.
দিনের সেরা খবর: একই হাড়ির রান্না খাচ্ছেন দুই নেত্রী
একই হাড়ির রান্না খাওয়া যে কত বিরাট ব্যাপার তা বুঝতে আমার দেশ পত্রিকাটা হাতে নিন। হাড়ির খবরাখবর এখন এই পত্রিকার লিড নিউজ।
একেই বলে ভাগ্যের পরিহাস! কোলাকুলি ছিল সুদূরপরাহত, তার বদলে কত চুলাচুলিই না হয়েছে। আর গালাগালি তো ছিলোই।
তারপরও ভাগ্যে থাকলে ঠ্যাকায় কে! খাও এখন একই হাড়ির ভাত।
তবে হাসিনা একটু হলেও এক্ষেত্রে টেক্কা মেরেছেন। ভাত রান্না হচ্ছে তার সাবজেলে। বলাবলি হচ্ছে যে,এজন্য নাকি কঠিন লবীং চালাতে হয়েছে ।
আজকের তারকা: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দী বাবুর্চি মুঃ মহসিন।
হাড়ির ভাতটি তিনিই ফুটাচ্ছেন। রান্না বিষয়ে নাকি তার প্রশিক্ষণও রয়েছে।
দিনের সেরা রহস্য: ঘুঘুর ধান খাওয়া
যায়যায়দিনে এসেছে, বিদিশা আবার এরশাদের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। তবে একই ছাদের নিচে নয়, ভিন্ন তলায়। স্বভাবতই প্রশ্ন এসেছে, এত কাছে থাকলে যদি ঘুঘু ঘুরঘুর করতে শুরু করে? বারান্দায়, সিড়িতে দাড়ালে যদি ঘুঘু ফাঁদ পেতে রাখে?
সর্বোপরি, যদি ঘুঘু আবার ধান খেতে চায়?
বিদিশা অবশ্য বলেছেন যে, এবার আর ঘুঘুকে ধান খেতে দেয়া হবে না।
সেরা স্বপ্নভঙ্গ: স্বপ্ন ছিলো বড় হয়ে পাইলট হবে, হলো কিনা ব্যবসায়ী (ছ্যা!!)!
যুগান্তরে হুবুহু এভাবে এই স্বপ্নভঙ্গের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে- বড় ইচ্ছা ছিল পাইলট হবেন। উড়োজাহাজ নিয়ে অসীম আকাশে ঘুরে বেড়াবেন।......
কিন্তু ভাইয়া যে যুবরাজ! মামু যে কোঠলা আমলা!
তাই পাইলট হবার রঙীন স্বপ্ন আকাশের নীলিমায় হারিয়ে গেল।
বলুন তো এটি কার স্বপ্ন ছিল?
সেরা উক্তি: গোলাপকে তুমি যে নামেই ডাকো না কেন, গোলাপ গোলাপই.... শেক্সপীয়ার।
মন্তব্য
হুম! জলপাই-এর ডড়ে খালেদা-হাসিনা এক হাড়িতে ভাত খায়।
আসেন আইজকা থেকে মইনুল-রে 'গুলাপ মিয়া' কইয়া ডাকি।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
সহমত - কার সাথে তা কমু না।
কি মাঝি? ডরাইলা?
চুলাচুলি আর গালাগালি না হয়ে কোলাকুলি হলে কি হতো? তুলনামূলক বিচারবোধই গনতন্ত্রের পথ,পারফকেশনিজম ফ্যসিবাদের, মনে হয় এটা হাস্য কৗতুকের সময়ও নয়,আমরা তুলনামূলক বিচারবোধ হারেয়ে ফেলছি,সামনে সেদিন ভয়ংকর!
-অপ্রিয়
'তুলনামূলক বিচারবোধ' একটা জটিল শব্দসমাহার। এর জন্য যেমন বিচারবোধ থাকাটা জরুরী, তেমনি তুলনা করার মত বিবেচ্য বিষয়ও থাকা আবশ্যক। আমাদের দুই নেত্রীর এই দুইটির কোনোটাই কখনো ছিলো না।
তাই একজনের বিবেচনা আরেকজনের তুলনার পাল্লায় কখনই উঠেনি।
আর তাদের বোধ যে কতটুকু, তা পরস্পরের প্রতি ছুঁড়ে দেয়া বাণীগুলো থেকেই বোধগম্য। এমনকি চুলাচুলিও বোধহয় এক্ষেত্রে একটা দুর্বল রূপক।
আর আম জনতা আমাদের বিচারবোধ তো পরীক্ষিত, এরশাদ মামু রংপুরের পোলা-তাই সীল মারো লাঙ্গলে, জিয়াউর রহমানের আছিলো কেবল ভাংগা সুটকেস- তাই সীল মারো ধানের শীষে,২১ বছর ক্ষমতা পায় নাই-তাই সীল মারো নৌকায়।
পাছায় তুমুল ডান্ডার বাড়ি খেয়েও আমরা এখন রাতে সুনিদ্রায় যাই বেবাক দুর্নীতিবাজরা ধরা খাইতেছে দেইখা।
আমাদের তুলনামূলক বিচারবোধ এই যে, আমরা তুলনা করি মন্দে-মন্দে। কখনই মন্দকে ছুড়ে ফেলে দিতে পারি না।
এই যখন অবস্থা, তখন মনে হয়, বোকাদের সংশয় থাকতে নেই।
এই যখন পরিস্থিতি, তখন হাস্য কৌতুকের সময় অসময় থাকে না। সবচেয়ে বড় হাস্য তো আজকে হাসান মোরশেদের পোস্টের ছবিটা!
-----------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
সাধু সাধু!
যায় ভেসে যায় স্বপ্ন বোঝাই, নৌকা আমার কাগজের...
জাঝা
-----------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
আলোচনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি...
গরিবের দূখেঃ দূখী হলে খূশি হয়, বড়লোককে গালি দিলে বুকে জড়িয়ে ধরে। কিন্তু গরীব থাকার কারণ খুজতে গেলে বলে শালা কম্যুনিস্ট।
এখন বহু লোক হাসিনা-খালেদা গালি দিলে খূশি হয়, জলপাই গালি দিলে বুকে জড়িয়ে ধরে, কিন্তু গনতন্ত্রহীনতার কারণ খুজতে গেলে বলে শালা রাজনীতিবিদ।
একটা কথা বুঝতে হবে,রাজনীতি যতটা আবেগের খেলা বুদ্ধির ততটা নয়। নেতা-নেত্রি নয় তাদের ইমেজই মূল।
বুশ-ব্লেয়ার কি ধোয়া তূলসীপাতা, উপর্যোপরি নির্বাচিত হয় কিভাবে? আল-কায়েদার জুজুর ভয়ে যদি পশ্চিমের এত পাকা আমেরাও কেঁচেঁ যায় তবে আমাদের আমের কি এত দোষ।
-অপ্রিয়
ঠিক কথা।
গলদটা কোথায়?
-----------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
নতুন মন্তব্য করুন