দ্বীপবাসী দিন ১০

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: শনি, ১০/০৪/২০১০ - ১:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
পড়ছি মুহম্মদ জাফর ইকবালের ভূত সমগ্র।

জাফর ইকবাল বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখায় যতটা পারঙ্গম, প্রতিষ্ঠিত এবং জনপ্রিয়, ভূতের গল্পে হয়ত ততটা নন। ভূতের গল্প বলে লিখেছেন পিশাচের। পার্থক্য? হয়তো ভূত কেবল ভয় দেখিয়েই খালাস, কিন্তু জাফর ইকবালের পিশাচ খালি রক্ত চায়। অনেক ভূতের গল্পই পড়েছি যাতে ভয়ের চেয়ে মজা ছিল ঢের বেশি। এই বইটাতে খালি পিশাচ, এবং এই নিম্ন প্রজাতির অপদেবতাদের নিয়ে সেরকম হাসির কোনো গল্প কিংবা যাকে বলি হাস্যরস তা চোখে পড়ে নি। খালি পিশাচঘটিত ভয় পাওয়ার ছড়াছড়ি।

সময়ের অভাব, সাথে নির্জনতারও। তাই আমার বই পড়া হয় মূলত রাতে, সবাই ঘুমিয়ে গেলে। স্বাভাবিকভাবেই, এই বইটা পড়তে গিয়ে একটু আধটু ভয়ের অনুভূতি হয়েছে মাঝে মাঝে। একদিন কয়েকটা গল্প পড়ে ঘুমিয়েছি, ছেলেটা হঠাৎ করে কেঁদে উঠেছে হয়তো কোনো দুঃস্বপ্ন দেখে। ঘুমের ঘোরেই আমি ও আমার স্ত্রী নাতাশা ওকে ঘুম নেয়ানোর চেষ্ঠা করছি। এ সময় নাতাশা বলল, রান্নাঘরের বিনের ময়লাটা বোধহয় ফেলা হয়নি, একটু ফেলে দিয়ে আসো।
লজ্জার মাথা খেয়ে বললাম, রান্নাঘরে যেতে আমার ভয় লাগছে।

ভয় ব্যাপারটা কৌতূহলোদ্দীপক তো বটেই। যেমন, পরের রাতেও একইভাবে আরো কয়েকটা গল্প পড়লাম। তারপর কি একটা কাজে ঠিকই রান্নাঘরে গিয়েছি, কিন্তু কাজ শেষে সুইচ অফ করে যেই উল্টোদিকে মুখ ফিরিয়েছি, সাথে সাথে একটা ভয় জেঁকে বসলো মাথায়। ব্যাপারটা ছেলেমানুষী, সন্দেহ নেই। কিন্তু মস্তিষ্ক তখন উত্তেজিত, স্পষ্টতই মাত্র পড়া পিশাচের লোমহর্ষক বর্ণনা আর ভয়ের কয়েকটা সিকোয়েন্স সেখানে ছাপ ফেলেছে। রান্নাঘর পেরিয়ে বসার ঘর, বাতি নেভানো, কেবল জানালার ফাঁক গলে একচিলতে বারান্দার আলো তীর্যকভাবে আছড়ে পড়ছে মেঝেতে। বসার ঘর পেরিয়ে ডানে শোবার ঘরের দরজা। বসার ঘর পার হবার সময় মনে হচ্ছিল এই বুঝি কোনো পিশাচ লাফ দিয়ে পড়ল আমার ঘাড়ে। বলতে গেলে উড়ে চলে আসলাম শোবার ঘরে।

এই বুড়োহাবড়া বয়সে ভয় পাওয়ার অনুভূতি ফিরে পাওয়ার মাঝে কেন যেন একটা আনন্দও আছে। হয়তো, ছেলেবেলায় ফিরে যাওয়ার যে অবাস্তব স্বপ্ন আমরা দেখি তার হালে একটু দোলা লাগে, সেটা না হলেও হয়তো সেরকম কিছু একটা।

বইটা পড়া এখনো শেষ হয়নি। বাড়ি ফিরে রাতে খেয়ে দেয়ে একটু সময় পেলেই বইটা খুঁজি। ইদানিং অবশ্য প্রতি রাতেই বইটা হারিয়ে যাচ্ছে। নাতাশা লুকিয়ে রাখছে বইটা। আমাকে ভয় পাওয়ার হাতে থেকে বাঁচানোর জন্য নয়, সংসারের গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ ফেলে ফালতু ভূতের বই পড়ার উপর ক্ষেপে গিয়ে।

২.
পহেলা বৈশাখ আসতে আরো কয়েকদিন বাকি। কিন্তু সেদিনটা আবার ছুটির দিন নয়। সবাই মিলে ঠিক করা হয়েছে এই শনিবার (এখন রাত আড়াইটা, শনিবার ইতিমধ্যেই এসে গেছে) সকালে পান্তাভাত খাওয়া হবে। সীমা তার অসীম অধ্যবসায় নিয়ে বাজারে গিয়ে পাঁচ পাঁচটা ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে এসেছে। বর্ণা আয়োজন করছে প্রায় পঁয়ত্রিশ জনের জন্য পান্তা, শুঁটকিভর্তা, ইলিশভাজি, আলুভর্তা আর ডাল।

আমাদের একমাত্র ক্যাডেট জাহিদ তার প্রতিভার সমস্তটুকু ঢেলে দিয়ে সবাইকে দু দুটো মেইল পাঠিয়েছে দাওয়াতের, অবশ্যই যারা যারা আয়োজনে তাদেরকে সে একহাত দেখে নিতে ভোলেনি। সব কাজ ভাগ করে দিয়ে নিজের ভাগে নিয়েছে ছবি তোলার দূরূহ (!) কাজটি।

পান্তা শেষে একটু ঝিমানো, তারপর সবাই মিলে ক্রিকেট খেলার পরিকল্পনা। বৃষ্টি না হলে ম্যাকরিচি রিজোরভয়ারে গিয়ে ক্যানোয়িং। কিন্তু গৌতম দা তিনদিন আগেই তার অব্যর্থ ভবিষ্যতবাণী দিয়ে বলেছেন, শনিবার সারাদিন কুকুরবিড়াল বৃষ্টি হবে। ফিচকে জাহিদ গৌতমদাকে এইজন্য বিশিষ্ট আবহাওয়াবিদ উপাধি দিয়ে ফেলেছে। কালকে পান্তা খেতে খেতে তাদের মধ্যে একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ বাতচিত হবে সেই আশায় আছি আমরা।

আজকে বৈকালিক চা পানের আড্ডায় সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের পক্ষে বিস্তর বাক্য খরচ হয়েছে। কিন্তু টিউশনির বাংলা কি সেটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলোনা। সাঈদ বলল, টিউশনির বাংলা নাকি প্রাইভেট পড়া। তারপর, ঝামেলা বাঁধলো কুপনের বাংলা কী সেটা নিয়ে। আমার কেন যেন মনে হচ্ছিল, কুপন নিজেই একটা বাংলা শব্দ। অসীমের রুমমেট উচ্চমাধ্যমিকে বাংলায় লেটার পাওয়া লোক, সেই দাবিতে সে বাংলা বিষয়ক যে কোনো আলোচনায় বিরাট ভাবে থাকে। যেনো রুমমেট নয়, সেই লেটার পেয়েছিল। তার মতে ইংরেজিতে যে 'কুপন' শব্দটি আছে সেটি আসলে বাংলা ভাষা থেকেই ইংরেজিতে ঢুকেছে, যেমন সেন্টু মতিন থেকে হয়েছে সেন্টমার্টিন। ফুটবলের বাংলা পদক্রীড়াকুন্ডলী জানা গেলেও ক্রিকেটের বাংলা পাওয়া গেল না। শিমুল জানালো যে সে কালকে তার যান্ত্রিকদ্বিচক্রযানে চড়ে পান্তা খেতে আসবে।

৩.
শনিবারের ছবি পাওয়া যেতে পারে পরবর্তী পর্বে। না দিতে পারলে জানবেন, সবাই পান্তা খেয়ে চলে যাবার পর জাহিদকে একহাতে লুঙ্গির গিঁট ঠিক করতে, আরেক হাতে চোখ ডলতে, আর এই বলতে দেখা গেছে, পান্তা দে, নইলে পাউরুটি খাবো কিন্তু। ছুটির দিনে জাহিদের সকাল আরম্ভ হয় বেলা দেড়টা থেকে।


মন্তব্য

মর্ম এর ছবি

সেন্টু মতিন থেকে সেন্ট মার্টিনস! বাহ্ বাহ্! দেঁতো হাসি

ঐ দুটো শব্দ লেখার জন্যও বরাদ্দ রইলো। হাসি

ভীনদেশে বৈশাখ উত্‍সব আনন্দময় হোক।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নাশতারান এর ছবি

কঃ
স্কুলের দিনগুলোতে মুহম্মদ জাফর ইকবালের একটা পৈশাচিক গল্প পড়ে যারপরনাই ভয় পেয়েছিলাম। গল্পের নাম "সুতোরন্তু"।

খঃ
"ঘুম পাড়ানো" শুনেছি। "ঘুম নেয়ানো" এই প্রথম শুনলাম। হাসি

গঃ
টিউশনির বাংলা সম্ভবত গৃহশিক্ষকতা। আর কুপনের বাংলা প্রমাণ-পত্র।

ঘঃ
চেষ্ঠা > চেষ্টা, কৌতুহল > কৌতূহল, ইদানিং > ইদানীং, ধৈর্য > ধৈর্য্য, পয়ত্রিশ > পঁয়ত্রিশ,
শুটকি > শুঁটকি, ইলিশভাজি > ভাজা ইলিশ (ভাজি=ভাজা তরকারি), দূরহ > দুরূহ,
বাধলো > বাঁধলো, কুপনের বাংলা কি > কুপনের বাংলা কী, গিট > গিঁট, গ্যাছে > গেছে

ঙঃ
পয়লা বৈশাখে পান্তাভাত খাওয়ার সপক্ষে আপনার যুক্তি কী? কৌতূহলবশত জানতে চাইছি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ফারুক হাসান এর ছবি

বানানের জন্য ধন্যবাদ। মনে মনে আপনাকেই খুঁজছিলাম হাসি আপনি নিশ্চয়ই বাংলায় লেটার পাওয়া লোক!

বহুদিন পান্তা খাই না। আজকে খাবো ভেবেই জিবে জল আসছে।

নাশতারান এর ছবি

জ্বি না। এস এস সি, এইচ এস সি কোনটিতেই আমি বাংলায় লেটার পাই নি। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক [অতিথি] এর ছবি

ধৈর্য্য - এই বানান কোথায় পেলেন, জানতে পারি? কোনো ডিকশনারিতে চোখে পড়ল না। সবখানেই ‘ধৈর্য’ দেখছি।

নাশতারান এর ছবি

দৈর্ঘ্যের সাথে গুলিয়ে ফেলেছিলাম। সংশোধনীর জন্য ধন্যবাদ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@বুনোহাঁস

"ঝামেলা বাধলো" হবে, মনে হয়। কোনওকিছু "initiate", "start", "provoke", "cause"-এর ক্ষেত্রে "বাধানো" হবে। যেমন- যুদ্ধ/লড়াই/মারামারি/ঝগড়া ইত্যাদি "বাধানো", "বাঁধানো" নয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে, যেসব জায়গায় "বন্ধন" বোঝায়, সেসব ক্ষেত্রে "বাঁধানো"। যাই হোক, এইটা একটু নিশ্চিত হয়ে নিয়েন আর কি। হাসি

নাশতারান এর ছবি

"ঝামেলা বাধলো" হবে। আমি আবার বেশি তালেবর। ঝামেলাকে গিট্টু ভেবে বেঁধে দিয়েছি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে ব্যাপার নাহ্। আমরা আমরাই তো হাসি

নাশতারান এর ছবি

আমার মনে হয় বানান নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে মাথা আউলায় যাচ্ছে। মাঝে মাঝে কিছু আউল ফাউল ভুল করছি। Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তিথীডোর এর ছবি

একটু আগে মূলোদার পুরোনো পোস্ট থেকে জানলাম,
>তীর্যক নয়, হবে তির্যক হাসি

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভালো মনে করছেন তো! পঞ্জিকার পাতা উল্টায়ে দেখলাম, আজকে দশ তারিখ। মানে আর বেশি দিন নাই।

পান্তা (আমি প্রথমবার পড়লাম পাস্তা। মনে মনে অবশ্য গালিও দিছি, হালায় উকিল ভাই বৈশাখের সকালে পাস্তা খাইবার চায় ক্যান!) তো চাইলেই খাওয়া যেতে পারে, প্রতিদিনই। ভাত রান্না করলে তা প্রায় প্রতিবারই উচ্ছিষ্ট থাকে কিনা! দেঁতো হাসি

ফটুক দিয়েন। আপনের খোমার দেওনের দরকার নাই। খাওনদাওনেরটাই দিয়েন। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তিথীডোর এর ছবি

আজ পর্যন্ত পান্তা আর পাস্তা কোনটাই খাই নি, না ঘরকা না ঘাটকা অবস্থা আর কি... মন খারাপ

জাফর ইকবালের 'প্রেত' বেশ ভাল্লেগেছিলো তবে ভয় লাগেনি! চোখ টিপি

ওঁয়া ওঁয়া বানানগুলো ঠিক করে নিন!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কাকুল কায়েশ এর ছবি

আহ ভাল লাগল লেখাটা খুব। আমার খুব কাছের কিছু লোকজনের নাম শুনে আরো চমৎকার লাগল! গৌতম, শিমুল, অসীমদেরকে খুবই মিস করি!

অবশ্য তোমার লেখাটা পড়ে একটু হিংসাও হচ্ছে যে, তোমরা আজকে সবাই একসাথে আড্ডা দিবা! আমার হয়ে এক নলা পান্তা শিমুলের মুখে ঠেঁসে দিও!

আর হ্যাঁ, ফটুক আপলোড কইরো!
========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

অতিথি লেখক এর ছবি

বাচ্চাদের জন্য লেখা জাফর ইকবালের ভুতের গল্পগুলো আমার কাছে অবশ্য ভালোই মনে হয়েছে। অন্ততঃ সমসাময়িক বেশিরভাগ লেখকের চেয়ে ভালো লেগেছে। আর আপনি ভয় পেয়েছেন যেহেতু, বইটা সার্থক। তাছাড়া, বাচ্চারা ভুত, পিশাচ, যক্ষের মধ্যে পার্থক্য করে বলে মনে হয়না।

কিন্তু পান্তার কথা শুনে পান্তার খিদা লেগে গেল যে।

-আতিউর

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমি একলা থাকি এখন। তাই মাঝে মাঝে ভুতের ছবি দেখে গা ছমছম করে। তবে পাত্তা দিলেই পাত্তা, না দিলে নাই।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমার এই বুড়া বয়সেও অনেক ভয় লাগে। অনেক সময় তো রাতে ঘুম ভাঙলে মনে হয় বিছানার পাশে বা নিচে কেউ আছে! এরকম আরও অনেক ছেলেমানুষি ব্যাপারস্যাপার খাইছে

বিশেষ করে ভয়ের কোনও বই পড়লে বা সিনেমা দেখলে তো এখনও যে ভয় পাই! হাসি

তিথীডোর এর ছবি

সীমান্ত রক্ষী এত্তো ডরাইলা হলি চলপে? চিন্তিত

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শাস্ত্র বলে, বিয়ের বয়স কাছাইলে ডর ডর লাগে। তখন বিডিআর, র‌্যাব, আর্মি— এগুলাতে কি আর সেই ডর আটকানো যায়?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হ, কৈসে আপনেরে! নিজে কয়টা বিয়া করসেন? রেগে টং

তিথীডোর এর ছবি

বুদ্ধিমানেরা দেখে শেখে, খাইছে বোকারা শেখে ঠেকে!

[সাপোর্ট যখন দিমু, তখন দু'দিকেই দিমু চোখ টিপি ]

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বিয়েশাদীর ব্যাপারে পিচ্চিদের কথা বলতে মানা দেঁতো হাসি

তিথীডোর এর ছবি

এইরাম ভরা মজলিশেও আমনে মোরে 'পিচ্চি' কইলেন! রেগে টং
নাহ্, মুই আর খেলমুই না...

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

রাগ করে খেলা বাদ দেয় যেনো কারা? দেঁতো হাসি

তিথীডোর এর ছবি

বড় আর বুড়োরা!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শেখ নজরুল এর ছবি

বেশ ভালো লাগলো।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমরা পটলাক করব; পহেলা বৈশাখে পান্তা হয়তো খাওয়া হবে না, তবে এক বাসায় জড়ো হবো.. এই আরকি। ছবি দিয়েন।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌পহেলা বৈশাখে ইলিশ মাছে ডিসকাউন্ট থাকলে খবর দিয়েন হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ফুটবলের বাংলা পদক্রীড়াকুন্ডলী আর সেন্টুমতিন পড়ে হাস্তে হাস্তে শ্যাষ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বিবাগিনী এর ছবি

সেন্টু মতিন??? হো হো হো

আমারো ভয় লাগে মাঝে মাঝে খুবই।আমি ওয়েলসে থাকতে বাসায় কেউ না থাকলে চরম জোরে রেডিও চালিয়ে রাখতাম।বেডরুমে যেতে সিড়িতে দেয়াল ঘেঁষে উঠতাম।‌‌সব বাতি জ্বেলে রাখতাম।একদম মানায় না আমাকে এইসব মন খারাপ

পহেলা বৈশাখ খুব সুন্দর কাটুক এই কামনা আপনাকে হাসি

::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ক্রিকেট মানেই ঝিঁঝিঁ, টেনিদা তে ছিল মনে হয় দেঁতো হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।