বাংলা C-নামা'র গ্রম খবর ছাপিয়ে হালের এক চ্রম পুপলার C-গ্রেড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ পড়তে গিয়ে চোখ আটকে যায় নিচের এই অসামান্য সাহিত্যখন্ডে। গতানুগতিক ধারার ত্যানা পেচানো আবজাব রিভিওয়ের বদলে রিপোর্টারের এহেন চক্ষু-চর্ম-দেহ-মন উন্মিলনকারী ছাহিত্য পড়ে আমি উৎসাহিত হৈ তার সম্পর্কে আরেকটু খোজ নেবার। পাত্তি লাগাইলে এই অসামান্য রিপোর্টখানার রচয়িতা কিন্তু জাতে লাজুক রিপোর্টারটি আমাকে জানান, তার এহেন রিপোর্টিংছাহিত্যকর্মটি রচিত হয়েছে আরেকটি জগৎনাড়ানো রিপোর্টের ছায়াবলম্বনে। এই বলে তিনি আমাকে এই লিংকটি ফরোয়ার্ড করেন। এবং সবাইকে আগে ঐ রিপোর্টখানা পড়ে নিতে সতর্ক করেন যাতে নিচের লেখাটির রসাচ্ছাদন সহজ হয়।
চাপ চাপ চর্বির থলথলে স্পর্শ। পেটে গুড়গুড়ে অনুভূতি। যেকোনো মুহূর্তে হাত ফষ্কে নায়িকা পপাৎধরণীতল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু না, টালের মত টলতে টলতে তাল সামলাতে গিয়ে পড়ে যেতে যেতেও নায়ক এক আটমণি নায়িকাকে কোলে তুলে নেয়।
এরকম হিট সিনের এমন চরম মুহূর্তেও কাআআআট বলে মুখ খিচানো কেবল একজনের পক্ষেই সম্ভব— মাসুদ রানা ।
নায়ক মাহরেক তামুদের মাসুদ রানা পড়া নেই। থাকলে আজ নিজেকে তিনি ভাবতে পারতেন ‘কোয়ান্টাম অফ ভোগাস’ বা ‘কাইলকা মরিস’য়ের নায়ক। গভীর(ডিপ)জলের মতোই যে এই তরুণ ঘুরে দাঁড়াতে চাইলেন দিন শেষের শেষ সিনে! পেছনে মধ্যমাঙ্গুল, কণ্ঠে বিস্ময়কর ম্যাৎকার, ‘নায়িকা ভারি হলেও তারে তোলা অসম্ভব নয়। আমাদের তালুকজেন্ডার বো আছে, আছে কাশিব খান। তাদেরর মত করে আমিও নুমনুমদের কোলে নিয়ে নাচার সামর্থ্য রাখি। তারা যদি সেটা করতে পারে, সবই সম্ভব।’
মাসুদ রানা তো কল্পনার লুল চরিত্র। পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত হলিউডের সবচেয়ে খাসা মালটা তার জন্যই পূর্বনির্ধারিত। বাস্তবে কি তা হয় নাকি!
‘সবই সম্ভব’ বলে তামুদের যে দাবি, এফডিসির চত্বরে এর মানে কী? তিনমাস আগে সিনেমার শুটিং যখন প্রথম শুরু হয়েছিল তখন থেকে ওজনকে কন্ট্রোল না করিয়ে এখন ওজনকে ৪৩৪ কেজিতে নিয়ে গেছে নায়িকা নুমনুম। তামুদের ধারণামতোই যদি আজ সে সেটাকে ৫০০ বানিয়ে কোলে চড়ার ঘোষণা করে, নায়ক মাহরেক তামুদের পক্ষে কি সম্ভব হবে তাকে কোলে নিয়ে ড্যান্স দেয়া? ‘আমার মনে হয় ৫০০ কেজির আটার বস্তার চেয়ে ওজনে কম হবে না নুমনুম, আমাকে ৫০০ কেজিই তুলতে হবে’— তামুদের কথা অবিশ্বাস্য শোনায়। নাচ-গান বাদ দিন, এই সিনেমায় শেষ দৃশ্যে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না বলে যে ঠোলা মামারা ক্যালাতে ক্যালাতে সিনে ঢুকবেন সেটাও সাধ্যের বাইরে। চাহিদাটা বলে দিলেন তামুদই, কেউ যদি পাখির মত অসাধারণ হালকা একটা নায়িকা জোগাড় করে দেয়, এর সঙ্গে আরও দুটি এক্সট্রা হয়...। সহকারি পরিচালকদের একজন সংশয় প্রকাশ করায় তামুদ যেন একটু ‘মাইন্ড’ই করলেন, ‘কোনো একজন দুইশ কেজির হলেও তো হয়...হাসবেন না কিন্তু, এটা সম্ভব।’
হলিউডের ভন্ডাইলের মতোই ইতিবাচক তামুদ। সামনে ভিলেন যেই হোক, যত মাইরের দাবিই থাকুক, আগেই পরাজয় মেনে নেন না। অভিনয়ের মতো ক্যালানোতেও আত্মবিশ্বাসের বিচ্ছুরণ। কিন্তু ইতিবাচক থাকা আর অবাস্তব স্বপ্ন দেখার মধ্যে যে সূক্ষ্ম একটু ফারাক আছে, সেটি মনে হলো ভুলেই গেছেন তামুদ। বাংলা সিনেমার নাচের দৃশ্যে ৪১৮ কেজির কমে কোলে তোলেনি কোনো নায়ক। বৃষ্টিভেজা সিনের বাইরের কোনো কিছুর সঙ্গেও পরিচয় নেই সিনেমার নৃত্যপরিচালকের। নাকি তামুদ সেই মতবাদে বিশ্বাসী যে, স্বপ্নেই যখন খাব, পোলাও-মাংসই খাই?
পরিচালক আলুশুভ্র বরং অনেক বাস্তববাদী। সিনেমার ভবিষ্যত্ জিজ্ঞেস করতেই সোজাসাপ্টা জবাব, ‘আমাকে জিজ্ঞেস করলে বলব, আমি এখন পরের সিনের অপেক্ষায় আছি।’ তারপরও প্রথম সিনটা যেহেতু এখনো শেষ হয়নি, বাকি সিনের পরিকল্পনা তো করতেই হবে। পরিচালক সেই পরিকল্পনাতেও খুব আত্মবিশ্বাসী নন, ‘ভিলেন চ্যালাকাঠ নিয়ে 'নাঁচো সুন্দরী, নাঁচো' বলে প্রস্তুত, তার চামচারা অনবরত লুলও ফেলছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তো আমাদের নায়িকাকে কোলে নিয়ে নাচতে হবে নায়কের। লাস্ট সিনে কঠিনই হবে তাদের কাজ।’
ভিলেন আইক্যা খানের অত টেনশন নেই। তাঁর কাজ লুল ফেলা। নায়িকা নুমনুমের সাজুগুজু যে সে কাজে এখন যথেষ্টই সাহায্য করছে, সেটা স্বীকার করেছেন এই বাঁহাতি ভিলেনও, ‘যা চাচ্ছিলাম তা এখন হচ্ছে। লুল পড়ে আর মেকআপ নষ্ট হচ্ছে না। এদিক-ওদিক হচ্ছে।’ তবে নায়ক মাহরেক তামুদের সর্বশেষ আচরণে পরিচালকের মতো দুই রকম অনুভূতি জোকার গারগিল খানের। জোকারি করে নায়িকার মন জয়ে যত সফল হচ্ছেন, ততই যে সামনে চলে আসছে চ্যালাকাঠ হাতে নায়কের বাধা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ! প্যাকাআপের আগে তাই তাঁর মধ্যেও শেষ সিন শেষ করার শঙ্কা, ‘আমাদের জোকারদের জন্য কাজটা কঠিন হবে।’
কিন্তু মাসুদ রানা মানেই তো এমন, সবাই যে পথকে বিপদসংকুল মনে করবে, তাঁর কাছে তা পাড়ার চেনা গলি। পরিচালকের চিন্তার ধারেকাছে না থেকে তামুদ যেন সেটাই বলছিলেন, ‘পরিস্থিতিটা কঠিন, তারপরও আমি মনে করি সব শেষ হয়ে যায়নি। নুমনুমের ওজন এখন ৫০০ কেজির কাছাকাছি। কিন্তু বাংলা সিনেমায় আগে থেকে বলা যায় না কী হবে। আমার আগের মুভি 'মলম ডলেই কাম সার'তে একবার নাচের সিনে আমি প্রায় ৪৫০ কেজি (আসলে ৪১৩) কোলে তুলে নেচেছিলাম।’
এই সিনেমায় যে ‘অসাধারণ’ ড্যান্সের প্রত্যাশায় তামুদ, প্রথম দৃশ্যেই তিনি তা ড্যান্সাইতে পারতেন। নুমনুমকে কোলে নেয়ামাত্রই সশব্দে ইয়ে করে দেয়াটা দাঁত কামড়ে আটকানো ছিল সে রকমই কিছু। ‘ওরকম একটা বস্তা তুলতে গিয়ে বিশ্বের যেকোনো বড় নায়কই বাতাস দূষিত করতে পারে। খুব ভারী লাগছিলো ওটা’—সিন শেষে বললেন তামুদ।
পরিচালকের তৎক্ষণাৎ প্যাকাপ বলার সিদ্ধান্ত অবাক করেনি তামুদদের। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে এতটা সময় ড্যান্সানোর পর পরিচালকের পুরা সেটকে বিশ্রাম দেয়াটা অনুমিতই ছিল। তবে এই সিনেমা নিয়ে তামুদ যে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সেটা সব অনুমানেরই ঊর্ধ্বে।
মন্তব্য
হুমম, আমি রিকোয়্যার্ড কোর্স না করেই এটা পড়া শুরু করেছিলাম। কিছুই বুঝতেছিলাম না। পরে লিংকের কোর্সটা পড়ে সব ফকফকা হয়ে গেল। হা হা হা ...
অত্যন্ত ভ্লা পাইলাম।
একটু পরেই আমার সন্দ হচ্ছিলো... লিঙ্ক দেখে নিশ্চিত হলাম...
চরম্ভাবে লাইক... !!!
_________________________________________
সেরিওজা
ওরে! জটিল!!
তারেক মাহমুদ তো দেখা যাচ্ছে উৎপল শুভ্রকে ছাড়িয়ে গেছে। আর তামিমের কথাবার্তা থেকে বুঝা যায়, বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটের টিউমারটা কোথায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মূল রিপোর্টটা পড়ে সকালেই একচোট হেসেছিলাম।
আর এখন আপনারটা পড়ে তো একদম হাহাপগে!
কিন্তু সত্যি করে বলেন, ''এই অসামান্য রিপোর্টখানার রচয়িতা কিন্তু জাতে লাজুক রিপোর্টারটি'' তো আপনি নিজেই, তাই না?
====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
জ্বী না স্যার। আমি আমপাঠক, বসে বসে বাংলা সিনেমা নিয়ে এফডিসির রিপোর্ট পড়ি। এখন যদি রেফার করতে বলেন, তাহলে পড়তে বলবো, 'এফডিসির ডাইরি' আর 'বাংলা সিনেমা ও নিউজিল্যান্ডের প্রকৃতি'। দুটো ধারাবাহিকই আলুশুভ্রর লেখা, চ্রম। সিনেমা, প্রকৃতি, নৃতত্ত্ব, বিজ্ঞান, দর্শন, এবং হঠাৎ হঠাৎ ক্রিকেট একসাথে দারুণ গেঁথেছেন তিনি।
ভাই, প্রশ্নটা করার পরে নিজেরেই কেমুন ভুদাই ভুদাই লাগতেসিল! আর লজ্জা দিয়েন না!
তবে ফাটাফাটি হইসে পোস্টটা। এরকম আরো চাই।
=====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
কাকা, ব্যাপার নাহ্
পোষ্ট লাইকানোর জন্য থ্যাংকু!
হ্যাঁ, ব্যাপার নাহ!
ধন্যবাদ।
আচ্ছা, আপনার চেহারাটা অনেক চেনা-চেনা লাগছে! আপনি বুয়েট ডটকম নাকি?
===================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
আমি ৯৯ব্যাচ। আপনি? আমি অবশ্য কায়েস নামে এক বড়ভাইকে চিনি। আপনি সেই নাতো!? কায়েস ভাইয়ের ছোটভাই আমাদের কেমিCOOL ড়্যাগে গান গেয়েছিল।
স্যরি, মন্তব্যটা খুব দেরিতে চোখে পড়ল।
যাই হোক, আমার খুবই হাসি পাচ্ছে। হ্যাঁ, আমিই সেই। তবে কায়েস না, এটা হবে 'কায়েশ'!!
আমাদের দুই ভাইয়ের একটা গপ্পো বলছি এই সচলায়তনে। টাইম পাইলে দেইখো।
====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
চাপ চাপ চর্বির থলথলে স্পর্শ। পেটে গুড়গুড়ে অনুভূতি। যেকোনো মুহূর্তে হাত ফষ্কে নায়িকা পপাৎধরণীতল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু না, টালের মত টলতে টলতে তাল সামলাতে গিয়ে পড়ে যেতে যেতেও নায়ক এক আটমণি নায়িকাকে কোলে তুলে নেয়।
জীবন বর্ণনা..................
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
খ্যাক খ্যাক খ্যাক
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমি মাতবারি করে রেফারেন্স ছাড়াই পড়তে গিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম। ফিরে এসে লিঙ্কে গিয়ে দেখি, খাইসে !
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
- আমি আগেই রেফারেন্স পইড়া নিছি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা হা... ঝাক্কাস হইছে। ভাগ্যিস আগে লিঙ্ক পইড়া নিছিলাম।
-----------------------------------------------
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।
ফারুক ভাই, মাসুদ রানাও বুঝি বাতাস দুষিত করে!
তামিম আসলে একটু ভাব লইতে চাইসে। ইংল্যান্ডের ছাম্বাদিকগো একটু রগড়ে দেয়া আরকি!
লেখা... চ্রম।
---- মনজুর এলাহী ----
ওই কাজ মাসুদ রানা করে নাই, করেছে আমাদের নায়ক মাহরেক তামুদ
ফাহা ভাই, ফাডায়ালাইসেন গো!!!
২ কোটি তারা!
মারাত্মক !
চরমের উপর দুই নুক্তা ... ... পুরাই পাঙ্খা ... ...
===============================================
রাজাকার ইস্যুতে
'মানবতা' মুছে ফেলো
টয়লেট টিস্যুতে
(আকতার আহমেদ)
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
সিরাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চমৎকার লেখা। আগে ঐ লিঙ্ক না দেখে ভালোই করেছি, এটা মৌলিক লেখার চেয়ে কম নয় আদৌ।
"ফাহা ফেরত এলেন !!"
নতুন মন্তব্য করুন