বন ও লতাকে নিয়ে জীবনের আনন্দ আঁকতে চেয়েছিলেন কবি। সেই অর্বাচীনতাই কাল হয় বুঝি, তাই নিরানন্দ এসে তাকে ডেকে নিয়ে যায় রেল রাস্তায়, শেষ ট্রেনে, দূরে। হাইড্রান্টের কবি জানেনা শ্রাবস্তী থেকে অদ্যাবধি, আবহমান একমাত্র মৃত্যুকেই উজানে ধারাবাহিক করে তোলে, বাকি সব কেবলি অপভ্রংশ মাত্র।
রূপসী বাংলা ডেভেলপ করলে কতগুলো প্লট হবে সে সাধনায় দু’জন ঠিক করে খায়; ফেরাতো দূরের কথা, যারা কখনো সূর্যোদয় দ্যাখেনি তারাও ভিসা পাবে বলে সুবেহ সাদিকেই লাইন দ্যায় ফুটপাতে।
আর কিছু বোকা, এঁটেল মাটির মতো নরম মন আর কবিতা সমগ্র ব্যাকপ্যাকে নিয়ে দখল হয়ে যাওয়া সেন বাড়ীর ভিটায় খোঁজে দারুচিনি দ্বীপের কারুকাজ।
কবি জানেনা পথে কিছু পড়ে গ্যালে, তা সে রেলেরই হোক বা পীচেরই হোক, হাজার বছর ধরে হাঁটলেও খুঁজে পাওয়া যায়না; পথ এমনই কন্টকময়, খানাখন্দে ভরা, সর্বভূক এক।
মন্তব্য
হুমমম
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
দারুণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লালন ভাই,
আপনার জীবন ও আনন্দচর্চা ভালো লাগলো! ভালো লেগেছে বলেই কেন জানি মনে হলো বলিঃ
বোধকরি, 'হাঁটলেও' না লিখে সাহস করে 'হাঁটিলেও' লিখে ফেললে আরো শুদ্ধ ও অনন্তগামী হতো ! (বরাতঃ আব্দুল মান্নান সৈয়দ, 'শুদ্ধতম কবি শুদ্ধতম কবিতা')
রোমেল চৌধুরী
এই "শিরোনামহীন" এতিমগুলোকে নাম দিলে কী হয়?
পূর্বসূরী কবির সৃষ্টি উত্তরসূরী কবির মননকে গ্রাস করে। উত্তরসূরী কবির সৃষ্টি পাঠকের মননকে গ্রাস করে। শেষের লাইনগুলো আমাকে গ্রাস করলো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন