__________________________________
ফটোগ্রাফির শুরুর দিকে আমার অভ্যাস ছিল নকল করার (অনুকরণ বললে বেশি ভালো শোনাতো কিন্তু আসলে যা করতাম তা ছিল CTRL + C >> CTRL + V) নামকরা ফটোগ্রাফার, বড়ভাই/আপুদের ছবি খুঁটিয়ে দেখতাম। চেতন, অবচেতন মনে রয়ে যেত ছাপ। যখন ক্লিক করতাম, তখন দেখা যেত আমার ছবির বিষয়বস্তু, ধরন অনেকটা যেন অমুকের মত। কাঁচা হাতের কাজগুলো বন্ধুদের কাছ থেকে বাহবা কুড়াত কিন্তু পাঠশালার (দৃক) ফটোগ্রাফারদের ভুরু কোঁচকানো দেখে বোঝা যেত অল্প বিদ্যার ভয়ংকর রূপ। ঢাকার পাঠশালা অফিসে একটা লাইব্রেরি ছিল - ছোট্ট একটা ঘর, কিন্তু নানারকম দুর্লভ বইয়ে ঠাসা। সেখানকার পত্র-পত্রিকা, বই-খাতা ঘাঁটাঘাঁটি করতাম আর ফোঁসফোঁস করে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলতাম। মানুষে কত সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে অথচ আমার আশেপাশে ছবি তোলার কোন বিষয়ই নাই। কাঁহাতক আর গরীব-দুঃখী-বৃদ্ধ মুখ তোলা যায়! আরেকটা বিষয় পীড়া দিত – আমার একমাত্র সম্বল ছিল সস্তা, পুরানো, জংধরা একটা পেন্ট্যাক্স ফিল্ম ক্যামেরা (যা আমি এখনো মাঝে মধ্যে ব্যবহার করি)।
জাত ফটোগ্রাফাররা প্রায়ই বলেন ক্যামেরা কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। কিন্তু তাদের হাতে থাকে তাক লাগানো দামী গিয়ার। ঐ সময়ে এইসব আঁতলামি কথা শুনে আমার মনে তীব্র বেদনার সৃষ্টি হত। মানুষের ক্যামেরা-লেন্সের দিকে লোভী চোখে চেয়ে থাকতাম আর মহেশকে বলতাম “ওদের অনেক আছে কিন্তু দেয় না।” জীবনে কোনদিন টাকা-পয়সা করতে পারলে কী কী ক্যামেরা কিনব সেগুলোর লিস্ট করতাম মনে মনে।
ক্রমবর্ধমান ঐ লিস্টের বেশিরভাগ গিয়ারই শেষ পর্যন্ত আমার কেনা হয় নাই। তবু আস্তে আস্তে আমিও একটি ডি.এস.এল.আরের মালিক হয়েছি। আব্বুজান নানাশর্তে গুটিকতক লেন্স খরিদ করে দিয়েছেন। নিজের পয়সায় আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিও জুটেছে। তারপরেও সাধ মিটে না। খালি মনে হয় ঐ লেন্সটা যদি কিনতে পারতাম, অমুক ক্যামেরার অভাবে আমার ফটোগ্রাফি আটকে আছে ইত্যাদি। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়াই, মানুষজনের ছবি দেখি আর ভাবি – আমার ঐরকম একটা ক্যামেরা থাকলে এই ব্যাটার চেয়ে ঢের ভালো ছবি তুলতাম। “ভালো ক্যামেরা” শব্দের আপেক্ষিকতা টের পেলাম, চারিদিকে গিয়ারের ছড়াছড়ি আর আমি canon 40D নিয়ে প্রাণপণে সম্ভ্রম বজায় রাখার চেষ্টা করছি। এই ক্যামেরায় ভিডিও পর্যন্ত করা যায় না। সেলফোনের সমান মেগাপিক্সল। লেন্সের অবস্থা কিছুটা ভালো – একটা সাদা বনেদী লেন্সের মালিক কিন্তু Canon EOS 300mm L f4 এর মত টেলিফটো লেন্স দিয়ে দূরের ছবি তুলে আরাম, লাস্যময়ী তরুণীর হাস্যময়ী মুখের ছবি আর তোলা কষ্টসাধ্য। তাই ফাহিমের ছবির কথা বলতে গেলে আজ লোকে গ্যাং-ব্যাং রত উভচর প্রাণিদের কথা উল্লেখ করে। একটা “ভালো” ক্যামেরা, ও তদসংলগ্ন লেন্সের অভাবে কত পুরস্কারযোগ্য ছবি যে তোলা হয় নাই, সেই বেদনা আড়ালেই থেকে গেল।
এদিকে এডমন্টন শহরের শীতে কাবু হয়ে ওয়াইল্ডলাইফের ছবি তোলা কমে এল। আরো নানা ধরনের ছবি তোলা শুরু করলাম। অনুশীলনের অংশ হিসেবে চেষ্টা করতাম বিষয়বস্তুতে কিছুটা বৈচিত্র আনার। আমার ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিটাও চমৎকার। বিখ্যাত ফটোগ্রাফারদের ছবির বড় বড় প্রিন্টের প্র-চু-র বই-পত্রে ভরা একেকটা শেলফ। বই কাঁধে আমি জ্ঞানের ভারে ন্যুব্জ হয়ে বাড়ি ফিরি। ছবি তোলা কমে যাওয়াতে একদিক থেকে ভালো হয়েছে চিন্তার জন্য অনেকখানি সময় পাওয়া যায়। চিন্তাভাবনা করে তাই একটা Canon 50mm f/1.4 কিনলাম। আর শুরু করলাম অন্য সব লেন্স, গিয়ার বেচে দেওয়া।
এই পোস্টের ছবিগুলো এরকম ট্রান্সিশান পিরিয়ডে তোলা। একটা বাদে সব কয়টাই 50mm এর ক্লিক। Canon 40D ক্যামেরা হল ক্রপড সেন্সর বডি, এতে 50mm লাগালে কার্যকর ফোকাল লেংথ দাঁড়ায় 80mm সহজ কথায় কাছে দাঁড়িয়ে লোকের ছবি তোলা বেশ মুশকিল, কিছুটা দূরে গিয়ে ছবি তুলতে হয়। রাস্তাঘাটে এভাবে ছবি তোলাটা বেশ ঝামেলার ব্যাপার, ঠিকমত ফ্রেম করা প্রায় দুঃসাধ্য। তবু এই সীমাবদ্ধতাটুকুর খুব দরকার ছিল আমার। চর্চা করার জন্য, একটা নির্দিষ্ট ফোকাল লেংথকে আয়ত্তে আনার জন্য এর থেকে সহজ উপায় আর নাই। প্রত্যেকটা ফোকাল লেংথের একটা নিজস্ব ভাষা আছে। 35mm ছবির চেহারার সাথে 90mm তে তোলা ছবির যে তফাৎ সেটা বোঝার জন্য আলাদা করে দুটো লেন্স বেশ কিছুদিন ব্যবহার করা দরকার। হাতটা সয়ে নেওয়ার জন্য এই সময়টুকু দেওয়া জরুরী। ক্রমাগত লেন্স বদল করতে থাকলে একটা ফোকাল লেংথের যে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য সেটা অনেক সময় উপভোগ করা হয়ে উঠে না।
আমি খুব চাচ্ছিলাম প্রাণভরে 50mm দিয়ে ছবি তুলব। এই ছবিগুলো তুলে দারুণ আনন্দ পেয়েছি। হাতে কেবল একটা ক্যামেরা, লেন্স বদলের হাঙ্গামা নাই। কিছু ছবি তোলা হয়েছে অজ্ঞাতসারে, কোন কোন ক্ষেত্রে অনেক আলাপ-গল্প শেষে দুই-চারটা ক্লিক করেছি, ব্যস এই। সহজ সরল মানুষ, তাদের সহজ-সাধারণ ছবি।
মন্তব্য
মামুর বুটা, ফাকিবাজি আর কতদিন! বিয়া করছ, এহন লাইনে আহ!
পোস্ট দেখে ভাল লাগল, পরেরটা কি ২০১৩র মাঝেই আসবে ?
facebook
আরে পয়লা মন্তব্য দেখি অণু ভাইয়ের।
সংসারী মানুষ আমি, দেখি ঘর সামলে কয়টা পোস্ট দিতে পারি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দারুণ ছবি! সঙ্গে কিছু 'চিত্তচাঞ্চল্যকর' ফটোগ্রাফ থাকলে আরও ভালো।
আমার মতে, অনুকরণ নিয়ে হীনমন্যতার কিছু নেই। এটাই শেখার একমাত্র প্রোসেস। ভাষা থেকে হাসি সবই মানুষ অনুকরণ করেই শেখে। তাই ছবিতোলা, আকিবুকি, লেখালিখি এসবের শুরুতে বিভিন্ন গ্রান্ড মাস্টারের কাজ অনুকরণ করাটাকে তাদের পথে হাটতে কী লাগে সেটা বোঝার একটা প্রোসেস হিসাবেই দেখা উচিত। নিজস্বতা একসময় এমনিতেই এসে যায়।
অনেকে দেখেছি ৩৬৫ নামক প্রোগ্রাম করে। যেখানে কোনো একটা বিষয় আয়ত্বকরার জন্য এক বছরের জন্য প্রতিদিন একটা করে ছবি তুলে আপলোড করে কোথাও। সচলের কিংকর্তব্যবিমুড়কে দেখেছিলাম। আপনিও ট্রাই দিতে পারেন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধন্যবাদ। অনুকরণ প্রসঙ্গে আপনার সাথে কিছুটা একমত। তবে পারফর্মিং আর্টসে অনুকরণটা যতটা রেওয়াজের অংশ, চিত্রকলায় ব্যাপারটা মনে হয় অতটা না। ৩৬৫ করার ইচ্ছা আছে, তবে সামর্থ্য নাই।
হয়ত ভবিষ্যতে করব।
আপনার গল্প শুনলাম আমার বোনের কাছ থেকে। মিয়া টরেন্টো যান আর এডমন্টন আসতে পারেন না?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
Canon 50mm f/1.4 কেনার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করি।
ছবি ভাল লেগেছে। গায়কের ছবি কত মিলিমিটার-এ তোলা জানি না। তবে সিরিজের হিসেবে এটিকে দলছুট লেগেছে। বাকিগুলি চমৎকার ভাবে লেন্সের প্রতি সুবিচার করেছে। অর্থাৎ, ফোটোগা্রাফার চমৎকার কাজ করেছেন।
লেখা ভাল লেগেছে।
ছবি-ব্লগের পরের পোস্ট-এর অপেক্ষায় রইলাম।
(প্রিয়া কথা দিয়েছিল তার সাথে বিদেশে আসতে রাজী হলে আমার স্বপ্ন পূর্ণ করবে - দামী ক্যামেরা কিনে দেবে। দিয়েওছিল। এস এল আর - নাইকন - নন-ডিজিটাল, ডিজিটাল যেই যুগের যেমন। হৈ হৈ করে কিছু বছর ছবিও তুললাম। একসময় আর ভাল লাগল না। বুঝে গেছি, আমি ফোটোগ্রাফার নই। চউ-এর ভাষায় খুন্তি নামিয়ে রেখেছি।)
- একলহমা
অনেক ধন্যবাদ। গায়কের ছবিটাও ৫০ মিমি দিয়ে তোলা। পরের পোস্ট আশা করি দ্রুতই আসবে।
আপনার ভাগ্য তো খুব ভালো, কেমন চমৎকার উপহার পেলেন। তবে চবি তোলা ভালো লাগে না শুনে মন খারাপ হল। একটু বিরতি দিয়ে আবার শুরু করতে পারেন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
=))
র.নাহিয়েন
আপনি হাসছেন, আমার মনে কত যে বেদনাবিধুর স্মৃতি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আপনি খুব দারুণভাবে এক্সপ্রেশান ক্যাপচার করতে পেরেছেন। খুব ন্যাচারাল লাগছে ছবিগুলো।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
অনেক ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আপনার যা অতীত তা আমার বর্তমান। আপনার যা বর্তমান তা আমার ভবিষ্যত হবে কিনা সন্দেহ !
রাসিক রেজা নাহিয়েন
আপনার ভবিষ্যত এর চেয়ে ঢের ভালো হবে - নো টেনশান
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ইস্ আমি যদি এইরকম ছবি তুলতে পারতাম।
লেখায় নিজেকে ক্ষুদ্র বানাবার একটা প্রচেষ্টা আছে, সেটুকু না থাকলেই ভালো হইতো, তোমার হাত তো আর খারাপ না।
...........................
Every Picture Tells a Story
হ
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বিনয়ে তো আপনিও কম যান না, মুস্তাফিজ ভাই। আপনার যে ডেডিকেশান তার অর্ধেকও আমার নাই।
উৎসাহ দিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
চমৎকার ছবি ফাহিম।
ছবিগুলো দেখে ভ্যাঙ্কুভারের ছবিই মনে হচ্ছে। কানাডার শহরগুলোর মধ্যে বৈচিত্র মনে হয় খুব কম। একই রকম মানুষ, একই রকম রঙ, একই রকম হাসি।
রাস্তায় ছবি তুলতে ভাল পাই। যদিও খুব বেশি বেরোনো হয় না। আমার কিন্তু লম্বা লেন্সে ছবি তুলতে ভালোই লাগে, যদিও দুষ্ট লোকেরা সেটার ভিন্ন অর্থ করে ফেলতে পারে। বিশেষ করে ৮৫ মিমি এর লেন্সটা আমার খুবই পছন্দ। স্ট্রিট ফটোগ্রাফির মত ওয়াইড লেন্স নাই, আপাতত হবারও সম্ভাবনা নাই, তাই সেই বিষয়ে অভিজ্ঞতা শুন্য।
আর বিনয় কমাও, বুঝলা?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আচ্ছা বুঝলাম। এরপর থেকে খুব ভাব দেখায় চলব
৮৫/৯০/১০০ মিমি এই লেন্সগুলো সনাতনধর্মী পোর্ট্রেইট করার জন্য চমৎকার। মানুষের পছন্দের ভন্ননতা তো থাকবেই, আবার সময়ের সাথে সাথে পছন্দ পাল্টায়। আমার এখন ভোটকা ডিএসএলার ক্যামেরাগুলো একদমই পছন্দ না।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বাহ্
আমারও একখান ৫০ আছে। এইটার কাছে বাকিগুলারে পাইনসা লাগে
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
৫০মিমি ফোকাল লেংথের একটা আলাদা আবেদন আছে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
৫।
ধন্যবাদ পিপিদা
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
প্রমীলাদের ছবি এত কম কেন? ভাবী বকা দিছে নাকি?
facebook
আরেকটা ছবি সিরিজ করব শুধু প্রমীলা পোর্টেইটস নামে, আমি কি ডরাই সখী - - -
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
স্পর্শ, মুস্তাফিজ ভাই, স্ত্রীমাত্রিক কবি, সাফি ভাই এনাদের সবার কমেন্টে হ্যাঁ ভোট দিলাম।
স্ত্রীমাত্রিক কবি????
দারুণ সব ছবি, তবে আমার কেন জানি গায়কের ছবিখানা বেশি ভাল লাগছে।
ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
"স্ত্রীমাত্রিক কবি" তে উত্তম জাঝা।
আমি একটা ট্রাই করি।
বৌস্তুভ।
..................................................................
#Banshibir.
পীর'দারা' অনুমোদিত
প্রথম লুকটারে ডিরেক্টর ডিরেক্টর লাগছে। ৩নাম্বারটারে কি নায়ক লাগছে?
গাতকের টাও ভাল্লাগছে।
ঠিক, প্রথমজনের মধ্যে ডিরেক্টর ভাব প্রকট
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
জব্বর ট্রাই !
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
স্ত্রীমাত্রিক কবি, বৌস্তুভ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সব বিবাহিত, আধা বিবাহিত বদলুকজন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কৌস্তভ বাবা, বহুত কষ্ট করে একটা ভাবের নিক খুঁজে পাইছিলাম, এইটার মিয়া এই অবস্থা করলা? [নাম্বিকৃতকরণ চমৎকার হয়েছে, অ্যাপ্রিশিয়েট না করে পারা গেল না ]
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
স্ত্রীমাত্রিক কবি - হাহাহহাহহাহহাহহহাহহাহহাহহাহাহ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
তিন আর পাঁচ মারাত্মক লাগলো
ধন্যবাদ উদাসদা
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সব গুলোই চোখ জুরিয়ে দিল।
তবে অ্যাতো অল্পে কি পেট ভরে। পেটুক মানুষ। খান সাত ছবি দিয়ে বোল্লেন, ওঠো এবার, পাত গোটাও। ধুৎ।
ধন্যবাদ
পরের পর্বে আরো বেশি ছবি দিব
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ফ্লিকারে গিয়ে চুরি করে দেখে এলুম কোনটা ৫০ মিমি তে তোলা হয়নি। এমনিতে দেখে কোন পার্থক্য করতে পারলাম না। সাদা চোখে যেটা মনে হলো, ৫০ মিমিতে পিছনটা যত ঘোলা ঘোলা আর সাবজেক্ট অনেক পরিষ্কার থাকে, ২২ মিমিতে তা না, পিছনের জিনিওস্পাতিও তুলনামূলক কম ঘোলা এবং কিছুটা ফোকাসে চলে আসে। যদিও সেটা কেন হবে ব্যাখ্যা পাচ্ছি না মনে।
নিজে ছবি তুলতে পারি না, তবে আজাইরা সমালোচনা করে আঁতেল ভঙ্গিতে মাথা দুলিয়ে বলতে পারি, "ভালৈছে" (Y)
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
পর্যবেক্ষণ ঠিক আছে। তবে ঐ ঘোলা ঘোলা ব্যাকগ্রাউন্ড (bokeh) লেন্সের ফোকাল লেন্থ ছাড়াও অ্যাাপারচার, সাব্জেক্টের থেকে দূরত্বের উপর নির্ভর করে।
শেষ ছবিটা বাদে সবগুলো ৫০ মিমি দিয়ে তোলা। চেষ্টা করছি ৫০ মিমিকে নানা ভাবে ব্যবহার করার। খুব একটা সুবিধা হচ্ছে না কারণ আমার ক্যমেরার বডিতে ওটা ৮০মিমি এর মত কাজ দেয়। তবে চ্যালেঞ্জটা উপভোগ করছি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
চরম সত্য।
ছবি ।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
অ-নে-ক ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ফাহিম, ভ্যাংকুভারে ডাউ্নটাউনে যে মেয়েটাকে রাস্তায় পাকড়াও করেছিলে, তার ছবি কি কোথাও দেওয়া আছে? থাকলে বইলো তো---মেয়েটার স্পনট্যানিয়াস রিএকশন গুলো ভালো লাগছিলো।
ছবি ভালো লাগলো। লেখায় পুরাই বিনয় মজুমদার
স্ত্রীমাত্রিক কবিতে ভোটাপ আমিও।
ওগুলা ফাহিমের পার্সোনাল কালেকশান মনে হয়।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
তবে রে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ভাল লাগলো ফাহিম ভাই; পরবর্তী পোস্ট আসবে কবে?
ধন্যবাদ, এই চলে আসছে ঝটপট
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ছবি তুলি মাঝে মাঝে। কিন্তু ফ্লিকারে অন্যের ছবি দেখে শুধু মনে হয় যে আমি ঐ রকমের ছবি তুলতে পারতাম যদি না আমার সেই রকমের লেন্স থাকত। কিছু দিন আগে নাইকনের ১০-২৪ মিমি আলট্রা ওয়াইড লেন্সটা কিনে গুতাগুতি করে কিছু গ্রাফিতির ছবি তুলে বাক্সবন্দি করে রেখে দিছি। ৫০ মিমি দিয়ে হাতে গোনা কিছু ছবি তুলছি। এখন মনে হয়, আহ একটা ৮৫ মিমি থাকলে ফাডায়ালাইতাম ! লেন্স কেনার নেশার ১০% ও যদি ছবি তোলার ক্ষেত্রে থাকত তাইলেও ঐ একই কথা, "ফাডায়ালাইতাম !!" ল্যান্ডস্কেপ, ম্যাক্রো, পোর্ট্রেইট, এইচ ডি আর, নাইট ফটোগ্রাফি- যাই দেখি তাতেই মনে হয় খালি লেন্সটা নাই রে, নাইলে---------যাক, ছবি ভাল হইছে। আরো ছবি তুলুন, আমাদের দেখান !!!!!
ধন্যবাদ। গ্রাফিতির ছবি দিয়ে একটা পোস্ট দিয়ে দিন, আলোচনা করি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অনেক কিছুই মিলে যায় মিয়া। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে হয়, দেইখেন একদিন আমিও...
ছবিগুলি ভাল লেগেছে, তারচেয়ে বেশী ভাল লেগেছে লেখাটা। এবং শুভেচ্ছা
ডাকঘর | ছবিঘর
মিলে গিয়েছে জেনে খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এতোকিছু নিয়াও কন কিছু নাই? তাইলে আমি কী কমু?
আমার যাও একটা অলিম্পাস ছিলো, সেইটাও চুরি হয়ে গেছে। এখন আমার কোনো ক্যামেরাই নাই। ফাটাফাটি একটা ডিএসএলআর কিনবো বলে টাকা জমানোর চেষ্টা করছি, তাই ছোটখাটো কিছু কিনছি না।
কোথাও ঘুরতে গেলে মাইনষের ক্যামেরা ধার নিয়া যাই
যাহোক... ছবি ভাল্লাগছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কিনে ফেলেন নজু ভাই, শুভ কাজে দেরী করতে নাই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
২ নং ছবিটা হেভী লাগলো আমার কাছে।
লেখাটাও গোছালো লিখেছেন।
-নিয়াজ
অ-নে-ক ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নতুন মন্তব্য করুন