দুপুরের হলুদ নীরবতা ফিকে হয়ে আসে, সবুজের আস্তরণে রোদের আলো কমলা-লালে আভাময় হয়ে উঠে। শরীরের ঘামটুকু শুষে নেয় এক দফা স্নিগ্ধ বাতাস। আমি উবু হয়ে বসে ক্যামেরার লেন্সে চোখ রাখি – অনেক উঁচুতে একটা কাঠ-ঠোকরা একমনে ঠুকতে থাকে আগামী আবাস। কিন্তু নাগালের বাইরে ওটা, ৩০০ মি.মি. লেন্সে যুতমত ছবি আসে না। বার কয়েক চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দেই। ঠিক তখনি পাখিটা গোঁৎ মেরে খুব কাছ দিয়ে উড়ে যায়। আফসোস করার ফুরসৎ মিলে না, খুব কাছেই একটা গিরগিটি বেশ সতর্ক ভঙ্গীতে ঝোপের আড়াল থেকে বের হয়ে আসে। এবার চট করে দু-তিনটা স্ন্যাপ নেই, আলোর উল্টা দিকে বলে সিল্যুয়েট হয়ে আসে, একটা ফিল-ইন ফ্ল্যাশ লাগিয়ে আরো কয়েকটা ছবি তুলি। মাথা-ঘাড় লাল করে সে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। এজন্যই লোকে অনেক সময় একে রক্তচোষা গিরগিটি বলে ডাকে।
তারপর বেশ খানিকটা সময় কিছুই ঘটে না। কানের কাছে মশা ভন ভন করতে থাকে। চড়-থাপ্পরেও কোন কাজ হয় না। মশা আর বিটকেলে সব পোকার উড়াউড়ি অগ্রাহ্য করে একটা পায়ে হাঁটা ট্রেইল ধরে এগিয়ে চলি। চলতি পথে দেখা হয় এক দল ছাতারে পাখির সাথে। এই পাখিগুলো প্রায় সময়ই দল বেঁধে থাকে, দল বেঁধে খাওয়া খুঁজে। একটা গাছের আড়াল থেকে কিছুক্ষণ দেখলাম এদের কীর্তিকালাপ – মাটি থেকে পোকা খুঁটে খেতে থাকে ছাতারের দল।
আরেকটু সামনে চোখে পড়ে ছোট ছোট বুনো ফুলে জড়ানো লতা, ফুলের ভালো ছবি তোলা বেশ ঝক্কির ব্যাপার। ট্রাইপডটা কায়দা করে খুব কাছ থেকে কিছু শট নিলাম, বাতাসে ফোকাস ধরে রাখা মুশকিল। ম্যাক্রো ছবি তোলার সময় ফোকাস রেইল না থাকলে বেশ কষ্ট হয়, দোল খেতে খেতে ক্রিটিকাল ফোকাস ঠিক করি। গরীব মানুষ, কোন ম্যাক্রো লেন্স নাই, কোনমতে ক্লোজাপ ফিল্টার লাগিয়ে খুব কাছ থেকে পোকামাকড়, ছোটখাট ফুলের ছবি তুলি।
ধাতব স্বরে একটা ভীমরাজ ডেকে ডেকে উড়ে যায়, কালো শরীরটা মেঘের মাঝে বিন্দু হয়ে মিলিয়ে যায়। গোধূলি বেলা যতটা কাব্যিক হওয়ার কথা ছিল ততটা হয় না। সারাদিনের ভ্রমণ শেষে শরীর চুল্কাতে শুরু করে। পা চুল্কাতে গিয়ে টের পাই জোঁকে ধরেছে। কেবল পা না, শরীরের আরো নানা দুর্গম স্থানে এদের অনুপ্রবেশ বেশ আতংকের সঞ্চার করে। ছাড়িয়ে নেওয়ার পরেও কিছুক্ষণ রক্ত ঝরতে থাকে, পরে এগুলো কালো ফুস্কুড়ি হয়ে চুলকাবে বেশ কয়েকটা দিন।
একটা গাছের গুঁড়িতে ঠেস দিয়ে কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিতে থাকি। ছবির পিছনে ধাওয়া না করে এক জায়গায় ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে বরং ভালো ছবি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মাটি-রঙা এক প্রজাপতি ডানায় বিকেলের ওমটুকু মেখে নিচ্ছিল – এক টানা ক্লিক-ক্লিক-ক্লিক শাটারের শব্দে ভড়কে গিয়ে উড়ে গেল। খুব কাছেই, অনেকটা যেন উপর থেকে “কেউ” করে একটা আওয়াজ হল। চশমাচোখা হনুমান (Phayre’s Leaf Monkey) আমার গতিবিধির উপর নজর রাখছে। এবার খুব আস্তে করে লেন্সটা ট্রাইপড থেকে খুলে হাতে নিলাম। ব্যাকলিট হওয়া গাছ-পাতা ব্যাকগ্রাউন্ড – মিটার থেকে রিডিং না নিয়ে ম্যানুয়ালি একটা এক্সপোজার সেট করে কিছু ছবি নিলাম। অন্ধকার আসাতে ISO বাড়িয়ে প্রায় ৮০০ তে নিয়ে আসলাম – একটু গ্রেইনি আসবে কিন্তু আগে ছবি তো তুলি! লেন্সের ভিতর দিয়ে চোখাচোখি হয়। কোন এক কারণে যে কোন প্রাইমেটের সাথে ছবি তোলার সময় চোখাচোখি হলে আমার বুকের ভিতরে কেমন অদ্ভুত একটা অনুভূতি হয়। বানর-হনুমান নিয়ে ঠাট্টা-ফাইজলামি অনেক হয় কিন্তু জঙ্গলের মধ্যে এরকম বুদ্ধিমান এক জোড়া চোখের দিকে তাকিয়ে মোটেই হাসি পায় না। পরিবেশের একটা অন্যরকম প্রভাব আছে। এই হনুমানগুলো খুব দ্রুতই হারিয়ে যাচ্ছে – নগরায়ন আর পরিবেশ দূষণের অন্যতম শিকার এরা। থাকার জায়গা নাই, খাওয়ার মত ফল নাই – এরা কীরকম ভাবে বেঁচে থাকে নিখিলেশ এসে দেখতে গেলে নির্ঘাত ভিরমি খাবে।
আলো কমে আসতে থাকে। এখন প্রাণ-চাঞ্চল্য বাড়বে কিন্তু আমার ক্যামেরায় ঐ ছবি তোলা সম্ভব না। কিন্তু খুব ইচ্ছা হয় হাই-স্পিড ক্যামেরা কিনে মাচা বেঁধে জঙ্গলে থাকি। সন্ধ্যা-রাতে অরণ্যে যে নাটকটা জমে উঠে, সেটার ছবি তুলতে না পারার আফসোস সবসময় পুড়িয়ে মারে। ফ্ল্যাশ দিয়ে কিছু কাজ করা যায়, কিন্তু ঐ হঠাৎ আলোর ঝলকানি অনেক সময় পশু-পাখিদের ভড়কে দেয়। ব্যাকপ্যাকে সব গুছিয়ে দিনের কাজ শেষ করি, টুকটাক কিছু নোট নেই।
এরকম ছবি-ছবি বিকেলগুলো আমার অসম্ভব প্রিয়। কত রকমের ফুল-পাতা-পাখি, বানরের লাফ-ঝাঁপ, বিদঘুটে চেহারার পোকামাকড়, বনবিড়ালের পায়ের ছাপ - পুরাদস্তুর শহুরে আমি অরণ্যের কতটুকুই বা চিনি? তবু ফিরতি ট্রেইল ধরে হাঁটতে হাঁটতে কল্পনা করি এই ল্যান্ডস্কেপের আমিও একটা অংশ।
মন্তব্য
আপ্নে মিয়া অমানুষ!
---------------------
আমার ফ্লিকার
ধন্যবাদ পথিক ভাই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অনেকদিন পর লিখলেন এবং যথারীতি সুন্দর পোস্ট। প্রজাপতি আর হনুমানের ছবি দুটো সবথেকে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ। আপনার কথায় ভরসা পেয়ে প্রজাপতির আরেকটা ছবি যোগ করে দিলাম।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অসাধারণ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
টাস্কি
ভাবছিলাম আমার ইয়েলোস্টোন এর ছবি আর ভ্রমণ নিয়া লম্বা একটা ব্লগ দিবো, আপনের এইসব ছবি দেখার পর প্ল্যান বাদ দিলাম
মস্করা করেন নাকি? আপনার ইয়েলোস্টোন অ্যালবামে ফাটানো বেশ কিছু ছবি আছে, আমি নিজে দেখছি। এইভাবে ফাঁকি দিলে খবর আছে বললাম।
---
লেখা ভাল্লাগছে দেখে আমিও আনন্দিত
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
পোস্ট দিলেন অনেক অনেক দিন পর। আর সেটাই ফাটাফাটি।
চমৎকার হয়েছে ছবিগুলো।
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
প্রশংসার জন্য বাদ। মাঝে একটু ব্যস্ত ছিলাম। আবার নিয়মিত হব আশা রাখি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সবগুলো ছবি চমৎকার, একইসাথে বর্ণনা ।
অ-নে-ক, অ-নে-ক ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধুর্মিয়া আপনে অমানুষ!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আর কিছু? যাই হোক, ভ্যাংকুভারে ভয়ংকর (কিংবা ভ্যাংকুবারের ভ্যাম্পায়ার) পোস্ট কবে আসবে?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আমিও বেশ ব্যস্ত ছিলাম। মুভ করলাম, সেই মুভমেন্টের ধাক্কা সামলাচ্ছি। ভ্যাঙ্কুভারে ভয়ংকর এর কথা লিখতে হলে মনে হয় প্রফেসরের কথা লিখতে হবে। সেইটার জন্যে একটু সময় দেন। এখনও বেশি জানাশোনা হয় নাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আহা ছবি সাহিত্য...
ধন্যবাদ লীলেনদা। সাহিত্য বলাতে কিঞ্চিত ভড়কে গেলাম। তবে জঙ্গলের ভিতরে যে অন্যরকম অনুভূতি হয়, সেগুলো লিখে রাখতে পারলে দারুণ হত।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
চশমা হনুমানটা কী সুন্দর!ছবি
অনেক ধন্যবাদ। যেটা খারাপ লাগে - চশমাপরা হনুমানরা একরকম বলতে গেলে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অনেকদিন পর----
অসাধারণ!
আরেকটু বড় হতে পারত!
ফিডব্যাকের জন্য ধন্যবাদ। পরেরবার আরো বেশি করে লিখব
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
#অনেক দারুন লেগেছে ফাহিম ভাই, কাঠঠোকরার ছবিটি এককথায় দুর্দান্ত, অভিনন্দন আপনাকে।
#ভাল থাকুন সবসময়।
_______________________________
একটি শালিক উড়ে বেড়ায় বিশাল আকাশ জুড়ে
আজ ফিরতে ব্যাকুল সে শালিকটি
পথ হারানো নীড়ে।
এত প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আপনার নামটাই তো জানা হল না।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কয়েকটা ছবি কি সিলেটে তোলা?
বেশ হচ্ছে, জেরাল্ড ডারেলের এক লেখাতে এমন সন্ধ্যা নেমে আশার বর্ণনা আছে, দারুণ।
facebook
সিলেটের কাছাকাছি। সব কয়টা ছবিই শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া থেকে তোলা।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লজ্জায় ফেলে দিলেন, ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ভোরের আলোর স্নিগ্ধতা মাখানো একটা লেখা। ভাল থাকবেন।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
আপনিও ভালো থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কি অসাধারণ সুন্দর ছবি
আর লেখা
---- ঠুটা বাইগা
আপনার নিকটাতো বেশ অন্যরকম।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
-- ঠুটা বাইগা
অপূর্ব, অপূর্ব। বিশেষত টিকটিকির ছবিটা আর হনুমানেরটাও। লেখাও ভারি ভালো লেগেছে। এরকম ছবি বিকেল আপনার আরও আসুক, আমরাও অসাধারণ কিছু ছবি পাই।
অ-নে-ক ধন্যবাদ দীপ্ত এরকম উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অসাধারণ! ছবিগুলো দেখে এক্ষণি ক্যামেরাটা নিয়ে বের হয়ে পড়তে ইচ্ছে করছে। হাতের কাছে আরশোলা, পিঁপড়ে, মাকড়শা যা পাই তা দিয়ে শুরু দিবো ভাবছি। শুধু একটা প্রশ্ন এগুলোতে কি পোর্ট্রেট ল্যান্স ব্যবহার করেছেন?
.........
রংতুলি
তাহলে আর দেরী করে লাভ কী? এক্ষুণি ক্যামেরা নিয়ে বের হয় যান। হাতের কাছে পোকামাকড় প্রচুর পাওয়ার কথা।
লেন্স ব্যবহার করেছি দুইটা -
canon EOS L 300mm f4 IS USM
canon EOS 70-300mm f4 -5.6 IS USM
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ক্যানন!! অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ!!
.........
রংতুলি
ওরে বাপরে বাপ! লাল সালাম
হিল্লোল
ধন্যবাদ হিল্লোল ভাই। উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনাকেও সালাম
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
৫ তারার বেশি দেওয়া গেলে তা-ই দিতাম! অসাধারণ, ফাহিম ভাই!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
অনেকদিন সচলে আপনাকে দেখি না মৌনকুহর ভাই, মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগল।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
Awesome.... cant express in words
(From mobile so have to comment in english)
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
হা হা হা, কষ্ট করে মোবাইল থেকে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ ধুগোদা
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
চমৎকার, লেখা ছবি দুটোই।
অনেক ধন্যবাদ ধুসর জলছবি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
মারাত্মক পোস্ট
দ্বিতীয় ছবির গিরগিটি কি পুরুষ না মহিলা? মহা জ্ঞানী লুক দিসে কিন্তু।
..................................................................
#Banshibir.
ধন্যবাদ সত্যপীর। গিরগিটিটা পুরুষ (Calotes versicolor) ভয় দেখাতে বা সঙ্গীকে আকৃষ্ট করতে রঙ পালটায়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আকৃষ্ট হইনাই হাল্কা ভয় পাইসি। অতএব আমি গিরগিটির ভালোবাসার লোক নই শ্ত্রুপক্ষের লোক
..................................................................
#Banshibir.
- দারুণ...
নাহ্- কাহাতক আর সহ্য হয়...
ধন্যবাদ। অসহ্য মনে হলে ক্যামেরা কানধে বের হয়ে পড়েন - পা বাড়ালেই রাস্তা
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
খালি ছবিলয় কান্ধে বের হইয়ে পড়লেই হবি না ভাইডি- ফটুক তুইলতে হবি- সেই ফুটুক আবার ভালো লাগতি হবি- মুই কী হনুরে টাইপ ভাব আনতি হবি... মেলা গিয়াঞ্জাম... নাহ্- একটা কিছু করা চাই'ই চাই...
কবিতার মতো কোমল ছবি।
আর ছবির মতো সুন্দর লেখা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেক ধন্যবাদ তিথী এমন কাব্যিক মন্তব্যের জন্য
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আহা কী সুন্দর! অতি সুন্দর। অসাধারণ। ভাষাহীন।
অনেক ধন্যবাদ পিপিদা, আপনার সাথে কত যে কথা জমে আছে, এখন তো ঐ দিকে চলে গেছেন
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সামনে সপ্তাহান্তে ফোন দিবনি।
দারুন সব ছবি। কোত্থেকে তোলা?
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ ভাইয়া। ছবিগুলো লাউয়াছড়া থেকে তোলা।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
মাথা ঘুরিয়ে দেবার মত সুন্দ্র ছবি!
ইমা
ধন্যবাদ ইমা
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দারুণ সব ছবি। আর লেখাও দারুণ।
অনেক ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আহা থাকতো যদি পিঠের ওপর অমন দুটো ডানা
যেথায় খুশি হারিয়ে যেতাম করত না কেউ মানা
(আসল লাইনগুলো হুবহু মনে নাই, কেউ আবার পরের প্রতি-কবিতাটা মাইরা বইসেন না, মাইন্ড করুম)
এরকম হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে ন্যাট জিও টাইপ ছবিগুলো দেখলে, পরক্ষনেই মনে হয়, জোঁকগুলোকে রক্ত চুষতে দেয়া আমার কম্ম নয়। থাকুক না এক অথবা অনেকগুলো ফাহিম হাসান, ছবিটবি তুলে পোস্ট করুক, দূর থেকে নমস্কার জানিয়ে নিজেকে চারদেয়ালে নিরাপদ রাখি।
অসাধারন কাজ ফাহিম, বরাবরের মতো। আপনার মত হতে পারব না কখনোই
লজ্জায় ফেলে দিলেন ভাই। এ্যাত্ত প্রশংসা!
তবে কথা হল ভাই, বাংলাদেশ এমনিতেই খুব সুন্দর, ছবি তোলার সাব্জেক্টের কখনোই অভাব হয় না। পিঠে ডানা লাগায় দুই-একদিনের জন্য হলেও ক্যামেরা কাঁধে বেরিয়ে পড়ুন। সামনেই শীতকাল, আর এই সময় সাপ বা জোঁকের প্রকোপ কম।
অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা রইল
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
মুগ্ধ। ছবি লেখা দুটোই।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই। আপনার সাথে ব্যানফ যাওয়ার অনেক ইচ্ছা।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আপ্নে এক্টা ভচমানু!
খানিকটা অমানুষ!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
উরিব্বাস, বিশাল কম্পলিমেন্টের জন্য অনেক
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দারুন সব ছবি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
চমৎকার সব ছবি। সত্যি বলতে কি এসব ছবি দেখলে, শুধু এর কাছাকাছি ছবি তোলার আশায় ও ফটোগ্রাফি নিয়ে লেগে থাকার অনুপ্রেরণা পাই।
সংযুক্তিঃ লেখা পড়লাম এখন। অসম্ভব মায়াকাড়া আর কাব্যিক বর্ণনা। দারুণ লাগল।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ সজল ভাই। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আরো বেশি খুশি হলাম ফটোগ্রাফির প্রতি আগ্রহ দেখে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সবগুলি ছবি ভয়ানক সুন্দর
কাঠ ঠকরাটা বেস্ট আর হনুমানটা খুবই কিউট।
অনেকদিন পর লিখলেন। লেখাও ভাল লাগল বরাবরের মত।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
অনেক ধন্যবাদ শাব্দিক। কিউট হনুমানগুলোর দুষ্টামি যদি দেখতেন
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
গিরগিটি আর হনুমানটা জোসসসসসসসস।
ধন্যবাদ ভাই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দারুণ সুন্দর ছবিগুলো। প্রকৃতির প্রতি গভীর মায়া থাকলেই এমন ছবি তোলা সম্ভব - সেটা আপনার প্রান ছুঁয়ে যাওয়া লেখাতেও বোঝা যাচ্ছে!
যুধিষ্ঠির ভাই, আপনি নিয়মিত আমার লেখায় মন্তব্য করেন, খুব ভালো লাগে। আপনার অনেক গল্প শুনেছি। আপনারও তো ফটোগ্রাফির খুব ঝোঁক - সময় পেলে কিছু লিখুন না, প্লিজ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ভাই আপ্নের কাছে আমার একটা ছুট্ট প্রশ্ন আছিল-L 300 f4 IS USM লেন্স নিয়া আপ্নে নিজেরে ক্যামনে গরীব বইল্যা দাবী করেন!
তয় ভাই আপ্নের গিরগিটির ছবিটা ব্যাপক হইছে
ধন্যবাদ ভাই। আপনার ছুট্ট প্রশ্ন শুনে কিছুক্ষণ হাসলাম। আসলে এক অর্থে আমি খুব ভাগ্যবান, আমার ক্যামেরা-লেন্স প্রায় পুরা সেটাপটাই বাপ-মা কিনে দিছে, নিজের টাকায় তেমন দামী কিছু কিনি নাই।
কিন্তু সমস্যা হল ওয়াইল্ড লাইফ খুব গিয়ার-ইন্টেন্সিভ একটা ফিল্ড। পাখির ছবি তুলতে গেলে ৩০০ মিমি তেও প্রায় সময়ই কাজ হয় না। আমার কোন ডেডিকেটেড ম্যাক্রো লেন্স নাই। অথচ শার্প ১:১ ম্যাগনিফিকেশান চাইলে ম্যাক্রো লেন্স ছাড়া গতি নেই।
তারপর ধরেন ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল। আমার কালেকশানে ওয়াইড ছবি খুব কম দেখবেন, কারণটা মূলত লেন্সের অভাব। আমি এখনো ১৮-৫৫ কিট ব্যবহার করি। বডি ফুল-ফ্রেম না, কাজেই খুব বেশি ওয়াইড পাই না।
এইসব মিলিয়ে ধরেন কাজ করা খুব ঝামেলা। ফটোগ্রাফির নেশাটা মারাত্মক - একেবারে আপনাকে ফকির বানায় ছাড়বে। আমার ব্যক্তিগতভাবে গিয়ারের প্রতি টান নেই, কিন্তু ওয়াইল্ড-লাইফে এমন কিছু মোমেন্ট থাকে যা ঠিক ইকুইপমেন্ট ছাড়া তোলা যায় না - ঐখানেই আফসোস।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হুমম ভাই আমারও ঠিক ওইখানটাতেই আফসুস! কিছু কিছু মোমেন্ট আসে অথবা থাকে ঠিক ইকুইপমেন্ট ছাড়া তোলা যায় না। তাই ভাবছি যেদিন একটা রেন্ঞ্জ-ফাইন্ডার/ফুল-ফ্রেম কিনতে পারুম সেদিন থেকেই আবার ছবি তুলুম
-রন্ঞ্জিত
চমৎকার সব ছবি ফাহিম ভাই!!এগুলান দেখলে মাঝে মাঝে ফটোগ্রাফী করবার মন চায়।
-গগন শিরীষ
মাঝে মাঝে কেন রে ভাই, সবসময়ের জন্য হাতের কাছে ক্যামেরা রাখেন, নাহলে মোবাইলে ফটো তুলেন।
ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
চমৎকার! এবং বহুদিন পর
হ্যাঁ ভাই, বহুদিন পর। আছেন কেমন?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অসাধারণ ছবি! আপনি কি শুধুই শখের বশে ছবি তোলেন, নাকি পেশাদার কাজও করেন কোথাও?
অনেক ধন্যবাদ অতন্দ্র প্রহরী।
ফটোগ্রাফি এখনো নেশাই, পেশা হিসেবে নেওয়ার সাহস করে উঠতে পারি নাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ছবি যে অসাধারণ তোলেন, সেটা নতুন করে বলার কিছু নাই। কিন্তু তার চেয়েও এবার বেশি ছুঁয়ে গেলো আপনার অনুভূতি। ছবি ছবি বিকেলগুলো বা সন্ধ্যা-রাতে জঙ্গলে গিয়ে ছবি তোলার ইচ্ছে, অদ্ভুত একটা মায়া, একটা টান, শেষ দুই প্যারাতে কেমন ভেজা ভেজা হয়ে আছে...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনাকে তেমন একটা দেখি না। পড়ার জন্য, মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। সময় পেলে অন্তত কিছুটা সময় জঙ্গলে কাটিয়েন - খুব অন্যরকম সব অনুভূতি হবে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বহুদিন পর লেখা পেলাম, ফাহিম ভাই। ব্যস্ত ছিলেন বুঝি?
_____________________
Give Her Freedom!
ব্যস্ত ছিলাম, সেই সাথে স্বাভাবিক আলস্যবোধ - সব মিলিয়ে অনেক দিন পর। আপনার কী অবস্থা?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দারুণ সব ছবি বুনোভাই
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হা হা হা, বুনো ভাই আর হলাম কিভাবে? শহরে জন্ম, শহরে মানুষ। মাঝে মধ্যে অল্প সময় জঙ্গলে কাটাই - এই আর কী।
আসল একজন বুনো মানুষের চিকা মেরে যাই - কলিন অ্যাঙ্গাস
ওয়েবসাইট: http://www.angusadventures.com/
পুরা আমাজন নদী উৎস থেকে শেষ পর্যন্ত রাফটিং করে পার হয়েছে - এবার বুঝেন!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দারুন
<দেখক>
অনেক ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নতুন মন্তব্য করুন