আপডেট: শুধু পরিমলকে আসামী করে মামলা!
প্রধান শিক্ষিকা মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে!
৬ জুলাই ২০১১: ধর্ষক পরিমল গ্রেপ্তার। (সূত্র)
বিচারের দাবীতে ৯ জুলাই (শনিবার), ভিকারুন নূন নিসা স্কুলের বেইলি রোড শাখার সামনে ছাত্রী-ও অভিভাবকদের মানববন্ধন। পরবর্তীতে শহীদ মিনারে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মানববন্ধন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত অপর চার শিক্ষককে অন্য শাখায় বদলী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র (এইটা কী ধরনের শাস্তি? অন্য শাখার মেয়েদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিবে কে?)
অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম এবং ভারপ্রাপ্ত শাখাপ্রধান লুত্ফুর রহমান ব্যবস্থা নিতে অযথা সময়ক্ষেপণ করায় তাদের বিরুদ্ধে এজাহারে অভিযোগ আনা হয়েছে। (সূত্র)
গত ৫ জুলাই, ২০১১ তারিখে ঢাকার ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার শিক্ষক পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করে ঐ স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। স্পর্শকাতর বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে, তবে রুমানা-সাঈদ ঘটনার মত প্রচার পায় নি। আমার পোস্টটি সাম্প্রতিক এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখা। এছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য এতে যোগ করে দিয়েছি।
পত্রিকার খবর অনু্যায়ী ঘটনার সূত্রপাত:
নির্যাতনের শিকার মেয়েটি কোচিং করতে স্কুলের বাংলা-শিক্ষক পরিমলের বাসায় যেত। একদিন দেরী করে যাওয়ার পর পরিমল কৌশলে দরজা আটকে তার কিছু নগ্ন ছবি (কোন কোন পত্রিকানুযায়ী ভিডিও) তুলে (মে ২৮)। পরবর্তীতে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করে (জুন ১৭) এবং জানাজানি হলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
মেয়েটি ও তার পরিবার স্কুলের বন্ধুরা শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমানের কাছে অভিযোগ করে। প্রধান শিক্ষক বিচারের আশ্বাস দেয় কিন্তু কিছুই করে না। গত ২৮শে জুন স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত আবেদন জমা দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে। তারপরও স্কুল কমিটি তদন্ত করে না ও বিচারের কোন উদ্যোগ নেয় না। গত ৩ জুলাই অধ্যক্ষ হোসনে আরার বসুন্ধরা শাখায় গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার কথা থাকলেও সে অনুপস্থিত ছিল। অভিভাবকদের প্রতিবাদে পরে তার কাছ থেকে টুকরো কিছু বক্তব্য আসে।
প্রিন্সিপাল হোসনে আরা কর্তৃক ছাত্রী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে অমৃত বচন "এটা rape না, এটা mutual sex।" সবাই তখন পেপার রেফারেন্স দেখালে বলে, "এই মাসের শেষে তোমাদের প্রিটেস্ট, সেটা নিয়ে চিন্তা করো। এসব ভেবে সময় নষ্ট করে লাভ নাই। যা হওয়ার হয়ে গেছে।"
--------------------------------------------------------------------------
পত্রিকার খবর পড়ে ও আমার বান্ধবী, যারা প্রাক্তন শিক্ষার্থী, তাদের সাথে কথা বলে মূল বিষয় সম্পর্কে কিছু পর্যবেক্ষণ-
১। অভিভাবকদের মতে পরিমল জয়ধরের নিয়োগ অবৈধভাবে দেওয়া হয়েছে। মূলত রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো হয়েছে।
২। পরিমল জয়ধর এর আগে রাজউক মডেল স্কুলের(কালের কন্ঠ অনুযায়ী) শিক্ষক ছিল। সেখানেও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তার চাকরি চলে যায়। প্রশ্ন হল – এরকম একজন শিক্ষককে কেন নিয়োগ দেওয়া হল? তার শিক্ষাগত যোগ্যতা যাই হোক এরকম নিয়োগের স্পষ্ট জবাব চাই।
৩। যৌন নির্যাতনের এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে একই স্কুলের আরো কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় এরা ক্লাসে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করত আর কুৎসিত ইঙ্গিত দিত। আগে এই নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও এই প্রথম (২৭ জুন) লিখিত অভিযোগ আনা হয়।
কুলাঙ্গার সেইসব শিক্ষকেরা –
# বরুণ চন্দ্র বর্মণ
# বিষ্ণুপদ বড়াই
# বাবুল
# অভিজিৎ
এই চারজন ও পরিমল - সবার দেশের বাড়ি গোপালগঞ্জ। কাকতাল মাত্র !!!
বলাই বাহুল্য গত এক সপ্তাহে এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। গতকাল খবরের কাগজে আসার পর জানতে পেরেছি তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
৪। গত ৪ জুলাই পর্যন্ত থানায় কোন মামলা করা হয়নি। তবে ৫ তারিখ দুপুরে মামলা করার পর থেকে বাড্ডা থানার পুলিশ পরিমলকে গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি নেয়। পরিমল প্রথম দিন থেকেই পলাতক ছিল। ৭ জুলাই সে পুলিসের হাতে ধরা পড়ে।
৫। ঘটনার প্রথম পর্যায়ে প্রিন্সিপাল হোসনে আরা ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমানসহ স্কুল কমিটির পুরো বিষয়টাকে নির্লজ্জভাবে চাপা দেওয়ার চেষ্টা লক্ষ্যণীয়।
অভিযোগের প্রথম পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান পাশ কাটানোর চেষ্টা করেন এই বলে যে সে শুধু বসুন্ধরা শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রধান। এইটা ম্যানেজিং কমিটির/ কার্যকরী পরিষদের ব্যাপার। কার্যকরী পরিষদের সভাপতি রাশেদ খান মেনন সেই সময় বিদেশে ছিল। এই অজুহাতে সিদ্ধান্ত নিতে দেরী হয়! (অন্যান্য শিক্ষকেরা ও দায়িত্বরত গভর্নিং বডির অন্যান্যরা তখন কোন মাঠের ঘাস খাচ্ছিল জানতে ইচ্ছা হচ্ছে।) আদতে ৫ তারিখের আগে কোন জরুরী সভাও আহবান করা হয় নি।
৬। অভিভাবকদের মতে - এই স্কুলের প্রিন্সিপাল হোসনে আরা সবকিছুতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটায়। তার বিরুদ্ধে স্কুলের তহবিল আত্মসাতের অভিযোগ আছে। এই সেই মহিলা যে ভিকারুন নূন নিসা স্কুলের নাম বদলে বেগম ফজিলাতুননেসা স্কুল (প্রধানমন্ত্রীর মা) রাখার চেষ্টা করেছিল। পরে পুরানো শিক্ষক ও অভিভাবকদের চাপে সেই সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়। এছাড়াও সে কারো মতের তোয়াক্কা না করে স্কুলের ইউনিফর্মের রঙ পাল্টানোর চেষ্টা করে। ছাত্রীদের প্রতিরোধের মুখে তার এই চেষ্টাও বৃথা যায়।
৭। অভিভাবক ও সহপাঠীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আসুন সরাসরি অংশগ্রহণ (মানব বন্ধন, অভিভাবকদের আইনি পরামর্শ) বা অন্তত অনলাইনে প্রতিবাদ করে আমরাও সহযোগিতা করি। স্কুলের ছাত্রীরা মানববন্ধনের আয়োজন করেছে। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
৮। সাধারণত এই ধরনের ঘটনায় নির্যাতিতার নাম ও ছবি পেপারে চলে আসে। এবার তার ব্যতিক্রম দেখলাম। দেরীতে হলেও গণমাধ্যম কর্মীদের বোধোদয় হয়েছে।
ছাত্রী ও অভিভাবকদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন নির্যাতিতা মেয়েটিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ টি.সি. দিবে। এমনটা হলে শক্তভাবে প্রতিবাদ করা প্রয়োজন। মেয়েটির অনিশ্চিত শিক্ষাজীবনের সুরক্ষায় অন্যান্য স্কুল-কলেজের কর্তৃপক্ষের এই ক্ষেত্রে এগিয়ে আসে উচিত। আপাতত মেয়েটি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন।
---------------------------------------------------------------------------------------
শিক্ষাঙ্গনে যৌন নির্যাতনের ঘটনা এই প্রথম না। বরং সময়ের সাথে এই ধরনের ঘটনা বেশি শুনছি। শক্তভাবে এর প্রতিবাদ করা দরকার।
# বাংলা ব্লগের অনেক পাঠকই আইনের ছাত্র। আপনারা ওপেন ফোরামে পরামর্শ দিন কিভাবে এর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায়। অনেকেই জানাজানি হওয়ার ভয়ে থানায় মামলা করে না। থানায় অনলাইন জেনারেল ডায়েরি করা যায় বলে শুনেছি। এক্ষেত্রে কী কী উল্লেখ করা প্রয়োজন।
# শিক্ষাঙ্গনে যৌন নির্যাতনকারীদের সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। সামাজিক মেলামেশা, অনুষ্ঠান এসব বর্জন তো বটেই, যে কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে এরা যাতে ঢুকতে না পারে এজন্য অনলাইনে এদের নামে ছবিসহ এন্ট্রি করে রাখা উচিত। যাতে গুগল করলেই এদের পাওয়া যায়। পুলিশের কাছে ধর্ষণসহ অন্যান্য যৌন নির্যাতনকারীদের তালিকা হালনাগাদ করা থাকে। সেই তালিকা প্রিন্ট করে আপলোড করা দরকার। প্রয়োজনে বিভিন্ন স্কুল,কলেজ বা বেসরকারী কম্পানির HR ডিপার্টমেন্টে মেইল করা দরকার।
# বাধ্যতামূলক অবসর, সাময়িক/সম্পূর্ণভাবে বরখাস্ত, অর্থদন্ড - এগুলো বিচারের শেষ কথা নয়। সকল যৌন নির্যাতনকারী যাতে আইন অনু্যায়ী শাস্তি পায় সেদিক নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যৌন হয়রানিমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মপরিবেশ তৈরিতে আইনের সঠিক প্রয়োগই মূল সমাধান।
# ধর্ষণ পরবর্তী সময়ে ঘটনার তদন্ত করার সময়েও হাইকোর্টপ্রণীত নীতিমালার বাস্তবায়ন আবশ্যক।
যৌন হয়রানিমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মপরিবেশ তৈরিতে মহামান্য হাইকোর্ট প্রদত্ত নীতিমালা
এই নীতিমালার ধারা - ৯ অনু্যায়ী যে কোন অভিযোগ গ্রহণকারী কমিটির নিচের শর্তসমূহ পূরণ করা আবশ্যক:
ক) অভিযোগ গ্রহণের জন্য, তদন্ত পরিচালনার জন্য এবং সুপারিশ করার জন্য সরকারী বেসরকারী সকল কর্মক্ষেত্রে এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগ গ্রহণের জন্য কমিটি গঠন করবে।
খ) কমপক্ষে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হবে যার বেশীর ভাগ সদস্য হবেন নারী। সম্ভব হলে কমিটির প্রধান হবেন নারী ।
গ) কমিটির দুইজন সদস্য সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিতে হবে, যে প্রতিষ্ঠান জেন্ডার এবং যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করে।
ঘ) অভিযোগ কমিটি সরকারের কাছে এ নীতিমালা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বাৎসরিক অভিযোগ প্রতিবেদন পেশ করবে।
প্রধান শিক্ষিকা প্রথমত ন্যাক্কারজনকভাবে অভিযুক্ত শিক্ষকদের পরোক্ষভাবে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছিলেন। এরকম ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা দরকার।
# এই পোস্টে প্রাসঙ্গিক কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার উল্লেখ করা হল। তথ্যগুলো উন্মুক্ত ছিল, নেট ঘেঁটে বের করে একসাথ করে দিলাম। পাঠকদের অনুরোধ করব নতুন ভুক্তি যোগ করার জন্য।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
ঠিকানা: ৪র্থ তলা, ভবন নং ৬, আব্দুল গনি রোড, ঢাকা-১০০০
ফোন: ৭১৬০৫৬৮, ৭১৭৬৪৯৩, ৭১৬১০১২,
ই-মেইল:
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল (বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)
ঠিকানা: ক-১৮৯/৬ যমজ রোড, জোয়ার সাহরা, বাড্ডা
ফোন:৮৪১৫৭৭৪
Bangladesh National Women Lawyers' Association [BNWLA]
মনিকা মিনা টাওয়ার, ৪৮/৩ পশ্চিম আগারগাঁ, ঢাকা -১২০৭
ফোন: ৮১২৫৮৬৬, ৮১২৩০৬০, ০১৭১১৫৯৫২০৩
ইমেইল:
,
অধিকার Odhikar (A Human Rights Organisation)
ঠিকানা: ৩/৬ সেগুন বাগিচা, ফোন: ৯৫৬০১৭৩
ইমেইল:odhikar@bangla.net;
বাংলদেশ মানবাধিকার বস্তবায়ন সংস্থা Bangladesh Manabadhikar Bastabayan Shangstha (BMBS) ঠিকানা: ৪৮ বিজয় নগর রোড, ঢাকা-১০০০
বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ Bangladesh Manobadhikar Samonnoy Parishod (BMSP) ঠিকানা: ৪/৩ ব্লক –ই, জাকির হুসেইন রোড, লালমাটিয়া, ঢাকা - ১২০৭
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (Ain O Shalish Kendro)
ঠিকানা: ৭/১৭ ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা-১২০৭, ইমেইল-
--------------------------------------------------------------------------------------------
সূত্র ও বিবিধ:
কালের কণ্ঠ, প্রথম আলো, Daily Star, রেডিও তেহরান,মানবজমিন পত্রিকা।
# বাংলাদেশের সংবিধানের কিছু প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদ -
অনুচ্ছেদ-১০: জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের সকল ব্যবস্থা গৃহীত হবে।
অনুচ্ছেদ ২৮ (১): রাষ্ট্র কর্তৃক শুধুমাত্র ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিক বৈষম্যের শিকার হবে না।
অনুচ্ছেদ ২৮(২): রাষ্ট্রীয় এবং জনজীবনের সকলক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের সমান অধিকার পাবে।
অনুচ্ছেদ ২৮(৪): রাষ্ট্র নারী ও শিশু বা অনগ্রসর নাগরিকদের উন্নয়নের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অনুচ্ছেদ ২৯ (২): প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা সেবা পাবার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র লিঙ্গ ভেদের কারণে কোন নাগরিক অযোগ্য বা বৈষম্যের শিকার হবে না
অনুচ্ছেদ ২৯ (৩)গ: বিপরীত লিঙ্গের জন্য যোগ্য নয় এমন কিছু ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান ও দাপ্তরিক কাজ রাষ্ট্র কর্তৃক সংরক্ষিত করতে পারবে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কিছু বিশেষ আইন - (যেগুলোর বাস্তব প্রয়োগ খুব কমই দেখা যায়)
#যৌতুক বিরোধী প্রতিরোধ আইন ১৯৮০
# নারী নির্যাতন অধ্যাদেশ ১৯৮৩
# পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ ১৯৮৪
# অনৈতিক পাচার নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯৩
# নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন ২০০০
# এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০২
# জাতীয় ই-তথ্যকোষের ধর্ষণ বিষয়ে ভুক্তি: (ক্লিক করুন)
# আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে জাতিসংঘের সিডো সনদ Convention of the Elimination of All Forms of Discrimination Aganist Women - CEDAW। বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালের ৬ নভেম্বর সিডও সনদে স্বাক্ষর করে। কিন্তু বাস্তবায়ন নৈব চ!
পোস্ট লিখতে সহযোগিতা করেছেন একলব্যের পুনর্জন্ম।
মন্তব্য
এটার অপেক্ষাতেই বসেছিলাম... ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বস, খালি চিন্তা করে দেখেন যে স্কুলের অধ্যক্ষ নারী, বেশিরভাগ শিক্ষকও নারী, সেই স্কুলে একটা মেয়ে এরকমভাবে ধর্ষণের শিকার হল, লিখিত অভিযোগের পরেও বিচার পেল না - কী অবস্থা!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
পুরো লেখাটাই প্রথম পাতার প্রিভিউতে চলে আসছে। ঠিক করে দেন ফাহিম ভাই।
এইটা কিভাবে হল? মডারেটার একটু সাহায্য করেন, প্লিজ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এখন ঠিক হয়ে গেছে।
আমার ভুলের জন্যই এমন হয়েছে। অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সেরেই তো গেছে, চাপ নিয়েন্না
লাফাংঘৃণা।
পরিমলের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
পরিমলের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
খবরটা আপনার ব্লগ থেকেই প্রথম জানলাম।
উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি চাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ছড়িয়ে দিন ভাইয়া। পরিমলের উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি চাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
শূয়োরের বাচ্চারা এখন শিক্ষকও হয়!!!! "shoot on sight অর্ডার দেয়া উচিৎ।"
আমার বোনটাও যে এই বদ্যাপিঠ থেকেই কয়েকদিন হল উচ্চমাধ্যমিক দিল, তার জন্যও যে এই বিদ্যাপিঠ এতটা বিপদসংকুল ছিল কোনদিন চিন্তাও করি নাই!!!
জোড়ালো প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠুক!!!!
আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আরো কিছু কথা সংযুক্ত করার কথা ভাবছি। ধন্যবাদ।
জোরালো প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠুক!!!!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দেখা যাক এবার এই রোড মার্চের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে কিনা।
হয়তো আর সব সময়ের মত এই ক্ষেত্রেও কিছুই হবে না।
পছন্দনীয় ভাই, এইভাবে বলেন না। আসুন সবাই মিলে প্রতিবাদ করি - বিচার করায় ছাড়বো। রাজনৈতিক প্রভাব খাটায় যাতে এই লোক পার না পায়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
যদি নিশ্চিত জানতামও যে কিছু হবে না, তাহলেও সাথে থাকতাম, এখনো আছি এবং থাকবো অবশ্যই - এবং কিছু করার সাধ্য যদি থাকে তো সেটা করবোও।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক।
লেখা
ধন্যবাদ। আর কলঙ্ক! এদের কী সেই লজ্জা আছে???
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ছড়িয়ে দিন এ লেখাটি। পশুটিকে চিনে রাখুন সকলে।
Hi Allah Viqarunnisa te kobe emon holo ? ! Janina to ! Khub koshto pelam
কষ্ট আমারো লাগছে। নামকরা স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, নিজের বাসা - নিরাপত্তা নেই কোথাও।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ডুপ্লি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
@সুহান ভাই :অবশ্যই ছড়িয়ে দিন। পরিমলের বিচার না হওয়া পর্যন্ত থামাথামি নাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
চমৎকার আলোচনা।
অভিযুক্তদের (যারা প্রটেক্ট করার চেষ্টা করেছিল তাদের সহ) উপযুক্ত শাস্তির দাবি রইল।
উপযুক্ত আইন এবং এর কঠিন প্রয়োগে কাজ হয়। এসিড সার্ভাইভারস ফাউন্ডেশনের ওয়েবে দেখুন, এসিড নির্যাতনের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে (যদিও এখনও অনেক দূর যেতে হবে।) অ্যাওয়ারনেস এবং সামাজিকভাবে বয়কটের (ছবি আপলোড ইত্যাদি) যে কথাগুলি বলেছেন, সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ন। একটা সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের সফল প্রয়োগও এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রেখেছিল।
আরেকটা দৃষ্টিকোণও কিছুটা হতাশ করেছে। ২৮ মে থেকেও যদি ধরে নেই ঘটনার সূত্রপাত, মেয়েটাকে কতটুকু মানসিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, সেই পশুর কাছেই পড়তে হয়েছে। কৈশোরের এই সব মেয়েদের (এবং শৈশব থেকে কৈশোরে আসছে এমন ছেলেদের) সাথে পারিবারিক কমিউনিকেশনও খুব গুরুত্বপূর্ন।
একটা সময় paedophilia উপর একটা ওয়ার্কশপে ছিলাম, বিশেষ করে সিলেকশন প্রক্রিয়াতে paedophile দের কিভাবে স্ক্রিনআউট করা যায় সেই ব্যাপারে। এদের আনাগোনা কিন্তু পৃথিবীব্যাপি, এবং শোনে অবাক হয়েছিলাম যে কত মানুষ ছোটবেলায় কিছু না কিছু ফর্মে কিভাবে paedophilia র শিকার হয়ে থাকে (যেটা প্রকাশিত হয়না)। উন্নত বিশ্বে রাষ্ট্র, ইনস্টিটিউট এবং পরিবারের সার্বিক ভুমিকাতে এটা কমে এসেছে। আমাদের...। যেখানে স্কুল ইত্যাদিতে নিয়োগের ব্যাপারে এধরণের টেন্ডেন্সি, ইতিহাস দেখে স্ক্রিন আউট করা উচিত, আমাদের এই কেসে এধরণের অভিযোগে অভিযুক্ত একজনকেই নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। বাহ্।
ধন্যবাদ নৈষাদ ভাই।
এসিড নিক্ষেপের মত ঘটনা কমার পিছনে সাধারণ মানুষের সচেতনতা, গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক। এভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে হয়ত যৌন নির্যাতনের ঘটনাও কমে আসবে। কিন্তু কষ্ট লাগে যখন দেখি ধর্ষণকারী নিজেই শিক্ষক বা অফিসের বস!! আর কিছু বিকৃত মানসিকতার লোক এদেরকেই সাপোর্ট করে। ফেইসবুকে কিছু গ্রুপ আছে যেখানে প্রকাশ্যেই মেয়েদের নিয়ে অশ্লীল সব আলোচনা হয়, বলা হয় বেপর্দা মেয়েরাই এসবের জন্য দায়ী। এধরনের গ্রুপ দেখি বেড়েই চলেছে আর মানুষ সমানে তাল দিয়ে যাচ্ছে! এই ঘটনাই দেখেন- স্কুল কমিটি নিজেই নিষ্ক্রিয়। খবরের কাগজে আসার পর পরিমলকে বরখাস্ত করা হয়।
শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে paedophile দের চেনানো বিষয়ে ওয়ার্কশপ আসলেই করানো উচিত। আপনিও সময় করে আপনার চিন্তাগুলো ও ওয়ার্কশপের মূলবিষয়গুলো শেয়ার করেন - অনুরোধ জানালাম।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এটা মনে হয় ephebophilia এর কেইস, যেহেতু এখানে ভুক্তভোগী একজন টিনএজার। পেডোফিলিয়া মূলত প্রি-পিউবেসেন্ট শিশুদের প্রতি যৌন আকর্ষণকে ইংগিত করে। ইফেবোফাইলদের শণাক্ত করাটা বেশ কঠিন, বিশেষ করে যেহেতু অনেক দেশে ১৮ বছর এবং জাপানের মত কিছু দেশে ১৬ বছর বয়স্কাদেরও বিবাহযোগ্য ধরা হয়।
এই হোসনে আরারও বিচার হওয়া উচিত।
আমার বোনও তো এখানে পড়ে। কিভাবে বাঁচাবো?
আমাদের সবার বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে এবং এমন বিচার করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ ধর্ষণ করার সাহস না পায়। আসুন সবাই ৯ জুলাই রোড মার্চে যোগ দেই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
৯ই জুলাই সলিডারিটি। পথে নামার সময় এসেছে এখন, ঘরে বসে থাকলে হবেনা।
ফাহিম ভাই, আপনি থামবেননা, কাউকে না কাউকে কিন্তু ধরে রাখতে হয়, বাকিটা সম্মিলনে!
নাহ! বিচার হওয়ার আগ পর্যন্ত থামাথামি নাই। অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এইসব ঘটনা ঘটছেই, তার কতটুকু মিডিয়াতে আসে, কতজন ভিক্টিম মুখ খোলে, কতজন ভিক্টিম সামাজিকভাবে আরো ভিক্টিমাইজ হতে হতে হারিয়ে ফেলে জীবনের সাধ আহ্লাদ। আমরা জানি, বুঝি কিন্তু পড়ার পর মন্তব্য করা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা। আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ৯০ দশকে ধর্ষকবিরোধী সময়টাতে ছিলাম। তৎকালীন উপাচার্য ছিলেন আলাউদ্দী আহমেদ, এই বেটা তখনও বিশ্বাস করেনি, এখনও করেনা যে তখন ছাত্রলীগের সোনার সন্তানেরা ঘটনাটা ঘটিয়েছিল। ১৩ জনের বিচার হয়েছিলো, ছাত্রত্ব বাতিল এর সুপারিশ হয়েছিলো, যতদূর মনে পড়ে ছাত্রত্ব বাতিল হয়েছিলো ৬ জনের এবং এই ৬ জনের সবাই ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে সরকারী চাকুরীতে ঢুকেছিলো। এই আলাউদ্দীন এখন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, এই বেটা এই দেশকে কি দেবে, তার কাছে সবকিছু অন্যরকম, পক্ষে না গেলেই ষড়যন্ত্র মায় জামাত-শিবির এর চক্রান্ত!
ভেবেছিলাম এই সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নেবোনা, ভেবে কাজ করতে যেয়ে কাজেও মন বসাতে পারছিনা। আমার সেই ছাত্র জীবনের যে সময় তা আমাকে মাঝে মাঝে এখনও ঘুমোতে দেয়না, কাছের মানুষের, ক্যাম্পাসের আদরের ছোটবোনের মুখ এখনও চোখে ভাসে, আমি ঘুমের মধ্যে ছটফট করি।
আপনারা যারা প্রত্যক্ষভাবে এইসব যাতনার মধ্যে দিয়ে যাননি তারা বুঝতেও পারবেননা একজন নারী, তার পরিবার আর বন্ধুদের জন্য কতটা মর্মবেদনার। ধর্ষকের শাসতির চাইতে এখানে সমাজের ভূমিকা আরো বেশী মর্মবিদারক। সেইসময় কেন, এখনও আমাকে অনেকে বলে- “ও আপনি জাহাঙ্গীরনগর থেকে পাশ করেছেন, আপনারা যা করেছেন!”, আমি ক্রোধান্বিত হয়ে প্রতিবার প্রতিজনকে বলি - ‘আমরা যখন যুদ্ধ করছিলাম, আপনি কোথায় ছিলেন, অনেকেতো এসে সলিডারিটি প্রকাশ করে গেছে।” পৃথিবী পুরুষষশাসিত, দেশে দেশে সেই পুরুষতান্ত্রিকতার একটা মিনিমাম চরিত্র আছে, বাংলাদেশের পুরুষশাসিত সমাজে একজন পুরুষ হয়ে আমাকে বারবার লজ্জিত হতে হয় এর চরিত্র দেখে।
মন্তব্য করে করে কতদূর যাবো আমরা? কতদূর যাওয়া যায়? সমাজের শিক্ষকরা যখন জোর করে তার ছাত্রীর অমর্যাদা করে, ছবি তুলে রাখে, ক্রমাগত ভয় দেখিয়ে নির্যাতন করেই যায়, তখন আার যাই হোক মন্তব্য করে সলিউশন আসেনা। একটা দুটো নয়, এমন ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে , আজকে অন্যের বেলায়, কাল আমার আপনার বেলায় ঘটবে, ঘটবেই যদিনা একটা কিছু করতে পারি।
হয়তো এই লেখা মডারেশনে বাদ যেতে পারে, হয়তো কারো পছন্দ নাও হতে পারে, আমি আমার যাপিত জীবনের যাকিছু সনচয় তার দিব্যি দিয়ে বলে দিতে পারি - একটিভিজম ছাড়া শুধুমাত্র মন্তব্য করে আমরা গাত্রদাহ বাড়াতে পারি, আত্মপ্রসাদ লাভ করতে পারি কিন্ত ক্রমশঃ আমাদের দিকে ধেয়ে আসা জান্তব পশুদের আগ্রাসন ঠেকাতে পারবোনা।
এই রাষ্ট্রতার নারীর মর্যাদা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে অনেক আগেই, মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই। এন জিও দিয়ে হবেনা, আমি একজন উন্নয়ন কর্মী, আমি জানি হবেনা, সবার নিজ নিজ এজেন্ডা আছে। হতে হবে জনে জনে, প্রতিটি মানুষের নিজ^ প্রতিবাদ, প্রতিরোধে। বিশ্বাস করুন, আমি ঠেকে ঠেকে দেখে তারপর বলছি।
সচলায়তন যদি এক্টিভিস্টদের প্লাটফরম হয়ে থাকে, তবে সচল থেকেই শুরু হোক প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, জনে জনে। অন্তত আমার অনাগত ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন আমাকে দায়বদ্ধ করে না বলে -‘বাবা, তোমরা কি কিছুই করতে পারোনি, অক্ষম ছিলে!!!”
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ৯০ দশকের ধর্ষকবিরোধী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আমি সবসময়ই শ্রদ্ধা করি, জা.বি.র প্রতি আমার আলাদা একটা টান আছে। অনেক সময় কাটিয়েছি ক্যাম্পাসে। নানা প্রগতিশীল আন্দোলনের সাথে শিক্ষার্থীরা যুক্ত।
অনলাইন এক্টিভিজমের ক্ষেত্রে সচলায়তন সর্বদাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে। যারা দেশে আছেন, তাদের অনুরোধ জানাই ৯ তারিখের রোড মার্চে অংশ নিতে ও অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধিক্কার, ঘৃণা, থুতু আর অবশ্যই প্রতিবাদ!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধিক্কার, ঘৃণা, থুতু আর অবশ্যই প্রতিবাদ!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
পুনশ্চ: সচলের একটা ব্যানার থেকেই শুরু হোকনা গোষ্ঠিগত প্রতিবাদ!!!!
আশা করছি সচলায়তনের ব্যানার শিল্পীদের সহযোগিতা পাব।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ডুপ্লি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
গোটা সিস্টেমটাই ধর্ষণ-সহায়ক হয়ে উঠছে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
নষ্ট হয়ে দিয়েছে ফুল-পাতা-ডালপালা-কান্ড-শিকড়
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
পরিমলকে পুলিশ ধরেছে একটু আগে
এবারের দাবী উপযুক্ত দ্রুত বিচারের।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সম্মানিত সচল কর্তৃপক্ষের দৃষ্ট্যাকর্ষণ করছি, পোস্টটি স্টিকি করা যায়/সম্ভব কি?
ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধিক্
ধিক্কার
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
খবরটা পড়ে ঘৃণায় গা'টা গুলিয়ে উঠলো।যদি এমন না যে এমন খবর এই প্রথম পড়লাম।
প্রিন্সিপাল হোসনে আরা কতৃক ছাত্রী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে অমৃত বচন "এটা rape না,এটা mutual sex"।
যদি প্রিন্সিপাল হোসনে আরা'র কথা মেনেও নিই তবু অপরাধের মাত্রা বিন্দুমাত্র কমেনা।এই প্রিন্সিপাল মহিলা কি জানেন না অপ্রাপ্ত বয়স্কদের সাথে mutual sex ধর্ষণের মতোই ভয়াবহ অপরাধ।
শুধু এই মন্তব্যের কারনেই তো প্রিন্সিপালের চাকরি চলে যাওয়া উচিত।
এই চারজন ও পরিমল - সবার দেশের বাড়ি গোপালগঞ্জ।কাকতাল মাত্র!!!
আঞ্চলিকতা কেন্দ্রিক ভাবনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অধিপতিরও থাকে! বিবমিষা বোধ হয়; রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আসলেই এগুচ্ছে! ছোট্ট একখান দেশে, বিশ্বমানচিত্রকে যেটাকে অনেকেই খুজেই পায়না, তার মধ্যেই
গোপালগঞ্জ,সিলোটি, চাটগাইয়া, রংপুর, বগুড়া......দেশের ভিতরে দেশ।
আমাদের সরকারপ্রধান'রা তো হরদম দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ান, তবু ক্ষুদ্র আঞ্চলিকতার উর্ধে উঠতে পারেন না!
প্রিন্সিপাল হোসনে আরা'র যথোপযুক্ত শাস্তি, সেই সাথে পরিমলের(অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি) যৌন নির্যাতন আইনে
সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
অবশ্যই। কিন্তু বুঝতেই পারছেন এটা স্রেফ অজুহাত।
প্রিন্সিপাল হোসনে আরা'র যথোপযুক্ত শাস্তি, সেই সাথে পরিমলের(অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি) যৌন নির্যাতন আইনে
সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হ, যেনাদের দুইটাতেই ব্যাপক অভিজ্ঞতা আছে তেনারেই ডিস্টিঙ্কশান সহকারে কইতে পারেন কোনটা rape আর কোনটা mutual sex.
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ঘৃণা হয় এসব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অভিভাবকদের উচিত ভিকারুন্নেসা কে বর্জন করা..তাইলে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধানদের স্বার্থে আঘাত লাগবে। এবং তারা কোন ব্যবস্থা নিবে।
এইটা করতে পারলে তো ভালোই হত, কিন্তু বাস্তবে তা বোধ হয় আর সম্ভব না
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লেখাটা ফেইসবুকে শেয়ার দিলাম। অন্যদেরকেও শেয়ার করার অনুরোধ জানাচ্ছি। সামাজিক সচেতনতা তৈরি হোক।
ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আশ্চর্যজনক ভাবে খোদ ঢাকা শহরে এই ঘটনা ঘটলেও প্রথম আলো, স্টার, সমকাল গং রা এই খবর পেয়েছেন অনেক পরে। শিক্ষক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য আর তাকে নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করলে তাদের 'সেক্যুলার' ইমেজের বিরুদ্ধে যাবে এইজন্যে নাকি তাদের কাছে এটা এত বড় খবর ছিলো-সেটাই প্রশ্ন। নয়াদিগন্ত/আমার দেশে প্রথমে এসেছে বলে এই খবর নিয়ে বেশি টানাটানি করলে আদতে তাদের পক্ষে কাজ করা হবে- এই দ্বিধাও অনেকের ভিতর কাজ করেছে মনে হয়। আর এইভাবেই 'রাজনৈতিক নিরপেক্ষ' ব্যাপারে আমরা জাতীয় ঐক্য দেখাই (!!!!)
প্রথম আলোতে এই খবর নয়া দিগন্তের পরে এসেছে - সত্যি ব্যাপারটা দুঃখজনক। এমন একটা ঘটনাও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীর উপরে উঠতে পারলো না! আপনি কষ্ট করে তারিখসহ নয়াদিগন্ত ও আমার দেশের খবরের লিঙ্ক/ স্ক্রিন শট দিলে ভালো হয়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
তা ভ্রাতঃ, এখানে আপনি "সেকুলার" ইমেজের কি পাইলেন? সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের কাছে এটা ধর্ষণের ঘটনা হলেও দেশের এক শ্রেণীর চিড়িয়ার কাছে(নয়া দিগন্ত/সংগ্রাম যাদের মুখপত্র) ধর্ষকের ধর্মীয় পরিচয়টাই বড় হয় দেখা দিয়েছে। আপনি কি সেই চিড়িয়াদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত?
আপনার লেখা থেকেই জানতে পারলাম। ঘৃণা জানানো ছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না। পরিমল এবং অধ্যক্ষের একসাথে বিচার হওয়া উচিত।
পরিমল এবং অধ্যক্ষের একসাথে বিচার হওয়া উচিত।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
পরিমল এবং তাকে আড়াল করার চেষ্টার সাথে জড়িত কর্তৃপক্ষের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
love the life you live. live the life you love.
পরিমল এবং তাকে আড়াল করার চেষ্টার সাথে জড়িত কর্তৃপক্ষের উপযুক্ত শাস্তি চাই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কোনো এক শিক্ষকের লুইচ্চামির প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সচলায়তনে লিখেছিলাম একবার.. বোধহয় দুর্বল লেখনীর কারণে প্রথম পাতায় আসেনি তখন
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ভাইয়া, সম্ভব হলে লিঙ্কটা দিয়েন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
http://www.sachalayatan.com/wanted_not/20918
এমন ভালো কোনো লেখা না
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আমি আপনার মন্তব্যটা ঠিক বুঝি নাই। সে ধর্ষক - এজন্য তার শাস্তি হওয়া উচিত। ব্যস শেষ। জন্মস্থানের কথা বললাম রাজনৈতিক প্রভাব প্রসঙ্গে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
পরিমল দাদা অপরাধী, তাই তার বিচার হোক...............কিন্তু আমার দুশ্চিন্তা টা অন্ন্য জায়গায়। যারা দাদাকে আলো, বাতাস আর বটবৃক্ষের ছায়া দিলো...............তাদের কি আমরা বা আমাদের আইন কিছু করতে পারবে?
জাতির পিতার জন্ম গোপালগঞ্জ............আর সেই গোপালগঞ্জ এর সন্তান হয়ে এই রকম একটি আকাম করার অপরাধে তার বিচার করা উচিৎ। কারন তাতে জাতির পিতাকে অসন্মান করা হয়েছে, তার মাজারে ধর্ষকের বীর্য লেপে দেয়া হয়েছে। ধীক...... ধীক।
আমি বাকরুদ্ধ..................
জুয়েল
গোপালী হওয়ায় আমি সমস্যা দেখিনা যদি না তাকে বেকারত্ব ঘুচাতে চাকুরী দেয়া হয়ে থাকে। সন্দেহ আরো বাড়ে যখন শুনি সে ছাত্রলীগ করতো। সরকার কি অদৃশ্যভাবে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে? ইদানীং সেরকমই মনে হচ্ছে।
৯ তারিখের রোড মার্চ ক্খন এবং কোথা থেখে সুরু হবে। জানাবেন।
একজন অভিভাবক
দুপুর দুইটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত - ভিকারুন নূন নিসা স্কুলের বেইলি রোড শাখার সামনে। অংশগ্রহণ করুন ও অন্যান্য অভিভাবকদের ও উৎসাহ দিন। ধন্যবাদ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এত ঘৃণা রাখি কোথায়!!!! যে শিক্ষক কে বাবার সমান মর্যাদা দিয়ে আসছি, সে আজ রেপিষট। হয়ত বাংলাদেশ এর প্রচলিত আইনের ফাঁক গলে সে বের হয়ে যাবে কারণ আমাদের দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা নারীর অধিকার নিশ্চিত করে না, তার উপর আবার সে লীগ এর ক্যাডার। উলটা সমাজ এর ভালো মানুষেরা মেয়েটার জীবনকে বিষময় করে তুলবে, এই দুষ্ট চক্র থেকে কবে কিভাবে বের হতে পারব আমরা, জানি না। অনেক মেয়ে লজ্জার ভয়ে এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ করে না, আমি নিজে শুনছি, একটা মেয়ের নিজের মুখ থেকে, চোখে পানি আসে এখনও ওই মেয়ের কথা মনে পরলে, ওই মেয়েও তার ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষক এর কাছে প্রাইভেট পড়তে যেয়ে ওই ঘটনার সম্মুখীন হইছে। তখন ভাবি একজন সুস্থ মস্থিস্কের মানুষ হয়ে, মানুষ এই কাজ কিভাবে করে?
- সত্যি কথা। নিচে বইখাতার মন্তব্য দেখুন। আরো অনেকেই বলেছেন লোকলজ্জার ভয় কাটানো কঠিন ব্যাপার রে ভাই। এরকম একটা বিষয়ে তো বটেই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
রাজনৈতিক পরিচয়ে/প্রভাবে নিয়োগ, স্বজনপ্রীতি সব সরকারের আমলেই হয়েছে। এই সরকারই বা বাদ থাকবে কেন? তবে এই জঘণ্য অপরাধ রাজনৈতিক জোরের কারণেই হয়েছে ভাবলে ভুল হবে, এবং ব্যাপারটাকে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে আসল অপরাধের গুরুত্ব কমিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। শিক্ষকের দ্বারা ছাত্রী নির্যাতন বহুকাল আগে থেকেই হয়ে আসছে। ধর্ম, বর্ণ, অরাজনৈতিক/রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে। অনেক বালিকা, কিশোরী আছে যারা গৃহশিক্ষক দ্বারা নির্যাতিত। পরিবার থেকে এসব চেপে যাওয়া হয় লোকলজ্জার ভয়ে। আসলে দরকার এইসব পশুদের চেহারা যেভাবেই হোক সবাইকে চিনিয়ে দেয়া, এদেরকে সামাজিকভাবে পুরোপুরি বর্জন করা এবং অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। সচেতনতা বাড়ানো দরকার।
সামজিকভাবে বর্জন করা দরকার। আর সেই সাথে উপযুক্ত শাস্তি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এবং এই পশুগুলোকে শাস্তি দেয়ার সাথেই দরকার অন্য যে পশুগুলো এই ধরনের ঘটনা জানলে ভিক্টিমের উপরেই লাফিয়ে পড়বে সেগুলোকে কয়েকগুণ বেশি শাস্তি দেয়া। ওই দ্বিতীয় প্রজাতির পশুগুলো যতদিন থাকবে, ততদিন এই প্রথম প্রজাতির পশুগুলোর যতই ব্যবস্থা করা হোক না কেন, এগুলো আরো গজিয়েই যাবে।
ঘটনাগুলো এমনি এমনি লুকানো থাকে না। যাদের কারণে একটা অপরাধকে ভিকটিম লুকিয়ে রাখতে বাধ্য হয়, তারাও সমানভাবেই অপরাধী।
খবরগুলোতে একটা ব্যাপার দেখলাম, অভিভাবকদের দাবীগুলোর অন্যতম হলো গার্লস স্কুল থেকে সব পুরুষ শিক্ষক প্রত্যাহার করতে হবে।
এই পয়েন্টটা সমর্থন করতে পারলাম না।
ব্যাপারটা একটু জটিল। অভিভাবকরা হয়ত নিরাপত্তাহীনতা থেকে বলছেন। কিন্তু কথা হল অধ্যক্ষ নিজে তো একজন মহিলা। এই ঘটনায় তার প্রতিক্রিয়া হতাশাজনক।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ঠিক, এটা সমর্থনযোগ্য নয়। গার্লস স্কুল থেকে পুরুষ শিক্ষক নাহয় প্রত্যাহার করবে কিন্তু পুরুষহীন গার্লস ভার্সিটি, অফিস এসব তো পাওয়া যাবে না। দাবী হওয়া উচিত ১. দোষীদের শাস্তি , ২. বর্তমান প্রিন্সিপালের পদত্যাগ আর ৩.ভবিষ্যতে নিয়োগকালে পুরনো ইতিহাস যাচাই করতে হবে
ধিক্কার এই শিক্ষক নামের কলংককে। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
সবচাইতে অদ্ভূত লাগল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার আচরন। তিনি নিজে নারী হয়েও আরেক নারীর উপর অবিচার শুধু সয়েই গেলেন না---সেটাকে ধামাচাপা দেয়ার ন্যক্কারজনক প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেন। এমন পরিস্থিতিতে তার পরিবারের কেউ পড়লে তিনি কি একই ভূমিকা পালন করতেন??
যাদের কথা ছিল আমাদের অনাগত ভবিষ্যতের পথ মসৃণ করার--তারাই আজ কোদাল হাতে ঝাপিয়ে পড়েছে পথটা নষ্ট করার জন্য।
উপরে অনিন্দ্যদার কমেন্টটারই পুনরাবৃত্তি করব - পুরা সিস্টেমটাই ধর্ষক সহায়ক হয়ে উঠেছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
১। আজকে এক পত্রিকায় মেয়ের সমস্ত ইনফরমেশন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২। গোপালী হবার কারনেই এই নিয়োগ, কারণ তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ভিকারুন্নেসার মতো স্কুলের শিক্ষক হবার মতো না।
৩। একজন নতুন শিক্ষককে উপযুক্ত টেস্টিং ছাড়া উঁচু ক্লাসে কী করে পড়াতে দেওয়া হলো এটা বুঝলাম না।
৪। অধ্যক্ষ আমাদের মাননীয়ার বান্ধবী। এবং এই পরিচয়ে সে বিভিন্ন সরকারি সুবিধা ভোগ করে। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন সরকারি অফিসে চাকরিরত কয়েক বন্ধু আমাকে তথ্য দিয়েছে।
৫। ৯ তারিখের রোড মার্চ সফল করতে হবে। এজন্যে দয়া করে আমাদের সাথে আসুন। আমার ছোটবোনকে যে এভাবে নির্যাতন করে শারীরিক আর মানসিক ভাবে তাকে আমরা শাস্তি ছাড়া শান্তিতে নষ্টামো করতে না দেই প্লিজ!
৬। জাবিতে যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন করেছিলাম আমরা। এবং প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বহিষ্কার করতে পেরেছিলাম। তাতে অবশ্য হয়েছে কচু। সে এখন এক স্বনামধন্য কলেজের শিক্ষক! আমি জানি এই ঘটনা শুনে আমার কেমন লেগেছে। আমাদের ৬ মাস আমরা এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে গচ্চা দিয়েছি। আমাদের ডিপার্টমেন্টের সেসময়ের ৪টা ব্যাচের প্রতিটা ছাত্র এই ফলাফল ভোগ করবে সারাজীবন ধরে। আর সেই শালার শাস্তি কী হলো? আগে জাহাঙ্গিরনগরে পড়াতো, এখন ** কলেজে পড়ায়। বিগ ডিল? এবারে এটা না হোক! প্লিজ এটা না হোক!
আমার পিচ্চি বোনগুলা বড় হচ্ছে, আমার মেয়েটা বড় হচ্ছে। এদের আমরা কোন দুনিয়ায় বড় করছি ভাবতে দম বন্ধ হয়ে যায়! আর পারিনা শান্ত থাকতে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সম্ভব হলে এই ক্ষেত্রেই বরং ** কলেজ না বলে নামটা বললে কাজে দিতো
সিটি কলেজ। শিক্ষকের নাম তানভীর আহমেদ সিদ্দিকি। এই শিক্ষক মেয়েদের নিয়ে নানারকম বাজে ইঙ্গিত দেওয়া থেকে শুরু করে প্রশ্নপত্রে বাজে অশ্লীল ইঙ্গিত পূর্ণ কথা পর্যন্ত লিখতো। তার পছন্দের মেয়ের ছেলেবন্ধুকে হেনস্থা করা থেকে শুরু করে আরও নানা অপকর্মে জড়িত ছিলো।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধন্যবাদ। এগুলোর ছবিসুদ্ধ একটা লিস্ট তৈরী করে নেটে ঝুলিয়ে রাখতে পারলে বেশ হতো।
এর কোন ছবি আছে? এর ডিটেইলস জোগার করা যাবে? আমাদের প্রচলিত আইনে এদের হয়ত কোন শাস্তি হবেনা, সামাজিক বর্জনই একমাত্র উপায়।
এইসব ****গুলার ট্র্যাক রাখা উচিত। রেগুলার আপডেট জানানো উচিত সবাইকে, কোথাও যেন সুযোগ না পায়।
খুবই কষ্ট পেলাম। এই ধরণের ফাইজলামো বাঙালিদের জনে্য বড় বেমানান। মানুষের রক্ত এত ইম-পিউর কিভাবে হয়? চাই যেন সরকার উনাকে যাবৎ-জীবন কারাগারে থাকার ব্যবস্থা করেন, এবং উনার প্রতি 'ওয়েট ড্রিম' এর উপহার হিসেবে সরকারি হাসপাতাল ও অফিসের হাগু ঘর বিবস্ত্রাবস্থায় পরিষ্কার করতে দেয়া হয়। যেন 'প্লেজার' এর উপরে উনার এমন ভয় আসে যে ব্যপারটা উনার শরীরের ইমিউন সিস্টেমে ও ডিএনএ-তে পারমানেন্টলি ওভার-রাইড হ্য়। মানুষিক ভাবে খাসি, 'সেক্সুয়াল-প্লেজার' এর সকল ইন্ফরমেশান ব্রেইন থেকে চিরজীবনের জনে্য মুছে যায়। বেটা পারভাটর্
অধ্যক্ষের শাস্তি ও উনাকে খাসি করার উপোযুক্ত ব্যব্স্থা নেয়া হউক।
(বানান ভূলের জনে্য দুঃখিত, ফেনেটিক-এ লেখা কষ্ট, ম্যাকে বাংলা লেখা তো আরো এক কাঠি উপরে!!)
পরিমলের উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি চাই।
খোদ ঢাকাশহরে এবং একটি স্বনাম খ্যাত স্কুলে এমন কান্ড! দেশের অন্যান্য জায়গাতে এমন পশুদের কর্মকান্ডের কথা ভাবতে ভয়ই পাচ্ছি! দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক পরিমল, প্রধান শিক্ষিকাসহ ধামাচাপায় সাহায্য কারীদের।
আমার মন্তব্যটা আসেনি দেখি!
প্রথম আলো
নতুন মন্তব্য করুন