রাতে শুয়ে নদীর ডাক শুনি, গজরানো দানবের হুংকার
কান পেতে, নিদ্রাহীন স্নায়ু প্রতিবার কেঁপে কেঁপে উঠে
এক একটা মাটির চাপ ভেঙ্গে পড়ার আওয়াজে নড়ে
উঠে টিনের ঘর, ঘুঁণে ধরা খাট। মনে ক্লান্তি নিয়ে ভাবি
কীভাবে এই নদী, দূরের কুটুম কাছে চলে আসে,তারপর
কুমির গ্রাসে গিলে খায় ঘর,মানুষ, পশুর পাল। ডাক শুনি
প্রতিরাতে, একটু একটু করে কাছে আসে সে হানাদার।
ভাবি,শীর্ণকায় কী করে থলথলে প্রমত্তা হয়ে পড়ে থৈথৈ
কখনই আসেনি গ্রহনের কাল, নদী গিলে গায় সভ্যতার
দেহ, ক্ষণজন্মা ঘুণাক্ষর কখনও রাখে না অতীত স্খলিত
পাপ; তারপরে শেষবারের মত আরাম খুঁজে পাই যখন
গতযৌবনা বিছানায় একপাশ হয়ে শুয়ে ভাবি,এই পাড়ে
কী করে সহস্র আত্মা পড়ে থাকে আমার মত বিছানায়
অদূরে অন্ধ তাই একমুখী, আর ক্ষুধার্ত এক অজগর নিয়ে।
মন্তব্য
আজকে ব্লগে কবিতায়ই কবিতা।এই জোয়াড়ে আমার নদী ও সহস্র আত্মাতো স্যান্ডঐচ হয়া গেল। লোকে এখন খাইলে হয়!
-----------------------
জানেনিতো, ইহা নিতান্তই নিজস্ব মতামত
খাইছি ।
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অসংখ ধন্যবাদ হাসান মোরশেদ!
-----------------------
জানেনিতো, ইহা নিতান্তই নিজস্ব মতামত
আমিও তৃপ্তি নিয়া খাইলাম।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন