'১২ বছরের একটা মেয়ে, আমার ছোট্ট মা। চোখে স্বপ্ন, দিগন্ত ছাড়িয়ে যায় মাঝে মাঝে। অনেক কিছুই তার বোধশক্তিতে আসেনি এখনো অথচ এই ছোট্ট মা আমার স্কুলে প্রতিদিন যাওয়া-আসার মাঝে বাজে ইঙ্গিত আর বাজে কথার (ভদ্রলোকেরা এইটারে বলে “ইভ টিজিং”) মুখোমুখি হচ্ছে হারামিদের কাছ থেকে। এই হারামিদের কোন শাস্তি হয় না, এরা প্রতিনিয়ত এই ছোট্ট মায়ের স্বপ্নে দানব হয়ে আসছে, এদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারি না, ভয় লাগে লাশ হয়ে যাওয়ার। এই হারামিদের শাস্তি চাই।'
এক মায়ের ছুড়ে দেয়া এই শব্দগুলি আমাকে ক্রোধে প্রজ্বলিত করতে চায়। কিন্তু হায়! আমাদের বোধগুলিকে ছুটিতে পাঠিয়ে নিজেরা যে বধির হয়ে বসে আছি, আর আমাদের অন্তঃস্থ অঙ্গার ভিজে গেছে অসহায় অনুভূতির জলে। বিবেকের কাছে টিকে থাকতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আমার যে বন্ধুটি ঐ কথাগুলিকে শেয়ার করেছে আজ, সে বেশ আবেগপ্রবণ- এই কুযুক্তি দিয়ে নিজেকে কেবল প্রতারিত করতে চেয়েছি।
আমরা সূক্ষ্মভাবে কিছু নারী নিপীড়ন/নির্যাতনের ফর্মেটকে ইভ টিজিংয়ের মত একটা লঘু নামে ট্যাগ করে ফেলেছি, যদিও ইভ টিজিং শব্দগুচ্ছের বুকে ধারণ করার কথা ছিল নিপীড়ন কিংবা নির্যাতনের প্রতিশব্দ। এখন সেটা হয়ে গেছে কেবল ফাজলামি। এমনভাবে আমরা ইভ টিজিং শব্দটাকে উচ্চারণ করি যেন এটি পানের পিক ফেলে দেয়াল নষ্ট করার মত একটা লঘু বদভ্যাস, সমাজের ক্যান্সার বলতে একদম রাজি নই। এই ফালতু ইংরেজি শব্দযুগল যেন আমাদের পুরো সমাজকেই টিজিং করছে, পরিহাস করছে। দরকারের সময় উচিত শব্দ খুঁজে না পেলে ভদ্রলোকেরা তোতলানো ইংরেজি বলেন, আর আমরা বিলেতি শব্দ বলি দোষ ঢাকতে। আহারে! আমাদের কোমলমতি পেয়ারের পোলারা কি নির্যাতন করতে পারে? না হয় একটু টিজই করলো। ধারালো কোনো বাংলা শব্দ কি সমাজপতিরা, সমাজ বিজ্ঞানীরা, সাংবাদিকরা খুঁজে পান নাই? নাকি সরাসরি ‘যৌন নিপীড়ন’ বা ‘নির্যাতন’ বলতে মুখে বাধে, শরম লাগে? শরম তখনি লাগে, যখন কথাটা গায়ে লাগে। ভাসুরের গায়ে যাতে না লাগে সেইজন্যই মিষ্টি একটা নাম দিয়েছি – ইভ টিজিং! ‘বখাটে’ শব্দটাতো আরো মিষ্টি, ‘অপরাধী’ বলার চাইতে তা অনেক বেশি চুইট। আজকে যে বখাটে তরুণ, কাল সে মস্তান, পরশু সে টেন্ডারবাজ, এলাকার মা-বাপ। কিছুদিন পর হয়ত মায়েরা গর্ব করবে, তাদের ছেলেরা একেকজন অতি উচ্চমানের বখাটে তরুণ হয়ে উঠছে বলে।
মূল্যবোধের রসাল ফেনা আমাদের ঠোঁটের কোণায় নিয়ে আমরা হয়ত ভাবছি এসব ঠিক হয়ে যাবে। লাঞ্ছনা কি সাময়িক? হয়ত তাই! যেমন আমাদের কাছে সাময়িক হয়ে উঠছে ঢাকার চতুর্দশী পিংকির আত্মহত্যার খবর, যেমন সাময়িক রামপুরার ইলোরা, মিরপুরের ফাহিমার জীবন। হয়ত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা
একজন সিমি’র এই চিরকুটটিও আমাদের কাছে সাময়িক প্রলাপ মাত্র – ‘ওদের অপমান একজন মেয়েকে রাস্তায় ফেলে রেপ করার চেয়েও নির্মম’।
এই সমাজের বাতাস আজ দূষিত হয়ে গেছে, সেখানে সিমিদের বেঁচে থাকার কোনো অক্সিজেন নেই। আর আমরা নপুংশকেরা আমাদের প্রতিরোধের ভাষাকে গলা টিপে হত্যা করেছি। আর যতদিন না নিজের মেয়ে কিংবা বোন জীবন দিয়ে আমাদেরকে পাথর বানাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমরা আত্মপ্রসাদে ভুগবো- আরে, আমাদের ওরা তো স্মার্ট, ওদেরকে কে টিজ করবে! আমরা কখনো কেবল চোখ তুলে ওদের চোখের দিকে তাকাতে পারবো না। সেই লজ্জাটুকু গ্রহন করার মত মনুষ্যত্বও আর আমাদের নেই আজ।
মন্তব্য
...........................
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
মনটা বিষন্ন হয়ে গেল ফারুক ভাই।
কথাগুলো সত্যি। খুবই সত্যি। আর সে জন্যেই আরো বেশি কষ্টদায়ক।
কিন্তু এই রোগের হাত থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? এই রোগটি আমরা বয়ে নিয়ে চলেছি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। আমার বাবার সময় থেকে আমার সময় হয়ে, হয়ত আমার সন্তানের সময়ের বহু পরেও এই ধারা চলতে থাকবে। কিছু দিন পর পর আমরা পত্রিকার পাতায় দেখি অসহায় বালিকার আত্মহনন। কিছু মৃদুকন্ঠে চুক চুক করা। আফসোসে মাথা নাড়া। তারপর আবার বিস্মৃতি--যতখন না আরো একজন সিমি আমাদের পাথর চোখে সামনে নির্বাপিত হয়।
এই রোগের কারণটা কী? প্রতিরোধের উপায়ই বা কী?
এই রোগের কারণ কি আমাদের আড়ষ্ট সমাজব্যবস্থা ? নাকি পর্যাপ্ত সহশিক্ষার অভাব? নাকি আমাদের কিছু প্রাথমিক মূল্যবোধের অভাব? নাকি এইটা আমাদের উপমহাদেশের সংস্কৃতির অংশ?
আমার মতে, মেয়েরা পৃথিবীর সব খানেই কম বেশি নির্যাতিত,শৃংখলে আবদ্ধ। তাদের পায়ের শেকলটা কতটুকু দীর্ঘ সেটা নির্ভর করে সেই সমাজব্যবস্থা কতটুকু 'প্রাগ্রসর', কতটুকু 'আধুনিক' তার উপর। আজ আমার শহরে (ডেলাওয়ার,যুক্তরাষ্ট্র) আমি জানি একটা মেয়ে রাত বারোটার পরেও নিশ্চিন্তে একা হেঁটে ফিরতে পারবে বাড়ি। সেটা কি যুক্তরাষ্ট্র বলে? নাকি এইটা একটা ইউনিভার্সিটি শহর বলে?? আমি নিশ্চিত যুক্তরাষ্ট্রের সব শহরে মেয়েরা এই সুবিধা ভোগ করে না। কিন্তু একটা মেয়ে স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছে আর তাকে ধাওয়া করে আসছে কিছু কামাতুর হায়েনার দল---এই দৃশ্য এখানে সংঘটিত হবার সম্ভাবনা অনেক কম।
কেন? আমার মতে আইনের শাসন এবং আইন প্রয়োগের সুব্যবস্থা থাকার কারণেই এই তফাত। যে জিনিসটা করে আমার দেশে ঐ লোলুপ-লুম্পেনগুলো পার পেয়ে যাচ্ছে অনায়াসে---সেইটা অন্যদেশে হবার সম্ভাবনা খুবই কম। আর সেইটাই মেয়েদের জন্যে নিরাপত্তার অনুভূতি এনে দিচ্ছে।
আমার ধারণা আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরো বেশি প্রো-একটিভ হতে হবে। তবে মূল সমস্যার সমাধান এইভাবে হওয়া সম্ভব না। আইনের হাত সবখানে গিয়ে পৌছায় না।
একমাত্র মানবিকতার উদ্ভাসই পারবে আমাদের মাঝের এই নরপশুর নিধন করতে। আর সেইটা সচেতন সাধনার বিষয়, চর্চার বিষয়।
অনিকেত দা, মানবতার উদ্ভাস কখন হবে? এই অথর্ব সমাজ ভেঙ্গে পড়ার পর? আর কবে আমরা মানবিক হবো, আর কয়টা লাঞ্ছনা-নির্যাতন-মৃত্যুর পর?
সত্যি করে বলি, ঐ পশুগুলোকে কিভাবে থামানো যায় আমি জানিনা, হয়তো আরো অনেকেই জানেনা।
কিন্তু কিছু পোশাক পরা পশু আমাদের আশেপাশেই থাকে, ওদের কি থামানোর চেষ্টা করেছি আমরা?
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে আসা কটা ছেলে বুকে হাত রেখে বলতে পারবে- "কোন মেয়েকে আমি কখনো বিরক্ত করিনি"!? পাড়ার মোড়ে বন্ধুদের আড্ডা থেকে মন্তব্য ছুড়ে দেয়ার 'নির্দোষ বিনোদন' বন্ধ করিনি এই 'শিক্ষিত' আমরাই, অমানুষগুলো বন্ধ করবে কোন দুঃখে?!
আমরা আরেকজনের মেয়ে মা বোন স্ত্রী বন্ধুকে রেহাই দিইনি, আরেকজন আমাদের মেয়ে মা বোন স্ত্রী বন্ধুকে রেহাই দেবে সে আশা কিভাবে করি?
ধিক, ঐ অমানুষগুলোর জন্য, আর তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি অমানুষের অধম ঐ 'মানুষ'গুলোর জন্য।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ঠিক কথাগুলো বলার জন্য
কিছুই বলতে ভালো লাগে না, শুধু দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে যায।
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
সমস্যাটা সমাধানের পারিবারিক কোন উদ্যোগ কখনো শুনিনি/দেখিনি। যেমন, কোন একটি পরিবারে যদি কোন বোন না থাকে তাহলে ওই ভাইদের জন্য কোন অলিখিত গাইডলাইনও থাকে না। আবার কেবল, বোন থাকলেই যে সব ঠিক হয়ে যাবে তাও নয়।
আমার মনে হয়, ছেলেদের সাথে বাবা-মা দের সচেতনতাও বেশী দরকার- যেটা এখনো চোখে পড়ে না। কারণ এখনও অনেক পরিবারে ছেলে মানেই সোনার চামিচ- সেটা সোজাই হোক আর বাঁকাই হোক। তাই তাদের সাতখুন মাফ।
দূরের তেপান্তর
বাবা-মা তো সচেতন, তবে সেটা কীভাবে নিজের বখাটে ছেলেকে রক্ষা করা যায় কেবল সেই সচেতনতাটা আছে। নিন, প্রথম বখাটে বাবা হিসেবে শহীদ হবার খবরটা পড়ুন।
যখন স্কুলে ছিলাম, দেখতাম সহপাঠীদের এমনটা করতে, বাজে লাগতো। পাশেই ছিল বালিকা বিদ্যালয়। তাই, সুযোগ অফুরান। এনিয়ে তো একবার সিনিয়র জুনিয়র কাড়মাকাড়মিই বেধে গেলো। ওদের কাছে এগুনোর কারণ (শিস, মন্তব্য) জানতে চাইলে বলতো, "আরে, মেয়েরা এগুলো পছন্দ করে।" আমি বেকুব ভাবতাম হবেও বা। কিন্তু, মাথায় আসতো না কিভাবে একজন নিজের সম্মান ভূম্যবলুণ্ঠিত হতে দেখে আনন্দ পায়। তবে, মজার ব্যাপার, এথেকে কারোর কারোর ভবিষ্যৎ প্রেম পর্যায় পর্যন্ত গড়িয়েছে বলেই জানি।
কিন্তু, এখন আর নির্দোষ বাক্যাবলীতে সীমাবদ্ধ নেই বোধহয়। একবার স্ত্রীর সাথে রাস্তায় বেরিয়েছে আমাদের পাড়ার রাস্তাতেই। পরে যা হলো, তা আর বলতে চাই না। আমার নপুংসকতার কথা জনে জনে বলে লাভ কী? সামান্য কিছু অভিজ্ঞতা আছে বোনের সাথে বেরিয়েও। ভাবলে এখনো প্রচণ্ড নিষ্ফল ক্রোধে বৃথাই অসুস্থ হয়ে পড়ি।
আইনের শাসন? হাসাইলেন ম'শয়, নিতান্তই হাসাইলেন! দাঁড়ান একটু হেসে নেই প্রাণখুলে...
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
আইনের শাসনেরও দরকার আছে বৈকি। নইলে অপরাধীদের শাস্তি দেবে কে?
সবাই দেখি খালি হতাশ, আর নিজেরে ধিক্কার জানাই। কিন্তু কেউ কোনো উপায় কেন বলি না! আইনের শাসন, শিক্ষা, সমাজ সংস্কার, ধোলাই, চড় থাপড়, কানে ধরে উঠবোস - একটা কিছু উপায় তো থাকবে এই ক্যান্সারকে তাড়াতে?
একমাত্র চিকিৎসা: ধরে খোঁজা বানিয়ে দেওয়া
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
শেষে না গাঁ উজাড় হয়ে যায়!
গাঁ উজার হলেও কিছু করার নাই। মিষ্টি মিষ্টি কথায় তো চিড়া ভিজলো না। এখন তো অন্যদিকে তাকাতেই হবে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ক্যান্সারের চিকিত্সা কেমোথেরাপি দিয়ে শুরু করতে হবে আর কোনকিছুতেই কিছু না হলে দুষ্টকোষ উত্পাটন ছাড়া আর গতি থাকবেনা কোন।
এককালে শিখতে হয়েছিল 'আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শেখাও'। ধর্ম ও কাউকে বলার আগে নিজে করার কথাই শেখায়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ ডেভ হোয়াটমোরের 'Individual development' তত্ত্বই বোধ হয় সবচেয়ে তাত্ক্ষণিক সমাধান হতে পারে। যাত্রা শুরু হতে পারে একান্তই নিজের মনে, এরপর পরিবারের সবাই, বন্ধুরা... আর কিছু না হোক অন্তত ঘৃণা করতেও শিখি এসব অপরাধকে সেটাও বিরাট একটা ব্যাপার হবে।
এ ব্যাপারে পারিবারিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই, অন্তত আমার মনে হয়না।
প্রশ্ন একটাই, কেমোথেরাপি কি আমরা এখনই শুরু করব নাকি সবাই মিলে আরো একটা দিন পিছিয়ে গিয়ে দেশের কোন এক কোনে কোন এক প্রাণ ছিনিয়ে নেয়ার খেলায় নিজের নামটাও যোগ করব?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
এ বিষয়গুলোর মুখোমুখি না হলে এর সত্যিকার অনুভূতি বোঝা কঠিন । এ প্রসংগে কিছুদিন আগের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার না করে পারছি না । হঠাৎ করেই একদিন অপরিচিত নাম্বারের ফোন পাই । কথা শুনেই বুঝি অফিসিয়ালি পরিচিত কেউ হবে । তো ফোনকর্তা আমার সাথে দেখা করতে চায় কিন্তু পরিচয় দেয় না । তো স্বাভাবিকভাবেই না করে দেই আমি। এর কিছুদিন পর ঐ নাম্বার থেকে মেসেজ আসে যার ভাষা অনেকটা এরকম-"টাকার বিনিময়ে তোমার সাথে ফূর্তি করতে চাই । গোপনে সমস্যা কোথায় ?? লাভও হবে, ফূর্তিও হবে"
অনেকে হয়তো ভাববেন আমারো কোন সমস্যা নিশ্চয়ই আছে ।।।অথচ আমি নিজেকে একজন অতি প্রাচীনপন্থী বলেই মনে করি । আর তাই এ ঘটনার পর মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি । নিজেকে অতি নোংরা মনে হতে থাকে । এর আগে অন্যসবার মত আমিও ভাবতাম যে মেয়েরা আত্মহত্যা করে সামান্য ইভটিজিং এ তারা খুব ইমোশনাল নয়তো বোকা । কিন্তু নিজের ক্ষেত্রেও প্রথম যে চিন্তা করেছিলাম সেটা এ রকমই কিছু । ধিক্কার জানাই এসব নরপশুদের!!!!!!!!
আপনার এই ঘটনাটি যদি অন্য দেশে যেমন সিঙ্গাপুরে ঘটতো, তাহলে আপনি পুলিশের ধারস্থ হয়ে ঐ জানোয়ারটিকে শায়েস্তা করতে পারতেন। প্রমাণ তো ছিলই - মোবাইলের ম্যাসেজটি। পুলিশ ঠিকই নম্বর ধরে অপরাধীকে বের করে ফেলত।
আর আমাদের দেশের কথা ভাবুন!
এ থেকে উত্তোরণের কোনো না কোনো উপায় নিশ্চই আছে। ভাবছি, সেটা কী?
আমার কোন ছেলে নেই বলে আমার এতটুকু আফসোস হয়নি কখনো। বরং একটা স্বস্তি আমার যে, বদ একটা ছেলে পালার থেকে একগন্ডা মেয়ের মা হওয়াও ভালো। কেননা, মেয়েদের ঠিকমত গাইডেন্স দিতে পারলে ওরা সহজে মানুষ হয়, মেয়েদের মানবিকতা বোধ এবং মা-বাবা-সমাজ-সামাজিকতা বোঝার ক্ষমতা একটু হলেও বেশী (দু একটা ব্যতিক্রম ভিন্নকথা)।।
আমি কেবল ভাবি আমার মেয়েদের ঐ বয়সটাতে যেন বাস্তব বুদ্ধি একটু বেশী হয়। যাতে আবেগে বোকার মত ভুল না করে। যেটা আইন দিয়েও থামানো যাচ্ছেনা সেটা যেন আমার মেয়েরা মনের জোড় দিয়ে উপড়ে ফেলে পথ চলতে পারে। একজন মা হিসেবে এছাড়া আমি আর কি-ইবা করতে পারি!
মাইরের উপরে ওষুধ নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গুরু, একমত
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
যথেষ্ট সময়াভাবে আগে মন্তব্য করতে পারি নাই, কারণ মন্তব্যটা বিশাল বড় হবে। যাই হোক, বলতে চাচ্ছিলাম যে -
আমরা প্রথম শিক্ষা লাভ করি পরিবারে। পরিবার থেকেই কিন্তু নৈতিকতা বোধ সৃষ্টি হয়। আমাদের ছেলেমেয়ে, ভাইবোনদেরকে শেখানোর, বোঝানোর এবং সচেতন করার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে, বাইরের লোকের উপর নির্ভর করলে চলবে না।
আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতে হবে সুষ্ঠুভাবে। এখন যেহেতু আপাতত এইটা প্রায় অসম্ভব ব্যপার, আমার মনে হয় মেয়েদের নিজেদেরও কিছু করণীয় আছে।
প্রথমত আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে মেয়েদের একটা বড় শতাংশ ভয় পায় যেকোন রকম অন্যায়, অবিচার, বা অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে, রুখে দাঁড়াতে। আরেকটা বিষয় হল অধিকাংশ পরিবার থেকেই বারবার বলা হয় কোন রকম ঝামেলায় জড়াবে না, সাবধান থাকবে, গোলমাল দেখলে দূরে থাকবে – এইটা সাবকনশাসলি অনেক বেশি কাজ করে মনে হয়। কারণ একটা মেয়েকে কেউ জ্বালাতন করছে দেখলেও অন্য মেয়েরা এগিয়ে যায় না। অথচ দেখেছি দলবদ্ধভাবে থাকলে অনেক সময়েই দেখেছি জ্বালাতনের শিকার হতে হয় না। এই যে অন্যকে সাহায্য না করার প্রবণতা এইটা কিন্তু এক্ষেত্রে বেশ খারাপ ভূমিকা রাখে বলে আমার মনে হয়। একটা কথা মনে রাখা জরুরি অন্যায়কারীরা আদতে ভীতু হয়, তারাও জানে তারা ভুল করছে, আর সম্মিলিত প্রতিবাদ তাদেরকে বেশ ভাল শিক্ষা দিতে পারে বলে আমি দেখেছি।
এছাড়া মেয়েদেরকে কিন্তু নিজেদেরকেও সাহসী হতে হবে। সারা জীবন আমার বড় ভাই, মা বা বাবা আমাকে আমার স্কুলে পৌঁছে দেবে, কলেজ থেকে নিয়ে আসবে, বা আমাকে রাস্তায়, নিজের বাসার গলিতে কেউ উত্যক্ত করতেই থাকবে আর আমি ভদ্রতার পরিচয় দিয়ে, আমাকে লক্ষী হয়ে থাকতে বলা হয়েছে তাই প্রতিবাদ করব না, প্রয়োজনে মাইর লাগাব না, মাথা নিচু করে চলে আসব, এটাতে আমার সারা জীবনের জন্যেই মাথা নিচু করে থাকা ট্রেইনিংটাই পাকাপোক্ত হবে, আর কোন লাভ হবে না।
অন্যায়, অত্যাচার ভয় দেখান কিন্তু তার উপর করেই আনন্দ পাওয়া যায়, যে আসলে ভয় পায়। কথাটা দুঃখজনক হলেও একটা ধ্রুব সত্য হল প্রতিটা মানুষের নিজের সমস্যার সমাধান তাকে নিজেকেই করতে হবে, বাইরের লোক বা অন্য কেউ সাময়িক সাহায্য করতে হবে, কিন্তু সেটা চিরস্থায়ী হবে না। কাজেই নিজেকে সাহসী হতে হবে। এবং হ্যাঁ কোন কোন ক্ষেত্রে আসলেই মাইরের উপর অষুধ নাই!
আমি নিজে কিন্তু ভায়োলেন্স পছন্দ করি বা উৎসাহ দিতে চাচ্ছি তা নয়। তবে নিজে মেয়ে হিসেবে আমি বলব মেয়েদেরকে মানসিকভাবে আরো শক্ত হবার দরকার আছে, আরেকজন মেয়েকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাবার সৎ সাহস এবং সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া যে খারাপ কাজ নয় সেটা বুঝবার প্রয়োজন আছে এবং সম্ভব হলে বেসিক আত্মরক্ষার ট্রেনিং নিয়ে রাখতে হবে (এটা শুধু টিজিং-এর জন্যে না, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতির কারণে ছিনতাইকারী, মাগার এদের হাত থেকে বাঁচতেও দরকার)। কিন্তু যা অবস্থা এখন, প্রতিবাদের ফলস্বরূপ আরও বেশি অন্যায় ও অত্যাচারও হতে পারে, তার জন্যেও মানসিক প্রস্তুতি ও মোকাবেলা করবার সাহস এবং ক্ষমতা অর্জন করতে হবে! আর পারিবারিকভাবেও বোঝার দরকার আছে যে মেয়েটার দোষ না, বরং নিজের পরিবারের মেয়েটার পাশে পরিবারের একজন হিসেবে দাঁড়াবার, তাকে সাহস দেবার, মাথা উঁচু করে চল্বার, অন্যায়ের প্রতিবাদ করবার, আত্মসম্মান, আত্মরক্ষা শেখাবার কিছু দায়িত্ব আছে পরিবারের অন্যদেরও। এসিড সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে যেমন আমার বক্তব্য হল প্রশাসন যদি ব্যর্থই হয় আমাদের মেয়েদেরকে রক্ষা করতে, তাহলে অত্যাচারিত ঐ মেয়েটার এবং তার আপনজনদেরই উচিত ঐ নরপশুদেরকে বালতি ভরতি এসিডে চুবানোর ব্যাবস্থা করা! দু-চারজনকে যদি এই ট্রিটমেন্ট সাহসিকতার সাথে,তার পাপকর্মে সহযোগিতা করা সাথীদেরকে সহ এবং ক্ষেত্র বিশেষে ঐ ক্রিমিনালদের বাবা-মা, বড় ভাই-বোন সহ দেয়া যায়, আর তা এসিডদগ্ধ মেয়েটাকে মিডিয়া যেভাবে কভারেজ দেয় অমনিভাবে আবার কভারেজ দিতে পারান যায়, বাকি সম্ভাব্য ক্রিমিনালরা সোজা হবে অনেকাংশে, হয়ত প্রশাসনেরও টনক নড়বে!
আরো কিছু কাজ করা যায়, মেয়েদের স্কুল-কলেজের আশে পাশে যেহেতু ঘটনা বেশি ঘটছে বলে দেখি, কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজেরও কিছু দায়িত্ব আছে, যা এড়ান ঠিক হচ্ছে না। স্কুলের গভার্নিং বডি ও অভিভাবকরা মিলে কিন্তু সিকিউরিটির ব্যবস্থা করতে পারেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, সাহসী মহিলা প্রাইভেট গার্ড সিস্টেম থাকবে স্কুলের নিজস্ব। স্কুলের আশেপাশে অনাকাংখিত জটলা, স্কুলের নির্দিষ্ট পরিধির মাঝে উত্যক্ত করবার কোন রকম নিদর্শন পেলেই স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কিন্তু আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী প্রশাসন হতে অনুমতি নিয়ে রাখতে পারে, হয়ত তারা খুশি হয়েই সাহায্য করবেন? এখানে হয়ত প্রাইভেট টিউশন আর কোচিং সেন্টার-এর ক্ষেত্রে কী করা যাবে সেই প্রশ্ন আসে, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি এই দুইয়েরই বিপক্ষে বলে তুলছি না সে প্রসঙ্গ। তবে মেয়েরা একসাথে কয়েকজন মিলে দশে মিলি করি কাজ নীতিতেই এগুতে পারে এক্ষেত্রেও, কারণ অনেক সময়েই উত্যক্তকারীরাও দেখি লাজ-শরম ভুলে ‘দশে মিলে’ নীতি বিশ্বাসী হয়ে পড়ে।
আর কী করা যায়? আরো করবার আছে, পাড়ার মোড়েই যদি উত্যক্তকারীদের সমাবেশ হয়, স্কুলে যাবার, ফেরার সময়ই, কম্যুনিটিরো দায়িত্ব আছে,আমাদের সমস্যা অন্যে সমাধান করে দেবে, প্রশাসন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ এখনো উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে হা-হুতাশ করতে না থেকে, ঐ আশা সত্যিই যেহেতু কেউ দ্রুত বাস্তুবায়ন হতে দেখছি না, বরং আসেন পাড়ার সবাই একসাথে হই, নিজেরা সচেতন হই, অন্যদেরকে সচাতন করি, সবাই মিলে রুখে দাঁড়াই। সবার বাবা-মাকে একসাথে হতে হবে, মেয়েগুলো একসাথে হোক, একসাথে একত্রে মোকাবেলা চাই! কিছু সমস্যা সভা-সেমিনারে কচকচ করে সমস্যা কত জটিল হয়েছে পর্যালোচনা করে চা-খেয়ে বিদায় নিয়ে সমাধান করা যায় না। চাই বাস্তবক্ষেত্রে একতাবদ্ধতা, চাই মেয়েদের নিজেদেরকে পরিবার থেকে ব্যাকাপ দেয়া, মেয়েদের নিজেদের সাহস আর উৎসাহ বৃদ্ধি করা, মেয়েদের নিজেদের আত্মোপলব্ধি,পরনির্ভরশীলতা ত্যাগ করে, পালিয়ে না গিয়ে রুখে দাঁড়ানো, আর ইঁট খেলে পাটকেল ছুঁড়ে মারতে শেখা, এবং মেরে দেখানোও। দুঃখজনক যে প্রশাসনিক প্রটেকশন প্রায় শূণ্যের কোঠায়, কিন্তু এটাই মনে হয় শিখবার সময় যে, নিজের সমস্যা আসলেই নিজেকেই সমাধান করতে হয়।
আর আবারো বলছি সেই অন্যায় করে আর ভয় দেখিয়ে পার পেয়ে যায়, যখন তাকে সবাই ভয় করে! ভয় যত পাবে মেয়েরা, এদের বাড়-ও ততই বাড়তে থাকবে! আর এটাও সত্য যে অন্যায়কারী, উত্যক্তকারীরা আদতে নিজেরা ভীতু, ঐটাই তাদের বড় দুর্বলতা।
ধন্যবাদ আপনার পোস্টের জন্যে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আপনার মন্তব্যে অনেক কিছুই উঠে এসেছে। বিষয়টা নিয়ে ভাবছেন বলে ধন্যবাদ। তবে, যারা অত্যাচারিত, নির্যাতিত, কিংবা অপমানিত কেবল তাদেরকে শক্ত হয়ে বখাটেদের মোকাবেলা করলেই হবে না। আমাদের সমাজটা এত পচে গেছে যে একজন মেয়ে রাস্তায় রুখে দাড়ালে আশেপাশের সবাই এখন মজা দেখতে জমায়েত হয়। একজন মেয়ে যে রুখে দাড়াতে পারে সেই ভাবনাটাই সমাজ থেকে উঠে গেছে। ভদ্রলোকের মেয়েরা ঝগড়া করে না- এই হচ্ছে আধুনিক নাগরিক সমাজের ট্যাবু। এই ট্যাবুর বিষদাঁতে এখন এত বিষ যে নারীরা নিজের আর পরিবারের সম্মান বজার রাখতে আত্মহননের পথকেই বেছে নিচ্ছেন শ্রেয়তর পন্থা ভেবে, যেখানে তার অধিকার ছিল প্রতিরোধ করার। আমাদের বুঝতে হবে, আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়।
যে ছেলেটি পাড়ার অন্য মেয়েকে সম্মান করতে জানে না, সে নিজের পরিবারের কাউকেও সম্মান করে না। কিংবা সেই পরিবারের মধ্যে সম্মান ব্যাপারটাই নেই। সুতরাং পরিবার থেকেই শক্ত হাতে ছেলেদের শাসন করতে হবে। সমাজপতিদের নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। তাদের ভূমিকাই মূখ্য। তাদেরকে ঠিক করতে হবে তারা কি এর প্রতিরোধ করবেন, নাকি তথাকথিত ও বাস্তবক্ষেত্রে পঙ্গু আইনের শাসনের উপর সব ছেড়ে দেবেন।
টিজিং যেন সংস্কৃতির অংশ না হয়, বরং একে ঘৃণা করাই আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির শিক্ষা হোক - এই কামনা করি।
আচ্ছা, প্রথমে আমার আগের মন্তব্যে দেখছি একটা কথা স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে ভুলে গেছি, তা বলে নেই - আমি ওখানে মূলত কথা বলছিলাম স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীদেরকে উত্যক্তকারীদের প্রসঙ্গে। ঈভ টীজার হিসেবে শুধু এদেরকে ধরেই মন্তব্যটা করা। নারীরা আরো অনেকভাবে ঘরে বাইরে, কর্মক্ষেত্রে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন, যা আপনার পোস্টে আর অন্যদের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যে উঠে এসেছে, তাই আমি আর সেগুলো নিয়ে আলোকপাত করি নাই।
এখন আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশের প্রেক্ষিতে বলতে পারি যা ভাবছি, তা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এসেছে। আর সেই জন্যেই বলছি আমাদের দেশে মেয়েদেরকে ছোট থেকেই সাহসী করে তোলা অনেক জরুরি! একজন কিশোরী যাতে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ভয় না পায় সেটা তাকে ছোট থেকেই সাপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। আর পাঁচ নম্বর প্যারাতে এটাই জোর দিয়েছি যে নিজের পরিবারকে কিন্তু মেয়েদের পাশে দাঁড়াতে হবে!
আর আপনার মন্তব্যের দ্বিতীয় অংশের প্রেক্ষিতে আমার ভাবনা প্রথম মন্তব্যের প্রথম দুটো প্যারাতেই লিখেছি - ন্যায়-অন্যায় সুশিক্ষার শুরু হল পরিবার। তারউপর অত্যাচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে চাই আইন ও তার সুষ্ঠু প্রয়োগ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনার প্রায় সবগুলো পয়েন্টেই সহমত।
শুধু ঘৃণা কোনো সমাধান নয়। কিন্তু প্রাসঙ্গিক। ঘৃণার প্রকাশ থাকতে হবে। কেবল মনে মনে ঘৃণা করলে আসলে কিছু হবে না। আমরা বলছি যে ইভ টিজারদেরকে ধরে চড় থাপ্পড় দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আসলে কি ব্যাপারটা এত সহজ? পত্রিকায় তো মাঝে মাঝেই দেখি কানে ধরে উঠবোস করানোর ছবি ছাপানো হচ্ছে। তবু কি এই ব্যাধির সংক্রমণ কমেছে? কমে নি, বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইভ টিজিংয়ের কারণে এত আত্মহত্যার মত ঘটনা ঘটছে কেন? কারণ, শুধু চড়-থাপ্পড় আর কান ধরানোতে এদের থামানো যাচ্ছে না, এদেরকে সাধারণ মানুষ এখন ভয় পায়, এরা শুধু টিজই করে না, পুরো পরিবারকে হুমকি দেয়, প্রস্তাবে রাজি না হলে কুপিয়ে জখম করে। অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ ভয়ে এদেরকে ঘাটাতে চায় না (অন্যভাবে বললে, মাইর দিতে চাইলেও সেটা সম্ভব হয় না)। এদেরকে থামাতে হলে দরকার একটা গণজাগরণ, যার একটা বহিঃপ্রকাশ হতে পারে ঘৃণা।
সবাইকে একতাবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ইভ টিজিং করে কিছু ভেড়া বীরপুরুষ হবার অসুস্থ প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়, নজুদার সাথে গলা মিলায় বলতে চাই, এদের দৃষ্টান্তমূলক গোন প্যাদানীর ব্যবস্থা করলে সব সোজা হয়ে যাবে। একেবারেই অসুস্থ মানসিকতা!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ঘন্টা বাধবে কে?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সবাইকে।
যেখানেই ইভ টিজিং সেখানেই সম্মিলিত প্রতিরোধ।
নতুন মন্তব্য করুন