাই
অসাধারণ !!
প্রথম কবিতাটা ভালো লাগলো বেশি।
আমি কিন্তু আপনার কবিতার মুগ্ধ পাঠক। ভালো লেগেছে বলেছে অশেষ কৃতজ্ঞতা!
বললেন না, সাদা পৃষ্ঠাটা কবিতার জন্য...
১৪ নাম্বারটা অসাধারণ লাগলো।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভাইয়া সবাই ত সব বলেই ফেলল, আর আমি কি কমু। তয় 'জীবনানন্দীয়' ঘ্রাণটা মনে হয় আমিও পাইছি, এবং এই ঘ্রাণ আমার কখনও মন্দ লাগে না। আমার নিজের গুলাতেও প্রায়ই আমি আদর কইরা মাখাই। বড় ভালা লাগে।
শেষ লাইন ত এক্কেরে coup de grace হয়ে গেছে। সারা জীবন 'ব্যর্থ কবি' থাকুন এই আশা করি।
ফারাবী
কী করে যে এমন করে লেখেন ফারুক ভাই!!
খুব,খুব,খুউব ভাল লাগল, দ্বিতীয়টা একটু বেশি ভাল লাগল!
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
মানে আমি ত ঠিক ওই অর্থে বলতে চাইনি...
বুঝতে পেরেছি। তবে মমিন স্মাইলিটা দেবার চান্স মিস করতে চাইনাই
তাই বলেন! হ্যাঁ, ঝাক্কাস জিনিস, এইটা আগে কোথাও দেখি নাই। ইয়ে মানে, মমিন গালিটা আসলে ব্যবহৃত হল তা যদি একটু বলতেন...?
আরে আরে, এটা তো গালি নয়। বিষ্ময়/হতবাক/আকষ্মিকতা বোঝাতে মমিন স্মাইলি ব্যবহার করা হয়। আমাদের সচল আলমগীর ভাইয়ের একটা মজার সিরিজ আছে, 'কস্কী কি মমিন!' সেটা থেকেই এই মমিন স্মাইলির জন্ম। সিরিজটা শুরু থেকে পড়েন, মজাও পাবেন, মমিন স্মাইলির শানে নূযুলও জানা হয়ে যাবে
ভাল লাগলো
এবারের দুইটাই ভীষণ ভাল্লাগলো।
নতুন মন্তব্য করুন