বলছি কাগজের কাফনে মোড়া ক্ষয়িষ্ণু টেবিলের দীনতা, শাপ আর ক্লান্তি।
ফলে এখানে ওখানে রক্তের দাগ, হয়ত দাগ নয় কাগজের অভিমান-
একদা এইখানে, কেউ কবে ডায়রিতে পুরেছিল প্রেম, ভুল গানের পংক্তিমালা
জড়ানো কয়েকটা পাপড়ি, সহবাস
মাথা রেখে ঘুমিয়েছিল একটুকু হাত পেতে
অথবা ঘুণ, কেটেছিল সময়ের গেড়ো, মূলত গল্পহীনভাবে
আজ যেখানে ভর করেছে অসংখ্য আঁকিবুকি, জ্যামিতিক টান, ফর্মূলা
এবং ঝরে যাওয়া কোনো কলমের প্রাণান্ত শেষক'টি আঁচড়
জেনেছে কারো কারো প্রয়োজন
শোক, স্থিতি আর এই বোধ
কোনো কোনো মানুষ বৃক্ষের মত
কিছু কিছু ঘর দেয়ালে বন্দী।
.............................................................এই টেবিল
যার উপর ছড়ানো বই, মলিন খাতার কোণ, অভিধানগুলি
কয়েকটা বইয়ের ভাঁজে লুকানো সেবা, প্রগতি, রাদুগা
একটু হেলে গুছানো সঞ্চিতা কিংবা সঞ্চয়িতা
ছিন্নমূল কয়েকটা ক্রেষ্ট আর ক্ষয়ে যাওয়া মেডেল,
কিশোর সুকান্তের ধূসর ছবি গিলে খাওয়া কোন ম্যারাডোনা।
কোনো দৃশ্য নেই গড়ে উঠার মত, এই কোণে
একটি পড়ার টেবিল।
সেখানে একটি মানবদেহ হয়ে উঠছে একটি মানুষ।
মন্তব্য
'কিশোর সুকান্তের ধূসর ছবি গিলে খাওয়া কোন ম্যারাডোনা।'
রূপকে ভরপুর আপনার কবিতা। অনেক ভালোলাগলো। ধন্যবাদ।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
আপনার কবিতা একবার পড়লে আমার চলেনা। বারবার পড়ি, ধীরে ধীরে কবিতার রস উপভোগ করি। এটাও বারবার পড়ার মতোই হয়েছে
কবিতা, তাও ফাহার হাতে, বানান/গ্রামার ভুল হলে মানবো কেন?
দৈন্যতা হবে না, দৈন্য বা দীনতা
আঁচড়
ভাঁজে
কবিতার আইডিয়াটা চমৎকার, লিখলে এমনই লেখা উচিত।
অনেক ধন্যবাদ! ঠিক করে দিলাম। আপনি আছেন বলেই বাঁচোয়া!
আমার টেবিল বরাবর এমনই খুব অগোছালো।তবে এই টেবিলটা অন্যরকম।ছোট্ট একটা গন্ধরাজ রেখে গেলাম টেবিলটাতে।
খুব খুব মন ছোঁয়া লেখাটা!
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
নতুন মন্তব্য করুন