টাইগারদের জলপাই ট্রেনিং

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: রবি, ১৯/০৮/২০০৭ - ১:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পত্রিকা খুললেই আমি সাধারণত চলে যাই খেলার পাতায়। খেলা আমাকে টানে, সেই সুবাদে খেলার সংবাদ।
উত্পল শুভ্র গং যেভাবে হাবলাবুল আর আশারফুল বাহিনীকে আগলে রাখেন চিল শকুনের থাবা থেকে, পারলে মাঠে গিয়ে খেলে দিয়ে আসেন- এইসব দারুণ রসালো প্রতিবেদন পড়তে কার না ভাল লাগে!
সর্বোপরি ছোটোবেলা থেকে গড়ে উঠা অভ্যাস। বাসায় সকালে পত্রিকা আসা মাত্র পাতা ভাগাভাগি। বড়দের জন্য প্রথম পাতা,বিশ্ব পাতা আর বিনোদন পাতা ছেড়ে দিতে হয়। আমাদের জন্য বরাদ্দ লেখাপড়ার পাতা আর না হয় খেলার পাতা। এভাবেই প্রতিদিন সকালে ক্রীড়া সাংবাদিকদের সাহিত্য পড়া রুটিনে ঢুকে গেছে। সকাল বেলার খাবার খেলার পাতা।

ইদানিং এই খেলার পাতা আমাকে আরো বেশি টানে।

কারণটা আর কিছুই না, বাঙ্লার দামাল কামাল, ক্রিকেটের সোনার ছেলেরা জলপাই মামাদের কাছ থেকে কমান্ডো ট্রেনিং নিচ্ছে, তার দৈন্যন্দিন বিবরণ পড়া।
জাতীয় ক্রিকেট দল এখন আর্মি ট্রেনিং নিচ্ছে, সিলেটে। যেনোতেনো ট্রেনিং না, কমান্ডো ট্রেনিং!

রাতে ঘুম হয় না। কখন আজকের দৈনিকের অনলাইন সংস্করণ বের হবে আর আমি খেলার পাতা খুলে টাইগারদের আর্মি ট্রেনিংয়ের বিশদ বিবরণ পড়ব সেই ভেবে আমার জিবে জল এসে যায়।
হঠাত ভুল করে ঘুমিয়ে গেলে স্বপ্নে দেখি তামিম ইকবালকে। পুরোদস্তুর যুদ্ধংদেহী। জলপাই পোষাকে, হাটু ডুবানো বুটে, পেট কামড়ানো বেঢপ বেল্টে, মাথা বাঁচানো হেলমেটে, বুক-বাহু-ডানায় প্লাস্টিকের সবুজ পাতার আড়ালে তামিমকে ভুলে কমরেড বলে সম্ভাষন করে ফেলি। এমনিতেই বল পিটানোয় জুড়ি নেই, তারউপর এখন দেখি হাতে রাইফেল, তার ডগায় বেয়নেট। থতমত খেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
সিলেটের দুর্গম গিরি পথে টাইগাররা এক নয় দুই নয় দশ দশটি কেজি বয়ে পনেরো মিনিটে আট আটটা পাহাড় ডিঙ্গাচ্ছে, আমার রাত চারটের সময় ঘুম কাতর চোখে কমান্ডো গেমসের কথা মনে পড়ে।
সাবাশ বাঘের বাচ্চা বাঘ, সাবাশ।
সাবাশ ক্রিকেট কমান্ডো , সাবাশ।
সাকিবুল হাসান যদি সেনানী হতেন তাহলে নির্ঘাত জাতিসংঘের শান্তিমিশনে যোগ দিয়ে কোনো নিপীড়িত নির্যাতিত দেশের স্বাধীনতার সূর্য এক হাতেই এনে দিতেন। এই না হলে অলরাউন্ডার! জেনুইন কমান্ডোরা পর্যন্ত তার পার্ফর্মেন্সে ঈর্ষায় জ্বলে মরছে।
আশারফুল আশরাফুল বোধহয় দুনিয়ার একমাত্র সিল (sea air land) এই ত্রিমাত্রিক কারিশমা সম্পন্ন ক্যাপ্টেন হতে যাচ্ছেন। অভিন্দন আশরাফুল। দুনিয়ার একমাত্র কমান্ডো ক্যাপ্টেন!
ক্রিকেটের এই উন্নয়নের জোয়ারে সেদিন বেশি দূরে নেই যখন শুধু ডিম্বাকৃতি খটখটে মাঠে নয়, ঝোপজঙ্গলে, নিঝুপ দ্বীপে 'সারভাইবাল ফিজি আইল্যান্ড' মার্কা রিয়েলিটি ক্রিকেট খেলা হবে। খেলোয়াড়রা হেলিকপ্টার থেকে সমুদ্রে ডাইব দিয়ে ক্যাচ আউট করবে ব্যাটসম্যানকে। কমান্ডো স্টাইলে ইরাক দখলের মত টেষ্ট খেলা হবে মরুর বুকে।
তখন দেখবেন আশরাফুল কেমন ক্যাপ্টেন!

এই অল এটাক কমান্ডো ট্রেনিংয়ের পর তাকে আর ক্যাপ্টেন পদে রাখা সমীচিন বোধ হয় না। আসুন আমরা তার রাংক বাড়িয়ে দেই, তার জার্সির কলারে তাঁরা ঠুঁকে দেই। আজ থেকে আশরাফুল ক্যাপ্টেন-মেজর-কর্ণেল পেরিয়ে একেবার হাতে খড়ি ওয়ালা জেনারেল!
আশরাফুল, দা সিপাহ্সালার!!
মাশরাফি তরতরিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে ইতিমধ্যেই সবাইকে হুংকার দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনিই হচ্ছেন শৃঙ্গ বিজয়ী ফার্ষ্ট ফাষ্ট বোলার। একে টাইগার তার উপর পর্বতারোহী। হুশিয়ার!
চল্ চল্ চল্
উর্ধ গগণে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণি তল।
অন্যদের খবরা খবর জানি না। তবে সবাই মাশাল্লাহ এক একটা রাম্বো হয়ে উঠছেন, সেটা বললে উ্যতুক্তি করা হবে না। কিংবা টার্মিনেটর।
সোলজার সোলজার
মিঠি বাতয়ে বোল কার, দিল মেরা চুরা লে গেয়া..
সকাল ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত কমান্ডো ট্রেনিং। এক একটা কিলিং মেশিন তৈরি হচ্ছে ওখানে। অষ্ট্রেলিয়ার আধিপত্যের দিন শ্যাষ।
নিউজিল্যান্ডের শ্যেন বন্ড পুলিশ হতে পারে, মাগার আমাদের একশো কিলোমিটারের এনামুল হকও এখন কমান্ডো, মাশরাফির পেস তো বাদই দিলাম।
আমাদের আছে কমান্ডো ব্যাটসম্যান, কমান্ডো বোলার, কমান্ডো কীপার। সর্বোপরি কমান্ডো ফিল্ডার। বল জলে-স্হলে-অন্তরীক্ষে যেখানেই যাক, কপালে তার বাঁচণ নাই।
জয় আক্ষরিক অর্থেই এরা ছিনিয়ে আনবে। আমরা আর হারবো না।
সাবাশ জলপাই ট্রেনিং।
ত্রিশ ফুট উপর থেকে পানিতে ফাল দিয়ে পড়া, গেরিলা যুদ্ধের টানটান মানষিক পরীক্ষা- হোক পাষাণ পরাণ তবু জয় হোক জলপাই ট্রেনিংয়ের।

খালি একটাই ভয়, এই লম্ফঝম্ফের ফাঁকে আমাগো টাইগাররা আবার না ক্রিকেট খেলাটাই ভুইলা যায়! সাধু মহাসাবধান!!


মন্তব্য

অতিথি এর ছবি

এমুন করেন ক্যা? দেখি না কমান্ডো ট্রেনিং নেওয়ার পর ব্যাটিং বোলিঙের কী হাল হয়।

ফারুক হাসান এর ছবি

অতিথি,
কেমন করলাম?
আমি তো এই ট্রেনিংয়ের একনিষ্ঠ ভক্ত! পোষ্টে তো বলেছি, রাত জেগে এর খবরাখবর নেই। ভাল লাগে।
আর কত আশার কথাও শুনাইলাম; সবাই তাগড়া হইয়া উঠতাছে।
ট্রেনিংয়ের আইডিয়াগুলাও মারাত্মক সুন্দর সুন্দর। দলের সবাই নাকি যারপরনাই আহলাদিত, এই ট্রেনিংয়ে অংশ নিতে পাইরা।

তবে আশরাফুল ভাল বলছে, এই সব ট্রেনিং সাহস থাকলেই করা যায়, কিন্তু সাহস থাকলেই সেন্চুরি করা যায় না।

যা কওনের পোষ্টের শেষ প্যারায় বইলা দিছি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সবকিছুকে জলপায়াইজড করার একটা পদক্ষেপ এটা। আর কিছুই না। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে সমস্যা অন্য অনেক দেশের চাইতে কম। শ্রীলংকার মত অতোটা না হলেও তাদের মেন্টাল দৃঢ়তাও যা আছে, চলে। সমস্যা অন্য জায়গায়। অ্যাডাপ্টিভ ম্যাচ প্লানিংয়ে, যেটা এইসব বালছাল ট্রেনিং দিয়ে কিছু হবে না। খেলোয়াড়রা শট্ সিলেকশন শিখবে না। ঝড়ে বক বছরে বড়জোর একবার পড়ে তারচেয়ে বেশি কিছু না।

বর্তমান সামরিক বিসিবি কমিটির কথা বাদ দিলাম, আগের কমিটির মাথাদের মাথায়ও ক্রিকেট জ্ঞান খুব অল্পই ছিলো। ভারত ও পাকিস্তানের আরলি এক্সিট বিশ্বকাপে একটা ওভারঅল ভালো পজিশন এনে দিয়েছিলো। সেই রেজাল্টে গা ভাসিয়ে দিয়ে তারা দলের 'অরিজিনাল' পারফর্ম্যান্স ভুলে গিয়েছিলো। একমাত্র ভারতের বিরুদ্ধে ছাড়া কারো সাথেই বাংলাদেশ টু দ্য অ্যাবিলিটি খেলতে পারে নি। সাউথ আফ্রিকার সাথে ম্যাচটায় আশরাফুল যে সব রিস্কি শট খেলে বেঁচে গিয়েছেন, সেটাই জয়ের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। তবুও বোলারদের পারফর্ম্যান্সে এ ম্যাচটাকেও সমালোচনার বাইরে রাখা যায়। বাকি প্রত্যেকটা ম্যাচে গো হারা হেরেছে। এমনকি বারমুদার বিরুদ্ধে জয়টা এসেছে যতোটা না আমাদের পারফর্ম্যান্সে, তারচেয়ে বেশি বারমুদার প্রফেশনালিজমের অভাবে। ষোলকলা পূর্ণ হয়েছিল আয়ারল্যান্ডের সাথে অর্বাচীনের মত হেরে।

বিশ্বকাপের পরে কেউই এই পারফর্ম্যান্সের বিচার করে নি। ভুলগুলো কোথায় ছিলো, বের করার চেষ্টা করে নি। ফলাফল হাতেনাতে। ভারতের মত অগোছালো দলের সাথে ভরাডুবি, তারপর ফর্মটীম শ্রীলংকার হাতে লাঞ্ছনা।

সমাধান হিসেবে এখন সবকিছুতে এসেছে আর্মি, তাদের হাঁটুর মাথা থেকে বেরিয়েছে, এদেরকে কমান্ডো ট্রেনিং দিলে এক একজন বীর হয়ে উঠবে। শালার দেশ চালাচ্ছে যতসব ছাগোলে!

প্রলাপের ভঙ্গিতে লিখা চমৎকার পোস্টটি ভালো লাগলো। এসব অবস্থা দেখে মাথা ঠিক রাখা আসলেই কঠিন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফারুক হাসান এর ছবি

অছ্যুত-র বিশ্লষণ খুবই ভাল লাগলো। একেবারে খাটি কথা।
আসল মুশকিল আমাদের ক্রিকেট ক্রেজি আমজনতারা। আমরা হঠাত কোনো ম্যাচে জিতলে এত ফাল পারি যে মনে হয় প্রতিটা ম্যাচই বিশ্বকাপ ফাইনাল। এই করে করে ক্রিকেট এখন সেলিব্রেটি গেম। অঢেল টাকা আসছে, সেই টাকার গন্ধে আজেবাজে লোকে ভরে গেছে ম্যানেজমেন্ট আর থিংক ট্যাংক।
আমার মনে হয়, বিশ্বকাপের পর ভারত আর শ্রীলংকার কাছে ছ্যাচা খাওয়া সামনের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দুয়েকটা ছবি মাত্র। যে দলের অধিনায়কের বয়স বাইশ/তেইশ, যে দলের গড় বয়সও বাইশ/তেইশ সেই দল আন্ডার টুয়েন্টিটু টিম হইলেই ভাল মানায়, জাতীয় দল কখনই নয়। ড্যারেন লেহম্যান যখন অষ্ট্রেলিয়া দলে সুযোগ পাইলো, মার্ক ওয়াহ অবসর নেবার পর, তখন তার বয়স ত্রিশের ওপারে। এরকম ভুড়ি ভুড়ি উদাহরণ দেয়া যাবে।
উদাহরণ আমাদেরও আছে। যেমন, ওইকেট কীপার-ব্যাটার নজরুল। অনেকের হ্য়ত নামটাও এখন আর মনে নাই। কেন নাই বুঝতেই পারছেন।
আন্ডার নাইনটিন থেকে খেলোয়াড় নিয়ে জাতীয় দল বানানো হলে সেই দলের কাছে আগামী পাঁচ বছর আর কিছু না চাওয়াই ভাল।
কমান্ডো ট্রেনিং দিয়া বুদ্ধি হাটুতে নামাইলে এই মেয়াদ আরো বাড়তেও পারে, কে জানে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সমস্যা হৈল ঐ ট্রেনিংএ বুদ্ধি হাটুতে না নামাই মুস্কিল
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

অতিথি এর ছবি

না না না, এমন হতাশ হলে চলবে না।

এই ট্রেনিঙের ফলটা আগে দেখি আমরা। তারপরও যদি লাড্ডা মারে তাহলে আমরা স্পোর্টস ক্যামেরাম্যানদের কমান্ডো ট্রেনিং দিবো :)।

তিরিশ হাত উঁচু থেকে পানিতে পড়ার ব্যাপারটি অত্যন্ত রূপক। প্রায়শই ব্যাটসম্যানরা যেমন উল্টাপুল্টা শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে আকাশ থেকে পড়েন, তার মোকাবিলার জন্য এই ট্রেনিং অত্যন্ত কার্যকরী।

কান্ধে ওজন নিয়ে পাহাড় পার হওয়ার ব্যাপারটা হাবলাবুলের মতো পায়েআলতারঞ্জিত খেলোয়াড়দের খুবই কাজে দিবে।

আর জলপাইয়ের সাথে গা ঘষাঘষি থাকলে সাংবাদিকরাও বুঝে শুনে লিখবে।

আমি আশা করি আশরাফুলকে ক্যাপ্টেন থেকে অন্তত মেজর করা হবে (মেজর ফুল)।

ফারুক হাসান এর ছবি

দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

বিপ্লব অব দ্য ডে!


হাঁটুপানির জলদস্যু

রাসেল এর ছবি

আমার কাছে সেটা সবচেয়ে সাম্ভাব্য বিষয় মনে হচ্ছে তা হলো এই ট্রেনিং নেওয়ার পরে বাংলাদেশের সবাই কোমরে একটা করে বন্দুক নিয়ে মাঠে নামবে- অবশ্য আমি এখনও জানি না এই সম্পূর্ন ট্রেনিংএ গুলি ছুঁড়বার প্রয়োজন কেনো তবে এর পরও এই ট্রেনিংটা আসলে উপযোগী ট্রেনিং- এখন বাংলাদেশের উইকেট কীপার কোমোরে মাল নিয়ে মাঠে মানবে আর কেউ সেটল হয়ে গেলে আস্তে করে কোমরে হাত বুলিয়ে বলবে বাবা জলদি রাস্তা মাপ নাইলে ফুট্টুশ- সহিংস একটা বিধ্বংসী দলের সামনে কেউ পড়তে চাইবে না
আর বোলারদের মুখোমুখি হওয়ার আগে ব্যাটসম্যানের বন্দুক উঁচিয়ে বলবে, শালা সাবধানে- যদি একটা উইকেট পড়ে, যদি আমি আজকে ৫০এর নীচে আউট হই তবে সব শালাকে মাঠেই ঘুমাতে হবে-
অন্তত এ ছাড়া আমাদের ২০১১ তে বিশ্বকাপ জয় সম্ভব না-অন্তত আমাদের নির্বোধ খেলোয়ারদের ভরসায়- উঁহু সম্ভব না- ভরসা জলপাই মামা আর শ্যুটিং প্রাকটিস।

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

২০১১ তে ২০০৩ এর থিকাও খারাপ অবস্থা হৈতারে...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

বিপ্লব রহমান এর ছবি

বন্দুক দিয়ে ধান চাষ হবে কবে?


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

ফারুক হাসান এর ছবি

রাসেল,
আপনার মন্তব্যটা জটিল হইছে।
পুরা ওয়েস্টার্ন মুভি হয়া যাবে।
আচ্ছা, কোচদের কোনো কমান্ডো ট্রেনিং নাই? থাকলে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোচের কীর্তিকলাপ কি হবে?

ধান চাষের বদলে এদের যা কাজ মানে রান চাষ হইলে আরকি লাগে- @ বিপ্লব

বদ্দা, আপনে মিয়া হতাশাবাদী রইলা গেলেন। আন্নেরো টাইম হইছে সিলেট যাওয়ার।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমার ডর লাগতাছে ২০১১ তে বাংলাদেশের কোচরে নিয়া। তার হোটেলের রুমে এক্সট্রা সিকিউরিটি লাগবো।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ফারুক হাসান এর ছবি

বদ্দা, বাংলাদেশের কোচ হিসেবে এই কারণে আমি গাব্বার সিংয়ের নাম প্রস্তাব করছি।
তাইলে সিকিউরিটির খরচটা বাচবো।

কেমিকেল আলী এর ছবি

আমি একটা কথা বুঝবার পারি না, খেলোয়ারদের যদি কামন্ডো ট্রেনিং এর দরকার হয়, তাইলে খেলোয়ারদের সাথে তাল মেলানোর জন্য কোচ, ফিজিশিয়ান, ম্যানেজমেন্টকেও কেন কমান্ডো ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে না?

-------------------


উত্পল শুভ্র গং যেভাবে হাবলাবুল আর আশারফুল বাহিনীকে আগলে রাখেন চিল শকুনের থাবা থেকে, পারলে মাঠে গিয়ে খেলে দিয়ে আসেন- এইসব দারুণ রসালো প্রতিবেদন পড়তে কার না ভাল লাগে!
-- এইকথাটা লাখে ১ কথা।

সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ ফাহা

ফারুক হাসান এর ছবি

আলী ভাই, আপনার প্রশ্ন যথার্থ। সবাইকে এক কাতারে আসতে হবে। একই তাপ সহ্য করতে হবে। একই বুটে পা গলাতে হবে। একই রশি বেয়ে পাহাড়ে উঠতে হবে। একইভাবে ফাল দিয়ে ত্রিশ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে নিচে পড়তে হবে। ষোলো মিনিটের মধ্যে আটটা পাহাড় ডিংগাতে হবে।
তারপরই যদি কিছু হয়!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।