১.
আমার আব্বা সবসময় একটা গল্প বলেন। নোয়াখালির ভাষায় "আণ্ডা বেঁয়ারীর" গল্প। আণ্ডা মানে তো বুঝতেই পারছেন, ডিম। বেঁয়ারী শব্দটা হলো "ব্যাপারী"র (ব্যবসায়ী) নোয়াখাইল্লা ভার্সান। তো গল্পটা একজন ডিমের ব্যাপারীকে নিয়ে -
একদেশে এক লোক ছিলো, সে ভীষন অলস ছিলো, দরিদ্র ছিলো, ইত্যাদি ইত্যাদি। সে একবার ধার-কর্জ করে কিছু মুরগী কিনলো। কিছুদিন পর মুরগীগুলো ডিম পাড়লো। একদিন সে ঝাঁকা ভরে ডিম নিয়ে বাজারের দিকে রওয়ানা হলো। উদ্দেশ্য বাণিজ্য!
মাথায় ঝাঁকা নিয়ে সে হাটছে তো হাটছেই, আর অনেক কিছু চিন্তা করছে। বিভিন্ন পরিকল্পনা তার, এইটা করবে সেইটা করবে। ডিম বেচে অনেক টাকা পাবে, সেই টাকা দিয়ে আরো কয়েকটা মুরগী কিনবে। তারা আরও ডিম দিবে, সেই ডিম বেচে আরও টাকা পাবে। এইভাবে করতে করতে সে একদিন অনেক মুরগী আর ডিমের মালিক হয়ে যাবে। তারপর সে একটা জমি কিনবে। সেই জমিতে চাষ করে অনেক ফসল ফলাবে। তারপর একটা পুকুর কিনবে, পুকুরে মাছ চাষ করবে... এইভাবে করতে করতে সে অনেক টাকার মালিক হয়ে যাবে।
তারপর একদিন সে বিয়ে করবে। তার একটা ফুটফুটে ছেলে হবে। বৌয়ের সাথে অনেক রকম আমোদ আহ্লাদ করবে। মাঝে মধ্যে আবার একটু ঝগড়া টগড়াও হবে, তখন সে অভিমান করবে। বৌ খেতে ডাকলে যাবে না। তখন ছেলে এসে টানাটানি করবে, বাবা, আসো, ভাত খেতে আসো। তখন সে বলবে, "যাইতাম ন" (যাবো না) আর অভিমান ভরে উলটো ঘুরে শুবে।
যেই না সে উলটো ঘুরে শুতে গেল, তার মাথার থেকে ঝাঁকা গেল পড়ে। ডিমগুলো সব বরবাদ হয়ে গেল।
২.
আসলে গল্পটা বলা এই পোস্টের উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য গল্পের মোরালটা। মোরালটা মোটামুটি এই রকম, ভবিষ্যতে হেন করেংগা, তেন করেংগা, এইসব চিন্তা বাদ দিয়ে, বর্তমানে যেই কাজটা করছি সেইটা ঠিকঠাকমতো করা উচিত।
তবে এই গল্পটার আরেকটা দিকও আছে। একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে দেখবেন, আমরা কিন্তু জাতিগতভাবেই গল্পের ওই লোকটার মতো। আমরা এইটা করবো, সেইটা করবো, কিভাবে করবো, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বেশি মাথা ঘামাই, হাতের কাজটা ফেলে। যার যেটা করা উচিত, সেটা না করে বাকোয়াজ বেশি করি। আমি বলছি না সবাই এমন, তবে বেশিরভাগই এমন, এমনকি আমি নিজেও...
৩.
ভারতের সাথে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে সেহওয়াগের এক মন্তব্য নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় যায় অবস্থা। বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা পারলে তার চৌদ্দগুষ্ঠি ভিটেছাড়া করে। আর ব্লগে ব্লগে মোটামুটি আগুন লেগে গেল।
ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন, সেহওয়াগ কি ভুল কিছু বলেছে? তার বলার ভঙ্গী শোভন না। তারপরেও সে যেই দিকটায় আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিতে চেয়েছে, সেদিকটায় কেউ মাথা ঘামালো না। সবাই চেঁচামেচি শুরু করলো, তার কি এইটা করা উচিত!
আরে, উচিত কাজটা তো কেউই করে না। বাংলাদেশের ছাগলগুলার কি উচিত এই রকম ব্যাটিং করা? রকিবুলের কি উচিত টেন্ডুলের লোপ্পা ক্যাচ ফালানো? আশরাফুলের কি উচিত ম্যাচের পর ম্যাচ নির্বোধের মতো আউট হওয়া? সবাই তার উচিত কাজটা করলে তো সেহওয়াগের ওই মন্তব্য করার পরিস্থিতিই তৈরী হতো না।
আর বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা! এর আগেও একটা লেখায় লিখেছিলাম, তারা গাঁজা খেয়ে লিখতে বসে বলে আমার ধারণা। এটা এখন আর ধারণা না, পাকাপোক্ত বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে। আমার এখনকার ধারণা হলো, তারা শুধু গাঁজাই খায় না, তার সাথে ইয়াবাও মিশায়...
৪.
এই পুরো বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতিগত চরিত্রটা কিন্তু খুব সুন্দর করে ফুটে উঠেছে। কেউ কাজের কাজটা ঠিক মতো করছে না, অথচ আকাশ কুসুম কল্পনা আর বাকোয়াজির কমতি কারোরই নেই, না খেলোয়াড়দের, না সাংবাদিকদের, না আমাদের দর্শকদের। আমরা সবাই দিনশেষে সেই "আণ্ডা বেঁয়ারী"ই!!!
৫.
পুরো লেখাটাই চরম রাগের মাথায় লেখা! কেউ মাইন্ড কইরেন না!!!
মন্তব্য
১.
গল্পটা মনেহয় অন্য একটা গল্পের অপভ্রংশ।
২.
শেহবাগকে তার অশোভন আচরণের জন্য আমি অপছন্দ করলাম। কিন্তু তার জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের দিকে তাকালে তাকে মিথ্যাবাদী মনে হয়না।
৩.
মনে মনে খুব আশা করেছিলাম বাংলাদেশ ব্যাটেবলেই শেহবাগের কথার উচিত জবাব দিক। আমার মনে হয় তাকে জবাব দেয়া সেটাই একমাত্র উপায় ছিল। তখন বরং তাকে মিথ্যাবাদীও বলা যেত...।
৪.
জবাব যখন আমরা দিতে পারিনি তখন শেহবাগের শ্লেষ মুখবুজে হজম করে কেবল অশোভন কথার জন্য তাকে অপছন্দ করা ছাড়া আর কী-ই বা করার আছে...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সেটাই! মুখে ফট ফট না করে যদি একটু খেলে দেখিয়ে দিতে পারতো!
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
ভাই, কেউ কি ইচ্ছে করে ক্যাচ ফেলে? কোন ব্যাটসম্যানই উইকেট থ্রো করে আসে বলে মনে হয়না। ক্রিকেট যারা খেলেছেন (টেনিস বলের ক্রিকেটের কথা বলছিনা) তারা হয়তো বুঝবেন এতে রিদমের একটা ব্যাপার আছে। পাইকারি হারে গালি দেয়াটা কোন মঙ্গল বয়ে আনেনা।
তবে রাগের মাথায় লেখা হলেও এসব আমরা বলি কারণ আমরা ওদেরকে খুবই ভালোবাসি। ভালবাসি বলেই গালাগালি আর ভাল করলেই গলাগলি করি।
পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই আপনার সাথে দ্বিমতঃ
- কেউ ইচ্ছা করে ক্যাচ ফেলে না, তবে ক্যাচ ফেলার পর মিডিয়ার সামনে দাত কেলিয়ে বলা উচিত না যে, এটা ক্রিকেটের একটা অংশ। লজ্জাবোধটা অন্তত থাকা উচিত। লজ্জাবোধ না থাকলে আরো পরিশ্রম করার তাড়না আসবে না, আরো পরিশ্রম না করলে এমন ক্যাচ মিস হতেই থাকবে, হতেই থাকবে।
- কোন ব্যাটসম্যান উইকেট থ্রো করে না বললেন? রকিবুলের আউটটাকে কি বলবেন তাহলে? দেখে শুনে বল ছেড়ে দিয়ে বোল্ড! উইকেট থ্রো করার সংজ্ঞা কি?
২২ রানে ৭ উইকেট, পাইকারি হারে গালি মঙ্গল বয়ে আনবে না, তাহলে কি আনবে বলতে পারেন একটু? তাদের আর কি সুযোগ সুবিধা দিলে তাদের মধ্যে দেশের প্রতি বিন্দুমাত্র দায়বোধ জন্মাবে? কমিটমেন্ট আসবে? আর কত টাকা লাগবে তাদের???
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
ইচ্ছে করে আউট হওয়া আর উইকেট থ্রো করার মধ্যে একটা তফাৎ আছে। উইকেট থ্রো করা বোঝায় পরিবেশ পরিস্থিতি না বুঝে, আউট না হওয়ার মতো বলে, আউট হওয়ার মতো খেলে, আউট হয়ে আসা। আপনার চিন্তা ভাবনার সাথে নাই যেতে পারে, তবে এই টার্মটা এইসব আউটের জন্যই ব্যবহার করা হয়ে আসছে। এবং আশরাফুল এটাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে!!!
আপনার পয়েন্ট বুঝতে পেরেছি, দ্বিমত থাকলেও আর তর্ক বাড়ালাম না, ব্যাক্তিগত পর্যায়ে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
উইকেট থ্রো না করে কিভাবে খেলতে হয় সেইটা মনে হয় আগের দিন তামিম জুনায়েদ একটু দেখিয়েছিলো। খুব আশাতে ছিলাম আজ ব্যাটসম্যানরা সেই থেকে শিক্ষা নিবে, শুরুও হয়েছিলো ভালো, তারপর এইসব কি? জহির খান কি সুপারম্যান যে তার বলে এইরকম টপাটপ উইকেট পড়বে!! ২-১ টা হলে চলে, তাই বলে এক ওভারে ৩ উইকেট?!? নিজে যথেষ্ট ক্রিকেট খেলেছি, যেসব বোলারদের খেলেছি তারা জহিরের নখের যোগ্যও না, তাই বলব না যে খুব ভালো মানের ব্যাটিং করি। কিন্তু এইটা জানি আমার আউট হওয়ার শখ হলে জহির খান লাগবেনা, ভাংগা কব্জি নিয়া যুবরাজ বল করলেও আউট হবে। আর যদি আমি চাই তাহলে এক্সট্রাঅর্ডিনারী বল ছাড়া আমাকে কেউ আউট করতে পারবে না। জহিরের বলগুলা কি সেইরকম এক্সট্রাঅর্ডিনারী বল ছিলো। কখনও ব্যাটসম্যানদের কিছু বল বাধ্য হয়ে খেলা লাগে ইন্সটিংকট থেকে - অফ স্ট্যাম্পের কিছুটা বাইরের রাইজিং আউটসুইং অথবা গা সোজা বাউন্সার সেইরকম কিছু বল আরও আছে। জানি এইভাবে বসে থেকে কিবোর্ডে ঝড় তোলা অনেক সহজ মাঠে নেমে খেলা অনেক কঠিন, কিন্তু বেসিক তো জানি। এদের আসলে খেলাতে সমস্যা না সমস্যা হল মনে, সবাই নিজেদের লাটসাহেব ভাবে, জানে তাদের বাদ দিলে রিপ্লেসমেন্ট কেউ নাই, তাই যা খুশি করে। জানে বাদ পড়লে দুদিন পর আবার ফেরত আসবে। অযথা লোটাস কামালকে নিয়ে এত লাফালাফি, সে তো কথা খারাপ বলে নাই!!
ভাবার কারণ আছে, সাংবাদিকদের অতি-তোষন তাদেরকে ভাবতে বাধ্য করে! আমার কানের কাছে নিত্যদিন যদি কেউ গুনগুন করে, তুমি বিরাট প্রতিভাবান, খালি করে দেখাতে পারছো না, তাইলে আমিও ভাববো, আমি কি হনু রে!
মাত্রাছাড়া প্রশংসা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না!
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
আমাদের বাসায় যখন ছোটো ছিলাম, তখন আমাদের সামনে কেউ আমাদের প্রশংসা করলে আব্বা আমাদের অন্য ঘরে পাঠিয়ে দিতেন, বলতেন আরে না কীসের কী ঐ একটু ভালো করসে আর কি ... তারপর একটা ছোটোখাটো হুমহাম হুঙ্কার দিয়ে ভাগিয়ে দিতেন। ওনার ধারণা ছিলো, প্রশংসা শুনলে ছোটোদের আক্কেল ঠিকমতো গ্রো করে না। কথাটা মনে হয় খুব ভুল না।
আমাদের সাংবাদিকরা [এমনকি আমরা যারা ব্লগিং করি তারাও] কিন্তু দুর্বল কেনিয়া জিম্বাবুয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে বাংলাদেশ জেতার পর হোয়াইটওয়াশের মতো একটা উদ্ধত দাম্ভিক টার্ম ব্যবহার করেছেন। আর শেবাগ অর্ডিনারি বললে আমরা তেলেবেগুনে জ্বলে যাই।
কেউ মুখে কী বলে, সেটা হয়তো কখনো কখনো বড় ব্যাপার, তারচে বড় ব্যাপার লোকে কী ভাবে। বাংলাদেশকে খেলে প্রমাণ করতে হবে যে সে অর্ডিনারি নয়। কীভাবে এ কাজ করতে হয়, সেটা গতদিন তামিম আর জুনায়েদ দেখিয়েছে। আজ সাকিব, মাহমুদুল্লাহ, রকিব, মুশফিক সেই উদাহরণ চোখে দেখতে ব্যর্থ হয়েছে। আশরাফুলের কথা আর বললাম না, ও আর নাফিস বিয়ন্ড হোপ।
বাংলাদেশকে নিয়ে ক্রীড়াসাংবাদিকদের মনোভাব এক লাইনে এরকম, "হাল ধোরো না বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে।" ক্রিকেটাররা তাদের লেখাই পেপার খুলে পড়ে।
খুবই ঠিক ধারণা, ১০০% সত্য।
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
- আমাকে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে এই চুদির্ভাইগুলা টুয়েনটি-টুয়েনটি, ওয়ানডে আর টেস্টকে একই রকমের খেলা মনে করে! বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং-এর তালিম দেয়ার আগে এদেরকে, আমার মতে কোনো বদরাগী প্রাইমারী স্কুলের হেড মাস্টার কিংবা মক্তবের হুজুরের কাছে এই তিন ধরণের খেলার ব্যকরণের তালিম নিতে বাধ্য করা হোক।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জ্বী, ব্যকরণ শেখা দরকার আর সেটা আসতে হবে একটা ভালো প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট স্ট্রাকচার থেকে। নিচে অনিন্দ্যের মন্তব্য লক্ষণীয়।
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
আমাদের ক্রিকেট দলে প্রতিভা বেশি হয়ে গেছে। দলে প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের সংখ্যা কমিয়ে পরিশ্রমীদের সংখ্যা বাড়ানো দরকার সবার আগে।
- একটা জিনিষ লক্ষ্য করছেন মেম্বর? এই লেখাটার শিরোনামে যদি প্রথম শব্দের দ্বিতীয় 'আ'কারের উপরে একটা ছাতা বসে যেতো তাইলে কী হতো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ........ইশটিলের তৈরি দুয়েকটা ছোট সাইজের ওই জিনিস আমাদের খেলোয়াড়দের পরাইয়া দেয়া দরকার।
- তাইলে তো আর "বেঁয়ারী" হৈলো না, হৈবো "ব্যবহারকারী"। গঠনা মিললো?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
না বস, ওই জিনিষ ছাড়া, কোন রকম গার্ড মার্ড ছাড়া ইশান্তের বল খেলতে নামায় দেয়া উচিত। তাইলে যদি একটু শিক্ষা হয়, অন্তত ভাইটাল অর্গানের মায়ায় ঠিক ঠাক বল দেইখা খেলতো...
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
একমত, র হীরার কোন মূল্য নেই, ওটাকে ঘষে ঘষে সাইজে আনার পরই দাম বাড়ে।
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
লেখক এবং অন্য যারা বাংলাদেশের খেলা দেখে চরম বিরক্ত,তাদের সবার অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলি,এত যে গালাগালি করছি,তার আগে আমাদের ক্রিকেটের অবকাঠামোর দিকে নজর দেয়া উচিত।
১।লেখার ১ম অংশের সাথে সম্পুর্ণ সহমত। আমরা আসলেই নিজেদের কাজগুলো ঠিকমত করিনা,কিন্তু বড় বড় কথা বলতে খুব পছন্দ করি।
২।উ.শু. যেভাবে বাংলাদেশের প্লেয়ারদের প্রশংসা করে,তা তাদের অধঃপাতে দেবার জন্য যথেষ্ট।কিন্তু সে একটা কথা অনেক সময় বলছে,যেটা খুবই সত্য।সেটা হল বাংলাদেশের প্লেয়ারদের 1st class match কম খেলা। শাহরিয়ার নাফিসের অস্ট্রেলিয়ার সাথে টেস্ট সেঞ্চুরিটা তার 1st class + টেস্ট মিলিয়ে তার ১ম সেঞ্চুরি।চিন্তা করেন অবস্থা!! 1st class ক্রিকেটে ৮-১০টা সেঞ্চুরি করার পরেই বরং একটা প্লেয়ারের জাতীয় দলে আসা উচিত। ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার কথা ভাবুন। কি অসাধারণ অবকাঠামো ওদের। রঞ্জি ট্রফিতে যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ খেলা হয় বলেই মুরালি বিজয়ের মত প্লেয়ার বের হয়,যে গম্ভীরের মত ব্যাটসম্যানের অভাব বুঝতে দেয় না।বাংলাদেশের প্লেয়াররা যে মাঝে মাঝেই টেস্টে সেঞ্চুরি করে,৫ উইকেট নেয়,সেটাই তো বরং অবাক হওয়ার মত ব্যাপার।
৩। এবার আমি মাঠ নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। ঢাকা শহরে মাঠের অবস্থা কি? যে বাসাবো মাঠে খেলে আশরাফুল বড় হয়েছে,সে মাঠে কিছুদিন আগে ১ মাসব্যাপী কুটির শিল্প প্রদর্শনী হয়ে গেলো। পুরো এলাকার ছেলেদের খেলা বন্ধ। মাঠে স্টল বসানোর কারণে মাঠের বারটা বেজে গেল।
এখন আপনারা বলতে পারেন,বাসাবো মাঠে কি হয়েছে,তার সাথে জাতীয় দলের performance এর কি সম্পর্ক? সম্পর্ক আসলে সরাসরি নেই,কিন্তু এটা খেলার প্রতি আমাদের attitude কেমন,তা বুঝিয়ে দেয়। আমরা বাচ্চাদের ঠিকমত মাঠ দিতে পারি না,এরাই তো একদিন বড় হবে,জাতীয় দলে খেলবে। তখন এদের আমরা গালাগালি করব। আমরা ১০-১৫ বছর বয়সীদের কি ভাল খেলোয়াড় হবার মত যথেষ্ট সুযোগ দিতে পারছি? আমার যতদুর মনে হয়,এই সময়েই বেসিকটা গড়ে উঠে।
৪। আমরা আর ১টা মহা ভুল করেছিলাম মহসিন কামাল আর ট্রেভর চ্যাপেল কে কোচ বানিয়ে। এই ২ লোক আমাদের বারটা বাজিয়ে দিয়ে গেছেন। দলে সিনিয়র-জুনিওর সম্পর্ক এবং ভারসাম্য নষ্ট করেছেন। অনেক দিন আগের ব্যাপার হলেও একটা aftereffect তো থেকেই যায়। এরা অত্যন্ত বেকুবের মত মাশরাফির মত একটা প্লেয়ার কে যেমন খুশি তেমন ব্যবহার করেছেন,যার ফল এখনও তাকে ভোগ করতে হচ্ছে।মাশরাফি আর কখনো ফুল ফর্মে ফিরতে পারবে কিনা কে জানে।
আমরা যদি আসলেই বাংলাদেশকে র্যাংকিং এর উপরের দিকে দেখতে চাই,তাহলে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দিতা অনেক বাড়াতে হবে। জাতীয় দলের প্লেয়ারদের চাপ দিতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেটে সিরিয়াসলি খেলার জন্য। আর তাদের দায়িত্বশীলতা বাড়াতে হবে। জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। আশ্রাফুলকে এবার রেস্ট দেয়া উচিত। অনেক তো হল,আর কত? বাকিরা আসলে খুব একটা খারাপ করছে না, ওদের আরো সময় দেয়া উচিত।
একমত!
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
গত বছর কোন একটা জাতীয় দৈনিক এ প্র্যাকটিসকালিন সময় (সম্ভবত নয়া দিগন্তে) জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমের বেশ কিছু ছবি ছাপা হলে বেশ হই চই হয়। বাথ্রুমের অবস্থা অনেকটা মহাখালি উদরাময় হাসপাতালের টয়লেটের সাথে খাপ খায়। বেসিনের নিচের পাইপ গায়েব, ফ্লাশ নষ্ট ইত্যাদি বহুবিধ যন্ত্রণা। রুমের অবস্থাও যাচ্ছেতাইরকমের ময়লা। অবস্থার কোন উন্নতি হয়েছে কী না এখনো জানিনা। তবে অন্যদেশগুলোর সাথে আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের তুলনা করতে গেলে তাদের প্রাপ্তি ও সুযোগগুলোর দিকেও তাকানো দরকার বলে মনে হয়।
আশ্রাবালের আসলেই একটা ব্যবস্থা করা দরকার...
---- মনজুর এলাহী ----
নতুন মন্তব্য করুন