কিছু শব্দগত ব্যাপার স্যাপার

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: শনি, ১৫/০৯/২০০৭ - ২:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শব্দ ১. প্লান্টিক
এটা একটা জটিল শব্দ। বলা যায় বাংলা ভাষায় যত ইংরেজী শব্দ আছে তাদের মধ্যে রাজস্থানীয় শব্দ হলো- প্লান্টিক। মানে হলো কোনো খেলা নির্ধারিত সময়েও যদি অমিমাংসিতভাবে শেষ হয় তাহলে এক ধরনের জুয়ার ব্যবস্থা করা যাতে যেনতেন করে জয়পরাজয়টা নির্ধারণ করা যায়।
উদাহরণ: ফুটবলে শুট আউট কিংবা ক্রিকেটে সদ্য চালু হওয়া হিট দ্য স্টাম্প।
বাজে লোকেরা একে অনেকসময় পেনাল্টি বা প্লান্টি নামে অভিহিত করে থাকে।

শব্দ ২. হ্যাম বল
যখন পা দিয়ে ফুটবল খেলতে গিয়ে ফাজিল ইচড়েপাকা নচ্ছার আর বদের হাড্ডি কোনো বালক হাত দিয়ে পদগোলকটা ছুয়ে দেয় তখন তাকে আমরা বলি হ্যাম বল হয়েছে। মানে বলটা থামাও এবং বিনামুল্য লাথি বা ফ্রি কিক নাও।
ব্যাপারটা একদম যেহেতু সহজ যেহেতু সেটা (as simple as that)।

শব্দ ৩. শট খাওয়া
বাসা বাড়িতে বিদ্যুত বা বিজলী বাতির ব্যবস্থা থাকলে আর মাঝে মাঝে পেটে গুড়াকৃমি থাকলে আপনিও কখনও কখনও কোনো উন্মুক্ত বিদ্যুত চলাচলের রাস্তায় হাত দিয়ে শট খেয়ে ফেলতে পারেন। শট হচ্ছে এক ধরনের তাত্ক্ষণিক ঝাকুনিজনিত বডি ম্যাসেজ যা খেতে খুবই সুস্বাদু।

শব্দ ৪. হোয়াইট বল
এর মানে শাদা বল নয়, বরং ক্রিকেট খেলায় এর মানে হলো একটি অতিরিক্ত রান প্রতিপক্ষের খাতায় যোগ করা ও একটি অতিরিক্ত বল নিক্ষেপ করা।
যাদের উচ্চারণে সমস্যা আছে বা যারা একধরনের স্পেশাল একসেন্ট বা টান ছাড়া কথাই বলতে পারেন না, তারা একে হোয়াইট না বলে ওয়াইড বলেন।

শব্দ ৫. ড্রাইব দেয়া
মানে হচ্ছে আপনি ড্রাইব দিয়ে পানিতে পড়লেন বা ক্যাচটা ধরলেন। একেই বলে ড্রাইব দেয়া। কিন্তু ওই উচ্চারনে সমস্যা হলে যা হয়, ড্রাইবরে বলে ডাইব।
(বাংগালী কবে যে স্মার্ট হমু!)

এখন সবাই বুকে হাত দিয়ে বলেন, আপনি আর কয়টা এইধরনের স্পেশাল শব্দ জানেন এবং ব্যবহারিক জীবনে ব্যবহার করেন।

পরিশিষ্ট:
যাত্রী: এই রিকশা যাবে? হ্যালো, এই যে রিকশাওয়ালা ভাই, আপনি ভাড়া যাবেন প্লিজ।
রিকশাওয়ালা: কই যাইবেন?
যাত্রী: পানির ট্যাংকির ওম্বুরা ।

(ওম্বুরা মানে অপর পাশে)


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হাঃ হাঃ হাঃ। মজার হইছে দেঁতো হাসি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দ্রোহী এর ছবি

আমি এখনো প্ল্যান্টিক বা প্ল্যান্টিকিক, হ্যামবল, হোয়াইট বল, ডাইব শব্দগুলো ব্যবহার করি!!! ছোটবেলায় শিখেছিলাম - আর বদলাতে পারিনি।
হাসি


কি মাঝি? ডরাইলা?

ফারুক হাসান এর ছবি

চলুক

-----------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

ছোটোবেলায় ব্যবহার করা আরো কিছু যোগ করে দিই এই সুযোগে। পিলিয়ার = প্লেয়ার। ফুলব্যাগি = ফুলব্যাক। গোলকি = গোলকীপার। মাডবোল = মার্বেল।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

অমিত এর ছবি

ছিই ছিই !! একেবারে অসাংস্কৃতিক...

______ ____________________
suspended animation...

সৌরভ এর ছবি

"আউট দ্যাট!"

মানে হইলো... "হাউজ দ্যাট?" আম্পায়ারের কাছে ম্যাকগ্রা-জিলেসিপিরা মুখোমুখি যে তুমুল আবেদন করে বসেন - সেইটা।



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ফারুক হাসান এর ছবি

জুবায়ের ভাই এবং সৌরভ,
আপনাদের ব্রেইন তো জটিল। এখনও এতগুলো শব্দ মনে আছে....আউট দ্যাট শব্দটার কথা আমার মনেই ছিল না।

-----------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

ব্রেইনের কথা বেশি জোরে বললে বিপদ আছে। সুজন চৌধুরী ফুটোস্কোপ লাগিয়ে দিতে পারেন!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

ফারুক হাসান এর ছবি

হাঃ হাঃ, যা বলেছেন জুবায়ের ভাই।
এই ফুটোস্কোপ তো বেড়ে এক যন্তর বলে মনে হচ্ছে। বেশি ভয় পাবেন না। এতে চেহারাটা জব্বর আসে।

-----------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

অমিত আহমেদ এর ছবি

ঘটনা ১
ক্লাস ফাইভ।
আমার এক দোস্ত স্কুলে এসে হেভী পাট মারতেছে। আমি গিয়ে শুধাই "কিরে দোস্ত, হইছে কি?"
সে বলে, "কিনে ফেললাম!"
"কি কিনে ফেললি?"
"সাইকেল! রেসলিং সাইকেল"

ঘটনা ২
২০০২, স্কুলের বাসে কানাডায় নতুন আগত এক বাঙালির সাথে দেখা।
আমি জিগাই, "রানা ভাই আছেন কেমন?"
"আর বইলো না মিয়া এত্তো দাম। আইজ দুইটা গ্লোব কিনছি। টাকা সব শেষ!"
"জিওগ্রাফী নিছেন নাকি?"
"জিওগ্রাফী নিমু কেন?"
"গ্লোব কিনলেন কেন তাইলে? তাও দুইটা কিনছেন? অন্য কারো জন্য?"
তিনি তেড়েফুঁড়ে বললেন, "জিওগ্রাফীর লগে গ্লোবের কি সম্পর্ক মিয়া? হাতে পরনের গ্লোব কিনছি। দুই হাতের জন্য দুইটা!"

ঘটনা ৩

আন্ডারগ্রাজুয়েটে এক সিনিয়র ভাই আমাকে জোর করে তাঁর বাসায় নিয়ে গেছেন। তাঁর অ্যাসাইনমেন্ট করে দিতে হবে। সারারাত কাজ করলাম। সকালে উনি ঘুম থেকে উঠে দেখেন আমি তখনো টেবিলে। উনি বলেন, "আহারে সাব্বির সারা রাইত ঘুমাও নাই না? খিদা পাইছে?"
আমি শুকনো মুখে বলি, "হুম!"
তিনি উৎসাহ নিয়ে বলেন, "আরে সকালের নাশতা আছে তো! কপি আর বেগন! চলবো?"
"সিরাজ ভাই, সবজি খেতে ইচ্ছে করতেছে না। ডিম-পাউরুটি আছে?"
"ধুরো মিয়া, সবজি কই পাইলা? সিনেমন রেইসিন বেগন (বেগল) আছে, ডিম দিয়া খাইবা। আর আমি গরমা গরম কপি (কফি) বানায় আনতেছি এক্ষুণি দাঁড়াও।"


একটা ঝলসে যাওয়া বিকেল বেলা, একটা লালচে সাগরের জলে
যায় ভেসে যায় স্বপ্ন বোঝাই, নৌকা আমার কাগজের...

অরূপ এর ছবি

আমাদের কাম্পানীতে শওকত ভাই, টপ গ্লোবাল ম্যানেজারদের একজন। সাউথ আফ্রিকায় গিয়ে কোন এক প্রসঙ্গে জানতে চাইলেন "হার্ডডিক্স" বিষয়ে। Hard Disk আর Hard Dicks এর ফারাকটা উনি জানলেও ভুল উচ্চারন শোধারাতে পারেননি এতোদিনেও। ফলাফল, আড়ালে আবডালে "শওকত" আর "দৃঢ় শিশ্ন" বিষয়ক তামাশা ছড়াতে লাগলো একান-সেকানে..
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

অমিত আহমেদ এর ছবি

ঘটনা ৪

একটা বারে গেছি তিনজন।
মোহাম্মেদের ওয়েট্রেসকে মনে ধরে গেল। তার হাসি নাকি ভূবন ভুলানো। আমি আর আশফাক বলি, "বল মেয়েটাকে... গিভ ইট এ ট্রাই।"
সে মেয়েটাকে ডেকে নিয়ে বলে, "আই লাইক ইউর টিট (টিথ)!"


একটা ঝলসে যাওয়া বিকেল বেলা, একটা লালচে সাগরের জলে
যায় ভেসে যায় স্বপ্ন বোঝাই, নৌকা আমার কাগজের...

অরূপ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

জটিল! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ফারুক হাসান এর ছবি

অমিত আহমেদ, ফাটিয়ে ফেলছেন রে ভাই! চলুক

-----------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

তারেক এর ছবি

হো হো হো অমিতদা আর ফাহা ভাই দুইজনরেই জা-ঝা!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

অমিত আহমেদ এর ছবি

এরম কাহিনী তো কম দেখলাম না। আরো চার-পাঁচটা গল্প নিয়া একটা পোস্ট দিয়া ফেলবো নাকি ভাবতেছি!


একটা ঝলসে যাওয়া বিকেল বেলা, একটা লালচে সাগরের জলে
যায় ভেসে যায় স্বপ্ন বোঝাই, নৌকা আমার কাগজের...

ফারুক হাসান এর ছবি

হ হ, দিয়া ফালান চটজলদি।
ভাবতেছি, এই শব্দগুলি একসাথে কালেক্ট করে রাখা দরকার। পুরানো অভ্যাসমত মাঝে মাঝে দুএকটা ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এখন পর্যন্ত যেগুলোর উল্লেখ করা হয়েছে-
প্লান্টিক
হ্যাম বল
শট খাওয়া
হোয়াইট বল
ড্রাইব দেয়া
পিলিয়ার
ফুলব্যাগি
গোলকি
মাডবোল
আউট দ্যাট
রেসলিং সাইকেল
হার্ডডিক
ব্রাষ্ট হওয়া
স্প্রীড
এল.পি.আউট
বেশি এক্সেস
-----------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

দৃশা এর ছবি

হাসতেই আছি...হাসতেই আছি...লেখা পইড়া আর কমেন্ট পইড়া।

দৃশা

ফারুক হাসান এর ছবি

আরো কিছু পাওয়া গেছে। সেগুলো হলো-
ব্রাস্ট (blast): একটা ককটেল ব্রাস্ট হইছে রাস্তায়।
স্প্রীড (speed): এমন স্প্রীডে দৌড় দিছিলাম যে এক সেকেন্ডে বাড়িতে চইলা আইছি।
এলপি (L.B.W.): আম্পেয়ারটা শালার খাইস্টা। একটাও এলপি দিলো না।

-----------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

নজমুল আলবাব এর ছবি

বেশি এক্সেস হয়ে গেছে... এখন ফেড বেতা করে...

একবার এক রিকশার পেছনে লেখা দেখছিলাম ''ছলনা গোরে ৮০''

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ফারুক হাসান এর ছবি

''ছলনা গোরে ৮০''
হাঃ হাঃ হাঃ

-----------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

দৃশা এর ছবি

একবার কক্সবাজারে গিয়া রিক্সা চইড়া রিক্সাওয়ালা রে কইলাম ভাল কোন খাবার দোকানে নিয়া যান। বেটা কয় চলেন আপনেগোরে হোটেল "ঝৌবনে"(আমরা ভাবলাম "জৌবন")নিয়া যাই...নাম শুইনা তো আতকাইয়া উঠলাম...মুরুব্বীগোরে লইয়া পরে কোন নিষিন্ধ জায়গায় যাইয়া পরি। পরে যাইয়া দেহি রেস্টুরেন্টের নাম "হোটেল ঝাউবন"।

দৃশা

দ্রোহী এর ছবি

সবেমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। ওরিয়েন্টেশনের পর অফিশিয়ালি ক্লাস শুরু হয়েছে।
-প্রথমদিনের ক্লাস! স্যার রোলকল করছেন - উদ্দেশ্য সব ছাত্রের নাম জানা।
-স্যার ডাকলেন -"মোহাম্মদ শহীদুর রহমান।"
-পেছন থেকে শব্দ শুনলাম, "ইয়েচ চ্যার!"
দমকা এক হাসির হলকায় সবকিছু উড়ে গেল। স্যার শহীদকে বললেন, "ইয়েচ চ্যার কি? বল ইয়েস স্যার।"
-শহীদ বললো, "চরি চ্যার।"


কি মাঝি? ডরাইলা?

দ্রোহী এর ছবি

প্রেশক্রিপশন - পিকসেকশান
আউট - আবুট
বল - বোয়াল
গোলকিপার - গোওলী


কি মাঝি? ডরাইলা?

নজমুল আলবাব এর ছবি
হাসান মোরশেদ এর ছবি

টেডাস- স্টেটাস
এপাটমেন্ট- এপয়েন্টমেন্ট
ডিংক-ড্রিংক

-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অমিত আহমেদ এর ছবি

ঘটনা ৫

উর্ধশ্বাসে ছুটে যাচ্ছে বারেক।
জিজ্ঞাস করা হলো, "কিরে বেটা, এত ব্যস্ততা নিয়া কই যাস?"
"বাসায় মেহমান আসছে দোস। আম্মা পাঠাইসে ভির্গিন কিনতে!"
"কি কিনতে?"
"ভির্গিন! এক লিটারের বোতল"
তখন বাংলাদেশে প্রথম ভার্জিন কোলা এসেছে।


একটা ঝলসে যাওয়া বিকেল বেলা, একটা লালচে সাগরের জলে
যায় ভেসে যায় স্বপ্ন বোঝাই, নৌকা আমার কাগজের...

ফারুক হাসান এর ছবি

মন্তব্যগুলো এই পোস্টের অলংকার। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বিশেষ করে যারা বিভিন্ন শব্দের যোগান দিলেন।
এই শব্দগুলোই কি অপভ্রংশ? তাহলেতো অপভ্রংশের ছোটখাটো অভিধান হয়ে গেলো ইতিমধ্যেই! (বিশেষ করে অমিত আহমেদ তো বাস্তব উদাহরণ সহযোগে মানে বুঝিয়েছেন)
আশা করি, যখনি আরো নতুন কোনো শব্দ মনে পড়বে সাথে সাথে এখানে যোগ করে রাখবেন।

-----------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।