বাংলাদেশে হামিদ মীরের একমাত্র পরিবেশক প্রথম আলোতে হামিদ মীর এবারই যে প্রথম লিখলেন এমন নয়। এই পত্রিকায় বেশ নিয়মিত বিরতিতেই মীরের লেখা কিংবা তাকে নিয়ে সংবাদ ছাপা হয়। কে এই হামিদ মীর? মীর বর্তমানে পাকিস্তানের জিয়ো নিউজের নির্বাহী সম্পাদক। মীরের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে পড়ে উসামা বিন লাদেনের তিনটি সাক্ষাতকার। ২০০১ সালে দৈনিক ডন পত্রিকায় হামিদ মীরের নেয়া উসামা বিন লাদেনের একটি সাক্ষাতকার ছাপা হয়, যেটিকে ধরা হয় ৯/১১র পরবর্তী নেয়া লাদেনের প্রথম কোনো সাক্ষাতকার।
২০০৭র ডিসেম্বরে প্রথম আলো মীরকে তুলে ধরে একজন ব্যতিক্রমী পাকিস্তানি হিসেবে যিনি পাকিস্তানি সেনাদের ১৯৭১ সালে গণহত্যার কারণে বাংলাদেশের জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। প্রথম আলো তার আর্কাইভ সুবিধাটি বন্ধ রাখায় আরো জানতে এই লিংকটি দেখতে পারেন। খবরের শিরোনাম ছিল- ‘একাত্তরে গণহত্যাঃ বাংলাদেশিদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানীরা’। খবরটিতে বলা হয়, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর জন্মদিন উপলক্ষে ইসলামাবাদ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মীর কিছু পাকিস্তানি সাংবাদিক, আইনজীবী, ছাত্র ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গণহত্যার ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষের কাছে দুঃখ প্রকাশের প্রস্তাব পেশ করেন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন ১৯৭১ সালে ঢাকায় নিযুক্ত পূর্ব পাকিস্তান সরকারের তথ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী রোয়েদাদ খান। প্রথম আলো খবরটিতে আরো জানায় যে পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ইমরান খান মীরের এ উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন।
কী লিখেন মীর প্রথম আলোতে? ঠিক এক বছর আগে বাংলাদেশের আরেক স্বাধীনতা দিবসেই তিনি লিখেছিলেন ‘পাকিস্তানের জন্য হোক দুঃখ প্রকাশ দিবস’ শিরোনামে একটি কলাম। আবারো সেই ‘স্যরি’র প্যাচাল। বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে যে দিনটি বাংলাদেশের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেই দিনটিতে পাকিস্তান বলবে, স্যরি। সচলায়তনে ব্লগার হিমু মীরের এই লেখাটির একটা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। এই স্যরি কিংবা দুঃখ প্রকাশ নিয়ে বাংলাদেশে সরকারি/বেসরকারি/ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তাভাবনা খবরে খুব একটা না এলেও প্রথম আলো নিয়মিত বিরতিতে হামিদ মীরকে কলাম বরাদ্দ দিয়ে যায় বছর বছর।
২০১১ সালের স্বাধীনতা দিবসে মীর লিখলেন, পাকিস্তানের উচিত বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রস্তাব নেওয়া।
মোটের উপর, হামিদ মীর একজন পাকিস্তানি নাগরিক যিনি বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রসঙ্গে পাকিস্তানের ‘দুঃখ প্রকাশ’ ও বাংলাদেশের ‘ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা’ তত্ত্বের একজন অন্যতম মাঠকর্মী। আর এই ক্ষমা তত্ত্বের সুতিকাগার হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন প্রথম আলোকে (কিংবা হয়তো প্রথম আলোই বেছে নিয়েছে মীরকে- কে জানে!)
২.
আজকের লেখার শুরুতে হামিদ মীর দুটি প্রশ্ন করেছেন- ‘১৯৭১ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জনগণের কাছে কেন ক্ষমা চাওয়া উচিত পাকিস্তানের? সেনা অভিযানের জন্য?’
কতটা নির্লজ্জ আর বেহায়া হলে কেউ ঔচিত্যের এই প্রশ্ন করতে পারে? মীর, যে ১৯৫ জন সামরিক অফিসারকে নিজেরা বিচার করবে বলে পাকিস্তান ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল তাদের আগে বিচার করে তারপর ক্ষমার প্রস্তাব নিয়ে আসবেন, যুদ্ধের যে ক্ষতিপূরণ এখনো পাকিস্তান শোধ করেনি সেটা করে তারপর মাফ চাইবেন।
লেখায় আরো লক্ষ্যণীয় যে মীর যেন ভুলে গেছেন ১৯৪৭-১৯৭১ এই ২৪ বছর। যেন ঐ ২৪টা বছর সবাই বগল বাজাতো। তৎকালীন পাকিস্তান সৃষ্টির পরবর্তী ২৪ বছরে পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের শোষণ, নির্যাতন, হত্যা, নিপীড়ন, লুটপাট, অবহেলা, অবিচার, বাঙালি জাতির ভাষা ও সংস্কৃতিকে হত্যার চেষ্টা, সামরিক শাসন জারি, ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষের ত্রাণ লুটপাট, কৃষি-শিল্প-বাণিজ্য-যোগাযোগের মুনাফা লুন্ঠন আর অন্যদিকে তিলে তিলে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া, রাজনৈতিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক স্বাধীনতা হরণ আর তারপর ৭১র ৩০ লাখ মানুষ হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও, যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ না দেয়া - এদের সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে হামিদ মীর বলতে চাচ্ছেন, ভুলে সেনা অভিযানের জন্য ভাই স্যরি।
‘স্যরি’র আগে আবার তিনি একটা ‘ভাই’ লাগাতে চাচ্ছেন। পুরো লেখাটার মূল ভিত্তি হচ্ছে সম্প্রতি ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে, বিশেষ করে মিরপুরে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট-ইন্ডিজ বনাম পাকিস্তানের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায় কিছু বাংপাকি সাপোর্টারদের পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে করা সমর্থন এবং তারো আগে খেলা শুরুর পূর্ব মুহূর্তে হামিদ মীর কর্তৃক নেয়া ইমরান খানের সাক্ষাতকার। সেই ইমরান যিনি ২০০৭ সালে হামিদ মীরের উদ্যোগকে সমর্থন যুগিয়েছিলেন।
দেখা যাচ্ছে যে হামিদ মীর কোনো রাখঢাক ছাড়াই খেলার সাথে রাজনীতি মেশাচ্ছেন। ব্যাপারটা যারা বাংলাদেশি কিন্তু আদতে পাকিক্রিকেট সমর্থন করেন এই বলে যে খেলাকে রাজনীতির সাথে মেশাবেন না, তাদের কাছে অস্বস্তিকর, সন্দেহ নেই। হামিদ মীর বলছেন,
ইমরান খান বললেন, বাংলাদেশিরা ক্রিকেটপ্রিয় জাতি এবং তিনি নিজেও ঢাকায় তাঁর ক্রিকেট খেলার সময় তাঁদের ভালোবাসা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেব। কয়েক দিন আগেই একই স্টেডিয়ামে তারা আমাদের ভাইদের হারিয়েছে।’
পাকিস্তানের ১৯৪৭ - ১৯৭১ সময়কার ইতিহাস হচ্ছে এর একটা অংশকে আরেকটা অংশ কর্তৃক ঔপনিবেশিক কায়দায় শোষণ করার ইতিহাস। অথচ হামিদ মীর ইমরান খানকে দিয়ে বলালেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ ভাই ভাই। (সুতরাং, ভাই ভাইয়ের কাছে ক্ষমা চাইতেই পারে! ভাই ভাইকে ক্ষমা করতেই পারে!!)। যে প্রপাগান্ডাটি মীর এখানে সূক্ষ্মভাবে চালাতে চাচ্ছেন সেটি চালাতে গিয়ে তিনি ভুলে গেছেন সত্যিকারের ইতিহাসকে। সবচেয়ে কম সময়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ (এমনকি মুসলমান) হত্যার বিশ্বরেকর্ডধারী দেশের একজন নাগরিক আমাদেরকে বলছেন, ভুলে যান ইতিহাস। ত্রিশ লাখ শহীদের প্রসংগ তুললে মীরের স্বস্তি লাগবে না, কারণ এ সম্পর্কে তার কোনো ধারণা কিংবা অনুভূতি কোনোটাই নেই। সে টক শো বেচে খায়। রাজনৈতিক নেতারা কি বলেন সেটা তার কাছে খুব ইম্পর্টেন্ট। তাই মীরকে বলি- আর কিছু শুনতে না চান শুধু আপনার প্রিয় ভুট্টো কি বলেছিলেন সেটাই না হয় শুনুন। (মীরের উল্লেখ করার মত আরেকটি পরিচয় হচ্ছে সে জুলফিকার আলী ভুট্টোর রাজনৈতিক দর্শনের উপর একটি বই লিখেছেন, যেটি নাকি এখনো অপ্রকাশিত)।
মীর আপনি কি নিচের এই ভিডিওটির শেষটা দেখেছেন?
আপনি যার রাজনৈতিক দর্শনের উপরে বই লিখেছেন সেই খুনী ভুট্টো বাংলাদেশের মানুষকে কী বলে সম্বোধন করেছিল জানেন? বলেছিল- শুয়োরের বাচ্চারা, জাহান্নামে যা। ভুট্টোর ঐ সমাবেশে উপস্থিত পাকিস্তানি জনগণ কী বলেছিলো তার বাঙালি ভাইদেরকে জানেন? বলেছিল- শুয়োরের বাচ্চারা, জাহান্নামে যা।
মীর, আপনি কী করে আশা করেন যে আপনাদের এই চুতিয়ামি আমরা ক্ষমা করব?
৩.
হামিদ মীরের ভাষ্যে ইমরান খান পাকিস্তানের তরুণদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তো সেই ইমরান সাক্ষাতকারে বললেন
‘আমাদের অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত, অতীত ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং বেলুচিস্তান ও আদিবাসী এলাকায় সেনা অভিযান বন্ধ করা উচিত।‘
এর পর হামিদ মীর জানাচ্ছেন-
অধিকাংশ পাকিস্তানি ইমরান খানের দাবিকে সমর্থন ও সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে তাঁদের অনেকে ছিলেন বিভ্রান্ত। তাঁরা জিজ্ঞেস করেছেন, ১৯৭১ সালে আসলে কী ঘটেছিল? দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তানের অনেকে শেরেবাংলা সম্পর্কে জানে। তবে তারা জানে না, কেন এবং কীভাবে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল? আল্লাহকে ধন্যবাদ এ জন্য যে টিভি চ্যানেলে ইমরান খানের ছোট একটি বক্তব্য পাকিস্তানি তরুণদের মধ্যে নতুন করে বিতর্ক শুরু করে দিয়েছে। পাকপ্যাশন ডট নেটসহ অধিকাংশ ব্লগে পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের সমর্থনে গঠিত সমর্থকেরা এই বিতর্ক শুরু করেছে যে কেন পাকিস্তানকে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে?
মীর, দয়া করে একটু বলবেন কেন পাকিস্তানের তরুণরা বিভ্রান্ত? কেন আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর আপনাদের পাঠ্যবইয়ে হয়ে যায় গাদ্দার? পাকিস্তানি তরুণরা যদি হামিদ মীরের কাছে তাদের প্রশ্নের জবাব খুঁজতে যায় তাহলে মীর কি জবাব দেবেন সে প্রথম আলোর লেখাটায় সরাসরি না বললেও, সেটা আন্দাজ করাটা খুব কঠিন কিছু নয়। মীর লিখেছেন,
সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের সময় কাটিয়ে আসা পাকিস্তানের অনেক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, আমলা ও সিনিয়র সাংবাদিক ইমরান খানের দাবিকে সমর্থন করছেন। সামরিক প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ কেউ কেউ বলছেন, বাংলাদেশিরা ১৯৭১ সালের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অতিরঞ্জিত করেছে। তাদের একজন আমাকে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ বিষয়ে ভারতীয় বাঙালি লেখক শর্মিলা বসুর (সুভাষ চন্দ্র বসুর আত্মীয়) সর্বশেষ গবেষণা ইন্টারনেটে পড়ে দেখো। তিনি (শর্মিলা) ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও ধর্ষণের সব অভিযোগকে স্পষ্টত অস্বীকার করেছেন।’
মীর, আপনি আসলে ইনিয়ে বিনিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের দিনে কী বলতে চেয়েছেন তা আমরা বুঝতে পেরেছি। আপনি বলতে চেয়েছেন যে যেহেতু বাংলাদেশিরা ১৯৭১ সালের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অতিরঞ্জিত করেছে এবং ভারতীয় বাঙালি লেখক শর্মিলা বসু পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও ধর্ষণের সব অভিযোগকে স্পষ্টত অস্বীকার করেছেন, সুতরাং ১৯৭১ সালে আসলে বাংলাদেশে তেমন কিছু ঘটে নাই যার জন্য পাকিস্তানকে প্রতিটা বাঙ্গালির কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে থাকতে হবে আজীবন; বরং যা হয়েছে তার জন্য স্যরি; ব্যস।
৪.
উপসংহারে মীর লিখেছেন,
আর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের কাছে কেবল ক্ষমাসূচক কিছু শব্দ দাবি করা হয়েছে। যা এক ভাইয়ের কাছে আরেক ভাইয়ের ক্ষমা চাওয়ার মতো। তারা এখনো আমাদের ভালোবাসে।
আমার খুব জানার ইচ্ছা, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের কাছে কেবল ক্ষমাসূচক কিছু শব্দ দাবি করা হয়েছে এই ডাহা মিথ্যে কথাটা মীর কোথায় পেয়েছেন? বাংলাদেশী রুবাইয়াতের মেহেরজান কয়েকদিন আগে আমাদেরকে শোনালো- East Pakistan and West Pakistan were curved out of British India and they drifted away from each-other যেনো ৭১য়ে ভাই ভাইয়ের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে অভিমান করে। এরপর কোনো এক শর্মিলা বসু শোনালো- It shows also, for example, how the militancy and violence of Bengali Nationalism in 1971 was a chaotic one, not an organized one under a national leadership. The national leadership was involved in a double game of public incitement on the one hand and private negotiation for power on the other hand. এখন ইমরান খান আর হামিদ মীররা শোনাচ্ছেন- ‘তারা আমাদের ভাইবোন, তারা আমাদের সমর্থন করবে।’
হামিদ মীররা আজ লড়ছে পাকিস্তানের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে, আমাদের রক্তে লাল তাদের রক্তাক্ত হাত সাফ করার জন্য ক্ষমার রুমাল চাইছে আবার আমাদেরই কাছে। তাদেরকে ক্ষমা করে দিলে দেশের ভেতরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা করবো কীভাবে সেই মাথাব্যথা মীরদের নেই। কেন জানি রুবাইয়াতদের, শর্মিলা বসুদের, ইমরান আর হামিদ মীরদের কথায় ও কথা বলার সময়টাতেও বাড়াবাড়ি রকমের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। রিকন্সিলিয়েশন, ক্ষমা ইত্যাদি মানবিক শব্দগুচ্ছের দূষণে বাতাস ভারি হয়ে উঠে। যখন দেখি এই দূষণের সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি হবে যুদ্ধাপরাধীরাই তখন মনে হয় ভয়ংকর কিছু জিনিস কোনো একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে কনভার্জ করছে। সেই জিনিসগুলো বুঝে উঠাটা খুব জরুরী।
মন্তব্য
পড়লাম। বিশ্লেষণ ভালো লাগলো।
কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কি হবে? ধীর গতি দেখে
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷ একটু আগেই এ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম ৷ এক্কেবারে আমার মনের কথাগুলো লিখেছেন ৷
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অনেক ধন্যবাদ। এই ভিডিওটাই খুঁজছিলাম।
ভালো লিখেছেন।
একমত।
জাহান্নামেই যাব ... কারণ ঐখানেই এই ভু্ট্টো শুয়োরের বাচ্চাকে হাতে নাতে পাওয়া যাবে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রিকনসিলিয়েশনের যে ফাটা পাখা দিয়ে ফারুক গুয়েবাড়া নিজের ভাড়া খাটানো পাছাটা বাতাস করে ঠাণ্ডা রাখে, সেটা ঘুরে ফিরে যখন নির্মলেন্দু গুণের হাতে পাকিস্তান ক্রিকেট কীর্তনে আর হামিদ মিরের হাতে বাংলাদেশের ক্রিকেট দর্শক কীর্তনেও দেখি, তখন বুঝি, আলুপেপারের পরবর্তী মিশন পাকিস্তান-বাংলাদেশের মধ্যে এক ভায়ে-ভায়ে মিলমিশ, যেখানে বিচার, ক্ষতিপূরণ শব্দগুলো অপাঙক্তেয়।
বুদ্ধিবেশ্যাদের শীৎকারে কারওয়ানবাজার কেঁপে উঠছে প্রত্যেকদিন। মাদারচোদের দল।
প্রথম আলোর খেলার পাতায় পাকিক্রিকেট তোষণ নিয়ে যতটা কথা হয়, তাদের পোষা বুদ্ধিবেশ্যাদের নিয়ে তেমন হয় না। এই বিষয়টা নিয়ে আরো বলা উচিত।
দারুণ বিশ্লেষণ...
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার এই বিশ্লেষণধর্মী লেখাটার জন্যে।
মীর কি বলবে না বলবে তা আমি জানি না। তবে আমার অবজার্ভেশন আছে। পাকিস্তানের তরুন সমাজ জানেনা বাংলাদেশের অদ্ভদ্যয়ের প্রকৃত ইতিহাস। অনেক তরুনের সাথে কথাপ্রসঙ্গে আমি জেনেছি যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিষয়ে এমনকি তাদের কোনও কমন আন্ডারস্ট্যান্ডিং নেই। তাদের দু'একটা মন্তব্য শুনি-
১. যুদ্ধটা হয়েছিলো মূলত পাকিস্তান এবং ইনডিয়ার মধ্যে, এটাই পাকিস্তানের তরুন সমাজ জানে।
২. পুর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় আগ্রাসন ঠেকাতে এই যুদ্ধের অবতারণা।
৩. ইনডিয়ার সাথে এই যুদ্ধে পাকিস্তানের বিজয় নিশ্চিত ছিলো। কিন্তু এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার ফলে পূর্ব পাকিস্তানের অসংখ্য নিরীহ মানুষের প্রানহানী হতো। 'মানবিক বিবেচনায়' পাকিস্তান যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করে নেয়।
৪. এরকম আরও কিছু কিছু ব্যাখ্যা।
পাকিস্তানী তরুনদের সামনে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে কখোনোই পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত কোন ইভেন্ট হিসেবে দেখানো হয়নি। এটাকে ইনডিয়া-পাকিস্তানের যুদ্ধ হিসেবেই দেখানো হয়েছে সবসময় এবং বাংলাদেশের সৃষ্টিকে দেখানো হয়েছে এই যুদ্ধের একটা কনসিকোয়েন্স হিসেবে। তাই পাকিস্তানের বিভ্রান্ত তরুন সমাজ প্রশ্ন করতেই পারে যে যদি যুদ্ধ হয়ে থাকে ইনডিয়ার সাথে তবে কেনো বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
ক্ষমা চাওয়া বা পাওয়ার প্রশ্নে আমার মত হচ্ছে যে পাকিস্তান ক্ষমা চাইতে পারে তবে সে আবেদন হবে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে। মীর বা ইমরান খান পাকিস্তানের কোনও লেজিটিমেট রিপ্রেজেনটেটিভ নন যে তারা ক্ষমা চাইলে সেটা গ্রাহ্য করতে হবে। পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে সরকারীভাবে কূটনৈতিক প্রোটোকলের মাধ্যমে। আর হ্যাঁ, এই ক্ষমা প্রার্থনার মধ্যে ন্যায্য ক্ষতিপুরণের বিষয়টাও আসতে হবে। আর্থিক ক্ষতিপূরনের প্রশ্ন মিমাংসা হতে হবে ১৯৭১ এর বিপরীতে বর্তমান সময়ের কস্ট অব লিভিং স্টান্ডার্ডে (অবশ্যই ১৯৭১ এর এ্যাকচুয়াল অথবা এস্টিমেশনের ভিত্তিতে নয়)।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
পাকিস্তানের তরুন সমাজ তখনই বাংলাদেশের অদ্ভদ্যয়ের প্রকৃত ইতিহাস জানবে যখন সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের (পাকিস্তানি ও বাংলাদেশী) বিচার হবে অফিসিয়ালি।
ইতিহাস বিকৃতি কেবল বাংলাদেশেই হয় নাই, পাকিস্তানে সেটা চরম পর্যায়ে হয়েছে।
চমৎকার বিশ্লেষণ! তবে, শর্মিলা বসু প্রশ্নে মীরের অবস্থান নিয়ে আমি বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম। কারণ, এ সম্পর্কে আপনার উদ্ধৃত অংশের পরের অংশে আছেঃ
মতামত?
আপনার কোট করে দেয়া মিরের কথার সাথে গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ইয়াহিয়ার বক্তব্যের মিল দেখুন।
লক্ষ্য করে দেখবেন, মীর শর্মিলা বসুর বক্তব্যকে চ্যালেনজ না করে উল্টো ব্যবহার করছে। কেন শর্মিলা বসু আমেরিকানদের পৃষ্ঠপোষকতা উপভোগ করেন এই কথা বলেও কিন্তু মীর শর্মিলা বসু প্রশ্নে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে নাই। মীর জানে যে শর্মিলা বসুকে বাংলাদেশে সহজে গেলানো সমভব না। তাই সে শর্মিলার আমেরিকা লিংকের কথাও তুলেছে। কিন্তু শর্মিলাকে যেটুকু ব্যবহার করার তার পুরোটাই সে করেছে। এটা এই বুদ্ধিজিগালোদের পুরানো টেকনিক।
আর 'আমি এসব লোককে অনুরোধ করেছি, এটি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিষয়।' এই কথাটা খুব ভালোমত খেয়াল করুন। এর সাথে খালি তুলনা চলে সেই গ্রাম্য সালিশ ডাকার চেষ্টা যেখানে লুটপাট আর ধর্ষণের আসামীকে বাচানোর জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে বলা হয়- আরে আদালতে গিয়া কি করবা, এত বিচার সালিশের কি দরকার, নিজেরাই মিটমাট করে নেও।
সেটা করা গেলে আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ প্রদান, পাকিস্তানি নাগরিকদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি থেকে পাকিস্তান যে মুক্তি পেয়ে যায়! হামিদ মীররা আসলে সেটাই চায়।
বোঝা গেল। অনেক ধন্যবাদ।
খুব ভালো বিশ্লেষণ।
ত্রিশ লক্ষ বাংলাদেশের মানুষকে গণহত্যার মতো যুদ্ধপরাধের বিচার চাই। ক্ষমা অনেক দূরের ব্যাপার। আর প্রথম আলোর বুদ্ধিজীবিদের পাকিস্তানের নাগরিকত্ব দিয়ে সেখানে রপ্তানি করা হোক।
এইসব রিকন্সিলিয়েশনের মায়রে বাপ! ইমরান খানের "হামারেহি আপনে আদমি" শুনে আর হামিদ মীরের এই ক্ষমাসুন্দর ফুলতোলা রুমালের দাবীতে তাদেরকে একটা কথাই বলার আছে তাদের নেতা ভুট্টোর ভাষায়, "জাহান্নুম মে যায়ে সুয়োর কে বাচ্চো"।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গতকাল কলামটা পড়েই প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হয়েছিল। পুরো লেখায় কোথাও ক্ষতিপূরনের কোন প্রসঙ্গ নেই, ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত তাদের জাতির পিতা এবং অন্যান্য নেতাদের করে যাওয়া অন্যায়ের কোন কথা নেই। পুরো লেখাই তিনি পুরোনো অন্যান্য যে কোন লেখার মতই পাকি বাঙালী ভাই ভাই আর শুকনো ক্ষমা প্রার্থনার ত্যানা প্যাঁচালেন।
এ লাইন দেখে আমার মনে হল উনি ৩০ লক্ষ সংখ্যাটাকে বিতর্কিত করতে চান।
আর সেজন্যই সে দুঃখপ্রকাশ আর ক্ষমা তত্ত্ব হাজির করেছে। আরে ভাই, একটা থাপ্পড় দিলে কেউ ক্ষমা করতে চায় না, আর এরা ৩০ লাখ হত্যা করেও পার পেয়ে যেতে চাইছে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিয়ে হয়েছে পরাজিত পক্ষকে। আর আমাদেরটাতো স্বাধীনতার যুদ্ধ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
খালি ঘুম পায়, আর পারা যায় না এতো কিসিমের এতো দিকের সাথে লড়াই করে!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
শুয়োরের বাচ্চারা, জাহান্নামে যা। --- পাকি কুত্তাদের কে শুধু এটাই বলার আচে।
এই বদমাশ আরো বলে বাঙআলি রা নাকি এখনও পাকিদের ভালবাসে, এই শুওরের বাচ্চা গুলাকে এই কথা বলার জমিন প্রস্তুত করে দেয় কাছআখোলা বানং্পাকি গুলা।
জলতরঙ
আগে বিচার হবে, ক্ষতিপূরণ দিবে, ক্ষমার আব্দার এখনও অনেক দূরের ব্যপার
এভাবে ক্ষমার প্রশ্নই আসে না।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
পড়লাম। ধন্যবাদ।
এই বাঞ্চোৎদের নিয়ে কোনো কথা বলতে ইচ্ছে হয় না। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে আমাদের দেশের কিছু বাঞ্চোৎ মিলেমিশে "ভাই'' োদায়, তখন আপনার মতো অনেককেই বারবার লিখতে হয়।
পাকিস্তান যদি তার ১৯৫ জন অফিসারের ফাঁসিটা আগে দিয়ে দেয়, তাহলে হামিদ মীরের "ভাই'' োদানোতে কিছু যুক্তি পাওয়া যেত।
হামিদ মীরের উচিত আগে সেটা নিয়ে লেখালেখি করা।
ফাসি তো দূরের কথা, হামিদ মীর তো মনে হয় ঐ ১৯৫ জনের হয়েই ক্ষমা চেয়ে বেড়াচ্ছেন, তার লেখায় খালি সামরিক বাহিনীর রেফারেন্স। তার সাথে তাদের হটলাইন, শর্মিলা বসু নিয়ে অহরহ বাতচিত করেন তাদের সাথে।
৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ মা-বোন কাউকে ক্ষমার লাইসেন্স দেয়নি। ক্ষমা করার অধিকার এমনকি জীবিত অক্ষত মুক্তিযোদ্ধারও নাই। ক্ষমা বিষয়টাই শহীদের প্রতি অমর্যাদাকর।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এমন হামদ মীর আর সংখ্যা পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে বেশি হবে আমার আমার ধারনা...। তারা এখন মুক্তিযুধ্ব কে গন্ডগোল আর বাংলাদেশ পাকিস্তান ভাই ভাই প্রমান করতে চায়.........
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
পাকিস্তানের ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধি অফিসারের বিপরিতে আড়াই লাখ বাঙ্গালিকে জিম্মি করে রেখেছিল প্রায় ৩ বছর। ১৯৭৪ এ বন্দি বিনিময় হওয়ার সময় চুক্তিতে বলা ছিল ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধি সামরিক অফিসারের বিচার পাকিস্তানে হবে
http://www.somewhereinblog.net/blog/mmdhw/29229137
সেই বিচার আগে করে তারপর যেন হামিদ মীররা ক্ষমা চাইতে আসে।
এসব ছেনালিপনা দেখলে মাথা আর স্থির থাকেনা। "ক্ষমা" শব্দটা ওরা উচ্চারণের সাহস পায় কী করে?
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
বড়ই সময়োপযোগী ও দৃষ্টি উন্মোচনী লেখা। পাঁচ তারা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
যারা গনহত্যা
করেছে শহরে গ্রামে টিলায় নদীতে ক্ষেত ও খামারে,
আমি অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়ে অধিকপশু সেই সব পশুদের।
ফায়ারিং স্কোয়াডে ওদের
সারিবদ্ধ দাড়করিয়ে নিমিষে ঝা ঝা বুলেটের বৃষ্টি
ঝরালেই সব চুকে যাবে তা আমি মানিনা।
হত্যাকে উৎসব ভেবে যারা পার্কে মাঠে
ক্যাম্পাসে বাজারে
বিষাক্ত গ্যাসের মত মৃত্যুর বিভৎস গন্ধ দিয়েছে ছড়িয়ে,
আমি তো তাদের জন্য অমন সহজ মৃত্যু করিনা কামনা......
--শামসুর রাহমান
১। আগে দুঃখপ্রকাশে ছিলেন মীর সাহেব, এবার ক্ষমাপ্রার্থনা। একজন পাকিস্তানি হিসাবে তার এই উন্নতি মন্দ না।
২।হামিদ মীরের দুঃখপ্রকাশ ও ক্ষমাপ্রার্থনার লেখাগুলো ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোতে ছাপায়। পাকিস্তানি কোনো পত্রিকায় কি এগুলো প্রকাশিত হয়েছে কখনো? না হয়ে থাকলে প্রশ্ন হচ্ছে, এসব কথা আমাদের শুনে কী লাভ? একটা লাভের কথা অবশ্য আপনার লেখা থেকে মাথায় এলো। খেলারসাথেরাজনীতিমেশানোঠিকনা মানসিকতার বাংপাকিদের বিব্রতবোধের সাথে এদেশেরই যে জারজেরা গণহত্যার ব্যাপারটা অস্বীকার করে, তাদের জন্যও হামিদের এই লেখাগুলো সমস্যা তৈরি করে।
৩। কয়েকবছর আগে আর্মেনিয়রা তুর্কিদের সাথে মিলে একটি একাডেমিক যৌথ কমিটি করতে বাধ্য হলো বিশ্বমোড়লদের চাপে।সে কমিটি খতিয়ে দেখবে আর্মেনিয়ায় কোনো গণহত্যা ঘটেছিলো কীনা! আমাদের এই বিপদ নেই বললেই চলে। পাকিদের এই ধরণের লেখাগুলো বরং আমাদের জন্য সুবিধাই দেবে।
৪।
পাকিদের নতুন প্রজন্ম এসব প্রশ্ন তুলতে শুরু করছে বলে আমার বিশ্বাস হয় না। বিভিন্ন ফোরামে এদের নেটিজেনদের জ্ঞানের যে নমুনা পাই তাতে এ ব্যাপারে ভরসা হয়না।হামিদের লেখায় একটি বাক্য আছে-
তো কেমন গুরুত্ব পান শেরে বাংলা তাদের কাছে, তার একটা নমুনা পাওয়া যায় যখন এ কে ফজলুল হক নামটার গুয়া মেরে পাকি নেটিজেনরা সর্বত্র 'মাওলানা ফজল-ই-হক' লিখেই চলে।এখনই এদের ঘুম ভাঙ্গা শুরু হলে আমি আশ্চর্যই হবো।এদের আরো অনেক বছর লাগার কথা।
৫। ইনি তাদের রাজনীতিকদের প্রশংসা করে এক লেখায় একেবারে ফেনা তুলে ফেলেছিলেন। ভুট্টোর মতো একটা বানছুদও সেই ফেনার ভাগ পেয়েছে।বস্তুত সব কিছুর দায় সামরিক হায়েনাদের উপর ফেলা তার অভ্যাস।
৬।ইউনুস-কান্ডে আমাদের রাষ্টের মেরুদন্ডের জোরের যে নমুনা মিললো তাতে ভাবনায় আছি। পাকিস্তান-মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধাপরাধের বিচারে বাগড়া দিচ্ছে বলে কিছু খবর আমরা দেখেছি।সাথে যদি বিচারনীতদের জন্য পশ্চিমা 'মানবতাবাদী' রাষ্ট্রসমুহের 'ন্যায়-স্বচ্ছবিচা্র' ইত্যাদি হাউকাউ যোগ হয় তবে কি যে হবে ।
রব
সেটাই। হামিদ মীর পাকিস্তানের নতুন প্রজন্মদের যেভাবে এখানে হাজির করছেন, তাতে সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়। নতুন পাকিপ্রজন্মদের সাথে ইন্টারেকশন, তাদের বাস্তব ও ভার্চুয়াল মতিগতি কিন্তু অন্য কথাই বলে। হামিদ মীরদের উচিত আগে নিজের ঘর সামলানো।
চমৎকার বিশ্লেষণ। পাকিস্তানিরা ভাই হলে সমস্যা নেই, ভাই হলে যে বিচার করা যাবে না, এমন কোন কথা নেই। হরহামেশাই জমিজমা, খুন ইত্যাদি কারণে ভাইয়ে ভাইয়ে গোলমাল হয়, বিচার হয়, সাজা হয়, এখানে হতে সমস্যা কি? ওরা ভাই ডাকুক, আমরা বিচার করব।
আজ প্রথম আলোতে এই বিচার বিষয়ে আরেকটি খবর এসেছে।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-03-28/news/142236
পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করা সম্ভব নয় কেন? অদ্ভুত!!
এই যে পলাতক নাৎসিদের ধরে ধরে ফাঁসি দেয়া হয়, ঐ সময় ট্রুথ কমিশন কোথায় থাকে? ইরাকে সাদ্দামের সাঙ্গোপাঙ্গোদের তো ঝোলানো হচ্ছে, ট্রুথ কমিশন কই? ইয়ান মার্টিন ঐখানে গিয়ে এইসব বলে না কেন? ইরাকে কোনো মতিউর রহমান নাই নাকি?
এইখানেও প্রথম আলো!
আসিফ নজরুল, মকসুদ এরা তো আলুতেই লাদে। তাইলে!
ইয়ান মার্টিনকে নিয়ে ২৩ তারিখে আলুতে একটা খবর ছিলো।শর্মিলাবেবুশ্যুদের সময়ে তার কিছু কথা ভালো লেগেছিলো।
তবে দানবদের মানবাধিকার নিয়েও তার কিছু কথাবার্তা ওই খবরেও ছিলো।
এই টাইপ কথাবার্তা যে ওই দানব্দের টিকে যাওয়ার সম্ভাবনার পালে হাওয়া লাগায়, তা মার্টিন বা এমনেস্টির চিন্তায় আছে বলে মনে হয়না। ওই দানবেরা টিকে গেলে সবচে বড় ক্ষতিটা তো মানবতা ও মানবাধিকারেরই হবে, নাকি!
একদল লোক খুন-ধর্ষণের সময় কোনো পরোয়া করবেনা, আবার তাদের বিচার করতে গেলেই মানবাধিকার মানবাধিকার বলে রব ওঠবে! এভাবে চলতে থাকলে এমনেস্টির কার্যালয়গুলোই একদিন এইসব দানবের লেদায় ভরে যাবে।
রব
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বহুজাতিক পরিবেশে কাজ করার সময় একজন পাকিস্তানী সহকর্মী ১৯৭১ এর গণহত্যার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "লেট আস ফরগেট এন্ড ফরগিভ"। নম্রভাবে তাঁকে জানিয়েছিলাম, "উই মে ফরগিভ ইউ বাট ইট ইজ বেটার ফর বোথ অব আস নট টু ফরগেট"। আজ বুঝি, 'ফরগিভ' কিম্বা 'ফরগেট' কোনটিই নয়। কস্মিন কালেও না।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বস, দিলেন তো গোমর ফাঁস করে!
অট. শনিবার বিকেলের দিকে কল দিবানে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
শর্মিলা বসু তত্ত্ব, ইমরান-মীর উদ্যোগ, মেহেরজান কিচ্ছা, যুদ্ধাপরাধীর বিচার, জামাতের আন্তর্জাতিক তৎপরতা সব কেমন যেন একসুতায় গাঁথা হয়ে যাচ্ছে।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
শর্মিলা বসুর এই আজগুবি ও অপমানজনক তত্তের কোনো লিঙ্ক দিতে পারলে একটু পড়ে দেখতাম ..... ব্যাপারটা শুনেছি কিন্তু বিস্তারিত কিছু পড়তে পারিনি ...
-অর্ফিয়াস
সচল শুভাশীষ শর্মিলা বসুর উপর লিখছেন- এইখানে দেখতে পারেন-
শর্মিলা বসুর কল্পজগৎ। পর্ব এক।
শর্মিলা বসুর কল্পজগৎ। পর্ব দুই।
আমার একটা প্রশ্ন ছিল। আমরা কী ফাকিস্তানী যুদ্ধঅপরাধীদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের সম্মুখীন করতে পারি আর যুদ্ধ-পূর্ববর্তী এবং যুদ্ধকালীন ক্ষয়ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ চাইতে পারি? যদি পারি তাহলে সেটা নিয়ে কেন এই সরকার কোন উচ্চবাচ্য করছে না? সময়তো চলে যাচ্ছে, আর কত বছর পরে আমরা বিচার পাব। আদৌ কী সে বিচার দেখে যেতে পারবো?
যে ঢিমেতালে লোকাল যুদ্ধঅপরাধীদের বিচারে প্রক্রিয়া চলছে তাতে হতাশ হয়ে পড়ছি।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
"পাকিস্তানিরা গোলাপ নিয়ে এলেও আমি তাদের বিশ্বাস করি না।"
হামিদ মিরের লেখাগুলি কখনোই এভাবে বিশ্লেষন করে দেখি নাই।, আপনার লেখাটি আমাকে নতুন করে ভাবাবে
-আক্ষরিক অভিলাষ
চমৎকার বিশ্লেষণ।
পুরোপুরি একমত।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন