সাত সেকেন্ড, সাতটি জীবন আর সাতটি মৃত্যুর গল্প!

ফাহিম এর ছবি
লিখেছেন ফাহিম [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৪/০২/২০১০ - ৫:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গতবার দেশ থেকে আসার সময় বাক্স-বোঝাই করে ডিভিডি নিয়ে এসেছিলাম। কেনার সময় খেয়াল করিনি, তবে আসার পরে দেখলাম অল্প কিছু ডিভিডি প্যাল ফর্মেটে, বাকি সব এন.টি.এস.সি। দুঃখের ব্যাপার হলো, আমার পি.এস. থ্রি শুধু প্যাল ফর্মেটই পড়তে পারে, এন.টি.এস.সি না। গোদের উপর বিষফোঁড়া হচ্ছে, যেগুলো চলে, তার সবগুলোই কিছুদূর গিয়ে আটকে যায়, এতো বাজে ডিভিডির মান! ভেবেছিলাম বসুন্ধরার দোকানগুলো নিদেনপক্ষে একটু ভালো মানের ডিভিডি দেবে, পুরো ধরা খেলাম!

উপায় বের করতে গিয়ে গুগল করতে করতে একটা সফটওয়্যার পেলাম, নাম "ডিভিডি ডিক্রিপটার"। এর সুবিধা হচ্ছে, এটা সেক্টর বাই সেক্টর পড়ার চেষ্টা করে, কোন সেক্টর পড়তে না পারলে স্কিপ করে পরের সেক্টরে চলে যায়। এতে করাপ্ট সেক্টরগুলো বাদ দিয়ে বাকি মুভিটা মোটামুটি হার্ডড্রাইভে কপি করা যায়। VOB ফাইলগুলো কপি করে হার্ডড্রাইভে নিয়ে তারপর সেগুলো পি.এস. থ্রি তে দেখা যায়। কেন, কিভাবে, অতো ডিটেইল জানি না, কাজ করে, এতেই আমি খুশি!

তো প্রথম যেই মুভিটা কপি করলাম, সেটা হলো উইল স্মিথের ২০০৮ সালের "সেভেন পাউণ্ডস"। ব্যক্তিগতভাবে আমি উইল স্মিথের ফ্যান না, কেন এই মুভিটাই প্রথমে পছন্দ করলাম, সেটারও কোন সদুত্তর নেই, দৈবক্রমেই বলা যায়!

auto

###

যেকোন মুভি দেখার আগে আমি চেষ্টা করি 'আই.এম.ডি.বি' আর 'রোটেন টমাটো'তে একবার ঢু মারতে, মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যায় মুভিটা সম্পর্কে। আই.এম.ডি.বি গিয়ে দেখলাম সেভেন পাউন্ডের রেটিং করেছে ৭.৬/১০। খারাপ না, কারণ এখানে "বর্ন আইডেন্টিটি"র রেটিং ৭.৭, "ওশেন'স ইলেভেন" ৭.৬, এমনকি "সিরিয়ানা" ৭.১ রেটিং পেয়েছে। সেই হিসাবে ৭.৬ খুব একটা খারাপ না, বেশ ভালোই বলা চলে।

তারপর গেলাম 'রোটেন টমাটো'তে। এবং পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম, কারণ সেখানে এর রেটিং আছে ২৭%! জ্বী হ্যা, মাত্র ২৭%! বর্ন আইডেন্টিটি কতো জানেন? ৮৩%! এরকম বৈপরীত্ব এর আগে কোন মুভিতে দেখিনি। শুধুমাত্র কেন এমন বৈপরীত্ব, এটা দেখার জন্যই দোনমনো সত্বেও মুভিটা দেখা শুরু করলাম। এবং দেখলাম!

auto

###

মুভিটা দেখার পর আমার অনুভূতি বলার আগে আই.এম.ডি.বির ভিউয়ার রিভিউ থেকে কয়েকজনের মন্তব্য তুলে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না।

"এই মুভিটা যদি আপনার প্রত্যেকটি সংবেদনশীল স্নায়ূ ছুঁয়ে আপনার আত্মার গভীরতম স্থানে না পৌছায়, তাহলে আপনি মানুষ নন!"

"এই ফিল্মটা যদি একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত না হয়, তাহলে ধরে নেব পৃথিবীতে ন্যায়বিচার বলে কিছু নেই!"

"আমি সহজে নাড়া খাওয়ার পাত্র না! সত্যি কথাটা হলো, আমি মনে করতে পারছি না এর আগে আমি কোন মুভি দেখে এতোটা আলোড়িত হয়েছি কিনা!"

তবে, বিপরীতধর্মী প্রতিক্রিয়াও আছে, রোটেন টমাটোতে, যেমন,

"ভালো দিকটা হলো, উইল স্মিথ অভিনেতা হিসাবে দূর্দান্ত! খারাপ দিকটা হলো মুভিটা তার ধারে কাছেও যেতে পারেনি!"

###

আমার মত হলো, রোটেন টমেটো একটু বেশিই ক্রিটিক্যাল! এতো কম রেটিং অথবা এতোটা তীব্র সমালোচনা এই মুভিটার প্রাপ্য না। কারণ, মুভি মানুষ দেখতে যায় বিনোদনের জন্য, গবেষণার জন্য না। অবশ্যই এই মুভিটার কাহিনী-বিন্যাসে কিছু ছোটখাট সমস্যা আছে, কারিগরী সমস্যাও আছে, তবে একটা মুভির জন্য সবচেয়ে বড় যেই বিষয়, গল্প, সেটা সেভেন পাউন্ডের অসাধারাণ! এতো হৃদয়ছোঁয়া গল্প আমি কম মুভিতেই পেয়েছি।

auto

কাহিনীটা বলছি না, স্পয়লার হয়ে যেতে পারে। অভিনয়ে যাই, উইল স্মিথ দূর্দান্ত অভিনয় করেছেন। আমি এখন থেকে চোখ বন্ধ করে উইল স্মিথের যেকোন মুভি দেখবো! অনলি ফর দ্যা সেক অফ হিজ প্রেজেন্স! মূল অভিনেত্রীর অভিনয় ভালো লাগেনি, মোটামুটি চলে। কাহিনীর গতি প্রায় সময়ই মন্থর, 'বেন' কী করছে, কেন করছে, কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না। কিছু ফ্ল্যাশব্যাক আছে, প্রথম প্রথম যেগুলোর যোগসূত্র বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল।

কিন্তু শেষ আধা ঘন্টা! অসাধারণ, একেবারে হৃদয় নিংড়ে নেয়ার মতো! শেষ আধা ঘন্টায় এসে সমস্ত রহস্যগুলো পরিস্কার হতে শুরু করে এবং শেষ দৃশ্যগুলো আমাকে একেবারে ইমোশনালী ড্রেইনড করে ছেড়ে দিয়েছে। মুভিটা শেষ হওয়ার অনেকক্ষন পর পর্যন্ত বসেই ছিলাম, যখন উঠলাম, ক্রেডিট তখন শেষের পর্যায়ে!

সবচেয়ে বড় কথা হলো, মুভিটা দেখার পরে আমার মনে হলো, মানুষই পারে এরকম করে ভাবতে, এরকম করে নিজেকে বিলিয়ে দিতে। মানুষ পারে পৃথিবীটাকে সুন্দর, চমৎকার একটা আবাস বানাতে, মানুষই পারে সভ্যতাকে চরম উৎকর্ষের দিকে নিয়ে যেতে, মানুষই পারে "মানবতা" শব্দটার যথার্থ মানে দিতে। মানুষ চাইলেই পারে!

দুঃখের ব্যাপার হলো, সব মানুষ সেটা চায় না। আর চায় না বলেই আজকের পৃথিবীতে এতো ক্রোধ, হতাশা ও কান্না!


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

আইএমডিবি-র রেটিং-এর চাইতে রটেন টমাটোর রেটিং বেশি নির্ভরযোগ্য মনে হয়। তবে সেভেন পাউন্ডস ভাল লাগসে। সমস্যা একটাই দর্শকরে আবেগতাড়িত করার স্পষ্ট একটা প্রচেষ্টা আছে আর সেটা সফলও বলা যায়। এই আবেগের ভিতরে থেকে সিনেমাটারে একটা 'সিনেমা' হিসেবে মূল্যায়ন করা বড়োই দুষ্কর।
-ইকথিয়ান্ডার

ফাহিম এর ছবি

আই.এম.ডি.বি আর রটেন টমাটোর একটা পার্থক্য হলো, আই.এম.ডি.বি.তে সাধারণ দর্শকরাও রেটিং করেন, সেখানে একটা আম-জনতার মতামত পাওয়া যায়। আর রটেন টমাটোর ক্রিটিকরা একটু হার্ডকোর বোদ্ধা টাইপের, সমস্ত খুঁটিনাটি ধরে ধরে বিচার করে।

আমার মনে হয় সব সিনেমাই চেষ্টা করে কোন না কোন ভাবে দর্শকদের আবেগের কোন না কোন একটা অংশকে ছুঁতে। তা না হলে লোকে দেখবে কেন?

=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

মূলত পাঠক এর ছবি

আজকাল সেভেন পাউন্ড টিভিতে দিচ্ছে, রেকর্ড করে রেখেছি দেখবো বলে কিন্তু ভালো জিনিস ঠিকঠাক মুডে দেখতে হয় বলে দেখাই হয়ে উঠছে না। এইবার দ্রুত দেখে ফেলতে হবে। ‌

উইল স্মিথ বিরাট অভিনেতা না হতেও পারে, কিন্তু খুব বুদ্ধিমান অভিনেতা, এবং সেটার কারণেই ওঁর কাজ দেখতে ভালো লাগে। হিচ না দেখে থাকলে দেখে ফেলতে পারেন, বিনোদনমূলক এবং ভালো।

রিভিউ খুবই ভালো লাগলো।

সবজান্তা এর ছবি

উইল স্মিথ কতোটা সুন্দর অভিনয় করতে পারে, তার নমুনা দেখেছি "পারস্যুট অভ হ্যাপিনেস"-এ। কিন্তু মেজাজটা খ্রাপ হয় যখন সে "আই অ্যাম লিজেন্ড" টাইপ বিরক্তিকর সিনেমাতে অভিনয় করে।


অলমিতি বিস্তারেণ

ফাহিম এর ছবি

এ দু'টাও হার্ড-ড্রাইভে আছে, দেখে ফেলা যায়। "আই অ্যাম লিজেন্ড" দেখতে না করছেন তাহলে?

=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

মুস্তাফিজ এর ছবি

পারস্যুট অভ হ্যাপিনেস দেখে আমার ছেলে কেঁদেছে। আই অ্যাম লিজেন্ড না দেখে দলছুটের ব্লগ পড়া অনেক ভালো।

...........................
Every Picture Tells a Story

ফাহিম এর ছবি

আই অ্যাম লিজেন্ড না দেখে দলছুটের ব্লগ পড়া অনেক ভালো।

হাস্তেহাস্তেশ্যাষ... চলুক

=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

মূলত পাঠক এর ছবি

"আয়াম লেজেন্ড" কেমন জানেন? স্পয়লার দেয়ন উচিত, কিন্তু দিমু না। সারাক্ষণ ছোকরা কেবলই লড়াই করে গেলো, বেশ ডিপ্রেসিং, একা একা, তারপর লাস্টে গিয়ে টুপ করে মরে গেলো। মরবিই যদি তো গোড়াতেই মরলি না কেন? আমার দু ঘন্টা বাঁচতো। শুনেছি বইটাতে নাকি অন্য পক্ষের গল্পটা থাকায় একটা ব্যালান্স ছিলো, সিনেমায় তো তারা ভূতুড়ে জম্বি, কাজেই ভূতের হাতে বেঘোরে মৃত্যু হলে কেম্নে লেজেন্ড হয় সেইটা বুঝি নাই।

ফাহিম এর ছবি

উইল স্মিথের "এনিমি অফ দ্যা স্টেট" দেখে ভালো লেগেছিলো। "ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্ট" দেখে মেজাজ খারাপ হয়েছিলো। আর "হ্যানকক" এর প্রিভিউ দেখেই ছবি দেখার ইচ্ছা চলে গিয়েছিল। ভদ্রলোকের সমস্যা হলো, অভিনয় ভালোই করে, কিন্তু ভালো-খারাপ ছবির ভ্যারিয়েশন এতো বেশী যে কনফিউজড হয়ে যাই।

=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

বোহেমিয়ান এর ছবি

পারস্যুট অভ হ্যাপিনেস এ উইল স্মিথ চমৎকার অভিনয় করেছে ।
আই রোবোট মার্কা বাণিজ্যিক ছবিও খারাপ না , হিচ (ভুল লিখি নাই তো! ) মুভিটাতেও ভালই লাগছে ।
ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্ট, হ্যানকক, আই এম লেজেণ্ড... এই সব খুব ই নিচু মানের ...মুভিও করছে সে!
আপনার লেখাটা পড়তে গিয়ে ভালই লাগল, সাবলীল।
কিন্তু লেখাটা মুভি রিভিউ বলে কিন্তু মনে হয় নাই!! মুভি রিভিউ লিখতে গেলে কাহিনী বলে ফেলার একটা সম্ভাবনা থাকে, সেই জন্যই হয়ত লেখেন নি।
আইএমডিবি আর রটেন টমেটো দেখে মুভি দেখলে কিন্তু বায়াসড হয়ে যাবার চান্স থাকে! আমি আগে দেখতাম এখন দেখি না । খুব ভাল বা খুব খারাপ মুভির বেলায় এই রেটিং ঠিক থাকে। কিন্তু মোটামুটি মুভি গুলার বেলায় এরা বায়াসড করে ফেলতে পারে! এর চেয়ে আমি অন্যদের মুখ থেকে শুনি দেখার মত কিনা, হলে দেখে নেই । না হলে নাই। রেটিং দেখলে প্রত্যাশা থাকে ফলে...
আর আমি রিভিউ পড়ি মুভি দেখার পর!!! আমি কোন পয়েন্ট থেকে দেখলাম, আমার কি ভাল লাগল, অন্যদের সাথে (মানে বোদ্ধা আর কি! ) মেলাই!
(অনেক প্যাচাল পেড়ে ফেললাম!! আপনার পোস্টটাও হালকা গল্পের ধরণে ছিল বলেই সাহস পেলাম! )

__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

ফাহিম এর ছবি

আইএমডিবি আর রটেন টমেটো দেখে মুভি দেখলে কিন্তু বায়াসড হয়ে যাবার চান্স থাকে!

আমি সাধারণত রিভিউ পড়িনা, ঢুকি শুধু রেটিং দেখতে!!

আর আমি রিভিউ পড়ি মুভি দেখার পর!!! আমি কোন পয়েন্ট থেকে দেখলাম, আমার কি ভাল লাগল, অন্যদের সাথে (মানে বোদ্ধা আর কি! ) মেলাই!

এই অ্যাপ্রোচটা খারাপ না...

=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

সেভেন পাউন্ডস দেখার চেয়ে হিন্দী সিরিয়াল দেখা ভালো - অতিরিক্ত ন্যাকামি

ফাহিম এর ছবি

হায় হায়... ডুবায় দিলেন তো এক কমেন্টে..

ন্যাকামি একটু অবশ্য আছে, স্বীকার করতেই হয়, তবে কি, কাহিনীর শেষ টুইস্টটা দারুণ, যে কারণে শেষ পর্যন্ত আমার ভালোই লেগেছে...

=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

দুর্দান্ত এর ছবি

লেখাটা সুপার হয়েছে।

কিন্তু উইল স্মিথের ব্যাপারে সহমত। সবাই সবকিছু পারেনা। তার উচিত টিভি কমেডি করা, আর প্রতি সামারে একটা করে হিট হিপহপ গান গাওয়া।
কিছুটা বিশ্বাসযোগ্যতা না হইলে ড্রামার আর কি মজা থাকলো? এই ছবিতে উইল স্মিথকে একটুও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় নাই।

বরং এই ছবির নামটা যেখান থেকে টুকেছে (আমার মনে হয়, আসল ঘটনা জানিনা), সেই মার্চেন্ট অব ভেনিস টা চেখে দেখুন। এল পাচিনো এখনো মরে নাই।

হরফ এর ছবি

6 Degrees of Separation-ও ভাল ছবি. Will Smith-এর প্রথম দিকের ছবি.

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্ট্রে সবাই এতো খ্রাপ বলতেসে কেনো ?? আমি তো কমেডি হিসেবে দেইখা চ্রম মজা নিসিলাম।

পারসুট অফ হ্যাপিনেস

আই রোবোট

ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে

- এই তিনটা স্মিথের ক্লাসিক।

সেভেন পাউন্ডস হাতের কাছে আছে। দেখা হচ্ছে না...

_________________________________________

সেরিওজা

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

সেভেন পাউন্ডস আসলেই একটু ন্যাকা ন্যাকা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।